শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৭. শুফআ এবং ইজারা অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬০৩০
অধ্যায় : ইজারা।
তালীমুল কুরআন-এর ওপর উজরাত গ্রহণ কি জায়েয, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণিত
তালীমুল কুরআন-এর ওপর উজরাত গ্রহণ কি জায়েয, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণিত
৬০৩০। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক …..খারিজা ইব্নুস-সালত তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর নিকট হতে আগমন করলাম। অতঃপর এক সময় আমরা আরবের একটি গােত্রের নিকট উপস্থিত হলাম। তারা আমাদের বলল, তােমরা তাে এই জ্ঞানী ব্যক্তির নিকট হতে এসেছে। তােমাদের নিকট কি কোন ঔষধ, কিংবা ঝাড়ফুঁক অথবা অন্য কিছু আছে? কারণ আমাদের এক ব্যক্তি পাগল, সে শিকলে আব্দ্ধ রয়েছে। রাবী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ আছে। অতঃপর তারা তাকে নিয়ে আমাদের নিকট উপস্থিত হলাে। অতঃপর আমি তিন দিন পর্যন্ত তার ওপর সকালে-সন্ধ্যায় সূরা ফাতিহা পাঠ করে আমার থুথু একত্র করতাম এবং তার ওপর নিক্ষেপ করতাম। ফলে সে এমনই সুস্থ হলাে, যেন তাকে বাধা রশি হতে উন্মুক্ত করা হয়েছে। তারা আমাকে পারিশ্রমিক দিল। তখন আমি বললাম, আমি গ্রহণ করব না, যাবত না রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট জিজ্ঞেস করব। অতঃপর আমি জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, খাও। আমার জীবনের মালিকের কসম, কত লােক রয়েছে তারা বাতিল মন্ত্রের বিনিময় গ্রহণ করে খায়। আর তুমি তাে হক ও সঠিক তাবীযের বিনিময় খাবে।
كِتَابُ الْإِجَارَاتِ بَابُ الِاسْتِئْجَارِ عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ هَلْ يَجُوزُ ذَلِكَ أَمْ لَا؟ وَمَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ
6030 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ الصَّلْتِ عَنْ عَمِّهِ أَنَّهُ قَالَ: أَقْبَلْنَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَيْنَا عَلَى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَقَالُوا لَنَا: إِنَّكُمْ قَدْ جِئْتُمْ مِنْ عِنْدِ هَذَا الْحَبْرِ بِخَيْرٍ فَهَلْ عِنْدَكُمْ دَوَاءٌ أَوْ رُقْيَةٌ أَوْ شَيْءٌ؟ فَإِنَّ عِنْدَنَا مَعْتُوهًا فِي الْقُيُودِ. قَالَ: فَقُلْنَا: نَعَمْ. فَجَاءُوا بِهِ فَجَعَلْتُ أَقْرَأُ عَلَيْهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً أَجْمَعُ بُزَاقِي ثُمَّ أَتْفُلُ فَكَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَعْطَوْنِي جُعْلًا فَقُلْتُ: لَا حَتَّى أَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: «كُلْ فَلَعَمْرِي لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةِ بَاطِلٍ لَقَدْ أَكَلْتَ بِرُقْيَةِ حَقٍّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৩১
তালীমুল কুরআন-এর ওপর উজরাত গ্রহণ কি জায়েয, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণিত
৬০৩১। আবুল আওয়াম মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আব্দুল জাব্বার ….. আবুল মুতাওয়াক্কিল আন-নাজী হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর সাহাবীগণ এক যুদ্ধে ছিলেন। অতঃপর তারা এক আরব গােত্রের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন তারা জিজ্ঞেস করল, তােমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে ঝাড়ফুঁক করতে পারে? কারণ আমাদের গােত্রের সর্দার দংশিত হয়েছেন। অথবা , তিনি এক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। রাবী বলেন, অতঃপর এক ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়ে তাকে ফুঁক দিলে সে সুস্থ হয়ে গেল। তখন সে তাকে একপাল ছাগল দিল। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, কিসের মাধ্যমে তুমি তাকে ফুঁক দিয়েছ? তিনি বললেন, সূরা ফাতিহা পড়ে। তিনি বললেন, কি করে জান যে, এটা (জাহিলী যুগের) মন্ত্র? রাবী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, তােমরা ঐসব ছাগল নিয়ে নাও এবং তার মধ্যে আমারও একটা অংশ রেখ।
এসব হাদীসের মাধ্যমে একদল উলামা-ই কিরাম দলীল পেশ করে বলেন, তালীমুল কুরআন-এর বিনিময় গ্রহণ করায় কোন অসুবিধা নেই।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আবু ক্বিলাবা, তাউস ইব্ন কায়সান, আতা ইব্ন আবু রাবাহ্, ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত তাদের বিপরীত মত পােষণ করেন এবং তারা তালীমুল কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করা মাকরূহ মনে করেন। যেমন নামাযের তালীম দিয়ে তার বিনিময় গ্রহণ করা মাকরূহ।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন শাক্বীক্ব, আসওয়াদ ইব্ন সা'লাবা, ইবরাহীম নাখঈ, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন ইয়াযীদ, শুরাইহ্ ইব্নুল হারিস আল-ক্বাযী, হাসান ইব্ন হাই, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
প্রথম মতের প্রবক্তা উলামা-ই-কিরামের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হলাে, পূর্বে যে সব হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে পারিশ্রমিকের কথা বর্ণিত হয়েছে। মূলত তা তালীমুল কুরআনের ওপর পারিশ্রমিক ছিল না। বস্তুত তা ছিল ঝাড়ফুঁকের পারিশ্রমিক। তা দ্বারা ইজারা গ্রহণকালে তা'লীমুল কুরআন উদ্দেশ্য হয় না। অনুরূপভাবে আমরা এ কথা বলি যে, মন্ত্র ও ঝাড়ফুঁক এবং যাবতীয় চিকিৎসা করে তার উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করায় কোন অসুবিধা নেই। যদিও আমরা জানি যে, ঝাড়ফুঁকের বিনিময়ে উজরাত গ্রহণকারী কোন কোন সময় তার ঝাড়ফুঁকের মধ্যে কুরআনের কিছু অংশ দাখিল করে।
অতএব যখন তারা এমন এক কাজের ওপর বিনিময় গ্রহণ করবে যা তাদের ওপর ওয়াজিব নয়, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয আছে।
তা'লীমুল কুরআন যেহেতু এমন এক কাজ, যা মানুষের ওপর একজন অন্যজনকে শিক্ষা দেয়া ওয়াজিব। কারণ এর মধ্যে আল্লাহর পক্ষ হতে যে তাবলীগের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তা পালন করা হয়। অবশ্য একজন যদি কুরআন শিক্ষা দেয়, তবে তা অবশিষ্ট লােকদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। যেমন সালাতুল জানাযা, যা সকল মুসলমানের ওপর ফরয। কিন্তু যদি তাদের একজন ফরয পালন করে, তবে অবশিষ্ট সকলের পক্ষে তা যথেষ্ট হবে। তা'লীমুল কুরআনের ব্যাপারটাও ঠিক অনুরূপ যা তাদের সকলের ওপর ফরয, কিন্তু যদি তাদের একজন এ দায়িত্ব পালন করে, তবে অবশিষ্ট সকলের পক্ষ হতে তা যথেষ্ট হবে। অতএব যখন তাদের একজন অন্যজন হতে তা'লীমুল কুরআনের ওপর উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করবে, তখন উজরাত দেয়া ও উজরাত গ্রহণ করা দুটোই বাতিল হবে। কারণ সে তার নিকট হতে উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করেছে এই শর্তে ওপর যে, সে এক ফরয কাজ পালন করবে যা তার ওপর আল্লাহর জন্য ওয়াজিব। আর সে এ ফরয পালন করে তবে নিজের জন্যই। কারণ তার এ কাজের মাধ্যমে তার ওপর যে ফরয অর্পিত ছিল, তা হতে সে মুক্ত হচ্ছে। আর ইজারাসমূহ তাে এমন বিষয় যে, উজরাত গ্রহণকারী শ্ৰমদাতারা যে শ্রম দান করে, তার বিনিময় গ্রহণ করা ও তার মালিক হওয়া তাদের জন্য জায়েয।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, তালীমুল কুরআনের ওপর বিনিময় গ্রহণ করা নিষিদ্ধ যা আপনি উল্লেখ করেছেন, আপনার এ কথা প্রমাণ করে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে কি এমন কিছু বর্ণিত আছে?
জবাবে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে বর্ণিত لا تاکلوا بالقران অর্থাৎ ‘তােমরা কুরআনের বিনিময়ে গ্রহণ করে খেও না।’
হযরত উবাদা ইব্ন সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আহ্লুস-সুফ্ফাহর কিছু লােককে কুরআন শিক্ষা দিতাম। অতঃপর তাদের একজন জিহাদের জন্য আমাকে একটা ধনুক হাদিয়া ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর নিকট তার উল্লেখ করলে তিনি বললেন : ان اردت ان يطوقك الله بها قوسا من نار فاقبلها অর্থাৎ ‘তােমার যদি ইচ্ছা হয় যে, আল্লাহ্ তা'আলা এর কারণে তােমার গলায় আগুনের একটি তাওক পরিয়ে দেন, তবে তুমি তা গ্রহণ কর।'
আমরা এ সব রিওয়ায়াত পূর্বেই আমাদের এই গ্রন্থের নিকাহ্ পর্বের باب التزويج على سورة من القرآن -এ সনদসহ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে বর্ণনা করেছি।
এছাড়াও এ সম্পর্কে নবী(ﷺ) হতে আরাে বর্ণিত হয়েছে :
এসব হাদীসের মাধ্যমে একদল উলামা-ই কিরাম দলীল পেশ করে বলেন, তালীমুল কুরআন-এর বিনিময় গ্রহণ করায় কোন অসুবিধা নেই।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা আবু ক্বিলাবা, তাউস ইব্ন কায়সান, আতা ইব্ন আবু রাবাহ্, ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত তাদের বিপরীত মত পােষণ করেন এবং তারা তালীমুল কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করা মাকরূহ মনে করেন। যেমন নামাযের তালীম দিয়ে তার বিনিময় গ্রহণ করা মাকরূহ।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন শাক্বীক্ব, আসওয়াদ ইব্ন সা'লাবা, ইবরাহীম নাখঈ, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন ইয়াযীদ, শুরাইহ্ ইব্নুল হারিস আল-ক্বাযী, হাসান ইব্ন হাই, আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)।
প্রথম মতের প্রবক্তা উলামা-ই-কিরামের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হলাে, পূর্বে যে সব হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে পারিশ্রমিকের কথা বর্ণিত হয়েছে। মূলত তা তালীমুল কুরআনের ওপর পারিশ্রমিক ছিল না। বস্তুত তা ছিল ঝাড়ফুঁকের পারিশ্রমিক। তা দ্বারা ইজারা গ্রহণকালে তা'লীমুল কুরআন উদ্দেশ্য হয় না। অনুরূপভাবে আমরা এ কথা বলি যে, মন্ত্র ও ঝাড়ফুঁক এবং যাবতীয় চিকিৎসা করে তার উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করায় কোন অসুবিধা নেই। যদিও আমরা জানি যে, ঝাড়ফুঁকের বিনিময়ে উজরাত গ্রহণকারী কোন কোন সময় তার ঝাড়ফুঁকের মধ্যে কুরআনের কিছু অংশ দাখিল করে।
অতএব যখন তারা এমন এক কাজের ওপর বিনিময় গ্রহণ করবে যা তাদের ওপর ওয়াজিব নয়, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয আছে।
তা'লীমুল কুরআন যেহেতু এমন এক কাজ, যা মানুষের ওপর একজন অন্যজনকে শিক্ষা দেয়া ওয়াজিব। কারণ এর মধ্যে আল্লাহর পক্ষ হতে যে তাবলীগের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, তা পালন করা হয়। অবশ্য একজন যদি কুরআন শিক্ষা দেয়, তবে তা অবশিষ্ট লােকদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। যেমন সালাতুল জানাযা, যা সকল মুসলমানের ওপর ফরয। কিন্তু যদি তাদের একজন ফরয পালন করে, তবে অবশিষ্ট সকলের পক্ষে তা যথেষ্ট হবে। তা'লীমুল কুরআনের ব্যাপারটাও ঠিক অনুরূপ যা তাদের সকলের ওপর ফরয, কিন্তু যদি তাদের একজন এ দায়িত্ব পালন করে, তবে অবশিষ্ট সকলের পক্ষ হতে তা যথেষ্ট হবে। অতএব যখন তাদের একজন অন্যজন হতে তা'লীমুল কুরআনের ওপর উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করবে, তখন উজরাত দেয়া ও উজরাত গ্রহণ করা দুটোই বাতিল হবে। কারণ সে তার নিকট হতে উজরাত ও বিনিময় গ্রহণ করেছে এই শর্তে ওপর যে, সে এক ফরয কাজ পালন করবে যা তার ওপর আল্লাহর জন্য ওয়াজিব। আর সে এ ফরয পালন করে তবে নিজের জন্যই। কারণ তার এ কাজের মাধ্যমে তার ওপর যে ফরয অর্পিত ছিল, তা হতে সে মুক্ত হচ্ছে। আর ইজারাসমূহ তাে এমন বিষয় যে, উজরাত গ্রহণকারী শ্ৰমদাতারা যে শ্রম দান করে, তার বিনিময় গ্রহণ করা ও তার মালিক হওয়া তাদের জন্য জায়েয।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, তালীমুল কুরআনের ওপর বিনিময় গ্রহণ করা নিষিদ্ধ যা আপনি উল্লেখ করেছেন, আপনার এ কথা প্রমাণ করে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে কি এমন কিছু বর্ণিত আছে?
জবাবে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে বর্ণিত لا تاکلوا بالقران অর্থাৎ ‘তােমরা কুরআনের বিনিময়ে গ্রহণ করে খেও না।’
হযরত উবাদা ইব্ন সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আহ্লুস-সুফ্ফাহর কিছু লােককে কুরআন শিক্ষা দিতাম। অতঃপর তাদের একজন জিহাদের জন্য আমাকে একটা ধনুক হাদিয়া ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর নিকট তার উল্লেখ করলে তিনি বললেন : ان اردت ان يطوقك الله بها قوسا من نار فاقبلها অর্থাৎ ‘তােমার যদি ইচ্ছা হয় যে, আল্লাহ্ তা'আলা এর কারণে তােমার গলায় আগুনের একটি তাওক পরিয়ে দেন, তবে তুমি তা গ্রহণ কর।'
আমরা এ সব রিওয়ায়াত পূর্বেই আমাদের এই গ্রন্থের নিকাহ্ পর্বের باب التزويج على سورة من القرآن -এ সনদসহ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে বর্ণনা করেছি।
এছাড়াও এ সম্পর্কে নবী(ﷺ) হতে আরাে বর্ণিত হয়েছে :
6031 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْمُرَادِيُّ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِي عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كَانُوا فِي غُزَاةٍ فَمَرُّوا بِحَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَقَالُوا: هَلْ فِيكُمْ مِنْ رَاقٍ؟ فَإِنَّ سَيِّدَ الْحَيِّ قَدْ لُدِغَ أَوْ قَدْ عَرَضَ لَهُ شَيْءٌ. [ص:127] قَالَ: فَرَقَاهُ رَجُلٌ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ فَأُعْطِيَ قَطِيعًا مِنَ الْغَنَمِ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهُ. فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: «بِمَ رَقِيَتْهُ؟» فَقَالَ: بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ. قَالَ: «وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ؟» قَالَ: ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذُوهَا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ فِيهَا بِسَهْمٍ» فَاحْتَجَّ قَوْمٌ بِهَذِهِ الْآثَارِ فَقَالُوا لَا بَأْسَ بِالْجُعْلِ عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَكَرِهُوا الْجُعْلَ عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ كَمَا قَدْ يُكْرَهُ الْجُعْلُ عَلَى تَعْلِيمِ الصَّلَاةِ. وَقَدْ كَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي ذَلِكَ أَنَّ الْآثَارَ الْأُوَلَ فِي ذَلِكَ لَمْ يَكُنِ الْجُعْلُ الْمَذْكُورُ فِيهَا عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ وَإِنَّمَا كَانَ عَلَى الرُّقَى الَّتِي لَمْ يَقْصِدْ بِالِاسْتِئْجَارِ عَلَيْهَا إِلَى الْقُرْآنِ. وَكَذَلِكَ نَقُولُ نَحْنُ أَيْضًا: لَا بَأْسَ بِالِاسْتِئْجَارِ عَلَى الرُّقَى وَالْعِلَاجَاتِ كُلِّهَا وَإِنْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّ الْمُسْتَأْجَرَ عَلَى ذَلِكَ قَدْ يَدْخُلُ فِيمَا يَرْقِي بِهِ بَعْضُ الْقُرْآنِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى النَّاسِ أَنْ يَرْقِيَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَإِذَا اسْتُؤْجِرُوا فِيهِ عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا مَا لَيْسَ عَلَيْهِمْ أَنْ يَعْمَلُوهُ جَازَ ذَلِكَ. وَتَعْلِيمُ الْقُرْآنِ عَلَى النَّاسِ وَاجِبٌ أَنْ يُعَلِّمَهُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا لِأَنَّ فِي ذَلِكَ التَّبْلِيغَ عَنِ اللهِ تَعَالَى إِلَّا أَنَّ مَنْ عَلِمَهُ مِنْهُمْ أَجْزَى ذَلِكَ عَنْ بَقِيَّتِهِمْ كَالصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ إِنَّمَا هِيَ فَرْضٌ عَلَى النَّاسِ جَمِيعًا إِلَّا أَنَّ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ مِنْهُمْ أَجْزَى عَنْ بَقِيَّتِهِمْ. وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَسْتَأْجَرَ رَجُلًا لِيُصَلِّيَ عَلَى وَلِيٍّ لَهُ قَدْ مَاتَ لَمْ يَجُزْ ذَلِكَ لِأَنَّهُ إِنَّمَا اسْتَأْجَرَهُ عَلَى أَنْ يَفْعَلَ مَا عَلَيْهِ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ. فَكَذَلِكَ تَعْلِيمُ النَّاسِ الْقُرْآنَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا هُوَ عَلَيْهِمْ فَرْضٌ إِلَّا أَنَّ مَنْ فَعَلَهُ مِنْهُمْ فَقَدْ أَجْزَى فِعْلُهُ ذَلِكَ عَنْ بَقِيَّتِهِمْ. فَإِذَا اسْتَأْجَرَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا عَلَى تَعْلِيمِ ذَلِكَ كَانَتْ إِجَارَتُهُ تِلْكَ وَاسْتِئْجَارُهُ إِيَّاهُ بَاطِلًا لِأَنَّهُ إِنَّمَا اسْتَأْجَرَهُ عَلَى أَنْ يُؤَدِّيَ فَرْضًا هُوَ عَلَيْهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَفِيمَا يَفْعَلُهُ لِنَفْسِهِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَسْقُطُ عَنْهُ الْفَرْضُ بِفِعْلِهِ إِيَّاهُ وَالْإِجَارَاتُ إِنَّمَا تَجُوزُ وَتُمْلَكُ بِهَا الْأَبْدَالُ فِيمَا يَفْعَلُهُ الْمُسْتَأْجِرُونَ لِلْمُسْتَأْجَرَيْنِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَهَلْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْءٌ يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْتَ فِي الْمَنْعِ مِنَ الِاسْتِئْجَارِ عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ؟ قِيلَ لَهُ: نَعَمْ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا تَأْكُلُوا بِالْقُرْآنِ» . وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: كُنْتُ أُقْرِئُ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ الْقُرْآنَ فَأَهْدَى إِلَيَّ رَجُلٌ مِنْهُمْ قَوْسًا عَلَى أَنْ أَقْبَلَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ تَعَالَى. فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: «إِنْ أَرَدْتَ أَنْ يُطَوِّقَكَ اللهُ بِهَا قَوْسًا مِنْ نَارٍ فَاقْبَلْهَا» . [ص:128] وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَسَانِيدِهَا فِيمَا تَقَدَّمَ مِنَّا مِنْ كِتَابِنَا هَذَا فِي بَابِ التَّزْوِيجِ عَلَى سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ مِنْ كِتَابِ النِّكَاحِ. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৩২
তালীমুল কুরআন-এর ওপর উজরাত গ্রহণ কি জায়েয, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণিত
৬০৩২। সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব ….. উসমান ইব্ন আবুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আমাকে বললেন, তুমি এমন একজন মুয়াযযিন নিয়ােগ কর, যে আযানের বিনিময়ে কোন উজরাত গ্রহণ করবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমর (রাযিঃ) হতেও এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে :
হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমর (রাযিঃ) হতেও এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে :
6032 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ سَعِيدِ بْنِ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ أَخِيهِ مُطَرِّفِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ: قَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اتَّخَذَ مُؤَذِّنًا لَا يَأْخُذُ عَلَى أَذَانِهِ أَجْرًا» فَكَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَذَانَ بِالْأَجْرِ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
مَا قَدْ
مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৩৩
তালীমুল কুরআন-এর ওপর উজরাত গ্রহণ কি জায়েয, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণিত
৬০৩৩। আহমদ ইব্ন আবু ইমরান ….. ইয়াহইয়া ইব্ন বাক্কা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ)-কে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি। তখন হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, কিন্তু আমি তােমাকে আল্লাহর ওয়াস্তেই ঘৃণা করি। কারণ তুমি তােমার আযানের উজরাত ও বিনিময় চেয়ে থাক । অথবা তিনি বললেন, তুমি তােমার আযানের বিনিময় গ্রহণ করে থাক।
আমরা এই যে রিওয়ায়াত উল্লেখ করলাম, এ দ্বারা আযানের বিনিময় গ্রহণ করা যে মাকরূহ, সে কথা প্রমাণিত হলাে। অতএব তা'লীমুল কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করাও অনুরূপ মাকরূহ হবে। কারণ আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে কিতাবুল্লাহর একটি আয়াত নাযিল করা হলেও তা অন্যের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর নবী(ﷺ) -এর প্রতি তাবলীগ করা ফরয করেছেন। অতএব তিনি বলেন :يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ
“হে রাসূল! তােমার প্রতি তােমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু অবতরণ করা হয়েছে, তা তুমি পৌঁছে দাও যদি তুমি তা না কর, তবে তােমার রিসালাতের দায়িত্ব তুমি পৌঁছাতে সক্ষম হবেন না। আর আল্লাহ্ তােমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন।"
আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিম্নের এ হাদীসে অনুরূপ ইরশাদ করেছেন :
আমরা এই যে রিওয়ায়াত উল্লেখ করলাম, এ দ্বারা আযানের বিনিময় গ্রহণ করা যে মাকরূহ, সে কথা প্রমাণিত হলাে। অতএব তা'লীমুল কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করাও অনুরূপ মাকরূহ হবে। কারণ আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে কিতাবুল্লাহর একটি আয়াত নাযিল করা হলেও তা অন্যের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর নবী(ﷺ) -এর প্রতি তাবলীগ করা ফরয করেছেন। অতএব তিনি বলেন :يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ
“হে রাসূল! তােমার প্রতি তােমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু অবতরণ করা হয়েছে, তা তুমি পৌঁছে দাও যদি তুমি তা না কর, তবে তােমার রিসালাতের দায়িত্ব তুমি পৌঁছাতে সক্ষম হবেন না। আর আল্লাহ্ তােমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন।"
আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিম্নের এ হাদীসে অনুরূপ ইরশাদ করেছেন :
6033 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ التَّيْمِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى الْبَكَّاءِ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِابْنِ عُمَرَ إِنِّي أُحِبُّكَ فِي اللهِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ لَكِنِّي أَبْغَضُكَ فِي اللهِ لِأَنَّكَ تَبْغِي فِي أَذَانِكَ أَجْرًا وَتَأْخُذُ عَلَى الْأَذَانِ أَجْرًا فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا كَرَاهِيَةَ الِاسْتِئْجَارِ عَلَى الْأَذَانِ فَالِاسْتِجْعَالُ عَلَى تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ كَذَلِكَ أَيْضًا لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أُمِرَ بِالتَّبْلِيغِ عَنِ اللهِ وَلَوْ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ وَأَوْجَبَ اللهُ عَلَى نَبِيِّهِ التَّبْلِيغَ عَنْهُ فَقَالَ {يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ} [المائدة: 67] . وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ ذَلِكَ أَيْضًا
فِيمَا
فِيمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬০৩৪
তালীমুল কুরআন-এর ওপর উজরাত গ্রহণ কি জায়েয, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যা বর্ণিত
৬০৩৪। আবু বাকরা ও ইবরাহীম ইব্ন মারযূক ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আমর ইব্নুল আস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা আমার নিকট হতে কিতাবুল্লাহর একটি আয়াত হলেও তা পৌছে দাও। আর বনী ইসরাঈল হতে তােমরা বর্ণনা কর, এতে কোন অসুবিধা নেই। আর আমার ওপর যে ইচ্ছা পূর্বক মিথ্যা আরােপ করবে, সে যেন জাহান্নামে তার আসন করে নেয়।
এ হাদীসের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁর উম্মতের ওপর তাঁর নিকট হতে অন্যের কাছে পৌছে দেয়া ওয়াজিব করেছেন এবং তাঁর নিকট হতে অন্যের নিকট হাদীস পৌঁছে দেয়া এবং অন্যের কথা পৌঁছে দেয়ার মধ্যে পার্থক্য করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেন, তােমরা বনী ইসরাঈল হতে বর্ণনা কর, কিন্তু তাদের নিকট হতে বর্ণনা না করায় ও তাদের কথা অন্যের নিকট পৌঁছে না দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। তাবলীগের এই কাজের মজুরী গ্রহণ করা বস্তুত ফরয কাজের ওপর মজুরী গ্রহণ করা। আর আল্লাহ্ তা'আলা যা ফরয করেছেন, তার ওপর যে ব্যক্তি মজুরী গ্রহণ করে, এটা তার ওপর হারাম। কারণ এ কাজ সে তার নিজের জন্যই করে, যার মাধ্যমে সে তার ওপর অর্পিত ফরয পালন করে। আর যে ব্যক্তি এমন কাজের মজুরী গ্রহণ করে, যা সে অন্যের জন্য করে, চাই তা কোন তাবীয হােক কিংবা অন্য কিছু, যদিও তা কুরআনের মাধ্যমে হােক না কেন, কিংবা চিকিৎসা কিংবা অনুরূপ কিছু, তার জন্য তা জায়েয এবং তার মজুরী গ্রহণ করাও হালাল। আমরা যে আলােচনা করলাম, তা দ্বারা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে نهى ও اباحت সম্বলিত যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার সঠিক অর্থ বুঝা যাবে এবং পারস্পরিক সাংঘর্ষিক হবে না। এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
এ হাদীসের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁর উম্মতের ওপর তাঁর নিকট হতে অন্যের কাছে পৌছে দেয়া ওয়াজিব করেছেন এবং তাঁর নিকট হতে অন্যের নিকট হাদীস পৌঁছে দেয়া এবং অন্যের কথা পৌঁছে দেয়ার মধ্যে পার্থক্য করেছেন। অতঃপর তিনি বলেছেন, তােমরা বনী ইসরাঈল হতে বর্ণনা কর, কিন্তু তাদের নিকট হতে বর্ণনা না করায় ও তাদের কথা অন্যের নিকট পৌঁছে না দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। তাবলীগের এই কাজের মজুরী গ্রহণ করা বস্তুত ফরয কাজের ওপর মজুরী গ্রহণ করা। আর আল্লাহ্ তা'আলা যা ফরয করেছেন, তার ওপর যে ব্যক্তি মজুরী গ্রহণ করে, এটা তার ওপর হারাম। কারণ এ কাজ সে তার নিজের জন্যই করে, যার মাধ্যমে সে তার ওপর অর্পিত ফরয পালন করে। আর যে ব্যক্তি এমন কাজের মজুরী গ্রহণ করে, যা সে অন্যের জন্য করে, চাই তা কোন তাবীয হােক কিংবা অন্য কিছু, যদিও তা কুরআনের মাধ্যমে হােক না কেন, কিংবা চিকিৎসা কিংবা অনুরূপ কিছু, তার জন্য তা জায়েয এবং তার মজুরী গ্রহণ করাও হালাল। আমরা যে আলােচনা করলাম, তা দ্বারা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে نهى ও اباحت সম্বলিত যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার সঠিক অর্থ বুঝা যাবে এবং পারস্পরিক সাংঘর্ষিক হবে না। এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
6034 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ جَمِيعًا قَالَا: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ: قَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ فِي ذَلِكَ وَمَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ» فَأَوْجَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَلَى أُمَّتِهِ التَّبْلِيغَ عَنْهُ. ثُمَّ قَدْ فَرَّقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ التَّبْلِيغِ عَنْهُ وَالْحَدِيثِ عَنْ غَيْرِهِ فَقَالَ وَحَدِّثُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا حَرَجَ أَيْ: وَلَا حَرَجَ عَلَيْكُمْ فِي أَنْ لَا تُحَدِّثُوا عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ. فَالِاسْتِجْعَالُ عَلَى ذَلِكَ اسْتِجْعَالٌ عَلَى الْفَرْضِ وَمَنِ اسْتَجْعَلَ جُعْلًا عَلَى عَمَلٍ يَعْمَلُهُ فِيمَا افْتَرَضَ اللهُ عَمَلَهُ عَلَيْهِ فَذَلِكَ عَلَيْهِ حَرَامٌ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَعْمَلُهُ لِنَفْسِهِ لِيُؤَدِّيَ بِهِ فَرْضًا عَلَيْهِ. وَمَنِ اسْتَجْعَلَ جُعْلًا عَلَى عَمَلٍ يَعْمَلُهُ لِغَيْرِهِ مِنْ رُقْيَةٍ أَوْ غَيْرِهَا وَإِنْ كَانَتْ بِقُرْآنٍ أَوْ عِلَاجٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ فَذَلِكَ جَائِزٌ وَالِاسْتِجْعَالُ عَلَيْهِ حَلَالٌ. فَيَصِحُّ بِمَا ذَكَرْنَا مَعَانِي مَا قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْبَابِ مِنَ النَّهْيِ وَمِنَ الْإِبَاحَةِ وَلَا يَتَضَادَّ ذَلِكَ فَيَتَنَافَى. [ص:129] وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান