আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৪৭
৭৪. মুশরিকরা বায়তুল্লাহয় হজ্জ করবে না, কোন উলঙ্গ ব্যক্তি আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করবে না এবং হজ্জের মহান দিনের বর্ণনা
৩১৫৭। হারুন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের পূর্ববতী (বছরের) যে হজ্জে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) কে আমীর নিয়োগ করেছিলেন, সেই হজ্জের সময় তিনি (আবু বকর) আমাকে সহ একদল লোককে কুরবানীর দিন জনগণের মধ্যে নিন্নোক্ত ঘোষণা দেওয়ার জন্য পাঠালেনঃ “এ বছরের পর মুশরিকরা আর হজ্জ করতে পারবে না এবং উলঙ্গ অবস্থায় আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করবে না।”
ইবনে শিহাব বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর এই হাদীস অনুযায়ী হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান বলতেন- ″মহান হজ্জের দিন হচ্ছে এই কুরবানীর দিন। *″
*“ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার-“এর ব্যাখ্যায় মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। একদল বিশেষজ্ঞ আলিমের মতে এ বাক্যাংশ দ্বারা নবম হিজরীতে অনুষ্ঠিত হজ্জকে এবং অপর দলের মতে দশম হিজরীতে অনুষ্ঠিত বিদায় হজ্জকে বুঝানো হয়েছে। উল্লিখিত বাক্যাংশ দ্বারা মূলত নির্দিষ্ট হজ্জকে বুঝানো হয় নি, বরং হজ্জের দিনটিই যে একটি মহান দিবস, তাই বুঝানো হয়েছে। সহীহ্ হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে যে, বিদায় হজ্জকালে নবী ভাষণদান প্রসঙ্গে সমবেত জনতার নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলেন : আজ কোন দিন? তারা বলেছিল, আজ যবেহ্ করার দিন। তখন তিনি বলেছিলেন: “হাযা ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার” (এটা মহান হজ্জের দিন)। আরাফার দিবসটি মহান হজ্জের দিন বলে কথিত আছে। ইমাম মালিক, শাফিঈ ও জমহূরের মতে তা কুরবানীর দিন। অপর একদল আলিমের মতে “হজ্জে আকবার” বলে হজ্জকে উমরা থেকে পৃথক করা হয়েছে। কারণ ইসলাম পূর্ব যুগের আরবগণ উমরাকে ছোট হজ্জ এবং যিলহজ্জ মাসের নির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হজ্জকে বড় হজ্জ বলত। পক্ষান্তরে ইসলামে ছোট হজ্জ বা বড় হজ্জ বলতে কিছু নেই।
ইবনে শিহাব বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর এই হাদীস অনুযায়ী হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান বলতেন- ″মহান হজ্জের দিন হচ্ছে এই কুরবানীর দিন। *″
*“ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার-“এর ব্যাখ্যায় মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। একদল বিশেষজ্ঞ আলিমের মতে এ বাক্যাংশ দ্বারা নবম হিজরীতে অনুষ্ঠিত হজ্জকে এবং অপর দলের মতে দশম হিজরীতে অনুষ্ঠিত বিদায় হজ্জকে বুঝানো হয়েছে। উল্লিখিত বাক্যাংশ দ্বারা মূলত নির্দিষ্ট হজ্জকে বুঝানো হয় নি, বরং হজ্জের দিনটিই যে একটি মহান দিবস, তাই বুঝানো হয়েছে। সহীহ্ হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে যে, বিদায় হজ্জকালে নবী ভাষণদান প্রসঙ্গে সমবেত জনতার নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলেন : আজ কোন দিন? তারা বলেছিল, আজ যবেহ্ করার দিন। তখন তিনি বলেছিলেন: “হাযা ইয়াওমুল হাজ্জিল আকবার” (এটা মহান হজ্জের দিন)। আরাফার দিবসটি মহান হজ্জের দিন বলে কথিত আছে। ইমাম মালিক, শাফিঈ ও জমহূরের মতে তা কুরবানীর দিন। অপর একদল আলিমের মতে “হজ্জে আকবার” বলে হজ্জকে উমরা থেকে পৃথক করা হয়েছে। কারণ ইসলাম পূর্ব যুগের আরবগণ উমরাকে ছোট হজ্জ এবং যিলহজ্জ মাসের নির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হজ্জকে বড় হজ্জ বলত। পক্ষান্তরে ইসলামে ছোট হজ্জ বা বড় হজ্জ বলতে কিছু নেই।
باب لاَ يَحُجُّ الْبَيْتَ مُشْرِكٌ وَلاَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ وَبَيَانُ يَوْمِ الْحَجِّ الأَكْبَبَرِ
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح . وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَعَثَنِي أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي أَمَّرَهُ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي رَهْطٍ يُؤَذِّنُونَ فِي النَّاسِ يَوْمَ النَّحْرِ لاَ يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلاَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانَ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ يَوْمُ النَّحْرِ يَوْمُ الْحَجِّ الأَكْبَرِ . مِنْ أَجْلِ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ .
