আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩২১-১২
৬১. যে নিজে (মক্কায়) যেতে ইচ্ছা রাখে না, তার পক্ষে কুরবানীর পশু হারাম শরীফে পাঠানো ও গলায় মালা পরানো এবং মালা পাকানো মুস্তাহাব। আর এতে সে ইহরামকারী হয়ে যাবে না এবং এ কারণে তার উপর (ইহরামধারীদের মত) কোন কিছু হারাম হবে না
৩০৭৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আমরাহ বিনতে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে লিখেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ ″যে ব্যক্তি (মক্কার হবমে) কুরবানীর পশু পাঠায়, হাজীদের জন্য যা করা হারাম তার জন্যও তা করা হারাম যতক্ষণ না ঐ পশু কুরবানী করা হয়। আমি কুরবানীর পশু (হারামে) পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত আমাকে লিখে জানাবেন।″
আমরাহ বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) যেভাবে বলেছেন, ব্যাপারটি তা নয়। আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কুরবানীর পশুর (গলায় বাঁধার) জন্য মালা তৈরী করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ হাতে তা পশুর গলায় বেঁধেছেন, তারপর আমার পিতার মাধ্যমে তা (হারাম শরীফ) পাঠিয়েছেন। কিন্তু এর ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর এমন কোন জিনিস হারাম হয়নি- যা আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য হালাল করেছেন। অতঃপর পশু কুরবানী করা হয়েছে।
আমরাহ বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) যেভাবে বলেছেন, ব্যাপারটি তা নয়। আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কুরবানীর পশুর (গলায় বাঁধার) জন্য মালা তৈরী করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ হাতে তা পশুর গলায় বেঁধেছেন, তারপর আমার পিতার মাধ্যমে তা (হারাম শরীফ) পাঠিয়েছেন। কিন্তু এর ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর এমন কোন জিনিস হারাম হয়নি- যা আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য হালাল করেছেন। অতঃপর পশু কুরবানী করা হয়েছে।
باب اسْتِحْبَابِ بَعْثِ الْهَدْىِ إِلَى الْحَرَمِ لِمَنْ لاَ يُرِيدُ الذَّهَابَ بِنَفْسِهِ وَاسْتِحْبَابِ تَقْلِيدِهِ وَفَتْلِ الْقَلاَئِدِ وَأَنَّ بَاعِثَهُ لاَ يَصِيرُ مُحْرِمًا وَلاَ يَحْرُمُ عَلَيْهِ شيء بِذَلِكَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَمْرَةَ، بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ ابْنَ زِيَادٍ كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَنْ أَهْدَى هَدْيًا حَرُمَ عَلَيْهِ مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ حَتَّى يُنْحَرَ الْهَدْىُ وَقَدْ بَعَثْتُ بِهَدْيِي فَاكْتُبِي إِلَىَّ بِأَمْرِكِ . قَالَتْ عَمْرَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَا فَتَلْتُ قَلاَئِدَ هَدْىِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدَىَّ ثُمَّ قَلَّدَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَىْءٌ أَحَلَّهُ اللَّهُ لَهُ حَتَّى نُحِرَ الْهَدْىُ .
