আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২- ইলমের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০০
আন্তর্জাতিক নং: ১০০
৭৬। কিভাবে ইলম তুলে নেয়া হবে।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) মদীনায় আবু বকর ইবনে হাযম (রাহঃ)-এর কাছে এক পত্রে লিখেনঃ খোঁজ কর, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যে হাদীস পাও তা লিখে নাও। আমি ইলম লোপ পাওয়ার এবং আলিমদের বিদায় নেয়ার আশঙ্কা করছি এবং জেনে রাখ, নবী করীম (ﷺ)-এর হাদীস ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করা হবে না এবং প্রত্যেকের উচিৎ ইলমের প্রচার-প্রসার করা, আর তারা যেন একত্রে বসে (ইলমের চর্চা করে,) যাতে যে জানে না সে শিক্ষা লাভ করতে পারে। কারণ ইলম গোপনীয় বিষয় না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত হবে না।
আলা ইবনে আব্দুল জব্বার (রাহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর উপরোক্ত হাদীসে আলিমগণের বিদায় নেয়া’ পর্যন্ত বর্ণিত আছে।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) মদীনায় আবু বকর ইবনে হাযম (রাহঃ)-এর কাছে এক পত্রে লিখেনঃ খোঁজ কর, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যে হাদীস পাও তা লিখে নাও। আমি ইলম লোপ পাওয়ার এবং আলিমদের বিদায় নেয়ার আশঙ্কা করছি এবং জেনে রাখ, নবী করীম (ﷺ)-এর হাদীস ছাড়া আর কিছুই গ্রহণ করা হবে না এবং প্রত্যেকের উচিৎ ইলমের প্রচার-প্রসার করা, আর তারা যেন একত্রে বসে (ইলমের চর্চা করে,) যাতে যে জানে না সে শিক্ষা লাভ করতে পারে। কারণ ইলম গোপনীয় বিষয় না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত হবে না।
আলা ইবনে আব্দুল জব্বার (রাহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর উপরোক্ত হাদীসে আলিমগণের বিদায় নেয়া’ পর্যন্ত বর্ণিত আছে।
১০০। ইসমাঈল ইবনে আবু উওয়ায়স (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ্ তাআলা বান্দার অন্তর থেকে ইলম বের করে উঠিয়ে নেবেন না; বরং আলিমদের উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই ইলম উঠিয়ে নেবেন। যখন কোন আলিম বাকী থাকবে না তখন লোকেরা জাহিলদেরই নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তাদের মাসআলা জিজ্ঞাসা করা হবে, তারা না জেনেই ফতোয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও গোমরাহ হবে, আর অপরকেও গোমরাহ করবে।
ফিরাবরী (রাহঃ) বলেন, আব্বাস (রাহঃ) ......... হিশাম সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ফিরাবরী (রাহঃ) বলেন, আব্বাস (রাহঃ) ......... হিশাম সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب كَيْفَ يُقْبَضُ الْعِلْمُ وَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ انْظُرْ مَا كَانَ مِنْ حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاكْتُبْهُ، فَإِنِّي خِفْتُ دُرُوسَ الْعِلْمِ وَذَهَابَ الْعُلَمَاءِ، وَلاَ تَقْبَلْ إِلاَّ حَدِيثَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلْتُفْشُوا الْعِلْمَ، وَلْتَجْلِسُوا حَتَّى يُعَلَّمَ مَنْ لاَ يَعْلَمُ، فَإِنَّ الْعِلْمَ لاَ يَهْلِكُ حَتَّى يَكُونَ سِرًّا.
حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ بِذَلِكَ، يَعْنِي حَدِيثَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى قَوْلِهِ ذَهَابَ الْعُلَمَاءِ.
حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ بِذَلِكَ، يَعْنِي حَدِيثَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى قَوْلِهِ ذَهَابَ الْعُلَمَاءِ.
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا، يَنْتَزِعُهُ مِنَ الْعِبَادِ، وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ، حَتَّى إِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِمًا، اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا، فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ، فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ". قَالَ الْفِرَبْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ قَالَ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ هِشَامٍ نَحْوَهُ.
