১. দৈহিক ও আর্থিক দিক থেকে সমর্থ ব্যক্তিদের বিবাহ করা মুস্তাহাব; আর্থিক অস্বচ্ছল ব্যক্তি রোযা রাখবে
৩২৭৬। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, উসমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ) কৌমার্যব্রত অবলম্বনের প্রস্তাব করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে (তা করতে) নিষেধ করে দেন। তিনি যদি তাঁকে অনুমতি দিতেন তবে অবশ্যই আমরা নিজেদের খোজা করে নিতাম।*
*নিকাহ' শব্দের অর্থ 'সহবাস’, ‘বিবাহ'। এখানে শব্দটি বিবাহ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। বিবাহ মানব জাতির একটি প্রাচীন সামাজিক প্রথা। বিবাহের মাধ্যমে একজন পুরুষ ও একজন মহিলার মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়- যা প্রচলিত প্রথা বা আইনের দ্বারা স্বীকৃত। তা উভয়পক্ষকে কতগুলো দায়িত্ব বহন ও কর্তব্য পালনে বাধ্য করে। নারী-পুরুষের বৈবাহিক সম্পর্ক মূলত মানাবীয় সমাজ-সংস্কৃতির ভিত্তি প্রস্তর। তাই দাম্পত্য বিধানের মৌলিক গুরুত্বের দিকে লক্ষ্য রেখে ইসলামে তা অত্যন্ত নির্ভুল বুনিয়াদের উপর রচনা করা হয়েছে। মুসলমানগণ দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের দ্বীনের মধ্যে একটি উত্তম পূর্ণাঙ্গ ও সুষ্ঠ বিধান লাভ করেছে।
ইসলামের দাম্পত্য বিধানের সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে চরিত্র ও নৈতিকতার হিফাযত। এজন্য কুরআন মজীদে নিকাহ শব্দকে 'ইহসান' শব্দের মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়েছে। “হিসন শব্দের অর্থ দূর্গ, আর 'ইহসান' শব্দের অর্থ দূর্গে আব্দ্ধ হওয়া। অতএব যে ব্যক্তি বিবাহ করে সে হচ্ছে মুহসিন, অর্থাৎ সে যেন একটি দূর্গ নির্মাণ করেছে। আর যে স্ত্রীলোককে বিবাহ করা হয় সে হচ্ছে মুহসিনা, অর্থাৎ বিয়ের আকারে তার নিজের এবং নিজ চরিত্রের হিফাযতের জন্য যে দূর্গ নির্মাণ করা হয়েছে তাতে আশ্রয়গ্রহণকারিণী। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ বৈরাগ্য জীবন পরিত্যাগ করে সাংসারিক জীবন যাপনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং যাদের বিবাহ করার মত সামর্থ্য নাই, তাদেরকে রোযা রাখার মাধ্যমে জৈবিক শক্তি দমন পূর্বক নিজ চরিত্রের হিফাযত করার উপদেশ দিয়েছেন। তা ছাড়া কেবল বিবাহের মাধ্যমেই বৈধ বংশধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব (অনুবাদক)