আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

২০- লি'আনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৬১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৫-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৫। যুহাইর ইবনে হারব, উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি একবার জুমআর রাতে মসজিদে ছিলাম। তখন জনৈক আনসারী সেখানে উপস্থিত হল। সে বলল, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পায়, সে যদি এ নিয়ে কথা বলে, তাহলে আপনারা তো তাকে কোড়া লাগাবেন? অথবা সে যদি তাকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তো আপনারা তাকে কতল করবেন। যদি সে নীরব থাকে তাহলে তো তাকে সংঘাতিক গোস্যাসহ নীরব থাকতে হবে। আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবই।

পরদিন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে সে প্রশ্ন করল। সে বলল, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পায় এবং সেই এ নিয়ে কথা বলে তাহলে আপনারা তাকে কোড়া লাগাবেন।যদি তাকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তো আপনারা তাকে হত্যা করে ফেলবেন। আর যদি নীরব থাকে তবে তো তাকে ক্রোধ নিয়ে নীরব থাকতে হবে। (সুতরাং তার উপায় কি?) তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তুমি এর ফয়সালা দাও এবং তিনি দুআ করতে লাগলেন। অনন্তর লিআনের আয়াত অবতীর্ণ হলঃ

″আর যারা তাদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয় অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই″ ......... এই আয়াতগুলো। (সূরা নূরঃ ৬-৯)।

এরপর সে ব্যক্তি লোকজনের সামনে লিআনের পরীক্ষার সম্মুখীন হল। তারপর সে তার স্ত্রীসহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এল এবং তারা উভয়ে লিআন করল। লোকটি আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদী। এরপর পঞ্চমবারে বলল, সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার উপরে আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। এরপর মহিলাটি লিআনের জন্য অগ্রসর হল। নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ থাম (যদি তোমার স্বামীর উক্তি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তুমি তা স্বীকার করে নাও)। কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং লিআন করে ফেলল। যখন তারা দু’জন ফিরে চলল তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেন, সম্ভবত এই মহিলা কালোকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তান প্রসব করবে। অবশেষে তার গর্ভে একটি কালোকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তানই জন্ম দিয়েছিল।


৩৬১৫/১। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আমাশ (রাহঃ) থেকে এই একই সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّا لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ فِي الْمَسْجِدِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَتَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ وَاللَّهِ لأَسْأَلَنَّ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَتَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ أَوْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ . فَقَالَ " اللَّهُمَّ افْتَحْ " . وَجَعَلَ يَدْعُو فَنَزَلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ ( وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ) هَذِهِ الآيَاتُ فَابْتُلِيَ بِهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ فَجَاءَ هُوَ وَامْرَأَتُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَلاَعَنَا فَشَهِدَ الرَّجُلُ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ لَعَنَ الْخَامِسَةَ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ فَذَهَبَتْ لِتَلْعَنَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَهْ " . فَأَبَتْ فَلَعَنَتْ فَلَمَّا أَدْبَرَا قَالَ " لَعَلَّهَا أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا " . فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا.

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ، أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)