শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৯. শিকার,জবাই ও কুরবানীর বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১৯৮
6198 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا حَسَنُ بْنُ صَالِحٍ , وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ قَالَا جَمِيعًا , عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ , عَنْ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ قَالَ: أَتَى رَجُلٌ عَلِيًّا فَسَأَلَهُ عَنِ الْمَكْسُورَةِ الْقَرْنِ فَقَالَ: «لَا يَضُرُّكَ» ، قَالَ: عَرْجَاءُ؟ قَالَ: " إِذَا بَلَغَتِ الْمَنْسِكَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ النَّهْيُ عَنِ الْأُضْحِيَّةِ بِمُقَابَلَةٍ , أَوْ مُدَابَرَةٍ , وَذَلِكَ فِي الْأُذُنِ , مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ قُبَالَةِ الْأُذُنِ , فَهُوَ مُقَابَلَةٌ , وَمَا كَانَ مِنْ أَسْفَلِهَا , فَهُوَ مُدَابَرَةٌ. وَبَيَّنَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ عَضْبَاءَ الْأُذُنِ الْمَنْهِيَّ عَنْ ذَبْحِهَا فِي الْأُضْحِيَّةِ فَقَالَ هِيَ الْمَقْطُوعَةُ نِصْفُ أُذُنِهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا نَهَى عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ فِي الْأُذُنِ , وَلَمْ يَجُزْ لَنَا تَرْكُهُ , لِأَنَّ حَدِيثَ الْبَرَاءِ الَّذِي ذَكَرْنَا , لَا يَخْلُو مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ: إِمَّا أَنْ يَكُونَ مُتَقَدِّمًا , عَلَى حَدِيثِ عَلِيٍّ هَذَا , فَيَكُونُ حَدِيثُ عَلِيٍّ هَذَا , زَائِدًا عَلَيْهِ أَوْ يَكُونُ مُتَأَخِّرًا عَنْهُ , فَيَكُونُ نَاسِخًا لَهُ. فَلَمَّا لَمْ يُعْلَمْ نَسْخُ حَدِيثِ عَلِيٍّ بَعْدَمَا قَدْ عَلِمْنَا ثُبُوتَهُ , جَعَلْنَاهُ ثَابِتًا مَعَ حَدِيثِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَأَوْجَبْنَا الْعَمَلَ بِهِمَا جَمِيعًا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتَ لَا تَكْرَهُ عَضْبَاءَ الْقَرْنِ , وَفِي حَدِيثِ جُرَيِّ بْنِ كُلَيْبٍ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّهْيُ عَنْهَا. قِيلَ لَهُ: إِنَّمَا تَرَكْنَا ذَلِكَ , لِأَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمْ يَرَ بِذَلِكَ بَأْسًا , فِيمَا قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ , فِي حَدِيثِ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ , فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمْ يَقُلْ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافَ مَا قَدْ سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا بَعْدَ ثُبُوتِ نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , رَوَيْنَاهُ عَنْهُ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيِّ , فَحَدِيثٌ فَاسِدٌ فِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ , قَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ شُعْبَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯৮
অধ্যায় : শিকারের পশু, যবেহকৃত ও কুরবানীর পশু প্রসঙ্গ
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬১৯৮। আবু মুসা ইউনুস ইব্ন আব্দুল আ'লা ...... বনু শায়বান গােত্র কর্তৃক আযাদ করা একজন গােলাম, উবায়দ ইবন ফীরায় হযরত বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার তিনি (উবায়দ ইবন ফীরূয) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ্ কুরবানীর কোন পশুকে অপসন্দ করেছেন? অথবা তিনি জিজ্ঞেস করেন, (রাবীর সন্দেহ) তিনি কোন পশু কুরবানী করতে নিষেধ করেছেন। অতঃপর জবাবে তিনি বললেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ আমাদের মাঝে দাঁড়ালেন, আমি দেখতে পেলাম, আমার হাত তার হাত অপেক্ষা খাটো। অতঃপর তিনি বললেন, কুরবানীর যে পশুর মধ্যে চারটি দোষের কোন একটি থাকে, সে পশু কুরবানীর জন্য যথেষ্ট হবে না : (১) অন্ধ পশু, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; (২) খোড়া পশু, যার খোড়া হওয়া স্পষ্ট; (৩) এমন কোন পশু যা কোন (মারাত্মক রােগে আক্রান্ত, যার সে রােগ স্পষ্ট এবং (৪) এমন দুর্বল পশু, যার হাড়ের মধ্যে মজ্জা নেই। হযরত বারা (রাযিঃ) বলেন, অনেক সময় এমন হয়েছে যে, আমি (কুরবানীর জন্য) একটি ছাগল দেখি।
সেটাকে প্রথমে বর্জন করেছিলাম, তাপ। এ ছাগলটির দিকে এগিয়ে আমি এবং ভালাে করে দেখে সেটি এt করি এবং কুরবানী করি। তখন আমি তাকে কারা (d)-কে বললাম, আমিতো কুরবানীর পশুর দাঁতে কোন দােয়া থাকা, কিংবা কানে কোন দোষ থাকা অথবা শিং এ কোন দোষ থাকা পসন্দ করি না। তখন তিনি বললেন, তডি যেটা পসন করবে না সেটা বাদ দাও, কিন্তু অন্যের জন্য তা হারাম বলো না। হাদীসটি সুনান গ্রন্থকারগণ তাদের গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
সেটাকে প্রথমে বর্জন করেছিলাম, তাপ। এ ছাগলটির দিকে এগিয়ে আমি এবং ভালাে করে দেখে সেটি এt করি এবং কুরবানী করি। তখন আমি তাকে কারা (d)-কে বললাম, আমিতো কুরবানীর পশুর দাঁতে কোন দােয়া থাকা, কিংবা কানে কোন দোষ থাকা অথবা শিং এ কোন দোষ থাকা পসন্দ করি না। তখন তিনি বললেন, তডি যেটা পসন করবে না সেটা বাদ দাও, কিন্তু অন্যের জন্য তা হারাম বলো না। হাদীসটি সুনান গ্রন্থকারগণ তাদের গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
كِتَابُ الصَّيْدِ وَالذَّبَائِحِ وَالْأَضَاحِيِّ
بَابُ الْعُيُوبِ الَّتِي لَا يَجُوزُ الْهَدَايَا وَالضَّحَايَا إِذَا كَانَتْ بِهَا
بَابُ الْعُيُوبِ الَّتِي لَا يَجُوزُ الْهَدَايَا وَالضَّحَايَا إِذَا كَانَتْ بِهَا
6198 - حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , وَابْنُ لَهِيعَةَ , وَاللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُمْ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ فَيْرُوزَ مَوْلَى بَنِي شَيْبَانَ , عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَأَلَهُ عَمَّا كَرِهَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَضَاحِيِّ , أَوْ مَا نَهَى عَنْهُ. فَقَالَ: قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَدِي أَقْصَرُ مِنْ يَدِهِ , فَقَالَ: «أَرْبَعٌ لَا يُجْزِئُ فِي الضَّحَايَا , الْعَوْرَاءُ الْبَيِّنُ عَوَرُهَا , وَالْعَرْجَاءُ الْبَيِّنُ عَرَجُهَا , وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا , وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تُنْقِي» . قَالَ الْبَرَاءُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنِّي لَأَرَى الشَّاةَ وَقَدْ تُرِكَتْ , فَأَسِيرُ إِلَيْهَا , فَإِذَا طَرَفَتْ , أَخَذْتُهَا فَضَحَّيْتُ بِهَا. فَقُلْتُ لَهُ: فَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَكُونَ فِي السِّنِّ نَقْصٌ , أَوْ فِي الْأُذُنِ نَقْصٌ , أَوْ فِي الْقَرْنِ نَقْصٌ. فَقَالَ: مَا كَرِهْتَ فَدَعْهُ , وَلَا تُحَرِّمْهُ عَلَى أَحَدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১৯৯
6199 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ رِفَاعَةَ أَبُو عَقِيلٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَرَظَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: وَلَمْ نَسْمَعْهُ مِنْهُ أَنَّهُ اشْتَرَى كَبْشًا لِيُضَحِّيَ بِهِ , فَأُكِلَ ذَنَبُهُ , أَوْ بَعْضُ ذَنَبِهِ , فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: «ضَحِّ بِهِ» فَقَدْ فَسَدَ إِسْنَادُ هَذَا الْحَدِيثِ , بِمَا قَدْ ذَكَرْنَا , وَفَسَدَ مَتْنُهُ , لِأَنَّهُ قَالَ قُطِعَ ذَنَبُهُ أَوْ بَعْضُ ذَنَبِهِ. فَإِنْ كَانَ الْبَعْضُ هُوَ الْمَقْطُوعَ , فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أَقَلَّ مِنْ رُبْعِهِ , وَذَلِكَ لَا يَمْنَعُ أَنْ يُضَحَّى بِهِ فِي قَوْلِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ. وَلَوْ كَانَ الْحَدِيثُ , كَمَا رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ , أَنَّهُ قَطَعَ أَلْيَتَهُ , لَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى بَعْضِهَا , لِأَنَّهُ قَدْ يُقَالُ: قَطَعَ أَلْيَتَهُ , إِذَا قَطَعَ بَعْضَهَا , كَمَا يُقَالُ: قَطَعَ إِصْبَعَهُ , إِذَا قَطَعَ بَعْضَهَا. فَتَصْحِيحُ هَذِهِ الْآثَارِ , يَمْنَعُ أَنْ يُضَحِّيَ بِالْأَرْبَعِ , الَّتِي فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ , أَوْ بِالْمُقَابَلَةِ وَالْمُدَابَرَةِ , وَهِيَ الْمَشْقُوقَةُ أَكْثَرُ أُذُنِهَا مِنْ قُبُلِهَا أَوْ مِنْ دُبُرِهَا. وَإِذَا كَانَ ذَلِكَ لَا يُجْزِئُ فِي الْأَضَاحِيِّ , فَالْمَقْطُوعَةُ الْأُذُنِ أَحْرَى أَنْ لَا تُجْزِئَ. وَكَذَلِكَ فِي النَّظَرِ عِنْدَنَا , كُلُّ عُضْوٍ قُطِعَ مِنْ شَاةٍ , مِثْلُ ضَرْعِهَا , أَوْ أَلْيَتِهَا , فَذَلِكَ يَمْنَعُ أَنْ يُضَحَّى بِهَا إِذَا قُطِعَ بِكَمَالِهِ , فَأَمَّا إِذَا قُطِعَ بَعْضُهُ , فَإِنَّ أَصْحَابَنَا رَحِمَهُمُ اللهُ يَخْتَلِفُونَ فِي ذَلِكَ. فَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَرُوِيَ عَنْهُ: الْمَقْطُوعُ مِنْ ذَلِكَ , إِذَا كَانَ رُبْعَ ذَلِكَ الْعُضْوِ فَصَاعِدًا , لَمْ يَصِحَّ بِمَا قُطِعَ ذَلِكَ مِنْهُ , وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنَ الرُّبْعِ , ضَحَّى بِهِ. وَقَالَ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ: إِذَا كَانَ الْمَقْطُوعُ مِنْ ذَلِكَ , هُوَ النِّصْفَ فَصَاعِدًا , فَلَا يُضَحَّى بِمَا إِذَا قُطِعَ ذَلِكَ مِنْهُ. وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنَ النِّصْفِ , فَلَا بَأْسَ أَنْ يُضَحَّى بِهَا. إِلَّا أَنَّ أَبَا يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ ذَكَرَ أَنَّهُ ذَكَرَ هَذَا الْقَوْلَ لِأَبِي حَنِيفَةَ فَقَالَ لَهُ: قَوْلِي مِثْلُ قَوْلِكَ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ رُجُوعُ أَبِي حَنِيفَةَ: رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , عَنْ قَوْلِهِ الَّذِي قَدْ كَانَ قَالَهُ , إِلَى مَا حَدَّثَهُ بِهِ أَبُو يُوسُفَ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِمْ , مَا رَوَيْنَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فِي هَذَا الْبَابِ , فِي تَفْسِيرِ الْعَضْبَاءِ الَّتِي قَدْ نُهِيَ عَنِ الْأُضْحِيَّةِ بِهَا , وَأَنَّهَا الْمَقْطُوعَةُ نِصْفُ أُذُنِهَا , وَكُلُّ مَا كَانَ مِنْ هَذَا , لَا يَكُونُ أُضْحِيَّةً , لِمَا قَدْ نَقَصَ مِنْهُ , فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ هَدْيًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০০
empty
৬২০০।
6200 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০১
empty
৬২০১।
6201 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০২
empty
৬২০২।
6202 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৩
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২০৩। ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ সাহরাফী ...... মুহাম্মাদ ইবন কুরযা হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমি কুরবানী করার জন্য একটা ভেড়া ক্রয় করলাম, কিন্তু একটা চিতাবাঘ আক্রমণ করে তার নিতম্বের এক অংশ কর্তন করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেলেন, তুমি সেটাই কুরবানী কর । পক্ষান্তরে উলামা-ই কিরামের অপর একদল এর বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, যে ছাগল, গরু ও উটের মধ্যে এই চারটি দোষের কোন একটি থাকবে, তাদ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয় এবং সেই সাথে যে পশুর কান কাটা থাকবে, তা না কুরবানী করা যাবে আর না হারাম শরীফে পাঠান যাবে। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অন্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা দ্বারা দলীল-প্রমাণ পেশ করেন। আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা, আতা ইব্ন আবু রাবাহ, মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন, সাওরী, আবু হানীফা, মালিক, শাফিঈ, আহমদ, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-কে বুঝান হয়েছে।
6203 - بِمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , وَشَرِيكٌ , عَنْ جَابِرٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَرَظَةَ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: اشْتَرَيْتُ كَبْشًا لِأُضَحِّيَ بِهِ , فَعَدَا الذِّئْبُ عَلَيْهِ , فَقَطَعَ أَلْيَتَهُ , فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «ضَحِّ بِهِ» وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ أَنْ يُضَحِّيَ بِالشَّاةِ , وَلَا بِالْبَقَرَةِ , وَلَا بِالْبَدَنَةِ , وَبِهَا عَيْبٌ مِنْ هَذِهِ الْعُيُوبِ الْأَرْبَعِ , وَلَا يَجُوزُ مَعَ ذَلِكَ أَيْضًا أَنْ يُضَحِّيَ بِمَقْطُوعَةِ الْأُذُنِ , وَلَا أَنْ يُهْدِيَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا , بِمَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬২০৫
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২০৪-০৫। মুহাম্মাদ ইবন বাহর ইবন মাতার আল-বাগদাদী ...... রায়হ ই নু'মান হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন, যে পশুর সম্মুখ দিক দিয়ে কান কাটা, তার কুরবানী জায়েয নয়। আর যে পশুর কানের নীচের দিকে কাটা, তারও কুরবানী জায়েয নয়। আর এমন পশুও কুরবানী জায়েয নয় যার কান গােলাকারে, লম্বাকারে কাটা হয় এবং এমন পশুও জয়েয নয় যে, পশু অন্ধ ও কানা।
রাওহ ইবনুল ফারজ ..... হযরত আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
রাওহ ইবনুল ফারজ ..... হযরত আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
6204 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَحْرِ بْنِ مَطَرٍ الْبَغْدَادِيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُضَحَّى بِمُقَابَلَةٍ وَلَا مُدَابَرَةٍ , وَلَا خَرْقَاءَ , وَلَا شَرْقَاءَ , وَلَا عَوْرَاءَ»
6205 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ النُّعْمَانِ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ , وَكَانَ رَجُلَ صِدْقٍ ,: عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
6205 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ النُّعْمَانِ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ , وَكَانَ رَجُلَ صِدْقٍ ,: عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৫
empty
৬২০৫।
6205 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৬
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২০৬। সুলায়মান ইবন আব ...... জুবাই ইন কুলায় বলেন, আমি হযরত আলী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভাঙ্গা শিং ও কাটা কাবিশিষ্ট পশু কুরবানী করতে নিষেধ করেছেন। কাতাদাত বলেন, আমি সাইদ ইবনুল মুত্তালিবকে জিজ্ঞেস করলাম…-এর অর্থ কি? তিনি বললেন, যখন অর্ধেক কিংবা ততােধিক কান কাটা হয়।
6206 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ جُرَيَّ بْنَ كُلَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَضْبَاءِ الْقَرْنِ وَالْأُذُنِ»
قَالَ قَتَادَةُ: فَقُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ: مَا عَضْبَاءُ الْأُذُنِ؟ قَالَ: إِذَا كَانَ النِّصْفُ فَأَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ، مَقْطُوعًا "
قَالَ قَتَادَةُ: فَقُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ: مَا عَضْبَاءُ الْأُذُنِ؟ قَالَ: إِذَا كَانَ النِّصْفُ فَأَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ، مَقْطُوعًا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৭
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২০৭। সুলায়মান ...... শুরায় ইব্ন নু'মান হামদানী হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কানের অগ্রভাগ কাটা কিংবা পশ্চাভাগ কাটা এমন পশু কুরবানী করতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-নিষেধ করেছেন এবং এমন পশু কুরবানী করতে নিষেধ করেছেন, যার কান লম্বা আকারে কাটা কিংবা গােলাকার হয়ে কাটা কিংবা ফাটা হয় অথবা যার নাক কাটা হয়।
6207 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ النُّعْمَانِ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُضَحَّى بِمُقَابَلَةٍ , أَوْ مُدَابَرَةٍ , أَوْ شَرْقَاءَ , أَوْ خَرْقَاءَ , أَوْ جَدْعَاءَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৮
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২০৮। ইউনুল ...... হুজাইয়্যা ইব্ন আদী হযরত আলী ইব্ন আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ আমাদেরকে চক্ষু ও কান খুব লক্ষ্য করে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
6208 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ. أَخْبَرَنِي سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ «أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২০৯
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২০৯। ফাহদ ..... হুজাইয়্যাহ ইব্ন আদী বলেন, একবার এক ব্যক্তি হযরত আলী (রাযিঃ)-এর কাছে এসে তাকে এমন পশু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল যার শিং ভাঙ্গা। তিনি বললেন, এতে তােমার কোন ক্ষতি নেই। সে পুনর জিজ্ঞেস করল, খোড়া পশু? তিনি বললেন, যদি যবেহ করার স্থানে পৌঁছতে পারে (তাহলে ক্ষতি নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নেই আমাদেরকে চক্ষু ও কান ভাল করে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আলােচনা : আবু জাফর বলেন, এসব হাদীসে এমন পশু দ্বারা কুরবানী করতে নিষেধ করা হয়েছে, যার কানের অগ্রভাগ কিংবা নিম্নভাগ কর্তন করা হয়েছে। যে পশুর কানের অগ্রভাগ ফাটা তাকে مقابله বলা হয়, আর যার কানের নিম্বভাগ ফাটা তাকে বলা হয় مدابره হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাযিঃ) غضباء الاذن যার কুরবানী করা নিষিদ্ধ তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, তা হলাে ঐ পশু যার কান অর্ধেক কাটা।
এ দ্বারা প্রমাণিত হলাে, কানে কোন দোষ থাকলে তাও কুরবানী করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর আমাদের পক্ষে তা ত্যাগ করা জায়েয নয়। কারণ, হযরত বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস, যা আমরা বর্ণনা করেছি, দুটি কারণ হতে শূন্য হবে না। হয় হযরত আলী (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হতে তাঁর বর্ণিত হাদীস পূর্বের হবে, সে ক্ষেত্রে হযরত আলী (রাযিঃ)-এর এ হাদীস তার হাদীসের ওপর অতিরিক্ত তথ্য দানকারী হাদীস হবে। অথবা তার [বারা (রাযিঃ)] হাদীস হতে হযরত আলী (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস পরে বর্ণিত হবে। তখন এ হাদীস নাসিখ হবে। আর হযরত আলী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস সহীহ প্রমাণিত হবার পর আমরা যখন তা মানসূখ হয়েছে বলে জানতে পারিনি, সে ক্ষেত্রে হযরত বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের সাথে হযরত আলী (রাযিঃ)-এর এ হাদীসও প্রমাণিত বলে মেনে নিয়েছি এবং উভয় হাদীসের ওপর আমল করা ওয়াজিব বিবেচনা করেছি। কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, আপনি ভাঙ্গা শিং বিশিষ্ট পশুকে কুরবানী করা মাকরূহ মনে করেন না। অথচ, জুরাই ইব্ন কুলায়ব হযরত আলী (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে তাে এর থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে তার জবাবে বলা হবে, আমরা এ হাদীসকে এ কারণে ছেড়ে দিয়েছি যে, খােদ আলী (রাযিঃ) এরূপ পশু কুরবানী করায় কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। যা আমরা হুজাইয়া ইবন আদী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তার থেকে বর্ণনা করেছি। এর দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, হযরত আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পরে ঐ হাদীসের বিপরীত কিছু বলতে পারবেন না যা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে শুনেছেন। হ.. পারেন কেবল তখন, যখন তাঁর নিকট পূর্বের হাদীস মানসূখ প্রমাণিত হবে। তবে ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ সায়রাফী কর্তৃক বর্ণিত যে। হাদীস আমরা হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, সে হাদীসের সনদ ও মতন সঠিক নয় মর্মে ইমাম বা বর্ণনা করেছেন।
আলােচনা : আবু জাফর বলেন, এসব হাদীসে এমন পশু দ্বারা কুরবানী করতে নিষেধ করা হয়েছে, যার কানের অগ্রভাগ কিংবা নিম্নভাগ কর্তন করা হয়েছে। যে পশুর কানের অগ্রভাগ ফাটা তাকে مقابله বলা হয়, আর যার কানের নিম্বভাগ ফাটা তাকে বলা হয় مدابره হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাযিঃ) غضباء الاذن যার কুরবানী করা নিষিদ্ধ তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, তা হলাে ঐ পশু যার কান অর্ধেক কাটা।
এ দ্বারা প্রমাণিত হলাে, কানে কোন দোষ থাকলে তাও কুরবানী করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর আমাদের পক্ষে তা ত্যাগ করা জায়েয নয়। কারণ, হযরত বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস, যা আমরা বর্ণনা করেছি, দুটি কারণ হতে শূন্য হবে না। হয় হযরত আলী (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হতে তাঁর বর্ণিত হাদীস পূর্বের হবে, সে ক্ষেত্রে হযরত আলী (রাযিঃ)-এর এ হাদীস তার হাদীসের ওপর অতিরিক্ত তথ্য দানকারী হাদীস হবে। অথবা তার [বারা (রাযিঃ)] হাদীস হতে হযরত আলী (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস পরে বর্ণিত হবে। তখন এ হাদীস নাসিখ হবে। আর হযরত আলী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস সহীহ প্রমাণিত হবার পর আমরা যখন তা মানসূখ হয়েছে বলে জানতে পারিনি, সে ক্ষেত্রে হযরত বারা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের সাথে হযরত আলী (রাযিঃ)-এর এ হাদীসও প্রমাণিত বলে মেনে নিয়েছি এবং উভয় হাদীসের ওপর আমল করা ওয়াজিব বিবেচনা করেছি। কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, আপনি ভাঙ্গা শিং বিশিষ্ট পশুকে কুরবানী করা মাকরূহ মনে করেন না। অথচ, জুরাই ইব্ন কুলায়ব হযরত আলী (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে তাে এর থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে তার জবাবে বলা হবে, আমরা এ হাদীসকে এ কারণে ছেড়ে দিয়েছি যে, খােদ আলী (রাযিঃ) এরূপ পশু কুরবানী করায় কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। যা আমরা হুজাইয়া ইবন আদী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তার থেকে বর্ণনা করেছি। এর দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, হযরত আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পরে ঐ হাদীসের বিপরীত কিছু বলতে পারবেন না যা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে শুনেছেন। হ.. পারেন কেবল তখন, যখন তাঁর নিকট পূর্বের হাদীস মানসূখ প্রমাণিত হবে। তবে ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ সায়রাফী কর্তৃক বর্ণিত যে। হাদীস আমরা হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, সে হাদীসের সনদ ও মতন সঠিক নয় মর্মে ইমাম বা বর্ণনা করেছেন।
6209 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا حَسَنُ بْنُ صَالِحٍ , وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ قَالَا جَمِيعًا , عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ , عَنْ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ قَالَ: أَتَى رَجُلٌ عَلِيًّا فَسَأَلَهُ عَنِ الْمَكْسُورَةِ الْقَرْنِ فَقَالَ: «لَا يَضُرُّكَ» ، قَالَ: عَرْجَاءُ؟ قَالَ: " إِذَا بَلَغَتِ الْمَنْسِكَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ النَّهْيُ عَنِ الْأُضْحِيَّةِ بِمُقَابَلَةٍ , أَوْ مُدَابَرَةٍ , وَذَلِكَ فِي الْأُذُنِ , مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ قُبَالَةِ الْأُذُنِ , فَهُوَ مُقَابَلَةٌ , وَمَا كَانَ مِنْ أَسْفَلِهَا , فَهُوَ مُدَابَرَةٌ. وَبَيَّنَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ عَضْبَاءَ الْأُذُنِ الْمَنْهِيَّ عَنْ ذَبْحِهَا فِي الْأُضْحِيَّةِ فَقَالَ هِيَ الْمَقْطُوعَةُ نِصْفُ أُذُنِهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا نَهَى عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ فِي الْأُذُنِ , وَلَمْ يَجُزْ لَنَا تَرْكُهُ , لِأَنَّ حَدِيثَ الْبَرَاءِ الَّذِي ذَكَرْنَا , لَا يَخْلُو مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ: إِمَّا أَنْ يَكُونَ مُتَقَدِّمًا , عَلَى حَدِيثِ عَلِيٍّ هَذَا , فَيَكُونُ حَدِيثُ عَلِيٍّ هَذَا , زَائِدًا عَلَيْهِ أَوْ يَكُونُ مُتَأَخِّرًا عَنْهُ , فَيَكُونُ نَاسِخًا لَهُ. فَلَمَّا لَمْ يُعْلَمْ نَسْخُ حَدِيثِ عَلِيٍّ بَعْدَمَا قَدْ عَلِمْنَا ثُبُوتَهُ , جَعَلْنَاهُ ثَابِتًا مَعَ حَدِيثِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَأَوْجَبْنَا الْعَمَلَ بِهِمَا جَمِيعًا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتَ لَا تَكْرَهُ عَضْبَاءَ الْقَرْنِ , وَفِي حَدِيثِ جُرَيِّ بْنِ كُلَيْبٍ , عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّهْيُ عَنْهَا. قِيلَ لَهُ: إِنَّمَا تَرَكْنَا ذَلِكَ , لِأَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمْ يَرَ بِذَلِكَ بَأْسًا , فِيمَا قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ , فِي حَدِيثِ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ , فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لَمْ يَقُلْ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافَ مَا قَدْ سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا بَعْدَ ثُبُوتِ نَسْخِ ذَلِكَ عِنْدَهُ. وَأَمَّا حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , رَوَيْنَاهُ عَنْهُ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الصَّيْرَفِيِّ , فَحَدِيثٌ فَاسِدٌ فِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ , قَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ شُعْبَةُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬২১০
যে সব দোষসহ হারাম শরীফে যবেহ করার জন্য কোন পশু প্রেরণ করা জায়েয নয় এবং যে সব দোযে কোন কুরবানীর পশু কুরবানী করা জায়েয নয়
৬২১০। আব্দুল গনী ইবন রিফাআ আবু আকীল ...... মুহাম্মাদ ইবন কুরযা হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, (তবে আমরা তার থেকে সরাসরি শুনিনি) একবার তিনি কুরবানী করার জন্য একটা ভেড়া ক্রয় করেন। অতঃপর চিতা বাঘ তার লেজ অথবা লেজের অংশ খেয়ে ফেললাে। এ সম্পর্কে তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তুমি সেটাই কুরবানী কর।
বস্তুত আমরা যা উল্লেখ করেছি, তাতে এ হাদীসের সনদ ফাসিদ এবং এর মতনও ফাসিদ। কারণ তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, قطع ذنبه أو بعض ذنبه অর্থাৎ লেজ কর্তন করেছে অথবা একাংশ কর্তন করেছে। যদি তার লেজের একাংশ কর্তিত হয় তবে সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা আছে যে, কর্তিত অংশ লেজের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে কম হবে। আর তখন তাে কেউ-ই তার কুরবানী করতে নিষেধ করেন না। আর হাদীস যদি তেমনই হয়।যেমন ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ বর্ণনা করেছেন, আর তার বর্ণিত হাদীসে রয়েছে انه قطع اليته তবে সেক্ষেত্রে তার অংশবিশেষের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অংশবিশেষ কর্তন করা হলেও قطع اليته বলা হয়। যেমন অংশগুলাের এক অংশ কাটা হলেও বলা হয় قطع اصبحه
এ সব হাদীসকে সহীহ মানা হলে হযরত বারা ইবন আযিব (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে চারটি দোষের কথা বলা হয়েছে তার একটি দোষ কোন পশুতে পাওয়া গেলে তা কুরবানী করা নিষিদ্ধ হবে। অনুরূপ কানের সম্মুখভাগে কিংবা পশ্চাৎভাগে কাটা হলে তার কুরবানী করা নিষিদ্ধ হবে। مقابله ও مدابرة এর অর্থ হলো যে পশুর কানের অগ্রভাগে ও পশ্চাতভাগের বেশী অংশ কর্তন করা হয়েছে। আর যখন কুরবানী পশুর মধ্যে এ ধরনের দোষ (আংশিক কর্তিত হওয়া) হলে তা কুরবানীর জন্য যথেষ্ট নয়, সেক্ষেত্রে পূর্ণ কান কাটা হলো তা যথেষ্ট না হওয়া অধিকতর শ্রেয়। নযর ও যুক্তি : অনুরূপভাবে আমাদের নযর ও যুক্তির দাবি এটাই যে, ছাগলের কোন অংশ কাটা হলে, যেমন ওলান কিংবা তার নিতম্ব (اليه) তবে সে ক্ষেত্রে তা কুরবানী করা নিষিদ্ধ হবে, যখন তা পুরাটা কর্তিত হবে । আর আংশিক কর্তিত হলে আমাদের উলামা-ই কিরাম ভিন্নভিন্ন মত পােষণ করেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কর্তিত অংশ এক-চতুর্থাংশ কিংবা তার চেয়ে বেশী হলে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয় কিন্তু এক-চতুর্থাংশের কম হলে কুরবানী করা যাবে। অপরদিকে ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কর্তিত অংশ যদি অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে বেশী হয়, তবে ঐ পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর অর্ধেকের কম হলে কোন অসুবিধা নেই। অবশ্য ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, একবার তিনি তার এই মত ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আমার মত তােমার মতের মতই। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তার পূর্বের মত হতে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর মতের প্রতি রুজু করেছেন।
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব العضباء -এর যে ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, অর্থাৎ যে পশুর অর্ধেক কান কাটা, তাকে العضباء বলা হয়। যার কুরবানী করা নিষিদ্ধ। এটা ইমাম আবু ইউসুফ ও অন্যান্য আইম্মা-ই কিরামের মতের সাথে সংগতিপূর্ণ। আর যে সব পশুর মধ্যে এ দোষ বিদ্যমান, তা যখন কুরবানীর পশু হতে পারে না, তা حدي (হারাম শরীফে প্রেরণ করার যােগ্য) পশুও হতে পারে না।
বস্তুত আমরা যা উল্লেখ করেছি, তাতে এ হাদীসের সনদ ফাসিদ এবং এর মতনও ফাসিদ। কারণ তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, قطع ذنبه أو بعض ذنبه অর্থাৎ লেজ কর্তন করেছে অথবা একাংশ কর্তন করেছে। যদি তার লেজের একাংশ কর্তিত হয় তবে সেক্ষেত্রে সম্ভাবনা আছে যে, কর্তিত অংশ লেজের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে কম হবে। আর তখন তাে কেউ-ই তার কুরবানী করতে নিষেধ করেন না। আর হাদীস যদি তেমনই হয়।যেমন ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ বর্ণনা করেছেন, আর তার বর্ণিত হাদীসে রয়েছে انه قطع اليته তবে সেক্ষেত্রে তার অংশবিশেষের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অংশবিশেষ কর্তন করা হলেও قطع اليته বলা হয়। যেমন অংশগুলাের এক অংশ কাটা হলেও বলা হয় قطع اصبحه
এ সব হাদীসকে সহীহ মানা হলে হযরত বারা ইবন আযিব (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে চারটি দোষের কথা বলা হয়েছে তার একটি দোষ কোন পশুতে পাওয়া গেলে তা কুরবানী করা নিষিদ্ধ হবে। অনুরূপ কানের সম্মুখভাগে কিংবা পশ্চাৎভাগে কাটা হলে তার কুরবানী করা নিষিদ্ধ হবে। مقابله ও مدابرة এর অর্থ হলো যে পশুর কানের অগ্রভাগে ও পশ্চাতভাগের বেশী অংশ কর্তন করা হয়েছে। আর যখন কুরবানী পশুর মধ্যে এ ধরনের দোষ (আংশিক কর্তিত হওয়া) হলে তা কুরবানীর জন্য যথেষ্ট নয়, সেক্ষেত্রে পূর্ণ কান কাটা হলো তা যথেষ্ট না হওয়া অধিকতর শ্রেয়। নযর ও যুক্তি : অনুরূপভাবে আমাদের নযর ও যুক্তির দাবি এটাই যে, ছাগলের কোন অংশ কাটা হলে, যেমন ওলান কিংবা তার নিতম্ব (اليه) তবে সে ক্ষেত্রে তা কুরবানী করা নিষিদ্ধ হবে, যখন তা পুরাটা কর্তিত হবে । আর আংশিক কর্তিত হলে আমাদের উলামা-ই কিরাম ভিন্নভিন্ন মত পােষণ করেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কর্তিত অংশ এক-চতুর্থাংশ কিংবা তার চেয়ে বেশী হলে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয় কিন্তু এক-চতুর্থাংশের কম হলে কুরবানী করা যাবে। অপরদিকে ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কর্তিত অংশ যদি অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে বেশী হয়, তবে ঐ পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর অর্ধেকের কম হলে কোন অসুবিধা নেই। অবশ্য ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, একবার তিনি তার এই মত ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, আমার মত তােমার মতের মতই। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) তার পূর্বের মত হতে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর মতের প্রতি রুজু করেছেন।
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব العضباء -এর যে ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, অর্থাৎ যে পশুর অর্ধেক কান কাটা, তাকে العضباء বলা হয়। যার কুরবানী করা নিষিদ্ধ। এটা ইমাম আবু ইউসুফ ও অন্যান্য আইম্মা-ই কিরামের মতের সাথে সংগতিপূর্ণ। আর যে সব পশুর মধ্যে এ দোষ বিদ্যমান, তা যখন কুরবানীর পশু হতে পারে না, তা حدي (হারাম শরীফে প্রেরণ করার যােগ্য) পশুও হতে পারে না।
6210 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ رِفَاعَةَ أَبُو عَقِيلٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَرَظَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَالَ: وَلَمْ نَسْمَعْهُ مِنْهُ أَنَّهُ اشْتَرَى كَبْشًا لِيُضَحِّيَ بِهِ , فَأُكِلَ ذَنَبُهُ , أَوْ بَعْضُ ذَنَبِهِ , فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: «ضَحِّ بِهِ» فَقَدْ فَسَدَ إِسْنَادُ هَذَا الْحَدِيثِ , بِمَا قَدْ ذَكَرْنَا , وَفَسَدَ مَتْنُهُ , لِأَنَّهُ قَالَ قُطِعَ ذَنَبُهُ أَوْ بَعْضُ ذَنَبِهِ. فَإِنْ كَانَ الْبَعْضُ هُوَ الْمَقْطُوعَ , فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أَقَلَّ مِنْ رُبْعِهِ , وَذَلِكَ لَا يَمْنَعُ أَنْ يُضَحَّى بِهِ فِي قَوْلِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ. وَلَوْ كَانَ الْحَدِيثُ , كَمَا رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ , أَنَّهُ قَطَعَ أَلْيَتَهُ , لَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى بَعْضِهَا , لِأَنَّهُ قَدْ يُقَالُ: قَطَعَ أَلْيَتَهُ , إِذَا قَطَعَ بَعْضَهَا , كَمَا يُقَالُ: قَطَعَ إِصْبَعَهُ , إِذَا قَطَعَ بَعْضَهَا. [ص:171] فَتَصْحِيحُ هَذِهِ الْآثَارِ , يَمْنَعُ أَنْ يُضَحِّيَ بِالْأَرْبَعِ , الَّتِي فِي حَدِيثِ الْبَرَاءِ , أَوْ بِالْمُقَابَلَةِ وَالْمُدَابَرَةِ , وَهِيَ الْمَشْقُوقَةُ أَكْثَرُ أُذُنِهَا مِنْ قُبُلِهَا أَوْ مِنْ دُبُرِهَا. وَإِذَا كَانَ ذَلِكَ لَا يُجْزِئُ فِي الْأَضَاحِيِّ , فَالْمَقْطُوعَةُ الْأُذُنِ أَحْرَى أَنْ لَا تُجْزِئَ. وَكَذَلِكَ فِي النَّظَرِ عِنْدَنَا , كُلُّ عُضْوٍ قُطِعَ مِنْ شَاةٍ , مِثْلُ ضَرْعِهَا , أَوْ أَلْيَتِهَا , فَذَلِكَ يَمْنَعُ أَنْ يُضَحَّى بِهَا إِذَا قُطِعَ بِكَمَالِهِ , فَأَمَّا إِذَا قُطِعَ بَعْضُهُ , فَإِنَّ أَصْحَابَنَا رَحِمَهُمُ اللهُ يَخْتَلِفُونَ فِي ذَلِكَ. فَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَرُوِيَ عَنْهُ: الْمَقْطُوعُ مِنْ ذَلِكَ , إِذَا كَانَ رُبْعَ ذَلِكَ الْعُضْوِ فَصَاعِدًا , لَمْ يَصِحَّ بِمَا قُطِعَ ذَلِكَ مِنْهُ , وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنَ الرُّبْعِ , ضَحَّى بِهِ. وَقَالَ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ: إِذَا كَانَ الْمَقْطُوعُ مِنْ ذَلِكَ , هُوَ النِّصْفَ فَصَاعِدًا , فَلَا يُضَحَّى بِمَا إِذَا قُطِعَ ذَلِكَ مِنْهُ. وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنَ النِّصْفِ , فَلَا بَأْسَ أَنْ يُضَحَّى بِهَا. إِلَّا أَنَّ أَبَا يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ ذَكَرَ أَنَّهُ ذَكَرَ هَذَا الْقَوْلَ لِأَبِي حَنِيفَةَ فَقَالَ لَهُ: قَوْلِي مِثْلُ قَوْلِكَ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ رُجُوعُ أَبِي حَنِيفَةَ: رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , عَنْ قَوْلِهِ الَّذِي قَدْ كَانَ قَالَهُ , إِلَى مَا حَدَّثَهُ بِهِ أَبُو يُوسُفَ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِمْ , مَا رَوَيْنَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فِي هَذَا الْبَابِ , فِي تَفْسِيرِ الْعَضْبَاءِ الَّتِي قَدْ نُهِيَ عَنِ الْأُضْحِيَّةِ بِهَا , وَأَنَّهَا الْمَقْطُوعَةُ نِصْفُ أُذُنِهَا , وَكُلُّ مَا كَانَ مِنْ هَذَا , لَا يَكُونُ أُضْحِيَّةً , لِمَا قَدْ نَقَصَ مِنْهُ , فَإِنَّهُ لَا يَكُونُ هَدْيًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান