শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২৩. অছিয়াত ও উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৪৬২
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৬২। ইউনুস (রাহঃ) …… আতা ইবন ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আনসারদের একব্যক্তি একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর খিদমতে হাযির হয়ে বললো, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ)! এক ব্যক্তি তার খালা ও ফুফু রেখে মারা গেছে। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে তাদের মীরাস সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। তিনি ছিলেন একটি গাধার উপর আরোহী । তিনি থেমে গেলেন, অতঃপর দু'হাত উত্তোলন করে দু'আ করলেন “হে আল্লাহ্! একটি লোক মারা গেছে, তার খালা ও ফুফু রেখে। এভাবে লোকটি তিনবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করে এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-ও তিনবার এরূপভাবে দু'আ করেন । এরপর বলেন, তাদের জন্যে কোন মীরাস নেই।
بَابُ مَوَارِيثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ
7462 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , رَجُلٌ هَلَكَ , وَتَرَكَ عَمَّتَهُ وَخَالَتَهُ. فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى حِمَارِهِ , فَوَقَفَ , ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ , وَقَالَ: «اللهُمَّ رَجُلٌ هَلَكَ وَتَرَكَ عَمَّتَهُ وَخَالَتَهُ» , فَيَسْأَلُهُ الرَّجُلُ , وَيَفْعَلُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ , ثُمَّ قَالَ: «لَا شَيْءَ لَهُمَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৬৩
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৬৩। বাহর ইব্ন নসর (রাহঃ)..... যায়দ ইব্ন আসলাম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন একদিন আনসারদের একটি জানাযায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে শরীক হতে বলা হল তিনি শরীক হয়ে উপস্থিত লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, মৃত ব্যক্তি কি কিছু রেখে গেছে? তারা বললো, সে তার এক খালা ও এক ফুফু রেখে গেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন, গাধাটিকে থামাও। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, হে আল্লাহ্! একব্যক্তি তার খালা ও ফুফুকে রেখে মারা গেছে। এ দু'আর প্রতিউত্তরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে এ সম্পর্কে কিছু অবতীর্ণ হলো না । তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তাদের এ দু'জনের জন্যে আমি মীরাসের কোন সংবাদ পাইনি ।
7463 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، وَهِشَامُ بْنُ سَعْدٍ , وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُعِيَ إِلَى جِنَازَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ , حَتَّى إِذَا جَاءَهَا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا تَرَكَ؟» قَالُوا: تَرَكَ عَمَّتَهُ وَخَالَتَهُ. [ص:396] ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَالَ: «قِفُوا الْحِمَارَ» فَوَقَّفُوا الْحِمَارَ فَقَالَ: «اللهُمَّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّتَهُ وَخَالَتَهُ» فَلَمْ يَنْزِلْ عَلَيْهِ شَيْءٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا أَجِدُ لَهُمَا شَيْئًا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৫
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৬৪-৬৫। আলী ইব্ন শায়বা…… আতা ইব্ন ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন মদীনার উঁচু ভূমির এক বাসিন্দা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ)! খালা ও ফুফুকে রেখে মারা গেছে। রাসূলুল্লাহ্ হতে কোন উত্তর না পাওয়ায় লোকটি চলে যেতে উদ্যত হলো, যাতে সে গিয়ে তার (মৃত ব্যক্তির) মীরাস বণ্টন করতে পারে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি গাধায় আমার আরোহণ করে তার সাথে রওয়ানা হলেন । রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! একটি লোক তার খালা ও ফুফুকে রেখে মারা গেছে। অতঃপর কিছু পথ অতিক্রম করে বললেন, হে আমার প্রতিপালক! একটি লোক তার খালা ও ফুফুকে রেখে মারা গেছে। অতঃপর কিছু পথ অতিক্রম করে বললেন, হে আমার প্রতিপালক! একটি লোক মারা যায় এবং তার খালা ও ফুফুকে রেখে যায়। অতঃপর কিছু পথ অতিক্রম করেন এবং বলেন হে আমার প্রতিপালক! একটি লোক মারা যায় এবং তার খালাও ফুফুকে রেখে যায়। অতঃপর বলেন, আমার প্রতি কোন কিছু অবতীর্ণ হয়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি না। তাই তাদের জন্যে কোন মীরাস নেই।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় ও আত্মীয় রেখে যায়, যিনি আসাবা নন, আর তাকে ব্যতীত মৃত ব্যক্তি অন্য কোন আসাবা রেখেও যাননি, তিনি তার সম্পত্তি থেকে কোন কিছুর মালিক হবেন না। এ সম্পর্কে তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করে বলেন আত্মীয় যদি আসাবা না হয়, তাহলে মৃত ব্যক্তি ও তার মধ্যে বিরাজমান আত্মীয়তার জন্যে উত্তরাধিকার হবে যেমন সে উত্তরাধিকার হয় নীচে নেমে আসা আত্মীয়তার জন্যে। সুতরাং ফুফুর জন্যে হবে দুই-তৃতীয়াংশ এবং খালার জন্যে হবে এক-তৃতীয়াংশ, কেননা খালা মায়ের সম্পর্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
এ সম্পর্কে তাদের পক্ষে দলীল হল এই যে, এ হাদীসটির দ্বারা তাদের প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দলীল পেশ করেছে। এ হাদীসটি মুনকাতি বা বিচ্ছিন্ন। তাদের প্রতিপক্ষের মাযহাব অনুসারে তারা মুনকাতি হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না। তাহলে তারা তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এরূপ মুনকাতি হাদীস দ্বারা কেমন করে দলীল। পেশ করতে পারবেন? যদি তারা এটার দ্বারা প্রতিপক্ষের বিরূদ্ধে দলীল পেশ করেন, তাহলে এটা সমীচীন হবে না। অতঃপর যদি এ হাদীসটি শুদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়, তবুও আত্মীয়-স্বজনের মীরাস প্রতিরোধ করার জন্য এটা আমাদের কাছে দলীল হিসেবে গণ্য নয় । কেননা কোন কোন সময় তাদের জন্য কোন অংশ হয় না অর্থাৎ তাদের জন্যে নির্ধারিত কোন অংশ হয় না যেমন তাদের ব্যতীত অন্যান্য নারীদের জন্যে কোন কোন সময়ে কোন নির্ধারিত অংশ হয় না, অথচ তারা উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে। যেমন কন্যা, বোন ও দাদীগণ। আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন এ অর্থে তাদের জন্যে সম্পত্তির অংশ নেই। আর তাদের জন্য কোন কিছু নেই-এর দ্বারা তাদের জন্যে কোন মীরাস নেই' এ অর্থও হতে পারে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর ঐ সময় পর্যন্ত কিছুই অবতীর্ণ হয়নি। যখন আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনوَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ “এবং আত্মীয়গণ আল্লাহর বিধানে একে অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার" (সূরা ৮ ৭৫) তখন তাদের জন্যে মীরাস নির্ধারিত হয়।
এ ধরনের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ থেকেও বর্ণনা পাওয়া যায় :
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় ও আত্মীয় রেখে যায়, যিনি আসাবা নন, আর তাকে ব্যতীত মৃত ব্যক্তি অন্য কোন আসাবা রেখেও যাননি, তিনি তার সম্পত্তি থেকে কোন কিছুর মালিক হবেন না। এ সম্পর্কে তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করে বলেন আত্মীয় যদি আসাবা না হয়, তাহলে মৃত ব্যক্তি ও তার মধ্যে বিরাজমান আত্মীয়তার জন্যে উত্তরাধিকার হবে যেমন সে উত্তরাধিকার হয় নীচে নেমে আসা আত্মীয়তার জন্যে। সুতরাং ফুফুর জন্যে হবে দুই-তৃতীয়াংশ এবং খালার জন্যে হবে এক-তৃতীয়াংশ, কেননা খালা মায়ের সম্পর্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
এ সম্পর্কে তাদের পক্ষে দলীল হল এই যে, এ হাদীসটির দ্বারা তাদের প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দলীল পেশ করেছে। এ হাদীসটি মুনকাতি বা বিচ্ছিন্ন। তাদের প্রতিপক্ষের মাযহাব অনুসারে তারা মুনকাতি হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না। তাহলে তারা তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এরূপ মুনকাতি হাদীস দ্বারা কেমন করে দলীল। পেশ করতে পারবেন? যদি তারা এটার দ্বারা প্রতিপক্ষের বিরূদ্ধে দলীল পেশ করেন, তাহলে এটা সমীচীন হবে না। অতঃপর যদি এ হাদীসটি শুদ্ধ বলে প্রমাণিত হয়, তবুও আত্মীয়-স্বজনের মীরাস প্রতিরোধ করার জন্য এটা আমাদের কাছে দলীল হিসেবে গণ্য নয় । কেননা কোন কোন সময় তাদের জন্য কোন অংশ হয় না অর্থাৎ তাদের জন্যে নির্ধারিত কোন অংশ হয় না যেমন তাদের ব্যতীত অন্যান্য নারীদের জন্যে কোন কোন সময়ে কোন নির্ধারিত অংশ হয় না, অথচ তারা উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে। যেমন কন্যা, বোন ও দাদীগণ। আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন এ অর্থে তাদের জন্যে সম্পত্তির অংশ নেই। আর তাদের জন্য কোন কিছু নেই-এর দ্বারা তাদের জন্যে কোন মীরাস নেই' এ অর্থও হতে পারে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উপর ঐ সময় পর্যন্ত কিছুই অবতীর্ণ হয়নি। যখন আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনوَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ “এবং আত্মীয়গণ আল্লাহর বিধানে একে অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার" (সূরা ৮ ৭৫) তখন তাদের জন্যে মীরাস নির্ধারিত হয়।
এ ধরনের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ থেকেও বর্ণনা পাওয়া যায় :
65 - 7464 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أنا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ،
وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمُحَبَّرِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعَالِيَةِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ رَجُلًا هَلَكَ , وَتَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً , فَانْطَلِقْ فَقَسِّمْ مِيرَاثَهُ. فَتَبِعَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حِمَارٍ فَقَالَ: «يَا رَبِّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً» ثُمَّ سَارَ هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالَ «يَا رَبِّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً» ثُمَّ سَارَ هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالَ: «يَا رَبِّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً» ثُمَّ قَالَ: «لَا أَرَى يَنْزِلُ عَلِيَّ شَيْءٌ , لَا شَيْءَ لَهُمَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَاتَ وَتَرَكَ ذَا رَحِمٍ , لَيْسَ بِعَصَبَةٍ , وَلَمْ يَتْرُكْ عَصَبَةً غَيْرَهُ , أَنَّهُ لَا يَرِثُ مِنْ مَالِهِ شَيْئًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: يَرِثُ ذُو الرَّحِمِ إِذَا لَمْ يَكُنْ عَصَبَةً بِالرَّحِمِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَيِّتِ , كَمَا يُورَثُ بِالرَّحِمِ الَّذِي يُدْلِي , فَيَكُونُ لِلْعَمَّةِ الثُّلُثَانِ , وَلِلْخَالَةِ الثُّلُثُ ; لِأَنَّهَا تُدْلِي بِرَحِمِ الْأُمِّ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ الَّذِي يَحْتَجُّ بِهِ عَلَيْهِمْ مُخَالِفُهُمْ , حَدِيثٌ مُنْقَطِعٌ , وَمِنْ مَذْهَبِ هَذَا الْمُخَالِفِ لَهُمْ , أَنْ لَا يَحْتَجَّ بِمُنْقَطِعٍ. فَكَيْفَ يَحْتَجُّ عَلَيْهِمْ بِمَا لَوِ احْتَجُّوا بِهِ عَلَيْهِمْ , لَمْ يُسَوِّغُوهُمْ إِيَّاهُ. ثُمَّ لَوْ ثَبَتَ هَذَا الْحَدِيثُ , لَمْ يَكُنْ فِيهِ أَيْضًا , عِنْدَنَا حُجَّةٌ فِي دَفْعِ مَوَارِيثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ , ; لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ , لَا شَيْءَ لَهُمَا , أَيْ لَا فَرْضَ لَهُمَا مُسَمًّى , كَمَا لِغَيْرِهِمَا مِنَ النِّسْوَةِ اللَّاتِي يَرِثْنَ , كَالْبَنَاتِ , وَالْأَخَوَاتِ وَالْجَدَّاتِ , فَلَمْ يَنْزِلْ عَلَيْهِ شَيْءٌ , فَقَالَ لَا شَيْءَ لَهُمَا عَلَى هَذَا الْمَعْنَى. وَيُحْتَمَلُ أَيْضًا , لَا شَيْءَ لَهُمَا , لَا مِيرَاثَ لَهُمَا أَصْلًا ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَزَلَ عَلَيْهِ حِينَئِذٍ {وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] . فَلَمَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِ جَعَلَ لَهُمَا الْمِيرَاثَ. فَإِنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ فِي مِثْلِ هَذَا أَيْضًا
وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمُحَبَّرِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعَالِيَةِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّ رَجُلًا هَلَكَ , وَتَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً , فَانْطَلِقْ فَقَسِّمْ مِيرَاثَهُ. فَتَبِعَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حِمَارٍ فَقَالَ: «يَا رَبِّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً» ثُمَّ سَارَ هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالَ «يَا رَبِّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً» ثُمَّ سَارَ هُنَيْهَةً ثُمَّ قَالَ: «يَا رَبِّ رَجُلٌ تَرَكَ عَمَّةً وَخَالَةً» ثُمَّ قَالَ: «لَا أَرَى يَنْزِلُ عَلِيَّ شَيْءٌ , لَا شَيْءَ لَهُمَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَاتَ وَتَرَكَ ذَا رَحِمٍ , لَيْسَ بِعَصَبَةٍ , وَلَمْ يَتْرُكْ عَصَبَةً غَيْرَهُ , أَنَّهُ لَا يَرِثُ مِنْ مَالِهِ شَيْئًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: يَرِثُ ذُو الرَّحِمِ إِذَا لَمْ يَكُنْ عَصَبَةً بِالرَّحِمِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَيِّتِ , كَمَا يُورَثُ بِالرَّحِمِ الَّذِي يُدْلِي , فَيَكُونُ لِلْعَمَّةِ الثُّلُثَانِ , وَلِلْخَالَةِ الثُّلُثُ ; لِأَنَّهَا تُدْلِي بِرَحِمِ الْأُمِّ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ الَّذِي يَحْتَجُّ بِهِ عَلَيْهِمْ مُخَالِفُهُمْ , حَدِيثٌ مُنْقَطِعٌ , وَمِنْ مَذْهَبِ هَذَا الْمُخَالِفِ لَهُمْ , أَنْ لَا يَحْتَجَّ بِمُنْقَطِعٍ. فَكَيْفَ يَحْتَجُّ عَلَيْهِمْ بِمَا لَوِ احْتَجُّوا بِهِ عَلَيْهِمْ , لَمْ يُسَوِّغُوهُمْ إِيَّاهُ. ثُمَّ لَوْ ثَبَتَ هَذَا الْحَدِيثُ , لَمْ يَكُنْ فِيهِ أَيْضًا , عِنْدَنَا حُجَّةٌ فِي دَفْعِ مَوَارِيثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ , ; لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ , لَا شَيْءَ لَهُمَا , أَيْ لَا فَرْضَ لَهُمَا مُسَمًّى , كَمَا لِغَيْرِهِمَا مِنَ النِّسْوَةِ اللَّاتِي يَرِثْنَ , كَالْبَنَاتِ , وَالْأَخَوَاتِ وَالْجَدَّاتِ , فَلَمْ يَنْزِلْ عَلَيْهِ شَيْءٌ , فَقَالَ لَا شَيْءَ لَهُمَا عَلَى هَذَا الْمَعْنَى. وَيُحْتَمَلُ أَيْضًا , لَا شَيْءَ لَهُمَا , لَا مِيرَاثَ لَهُمَا أَصْلًا ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَزَلَ عَلَيْهِ حِينَئِذٍ {وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] . فَلَمَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِ جَعَلَ لَهُمَا الْمِيرَاثَ. فَإِنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ فِي مِثْلِ هَذَا أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৬৫
empty
৭৪৬৫।
7465 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৬৬
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৬৬। ফাহদ (রাহঃ)...... ওয়াসি ইব্ন হিব্বান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, সাবিত ইবনুদ দাহদাহ (রাযিঃ) ইনতিকাল করেন । আর তিনি ছিলেন আমাদের কাছে আগন্তুক ও অপরিচিত। তার প্রকৃত পরিচয় সম্বন্ধে কারো জানা ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসিম ইব্ন আলী (রাযিঃ)-কে বললেন, তোমরা কি তার বংশ পরিচিতি সম্বন্ধে অবগত? তিনি বললেন না, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ) ! তখন তিনি আবু লুবাবা ইব্ন আব্দুল মুনযির ইব্ন উখতুহুকে ডাকলেন এবং তাকে তার মীরাস প্রদান করলেন ।
এখানে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু লুবাবা (রাযিঃ)-কে তার ও সাবিতের মাঝে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার দরুন সাবিত (রাযিঃ)-এর উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত করেন। এ হাদীস দ্বারা আত্মীয়দের মীরাস প্রমাণিত হয় এবং আতা ইবন ইয়াসার (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে ফুফু ও খালা সম্বন্ধে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে প্রার্থনা করার কারণে বুঝা যায় যে, তাদের মীরাসের ক্ষেত্রে তখনও কিছু অবতীর্ণ হয়নি। এ ব্যাপারে পূর্বে বর্ণনা রাখা হয়েছে। আমাদের উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ওয়াসি-এর বর্ণিত হাদীসটি আতা ইবন ইয়াসারের হাদীসের পরে বর্ণিত হয়েছে। তাই তা হচ্ছে পূর্বের হাদীসের হুকুম রহিতকারী। যদি কেউ বলেন যে, ওয়াসি বর্ণিত হাদীসটি তো মুনকাতি । উত্তরে তাকে বলা যায় যে, আতা ইবন ইয়াসার কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটিও মুনকাতি । সুতরাং তোমার প্রতিপক্ষের যে ব্যক্তির মতামতের সাথে তোমার মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ, সে তোমাকে মুনকাতি হাদীস গ্রহণের ব্যাপারে অধিক প্রলুব্ধ করেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ ধরনের বর্ণনা ধারাবাহিক সনদে বর্ণিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নিম্নবর্ণিত বর্ণনাগুলো উল্লেখযোগ্য :
এখানে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু লুবাবা (রাযিঃ)-কে তার ও সাবিতের মাঝে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার দরুন সাবিত (রাযিঃ)-এর উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত করেন। এ হাদীস দ্বারা আত্মীয়দের মীরাস প্রমাণিত হয় এবং আতা ইবন ইয়াসার (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে ফুফু ও খালা সম্বন্ধে আল্লাহ্ তা'আলার কাছে প্রার্থনা করার কারণে বুঝা যায় যে, তাদের মীরাসের ক্ষেত্রে তখনও কিছু অবতীর্ণ হয়নি। এ ব্যাপারে পূর্বে বর্ণনা রাখা হয়েছে। আমাদের উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ওয়াসি-এর বর্ণিত হাদীসটি আতা ইবন ইয়াসারের হাদীসের পরে বর্ণিত হয়েছে। তাই তা হচ্ছে পূর্বের হাদীসের হুকুম রহিতকারী। যদি কেউ বলেন যে, ওয়াসি বর্ণিত হাদীসটি তো মুনকাতি । উত্তরে তাকে বলা যায় যে, আতা ইবন ইয়াসার কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটিও মুনকাতি । সুতরাং তোমার প্রতিপক্ষের যে ব্যক্তির মতামতের সাথে তোমার মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ, সে তোমাকে মুনকাতি হাদীস গ্রহণের ব্যাপারে অধিক প্রলুব্ধ করেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে এ ধরনের বর্ণনা ধারাবাহিক সনদে বর্ণিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নিম্নবর্ণিত বর্ণনাগুলো উল্লেখযোগ্য :
7466 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ بُهْلُولٍ , قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ , عَنْ عَمِّهِ وَاسِعِ بْنِ حِبَّانَ , قَالَ: تُوُفِّيَ ثَابِتُ بْنُ الدَّحْدَاحِ , وَكَانَ أَتِيًّا , وَهُوَ الَّذِي لَيْسَ لَهُ أَصْلٌ يُعْرَفُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ: «هَلْ تَعْرِفُونَ لَهُ فِيكُمْ نَسَبًا؟» قَالَ: لَا , يَا رَسُولَ اللهِ. [ص:397] فَدَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ ابْنِ أَخِيهِ , فَأَعْطَاهُ مِيرَاثَهُ " فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ وَرَّثَ أَبَا لُبَابَةَ , مِنْ ثَابِتٍ , بِرَحِمِهِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ , مَوَارِيثُ ذَوِي الْأَرْحَامِ , وَدَلَّ سُؤَالُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى فِي حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنِ الْعَمَّةِ وَالْخَالَةِ: هَلْ لَهُمَا مِيرَاثٌ أَمْ لَا؟ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَزَلَ عَلَيْهِ شَيْءٌ فِيمَا تَقَدَّمَ فِي ذَلِكَ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا تَأَخُّرُ حَدِيثِ وَاسِعِ هَذَا , عَنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , فَكَانَ نَاسِخًا لَهُ. فَإِنْ قُلْتُمْ: إِنَّ حَدِيثَ وَاسِعٍ هَذَا مُنْقَطِعٌ. قِيلَ لَكُمْ: وَحَدِيثُ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , مُنْقَطِعٌ أَيْضًا , فَمَنْ جَعَلَكُمْ أَوْلَى بِثُبُوتِ الْمُنْقَطِعِ , فِيمَا يُوَافِقُكُمْ , مِنْ مُخَالِفِكُمْ , فِيمَا يُوَافِقُهُ؟ وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ هَذَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارٍ مُتَّصِلَةِ الْأَسَانِيدِ. مِنْهَا:

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৬৮
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৬৭-৬৮। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ও আবু বাকরা (রাহঃ)...... আবু উমামা ইব্ন সাহল ইব্ন হুনায়ফ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, একব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে তীর নিক্ষেপ করে হত্যা করে । তার মামা ব্যতীত তার অন্য কোন ওয়ারিস নেই । তখন এ সম্পর্কে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ (রাযিঃ) উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর কাছে পত্র লিখেন। উমর (রাযিঃ) জবাবে লিখেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যার কোন অনুগ্রহকারী নেই, তার অনুগ্রহকারী হলেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) । আর যার কোন ওয়ারিস নেই, তার ওয়ারিস হল, তার মামা ।
7467 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ , قَالَ: ثنا وَكِيعٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ ح
7468 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ حُنَيْفٍ , عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ , أَنَّ رَجُلًا رَمَى رَجُلًا بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ , وَلَيْسَ لَهُ وَارِثٌ إِلَّا خَالٌ. فَكَتَبَ فِي ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. فَكَتَبَ عُمَرُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللهُ وَرَسُولُهُ , مَوْلَى مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ , وَالْخَالُ وَارِثٌ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ»
7468 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ حُنَيْفٍ , عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ , أَنَّ رَجُلًا رَمَى رَجُلًا بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ , وَلَيْسَ لَهُ وَارِثٌ إِلَّا خَالٌ. فَكَتَبَ فِي ذَلِكَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. فَكَتَبَ عُمَرُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللهُ وَرَسُولُهُ , مَوْلَى مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ , وَالْخَالُ وَارِثٌ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭১
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৬৯-৭১। আবু উমাইয়া (রাহঃ).... আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যার কোন ওয়ারিস নেই, তার মামাই তার ওয়ারিস।
ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু আসিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তার সনদটি মারফূ' পর্যন্ত পৌঁছেনি ।
আবু ইয়াহইয়া আব্দুল্লাহ ইব্ন আহমদ ইবন যাকারিয়া ইব্ন আল-হারিস ইব্ন আবু মায়সারা আল-মক্কী (রাহঃ) ...... ইবন জুরায়জ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। আবু ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মারফু বলে আমি ধারণা করছি।
ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু আসিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তার সনদটি মারফূ' পর্যন্ত পৌঁছেনি ।
আবু ইয়াহইয়া আব্দুল্লাহ ইব্ন আহমদ ইবন যাকারিয়া ইব্ন আল-হারিস ইব্ন আবু মায়সারা আল-মক্কী (রাহঃ) ...... ইবন জুরায়জ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। আবু ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসটি মারফু বলে আমি ধারণা করছি।
7469 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْخَالُ وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ»
7470 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ
7471 - حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى بْنُ أَحْمَدَ بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي مَيْسَرَةَ الْمَكِّيُّ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو يَحْيَى: وَأَرَاهُ قَدْ رَفَعَهُ
7470 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَلَمْ يَرْفَعْهُ
7471 - حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى بْنُ أَحْمَدَ بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي مَيْسَرَةَ الْمَكِّيُّ، قَالَ: ثنا أَبِي، قَالَ: ثنا هِشَامُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو يَحْيَى: وَأَرَاهُ قَدْ رَفَعَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭০
empty
৭৪৭০।
7470 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭১
empty
৭৪৭১।
7471 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৭৫
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৭২-৭৫। ফাহদ (রাহঃ). ...... মিকদাম ইবন নাদী কারাব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি ঋণ রেখে মারা যায়, তার ঋণের বোঝা আমার উপর বর্তাবে। বর্ণনাকারী শুআয়ব (রাহঃ) বলেন, তার বর্ণনাকারী علي শব্দটির স্থলে অধিকাংশ সময়ে الي উল্লেখ করেছেন। আর যে ব্যক্তি সম্পদ ছেড়ে যাবে তা কিন্তু তার ওয়ারিসানের জন্যে। যার কোন ওয়ারিস নেই, আমি তার ওয়ারিস। তার পক্ষ থেকে আমি "খুনবাহা আদায় করব ও আমি তার উত্তরাধিকারী হব। যার কোন ওয়ারিস নেই তার মামা তার ওয়ারিস, সে তার পক্ষ থেকে রক্তপণ আদায় করবে এবং তার উত্তরাধিকারী হব।
ইব্ন আবু মাইসারাহ (রাহঃ)..... শুবা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)..... বুদায়ল (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন আমি তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হব এবং তাকে গোলামী থেকে মুক্তি দেব। যার কোন ওয়ারিস নেই, তার মামা তার ওয়ারিস। তিনি তাকে তার গোলামী থেকে মুক্তি দেবেন।
ইব্ন আবু মাইসারাহ (রাহঃ)...... হাম্মাদ ইবন যায়দ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইব্ন আবু মাইসারাহ (রাহঃ)..... শুবা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ)..... বুদায়ল (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন আমি তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হব এবং তাকে গোলামী থেকে মুক্তি দেব। যার কোন ওয়ারিস নেই, তার মামা তার ওয়ারিস। তিনি তাকে তার গোলামী থেকে মুক্তি দেবেন।
ইব্ন আবু মাইসারাহ (রাহঃ)...... হাম্মাদ ইবন যায়দ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
75- 7472 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، قَالَ: يَزِيدُ الْعُقَيْلِيُّ: أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْهَوْزَنِيِّ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِ يَكْرِبَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَرَكَ كَلًّا فَعَلَيَّ» . [ص:398] قَالَ شُعْبَةُ: رُبَّمَا قَالَ: قَالَ: «وَمَنْ تَرَكَ مَالًا , فَلِوَرَثَتِهِ , وَأَنَا وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ , أَعْقِلُ عَنْهُ وَأَرِثُهُ , وَالْخَالُ وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ , يَعْقِلُ عَنْهُ وَيَرِثُهُ»
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَيْسَرَةَ، قَالَ: ثنا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ بُدَيْلٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: " أَرِثُ مَالَهُ , وَأَفُكُّ عَانَهُ , وَالْخَالُ وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ , وَيَفُكُّ عَانَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَيْسَرَةَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَيْسَرَةَ، قَالَ: ثنا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ بُدَيْلٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: " أَرِثُ مَالَهُ , وَأَفُكُّ عَانَهُ , وَالْخَالُ وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ , وَيَفُكُّ عَانَهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَيْسَرَةَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৩
empty
৭৪৭৩।
7473 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৪
empty
৭৪৭৪।
7474 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৫
empty
৭৪৭৫।
7475 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৬
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৭৬। রাবী আল-মুয়াযযিন (রাহঃ).... মিকদাম ইবন মাদী কারার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যার কোন অনুগ্রহকারী নেই, তার অনুগ্রহকারী হলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ)। তিনি তার সম্পদের উত্তরাধিকারী হবেন, তাকে তিনি মুক্তি দেবেন। আবার যার কোন ওয়ারি নেই, তার মামাই তার ওয়ারিস হবেন এবং তাকে দায়মুক্ত করবেন।
উপরোক্ত হাদীসগুলো সনদ সহকারে ধারাবাহিকভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এসেছে। এগুলো ওয়াসি ইবন হিব্বান (রাহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের সাথে সামান্য পূর্ণ আর আতা ইবন ইয়াসার (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের বিপরীত। আর এগুলোকে মযবূত করেছে আল্লাহ তা'আলার বাণী:وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ এবং আল্লাহর বিধানে একে অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার। (সূরা আনফাল : ৭৫) আমাদের প্রতিপক্ষ আমাদেরকে বলে, এ আয়াতটি তোমাদের মাযহাবের জানো একটি দলীল নয়। কেননা জনসাধারণ পুত্র বানানোর মাধ্যমে একে অন্যের উত্তরাধিকারী হতো যেমন রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) যায়দ ইবন হারিসা (রাযিঃ)-কে পুত্র বানিয়েছিলেন। তাকে যায়দ ইবন মুহাম্মাদ বলা হতো। যিনি এরূপ করতেন তিনি পালক পুত্রকে নিজের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করতেন, সকল আত্মীয়কে উত্তরাধিকারী গণ্য করতেন না। আহলিয়াতের যুগে মানুষ পরস্পর কথার উপর চুক্তিপত্র করত যে, একে অন্যের ওয়ারিস হবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে রোধ করার জন্যে এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রতি মীরাসকে ধাবিত করার জন্যে অবতীর্ণ করেন:وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ এবং বলেন ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللهِ "তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের পিতৃ পরিচয়ে। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা অধিক ন্যায়সংগত।" এ সম্পর্কে তারা উল্লেখ করেন :
উপরোক্ত হাদীসগুলো সনদ সহকারে ধারাবাহিকভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এসেছে। এগুলো ওয়াসি ইবন হিব্বান (রাহঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের সাথে সামান্য পূর্ণ আর আতা ইবন ইয়াসার (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের বিপরীত। আর এগুলোকে মযবূত করেছে আল্লাহ তা'আলার বাণী:وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ এবং আল্লাহর বিধানে একে অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার। (সূরা আনফাল : ৭৫) আমাদের প্রতিপক্ষ আমাদেরকে বলে, এ আয়াতটি তোমাদের মাযহাবের জানো একটি দলীল নয়। কেননা জনসাধারণ পুত্র বানানোর মাধ্যমে একে অন্যের উত্তরাধিকারী হতো যেমন রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) যায়দ ইবন হারিসা (রাযিঃ)-কে পুত্র বানিয়েছিলেন। তাকে যায়দ ইবন মুহাম্মাদ বলা হতো। যিনি এরূপ করতেন তিনি পালক পুত্রকে নিজের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করতেন, সকল আত্মীয়কে উত্তরাধিকারী গণ্য করতেন না। আহলিয়াতের যুগে মানুষ পরস্পর কথার উপর চুক্তিপত্র করত যে, একে অন্যের ওয়ারিস হবে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এটাকে রোধ করার জন্যে এবং আত্মীয়-স্বজনের প্রতি মীরাসকে ধাবিত করার জন্যে অবতীর্ণ করেন:وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ এবং বলেন ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللهِ "তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের পিতৃ পরিচয়ে। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা অধিক ন্যায়সংগত।" এ সম্পর্কে তারা উল্লেখ করেন :
7476 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ الْمِقْدَامَ بْنَ مَعْدِ يَكْرِبَ، يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «اللهُ وَرَسُولُهُ مَوْلَى مَنْ لَا مَوْلَى لَهُ , يَرِثُ مَالَهُ , وَيَفُكُّ عَنْوَهُ , وَالْخَالُ وَارِثُ مَنْ لَا وَارِثَ لَهُ , يَرِثُ مَالَهُ وَيَفُكُّ عَنْوَهُ» فَهَذِهِ آثَارٌ مُتَّصِلَةٌ , قَدْ تَوَاتَرَتْ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا يُوَافِقُ مَا رَوَى الْوَاسِعُ بْنُ حِبَّانَ , وَيُخَالِفُ مَا رَوَى عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ. وَقَدْ شَذَّ ذَلِكَ كُلُّهُ وَبَيَّنَهُ قَوْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] . فَقَالَ الْمُخَالِفُ لَنَا: لَا دَلِيلَ لَكُمْ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , عَلَى مَا ذَهَبْتُمْ إِلَيْهِ مِنْ هَذَا ; لِأَنَّ النَّاسَ كَانُوا يَتَوَارَثُونَ بِالتَّبَنِّي , كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ , فَكَانَ مَنْ فَعَلَ هَذَا وَرِثَ الْمُتَبَنِّي مَالَهُ , دُونَ سَائِرِ أَرْحَامِهِ , وَكَانَ النَّاسُ يَتَعَاقَدُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى أَنَّ الرَّجُلَ يَرِثُ الرَّجُلَ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] دَفْعًا لِذَلِكَ , وَرَدًّا لِلْمَوَارِيثِ إِلَى ذَوِي الْأَرْحَامِ , وَقَالَ: {ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللهِ} [الأحزاب: 5] . وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৭
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৭৭। আলী ইবন যায়দ(রাহঃ).... ঈসা ইবনুল হারিস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার ভাই তর ইবনুল হারিসের ছিল একটি দাদী। সে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিল। সন্তানটি যৌবনে পদার্পণ করল। সে তাকে বিয়ে দিল এবং সে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিল। ইত্যবসরে দাদী মারা গেল, আর শুরায়হ ও পুত্র সন্তানটি বিবাদ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, শুরায়ই বলতে লাগলেন, আল্লাহর বিধানে তার কোন মীরাস নেই। কেননা সে হল কন্যার পুত্র। এরপর তিনি পুত্র সন্তানের জন্যে মীরাসের ফয়সালা দেন এবং দলীল হিসেবে পেশ করেন। وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ বর্ণনাকারী বলেন, মায়সারা ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) . আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ)-এর কাছে গমন করেন এবং শুরায়হ-এর ফয়সালা সম্বন্ধে তার কাছে বর্ণনা করেন। ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) তরায়হ-এর কাছে লিখেন যে, মায়সারা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, তুমি এরূপ এরূপ ফয়সালা করেছ এবং এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেছ- وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ
এ আয়াতটি জাহিলিয়াতের যুগের আসাবাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল। জাহিলিয়াতের যুগে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সাথে চুক্তি করে বলত, তুমি আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং আমি তোমার উত্তরাধিকারী হব। যখন উপরোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়, তখন এরূপ প্রথা বর্ণিত হয়। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর পত্রটি শুরায়হ এর কাছে পেশ করা হল। তিনি তা পড়ে বললেন, দাসীটিকে তো তার পেটের সন্তান মুক্ত করে দিল এবং তার ফয়সালা পুনর্বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন।
উপরোক্ত মতামতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে অন্যদের দলীল হল এই যে, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) তার বর্ণিত হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন যে, জাহিলিয়াতের যুগে জনসাধারণ চুক্তির মাধ্যমে উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত করত, বংশ ধারা হিসেবে নয়। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এ পদ্ধতিটিকে বর্জনার্থে অবতীর্ণ করেন : وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ
সুতরাং এ আয়াতে চুক্তির মাধ্যমে মীরাসকে প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তা বাদ দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের জন্যে মীরাসকে ওয়াজিব করা হয়। তবে এ আয়াতে আমাদের জন্যে বর্ণনা করা হয়নি যে, আত্মীয়রাই আসাবা কিংবা অন্যরাও আসাবা। সুতরাং সম্ভাবনা রয়েছে যে, এরা আসাবা হতে পারে। আবার সম্ভাবনা রয়েছে যে, এ হাস ব্যতীত মীরাসের বিস্তারিত বর্ণনায় আগত প্রতিটি আত্মীয়ই লক্ষ্যবস্তু। আমাদের উপরোল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে, এ হাদীসে কোন পক্ষেরই দলীল নেই, বরং এ হাদীসটি ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি দলীল যে দুই পক্ষের চুক্তির মাধ্যমে একে অন্যের জন্যে মীরাস সাব্যস্ত হবার অভিমত পোষণ করত। আর এটাই আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ)-এর হাদীসে মর্মার্থ। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধারা আত্মীয়দের মীরাসকে সমর্থন করেন। তাদের থেকে এ সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্য হতে আমাদের এ কিতাবে পূর্বে যা বর্ণিত হয়েছে, তার একটি হল হযরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ)-এর কাছে প্রেরিত হযরত উমর (রাযিঃ)-এর পত্র। আবু উবায়দা (রাযিঃ) তা প্রত্যাখ্যান করেননি। তাতে বুঝা গেল, এ সম্পর্কে একজনের মাযহাব অন্যজনের মাযহাবের ন্যায় ।
এ আয়াতটি জাহিলিয়াতের যুগের আসাবাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিল। জাহিলিয়াতের যুগে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সাথে চুক্তি করে বলত, তুমি আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং আমি তোমার উত্তরাধিকারী হব। যখন উপরোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়, তখন এরূপ প্রথা বর্ণিত হয়। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর পত্রটি শুরায়হ এর কাছে পেশ করা হল। তিনি তা পড়ে বললেন, দাসীটিকে তো তার পেটের সন্তান মুক্ত করে দিল এবং তার ফয়সালা পুনর্বিবেচনা করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন।
উপরোক্ত মতামতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে অন্যদের দলীল হল এই যে, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) তার বর্ণিত হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন যে, জাহিলিয়াতের যুগে জনসাধারণ চুক্তির মাধ্যমে উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত করত, বংশ ধারা হিসেবে নয়। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এ পদ্ধতিটিকে বর্জনার্থে অবতীর্ণ করেন : وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ
সুতরাং এ আয়াতে চুক্তির মাধ্যমে মীরাসকে প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তা বাদ দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের জন্যে মীরাসকে ওয়াজিব করা হয়। তবে এ আয়াতে আমাদের জন্যে বর্ণনা করা হয়নি যে, আত্মীয়রাই আসাবা কিংবা অন্যরাও আসাবা। সুতরাং সম্ভাবনা রয়েছে যে, এরা আসাবা হতে পারে। আবার সম্ভাবনা রয়েছে যে, এ হাস ব্যতীত মীরাসের বিস্তারিত বর্ণনায় আগত প্রতিটি আত্মীয়ই লক্ষ্যবস্তু। আমাদের উপরোল্লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে, এ হাদীসে কোন পক্ষেরই দলীল নেই, বরং এ হাদীসটি ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি দলীল যে দুই পক্ষের চুক্তির মাধ্যমে একে অন্যের জন্যে মীরাস সাব্যস্ত হবার অভিমত পোষণ করত। আর এটাই আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ)-এর হাদীসে মর্মার্থ। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধারা আত্মীয়দের মীরাসকে সমর্থন করেন। তাদের থেকে এ সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্য হতে আমাদের এ কিতাবে পূর্বে যা বর্ণিত হয়েছে, তার একটি হল হযরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ)-এর কাছে প্রেরিত হযরত উমর (রাযিঃ)-এর পত্র। আবু উবায়দা (রাযিঃ) তা প্রত্যাখ্যান করেননি। তাতে বুঝা গেল, এ সম্পর্কে একজনের মাযহাব অন্যজনের মাযহাবের ন্যায় ।
7477 - مَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ , عَنْ عِيسَى بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: كَانَ لِأَخِي شُرَيْحِ بْنِ الْحَارِثِ جَارِيَةٌ , فَوَلَدَتْ جَارِيَةً , فَشَبَّتْ فَزَوَّجَهَا , فَوَلَدَتْ غُلَامًا , وَمَاتَتِ الْجَدَّةُ. فَاخْتَصَمَ شُرَيْحٌ وَالْغُلَامُ إِلَى شُرَيْحٍ قَالَ: فَجَعَلَ شُرَيْحٌ يَقُولُ: لَيْسَ لَهُ مِيرَاثٌ فِي كِتَابِ اللهِ تَعَالَى , إِنَّمَا هُوَ ابْنُ بِنْتٍ , وَقَضَى لِلْغُلَامِ بِالْمِيرَاثِ , قَالَ: {وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] : قَالَ: فَرَكِبَ مَيْسَرَةُ بْنُ زَيْدٍ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ , فَحَدَّثَهُ بِالَّذِي قَضَى بِهِ شُرَيْحٌ. قَالَ: فَكَتَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِلَى شُرَيْحٍ " أَنَّ مَيْسَرَةَ حَدَّثَنِي أَنَّكَ قَضَيْتَ كَذَا , وَقُلْتَ عِنْدَ ذَلِكَ: {وَأُولُو الْأَرْحَامِ [ص:399] بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] تَعَالَى فَإِنَّمَا كَانَتْ تِلْكَ الْآيَاتُ فِي الْعَصَبَاتِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , وَكَانَ الرَّجُلُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ , يُعَاقِدُ الرَّجُلَ , فَيَقُولُ: تَرِثُنِي وَأَرِثُكَ فَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ , تَرَكَ ذَلِكَ ". قَالَ: فَقَدَّمَ الْكِتَابَ إِلَى شُرَيْحٍ فَقَرَأَهُ وَقَالَ: إِنَّمَا أَعْتَقَهَا حِيتَانُ بَطْنِهَا , وَأَبَى أَنْ يَرْجِعَ عَنْ قَضَائِهِ وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِلْآخَرِينَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ قَدْ أَخْبَرَ فِي حَدِيثِهِ هَذَا , أَنَّهُمْ كَانُوا يَتَوَارَثُونَ بِالتَّعَاقُدِ دُونَ الْأَنْسَابِ فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ , رَدًّا لِذَلِكَ {وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَى بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللهِ} [الأحزاب: 6] . فَكَانَ فِي هَذِهِ الْآيَةِ , دَفْعُ الْمِيرَاثِ بِالْعَاقِدَةِ , وَإِيجَابُهُ لِذَوِي الْأَرْحَامِ دُونَهُمْ. وَلَمْ يُبَيِّنْ لَنَا فِي هَذِهِ الْآيَةِ أَنَّ ذَوِي الْأَرْحَامِ , هُمُ الْعَصَبَةُ أَوْ غَيْرُهُمْ. فَقَدْ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونُوا هُمُ الْعَصَبَةُ , وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ كُلُّ ذِي رَحِمٍ , عَلَى مَا جَاءَ فِي تَفْصِيلِ الْمَوَارِيثِ , فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ. فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ , ثَبَتَ أَنْ لَا حُجَّةَ لِأَحَدِ الْفَرِيقَيْنِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَإِنَّمَا هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةٌ عَلَى ذَاهِبٍ , لَوْ ذَهَبَ إِلَى مِيرَاثِ الْمُتَعَاقِدَيْنِ , بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ , لَا غَيْرَ ذَلِكَ , فَهَذَا مَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ الزُّبَيْرِ. وَقَدْ ذَهَبَ أَهْلُ بَدْرٍ إِلَى مَوَارِيثِ ذَوِي الْأَرْحَامِ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ , مَا ذَكَرْنَاهُ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , عَنْ عُمَرَ فِي كِتَابِهِ إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجِرَاحِ. فَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو عُبَيْدَةَ ذَلِكَ عَلَيْهِ , فَدَلَّ أَنَّ مَذْهَبَهُ فِيهِ كَانَ كَمَذْهَبِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৮
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৭৮। আলী ইবন শায়াবা (রাহঃ)...... শাবী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন যিয়াদের কাছে উত্থাপন করা হয় যে, এক ব্যক্তি মারা যায় এবং তার ফুফু ও খালাকে রেখে যায়। তিনি বলেন, তোমরা কি জান এ সম্পর্কে উমর (রাযিঃ) কী ফয়সালা করেছিলেন। উপস্থিত লোকজন বলেন, 'না'। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি এ সম্পর্কে উমর (রাযিঃ)-এর ফয়সালা সম্বন্ধে সকলের চেয়ে বেশী অবগত রয়েছি। তিনি ফুফুকে ভাই হিসেবে এবং খালাকে বোন হিসেবে গণ্য করে ফুফুকে দুই-তৃতীয়াংশ এবং খালাকে এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করেন।
7478 - وَقَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أنا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدَ , عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: أَتَى زِيَادٌ فِي رَجُلٍ مَاتَ , وَتَرَكَ عَمَّتَهُ وَخَالَتَهُ , فَقَالَ: هَلْ تَدْرُونَ كَيْفَ قَضَى عُمَرُ فِيهَا؟ . قَالُوا: لَا. قَالَ: وَاللهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِقَضَاءِ عُمَرَ فِيهَا , جَعَلَ الْعَمَّةَ بِمَنْزِلَةِ الْأَخِ , وَالْخَالَةَ بِمَنْزِلَةِ الْأُخْتِ , فَأَعْطَى الْعَمَّةَ الثُّلُثَيْنِ , وَالْخَالَةَ الثُّلُثَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৭৯
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৭৯। আলী (রাহঃ) ..... হাসান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) ফুফুকে দুই-তৃতীয়াংশ এবং মালাকে এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করেন।
7479 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، قَالَ: أنا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَالْمُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ , عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُمَرَ، «أَنَّهُ جَعَلَ لِلْعَمَّةِ الثُّلُثَيْنِ , وَلِلْخَالَةِ الثُّلُثَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৮০
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৮০। আলী (রাহঃ).....মাসরুক (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর কাছে মায়ের পক্ষের ভাই ও মায়ের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। তিনি মায়ের পক্ষের ভাইদেরকে এক-তৃতীয়াংশ এবং বাকী সব সম্পত্তি মাতাকে প্রদান করেন এবং বলেন, যার আসাবা নেই, মা তার আসাবা। তিনি মায়ের সাথে মায়ের পক্ষের ভাইদের প্রতি রদ (পুনর্বণ্টন) করতেন না, কন্যার সাথে পুত্রের কন্যাদের প্রতি রদ করতেন না, পিতামাতার দিকের বোন বর্তমান থাকা অবস্থায় পিতার দিকে বোনদের প্রতি রদ করতেন না এবং স্ত্রী দাসী ও স্বামীর প্রতি রদ করতে না।
7480 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، قَالَ: أنا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: أَتَى عَبْدُ اللهِ فِي إِخْوَةٍ لِأُمٍّ , وَأُمٍّ , فَأَعْطَى الْإِخْوَةَ مِنَ الْأُمِّ الثُّلُثَ , وَأَعْطَى الْأُمَّ سَائِرَ الْمَالِ وَقَالَ: الْأُمُّ عَصَبَةُ مَنْ لَا عَصَبَةَ لَهُ وَكَانَ لَا يَرُدُّ عَلَى الْإِخْوَةِ لِأُمٍّ مَعَ الْأُمِّ , وَلَا عَلَى ابْنَةِ ابْنٍ , مَعَ ابْنَةِ الصُّلْبِ , وَلَا عَلَى أَخَوَاتٍ لِأَبٍ , مَعَ أُخْتٍ لِأَبٍ وَأُمٍّ , وَلَا عَلَى امْرَأَةٍ , وَلَا عَلَى جَدَّةٍ , وَلَا عَلَى زَوْجٍ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৮১
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৮১। আলী (রাহঃ) ....... মাসরূক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, খালা হলেন, মায়ের মর্যাদাসম্পন্ন।
7481 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ قَالَ: ثنا يَزِيدُ قَالَ: أنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ , عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: «الْخَالَةُ وَالِدَةٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৪৮৩
যাবিল আরহাম-এর মীরাস
৭৪৮২-৮৩। আলী (রাহঃ)....... জাবির ইবন যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হযরত উমর (রাযিঃ) ফুফুর জন্যে দুই-তৃতীয়াংশ এবং খালার জন্যে এক-তৃতীয়াংশ নির্দেশ দেন।
আলী (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি উমর (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
আলী (রাহঃ)...... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি উমর (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
7482 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، قَالَ: ثنا حَبِيبُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ هَرِمٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، «أَنَّ عُمَرَ، قَضَى لِلْعَمَّةِ الثُّلُثَيْنِ , وَلِلْخَالَةِ الثُّلُثَ»
7483 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عُمَرَ، مِثْلَهُ
7483 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ، قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عُمَرَ، مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান