আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৩৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪২৫-১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
১৩. মোহর প্রসঙ্গ- কুরআন শিক্ষা দেওয়া, লোহার আংটি ইত্যাদি বস্তু কম বা বেশী মোহর হতে পারে এবং যার জন্য কষ্টকর না হয়, তার জন্য পাঁচশত দিরহাম মোহর দেওয়া মুস্তাহাব
৩৩৫৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ আস-সাকাফী (রাহঃ) ইয়াকুব ও ইবনে আবু হাযিম থেকে ......... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) বলেন, জনৈকা মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি নিজেকেআপনার জন্য হেবা করছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে লক্ষ্য করলেন এবং দৃষ্টি উপরের দিকে উঠিয়ে নীচে নামালেন। তারপর তিনি তাঁর মাথা নিচু করলেন। মাহিলা যখন বুঝতে পারল যে, তার সম্বন্ধে কোন সিদ্ধাতে পৌছেন নি, তখন সে বসে পড়ল। তারপর জনৈক সাহাবী দাঁড়িয়ে আরয করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে তাকে আমার সাথে বিবাহ দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সাহাবী বললেন, না, আল্লাহর কসম ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, তুমি বাড়ী যাও দেখ, কোন কিছু পাও কিনা।

সাহাবী বাড়ী গিয়ে আবার ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, আমি বাড়ীতে কোন কিছুই পাই নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দেখ, লোহার আংটি হলেও (পাও কিনা)। সাহাবী আবার গেল এবং ফিরে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, আমি লোহার একটি আংটিও পাই নি। তবে আমার এ লুঙ্গীটি আছে। (বর্ণনাকারী) সাহল (রাযিঃ) বলেন, তার চাঁদরও ছিল না এর অর্ধেক তার জন্য। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি তোমার লুঙ্গি দ্বারা কি করবে? তা যদি তুমি পর তাহলে স্ত্রীর জন্য সেটির কোন অংশ অবশিষ্ট থাকবে না। আর যদি সে তা পরিধান করে তাহলে (তোমার জন্য) সেটির কোন অংশ অবশিষ্ট থাকবে না।

এরপর সে ব্যক্তি অনেকক্ষণ বসার পর উঠে গেলা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ফিরে যেতে দেখে ডেকে পাঠালেন। যখন সে এল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কুরআনের কোন অংশ তোমার জানা আছে? উত্তরে সে বললঃ অমুক সূরা, অমুক সূরা আমার জানা আছে। এভাবে তিনি সূরাগুলোর সংখ্যা বলে দিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি এগুলো মুখস্ত পাঠ করতে পার? সাহাবী বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, যাও তোমাকে এসব সূরার কারণে এই মহিলাকে তোমার অধিকারে দিয়ে দিলাম। এ হল ইবনে আবু হাযিমের বর্ণনা। আর ইয়াকুবের বর্ণনা শব্দের দিকে দিয়ে এর কাছাকাছি।
كتاب النكاح
باب الصَّدَاقِ وَجَوَازِ كَوْنِهِ تَعْلِيمَ قُرْآنٍ وَخَاتَمَ حَدِيدٍ وَغَيْرَ ذَلِكَ مِنْ قَلِيلٍ وَكَثِيرٍ وَاسْتِحْبَابِ كَوْنِهِ خَمْسَمِائَةِ دِرْهَمٍ لِمَنْ لاَ يُجْحَفُ بِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، السَّاعِدِيِّ قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُ أَهَبُ لَكَ نَفْسِي . فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَعَّدَ النَّظَرَ فِيهَا وَصَوَّبَهُ ثُمَّ طَأْطَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ فَلَمَّا رَأَتِ الْمَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيهَا شَيْئًا جَلَسَتْ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ فَزَوِّجْنِيهَا . فَقَالَ " فَهَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَىْءٍ " . فَقَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " اذْهَبْ إِلَى أَهْلِكَ فَانْظُرْ هَلْ تَجِدُ شَيْئًا " . فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ فَقَالَ لاَ وَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ شَيْئًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْظُرْ وَلَوْ خَاتِمًا مِنْ حَدِيدٍ " . فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ . فَقَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ خَاتِمًا مِنْ حَدِيدٍ . وَلَكِنْ هَذَا إِزَارِي - قَالَ سَهْلٌ مَا لَهُ رِدَاءٌ - فَلَهَا نِصْفُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَصْنَعُ بِإِزَارِكَ إِنْ لَبِسْتَهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهَا مِنْهُ شَىْءٌ وَإِنْ لَبِسَتْهُ لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ مِنْهُ شَىْءٌ " . فَجَلَسَ الرَّجُلُ حَتَّى إِذَا طَالَ مَجْلِسُهُ قَامَ فَرَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُوَلِّيًا فَأَمَرَ بِهِ فَدُعِيَ فَلَمَّا جَاءَ قَالَ " مَاذَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ " . قَالَ مَعِي سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا - عَدَّدَهَا . فَقَالَ " تَقْرَؤُهُنَّ عَنْ ظَهْرِ قَلْبِكَ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " اذْهَبْ فَقَدْ مَلَّكْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ " . هَذَا حَدِيثُ ابْنِ أَبِي حَازِمٍ وَحَدِيثُ يَعْقُوبَ يُقَارِبُهُ فِي اللَّفْظِ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)