আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৫৫ - ১
৭৯. মক্কার হারাম হওয়া, হারামের অভ্যন্তরে শিকার করা এখানকার গাছপালা উপড়ানো ও ঘাস কাটা নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
৩১৭৫। যুহাইর ইবনে হারব ও উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... ওয়ালীদ থেকে, তিনি আওযায়ী থেকে, তিনি ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর থেকে, তিনি আবু সালামা থেকে তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা যখন তাঁর রাসুল (ﷺ) কে মক্কা বিজয় দান করলেন- তখন তিনি লোকদের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করলেন। অতঃপর বললেনঃ নিশ্চিত আল্লাহ তাআলা হস্তি বাহিনীর মক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করেছেন এবং তার রাসুল (ﷺ) ও মুমিনদেরকে মক্কা অতিযানে বিজয়ী করেছেন। আমার পূর্বে কারও জন্য এখানে রক্তপাত বৈধ ছিল না। আর আমার জন্যও একদিনের কিছু সময় এখানে যুদ্ধ করা হালাল করা হয়েছিল। আমার পরে আর কারও জন্য তা কখনও হালাল হবে না। অতএব এখানকার শিকারের পশ্চাদারণ করা যাবে না, একানকার কাঁটাদার গাছও উপড়ানো যাবে না এবং এখানকার পতিত জিনিস তোলা যাবে না। তবে ঘোষণা প্রদানকারী (তা তুলে নিতে পারবে)।
কারও কোন আত্মীয় নিহত হলে তার জন্য দুটি অবস্থার যে কোন একটি গ্রহণের অধিকার রয়েছেঃ হয় ফিদয়া (রক্তপণ) গ্রহণ করতে হবে নতুবা হত্যাকারীকে কিসাস স্বরূপ হত্যা করবে। আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিন্তু ইযখির ঘাস যা আমরা কবরে দিয়ে থাকি এবং আমাদের ঘরের চালায় ব্যবহার করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কিন্তু ইযখির ঘাস (এর কাটার অনুমতি দেওয়া হল)। ইয়ামানের অধিবাসী আবু শাহ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে (একথাগুলো) লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও। ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেন, আমি আওযাঈকে (রাহঃ) জিজ্ঞাসা করলামঃ ″হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন″--- তাঁর একথার অর্থ কি? তিনি বললেন, যে ভাষণ তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দিতে শুনলেন তা।
কারও কোন আত্মীয় নিহত হলে তার জন্য দুটি অবস্থার যে কোন একটি গ্রহণের অধিকার রয়েছেঃ হয় ফিদয়া (রক্তপণ) গ্রহণ করতে হবে নতুবা হত্যাকারীকে কিসাস স্বরূপ হত্যা করবে। আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কিন্তু ইযখির ঘাস যা আমরা কবরে দিয়ে থাকি এবং আমাদের ঘরের চালায় ব্যবহার করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কিন্তু ইযখির ঘাস (এর কাটার অনুমতি দেওয়া হল)। ইয়ামানের অধিবাসী আবু শাহ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে (একথাগুলো) লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও। ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেন, আমি আওযাঈকে (রাহঃ) জিজ্ঞাসা করলামঃ ″হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন″--- তাঁর একথার অর্থ কি? তিনি বললেন, যে ভাষণ তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দিতে শুনলেন তা।
باب تَحْرِيمِ مَكَّةَ وَصَيْدِهَا وَخَلاَهَا وَشَجَرِهَا وَلُقَطَتِهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ عَلَى الدَّوَام
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنِ الْوَلِيدِ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، - هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَامَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ وَإِنَّهَا لَنْ تَحِلَّ لأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي وَإِنَّهَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ وَإِنَّهَا لَنْ تَحِلَّ لأَحَدٍ بَعْدِي فَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا وَلاَ تَحِلُّ سَاقِطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُفْدَى وَإِمَّا أَنْ يُقْتَلَ " . فَقَالَ الْعَبَّاسُ إِلاَّ الإِذْخِرَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنَّا نَجْعَلُهُ فِي قُبُورِنَا وَبُيُوتِنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِلاَّ الإِذْخِرَ " . فَقَامَ أَبُو شَاهٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ فَقَالَ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ " . قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ مَا قَوْلُهُ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ هَذِهِ الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
