আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-১১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) মক্কায় (ভাষণ দিতে) দাঁড়িয়ে বললেন, কিছু লোক এমন আছে আল্লাহ যেমন তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন তেমনি অন্তরকেও অন্ধ করে দিয়েছেন। তারা মুতআর পক্ষে ফাতওয়া দেয়। একথা বলে তিনি এক ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করলেন। সে ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)। তিনি তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন, তুমি একটি অসভ্য ও রুঢ় ব্যক্তি। আমার জীবনের শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে মুত’আ প্রচলিত ছিল। ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তাকে বললেন, আপনি নিজে একবার করে দেখুন। আল্লাহর শপথ! আপনি যদি তা (মুতআ) করেন তাহলে আপনার জন্য নির্ধারিত পাথর দিয়েই আপনাকে রজম (পাথর নিক্ষেপে হত্যা) করব।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, খালিদ ইবনুল মুহাজির ইবনে সায়ফুল্লাহ (রাহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি এক ব্যক্তির নিকট বসাছিলেন। এই সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে মুত’আ সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করে। তিনি তাকে মুতআর অনুমতি দিলেন। ইবনে আবু উমরা আনসারী (রাযিঃ) তাকে বললেন, থামুন। সে বলল, কেন? আল্লাহর শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে তা করা হত। ইবনে আবু উমরা (রাযিঃ) বললেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নিরূপায় অবস্থায় তার অনুমতি ছিল (যেমন নিরূপায় অবস্থায়) মৃত জীব, রক্ত ও শুকরের (গোশত ভক্ষণের) ন্যায়। অতঃপর আল্লাহ তার দ্বীনকে শক্তিশালী এবং সুদৃড় করলেন এবং তা নিষিদ্ধ করলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাবী ইবনে সাবরা জুহানী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁর পিতা বলেছেন, নবী (ﷺ) এর যুগে আমি দুটি লাল চাঁদরের বিনিময়ে আমির গোত্রের একটি স্ত্রীলোকের সাথে মুত’আ করেছিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আ করতে নিষেধ করেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) আরও বলেন, আমি রাবী ইবনে সাবরাকে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর নিকট তা বর্ণনা করতে শুনেছি, আমি তখন (সেখানে) বসা ছিলাম।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, খালিদ ইবনুল মুহাজির ইবনে সায়ফুল্লাহ (রাহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি এক ব্যক্তির নিকট বসাছিলেন। এই সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে মুত’আ সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করে। তিনি তাকে মুতআর অনুমতি দিলেন। ইবনে আবু উমরা আনসারী (রাযিঃ) তাকে বললেন, থামুন। সে বলল, কেন? আল্লাহর শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে তা করা হত। ইবনে আবু উমরা (রাযিঃ) বললেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নিরূপায় অবস্থায় তার অনুমতি ছিল (যেমন নিরূপায় অবস্থায়) মৃত জীব, রক্ত ও শুকরের (গোশত ভক্ষণের) ন্যায়। অতঃপর আল্লাহ তার দ্বীনকে শক্তিশালী এবং সুদৃড় করলেন এবং তা নিষিদ্ধ করলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাবী ইবনে সাবরা জুহানী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁর পিতা বলেছেন, নবী (ﷺ) এর যুগে আমি দুটি লাল চাঁদরের বিনিময়ে আমির গোত্রের একটি স্ত্রীলোকের সাথে মুত’আ করেছিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আ করতে নিষেধ করেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) আরও বলেন, আমি রাবী ইবনে সাবরাকে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর নিকট তা বর্ণনা করতে শুনেছি, আমি তখন (সেখানে) বসা ছিলাম।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، قَامَ بِمَكَّةَ فَقَالَ إِنَّ نَاسًا - أَعْمَى اللَّهُ قُلُوبَهُمْ كَمَا أَعْمَى أَبْصَارَهُمْ - يُفْتُونَ بِالْمُتْعَةِ - يُعَرِّضُ بِرَجُلٍ - فَنَادَاهُ فَقَالَ إِنَّكَ لَجِلْفٌ جَافٍ فَلَعَمْرِي لَقَدْ كَانَتِ الْمُتْعَةُ تُفْعَلُ عَلَى عَهْدِ إِمَامِ الْمُتَّقِينَ - يُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَجَرِّبْ بِنَفْسِكَ فَوَاللَّهِ لَئِنْ فَعَلْتَهَا لأَرْجُمَنَّكَ بِأَحْجَارِكَ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي خَالِدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ بْنِ سَيْفِ اللَّهِ أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ جَالِسٌ عِنْدَ رَجُلٍ جَاءَهُ رَجُلٌ فَاسْتَفْتَاهُ فِي الْمُتْعَةِ فَأَمَرَهُ بِهَا فَقَالَ لَهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيُّ مَهْلاً . قَالَ مَا هِيَ وَاللَّهِ لَقَدْ فُعِلَتْ فِي عَهْدِ إِمَامِ الْمُتَّقِينَ . قَالَ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ إِنَّهَا كَانَتْ رُخْصَةً فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ لِمَنِ اضْطُرَّ إِلَيْهَا كَالْمَيْتَةِ وَالدَّمِ وَلَحْمِ الْخِنْزِيرِ ثُمَّ أَحْكَمَ اللَّهُ الدِّينَ وَنَهَى عَنْهَا . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي رَبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ أَنَّ أَبَاهُ قَالَ قَدْ كُنْتُ اسْتَمْتَعْتُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ بِبُرْدَيْنِ أَحْمَرَيْنِ ثُمَّ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُتْعَةِ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَسَمِعْتُ رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ يُحَدِّثُ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَنَا جَالِسٌ .