শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬১৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৪৯
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৪৮-৪৯। ইবন আবু দাউদ ...... উরওয়া ইন যুবায়র (রাযিঃ) বলেন, হযরত যায়নাব বিন্‌ত আবু সালমা ও তার মা হযরত উম্মে সালমা তাকে জানিয়েছেন, তার মা হযরত উম্মে সালমা, বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দরজায় নিকট ঝগড়ার হৈ চৈ শুনলেন। অতঃপর তিনি তাদের নিকট বের হয়ে বললেন, আমি তাে কেবল একজন মানুষ। আমার নিকটে বিরােধকারীর আগমন ঘটে, আর সম্ভবত তাদের কেউ অন্যের চেয়ে আধিক বাকপটু, আর তার বাগিতার কারণে আমি ফয়সালা তার পক্ষেই করে দেই, কারণ আমার ধারণা হয়, সে সত্যবাদী। অতএব আমি কোন মুসলমানের হক যার জন্য ফয়সালা করি, বাস্তুত তা আগুনের একটা টুকরা । এখন সে তা গ্রহণ করুক কিংবা তা ত্যাগ করুক।

ইবন আবু দাউদ ...... সালিহ ইবন শিহাব হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
بَابُ الْحَاكِمِ يَحْكُمُ بِالشَّيْءِ فَيَكُونُ فِي الْحَقِيقَةِ بِخِلَافِهِ فِي الظَّاهِرِ
6148 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ قَالَ: أنا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَاحَةَ وَأُمَّهَا أُمُّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّهَا أُمُّ سَلَمَةَ قَالَتْ: سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَلَبَةَ خِصَامٍ عِنْدَ بَابِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: «إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنَّهُ يَأْتِي الْخَصْمُ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ فَأَقْضِيَ لَهُ بِذَلِكَ وَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنَ النَّارِ فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ لِيَدَعْهَا»

6149 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ الْأُوَيْسِيُّ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৬১৪৯
empty
৬১৪৯।
6149 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫০
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৫০। ইউনুস ...... যায়নাব হযরত উম্মে সালামা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তােমরা আমার নিকটে তােমাদের বিরােধ উপস্থিত করে থাক। আর আমি তাে একজন মানুষ। সম্ভবত তােমাদের কেউ তার দলীল-প্রমাণ পেশ করায় অধিক প্রবল, ফলে আমি তার থেকে যেমন শ্রবণ করি, সে মুতাবিক তার জন্য ফয়সালা করি। সুতরাং যার জন্য আমি তার ভাইয়ের হকের কিছুর ফয়সালা করি, বস্তুত তার জন্য আমি আগুনের এক টুকরা কর্তন করে দেই। অতএব সে যেন তা গ্রহণ না করে।
6150 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إِلَيَّ وَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ فَأَقْضِيَ لَهُ عَلَى نَحْوِ مَا أَسْمَعُ مِنْهُ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ شَيْئًا فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ فَلَا يَأْخُذْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৬১৫১
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৫১। আলী ইবন মা'বাদ ..... আবু সালামা হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ….হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
6151 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৫৪
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৫২-৫৪। রাবী আল-মুয়াযযিন..... হযরত উম্মে সালমা (রাযিঃ)-এর অযাদ করা গােলাম আব্দুল্লাহ ইবন রাফে হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার দু'জন আনসারী তাদের পাস্পরিক মত সম্পর্কে ঝগড়া করতে করতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দরবারে উপস্থিত হলেন। কিন্তু তাদের কারো কোন দলীল-প্রমাণ ছিল না। তখন রাসূল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তো কেবল একজন মানুষ, আমার নিকট বিরোধকারী, আগমন ঘটে। আর সম্ভবত তোমাদের একজন অন্যের চেয়ে অধিক বাগ্মিতার অধিকারী হয়। অতঃপর আমি তার মধ্যে ফয়সালা করি। কারণ আমার ধারণা হয়, সে সত্যবাণী। সুতরাং যার জন্য আমি কোন মুসলমানের হকের ফয়সালা করি। বস্তুত তা আগুনের টুকরা। এখন ইচ্ছে হলে তা গ্রহণ করুক কিংবা ত্যাগ করুক। রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর এ কথাগুলো শুনে দু'জনেই কাঁদতে শুরু করলেন। তারা প্রত্যেকেই বললেন, আমার হক আমার ভাইয়ের জন্য। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, তােমরা যখন এ কাজই করেছ, তখন তােমরা যাও, বন্টন করে নাও। তােমরা সত্যকে সন্ধান কর ও লটার কর এবং তােমাদের প্রত্যেকে যেন তার সাথীকে হালাল করে দেয়।

ইবন মারযূক ......... উসামা ইবুন যায়দ (রাযিঃ) তার সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

ইউনুস ..... উসামা ইবন যায়দ (রাযিঃ) তাঁর সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এমত পােষণ করেন। হাকিম যে কোন ফয়সালা করবেন, কাউকে কোন মালের মালিক বানিয়ে দেয়া, কিংবা মালিকানা অধিকারের অবসান ঘটানাে, কিংবা বিবাহ প্রতিষ্ঠা করা অথবা তালাক কিংবা অনুরূপ কিছুর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধন হতে মুক্ত করা, এসব কিছুর ফয়সালা বাতিনের হুকুমের ওপর প্রযােজ্য হবে। বাতিনের হুকুম যদি যাহির মুতাবিক হয়, তবে হাকিম যে হুকুম করেছেন তা-ই ওয়াজিব হবে। যদি বাতিনের হুকুম দু’জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের বিপরীত হয় এবং তাদের সাক্ষ্যের মাধ্যেমে হাকিম যে ফয়সালা প্রদান করেছেন সে ফয়সালার বিপরীত হয়, তবে সে ক্ষেত্রে কাযীর যে কোন ফয়সালা, চাই কাউকে কোন মালের মালিক করা হােক, হারাম করা হােক ও হালাল করা হােক, এর কোন কিছুই ওয়াজিব করবে না। আর তারা এ হাদীসকেই দলীল হিসেবে পেশ করেন। যারা এ মত পােষণ করেন, তাদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) রয়েছেন । অপরপক্ষে অন্য এক দল উলামা-ই কিরাম এর বিপরীত মত পােষণ করেন।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এরা হলেন, সাওরী, আওযাঈ, মালিক শাফিঈ, আহমদ, আবু সাওর, ওসমস্ত আহলে যাহির । ইমাম আবু দাউদ (রাযিঃ)-ও এ মত পােষণ করেন।
অন্য একটি জামাআত এর বিপরীত মত পােষণ করেন। তারা বলেন, যাহিরী সাক্ষ্যের মাধ্যমে কাউকে মালের মালিক করা হলে তা বাতিলের হুকুম মুতাবিক হবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তিনি বলেন, যে ব্যাক্তির জন্য আমি তার ভাইয়ের হকের ফয়সালা করি, সে যেন তা গ্রহণ না করে। কারণ আমি তার জন্য দোযখের আগুনের এক টুকরা কর্তন করে দেই। আর এমন সাক্ষী যারা যাহিরীভাবে আদিল, কিন্তু বাতিনভাবে অভিযুক্ত তাদের দ্বারা তালঅক ও নিকাহের যে ফয়সালা হয়েছে এবং হাকিম তাদের যাহিরের উপর ভিত্তি করে যে ফয়সালা প্রদান করেছেন এবং এ ধরনের সাক্ষীর সাক্ষ্যের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা ফয়সালা করার নির্দেশও প্রদান করেছেন, তবে তা বাতিনেও ঠিক তদ্রপ হারাম হবে, যেমন যাহিরে তা হারাম। আর এর জন্য তাদের দলীল হলো ঐ হাদীস যা লিআনকারী দু'ব্যাক্তির ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) : হতে বর্ণিত। আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন আমের, শা'বী, আবু হানীফা ও মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান।
6152 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، سَمِعَهُ مِنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ نَافِعٍ، مَوْلَى أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: جَاءَ رَجُلَانِ مِنَ الْأَنْصَارِ يَخْتَصِمَانِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَوَارِيثَ بَيْنَهُمَا قَدْ دُرِسَتْ لَيْسَتْ بَيْنَهُمَا بَيِّنَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنَّهُ يَأْتِي الْخَصْمُ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ فَأَقْضِيَ لَهُ بِذَلِكَ وَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنَ النَّارِ فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ لِيَدَعْهَا» . فَبَكَى الرَّجُلَانِ وَقَالَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا حَقِّي لِأَخِي. [ص:155] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا إِذْ فَعَلْتُمَا هَذَا فَاذْهَبَا فَاقْتَسِمَا وَتَوَخَّيَا الْحَقَّ ثُمَّ اسْتَهِمَا ثُمَّ لِيُحْلِلْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمَا صَاحِبَهُ»

6153 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أنا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

6154 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ كُلَّ قَضَاءٍ قَضَى بِهِ حَاكِمٌ مِنْ تَمْلِيكِ مَالٍ أَوْ إِنَالَةِ مِلْكٍ عَنْ مَالٍ أَوْ مِنْ إِثْبَاتِ نِكَاحٍ أَوْ مِنْ حِلِّهِ بِطَلَاقٍ أَوْ بِمَا أَشْبَهَهُ أَنَّ ذَلِكَ كُلَّهُ عَلَى حُكْمِ الْبَاطِنِ وَأَنَّ ذَلِكَ فِي الْبَاطِنِ كَهُوَ فِي الظَّاهِرِ وَجَبَ ذَلِكَ عَلَى مَا حَكَمَ بِهِ الْحَاكِمُ. وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ فِي الْبَاطِنِ عَلَى خِلَافِ مَا شَهِدَ بِهِ الشَّاهِدَانِ وَعَلَى خِلَافِ مَا حَكَمَ بِهِ بِشَهَادَتِهِمَا عَلَى الْحُكْمِ الظَّاهِرِ لَمْ يَكُنْ قَضَاءُ الْقَاضِي مُوجِبًا شَيْئًا مِنْ تَمْلِيكٍ وَلَا تَحْرِيمٍ وَلَا تَحْلِيلٍ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَمِمَّنْ قَالَ بِذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ تَمْلِيكِ مَالٍ فَهُوَ عَلَى حُكْمِ الْبَاطِنِ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِشَيْءٍ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ فَلَا يَأْخُذْهُ فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ» . وَمَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ قَضَاءٍ بِطَلَاقٍ أَوْ نِكَاحٍ بِشُهُودٍ ظَاهِرُهُمُ الْعَدَالَةُ وَبَاطِنُهُمُ الْجُرْحَةُ فَحَكَمَ الْحَاكِمُ بِشَهَادَتِهِمْ عَلَى ظَاهِرِهِمِ الَّذِي تَعَبَّدَ اللهَ أَنْ يَحْكُمَ بِشَهَادَةِ مِثْلِهِمْ مَعَهُ فَذَلِكَ يَحْرُمُ فِي الْبَاطِنِ كَحُرْمَتِهِ فِي الظَّاهِرِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى هَذَا مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُتَلَاعِنَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৬১৫৩
empty
৬১৫৩।
6153 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫৪
empty
৬১৫৪।
6154 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫৫
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৫৫। ইউনুস ...... হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু আজলান গােত্রীয় দুই স্বামী-স্ত্রীকে পৃথক করে দিলেন এবং তাদেরকে তিনি বললেন, তােমাদের দু'জনের হিসাব নিকাশ আল্লাহর ওপর অর্পিত। আল্লাহ্ জানেন যে, তােমাদের একজন মিথ্যাবাদী। তার উপর (অর্থাৎ তােমার স্ত্রীর উপর) তােমার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোন পথ নেই। তখন লােকটি বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমি তাকে মাহর দান করেছিলাম, তার কি হবে? তিনি বললেন, তার ওপর তােমার কোন মাল পাওনা নেই। তুমি যদি তাকে মাহর প্রদান করে থাক, তবে তুমি তার লজ্জাস্থান যে হালাল করেছিলে, তার বিনিময়ে শােধ হয়েছে। আর যদি তুমি তার ওপর মিথ্যা বলে থাক, তবে তাে তা আরাে দূরের।
6155 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: فَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَخَوَيْ بَنِي الْعَجْلَانِ وَقَالَ لَهُمَا: «حِسَابُكُمَا عَلَى اللهِ اللهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ لَا سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا» . قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صَدَاقِي الَّذِي أَصْدَقْتُهَا؟ قَالَ: «لَا مَالَ لَكَ عَلَيْهَا إِنْ كُنْتَ أَصْدَقْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا عَلَيْهَا فَهُوَ أَبْعَدُ لَكَ مِنْهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫৬
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৫৬। ইউনুস ..... সুফিয়ান যুহরী হতে বর্ণনা করেন, তিনি সাহল ইবন সা'দ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন দু'জন লিআনকারীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পৃথক করে দিয়েছিলেন। আমি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তখন লােকটি বললাে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যদি তাকে রাখি, তবে তার ওপর আমার মিথ্যা বলা হবে।
6156 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنِ الزُّهْرِيِّ سَمِعَ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ يَقُولُ: " شَهِدْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرَّقَ بَيْنَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كَذَبْتُ عَلَيْهَا إِنْ أَمْسَكْتُهَا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৫৮
হাকিম কোন জিনিসের ফয়সালা করেন অতঃপর বাস্তবে তা যাহিরের খেলাফ হয়
৬১৫৭-৫৮। ইউনুস….হযরত সাহল ইব্ন সাঈদ (রাযিঃ) বলেন একবার উআয়মির আল-আজলানী আসিম ইব্ন আদী আল-আনসারী (রাহঃ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আসিম। আপনি বলুন তো যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন পুষকে দেখতে পায়, তবে কি সে তাকে হত্যা করবে এবং তারপর তােমরাও তাকে হত্যা করবে? তবে নাকি সে অন্য কিছু করবে? হে আসিম! আপনি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট জিজ্ঞেস করুন। আসিম তাঁর পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তন করলে উআয়মির তার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) 'কি বলেছেন: আসিম বললেন, তুমি কোন কল্যাণ বহন করে আন নি। তুমি রাসূলুল্লাহ কার নিকট যে বিষয়টি জিজ্ঞেস করেছ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তা পসন্দ করেন নি। তখন উআয়মির বললেন, যাবত না আমি তাঁর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব, আমি বিরত হব না। অতঃপর উআয়মির অগ্রসর হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট মানুষের মধ্যেভাগে উপস্থিত হলেন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলুন তাে কোন ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে কোন পুরুষকে পায়, তখন কি সে তাকে হত্যা করবে? তখন আপনারাও তাকে হত্যা করে ফেলবেন, না সে কি করবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, আল্লাহ তা'আলা তােমার ও তােমার স্ত্রী সম্পর্কে হুকুম নাযিল করেছেন। যাও, তুমি তাকে নিয়ে এস। সাহল বলেন, অতঃপর তারা দু'জন লিআন করলেন। আর আমি তখন মানুষের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। যখন তারা লিআন হতে অবসর হলেন, তখন উআয়মির বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যদি তাকে রেখে দেই, তবে আমার মিথ্যা বলা হবে। অতঃপর তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -এর নির্দেশ দেয়ার পূর্বেই তাকে তিন তালাক দিলেন। ইবন শিহাব বলেন, পরবর্তীতে এটাই দু-লি আনকারীর নিয়মে পরিণত হয়।

ইবন আবু দাউদ ...... সাহল ইবন সা'দ, আসিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার উআয়মির আমার নিকট উপস্থিত হলেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেন।
এ হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু’জনের একজনকে নির্দিষ্টভাবে জানতেন যে, এ হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পেরেছি যে, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সে মিথ্যাবাদী, তবে তাদের পৃথক করতেন না এবং তাদের মধ্যে লিআনও অনুষ্ঠিত করতেন না। আর তিনি যদি জানতেন যে, উক্ত মহিলা সত্যবাদী, তবে উক্ত মহিলাকে অপবাদ দেয়ার কারণে স্বামীকে হদ্দ লাগাতেন। আর তিনি যদি এ কথা জানতেন যে, স্বামী সত্যবাদী, তবে ব্যভিচারের দায়ে মহিলাকে হদ্দ লাগাতেন।
তাদের দু'জনের মধ্যে সত্যবাদী যে কে, তা যখন হাকিমের নিকট অস্পষ্ট রয়েছে, সেক্ষেত্রে অন্য এক হুকুম ওয়াজিব হয়েছে এবং যাহির ও বাতিন উভয়ক্ষেত্রে তার ওপর স্ত্রীকে হারাম করা হয়েছে এবং শুধু বাতিনের ক্ষেত্রে তা রদ করা হয়নি।
6157 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: ثنا هِلَالٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلَانِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيِّ فَقَالَ لَهُ: أَرَأَيْتَ يَا عَاصِمُ لَوْ أَنَّ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ سَلْ لِي عَنْ ذَلِكَ يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمُ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ: يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ . فَقَالَ عَاصِمٌ: يَا عُوَيْمِرُ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ فَقَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتَهُ عَنْهَا. [ص:156] فَقَالَ: عُوَيْمِرٌ لَا أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَهُ عَنْهَا. فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَطَ النَّاسِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ رَجُلًا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَنْزَلَ اللهُ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ اذْهَبْ فَائِتِ بِهَا» . قَالَ سَهْلٌ: فَتَلَاعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا فَرَغَا قَالَ عُوَيْمِرٌ: كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا فَطَلَّقَهَا ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَكَانَتْ سُنَّةَ الْمُتَلَاعِنَيْنِ

6158 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ قَالَ: ثنا الْمَاجِشُونِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ عَاصِمٍ قَالَ: جَاءَنِي عُوَيْمِرٌ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ فَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ عَلِمَ الْكَاذِبُ مِنْهُمَا بِعَيْنِهِ لَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَهُمَا وَلَمْ يُلَاعِنْ لَوْ عَلِمَ أَنَّ الْمَرْأَةَ صَادِقَةٌ لَحَدَّ الزَّوْجَ لَهَا بِقَذْفِهِ إِيَّاهَا. وَلَوْ عَلِمَ أَنَّ الزَّوْجَ صَادِقٌ لَحَدَّ الْمَرْأَةَ بِالزِّنَا الَّذِي كَانَ مِنْهَا. فَلَمَّا خَفِيَ الصَّادِقُ مِنْهُمَا عَلَى الْحَاكِمِ وَجَبَ حُكْمٌ آخَرُ فَحَرَّمَ الْفَرْجَ عَلَى الزَّوْجِ فِي الْبَاطِنِ وَالظَّاهِرِ وَلَمْ يَرُدَّ ذَلِكَ إِلَى حُكْمِ الْبَاطِنِ. فَلَمَّا شَهِدَا فِي الْمُتَلَاعِنَيْنِ ثَبَتَ أَنَّ كَذَلِكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا وَالْقَضَاءُ بِمَا لَيْسَ فِيهِ تَمْلِيكُ أَمْوَالٍ أَنَّهُ عَلَى حُكْمِ الظَّاهِرِ لَا عَلَى حُكْمِ الْبَاطِنِ وَأَنَّ حُكْمَ الْقَاضِي يَحْدُثُ فِي ذَلِكَ التَّحْرِيمِ وَالتَّحْلِيلِ فِي الظَّاهِرِ وَالْبَاطِنِ جَمِيعًا وَأَنَّهُ خِلَافُ الْأَمْوَالِ الَّتِي تُقْضَى بِهَا عَلَى حُكْمِ الظَّاهِرِ وَهِيَ فِي الْبَاطِنِ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ. فَتَكُونُ الْآثَارُ الْأُوَلُ هِيَ فِي الْقَضَاءِ بِالْأَمْوَالِ وَالْآثَارُ الْأُخَرُ هِيَ فِي الْقَضَاءِ بِغَيْرِ الْأَمْوَالِ مِنْ ثَبَاتِ الْعُقُودِ وَحِلِّهَا حَتَّى تَتَّفِقَ مَعَانِي وُجُوهِ الْآثَارِ وَالْأَحْكَامِ وَلَا تَتَضَادَّ. وَقَدْ حَكَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُتَبَايِعَيْنِ إِذَا اخْتَلَفَا فِي الثَّمَنِ وَالسِّلْعَةُ قَائِمَةٌ أَنَّهُمَا يَتَحَالَفَانِ وَيَتَرَادَّانِ. فَتَعُودُ الْجَارِيَةُ إِلَى الْبَائِعِ وَيَحِلُّ لَهُ فَرْجُهَا وَيَحْرُمُ عَلَى الْمُشْتَرِي. وَلَوْ عَلِمَ الْكَاذِبُ مِنْهُمَا بِعَيْنِهِ إِذًا لَقَضَى بِمَا يَقُولُ الصَّادِقُ وَلَمْ يَقْضِ بِفَسْخِ بَيْعٍ وَلَا بِوُجُوبِ حُرْمَةِ فَرْجِ الْجَارِيَةِ الْمَبِيعَةِ عَلَى الْمُشْتَرِي. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ عَلَى مَا وَصَفْنَا كَانَ كَذَلِكَ كُلُّ قَضَاءٍ بِتَحْرِيمٍ أَوْ تَحْلِيلٍ أَوْ عَقْدِ نِكَاحٍ أَوْ حِلِّهِ عَلَى مَا حَكَمَ الْقَاضِي فِيهِ فِي الظَّاهِرِ لَا عَلَى حُكْمِهِ فِي الْبَاطِنِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬১৫৮
empty
৬১৫৮।
6158 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান