আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৫১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৭৭-৩
৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৫১। আমরুন নাকিদ ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনা আয়িশা (রাযিঃ) কে বললাম, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে এতে আমি দোষের কিছু দেখি না এবং আমি নিজেও এতদুভয়ের মাঝে সাঈ বর্জন করায় কিছু মনে করি না। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, হে বোনপূত্র! তুমি যা বলেছ তা মন্দ বলেছ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সাফা-মারওয়ার মাঝে) তাওয়াফ (সাঈ) করেছেন এবং মুসলমানরাও তাওয়াফ করেছ। অতএব তা সুন্নত। যে সব লোক (জাহিলী যুগে) মেশাল্লাল এ অবস্থিত মানাত দেবীর নামে ইহরাম বাঁধত, তারা সাফা ও মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করত না। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমরা নবী (ﷺ) -এর নিকট এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তখন আল্লাহ তা,আলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেউ কাবা ঘরের হজ্জ কিংবা উমরা পালন করে, এ দুটির মধ্যে প্রদক্ষিণ করলে কোন পাপ নেই (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। তুমি যা বলেছ, ব্যাপারটি যদি তদ্রূপ হতো তবে বলা হতো, “এই দুটির মধ্যে প্রদক্ষিণ না করলে তার কোন পাপ নেই।”
ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গটি আমি আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হারিস ইবনে হিশামের কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি তাতে বিস্মিত হলেন এবং বললেন, এর নামই জ্ঞান। তিনি আরও বললেন, জ্ঞানবান সমাজের অনেক লোককে বলতে শুনেছি- সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ বর্জনকারী আরবের অধিবাসীরা বলত এই দুই পাথরের মাঝে তাওয়াফ করা জাহিলী যুগের কাজ। আর আনসার সম্প্রদায়ের লোকেরা বলত, আমাদেরকে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম।” আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান বলেন, আমিও মনে করি যে, উল্লেখিত সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে।
ইমাম যুহরী (রাহঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গটি আমি আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হারিস ইবনে হিশামের কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি তাতে বিস্মিত হলেন এবং বললেন, এর নামই জ্ঞান। তিনি আরও বললেন, জ্ঞানবান সমাজের অনেক লোককে বলতে শুনেছি- সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ বর্জনকারী আরবের অধিবাসীরা বলত এই দুই পাথরের মাঝে তাওয়াফ করা জাহিলী যুগের কাজ। আর আনসার সম্প্রদায়ের লোকেরা বলত, আমাদেরকে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম।” আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান বলেন, আমিও মনে করি যে, উল্লেখিত সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে।
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، - قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطُوفَ بَيْنَهُمَا . قَالَتْ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ فَكَانَتْ سُنَّةً وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ سَأَلْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ . وَقَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمُ . وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ . وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) . قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ .
