শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৬. চাষাবাদ ও সেচকার্য সম্পর্কিত - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৯৮৫
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৮৫। ফাহদ ইব্‌ন সুলায়মান আতা হযরত রাফে ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অন্য লােকের যমীনে তাদের অনুমতি ব্যতীত চাষাবাদ করে, ফসলের কিছুই পাবে না। তবে ‘খরচ' তাকে ফেরত দেয়া হবে।

আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, উলামা-ই কিরামের একটি জামাত এ মত পােষণ করেন, যে ব্যক্তি অন্য লােকের যমীনে তাদের অনুমতি ব্যতীত চাষাবাদ করেছে, উক্ত যমীনের ফসল যমীনের মালিকরাই পাবে। আর যে ব্যক্তি চাষ করেছে, তারা তার ঐ ক্ষতিপূরণ দেবে যা সে তাতে খরচ করেছে। আর তারা এ ব্যাপারে উল্লেখিত এ হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন।

আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, আতা ইব্‌ন আবু রাবাহ, সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব, আহমদ ইব্‌নুল হাম্বল ও ইসহাক (রাহঃ)।

কিন্তু উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, জমির মালিকের এ বিষয়ে এখতিয়ার থাকবে। তারা ইচ্ছা করলে চাষাবাদকারী ব্যক্তিকে যমীনের ফসল নিতে দিবে এবং তার চাষের কারণে যমীনের কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে, তার নিকট হতে যমীনের ক্ষতি পূরণ আদায় করবে। আর তারা যদি ইচ্ছা করে, তবে চাষীকে ফসল নিতে বাধা দিবে এবং যমীন হতে উত্তোলন করা অবস্থায় তার যে মূল্য হয়, তাকে সেই মূল্য প্রদান করবে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, উলামা-ই কিরামের এ দলটি দ্বারা সাধারণ ফুকাহা-ই কিরাম উদ্দেশ্য।তাদের মধ্যে রয়েছেন, ইমাম আবু হানীফা ও তাঁর সাথীগণ, ইমাম মালিক ও তার সহচরবৃন্দ, ইমাম শাফিঈ ও তার অনুসারীগণ এবং ইমাম আহমদ (রাহঃ)।
এ ব্যাপারে তাদের দলীল এই যে, রাসূলুল্লাহ হতে হাদীস ভিন্নভাবে ও ভিন্ন ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। যেমন :
بَابُ مَنْ زَرَعَ فِي أَرْضِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ كَيْفَ حُكْمُهُمْ فِي ذَلِكَ؟ وَمَا يُرْوَى عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ
5985 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحِمَّانِيُّ قَالَ: ثنا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ زَرَعَ زَرْعًا فِي أَرْضِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ فَلَيْسَ لَهُ مِنَ الزَّرْعِ شَيْءٌ وَيُرَدُّ عَلَيْهِ نَفَقَتُهُ فِي ذَلِكَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ زَرَعَ فِي أَرْضِ قَوْمٍ زَرْعًا بِغَيْرِ أَمْرِهِمْ كَانَ ذَلِكَ الزَّرْعُ لِأَرْبَابِ الْأَرْضِ وَغَرِمُوا لِلزَّارِعِ مَا أَنْفَقَ فِيهِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: أَصْحَابُ الْأَرْضِ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءُوا خَلَّوْا بَيْنَ الزَّارِعِ وَبَيْنَ أَخْذِ زَرْعِهِ ذَلِكَ وَضَمِنُوهُ بِنُقْصَانِ أَرْضِهِمْ إِنْ كَانَ زَرْعُهُ ذَلِكَ قَدْ نَقَصَ الْأَرْضَ شَيْئًا وَإِنْ شَاءُوا مَنَعُوا الزَّارِعَ مِنْ ذَلِكَ وَغَرِمُوا لَهُ قِيمَةَ زَرْعِهِ ذَلِكَ مَقْلُوعًا. وَقَدْ كَانَ لَهُمْ مِنَ الْحُجَّةِ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى غَيْرِ مَا ذَكَرُوهُ فِي ذَلِكَ
وَهُوَ كَمَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৮৬
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৮৬। আহমদ ইব্‌ন আবু ইমরান, ..... আতা হযরত রাফে' ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন : যে অন্যের যমীনে চাষাবাদ করেছে, তার জন্য হবে তার ব্যয় করা অর্থ, তার জন্য ফসলের কিছুই হবে না ।

এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইব্‌ন আদম, শুরাইক ও কায়স ইব্‌ন আবু ইমরান উভয়ের মাধ্যমে আবু ইসহাক হতে বর্ণনা করছেন এবং ইয়াহইয়া ইব্‌ন আদম তাদের থেকে কিতাবুল খারাজ-এ ঠিক দ্রুপ বর্ণনা করেছেন, যেমন বর্ণনা করেছেন ইব্‌ন আবু ইমরানও। তিনি ফাহদ ইব্‌ন সুলায়মান যেমন বর্ণনা করেছেন, তেমন বর্ণনা করেন নি। বস্তুত এ হাদীসের অর্থ আমাদের মতে হাম্মানী যে রিওয়ায়াত করেছেন, তার অর্থ হতে ভিন্ন। কারণ হাম্মানী যে রিওয়ায়াত করেছেন, তা হলাে তার বক্তব্য فليس له من الزرع شيء ويرد عليه نفقته فى ذلك “তার জন্য কোন ফসল হবে না এবং চাষাবাদে সে যে ব্যয় করেছে, তা তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।”

এ হাদীসের ব্যাখ্যা হলাে, চাষাবাদে যে ব্যয় করেছে, যমীনের মালিক তাকে তা ফিরিয়ে দিবে এবং সে ফসলের মালিক হবে। তবে তার ফসলের মালিক হওয়া তার এই দানের বিনিময়ে নয়। আর এটা আমাদের মতে অসম্ভব। কারণ চাষাবাদের ব্যয় তাে অবশিষ্ট নেই। আর তার কোন বদলও অবশিষ্ট নেই। কারণ তা তাে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও অন্যান্য কাজে ব্যয় হয়েছে যা উক্ত যমীন চাষাবাদকারী নিজের স্বার্থে ব্যয় করেছিল। অতএব এটা যমীনের মালিকের ওপর কোন বিনিময় ব্যতীত উক্ত চাষাবাদকারী ব্যক্তির জন্য তার চাষাবাদের অর্থ ওয়াজিব হওয়া অসম্ভব।

কিন্তু আমাদের মতে এ ব্যাপারে হাদীসের মূল হলাে যা আবু বকর ইব্‌ন আবু শায়বা বর্ণনা করেছেন, যা হাম্মানী বর্ণনা করেছেন তা নয়।

আর আমাদের মতে তার ব্যাখ্যা হলাে অন্যের যমীনের চাষাবাদকারী কোন ফসল পাবে না এবং ফসলের মালিক হবে না, যেমন সে নিজের যমীনে চাষাবাদ করে কিংবা অন্যের যমীনে মালিকের অনুমতি নিয়ে চাষাবাদ করে ফসলের মালিক হয়। বরং এ এক্ষেত্রে সে উক্ত ফসল হতে তার ব্যয় করা অর্থ ও তার বীজ নিবে এবং অবশিষ্ট ফসল সদকা করে দিবে। আমাদের মতে এটাই এ হাদীসের ব্যাখ্যা। والله اعلم
ইয়াহইয়া ইব্‌ন আদম হাফস ইব্‌ন গিয়াস হতেও এটা উল্লেখ করেছেন। আর ব্যাখ্যার বিশুদ্ধতার প্রমাণ হলাে এ হাদীস :
5986 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: ثنا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ [ص:118] عَنْ عَطَاءٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ زَرَعَ فِي أَرْضِ قَوْمٍ بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ فَلَهُ نَفَقَتُهُ وَلَيْسَ لَهُ مِنَ الزَّرْعِ شَيْءٌ» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ شَرِيكٍ وَقَيْسٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ وَذَكَرَهُ عَنْهُمَا فِي كِتَابِ الْخَرَاجِ كَمَا قَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ أَيْضًا لَا كَمَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ. فَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَنَا غَيْرُ مَعْنَى مَا رَوَى الْحِمَّانِيُّ لِأَنَّ مَا قَدْ رَوَى الْحِمَّانِيُّ هُوَ قَوْلُهُ فَلَيْسَ لَهُ مِنَ الزَّرْعِ شَيْءٌ وَيُرَدُّ عَلَيْهِ نَفَقَتُهُ فِي ذَلِكَ. فَوَجْهُ ذَلِكَ أَنَّ غَيْرَهُ يُعْطِيهِ النَّفَقَةَ الَّتِي قَدْ أَنْفَقَهَا فِي ذَلِكَ فَيَكُونُ لَهُ الزَّرْعُ لَا بِمَا يُعْطَى مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا مُحَالٌ عِنْدَنَا لِأَنَّ النَّفَقَةَ الَّتِي قَدْ أُخْرِجَتْ فِي ذَلِكَ الزَّرْعِ لَيْسَتْ بِقَائِمَةٍ وَلَا لَهَا بَدَلٌ قَائِمٌ وَذَلِكَ أَنَّهَا إِنَّمَا دُفِعَتْ فِي أَجْرِ عُمَّالٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا قَدْ فَعَلَهُ الْمُزَارِعُ لَهُ لِنَفْسِهِ فَاسْتَحَالَ أَنْ يَجِبَ لَهُ ذَلِكَ عَلَى رَبِّ الْأَرْضِ إِلَّا بِعِوَضٍ يَتَعَوَّضُهُ مِنْهُ رَبُّ الْأَرْضِ فِي ذَلِكَ. وَلَكِنْ أَصْلُ الْحَدِيثِ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ إِنَّمَا هُوَ عَلَى مَا قَدْ رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ لَا عَلَى مَا قَدْ رَوَاهُ الْحِمَّانِيُّ فِي ذَلِكَ. وَوَجْهُ ذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى أَنَّ الزَّارِعَ لَا شَيْءَ لَهُ فِي الزَّرْعِ يَأْخُذُهُ لِنَفْسِهِ فَيَمْلِكُهُ كَمَا يَمْلِكُ الزَّرْعَ الَّذِي يَزْرَعُهُ فِي أَرْضِ نَفْسِهِ أَوْ فِي أَرْضِ غَيْرِهِ مِمَّنْ قَدْ أَبَاحَ لَهُ الزَّرْعَ فِيهَا وَلَكِنَّهُ يَأْخُذُ نَفَقَتَهُ وَبَذْرَهُ وَيَتَصَدَّقُ بِمَا بَقِيَ هَكَذَا وَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَنَا فِي ذَلِكَ وَاللهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ أَيْضًا. وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى صِحَّةِ ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৮৯
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৮৭-৮৯। সুলায়মান ইব্‌ন শুআয়ব ….. উরওয়া ইব্‌ন যুবায়র জনৈক সাহাবী হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি অনাবাদী যমীন আবাদ করে, সে যমীন তারই, আর তাতে কোন যালিমের অধিকার নেই। উরওয়া (রাহঃ) বলেন, এ হাদীস যে ব্যক্তি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি আমাকে একথাও বলেছেন যে, তিনি দেখেছেন, এমন খেজুর গাছ (যা অন্যায় ভাবে অন্যের যমীনে রােপণ করা হয়েছিল) কুড়াল দ্বারা গােড়া হতে কেটে ফেলা হচ্ছিল।

আবু বাকরা ….. ইয়াহয়া ইব্‌নে উরওয়া হতে, আর ইয়াহয়া তাঁর পিতার সূত্রে বায়াযা গােত্রীয় এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন,তিনি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।

আপনি কি দেখছেন না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) অন্যায়ভাবে অন্যের যমীনের রােপণ করাে খেজুর গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। যমীনের মালিকদের তার মালিক বানিয়ে রােপণকারীর জন্য তার ব্যয় করা অর্থ তাদের ওপর চাপিয়ে দেননি। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, অন্যায়ভাবে অন্যের যমীনে চাষাবাদ করা ফসলও অনুরূপ হওয়া অধিকতর শ্রেয়। এবং উক্ত ফসলের মূলােৎপাটন করে খেজুর গাছের ন্যায় উক্ত চাষাবাদকারীকে প্রদান করবে। অবশ্য যমীনের মালিক ইচ্ছা করলে যমীনের ফসল উত্তোলন না করে রেখে দিবে এবং উত্তোলন করা অবস্থায় খেজুর গাছ ও ফসলের যে মূল্য হয়, তা উক্ত চাষীকে প্রদান করবে এবং যমীনের ফসল ও বাগানের গাছ তারই হবে। আমরা যা কিছু উল্লেখ করলাম তা এ কথাই প্রমাণ করে ।
5987 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا أَبِي عَنْ أَبِي يُوسُفَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ: «إِنَّ مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ وَلَيْسَ لِعِرْقٍ ظَالِمٍ حَقٌّ» . قَالَ عُرْوَةُ: فَلَقَدْ

5988 - حَدَّثَنِي هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي قَدْ حَدَّثَنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ رَأَى نَخْلًا يُقْطَعُ أُصُولُهَا بِالْفُئُوسِ. وَقَدْ

5989 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي بَيَاضَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِ ذَلِكَ أَيْضًا أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ بِقَطْعِ النَّخْلِ الْمَغْرُوسِ فِي غَيْرِ حَقٍّ بَعْدَمَا قَدْ نَبَتَ فِي الْأَرْضِ وَلَمْ يَجْعَلْهُ لِأَرْبَابِ الْأَرْضِ فَيُوجِبُ عَلَيْهِمْ غُرْمَ مَا أَنْفَقَ فِيهِ. [ص:119] فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الزَّرْعَ الْمَزْرُوعَ فِي الْأَرْضِ أَحْرَى أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ وَأَنْ يُقْلَعَ ذَلِكَ فَيُدْفَعَ إِلَى صَاحِبِ الزَّرْعِ كَالنَّخْلِ الَّتِي قَدْ ذَكَرْنَاهَا إِلَّا أَنْ يَشَاءَ صَاحِبُ الْأَرْضِ أَنْ يَمْنَعَ مِنْ ذَلِكَ وَيَغْرَمَ قِيمَةَ الزَّرْعِ وَالنَّخْلِ مَنْزُوعَيْنِ مَقْلُوعَيْنِ فَيَكُونُ ذَلِكَ لَهُ. وَقَدْ دَلَّ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ مِنْ ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৯০
প্রতিবেশীর শুফআ'র অধিকার
5987 - مَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشُّفْعَةِ فِيمَا لَمْ يُقْسَمْ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ فَلَا شُفْعَةَ

5988 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ

5989 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي قَتِيلَةَ الْمَدَنِيُّ قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدٍ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ

5990 - حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ قَالَ: ثنا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونِ قَالَ: ثنا مَالِكٌ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالُوا: فَنَفَى هَذَا الْحَدِيثُ أَنْ تَكُونَ الشُّفْعَةُ تَجِبُ إِذَا حُدَّتِ الْحُدُودُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ، عَلَى أَصْلِ الْمُحْتَجِّ بِهِ عَلَيْنَا، لَا يَجِبُ بِهِ حُجَّةٌ لِأَنَّ الْأَثْبَاتَ مِنْ أَصْحَابِ مَالِكٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ إِنَّمَا رَوَوْهُ عَنْ مَالِكٍ مُنْقَطِعًا لَمْ يَرْفَعُوهُ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৮৮
empty
৫৯৮৮।
5988 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৮৯
empty
৫৯৮৯।
5989 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৯০
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৯০। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক ….. ওয়াসিল ইব্‌ন আবু জামীল মুজাহিদ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর যামানায় চার ব্যক্তি (যমীন চাষে) শরীক হলাে। তাদের একজন বলল, বীজের দায়িত্ব আমার ওপর, আর একজন বলল, কাজ করব আমি, অপরজন বলল, যমীনের দায়িত্ব আমার। আর অন্যজন বললাে, হালের বলদ দেয়ার দায়িত্ব আমার। এভাবে শরীক হয়ে তারা চাষাবাদ করল এবং ফসল কাটল।

অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) - এর দরবারে উপস্থিত হলে, তিনি ফসলের ফায়সালা করলেন বীজের মালিকের জন্য। যে ব্যক্তি শ্রম দিয়েছিল তার জন্য নির্দিষ্ট মজুরীর ব্যবস্থা করলেন। যে ব্যক্তি হালের ব্যবস্থা করেছিল তার জন্য প্রতিদিন এক দিরহামের ফায়সালা করলেন। আর এ ব্যাপারে তিনি যমীনকে অকার্যকর সাব্যস্ত করলেন (যমীনের জন্য কোন অংশই নির্ধারণ করলেন না)।

আপনি দেখছেন না, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এই মুযারাআত-কে যখন ফাসিদ সাব্যস্ত করলেন, তখন তিনি যমীনের মালিকের জন্য ফসলের ফায়সালা করেন নি; বরং যে ব্যক্তি বীজ দিয়েছিল ফসলের ফায়সালা তার জন্যই করলেন। অনুমতি ছাড়া অন্যের জমিতে ঘর তােলা সম্পর্কে সাহাবা-ই কিরাম ও তাবিঈন যে ফায়সালা দিয়েছেন, তাও আমাদের মতকে প্রমাণ করে।
5990 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ وَاصِلِ بْنِ أَبِي جَمِيلٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: اشْتَرَكَ أَرْبَعَةُ نَفَرٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَحَدُهُمْ عَلَيَّ الْبَذْرُ وَقَالَ الْآخَرُ عَلَيَّ الْعَمَلُ وَقَالَ الْآخَرُ عَلَيَّ الْأَرْضُ وَقَالَ الْآخَرُ عَلَيَّ الْفَدَّانُ فَزَرَعُوا ثُمَّ حَصَدُوا. ثُمَّ أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ الزَّرْعَ لِصَاحِبِ الْبَذْرِ وَجَعَلَ لِصَاحِبِ الْعَمَلِ أَجْرًا وَجَعَلَ لِصَاحِبِ الْفَدَّانِ دِرْهَمًا فِي كُلِّ يَوْمٍ وَأَلْغَى الْأَرْضَ فِي ذَلِكَ أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَفْسَدَ هَذِهِ الْمُزَارَعَةَ لَمْ يَجْعَلِ الزَّرْعَ لِصَاحِبِ الْأَرْضِ بَلْ قَدْ جَعَلَهُ لِصَاحِبِ الْبَذْرِ. وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ حَكَمَ بِهِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَابِعُوهُمْ مِنْ بَعْدِهِمْ فِيمَنْ بَنَى فِي أَرْضِ قَوْمٍ بِغَيْرِ أَمْرِهِمْ بِنَاءً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৯১
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৯১। আবু বাকরা ….. আমর ইব্‌ন শুআয়ব বৰ্ণনা করেন, হযরত উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বললেন, যে ব্যক্তি এক বাড়িতে ঘর নির্মাণ করল। অতঃপর উক্ত বাড়ির লােকেরা এসে ঐ ঘরের দাবি করল । তখন তিনি বললেন, লােকটি যদি তাদের অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করে থাকে, তবে তাকে তার ব্যয় করা অর্থ দিতে হবে। আর যদি অনুমতি ব্যতীত নির্মাণ করে থাকে, তবে তা ভেঙ্গে ফেলার অধিকার আছে।
5991 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَنَّ عَامِرَ الْأَحْوَلَ أَخْبَرَهُمْ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: فِي رَجُلٍ بَنَى فِي دَارٍ بِنَاءً ثُمَّ جَاءَ أَهْلُهَا فَاسْتَحَقُّوهَا قَالَ: إِنْ كَانَ بَنَى بِأَمْرِهِمْ فَلَهُ نَفَقَتُهُ وَإِنْ كَانَ بَنَى بِغَيْرِ إِذْنِهِمْ فَلَهُ نَقْضُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৯২
প্রতিবেশীর শুফআ'র অধিকার
5991 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، وَالْقَعْنَبِيُّ، قَالَا: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشُّفْعَةِ فِيمَا لَمْ يُقْسَمْ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ فَلَا شُفْعَةَ

5992 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ مِثْلَهُ فَكَانَ هَذَا الْحَدِيثُ مَقْطُوعًا وَالْمَقْطُوعُ عِنْدَهُمْ لَا تَقُومُ بِهِ حُجَّةٌ. ثُمَّ لَوْ ثَبَتَ هَذَا الْحَدِيثُ وَاتَّصَلَ إِسْنَادُهُ لَمْ يَكُنْ فِيهِ عِنْدَنَا مَا يُخَالِفُ الْحَدِيثَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. لِأَنَّ الَّذِي فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِنَّمَا هُوَ قَوْلُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالشُّفْعَةِ فِيمَا لَمْ يُقْسَمْ. فَكَانَ بِذَلِكَ مُخْبِرًا عَمَّا قَضَى بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ فَلَا شُفْعَةَ وَكَانَ ذَلِكَ قَوْلًا مِنْ رَأْيِهِ لَمْ يَحْكِهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَإِنَّمَا يَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً عَلَى مَنْ ذَهَبَ إِلَى وُجُوبِ الشُّفْعَةِ بِالْجِوَارِ لَوْ كَانَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الشُّفْعَةُ فِيمَا لَمْ يُقْسَمْ فَإِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ فَلَا شُفْعَةَ. فَيَكُونُ ذَلِكَ نَفْيًا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَا قَدْ قُسِمَ أَنْ تَكُونَ فِيهِ الشُّفْعَةُ. وَلَكِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّمَا أَخْبَرَ فِي ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا عَلِمَهُ مِنْ قَضَائِهِ ثُمَّ نَفَى الشُّفْعَةَ بِرَأْيِهِ بِمَا لَمْ يَعْلَمْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ حُكْمًا وَعَلِمَهُ غَيْرُهُ. ثُمَّ قَدْ رَوَى مَعْمَرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ فَخَالَفَ مَالِكًا فِي مَتْنِهِ وَفِي إِسْنَادِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯৯৩
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৯২-৯৩। আবু বাকরা ….. কাসেম ইব্‌ন আব্দুর রহমান হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন মাসউদ (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।


আবু বাকরা ….. কাসেম ইব্‌ন আব্দুর রহমান হযরত শুরায়হ্ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
5992 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ

5993 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ شُرَيْحٍ، مِثْلَ ذَلِكَ سَوَاءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৯৩
empty
৫৯৯৩।
5993 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯৯৪
অনুমতি ছাড়া অন্যের জমি চাষাবাদ করার হুকুম কি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণিত হাদীস
৫৯৯৪। আবু বাকরা ….. হুমায়দ আত্-তাবীল বলেন, হযরত উমর ইব্‌ন আব্দুল আযীয (রাযিঃ) হুবহু অনুরূপ লিখেছেন, তার সম্পর্কে, যে অন্যের বাড়িতে ঘর নির্মাণ করে এবং যে অন্যের যমীনে চারা রােপণ করে।

আপনি কি দেখেছেন না, তারা (সাহাবা-ই কিরাম ও তাবিঈন) সকলেই (অন্যের বাড়িতে) নির্মাণকারীকে তার নির্মিত ঘর ভেঙ্গে ফেলার ফায়সালা প্রদান করেন। যমীনের মালিকের জন্য ঘরের ফায়সালা করেন না। আমাদের নযর ও যুক্তিতে ফসলের ব্যাপারটিও অনুরূপ।

এ অনুচ্ছেদে হযরত রাফে' ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি আমরা যে অর্থে প্রয়ােগ করেছি, সে অর্থটি ঐ অর্থের চেয়ে উত্তম যা আমাদের প্রতিপক্ষ গ্রহণ করেছেন। ফলে এ হাদীস এবং বায়াযা গােত্রীয় ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন এ দুয়ের মধ্যে কোন বিরােধ থাকবে না।

এ অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী মুখারাআত অনুচ্ছেদে আমরা হযরত রাফে ইবুন খাদীজ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি, একবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন যে যমীন চাষ করছিল। তিনি তাকে যমীন চাষ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, যমীন অমুক গােত্রের, বীজ আমার। অর্ধেক ফসলের চুক্তিতে আমি চাষ করছি। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, তুমি সুদের মুআমালা করেছ। তুমি তােমার খরচ নিয়ে নাও।
এখানে “তােমার খরচ নিয়ে নাও"-এর অর্থ এ নয় যে, তুমি যমীনের মালিকের নিকট হতে তােমার খরচ নিয়ে নাও। কারণ যমীনের মালিক তাকে তার নিজের জন্য খরচ করতে বলেনি; বরং এর অর্থ হলাে তােমার চাষাবাদে ফসল উৎপন্ন হবে, তুমি তা হতে তােমার খরচ নিয়ে নিবে। আর অবশিষ্ট যে ফসল, তা সদকা করে দিবে। অতএব হযরত রাফে' ইব্‌ন খাদীজ (রাযিঃ) -এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর যে হাদীস আমরা ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বর্ণনা করেছি, যে অন্যের যমীনে চাষাবাদ করেছে এবং তাতে সে ব্যয়ও করেছে, সে হাদীসের ব্যাখ্যাও অনুরূপ। এ অনুচ্ছেদে এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মত ও মাযহাব।
5994 - وَقَدْ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ ثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، قَالَ: وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، أَنَّهُ قَدْ أَخْبَرَهُمْ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللهُ قَدْ كَتَبَ بِمِثْلِ ذَلِكَ فِيمَنْ بَنَى فِي دَارِ قَوْمٍ وَفِيمَنْ غَرَسَ فِي أَرْضِ قَوْمٍ بِمِثْلِ ذَلِكَ أَيْضًا سَوَاءً أَفَلَا تَرَى أَنَّهُمْ جَمِيعًا قَدْ جَعَلُوا النَّقْضَ لِصَاحِبِ الْبِنَاءِ وَلَمْ يَجْعَلُوهُ لِصَاحِبِ الْأَرْضِ فَالزَّرْعُ فِي النَّظَرِ أَيْضًا كَذَلِكَ. وَالَّذِي قَدْ حَمَلَنَا عَلَيْهِ مَعْنَى حَدِيثِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ الَّذِي قَدْ رَوَيْنَاهُ فِي هَذَا الْبَابِ أَوْلَى مِمَّا قَدْ حَمَلَهُ عَلَيْهِ مَنْ قَدْ خَالَفَنَا لِيَتَّفِقَ ذَلِكَ وَمَا رَوَاهُ الرَّجُلُ الْبَيَاضِيُّ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا وَلَا يَتَضَادَّانِ فِي ذَلِكَ. [ص:120] وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فِي بَابِ الْمُزَارَعَةِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَرَّ بِرَجُلٍ يَزْرَعُ لَهُ فَسَأَلَهُ عَنْهُ فَقَالَ هُوَ زَرْعِي وَالْأَرْضُ لِآلِ فُلَانٍ وَالْبَذْرُ مِنْ قِبَلِي بِنِصْفِ مَا يَخْرُجُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَيْتَ خُذْ نَفَقَتَكَ. فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ عَلَى مَعْنَى خُذْ نَفَقَتَكَ مِنْ رَبِّ الْأَرْضِ لِأَنَّ رَبَّ الْأَرْضِ لَمْ يَأْمُرْهُ بِالْإِنْفَاقِ لِنَفْسِهِ. وَلَكِنْ مَعْنَى ذَلِكَ خُذْ نَفَقَتَكَ مِمَّا قَدْ خَرَجَ مِنَ الزَّرْعِ مِنْ هَذَا الزَّرْعِ وَتَصَدَّقْ بِمَا بَقِيَ. فَمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَافِعٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَنْ زَرَعَ فِي أَرْضِ غَيْرِهِ وَقَدْ جَعَلَ لَهُ نَفَقَتَهُ كَذَلِكَ أَيْضًا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ فِي هَذَا الْبَابِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান