আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৮-৭
১৫. যায়নাব বিনতে জাহশকে বিবাহ করা, পর্দার হুকুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওলীমা সাবিত প্রসঙ্গ
৩৩৭৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (যয়নাব বিনতে জাহশকে) বিবাহ করেন এবং তাঁর সহধর্মিনীর কাছে গেলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার মা উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) হায়স তৈরী করেছিলেন এবং তা একখানি ছোট পাত্রে রেখে আমাকে বললেন, হে আনাস! ইহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নিয়ে যাও এবং তাঁকে বল, ইহা আমার মা আপনার খিদমতে পাঠিয়েছেন এবং আপনাকে সালাম পৌঁছিয়েছেন। (আরও বলো যে) তিনি বলেছেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে এটা অতি সামান্য। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি হায়স নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মা আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আমাদের পক্ষ থেকে আপনার জন্য এটা অতি সামান্য
তিনি বললেন, ইহা রাখ। তারপর বললেনঃ তুমি যাও, অমুক অমুক অমুককে দাওয়াত দাও এবং সেসব লোককেও যাদের সাথে তোমার সাক্ষাত হবে। এ বলে, তিনি লোকদের নাম বললেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন বর্ণিত লোকদের দাওয়াত দিলাম এবং তাদেরও যাদের সাথে আমার সাক্ষাত হল। সাবিত (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (আমন্ত্রিত লোকদের) সংখ্যা কত ছিল? তিনি বললেন, প্রায় তিনশত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার) পাত্রটি নিয়ে এসো। আনাস (রাযিঃ) বলেন, দাওয়াত প্রাপ্ত লোকজন আসল। এমনকি ঘর ও চত্তর ভরে গেল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা দশ দশ জন করে একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই পাত্র থেকে নিজের সামনের স্থান থেকে খাদ্য গ্রহণ কর। আনাস (রাযিঃ) বললেন, সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন। তিনি বলেন, একদল গেল আরেক দল প্রবেশ করল। এভাবে সকলে খাবার কাজ সেরে নিল। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার পাত্র) উঠাও। তিনি বলেন, এরপর আমি পাত্রটি তুলে নিলাম। পাত্রটি রাখার সময় এতে খাদ্য বেশী ছিল কি না সেটি উঠাবার সময় তা আমি বুঝতে পারি নি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তাদের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সেখানে) বসা ছিলেন এবং তাঁর সহধর্মিনী (যায়নাব) দেওয়াল মুখী হয়ে পিছনে ফিরে রইলেন। তাদের উপস্থিতি তার কাছে কষ্টকর মনে হল।
তারপর তিনি তাঁর অন্যান্য বিবিদের কাছে বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি এলেন। তাঁরা যখন দেখল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসেছেন, তারা বুঝতে পারল যে, তাদের অবস্থিতি তাঁর জন্য কষ্টকর হয়েছে। আনাস (রাযিঃ) বলন, তখন তারা তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেল এবং সবাই বেরিয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন এবং পর্দা টেনে দিলেন এবং পর্দার ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। তখন এই আয়াত নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে আয়াত লোকদের কাছে পাঠ করলেনঃ
(অর্থ) হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না, তবে তোমাদের আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং আহারের পর তোমরা চলে যাবে এবং কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বেনা। কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে কষ্ট দেয় ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
রাবী জা’দ (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, এ সকল আয়াত লোকদের মধ্যেআমিই সর্বপ্রথম জেনেছি। আর নবী (ﷺ) এর বিবিগণকে পর্দার আড়ালে নেয়া হল।
তিনি বললেন, ইহা রাখ। তারপর বললেনঃ তুমি যাও, অমুক অমুক অমুককে দাওয়াত দাও এবং সেসব লোককেও যাদের সাথে তোমার সাক্ষাত হবে। এ বলে, তিনি লোকদের নাম বললেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তখন বর্ণিত লোকদের দাওয়াত দিলাম এবং তাদেরও যাদের সাথে আমার সাক্ষাত হল। সাবিত (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (আমন্ত্রিত লোকদের) সংখ্যা কত ছিল? তিনি বললেন, প্রায় তিনশত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার) পাত্রটি নিয়ে এসো। আনাস (রাযিঃ) বলেন, দাওয়াত প্রাপ্ত লোকজন আসল। এমনকি ঘর ও চত্তর ভরে গেল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা দশ দশ জন করে একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই পাত্র থেকে নিজের সামনের স্থান থেকে খাদ্য গ্রহণ কর। আনাস (রাযিঃ) বললেন, সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন। তিনি বলেন, একদল গেল আরেক দল প্রবেশ করল। এভাবে সকলে খাবার কাজ সেরে নিল। তারপর তিনি আমাকে বললেন, হে আনাস! (হায়সার পাত্র) উঠাও। তিনি বলেন, এরপর আমি পাত্রটি তুলে নিলাম। পাত্রটি রাখার সময় এতে খাদ্য বেশী ছিল কি না সেটি উঠাবার সময় তা আমি বুঝতে পারি নি। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তাদের কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সেখানে) বসা ছিলেন এবং তাঁর সহধর্মিনী (যায়নাব) দেওয়াল মুখী হয়ে পিছনে ফিরে রইলেন। তাদের উপস্থিতি তার কাছে কষ্টকর মনে হল।
তারপর তিনি তাঁর অন্যান্য বিবিদের কাছে বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি এলেন। তাঁরা যখন দেখল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিরে এসেছেন, তারা বুঝতে পারল যে, তাদের অবস্থিতি তাঁর জন্য কষ্টকর হয়েছে। আনাস (রাযিঃ) বলন, তখন তারা তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেল এবং সবাই বেরিয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এলেন এবং পর্দা টেনে দিলেন এবং পর্দার ভিতরে প্রবেশ করলেন। আমি ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। তখন এই আয়াত নাযিল হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে আয়াত লোকদের কাছে পাঠ করলেনঃ
(অর্থ) হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেওয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না, তবে তোমাদের আহবান করলে তোমরা প্রবেশ করবে এবং আহারের পর তোমরা চলে যাবে এবং কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বেনা। কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে কষ্ট দেয় ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
রাবী জা’দ (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, এ সকল আয়াত লোকদের মধ্যেআমিই সর্বপ্রথম জেনেছি। আর নবী (ﷺ) এর বিবিগণকে পর্দার আড়ালে নেয়া হল।
باب زَوَاجِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَنُزُولِ الْحِجَابِ وَإِثْبَاتِ وَلِيمَةِ الْعُرْسِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - عَنِ الْجَعْدِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلَ بِأَهْلِهِ - قَالَ - فَصَنَعَتْ أُمِّي أُمُّ سُلَيْمٍ حَيْسًا فَجَعَلَتْهُ فِي تَوْرٍ فَقَالَتْ يَا أَنَسُ اذْهَبْ بِهَذَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْ بَعَثَتْ بِهَذَا إِلَيْكَ أُمِّي وَهْىَ تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ - قَالَ - فَذَهَبْتُ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّي تُقْرِئُكَ السَّلاَمَ وَتَقُولُ إِنَّ هَذَا لَكَ مِنَّا قَلِيلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " ضَعْهُ - ثُمَّ قَالَ - اذْهَبْ فَادْعُ لِي فُلاَنًا وَفُلاَنًا وَفُلاَنًا وَمَنْ لَقِيتَ " . وَسَمَّى رِجَالاً - قَالَ - فَدَعَوْتُ مَنْ سَمَّى وَمَنْ لَقِيتُ . قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ عَدَدَ كَمْ كَانُوا قَالَ زُهَاءَ ثَلاَثِمِائَةٍ . وَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَنَسُ هَاتِ التَّوْرَ " . قَالَ فَدَخَلُوا حَتَّى امْتَلأَتِ الصُّفَّةُ وَالْحُجْرَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِيَتَحَلَّقْ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ وَلْيَأْكُلْ كُلُّ إِنْسَانٍ مِمَّا يَلِيهِ " . قَالَ فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا - قَالَ - فَخَرَجَتْ طَائِفَةٌ وَدَخَلَتْ طَائِفَةٌ حَتَّى أَكَلُوا كُلُّهُمْ . فَقَالَ لِي " يَا أَنَسُ ارْفَعْ " . قَالَ فَرَفَعْتُ فَمَا أَدْرِي حِينَ وَضَعْتُ كَانَ أَكْثَرَ أَمْ حِينَ رَفَعْتُ - قَالَ - وَجَلَسَ طَوَائِفُ مِنْهُمْ يَتَحَدَّثُونَ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ وَزَوْجَتُهُ مُوَلِّيَةٌ وَجْهَهَا إِلَى الْحَائِطِ فَثَقُلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَى نِسَائِهِ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمَّا رَأَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ رَجَعَ ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ ثَقُلُوا عَلَيْهِ - قَالَ - فَابْتَدَرُوا الْبَابَ فَخَرَجُوا كُلُّهُمْ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم َتَّى أَرْخَى السِّتْرَ وَدَخَلَ وَأَنَا جَالِسٌ فِي الْحُجْرَةِ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ يَسِيرًا حَتَّى خَرَجَ عَلَىَّ . وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَى طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلاَ مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ الْجَعْدُ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَا أَحْدَثُ النَّاسِ عَهْدًا بِهَذِهِ الآيَاتِ وَحُجِبْنَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
