শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৫. বন্ধক রাখার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৮৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯০০
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৮৯৯-৫৯০০। ইউনুস ..... ইব্‌ন শিহাব হযরত ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেন : رهن (বন্ধক রাখা বস্তু) আটকিয়ে রাখা যাবে না। ইউনুস ইব্‌ন ইয়াযীদ শিহাব সূত্রে বলেন, ইব্‌নুল মুসায়্যিব বলতেন, বন্ধক রাখা বস্তুর ফায়দা ও উপকার তার মালিকের (راهن) প্রাপ্য এবং তার ওপরই তার ক্ষতিও বর্তাবে।

হাদীসটি ইমাম মালিক তাঁর মুওয়াত্তা গ্রন্থে এবং আব্দুর রাযযাক তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে ও ইমাম বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।
بَابُ الرَّهْنِ يَهْلِكُ فِي يَدِ الْمُرْتَهِنِ كَيْفَ حُكْمُهُ؟
5899 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّهُ سَمِعَ مَالِكًا وَيُونُسَ وَابْنَ أَبِي ذِئْبٍ يُحَدِّثُونَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُغْلَقُ الرَّهْنُ»

5900 - قَالَ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَكَانَ ابْنُ الْمُسَيِّبِ يَقُولُ الرَّهْنُ لِصَاحِبِهِ غُنْمُهُ وَعَلَيْهِ غُرْمُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০০
empty
৫৯০০।
5900 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০১
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯০১। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা .…. আতা ও সুলায়মান ইব্‌ন মুসা হতে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বলেছেন : বন্ধক রাখা বস্তু (মুরতাহিনের নিকট) আটকিয়ে রাখা যাবে না ।

আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, অতঃপর কোন মন্তব্যকারী মন্তব্য করেন, যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) একথা বলছেন لا يغلق الرهن لصاحبه وعليه غرمه এর দ্বারা এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, رهن (বন্ধক রাখা বস্তু) ঋণের বিনিময়ে নষ্ট হবে না। আর তার মালিকের জন্যই তার ফায়দা, আর তার ক্ষতিও তার ওপরই বর্তাবে।

আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, যিনি এই বক্তব্য পেশ করেছেন, তিনি হলেন, ইমাম শাফিঈ (রাহঃ)। তিনিই এ বক্তব্য পেশ করেছেন এবং غنم ও غرم এর এই ভিন্ন ব্যাখ্যাও তিনিই পেশ করেছন। অবশ্য তাঁর এ মতের সাথে ইমাম আহমদ, আবু সাওর, আবু সাওর ইব্‌নুল মুনযির, এছাড়া, যুহরী, আওযাঈ ও আতা ইব্‌ন আবু রাবাহ্ একমত পােষণ করেন।

এই যে ব্যাখ্যা তিনি প্রদান করেছেন সমস্ত ভাষাবিদ পণ্ডিত তা অস্বীকার করেন, আর তারা একথা বলেছেন, এটা তাদের মতে কোন সঠিক ব্যাখ্যা নয়।

আর এ হাদীসটি منقطع হওয়া সত্ত্বেও যে বিষয়টি আমাদেরকে এখানে হাদীসটি পেশ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে তা হলাে, এ হাদীস দ্বারা যিনি আমাদের বিরুদ্ধে দলীল পেশ করেন, তিনি منقطع রিওয়ায়াত দ্বারা নয়, حسن রিওয়ায়াত দ্বারাই দলীল পেশ করার পক্ষপাতী। আর যদি তিনি তার বিরােধীর প্রতি ইনসাফ করতেন তবে অবশ্যই এ ধরনের منقطع রিওয়ায়াতকে দলীল হিসেবে পেশ করতেন না। অথচ তাঁর মতে منقطع
রিওয়ায়াত দলীল হতে পারে না।
যদি তিনি বলেন, এ হাদীসটি منقطع হওয়া সত্ত্বেও আমরা এ কারণে গ্রহণ করেছি, যেহেতু হাদীসটি হযরত
সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ) হতে বর্ণিত এবং হযরত সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ) হতে বর্ণিত منقطع রিওয়ায়াত منقطع রিওয়ায়াতের সমতুল্য (এবং তাঁর মতই গ্রহণযােগ্য), তবে তাকে বলা হবে, আপনাকে এ অধিকার কে দিল যে, হযরত সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ)-এর সাথে এ মর্যাদাকে খাস করবেন এবং তাঁর মত আরাে মদীনার অধিবাসী উলামা-ই কিরাম রয়েছেন, তাদেরকে এ মর্যাদা হতে বিরত রাখবেন ? যেমন আবু সালামা, ক্বাসেম, সালেম, উরওয়াহ, সুলায়মান ইব্‌ন ইয়াসার (রাহঃ) ও তাঁদের অনুরূপ আরাে মদীনার যে সব অধিবাসী রয়েছেন। এছাড়া, শা'বী, ইবরাহীম নাখঈ, এবং তাঁদের সমমর্যাদার কূফার অধিবাসী যে উলামা-ই কিরাম রয়েছেন। আর হাসান বসরী ও ইব্‌ন সীরীন এবং তাঁদের মত আরাে যে সমস্ত বসরার অধিবাসী রয়েছেন। অনুরূপভাবে যাদের অবস্থা উল্লেখ করলাম, তাদের যুগের বিভিন্ন শহরে যে ফুকাহা-ই কিরাম রয়েছেন এবং তাদের উপরের প্রথম শ্রেণীর যে সমস্ত তাবিঈ রয়েছেন, যেমন আলকামা, আসওয়াদ, আমর ইব্‌ন শুরাহবীল, আবীদাহ ও শুরাইহ (রাহঃ) প্রমুখ।

যদি হযরত সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ)-এর ব্যাপারে এরূপ স্বাধীনতা থাকে, তবে যাদের আমরা উল্লেখ করেছি, তাদের ব্যাপারে অন্যদেরও স্বাধীনতা থাকবে। আর আপনি ব্যতীত অন্যান্য উলামা-ই কিরাম যদি নিষিদ্ধ হন তবে এ নিষেধাজ্ঞা আপনার ব্যাপারেও প্রযোজ্য হবে। কারণ এটা একটা অবিচার। আর আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কারাে অবিচার করার অধিকার নেই। অথচ উলামা-ই কিরাম রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর উল্লেখিত হাদীসের ভিন্ন ব্যাখ্যাও প্রদান করেছেন।
5901 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، [ص:101] وَسُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا يُغْلَقُ الرَّهْنُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَالَ قَائِلٌ: فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُغْلَقُ الرَّهْنُ لِصَاحِبِهِ غُنْمُهُ وَعَلَيْهِ غُرْمُهُ ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الرَّهْنَ لَا يَضِيعُ بِالدَّيْنِ وَأَنَّ لِصَاحِبِهِ غُنْمَهُ وَهُوَ سَلَامَتُهُ وَعَلَيْهِ غُرْمُهُ وَهُوَ غُرْمُ الدَّيْنِ بَعْدَ ضَيَاعِ الرَّهْنِ. وَهَذَا تَأْوِيلٌ قَدْ أَنْكَرَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ جَمِيعًا بِاللُّغَةِ وَزَعَمُوا أَنْ لَا وَجْهَ لَهُ عِنْدَهُمْ. وَالَّذِي حَمَلَنَا عَلَى أَنْ نَأْتِيَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَإِنْ كَانَ مُنْقَطِعًا احْتِجَاجُ الَّذِي يَقُولُ بِالْمُسْنَدِ بِهِ عَلَيْنَا وَدَعْوَاهُ أَنَّا خَالَفْنَاهُ. وَقَدْ كَانَ يَلْزَمُهُ عَلَى أَصْلِهِ لَوْ أَنْصَفَ خَصْمَهُ أَنْ لَا يَحْتَجَّ بِمِثْلِ هَذَا إِذَا كَانَ مُنْقَطِعًا وَهُوَ لَا يَقُومُ الْحُجَّةُ عِنْدَهُ بِالْمُنْقَطِعِ. فَإِنْ قَالَ: إِنَّمَا قَبِلْتَهُ وَإِنْ كَانَ مُنْقَطِعًا لِأَنَّهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ وَمُنْقَطِعُ سَعِيدٍ يَقُومُ مَقَامَ الْمُتَّصِلِ. قِيلَ لَهُ: وَمَنْ جَعَلَ لَكَ أَنْ تَخُصَّ سَعِيدًا هَذَا وَتَمْنَعَ مِنْهُ مِثْلَهُ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مِثْلَ أَبِي سَلَمَةَ وَالْقَاسِمِ وَسَالِمٍ وَعُرْوَةَ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَأَمْثَالِهِمْ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَالشَّعْبِيِّ وَإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَأَمْثَالِهِمَا رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَالْحَسَنِ وَابْنِ سِيرِينَ وَأَمْثَالِهِمَا رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَكَذَلِكَ مَنْ كَانَ فِي عَصْرِ مَنْ ذَكَرْنَا مِنْ سَائِرِ فُقَهَاءِ الْأَمْصَارِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَمَنْ كَانَ فَوْقَهُمْ مِنَ الطَّبَقَةِ الْأُولَى مِنَ التَّابِعِينَ مِثْلَ عَلْقَمَةَ وَالْأَسْوَدِ وَعَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ وَعُبَيْدَةَ وَشُرَيْحٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ؟ . لَئِنْ كَانَ هَذَا لَكَ مُطْلَقًا فِي سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ فَإِنَّهُ مُطْلَقٌ لِغَيْرِكَ فِيمَنْ ذَكَرْنَا. وَإِنْ كَانَ غَيْرُكَ مَمْنُوعًا مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّكَ مَمْنُوعٌ مِنْ مِثْلِهِ لِأَنَّ هَذَا تَحَكُّمٌ وَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْكُمَ فِي دِينِ اللهِ بِالتَّحَكُّمِ. وَقَدْ قَالَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَأْوِيلِ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَا ذَكَرْتَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯০৪
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯০২-০৪। আলী ইব্‌ন আব্দুল আযীয ..... মুগীরা ও ইবরাহীম (রাহঃ) এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে বর্ণনা করেন, যে এক ব্যক্তির নিকট একটি বস্তু বন্ধক রেখে তার নিকট হতে কিছু দিরহাম নিয়েছিল। সে তাকে বললাে, আমি যদি এই এই তারিখের মধ্যে তােমার প্রাপ্য পরিশােধ করি, তবে তাে তােমার জিনিস ফিরিয়ে নিব, আর তা না হলে তােমার পাওনার বিনিময়ে তােমার জন্য বন্ধকি বস্তুর মধ্যে তােমার প্রাপ্য রয়েছে (অর্থাৎ বন্ধকি বস্তুর মাধ্যমে তােমার প্রাপ্য পরিশােধ করা হবে)। তখন ইবরাহীম বললেন, لا يغلق الرهن তখন আবু উবাইদ বললেন, তবে কি এটাই তার প্রশ্নের জবাব মনে করব?


তাউস .... হতে এরূপ বর্ণিত হয়েছে, যা আমার নিকট পর্যায়ক্রমে ইব্‌ন উয়ায়না ও আমর-এর মাধ্যমে তাউস হতে পৌঁছেছে। আবু উবায়দ বলেন, আব্দুর রহমান ইব্‌ন মাহ্দী পর্যায়ক্রমে মালিক ইব্‌ন আনাস ও সুফিয়ান ইব্‌ন সাঈদ হতে বর্ণনা করেন, তাঁরা দুজনই হাদীসের এই ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

ইউনুস ইব্‌ন আব্দুল আলা বলেন, ইব্‌ন ওয়াহব, মালিক ইব্‌ন আনাস (রাযিঃ) হতেও এ ব্যাখ্যা বর্ণনা
করেছেন।
04 - 5902 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فِيمَا أَعْلَمُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فَقَدْ دَخَلَ فِيمَا كَانَ أَجَازَهُ لِي. قَالَ: ثنا أَبُو عُبَيْدٍ قَالَ: ثنا جَرِيرٌ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ رَهْنًا وَأَخَذَ مِنْهُ دَرَاهِمَ وَقَالَ: إِنْ جِئْتُكَ بِحَقِّكَ إِلَى كَذَا وَكَذَا وَإِلَّا وَفَّى الرَّهْنُ لَكَ بِحَقِّكَ. فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لَا يُغْلَقُ الرَّهْنُ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: أفَجَعَلُهُ جَوَابًا لِمَسْأَلَتِهِ؟ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ طَاوُسٍ نَحْوٌ مِنْ هَذَا بَلَغَنِي ذَلِكَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ

قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ: وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَسُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُمَا كَانَ يُفَسِّرَانِهِ عَلَى هَذَا التَّفْسِيرِ

حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، بِذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৩
empty
৫৯০৩।
5903 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৪
empty
৫৯০৪।
5904 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৫
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯০৫। ফাহদ ….. সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেছেন لاتغلق الرهن এ হাদীস দ্বারা বাহনের মালিককে মুরতাহিন-এর নিকট হতে ক্রয় করা হতে বাধা প্রদান করা করা হবে, যাবত না তা অন্যের নিকট বিক্রয় করা হবে।
ইমাম যুহরী (রাহঃ) غلق এর অর্থ 'বিক্রয়' করা বুঝেছেন, নষ্ট হওয়া বুঝেননি। এ পূর্ববর্তী আলিমগণ তা-ই বলেন
যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতেও এ সম্পর্কে বর্ণিত আছে।
5905 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُغْلَقُ الرَّهْنُ» فَبِذَلِكَ يُمْنَعُ صَاحِبُ الرَّهْنِ أَنْ يَبْتَاعَهُ مِنَ الَّذِي رَهَنَهُ عِنْدَهُ حَتَّى يُبَاعَ مِنْ غَيْرِهِ. فَذَهَبَ الزُّهْرِيُّ أَيْضًا فِي ذَلِكَ الْغَلْقِ إِلَى أَنَّهُ فِي الْبَيْعِ لَا فِي الضَّيَاعِ فَهَؤُلَاءِ الْمُتَقَدِّمُونَ يَقُولُونَ بِمَا ذَكَرْنَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৬
১- চাষাবাদ সম্পর্কিত
كِتَابُ الْمُزَارَعَةِ وَالْمُسَاقَاةِ بَابُ الْمُزَارَعَةِ
5906 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ وَفَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَا: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ يَقُولُ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُزَارَعَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৭
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5907 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ قَالَ ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: كُنَّا نُخَابِرُ وَلَا نَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا حَتَّى زَعَمَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْمُخَابَرَةِ فَتَرَكْنَاهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৮
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5908 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَاهُ يَعْنِي عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكْرِي أَرْضَهُ حَتَّى بَلَغَهُ أَنَّ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ الْأَنْصَارِيَّ كَانَ يُنْهِي عَنْ كِرَاءِ الْأَرْضِ. فَلَقِيَهُ فَقَالَ: يَا ابْنَ خَدِيجٍ مَاذَا تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كِرَاءِ الْأَرْضِ؟ . فَقَالَ: سَمِعْتُ عَمَّيَّ وَكَانَا قَدْ شَهِدَا بَدْرًا يُحَدِّثَانِ أَهْلَ الدَّارِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ كِرَاءِ الْأَرْضِ. قَالَ عَبْدُ اللهِ: لَقَدْ كُنْتُ أَعْلَمُ أَنَّ الْأَرْضَ كَانَتْ تُكْرَى عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ خَشِيَ عَبْدُ اللهِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ أَحْدَثَ فِي ذَلِكَ شَيْئًا لَمْ يَكُنْ عَلِمَهُ فَتَرَكَ كِرَاءَ الْأَرْضِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯০৯
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5909 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْحَقْلِ. قَالَ شُعْبَةُ: فَقُلْتُ لِلْحَكَمِ: مَا الْحَقْلُ؟ قَالَ: أَنْ تُكْرَى الْأَرْضُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: أَرَاهُ أَنَا قَالَ: بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯১১
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5910 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ: نَهَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَمْرٍ كَانَ لَنَا نَافِعًا وَأَمْرُ نَبِيِّ اللهِ أَنْفَعُ لَنَا قَالَ: «مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ لِيُزْرِعْهَا»

5911 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّبَيْدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يَقُولُ: حَدَّثَنِي أَسَدٌ ابْنُ أَخِي، رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ: قَالَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ فَذَكَرَ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «فَلْيَزْرَعْهَا فَإِنْ عَجَزَ عَنْهَا فَلْيُزْرِعْهَا أَخَاهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১১
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯১১। নসর ….. খাল্লাস ইব্‌ন আমর হতে বর্ণিত, হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, যখন বন্ধকী বস্তুর মূল্য (মুরতাহিনের দেয়া অর্থের চেয়ে) অতিরিক্ত হয়, অতঃপর তা বিপদগ্রস্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, তবে মুরতাহিনের অর্থ বন্ধকী বস্তুর বিনিময় বিবেচিত হবে। আর যদি কোন বিপদ না পৌঁছায় এবং তাকেই অভিযুক্ত করা হয়, তবে অতিরিক্ত মাল ফিরিয়ে দিবে।
5911 - حَدَّثَنَا نَصْرٌ، قَالَ: ثنا الْخَطِيبُ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ خِلَاسٍ هُوَ ابْنُ عَمْرٍو، أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: إِذَا كَانَ فِي الرَّهْنِ فَضْلٌ فَأَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ فَهُوَ بِمَا فِيهِ وَإِنْ لَمْ تُصِبْهُ جَائِحَةٌ وَاتُّهِمَ فَإِنَّهُ يَرُدُّ الْفَضْلَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১২
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5912 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: أَخَذْتُ بِيَدِ طَاوُسٍ حَتَّى أَدْخَلْتُهُ عَلَى ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فَحَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ كَرْيِ الْأَرْضِ. فَأَبَى طَاوُسٌ وَقَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ أَنَّهُ لَا يَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৯১৪
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5913 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُزَابَنَةِ وَالْمُحَاقَلَةِ. وَقَالَ: «إِنَّمَا يَزْرَعُ ثَلَاثَةٌ رَجُلٌ لَهُ أَرْضٌ فَهُوَ يَزْرَعُهَا وَرَجُلٌ مَنَحَ أَخَاهُ أَرْضًا فَهُوَ يَزْرَعُ مَا مُنِحَ مِنْهَا وَرَجُلٌ اكْتَرَى بِذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ»

5914 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ وَالْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ قَالَا: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১৪
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯১৪। হুসায়ন ইব্‌ন নসর ….. আবু হাসীন বলেন, আমি শুরাইহকে বলতে শুনেছি, বন্ধক রাখা বস্তুসমূহ তার সম্পূর্ণ মূল্য সহ-ই ধ্বংস হয়েছে।
5914 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، قَالَ: سَمِعْتُ شُرَيْحًا، يَقُولُ: ذَهَبَتِ الرِّهَانُ بِمَا فِيهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১৫
চাষাবাদ সম্পর্কিত
5915 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَزْرَعْهَا أَوْ يُزْرِعْهَا أَخَاهُ وَلَا يُكْرِيهَا بِالثُّلُثِ وَلَا بِالرُّبُعِ وَلَا بِطَعَامٍ مُسَمًّى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১৬
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯১৬। সুলায়মান ইব্‌ন শুআয়ব তাঁর পিতা সূত্রে …. হাম্মাদ ইবরাহীম হতে বর্ণনা করেন, তিনি মুরতাহিনের হাতে বন্ধক রাখা বস্তু হালাক হলে সে সম্পর্কে বলেন, বন্ধকী বস্তুর মূল্য ও ঋণ যদি সমান হয়, তবে বন্ধকী বস্তু ঋণের বিনিময়ে হালাক হবে। আর যদি তার মূল্য ঋণের চেয়ে কম হয়, তবে ঋণের অতিরিক্ত অংশ ফিরিয়ে দেয়া হবে। আর তার মূল্য ঋণের চেয়ে বেশী হলে অতিরিক্ত অংশে মুরতাহিন আমীন হবে।
এ সম্পর্কে আতা ইব্‌ন রাবাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত :
5916 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّهُ قَالَ فِي الرَّهْنِ: يَهْلِكُ فِي يَدَيِ الْمُرْتَهِنِ إِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ وَالدَّيْنِ سَوَاءً ضَاعَ بِالدَّيْنِ وَإِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ أَقَلَّ مِنَ الدَّيْنِ رَدَّ عَلَيْهِ الْفَضْلَ وَإِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ أَكْثَرَ مِنَ الدَّيْنِ فَهُوَ أَمِينٌ فِي الْفَضْلِ وَرُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৯১৭
বন্ধক রাখা বস্তু মুরতাহিনের হাতে হালাক হলে তার হুকুম কি ?
৫৯১৭। ইব্‌ন মারযূক …… আতা থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি তার বাঁদী অন্য এক ব্যক্তির নিকট বন্ধক রাখার পর হালাক হয়ে যায়। তার সম্পর্কে আতা (রাহঃ) বলেন, সে (বাঁদী) মুরতাহিনের হক (ঋণ)-এর বিনিময়ে হালাক হয়েছে।

এই তাে হযরত আতা এই কথা বলেন, অথচ আমরা তাঁর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে বর্ণনা করেছি “ لا يغلق الرهن ”(বন্ধকী বস্তু হতে রাহেনকে বাধা দেয়া যাবে না)। অতএব এ রিওয়ায়াতও আমাদের বিরােধীর বিপক্ষে আমাদের দলীল। কারণ তাঁর নীতি হলো, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে যিনি হাদীস বর্ণনা করেন, তাঁর ব্যাখ্যাই দলীল হিসেবে বিবেচিত। অথচ তিনি এসব ব্যাখ্যারই বিরােধিতা করেছেন। অনুরূপ যেসব রিওয়ায়াত আমরা রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হতে বর্ণনা করেছি এবং হযরত উমর, আলী (রাযিঃ) এবং যে সমস্ত তাবিঈ হতে আমরা বর্ণনা করেছি, তাদেরও তিনি বিরােধিতা করেছেন। সুতরাং আমরা জিজ্ঞেস করি, এ বিষয়ে তাঁর ইমাম কে? এবং তিনি কার অনুসরণ করেন ?

তারপর তিনি যা বলেন এবং যে মতের তিনি অনুসরণ করেন, আমাদের যুক্তিও তা প্রতিরােধ করে। কারণ বন্ধকী বস্তুকে তিনি (মুরতাহিনের নিকট) আমানত মনে করেন, যা নষ্ট হয়ে গেলে কোন বিনিময় ছাড়াই নষ্ট হবে (যা একেবারেই একটা ভুল ধারণা)। কারণ উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, সমস্ত আমানতের মালিকের এ অধিকার থাকে যে, সে তার আমানত যে কোন সময় নিয়ে নিতে পারে। অতএব এ পরিস্থিতি হলে, মুরতাহিনের জন্য তাকে বাধা দেয়া হারাম হবে। অথচ বন্ধকের মাসআলা এর সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ মুরতাহিনের জন্য এ অধিকার থাকে যে, সে বন্ধক রাখা বস্তুকে আটকিয়ে রাখতে পারবে। আর তার মালিকের নিকট হতে যতদিন পর্যন্ত তার ঋণ আদায় করতে না পারবে, ততদিন সে মালিককে তা নিতে বাধা দিতে পারবে। অতএব এর দ্বারা رهن (বন্ধক রাখা বস্তু)-এর হুকুম আমানতের হুকুম হতে পৃথক হয়ে গেল। আর আমরা এটাও দেখেছি যে, লুণ্ঠিত বস্তু লুণ্ঠনকারীদের জন্য আটকিয়ে রাখা হারাম, অথচ যাদের নিকট হতে লুণ্ঠন করা হয়েছে, তাদের জন্য তা হালাল। অথচ رهن এমন নয়। কারণ মুরতাহিনের জন্য তা আটকিয়ে রাখা হালাল। আর রাহেন যতদিন তার ঋণ পরিশােধ না করবে, ততদিন পর্যন্ত মুরতাহিন তাকে তার বন্ধক রাখা বস্তু হতে বাধাও দিতে পারবে।

আর আমরা এটাও দেখেছি যে, ধার করা বস্তু দ্বারা ধারকারী ব্যক্তি উপকৃত হতে পারে। আর যে ব্যক্তি তাকে ধার দিয়েছে, তার পক্ষে যে কোন সময় তার ইচ্ছা অনুযায়ী তার নিকট হতে তা নিয়ে নিতে পারে। অথচ رهن ও বন্ধকের মাসআলা এমন নয়। কারণ বন্ধকী বস্তু ব্যবহার করা মুরতাহিনের ওপর সম্পূর্ণ হারাম। অতএব, رهن ও বন্ধকের হুকুম, আমানত, غصب (লুণ্ঠন) ও عارثه (ধার)-এর হুকুম হতে যে পৃথক তা সুস্পষ্ট হলাে। আর এ কথা প্রমাণিত হলাে যে, رهن এর হুকুম, এসব কিছুর হুকুম হতে ভিন্ন।

আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, মুরতাহিনের জন্য বন্ধকী বস্তু আটকিয়ে রাখার অধিকার রয়েছে, যাবত না সে তার ঋণ পূর্ণ নিয়ে নিবে। আর রাহেন যখন তার ঋণ হতে মুক্ত হবে, তখন তার জন্য তা নিয়ে নেয়া হালাল।

বন্ধকী বস্তু আটকিয়ে রাখার অধিকার যখন ঋণ আটকিয়ে রাখার সাথে সম্পৃক্ত এবং তার আটক হতে মুক্ত হওয়া যখন ঋণ হতে মুক্ত হবার সাথে সম্পৃক্ত, অতএব ঠিক এভাবেই বন্ধকী বস্তু বহাল থাকলে ঋণও বহাল থাকবে। আর তা বহাল না থাকলে ঋণও বহাল থাকবে না ।

অনুরূপভাবে আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি যে, আমাদের ও আমাদের বিরােধী এই কথকের মতে বিক্রেতার জন্য তার বিক্রয় করা মাল মূল্য পরিশােধ না করার কারণে আটকিয়ে রাখা জায়েয আছে। আর এই অবস্থায় যদি উক্ত মাল তার নিকট নষ্ট হয়ে যায়, তবে তার ثمن অর্থাৎ তার বিক্রয় মূল্যও নষ্ট হবে। (অর্থাৎ তার মূল্য তাকে দেয়া হবে না)। অতএব আমরা ও তিনি এই যে বিষয়ের ওপর একমত হয়েছি, তার ওপর প্রতিষ্ঠিত যুক্তির দাবি হলো, رهن (বন্ধক রাখা মাল)-ও অনুরূপ হবে। অর্থাৎ رهن নষ্ট হলে ঋণও বাতিল হবে। যেমন বিক্রয় করা মাল বিক্রেতার কাছে নষ্ট হলে বিক্রয় মূল্য বাতিল হয়ে যায় । অনুরূপভাবে رهن নষ্ট হলেও ঋণ বাতিল হয়ে যায়। এ বিষয়ে এটাই আমাদের যুক্তি।

তবে ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) ঐ মত অবলম্বন করেন, যা আমরা এ অনুচ্ছেদে হযরত উমর (রাযিঃ) ও ইবাহিম নাখঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি। আর غصب ও লুণ্ঠনের ব্যাপারে উলামা-ই কিরাম যে বিষয়ের ওপর ঐকমত্য পােষণ করেছেন, তারা তা দ্বারা দলীল পেশ করেন। তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, লুণ্ঠনকারীর নিকট যদি লুণ্ঠিত মাল নষ্ট হয়ে যায়, তবে লুণ্ঠিত মালের মূল্যের বেশী তার ওপর ওয়াজিব হয় না। অথচ লুণ্ঠন করা হারাম। অতএব বন্ধকী মাল, যা মুরতাহিনের যিম্মায় তার হিফাযতের দায়িত্ব বর্তায়, তা নষ্ট হয়ে গেলেও তার মূল্যের অধিকের সে যামিন হবে না।

আর সাঈদ ইব্‌নুল মুসায়্যিব (রাহঃ)-এর যে বক্তব্য له غنمه وعليه غرمه এর ব্যাখ্যার ব্যাপারে তারা বলেন, তাঁর এ বক্তব্য بيع বা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে প্রযােজ্য। অর্থাৎ বন্ধকী বস্তু যখন ঋণের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রয় করা হবে, তখন রাহেন মুরতাহিনের অবশিষ্ট ঋণের জন্য দায়ী থাকবে। হাদীসে বর্ণিত وعليه غرمه -এর অর্থ এটাই। আর যখন ঋণের চেয়ে বেশী মূল্যে বিক্রয় করা হবে, তখন তার বন্ধকী বস্তুর অধিক মূল্য সে গ্রহণ করবে। হাদীসে বর্ণিত له غنمه-এর অর্থ এটাই।
5917 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ فِي رَجُلٍ رَهَنَ رَجُلًا جَارِيَةً فَهَلَكَتْ قَالَ: هِيَ بِحَقِّ الْمُرْتَهِنِ [ص:104] فَهَذَا عَطَاءٌ يَقُولُ بِهَذَا وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَا يَغْلَقُ الرَّهْنُ. فَهَذَا أَيْضًا حُجَّةٌ عَلَى مُخَالِفِنَا إِذَا كَانَ مِنْ أَصْلِهِ أَنَّ مَنْ رَوَى حَدِيثًا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَأْوِيلُهُ فِيهِ حُجَّةٌ. فَقَدْ خَالَفَ هَذَا كُلَّهُ فِي هَذَا الْبَابِ وَخَالَفَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَعَمَّنْ ذَكَرْنَا مِنَ التَّابِعِينَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ فَمَنْ إِمَامُهُ فِي هَذَا؟ أَوْ بِمَنِ اقْتَدَى بِهِ؟ . ثُمَّ النَّظَرُ فِي هَذَا أَيْضًا يَدْفَعُ مَا قَالَ وَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ إِذْ جَعْلُ الرَّهْنِ أَمَانَةً يَضِيعُ بِغَيْرِ شَيْءٍ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْأَمَانَاتِ لِرَبِّهَا أَنْ يَأْخُذَهَا وَحَرَامٌ عَلَى الْمُرْتَهِنِ مَنْعُهُ مِنْهَا. وَالرَّهْنُ مُخَالِفٌ لِذَلِكَ إِذَا كَانَ لِلْمُرْتَهِنِ حَبْسُهُ وَمَنْعُ مَالِكِهِ مِنْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ دَيْنَهُ فَخَرَجَ بِذَلِكَ حُكْمُهُ مِنْ حُكْمِ الْأَمَانَاتِ. وَرَأَيْنَا الْأَشْيَاءَ الْمَغْصُوبَةَ حَرَامٌ عَلَى الْغَاصِبِينَ حَبْسُهَا وَحَلَالٌ لِلْمَغْصُوبِينَ مِنْهُمْ أَخْذُهَا وَالرَّهْنُ لَيْسَ كَذَلِكَ لِأَنَّ الْمُرْتَهِنَ حَلَالٌ لَهُ حَبْسُ الرَّهْنِ وَمَنْعُ الرَّاهِنِ مِنْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ مِنْهُ دَيْنَهُ. وَرَأَيْنَا الْعَوَارِيَّ لِلْمُسْتَعِيرِ الِانْتِفَاعُ بِهَا وَلِلْمُعِيرِ أَخْذُهَا مِنْهُ مَتَى أَحَبَّ. وَالرَّهْنُ لَيْسَ كَذَلِكَ لِأَنَّ الْمُرْتَهِنَ حَرَامٌ عَلَيْهِ اسْتِعْمَالُ الرَّهْنِ وَلَيْسَ لِلرَّاهِنِ أَخْذُهُ مِنْهُ حَتَّى يُوفِيَهُ دَيْنَهُ. فَبَانَ حُكْمُ الرَّهْنِ عَنْ حُكْمِ الْوَدَائِعِ وَالْغُصُوبِ وَالْعَوَارِيِّ وَثَبَتَ أَنَّ حُكْمَهُ بِخِلَافِ حُكْمِ ذَلِكَ كُلِّهِ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ لِلْمُرْتَهِنِ حَبْسَهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ الدَّيْنَ وَحَلَالٌ لِلرَّاهِنِ أَخْذُهُ إِذَا بَرِئَ مِنَ الدَّيْنِ. فَلَمَّا كَانَ حَبْسُ الرَّهْنِ مُضَمَّنًا بِحَبْسِ الدَّيْنِ وَسُقُوطُ حَبْسِهِ مُضَمَّنًا بِسُقُوطِ حَبْسِ الدَّيْنِ كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا ثُبُوتُ الدَّيْنِ مُضَمَّنًا بِثُبُوتِ الرَّهْنِ فَمَا كَانَ الرَّهْنُ ثَابِتًا فَالدَّيْنُ ثَابِتٌ وَمَتَى كَانَ الرَّهْنُ غَيْرَ ثَابِتٍ فَالدَّيْنُ غَيْرُ ثَابِتٍ. وَكَذَلِكَ رَأَيْنَا الْمَبِيعَ فِي قَوْلِنَا وَقَوْلِ هَذَا الْمُخَالِفِ لَنَا لِلْبَائِعِ حَبْسُهُ بِالثَّمَنِ وَمَتَى ضَاعَ فِي يَدِهِ ضَاعَ بِالثَّمَنِ. فَالنَّظَرُ عَلَى مَا اجْتَمَعَا عَلَيْهِ نَحْنُ وَهُوَ مِنْ هَذَا أَنْ يَكُونَ الرَّهْنُ كَذَلِكَ وَأَنْ يَكُونَ ضَيَاعُهُ يُبْطِلُ الدَّيْنَ كَمَا كَانَ ضَيَاعُ الْمَبِيعِ يُبْطِلُ الثَّمَنَ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ غَيْرَ أَنَّ أَبَا حَنِيفَةَ وَأَبَا يُوسُفَ وَمُحَمَّدًا رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ ذَهَبُوا فِي الرَّهْنِ إِلَى مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ فِي هَذَا الْبَابِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَإِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا قَدْ أَجْمَعُوا عَلَيْهِ فِي الْغَصْبِ فَقَالُوا: رَأَيْنَا الْأَشْيَاءَ الْمَغْصُوبَةَ لَا يُوجِبُ ضَيَاعُهَا مِنْ غَصْبِهَا أَكْثَرَ مِنْ ضَمَانِ قِيمَتِهَا وَغَصْبُهَا حَرَامٌ. قَالُوا: فَالْأَشْيَاءُ الْمَرْهُونَةُ الَّتِي قَدْ ثَبَتَ أَنَّهَا مَضْمُونَةٌ أَحْرَى أَنْ لَا يَجِبَ بِضَمَانِهَا عَلَى مَنْ قَدْ ضَمِنَهَا أَكْثَرُ مِنْ مِقْدَارِ قِيمَتِهَا. وَكَانُوا يَذْهَبُونَ فِي تَفْسِيرِ قَوْلِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ لَهُ غُنْمُهُ وَعَلَيْهِ غُرْمُهُ إِلَى أَنَّ ذَلِكَ فِي الْبَيْعِ. [ص:105] يُرِيدُونَ إِذَا بِيعَ الرَّهْنُ بِثَمَنٍ فِيهِ نَقْصٌ عَنِ الدَّيْنِ غَرِمَ الْمُرْتَهِنُ ذَلِكَ النَّقْصَ وَهُوَ غُرْمُهُ الْمَذْكُورُ فِي الْحَدِيثِ وَإِذَا بِيعَ بِفَضْلٍ عَنِ الدَّيْنِ أَخَذَ الرَّاهِنُ ذَلِكَ الْفَضْلَ وَهُوَ غُنْمُهُ الْمَذْكُورُ فِي الْحَدِيثِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান