আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬৫ - ১৪২৮
১৪. দাসী আযাদ করে তাকে বিবাহ করা ফযীলত
৩৩৬৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বরের যুদ্ধে আমি আবু তালহা (রাযিঃ) এর পিছনে সওয়ার ছিলাম। আমার পা তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কদম মুবারক স্পর্শ করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সূর্যোদয়ের সময় খায়বরবাসীদের নিকট পৌঁছলাম। তারা তখন চতুষ্পদ জন্তু, কোদাল, বস্তা ও রশি নিয়ে বের হচ্ছিল। তারা বলতে লাগলো মুহাম্মাদ তাঁর পঞ্চবাহিনী (পূর্ণ বাহিনী) নিয়ে এসে গেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ খায়বর ধ্বংস হোক, আমরা যখন কোন শক্র দলের আঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন সতর্কীকৃত লোকদের প্রভাত হয় মন্দ। বর্ণনাকারী বলেন, (ঐ অভিযানে) আল্লাহ তাদের পরাজিত করেছেন। দিহয়া (রাযিঃ) এর ভাগে পড়ে সুন্দরী দাসী। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাতজন দাসের বিনিময়ে সে দাসীকে খরীদ করে নেন।
অতঃপর তাকে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ)-এর হাওয়ালা করেন যাতে তিনি তাঁকে ঠিকঠাক করে প্রস্তুত করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় রাবী একথাও বলেছেন, সে যেন তাঁর ঘরে ইদ্দত পুর্ণ করে। তিনি ছিলেন হুয়ায়্যের কন্যা সাফিয়্যা। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেজুর, পানীয় ও ঘি দিয়ে তার ওলীমা করলেন। এ উদ্দেশ্যে যমীনের কিছু অংশ গর্ত আকারের করে তাতে চামড়ার বড় দস্তরখান বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতেই পানীয় ও ঘি রাখা হয়। সকলেই তা তৃপ্তির সাথে আহার করলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বলতে লাগলঃ আমরা জানি না, তিনি তাকে বিবাহ করলেন, না উম্মু ওলাদ (দাসী) রূপে গ্রহণ করলেন। আবার কয়েকজন বলতে লাগল, যদি তিনি তার পর্দার ব্যবস্থা না করেন তবে তার উম্মু ওলাদ। তিনি যখন বাহনে সওয়ার হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করলেন। এরপর সাফিয়্যা (রাযিঃ) উটের পিছনের দিকে বসলেন। তখন লোকেরা জানতে পারল যে, তিনি তাঁকে বিবাহ করেছেন।
সাহাবীগণ যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দ্রুত অগ্রসর হতে থাকলেন এবং আমরাও দ্রুত চললাম। তখন নবীজীর আসবাব উটনীটি হোঁচট খেয়ে যমীনে পড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যমীনে পড়ে যান এবং সাফিয়্যা (রাযিঃ)ও পড়ে যান। তিনি দাঁড়িয়ে সাফিয়্যা (রাযিঃ)-কে পর্দার দ্বারা আবৃত করে দেন। এ দেখে কতিপয় মহিলা বলতে লাগল, ইয়াহুদী মাহিলাকে আল্লাহ তার রহমত থেকে বঞ্চিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন আমি বললাম, হে আবু হামযা! সত্যই কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটনী থেকে যমীনে পড়ে গিয়েছিলেন? তিনি শপথ করে বললেন, হ্যাঁ। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি নিজে যায়নাব (রাযিঃ) এর ওলীমা অনুষ্ঠানে ছিলাম। সে অনুষ্ঠানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে ছিলেন। সেই ওলীমার দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যখন ওলীমার কাজ শেষ করে উঠলেন আমিও তাঁর পিছনে চললাম। তখনও দুজন লোক ঘরে কথা বার্তায় ব্যস্ত রইল, তারা বের হলেন না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেককেই আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম জানিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গৃহবাসী! তোমরা কেমন আছ? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আমরা ভাল আছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেমন আছেন? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আপনি আপনার নব পরিনীতাকে কেমন পেয়েছেন? বললেন, ভালই।
তিনি যখন এ কাজ শেষ করে ফিরে এলেন আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন তিনি দরজার কাছে এলেন দেখলেন যে, সে দু’জন আলোচনায় রত আছে। তারা তাঁকে ফিরে যেতে দেখে উঠে চলে গেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে নেই, ঘর থেকে ঐ দু’জন লোকের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমি তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না এ ব্যাপারে তার উপর ওহী নাযিল হয়েছিল। তিনি আবার ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন দরজার চৌকাঠে পা রাখলেন তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝে পর্দা টেনে দিলেন, আর আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ‘তোমরা নবীর ঘরে তার বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না।’
অতঃপর তাকে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ)-এর হাওয়ালা করেন যাতে তিনি তাঁকে ঠিকঠাক করে প্রস্তুত করে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয় রাবী একথাও বলেছেন, সে যেন তাঁর ঘরে ইদ্দত পুর্ণ করে। তিনি ছিলেন হুয়ায়্যের কন্যা সাফিয়্যা। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেজুর, পানীয় ও ঘি দিয়ে তার ওলীমা করলেন। এ উদ্দেশ্যে যমীনের কিছু অংশ গর্ত আকারের করে তাতে চামড়ার বড় দস্তরখান বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতেই পানীয় ও ঘি রাখা হয়। সকলেই তা তৃপ্তির সাথে আহার করলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, লোকেরা বলতে লাগলঃ আমরা জানি না, তিনি তাকে বিবাহ করলেন, না উম্মু ওলাদ (দাসী) রূপে গ্রহণ করলেন। আবার কয়েকজন বলতে লাগল, যদি তিনি তার পর্দার ব্যবস্থা না করেন তবে তার উম্মু ওলাদ। তিনি যখন বাহনে সওয়ার হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করলেন। এরপর সাফিয়্যা (রাযিঃ) উটের পিছনের দিকে বসলেন। তখন লোকেরা জানতে পারল যে, তিনি তাঁকে বিবাহ করেছেন।
সাহাবীগণ যখন মদীনার নিকটবর্তী হলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন দ্রুত অগ্রসর হতে থাকলেন এবং আমরাও দ্রুত চললাম। তখন নবীজীর আসবাব উটনীটি হোঁচট খেয়ে যমীনে পড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যমীনে পড়ে যান এবং সাফিয়্যা (রাযিঃ)ও পড়ে যান। তিনি দাঁড়িয়ে সাফিয়্যা (রাযিঃ)-কে পর্দার দ্বারা আবৃত করে দেন। এ দেখে কতিপয় মহিলা বলতে লাগল, ইয়াহুদী মাহিলাকে আল্লাহ তার রহমত থেকে বঞ্চিত করুন।
বর্ণনাকারী বলেন আমি বললাম, হে আবু হামযা! সত্যই কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উটনী থেকে যমীনে পড়ে গিয়েছিলেন? তিনি শপথ করে বললেন, হ্যাঁ। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি নিজে যায়নাব (রাযিঃ) এর ওলীমা অনুষ্ঠানে ছিলাম। সে অনুষ্ঠানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের তৃপ্তি সহকারে রুটি ও গোশত আহার করিয়ে ছিলেন। সেই ওলীমার দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যখন ওলীমার কাজ শেষ করে উঠলেন আমিও তাঁর পিছনে চললাম। তখনও দুজন লোক ঘরে কথা বার্তায় ব্যস্ত রইল, তারা বের হলেন না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট গেলেন এবং প্রত্যেককেই আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম জানিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে গৃহবাসী! তোমরা কেমন আছ? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আমরা ভাল আছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেমন আছেন? উত্তরে প্রত্যেকেই বলেন, আপনি আপনার নব পরিনীতাকে কেমন পেয়েছেন? বললেন, ভালই।
তিনি যখন এ কাজ শেষ করে ফিরে এলেন আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন তিনি দরজার কাছে এলেন দেখলেন যে, সে দু’জন আলোচনায় রত আছে। তারা তাঁকে ফিরে যেতে দেখে উঠে চলে গেল। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে নেই, ঘর থেকে ঐ দু’জন লোকের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমি তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না এ ব্যাপারে তার উপর ওহী নাযিল হয়েছিল। তিনি আবার ফিরে এলেন এবং আমিও তাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। যখন দরজার চৌকাঠে পা রাখলেন তখন তিনি আমার ও তাঁর মাঝে পর্দা টেনে দিলেন, আর আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ‘তোমরা নবীর ঘরে তার বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না।’
باب فَضِيلَةِ إِعْتَاقِهِ أَمَتَهُ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ أَبِي طَلْحَةَ يَوْمَ خَيْبَرَ وَقَدَمِي تَمَسُّ قَدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَأَتَيْنَاهُمْ حِينَ بَزَغَتِ الشَّمْسُ وَقَدْ أَخْرَجُوا مَوَاشِيَهُمَ وَخَرَجُوا بِفُئُوسِهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ وَمُرُورِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ - قَالَ - وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ " . قَالَ وَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَوَقَعَتْ فِي سَهْمِ دَحْيَةَ جَارِيَةٌ جَمِيلَةٌ فَاشْتَرَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعَةِ أَرْؤُسٍ ثُمَّ دَفَعَهَا إِلَى أُمِّ سُلَيْمٍ تُصَنِّعُهَا لَهُ وَتُهَيِّئُهَا - قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَتَعْتَدُّ فِي بَيْتِهَا وَهِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ - قَالَ - وَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلِيمَتَهَا التَّمْرَ وَالأَقِطَ وَالسَّمْنَ فُحِصَتِ الأَرْضُ أَفَاحِيصَ وَجِيءَ بِالأَنْطَاعِ فَوُضِعَتْ فِيهَا وَجِيءَ بِالأَقِطِ وَالسَّمْنِ فَشَبِعَ النَّاسُ - قَالَ - وَقَالَ النَّاسُ لاَ نَدْرِي أَتَزَوَّجَهَا أَمِ اتَّخَذَهَا أُمَّ وَلَدٍ . قَالُوا إِنْ حَجَبَهَا فَهْىَ امْرَأَتُهُ وَإِنْ لَمْ يَحْجُبْهَا فَهْىَ أُمُّ وَلَدٍ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَبَ حَجَبَهَا فَقَعَدَتْ عَلَى عَجُزِ الْبَعِيرِ فَعَرَفُوا أَنَّهُ قَدْ تَزَوَّجَهَا . فَلَمَّا دَنَوْا مِنَ الْمَدِينَةِ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدَفَعْنَا - قَالَ - فَعَثَرَتِ النَّاقَةُ الْعَضْبَاءُ وَنَدَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَدَرَتْ فَقَامَ فَسَتَرَهَا وَقَدْ أَشْرَفَتِ النِّسَاءُ فَقُلْنَ أَبْعَدَ اللَّهُ الْيَهُودِيَّةَ . قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا حَمْزَةَ أَوَقَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِي وَاللَّهِ لَقَدْ وَقَعَ .
قَالَ أَنَسٌ وَشَهِدْتُ وَلِيمَةَ زَيْنَبَ فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا وَكَانَ يَبْعَثُنِي فَأَدْعُو النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ وَتَبِعْتُهُ فَتَخَلَّفَ رَجُلاَنِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ لَمْ يَخْرُجَا فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى نِسَائِهِ فَيُسَلِّمُ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ " سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَيْفَ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ " . فَيَقُولُونَ بِخَيْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ فَيَقُولُ " بِخَيْرٍ " . فَلَمَّا فَرَغَ رَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ إِذَا هُوَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ فَلَمَّا رَأَيَاهُ قَدْ رَجَعَ قَامَا فَخَرَجَا فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَمْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ بِأَنَّهُمَا قَدْ خَرَجَا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ الْبَابِ أَرْخَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ( لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ) الآيَةَ .
قَالَ أَنَسٌ وَشَهِدْتُ وَلِيمَةَ زَيْنَبَ فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا وَكَانَ يَبْعَثُنِي فَأَدْعُو النَّاسَ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ وَتَبِعْتُهُ فَتَخَلَّفَ رَجُلاَنِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ لَمْ يَخْرُجَا فَجَعَلَ يَمُرُّ عَلَى نِسَائِهِ فَيُسَلِّمُ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ " سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَيْفَ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ " . فَيَقُولُونَ بِخَيْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ وَجَدْتَ أَهْلَكَ فَيَقُولُ " بِخَيْرٍ " . فَلَمَّا فَرَغَ رَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا بَلَغَ الْبَابَ إِذَا هُوَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدِ اسْتَأْنَسَ بِهِمَا الْحَدِيثُ فَلَمَّا رَأَيَاهُ قَدْ رَجَعَ قَامَا فَخَرَجَا فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ أَمْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْىُ بِأَنَّهُمَا قَدْ خَرَجَا فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي أُسْكُفَّةِ الْبَابِ أَرْخَى الْحِجَابَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ( لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ) الآيَةَ .
