শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৮. আদালত-বিচার-সাক্ষ্য-শুনানির বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬১০৮
অধ্যায় : বিচার ও সাক্ষ্য
যিম্মীদের মাঝে বিচার
যিম্মীদের মাঝে বিচার
৬১০৮। ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা ..... নাফে হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার একজন ইয়াহুদী পুরুষ ও একজন ইয়াহুদী মহিলাকে রজম করলেন, যখন তারা তাঁর নিকট মামলা দায়ের করেছিল।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যিম্মীরা যখন হদ্দযােগ্য কোন অপরাধে লিপ্ত হয়, তাদের ওপর মুসলমান শাসকগণ তাদের বিচার কার্যকর করবে না যাবত না তারা তাদের নিকট মামলা দায়ের করবে এবং তারা তাদের বিচারকার্যে রাজী হবে। যখন তারা মুসলমান শাসকদের নিকট মামলা দায়ের করবে, তখন শাসক ইমামের ইখতিয়ার থাকবে, ইচ্ছা হলে তাদের বিচার হতে বিরত থাকবেন এবং তাদের ব্যাপারে কোন চিন্তা-ভাবনা করবেন না। আর ইচ্ছা হলে তাদের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। আর তাদের এ মতের পক্ষে তারা আল্লাহ পাকের এ আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন :فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ
“যদি তারা তােমার নিকট আসে, তবে তুমি তাদের মাঝে বিচার কর কিংবা তাদের থেকে বিরত থাক।”
আর উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাআত ভিন্নমত পােষণ করে বলেন, ইমামের ওপর মুসলমানদের বিধান মুতাবিক তাদের বিচার করা জরুরী। আর মুসলমানরা হদ্দযােগ্য কোন অপরাধে লিপ্ত হলে যেক্ষেত্রে ইমামের ওপর মুসলমানদের প্রতি তা প্রতিষ্ঠা করা ওয়াজিব হবে, যিম্মীদের প্রতিও প্রতিষ্ঠা করা তার ওপর ওয়াজিব হবে। অবশ্য যেসব বিষয়কে তারা তাদের ধর্মে হালাল মনে করে, যেমন মদ্যপান করা ও অনুরূপ বিষয়, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতি হদ্দ প্রতিষ্ঠা করা হবে না। সেক্ষেত্রে মুসলমানদের অবস্থা ও তাদের অবস্থায় পার্থক্য হবে। কারণ মুসলমানদেরকে তাে এমন অপরাধে শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু যিম্মীদেরকে এজন্য শাস্তি দেয়া হবে না। অবশ্য যিনার রজম- এর ব্যাপার এর থেকে ভিন্ন (যদিও এটা তাদের ধর্মেও অপরাধ)। তাদের মতে যিম্মীদের ওপর রজম কায়েম করা হবে না। কারণ রজম কায়েম করার জন্য احصان জরুরী আর যেসব কারণে তাদের মনে احصان ওয়াজিব হয়, তার মধ্যে একটি হলাে ইসলাম (আর ইয়াহদীরা মুসলমান নয়)।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আমের শা'বী, ইবরাহীম নাখঈ, হাসান বসরী, মালিক, শাফিঈ (একমত অনুসারে) উদ্দেশ্য।
আল্লামা ইব্ন হাযম (রাহঃ) বলেন, যিম্মীদের ওপর হদ্দ কায়েম করা হবে কি হবে না, এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, যিনার অপরাধে যিম্মীদের ওপর হদ্দ কায়েম করা হবে না। হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, যিম্মীদের ওপর চুরির হদ্দ প্রতিষ্ঠা করা হবে না। ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন, তাদের ওপর যিনা ও মদ্যপানের অপরাধে কোন হদ্দ হবে না। কিন্তু ইমাম শাফিঈ ও তার অনুসারীগণ বলেন, এসব অপরাধেই তাদের ওপর হদ্দ জারী হবে।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা মুজাহিদ, ইকরিমা, যুহরী, উমর ইবন আব্দুল আযীয, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও (এক মতে) ইমাম শাফিঈ উদ্দেশ্য। কিন্তু তাদের পরস্পরে মতপার্থক্য রয়েছে।
তবে এ ছাড়া কানুন লংঘনের দায়ে যে সমস্ত অনিবার্য শাস্তি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে যিম্মীরা মুসলমানদের মতই শাস্তির যােগ্য এবং ইমামের জন্য তাদের উপর হদ্দ কায়েম করা ওয়াজিব- যদিও তারা বিচারের জন্য তার শরণাপন্ন না হয়। যেমন মুসলমানদের ওপর তা প্রতিষ্ঠা করা তার ওপর ওয়াজিব, তারা তার শরণাপন্ন না হলেও। আর এ ব্যাপারে তাদের দলীল হলাে, হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস। উক্ত হাদীসে হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এ খবর প্রদান করেছেন : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ الْيَهُودَ حِينَ تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ
অর্থাৎ ইয়াহূদীরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট বিচারের জন্য মামলা দায়ের করেছিল, তখন তিনি ইয়াহদীকে রজম করেছিলেন। হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) এ কথা বলেননি, বরং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলেছেন,إِنَّمَا رَجَمْتُهُمْ لِأَنَّهُمْ تَحَاكَمُوا إِلَيَّ অর্থাৎ “আমি তাদেরকে রজম এজন্য করেছি যে, তারা আমার নিকট বিচার প্রার্থী হয়ে এসেছিল।" যদি তিনি এ কথা বলতেন, তাহলে বুঝা যেত যে, তার পক্ষ হতে রজম করার হুকুম কেবল তখনই হবে, যখন তারা তাঁর নিকট মামলা দায়ের করবে। আর তারা যদি তাঁর নিকট মামলার জন্য রুজ না করে, তবে সে ক্ষেত্রে তাদের সমস্যার ব্যাপারে তিনি কোন চিন্তা-ভাবনা করবেন না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এ ধরনের কিছু বর্ণিত হয়নি। যা বর্ণিত হয়েছে তা এই যে, তিনি তাদের ওপর রজম প্রয়ােগ করেছেন যখন তারা বিচারের জন্য তার নিকট মামলা দায়ের করেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট তারা যখন মামলা দায়ের করেছিল, তখন তিনি তাদের ব্যাপারে কি করেছিলেন এবং কি হুকুম দিয়েছিলেন হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) কেবল সেই খবরই দিয়েছেন। তারা মামলা দায়ের না করলে তাদের ওপর হদ্দ প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হবে কি হবে না, হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) এ খবর দেননি। অতএব (মুসলমান শাসকের নিকট মামলা করলে যে যিম্মীদের কোন বিচার করা যাবে না) এ বিষয়ে এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ এ হতে কোন দলীল-প্রমাণের অস্তিত্বই বাতিল হলাে। আর হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) নিজের মতে এমন কোন মন্তব্য করেছেন তারও কোন প্রমাণ নেই।
তারপর আমরা অন্যান্য রিওয়ায়াতে চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি তার মধ্যে এ ব্যাপারে কোন দলীল প্রমাণ পাওয়া যায় কি না, তখন আমরা দেখতে পাই :
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যিম্মীরা যখন হদ্দযােগ্য কোন অপরাধে লিপ্ত হয়, তাদের ওপর মুসলমান শাসকগণ তাদের বিচার কার্যকর করবে না যাবত না তারা তাদের নিকট মামলা দায়ের করবে এবং তারা তাদের বিচারকার্যে রাজী হবে। যখন তারা মুসলমান শাসকদের নিকট মামলা দায়ের করবে, তখন শাসক ইমামের ইখতিয়ার থাকবে, ইচ্ছা হলে তাদের বিচার হতে বিরত থাকবেন এবং তাদের ব্যাপারে কোন চিন্তা-ভাবনা করবেন না। আর ইচ্ছা হলে তাদের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। আর তাদের এ মতের পক্ষে তারা আল্লাহ পাকের এ আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন :فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ
“যদি তারা তােমার নিকট আসে, তবে তুমি তাদের মাঝে বিচার কর কিংবা তাদের থেকে বিরত থাক।”
আর উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাআত ভিন্নমত পােষণ করে বলেন, ইমামের ওপর মুসলমানদের বিধান মুতাবিক তাদের বিচার করা জরুরী। আর মুসলমানরা হদ্দযােগ্য কোন অপরাধে লিপ্ত হলে যেক্ষেত্রে ইমামের ওপর মুসলমানদের প্রতি তা প্রতিষ্ঠা করা ওয়াজিব হবে, যিম্মীদের প্রতিও প্রতিষ্ঠা করা তার ওপর ওয়াজিব হবে। অবশ্য যেসব বিষয়কে তারা তাদের ধর্মে হালাল মনে করে, যেমন মদ্যপান করা ও অনুরূপ বিষয়, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতি হদ্দ প্রতিষ্ঠা করা হবে না। সেক্ষেত্রে মুসলমানদের অবস্থা ও তাদের অবস্থায় পার্থক্য হবে। কারণ মুসলমানদেরকে তাে এমন অপরাধে শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু যিম্মীদেরকে এজন্য শাস্তি দেয়া হবে না। অবশ্য যিনার রজম- এর ব্যাপার এর থেকে ভিন্ন (যদিও এটা তাদের ধর্মেও অপরাধ)। তাদের মতে যিম্মীদের ওপর রজম কায়েম করা হবে না। কারণ রজম কায়েম করার জন্য احصان জরুরী আর যেসব কারণে তাদের মনে احصان ওয়াজিব হয়, তার মধ্যে একটি হলাে ইসলাম (আর ইয়াহদীরা মুসলমান নয়)।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আমের শা'বী, ইবরাহীম নাখঈ, হাসান বসরী, মালিক, শাফিঈ (একমত অনুসারে) উদ্দেশ্য।
আল্লামা ইব্ন হাযম (রাহঃ) বলেন, যিম্মীদের ওপর হদ্দ কায়েম করা হবে কি হবে না, এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, যিনার অপরাধে যিম্মীদের ওপর হদ্দ কায়েম করা হবে না। হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, যিম্মীদের ওপর চুরির হদ্দ প্রতিষ্ঠা করা হবে না। ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন, তাদের ওপর যিনা ও মদ্যপানের অপরাধে কোন হদ্দ হবে না। কিন্তু ইমাম শাফিঈ ও তার অনুসারীগণ বলেন, এসব অপরাধেই তাদের ওপর হদ্দ জারী হবে।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা মুজাহিদ, ইকরিমা, যুহরী, উমর ইবন আব্দুল আযীয, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও (এক মতে) ইমাম শাফিঈ উদ্দেশ্য। কিন্তু তাদের পরস্পরে মতপার্থক্য রয়েছে।
তবে এ ছাড়া কানুন লংঘনের দায়ে যে সমস্ত অনিবার্য শাস্তি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে যিম্মীরা মুসলমানদের মতই শাস্তির যােগ্য এবং ইমামের জন্য তাদের উপর হদ্দ কায়েম করা ওয়াজিব- যদিও তারা বিচারের জন্য তার শরণাপন্ন না হয়। যেমন মুসলমানদের ওপর তা প্রতিষ্ঠা করা তার ওপর ওয়াজিব, তারা তার শরণাপন্ন না হলেও। আর এ ব্যাপারে তাদের দলীল হলাে, হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস। উক্ত হাদীসে হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এ খবর প্রদান করেছেন : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ الْيَهُودَ حِينَ تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ
অর্থাৎ ইয়াহূদীরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট বিচারের জন্য মামলা দায়ের করেছিল, তখন তিনি ইয়াহদীকে রজম করেছিলেন। হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) এ কথা বলেননি, বরং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একথা বলেছেন,إِنَّمَا رَجَمْتُهُمْ لِأَنَّهُمْ تَحَاكَمُوا إِلَيَّ অর্থাৎ “আমি তাদেরকে রজম এজন্য করেছি যে, তারা আমার নিকট বিচার প্রার্থী হয়ে এসেছিল।" যদি তিনি এ কথা বলতেন, তাহলে বুঝা যেত যে, তার পক্ষ হতে রজম করার হুকুম কেবল তখনই হবে, যখন তারা তাঁর নিকট মামলা দায়ের করবে। আর তারা যদি তাঁর নিকট মামলার জন্য রুজ না করে, তবে সে ক্ষেত্রে তাদের সমস্যার ব্যাপারে তিনি কোন চিন্তা-ভাবনা করবেন না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এ ধরনের কিছু বর্ণিত হয়নি। যা বর্ণিত হয়েছে তা এই যে, তিনি তাদের ওপর রজম প্রয়ােগ করেছেন যখন তারা বিচারের জন্য তার নিকট মামলা দায়ের করেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট তারা যখন মামলা দায়ের করেছিল, তখন তিনি তাদের ব্যাপারে কি করেছিলেন এবং কি হুকুম দিয়েছিলেন হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) কেবল সেই খবরই দিয়েছেন। তারা মামলা দায়ের না করলে তাদের ওপর হদ্দ প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হবে কি হবে না, হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) এ খবর দেননি। অতএব (মুসলমান শাসকের নিকট মামলা করলে যে যিম্মীদের কোন বিচার করা যাবে না) এ বিষয়ে এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ এ হতে কোন দলীল-প্রমাণের অস্তিত্বই বাতিল হলাে। আর হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) নিজের মতে এমন কোন মন্তব্য করেছেন তারও কোন প্রমাণ নেই।
তারপর আমরা অন্যান্য রিওয়ায়াতে চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি তার মধ্যে এ ব্যাপারে কোন দলীল প্রমাণ পাওয়া যায় কি না, তখন আমরা দেখতে পাই :
كِتَابُ الْقَضَاءِ وَالشَّهَادَاتِ بَابُ الْقَضَاءِ بَيْنَ أَهْلِ الذِّمَّةِ
6108 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ يَهُودِيًّا وَيَهُودِيَّةً حِينَ تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ أَهْلَ الذِّمَّةِ إِذَا أَصَابُوا شَيْئًا مِنْ حُدُودِ اللهِ تَعَالَى لَمْ يَحْكُمْ عَلَيْهِمِ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى يَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِمْ وَيَرْضَوْا بِحُكْمِهِمْ فَإِذَا تَحَاكَمُوا إِلَيْهِمْ كَانَ الْإِمَامُ مُخَيَّرًا إِنْ شَاءَ أَعْرَضَ عَنْهُمْ فَلَمْ يَنْظُرْ فِيمَا بَيْنَهُمْ وَإِنْ شَاءَ حَكَمَ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِقَوْلِ اللهِ تَعَالَى فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: عَلَى الْإِمَامِ أَنْ يَحْكُمَ بَيْنَهُمْ بِأَحْكَامِ الْمُسْلِمِينَ فَكُلَّمَا وَجَبَ عَلَى الْإِمَامِ أَنْ يُقِيمَهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فِيمَا أَصَابُوا مِنَ الْحُدُودِ وَجَبَ عَلَيْهِ أَنْ يُقِيمَهُ عَلَى أَهْلِ الذِّمَّةِ غَيْرَ مَا اسْتَحَلُّوا بِهِ فِي دِينِهِمْ كَشُرْبِهِمِ الْخَمْرَ وَمَا أَشْبَهَهُ وَأَنَّ ذَلِكَ يَخْتَلِفُ حَالُهُمْ فِيهِ وَحَالُ الْمُسْلِمِينَ يُعَاقَبُونَ عَلَى ذَلِكَ وَأَهْلُ الذِّمَّةِ لَا يُعَاقَبُونَ عَلَيْهِ مَا خَلَا الرَّجْمَ فِي الزِّنَا فَإِنَّهُ لَا يُقَامُ عِنْدَهُمْ عَلَى أَهْلِ الذِّمَّةِ لِأَنَّ الْأَسْبَابَ الَّتِي يَجِبُ بِهَا الْإِحْصَانُ فِي قَوْلِهِمْ أَحَدُهَا الْإِسْلَامُ. فَأَمَّا مَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْعُقُوبَاتِ الْوَاجِبَاتِ فِي انْتِهَاكِ الْحُرُمَاتِ فَإِنَّ أَهْلَ الذِّمَّةِ فِيهِ كَأَهْلِ الْإِسْلَامِ وَيَجِبُ عَلَى الْإِمَامِ أَنْ يُقِيمَهُ عَلَيْهِمْ وَإِنْ لَمْ يَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِ كَمَا يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُقِيمَهُ عَلَى أَهْلِ الْإِسْلَامِ وَإِنْ لَمْ يَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ الَّذِي ذَكَرْنَا أَنَّهُ إِنَّمَا أَخْبَرَ فِيهِ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَمَ الْيَهُودَ حِينَ تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ. وَلَمْ يَقُلْ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّمَا رَجَمْتُهُمْ لِأَنَّهُمْ تَحَاكَمُوا إِلَيَّ. وَلَوْ كَانَ قَالَ ذَلِكَ لَعُلِمَ أَنَّ الْحَكَمَ مِنْهُ إِنَّمَا يَكُونُ إِلَيْهِ بَعْدَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِ وَأَنَّهُمْ إِذَا لَمْ يَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِ لَمْ يَنْظُرْ فِي أُمُورِهِمْ. وَلَكِنَّهُ لَمْ يَجِئْ إِنَّمَا جَاءَ عَنْهُ أَنَّهُ رَجَمَهُمْ حِينَ تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ. فَإِنَّمَا أَخْبَرَ عَنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحُكْمِهِ إِذْ تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ وَلَمْ يُخْبِرْ عَنْ حُكْمِهِمْ عِنْدَهُ قَبْلَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَيْهِ هَلْ يَجِبُ عَلَيْهِمْ فِيهِ إِقَامَةُ الْحَدِّ أَمْ لَا؟ . فَبَطَلَ أَنْ يَكُونَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلَالَةٌ فِي ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِنْ رَأْيِهِ. ثُمَّ نَظَرْنَا فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الْآثَارِ هَلْ نَجِدُ فِيهِ مَا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
فَإِذَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَدْ
فَإِذَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১০৯
যিম্মীদের মাঝে বিচার
৬১০৯। আহমদ ইব্ন আবু ইমরান ..... আমের শা'বী হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। একবার ইয়াহূদীরা ব্যাভিচার করেছিল এমন একজন পুরুষ ও মহিলাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হলাে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে বললেন, তােমাদের মধ্য হতে চারজন লােক নিয়ে এস, যারা সাক্ষ্য প্রদান করবে।
এ দ্বারা প্রমাণ হয় যে, বিবাদী পুরুষ ও মহিলা যাদের ব্যভিচারের দাবি করা হয়েছে, তাদের পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে এ ব্যাপারে হাকিম ও ফয়সালাকারী সাব্যস্ত করার পূর্বেই তিনি তাদের ফয়সালার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা। করছিলেন। কারণ তারা এ অভিযােগ অস্বীকার করছিল। তারা যদি অভিযোেগ স্বীকারই করত, তবে তাে আর চার সাক্ষী উপস্থিত করার কোন প্রয়ােজনই ছিল না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হযরত বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) কর্তৃক যে হাদীস বর্ণিত, তাও এ কথাই প্রমাণ করে :
এ দ্বারা প্রমাণ হয় যে, বিবাদী পুরুষ ও মহিলা যাদের ব্যভিচারের দাবি করা হয়েছে, তাদের পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে এ ব্যাপারে হাকিম ও ফয়সালাকারী সাব্যস্ত করার পূর্বেই তিনি তাদের ফয়সালার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা। করছিলেন। কারণ তারা এ অভিযােগ অস্বীকার করছিল। তারা যদি অভিযোেগ স্বীকারই করত, তবে তাে আর চার সাক্ষী উপস্থিত করার কোন প্রয়ােজনই ছিল না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হযরত বারা ইব্ন আযিব (রাযিঃ) কর্তৃক যে হাদীস বর্ণিত, তাও এ কথাই প্রমাণ করে :
6109 - فَإِذَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: ثنا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ الْيَهُودَ جَاءُوا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلٍ وَامْرَأَةٍ مِنْهُمَا زَنَيَا. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ائْتُوا بِأَرْبَعَةٍ مِنْكُمْ يَشْهَدُونَ» فَثَبَتَ بِهَذَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ يَنْظُرُ بَيْنَهُمْ قَبْلَ أَنْ يَحْكُمَهُ الرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ الْمُدَّعَى عَلَيْهِمَا الزِّنَا لِأَنَّهُمَا جَمِيعًا جَاحِدَانِ وَلَوْ كَانَا مُقِرَّيْنِ لَمَا احْتَاجَ مَعَ إِقْرَارِهِمَا إِلَى أَرْبَعَةٍ يَشْهَدُونَ. وَرُوِيَ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১১০
যিম্মীদের মাঝে বিচার
৬১১০। ফাহদ .....আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মুররাহ হযরত বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট দিয়ে এক ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হলাে, যাকে প্রহার করে মুখে কালি প্রলেপ দিয়ে প্রদক্ষিণ করানাে হচ্ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যক্তির অবস্থা কি ? তারা বললাে, সে ব্যভিচার করেছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তােমাদের কিতাবে এর কি দণ্ড বিধান রয়েছে ? তারা বললাে, তার মুখমণ্ডলে কালির প্রলেপ দেয়া হবে, শাস্তি (তা'যীর) দেয়া হবে এবং শহর প্রদক্ষিণ করানাে হবে। অতঃপর তিনি বললেন, আমি তােমাদের কসম দিয়ে বলছি (তােমরা সত্য বল), তােমাদের কিতাবে এর জন্য কি দণ্ড-বিধান রয়েছে। তখন তারা তাদেরই এক ব্যক্তির দিকে ইশারা করল । রাসূলুল্লাহ (ﷺ) : তাকে জিজ্ঞেস করলেন। সে বললাে, আমরা তাওরাত গ্রন্থে রজমের বিধানই পাই । কিন্তু আমাদের অভিজাত পরিবারে এ অপরাধ অনেক বেশী ছড়িয়ে পড়েছে। অতএব আমাদের নিম্নশ্রেণীর ওপর এ দণ্ড-বিধান প্রয়ােগ করব এবং অভিজাতদের ছেড়ে দিব, এটা আমরা পসন্দ করতে পারিনি। কাজেই আমরা একটি ভিন্ন হুকুমের ওপর আপােস করে নিয়েছি এবং রজমের এ হুকুম আমরা রহিত করেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ তার ওপর রজমের হুকুম প্রয়ােগ করলেন। এবং তিনি বললেন, তারা আল্লাহর যে হুকুম মিটিয়ে দিয়েছে , তা পুনরায় সজীব করার জন্য আমিই যথাযােগ্য।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, নবী (ﷺ) -এর জন্য তাদের মাঝে ফয়সালা করার এখতিয়ার ছিল যদিও তার তাঁকে হাকিম ও ফয়সালাকারী সাব্যস্ত করেনি। কারণ এ হাদীসে তাে এ কথা প্রকাশ পেয়েছে যে, তারা অপরাধীর মুখে কালির প্রলেপ দিয়ে অতিক্রম করেছিল (এবং হাদীসে বর্ণিত অবশিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল)। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাদের এ কাজকে অস্বীকার করে তার নিকট আসার পূর্বেই তাদেরকে ডাকলেন এবং আল্লাহর যে হুকুম তারা অকেজো করেছিল ও পরিবর্তন করেছিল, সেই হুকুমই তাদের ওপর প্রয়ােগ করলেন, তাতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তারা তাঁকে হাকিম সাব্যস্ত করুক কিংবা না করুক, তার জন্য তাদের ফয়সালা করার অধিকার রয়েছে। এসব রিওয়ায়াতে যে দলীল রয়েছে তা হলাে যার ওপর আমরা আলােচনা করলাম। তবে আল্লাহ পাক যে ইরশাদ করেছেন : فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ
“যদি তারা আপনার নিকট (মামলা নিয়ে আসে তবে তাদের মধ্যে ফয়সালা করুন, কিংবা তাদের ফয়সালা হতে বিরত থাকুন।” তাদের এ দলীলের জবাব হলাে, এ আয়াত মানসূখ হয়ে গেছে।
এ হাদীস এ কথাই প্রমাণ করে যে, নবী (ﷺ) -এর জন্য তাদের মাঝে ফয়সালা করার এখতিয়ার ছিল যদিও তার তাঁকে হাকিম ও ফয়সালাকারী সাব্যস্ত করেনি। কারণ এ হাদীসে তাে এ কথা প্রকাশ পেয়েছে যে, তারা অপরাধীর মুখে কালির প্রলেপ দিয়ে অতিক্রম করেছিল (এবং হাদীসে বর্ণিত অবশিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল)। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাদের এ কাজকে অস্বীকার করে তার নিকট আসার পূর্বেই তাদেরকে ডাকলেন এবং আল্লাহর যে হুকুম তারা অকেজো করেছিল ও পরিবর্তন করেছিল, সেই হুকুমই তাদের ওপর প্রয়ােগ করলেন, তাতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তারা তাঁকে হাকিম সাব্যস্ত করুক কিংবা না করুক, তার জন্য তাদের ফয়সালা করার অধিকার রয়েছে। এসব রিওয়ায়াতে যে দলীল রয়েছে তা হলাে যার ওপর আমরা আলােচনা করলাম। তবে আল্লাহ পাক যে ইরশাদ করেছেন : فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ
“যদি তারা আপনার নিকট (মামলা নিয়ে আসে তবে তাদের মধ্যে ফয়সালা করুন, কিংবা তাদের ফয়সালা হতে বিরত থাকুন।” তাদের এ দলীলের জবাব হলাে, এ আয়াত মানসূখ হয়ে গেছে।
6110 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ قَالَ: ثنا أَبِي عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُرَّةَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: مُرَّ عَلَى رَسُولِ اللهِ بِرَجُلٍ قَدْ حُمِّمَ وَجْهُهُ وَقَدْ ضُرِبَ يُطَافُ بِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا شَأْنُ هَذَا» ، قَالُوا: زَنَى قَالَ: «فَمَا تَجِدُونَ فِي كِتَابِكُمْ» ، قَالُوا: يُحَمَّمُ وَجْهُهُ وَيُعَزَّرُ وَيُطَافُ بِهِ. فَقَالَ: «أَنْشُدُكُمُ اللهَ مَا تَجِدُونَ حَدَّهُ فِي كِتَابِكُمْ؟» ، فَأَشَارُوا إِلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ فَسَأَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ الرَّجُلُ: نَجِدُ فِي التَّوْرَاةِ الرَّجْمَ وَلَكِنَّهُ كَثُرَ فِي أَشْرَافِنَا فَكَرِهْنَا أَنْ نُقِيمَ الْحَدَّ عَلَى سَفَلَتِنَا وَنَدَعَ أَشْرَافَنَا فَاصْطَلَحْنَا عَلَى شَيْءٍ فَوَضَعْنَا هَذَا. فَرَجَمَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: «أَنَا أَوْلَى مَنْ أَحْيَا مَا أَمَاتُوا مِنْ أَمْرِ اللهِ» فَفِي هَذَا مَا يَدُلُّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانَ لَهُ أَنْ يَحْكُمَ بَيْنَهُمْ وَإِنْ لَمْ يُحَكِّمُوهُ لِأَنَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُمْ مَرُّوا بِهِ وَهُوَ مُحَمَّمٌ فَذَكَرَ بَاقِيَ الْحَدِيثِ ثُمَّ رَجَمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا دَعَاهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْكَارًا لِمَا فَعَلُوهُ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتُوهُ فَرَدَّ أَمْرَهُمْ إِلَى حُكْمِ اللهِ الَّذِي قَدْ عَطَّلُوهُ وَغَيَّرُوهُ ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ لَهُ أَنْ يَحْكُمَ فِيمَا بَيْنَهُمْ حَكَّمُوهُ أَوْ لَمْ يُحَكِّمُوهُ. فَهَذَا مَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ مِنَ الدَّلَائِلِ عَلَى مَا قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَيْهِ. وَأَمَّا قَوْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ فَإِنَّ الَّذِي ذَهَبُوا فِيهِ إِلَى تَثْبِيتِ الْحُكْمِ يَقُولُونَ: هِيَ مَنْسُوخَةٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬১১১
যিম্মীদের মাঝে বিচার
৬১১১। ইব্ন মারক ..... সুদ্দী ইকরিমা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ আয়াতটি পরবর্তী আয়াত : وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ “যে বিধান আল্লাহ্ নাযিল করেছেন আপনি তার মাধ্যমে তাদের মাঝে ফায়সালা করুন তাদের প্রবৃত্তির আপনি অনুসরণ করবেন না।” কিন্তু প্রতিপক্ষ অন্য উলামা-ই কিরাম বলেন, আয়াতের অর্থ হলাে, যদি আপনাকে হাকিম মেনে নেয়া হয়, তবে আপনি তাদের মাঝে আল্লাহ যে বিধান নাযিল করেছেন তদনুসারে ফায়সালা করুন। যখন আয়াতের ব্যাখ্যায় মতপার্থক্য হয়েছে, অথচ উল্লেখিত রিওয়ায়াতসমূহ যা আমরা উল্লেখ করেছি, তা-ই প্রমাণ করে যা আমরা উল্লেখ করেছি। সে ক্ষেত্রে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ইমামের ওপর তাদের ফয়সালা করা জরুরী। তার জন্য ফায়সালা না করার কোন সুযােগ নেই। কারণ ফয়সালা করলেই কেবল সকলের বক্তব্য মুতাবিক মুক্তি লাভ হয়।
কারণ, যিনি এ কথা বলেন যে, ইমামের ওপর তাদের ফয়সালা করা জরুরী, ফয়সালা না করলে তিনি বলবেন, যে কাজ তার ওপর জরুরী ছিল তা তিনি ত্যাগ করেছেন। আর যিনি বলেন, ফয়সালা না করার এখতিয়ার আছে। ফয়সালা না করলে তিনি বলবেন, যে কাজ না করার তাঁর এখতিয়ার ছিল, তা তিনি করেননি। কিন্তু তিনি যখন ফয়সালা করবেন, তখন উভয় দলই তার পক্ষে নাজাতের সাক্ষ্য প্রদান করবে। কিন্তু ফয়সালা না করলে তার জন্য এ উভয় দল সাক্ষ্য প্রদান করবে না। অতএব আমাদের জন্য উত্তম কাজ সেটাই, যার মধ্যে মুক্তি রয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। সেটা উত্তম নয়, যার মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে রয়েছে মুক্তির বিপরীত।
যিম্মীদের ওপর ফয়সালা করা ইমামের কর্তব্য বলে যে মতের আমরা উল্লেখ করেছি, তা হলে ইমাম, হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ -এর মাযহাব।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আপনারা যে হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেন, তার কিছু অংশত ত্যাগ করেন।. কারণ, ইয়াহূদীরা ব্যভিচার করলে তাদের ওপর আপনারা রজম প্রয়োগ করেন না।
তবে তার জবাবে বলা হবে, হযরত মুসা (আ)-এর যামানায় محصن. (মুহসান) ও غير محصن (যারা মুহসান নয়) তাদের উভয়ের ওপর রজম প্রয়ােগ করা হতাে। অনুরূপভাবে যে ইয়াহুদীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) : তাদের কিতাবে ব্যাভিচারীর হদ্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেও অনুরূপ জবাব দিয়েছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অস্বীকার করেন নি। সুতরাং নবী -এর ওপর তার অনুসরণ করা ও তার ওপর আমল করা জরুরী। কারণ কোন নূতন নবীর জন্য তাঁর পূর্ববর্তী নবীর শরীআতের অনুসরণ করা জরুরী, যাবত না আল্লাহ্ তাআলা নতুন শরীআত নাযিল করে পূর্বের শরীআত মানসূখ করেন। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهِ “তারা হলেন সেই সকল মহান ব্যক্তি, যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত প্রদান করেছেন, অতএব আপনি তাদের হিদায়াতের অনুসরণ করুন।”
অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই হুকুম মুতাবিক উল্লেখিত দুজন ইয়াহূদী পুরুষ মহিলাকে রজম করছিলেন। তার পর এ শরীআত মানসূখ হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছে :وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
“তােমাদের মহিলাদের মধ্য হতে যারা অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়, তাদের ওপর তােমরা চারজন সাক্ষী পেশ কর। তারা যদি সাক্ষ্য দেয়, তবে তাদেরকে ঘরে আটকিয়ে রাখ; যাবত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য কোন পথ করে দেন।
উল্লেখিত এ আয়াত পূর্ববর্তী হুকুমকে মানসূখ করে দেয় কিন্তু এ নতুন হুকুমে محصن ও غير محصن এর মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা এ হুকুমও মানসূখ করেন এবং পরবর্তী আয়াত দ্বারা এ অপরাধের দণ্ড-বিধানে বিশেষ শাস্তি নির্ধারণ করেন। কিন্তু তাতেও তিনি محصن ও غير محصن এর মধ্যে কোন পার্থক্য করেননি। তারপর তাদের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা মুক্তির নতুন পথ বের করে দেন।الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَعْذِيبُ عَامٍ وَالثَّيِّبُ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ
অর্থাৎ “অবিবাহিত পুরুষ অবিবাহিত মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তরের শাস্তি । আর বিবাহিত পুরুষ বিবাহিতা মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে একশ বেত্রাঘাত ও রজম'-এর শাস্তি।
এ নতুন নির্দেশের محصن ও غير محصن এর হদ্দ'-এর মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে। তারপর লােকেরা احصان শব্দের ব্যাখ্যায় মতপার্থক্য করেছেন। একদল আলিম বলেন, (কেবল বিবাহ করেই) পুরুষ তার স্ত্রীর। কল্যাণে মুহসান হয় না। আর না স্ত্রী তার স্বামীর কল্যাণে মুহসান হয়। যাবত না তারা আযাদ, মুসলমান ও বালেগ হবে এবং বালেগ অবস্থায় সঠিক বিবাহের মাধ্যমে তারা সহবাস করবে।
যারা এ মত পােষণ করেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
অপর একদল আলিম বলেন, আহলে কিতাব (স্বামী-স্ত্রী) একে অন্যকে মুহসান বানিয়ে দেয়। মুসলমান (স্বামী) নাসারা (স্ত্রী)-কেও মুহসানাহ বানায় কিন্তু নাসারা (স্ত্রী) মুসলমান (স্বামী)-কে মুহসান করে না।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম হলেন ইবরাহীম নাখঈ, তাউস, মুসা ইবন উকবা, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও মালিক (রাহঃ)।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ ভিন্নমত পােষণকারী আলিম দ্বারা সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব, হাসান বসরী আতা ইবন আবু রাবাহ, সাঈদ ইবন জুবায়র, ইমাম শাফিঈ ও আহমদ উদ্দেশ্য।
সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব তাঁর পিতা হতে আমার নিকট যা বর্ণনা করেছেন, সে অনুসারে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এ মতই পােষণ করতেন, যা “ইমলা”-এর মধ্যে বিদ্যমান। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে ইরশাদ করেছেন, الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ অর্থাৎ বিবাহিত পুরুষ বিবাহিতা মহিলার সাথে ব্যভিচার করলে রজম প্রয়ােগ করা হবে। এ রিওয়ায়াতে যে ثيب শব্দ রয়েছে, হতে পারে এর দ্বারা সর্ব প্রকার ثيب উদ্দেশ্য। আর এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, এর দ্বারা এক বিশেষ ধরনের ثيب উদ্দেশ্য। অতঃপর যুক্তি ও গভীর চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, গােলাম এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর গােলাম “মুহসান” ও হয় না; চাই সে ثيب হােক কিংবা بكر হােক। আর সে তার স্ত্রীকে মুহসানা করে না। চাই তার স্ত্রী আযাদ মহিলা হােক কিংবা বাদী।
অনুরূপভাবে বাদী তার স্বামীর বদৌলতে মুহসানা হয় না, চাই তার স্বামী আযাদ হােক কিংবা গােলাম। অতএব আমরা যে আলােচনা করলাম এতে প্রমাণিত হলাে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ এর মধ্যে ثيب শব্দটি বিশেষ এক প্রকার ثيب :-এর ওপর প্রয়ােগ করা হয়েছে। সর্বপ্রকার ثيب এর ওপর এর প্রয়ােগ করা হয়নি। অতএব যে বিষয়ে উলামা-ই কিরাম একমত পােষণ করেন যে, ثيب এক বিশেষ অর্থে প্রয়ােগ করা হয়েছে, তার মধ্যে কেবল সেটাই দাখিল হবে, যার দাখিল হবার ব্যাপারেও তারা একমত পােষণ করেন। আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, দু-জন আযাদ মুসলমান বালেগ, যারা পরস্পরে স্বামী-স্ত্রী, যাদের পরস্পরে সহবাসও হয়েছে, তারা দু'জন মুহসান। কিন্তু যারা এমন নয়, তাদের ব্যাপারে তারা মতপার্থক্য করেন। আর আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, এ শ্রেণীর মুহসান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আমরা তাদেরকে এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর যেহেতু এদের ছাড়া আর যারা রয়েছে, তাদের সম্পর্কে আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে, তারা এর মধ্যে দাখিল, সুতরাং আমরা তাদেরকে এর থেকে বের করে দিয়েছি।
আর কিয়াসের দাবিও এই যে, যখন বাদি তার আযাদ স্বামীকে মুহসান করে না, আর আযাদ স্বামীও তার বাদী স্ত্রীকে মুহসান করে না, বাদী স্ত্রী যেমন তার আযাদ স্বামীকে মুহসান না করতে পারায়, সে তার ঐ আযাদ স্বামীর মতই, যে তার বাদী স্ত্রীকে محصن করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে নাসারা স্ত্রীও অনুরূপ হবে। সে যেমন তার মুসলমান স্বামীকে মহসান করতে পারে না, অনুরূপভাবে তার মুসলমান স্বামীও তাকে মুহসানা করতে পারে না। আর আমরা বাদীকে দেখেছি, কোন মুসলমান স্বামীকে মুহসান করা যখন তার পক্ষে বাতিল, কোন কাফিরকেও মুহসান করা তার পক্ষে বাতিল। যুক্তি ও কিয়াসের দাবি এটাই, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি।وَاللهُ تَعَالَى أَعْلَمُ
কারণ, যিনি এ কথা বলেন যে, ইমামের ওপর তাদের ফয়সালা করা জরুরী, ফয়সালা না করলে তিনি বলবেন, যে কাজ তার ওপর জরুরী ছিল তা তিনি ত্যাগ করেছেন। আর যিনি বলেন, ফয়সালা না করার এখতিয়ার আছে। ফয়সালা না করলে তিনি বলবেন, যে কাজ না করার তাঁর এখতিয়ার ছিল, তা তিনি করেননি। কিন্তু তিনি যখন ফয়সালা করবেন, তখন উভয় দলই তার পক্ষে নাজাতের সাক্ষ্য প্রদান করবে। কিন্তু ফয়সালা না করলে তার জন্য এ উভয় দল সাক্ষ্য প্রদান করবে না। অতএব আমাদের জন্য উত্তম কাজ সেটাই, যার মধ্যে মুক্তি রয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। সেটা উত্তম নয়, যার মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে রয়েছে মুক্তির বিপরীত।
যিম্মীদের ওপর ফয়সালা করা ইমামের কর্তব্য বলে যে মতের আমরা উল্লেখ করেছি, তা হলে ইমাম, হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ -এর মাযহাব।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, আপনারা যে হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেন, তার কিছু অংশত ত্যাগ করেন।. কারণ, ইয়াহূদীরা ব্যভিচার করলে তাদের ওপর আপনারা রজম প্রয়োগ করেন না।
তবে তার জবাবে বলা হবে, হযরত মুসা (আ)-এর যামানায় محصن. (মুহসান) ও غير محصن (যারা মুহসান নয়) তাদের উভয়ের ওপর রজম প্রয়ােগ করা হতাে। অনুরূপভাবে যে ইয়াহুদীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) : তাদের কিতাবে ব্যাভিচারীর হদ্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সেও অনুরূপ জবাব দিয়েছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অস্বীকার করেন নি। সুতরাং নবী -এর ওপর তার অনুসরণ করা ও তার ওপর আমল করা জরুরী। কারণ কোন নূতন নবীর জন্য তাঁর পূর্ববর্তী নবীর শরীআতের অনুসরণ করা জরুরী, যাবত না আল্লাহ্ তাআলা নতুন শরীআত নাযিল করে পূর্বের শরীআত মানসূখ করেন। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهِ “তারা হলেন সেই সকল মহান ব্যক্তি, যাদেরকে আল্লাহ হিদায়াত প্রদান করেছেন, অতএব আপনি তাদের হিদায়াতের অনুসরণ করুন।”
অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই হুকুম মুতাবিক উল্লেখিত দুজন ইয়াহূদী পুরুষ মহিলাকে রজম করছিলেন। তার পর এ শরীআত মানসূখ হয়ে যায়। ইরশাদ হচ্ছে :وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا
“তােমাদের মহিলাদের মধ্য হতে যারা অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়, তাদের ওপর তােমরা চারজন সাক্ষী পেশ কর। তারা যদি সাক্ষ্য দেয়, তবে তাদেরকে ঘরে আটকিয়ে রাখ; যাবত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য কোন পথ করে দেন।
উল্লেখিত এ আয়াত পূর্ববর্তী হুকুমকে মানসূখ করে দেয় কিন্তু এ নতুন হুকুমে محصن ও غير محصن এর মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা এ হুকুমও মানসূখ করেন এবং পরবর্তী আয়াত দ্বারা এ অপরাধের দণ্ড-বিধানে বিশেষ শাস্তি নির্ধারণ করেন। কিন্তু তাতেও তিনি محصن ও غير محصن এর মধ্যে কোন পার্থক্য করেননি। তারপর তাদের জন্য আল্লাহ্ তা'আলা মুক্তির নতুন পথ বের করে দেন।الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَعْذِيبُ عَامٍ وَالثَّيِّبُ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ
অর্থাৎ “অবিবাহিত পুরুষ অবিবাহিত মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের জন্য দেশান্তরের শাস্তি । আর বিবাহিত পুরুষ বিবাহিতা মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে একশ বেত্রাঘাত ও রজম'-এর শাস্তি।
এ নতুন নির্দেশের محصن ও غير محصن এর হদ্দ'-এর মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে। তারপর লােকেরা احصان শব্দের ব্যাখ্যায় মতপার্থক্য করেছেন। একদল আলিম বলেন, (কেবল বিবাহ করেই) পুরুষ তার স্ত্রীর। কল্যাণে মুহসান হয় না। আর না স্ত্রী তার স্বামীর কল্যাণে মুহসান হয়। যাবত না তারা আযাদ, মুসলমান ও বালেগ হবে এবং বালেগ অবস্থায় সঠিক বিবাহের মাধ্যমে তারা সহবাস করবে।
যারা এ মত পােষণ করেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
অপর একদল আলিম বলেন, আহলে কিতাব (স্বামী-স্ত্রী) একে অন্যকে মুহসান বানিয়ে দেয়। মুসলমান (স্বামী) নাসারা (স্ত্রী)-কেও মুহসানাহ বানায় কিন্তু নাসারা (স্ত্রী) মুসলমান (স্বামী)-কে মুহসান করে না।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ সমস্ত আলিম হলেন ইবরাহীম নাখঈ, তাউস, মুসা ইবন উকবা, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মাদ ও মালিক (রাহঃ)।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ ভিন্নমত পােষণকারী আলিম দ্বারা সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব, হাসান বসরী আতা ইবন আবু রাবাহ, সাঈদ ইবন জুবায়র, ইমাম শাফিঈ ও আহমদ উদ্দেশ্য।
সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব তাঁর পিতা হতে আমার নিকট যা বর্ণনা করেছেন, সে অনুসারে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এ মতই পােষণ করতেন, যা “ইমলা”-এর মধ্যে বিদ্যমান। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে ইরশাদ করেছেন, الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ অর্থাৎ বিবাহিত পুরুষ বিবাহিতা মহিলার সাথে ব্যভিচার করলে রজম প্রয়ােগ করা হবে। এ রিওয়ায়াতে যে ثيب শব্দ রয়েছে, হতে পারে এর দ্বারা সর্ব প্রকার ثيب উদ্দেশ্য। আর এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, এর দ্বারা এক বিশেষ ধরনের ثيب উদ্দেশ্য। অতঃপর যুক্তি ও গভীর চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, গােলাম এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর গােলাম “মুহসান” ও হয় না; চাই সে ثيب হােক কিংবা بكر হােক। আর সে তার স্ত্রীকে মুহসানা করে না। চাই তার স্ত্রী আযাদ মহিলা হােক কিংবা বাদী।
অনুরূপভাবে বাদী তার স্বামীর বদৌলতে মুহসানা হয় না, চাই তার স্বামী আযাদ হােক কিংবা গােলাম। অতএব আমরা যে আলােচনা করলাম এতে প্রমাণিত হলাে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ এর মধ্যে ثيب শব্দটি বিশেষ এক প্রকার ثيب :-এর ওপর প্রয়ােগ করা হয়েছে। সর্বপ্রকার ثيب এর ওপর এর প্রয়ােগ করা হয়নি। অতএব যে বিষয়ে উলামা-ই কিরাম একমত পােষণ করেন যে, ثيب এক বিশেষ অর্থে প্রয়ােগ করা হয়েছে, তার মধ্যে কেবল সেটাই দাখিল হবে, যার দাখিল হবার ব্যাপারেও তারা একমত পােষণ করেন। আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, দু-জন আযাদ মুসলমান বালেগ, যারা পরস্পরে স্বামী-স্ত্রী, যাদের পরস্পরে সহবাসও হয়েছে, তারা দু'জন মুহসান। কিন্তু যারা এমন নয়, তাদের ব্যাপারে তারা মতপার্থক্য করেন। আর আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, এ শ্রেণীর মুহসান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বক্তব্য الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আমরা তাদেরকে এ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর যেহেতু এদের ছাড়া আর যারা রয়েছে, তাদের সম্পর্কে আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে, তারা এর মধ্যে দাখিল, সুতরাং আমরা তাদেরকে এর থেকে বের করে দিয়েছি।
আর কিয়াসের দাবিও এই যে, যখন বাদি তার আযাদ স্বামীকে মুহসান করে না, আর আযাদ স্বামীও তার বাদী স্ত্রীকে মুহসান করে না, বাদী স্ত্রী যেমন তার আযাদ স্বামীকে মুহসান না করতে পারায়, সে তার ঐ আযাদ স্বামীর মতই, যে তার বাদী স্ত্রীকে محصن করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে নাসারা স্ত্রীও অনুরূপ হবে। সে যেমন তার মুসলমান স্বামীকে মহসান করতে পারে না, অনুরূপভাবে তার মুসলমান স্বামীও তাকে মুহসানা করতে পারে না। আর আমরা বাদীকে দেখেছি, কোন মুসলমান স্বামীকে মুহসান করা যখন তার পক্ষে বাতিল, কোন কাফিরকেও মুহসান করা তার পক্ষে বাতিল। যুক্তি ও কিয়াসের দাবি এটাই, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি।وَاللهُ تَعَالَى أَعْلَمُ
6111 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، {فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ} قَالَ: نَسَخَتْهَا هَذِهِ الْآيَةُ {وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ} [المائدة: 49] وَقَالَ الْآخَرُونَ: تَأْوِيلُهَا وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ إِنْ حَكَمْتَ فَلَمَّا اخْتُلِفَ فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآيَةِ وَكَانَتِ الْآثَارُ قَدْ دَلَّتْ عَلَى مَا ذَكَرْنَا ثَبَتَ الْحُكْمُ عَلَيْهِمْ عَلَى إِمَامِ الْمُسْلِمِينَ [ص:143] وَلَمْ يَكُنْ لَهُ تَرْكُهُ لِأَنَّ فِي حُكْمِهِ النَّجَاةَ فِي قَوْلِهِمْ جَمِيعًا لِأَنَّ مَنْ يَقُولُ: عَلَيْهِ أَنْ يَحْكُمَ يَقُولُ قَدْ تَرَكَ مَا كَانَ عَلَيْهِ أَنْ يَفْعَلَهُ. وَمَنْ يَقُولُ: لَهُ أَنْ لَا يَحْكُمَ يَقُولُ: قَدْ تَرَكَ مَا كَانَ لَهُ تَرْكُهُ فَإِذَا حَكَمَ يَشْهَدُ لَهُ الْفَرِيقَانِ جَمِيعًا بِالنَّجَاةِ وَإِذَا لَمْ يَحْكُمْ لَمْ يَشْهَدَا لَهُ بِذَلِكَ. فَأَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا أَنْ نَفْعَلَ مَا فِيهِ النَّجَاةُ بِالِاتِّفَاقِ دُونَ مَا فِيهِ ضِدَّ النَّجَاةِ بِالِاخْتِلَافِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَا مِنْ وُجُوبِ الْحُكْمِ عَلَيْهِمْ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَأَنْتُمْ لَا تَرْجُمُونَ الْيَهُودَ إِذَا زَنَوْا فَقَدْ تَرَكْتُمْ بَعْضَ مَا فِي الْحَدِيثِ الَّذِي بِهِ احْتَجَجْتُمْ. قِيلَ لَهُ: إِنَّ الْحُكْمَ كَانَ فِي الزُّنَاةِ فِي عَهْدِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الرَّجْمُ عَلَى الْمُحْصَنِ وَغَيْرِ الْمُحْصَنِ. وَكَذَلِكَ كَانَ جَوَابُ الْيَهُودِيِّ الَّذِي سَأَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ حَدِّ الزَّانِي فِي كِتَابِهِمْ فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتِّبَاعُ ذَلِكَ وَالْعَمَلُ بِهِ لِأَنَّ عَلَى كُلِّ نَبِيٍّ اتِّبَاعُ شَرِيعَةِ النَّبِيِّ الَّذِي كَانَ قَبْلَهُ حَتَّى يُحْدِثَ اللهُ شَرِيعَةً تَنْسَخُ شَرِيعَتَهُ قَالَ اللهُ تَعَالَى {أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهِ} [الأنعام: 90] فَرَجَمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْيَهُودِيَّيْنِ عَلَى ذَلِكَ الْحُكْمِ وَلَا فَرْقَ حِينَئِذٍ فِي ذَلِكَ بَيْنَ الْمُحْصَنِ وَغَيْرِ الْمُحْصَنِ. ثُمَّ أَحْدَثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرِيعَةً فَنَسَخَتْ هَذِهِ الشَّرِيعَةَ فَقَالَ {وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا} [النساء: 15] وَكَانَ هَذَا نَاسِخًا لِمَا كَانَ قَبْلَهُ وَلَمْ يُفَرِّقْ فِي ذَلِكَ بَيْنَ الْمُحْصَنِ وَغَيْرِ الْمُحْصَنِ. ثُمَّ نَسَخَ اللهُ تَعَالَى ذَلِكَ فَجَعَلَ الْحَدَّ هُوَ الْإِيذَاءَ بِالْآيَةِ الَّتِي بَعْدَهَا وَلَمْ يُفَرِّقْ فِي ذَلِكَ أَيْضًا بَيْنَ الْمُحْصَنِ وَغَيْرِهِ. ثُمَّ جَعَلَ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَعْذِيبُ عَامٍ وَالثَّيِّبُ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ. فَرَّقَ حِينَئِذٍ بَيْنَ حَدِّ الْمُحْصَنِ وَحَدِّ غَيْرِ الْمُحْصَنِ الْجَلْدُ ثُمَّ اخْتَلَفَ النَّاسُ مِنْ بَعْدُ فِي الْإِحْصَانِ. فَقَالَ قَوْمٌ: لَا يَكُونُ الرَّجُلُ مُحْصَنًا بِامْرَأَتِهِ وَلَا الْمَرْأَةُ مُحْصَنَةً بِزَوْجِهَا حَتَّى يَكُونَا حُرَّيْنِ مُسْلِمَيْنِ بَالِغَيْنِ قَدْ جَامَعَهَا وَهُمَا بَالِغَانِ. وَمِمَّنْ قَالَ بِذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ وَأَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى.
وَقَالَ آخَرُونَ: يُحْصِنُ أَهْلُ الْكِتَابِ بَعْضُهُمْ بَعْضًا وَيُحْصِنُ الْمُسْلِمُ النَّصْرَانِيَّةَ وَلَا تُحْصِنُ النَّصْرَانِيَّةُ الْمُسْلِمَ وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ فِي الْإِمْلَاءِ فِيمَا حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ. فَاحْتَمَلَ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ أَنْ يَكُونَ هَذَا عَلَى كُلِّ ثَيِّبٍ وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الثَّيِّبِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَوَجَدْنَاهُمْ مُجْتَمِعِينَ أَنَّ الْعَبِيدَ غَيْرُ دَاخِلِينَ فِي ذَلِكَ وَأَنَّ الْعَبْدَ لَا يَكُونُ مُحْصَنًا ثَيِّبًا كَانَ أَوْ بِكْرًا وَلَا يُحْصِنُ زَوْجَتَهُ حَرَّةً كَانَتْ أَوْ أَمَةً. [ص:144] وَكَذَلِكَ الْأَمَةُ لَا تَكُونُ مُحْصَنَةً بِزَوْجِهَا حُرًّا كَانَ أَوْ عَبْدًا. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ إِنَّمَا وَقَعَ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الثَّيِّبِ لَا عَلَى كُلِّ الثَّيِّبِ. فَلَمْ يَدْخُلْ فِيمَا أَجْمَعُوا أَنَّهُ وَقَعَ عَلَى خَاصٍّ إِلَّا مَا قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهُ فِيهِ دَاخِلٌ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْحُرَّيْنِ الْمُسْلِمَيْنِ الْبَالِغَيْنِ الزَّوْجَيْنِ اللَّذَيْنِ قَدْ كَانَ مِنْهُمَا الْجِمَاعُ مُحْصَنَيْنِ وَاخْتَلَفُوا فِيمَنْ سِوَاهُمْ. فَقَدْ أَحَاطَ عِلْمُنَا أَنَّ ذَلِكَ قَدْ دَخَلَ فِي قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ. فَأَدْخَلْنَا فِيهِ وَلَمْ يُحِطْ عِلْمُنَا بِمَا سِوَى ذَلِكَ فَأَخْرَجْنَاهُ مِنْهُ. وَقَدْ كَانَ يَجِيءُ فِي الْقِيَاسِ لَمَّا كَانَتِ الْأَمَةُ لَا تُحْصِنُ الْحُرَّ وَلَا يُحْصِنُهَا الْحُرُّ وَكَانَتْ هِيَ فِي عَدَمِ إِحْصَانِهَا إِيَّاهُ كَهُوَ فِي عَدَمِ إِحْصَانِهِ إِيَّاهَا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ النَّصْرَانِيَّةُ فَكَمَا هِيَ لَا تُحْصِنُ زَوْجَهَا الْمُسْلِمَ كَانَ هُوَ أَيْضًا كَذَلِكَ لَا يُحْصِنُهَا. وَقَدْ رَأَيْنَا الْأَمَةَ أَيْضًا، لَمَّا بَطَلَ أَنْ تُحْصِنَ الْمُسْلِمَ، بَطَلَ أَنْ يُحْصِنَ الْكَافِرَ قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَاللهُ تَعَالَى أَعْلَمُ
وَقَالَ آخَرُونَ: يُحْصِنُ أَهْلُ الْكِتَابِ بَعْضُهُمْ بَعْضًا وَيُحْصِنُ الْمُسْلِمُ النَّصْرَانِيَّةَ وَلَا تُحْصِنُ النَّصْرَانِيَّةُ الْمُسْلِمَ وَقَدْ كَانَ أَبُو يُوسُفَ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ فِي الْإِمْلَاءِ فِيمَا حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ. فَاحْتَمَلَ قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ أَنْ يَكُونَ هَذَا عَلَى كُلِّ ثَيِّبٍ وَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الثَّيِّبِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَوَجَدْنَاهُمْ مُجْتَمِعِينَ أَنَّ الْعَبِيدَ غَيْرُ دَاخِلِينَ فِي ذَلِكَ وَأَنَّ الْعَبْدَ لَا يَكُونُ مُحْصَنًا ثَيِّبًا كَانَ أَوْ بِكْرًا وَلَا يُحْصِنُ زَوْجَتَهُ حَرَّةً كَانَتْ أَوْ أَمَةً. [ص:144] وَكَذَلِكَ الْأَمَةُ لَا تَكُونُ مُحْصَنَةً بِزَوْجِهَا حُرًّا كَانَ أَوْ عَبْدًا. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ إِنَّمَا وَقَعَ عَلَى خَاصٍّ مِنَ الثَّيِّبِ لَا عَلَى كُلِّ الثَّيِّبِ. فَلَمْ يَدْخُلْ فِيمَا أَجْمَعُوا أَنَّهُ وَقَعَ عَلَى خَاصٍّ إِلَّا مَا قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهُ فِيهِ دَاخِلٌ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْحُرَّيْنِ الْمُسْلِمَيْنِ الْبَالِغَيْنِ الزَّوْجَيْنِ اللَّذَيْنِ قَدْ كَانَ مِنْهُمَا الْجِمَاعُ مُحْصَنَيْنِ وَاخْتَلَفُوا فِيمَنْ سِوَاهُمْ. فَقَدْ أَحَاطَ عِلْمُنَا أَنَّ ذَلِكَ قَدْ دَخَلَ فِي قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الرَّجْمُ. فَأَدْخَلْنَا فِيهِ وَلَمْ يُحِطْ عِلْمُنَا بِمَا سِوَى ذَلِكَ فَأَخْرَجْنَاهُ مِنْهُ. وَقَدْ كَانَ يَجِيءُ فِي الْقِيَاسِ لَمَّا كَانَتِ الْأَمَةُ لَا تُحْصِنُ الْحُرَّ وَلَا يُحْصِنُهَا الْحُرُّ وَكَانَتْ هِيَ فِي عَدَمِ إِحْصَانِهَا إِيَّاهُ كَهُوَ فِي عَدَمِ إِحْصَانِهِ إِيَّاهَا أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ النَّصْرَانِيَّةُ فَكَمَا هِيَ لَا تُحْصِنُ زَوْجَهَا الْمُسْلِمَ كَانَ هُوَ أَيْضًا كَذَلِكَ لَا يُحْصِنُهَا. وَقَدْ رَأَيْنَا الْأَمَةَ أَيْضًا، لَمَّا بَطَلَ أَنْ تُحْصِنَ الْمُسْلِمَ، بَطَلَ أَنْ يُحْصِنَ الْكَافِرَ قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَاللهُ تَعَالَى أَعْلَمُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান