শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৫. বন্ধক রাখার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮৯৪
অধ্যায় : বন্ধক পর্ব
বন্ধক রাখা প্রাণীতে আরােহণ, তার ব্যবহার ও তার দুধপান করা প্রসঙ্গ
বন্ধক রাখা প্রাণীতে আরােহণ, তার ব্যবহার ও তার দুধপান করা প্রসঙ্গ
৫৮৯৪। আলী ইব্ন শায়বা …… হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) নবী(ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, যানবাহনের উট যখন বন্ধক রাখা হবে, তখন তার ওপরে তার ব্যয় বহনের বিনিময়ে আরােহণ করা যাবে এবং উটের দুধ পান করা যাবে তার ব্যয় বহনের বিনিময়ে, যখন তা বন্ধক রাখা হবে।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এই মত পােষণ করেন, রাহেন বা বন্ধকদাতার জন্য তার বন্ধক রাখা চতুষ্পদ প্রাণীর ওপর তার ব্যয় বহনের বিনিময়ে সওয়ার হওয়া জায়েয আছে। অনুরূপভাবে তার ব্যয় বহনের বিনিময়ে দুধপান করাও জায়েয আছে। তাঁরা উল্লেখিত এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা ইবরাহীম নাখঈ, ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) আহলে যাহির উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর মতও এটাই।
অপরদিকে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল তাঁদের বিরােধিতা করে বলেন, রাহেন-এর জন্য তার বন্ধক রাখা চতুষ্পদ প্রাণীর ওপর সওয়ার হওয়া জায়েয নেই। অনুরূপভাবে বন্ধক রাখা প্রাণীর দুধপান করাও তার জন্য জায়েয নেই। বস্তুত দুধও উক্ত প্রাণীর সাথে বন্ধক। আর রাহেনের জন্য তার বন্ধক রাখা বস্তুর কোন কিছু দ্বারা উপকৃত হওয় জায়েয নয়।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা সাওরী, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
প্রথম মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হলাে, তারা উল্লেখিত যে হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করেছেন, বস্তুত তা মুজমাল বা সংক্ষিপ্ত। উক্ত হাদীসে একথা উল্লেখ করা হয়নি, কোন ব্যক্তি সওয়ার হবে, অতএব তারা مرتهن (বন্ধক গ্রহীতা)-কে বাদ দিয়ে راهن-কে কিভাবে সাব্যস্ত করলেন ? (সে-ই আরােহণ করতে পারবে ও দুধপান করতে পারবে)? কিতাবুল্লাহ, সুন্নত কিংবা ইজমা, এই তিন দলীলের কোন এক দলীল ছাড়া কারাে অনুকূলে সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না। এ হাদীসটি হুশায়মও বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এমন কিছু বর্ণনা করেছেন, যা ইয়াযীদ ইব্ন হারূন বর্ণনা করেন নি।
আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এই মত পােষণ করেন, রাহেন বা বন্ধকদাতার জন্য তার বন্ধক রাখা চতুষ্পদ প্রাণীর ওপর তার ব্যয় বহনের বিনিময়ে সওয়ার হওয়া জায়েয আছে। অনুরূপভাবে তার ব্যয় বহনের বিনিময়ে দুধপান করাও জায়েয আছে। তাঁরা উল্লেখিত এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা ইবরাহীম নাখঈ, ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) আহলে যাহির উদ্দেশ্য। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ)-এর মতও এটাই।
অপরদিকে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল তাঁদের বিরােধিতা করে বলেন, রাহেন-এর জন্য তার বন্ধক রাখা চতুষ্পদ প্রাণীর ওপর সওয়ার হওয়া জায়েয নেই। অনুরূপভাবে বন্ধক রাখা প্রাণীর দুধপান করাও তার জন্য জায়েয নেই। বস্তুত দুধও উক্ত প্রাণীর সাথে বন্ধক। আর রাহেনের জন্য তার বন্ধক রাখা বস্তুর কোন কিছু দ্বারা উপকৃত হওয় জায়েয নয়।
আল্লামা আইনী বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা সাওরী, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
প্রথম মতের প্রবক্তাদের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হলাে, তারা উল্লেখিত যে হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করেছেন, বস্তুত তা মুজমাল বা সংক্ষিপ্ত। উক্ত হাদীসে একথা উল্লেখ করা হয়নি, কোন ব্যক্তি সওয়ার হবে, অতএব তারা مرتهن (বন্ধক গ্রহীতা)-কে বাদ দিয়ে راهن-কে কিভাবে সাব্যস্ত করলেন ? (সে-ই আরােহণ করতে পারবে ও দুধপান করতে পারবে)? কিতাবুল্লাহ, সুন্নত কিংবা ইজমা, এই তিন দলীলের কোন এক দলীল ছাড়া কারাে অনুকূলে সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না। এ হাদীসটি হুশায়মও বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এমন কিছু বর্ণনা করেছেন, যা ইয়াযীদ ইব্ন হারূন বর্ণনা করেন নি।
كِتَابُ الرَّهْنِ بَابُ رُكُوبِ الرَّهْنِ وَاسْتِعْمَالِهِ وَشُرْبِ لَبَنِهِ
5894 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الظَّهْرُ يُرْكَبُ بِنَفَقَتِهِ إِذَا كَانَ مَرْهُونًا وَلَبَنُ الدَّرِّ يُشْرَبُ بِنَفَقَتِهِ إِذَا كَانَ مَرْهُونًا» [ص:99] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ لِلرَّاهِنِ أَنْ يَرْكَبَ الرَّهْنَ بِحَقِّ نَفَقَتِهِ عَلَيْهِ وَيَشْرَبَ لَبَنَهُ أَيْضًا بِحَقِّ نَفَقَتِهِ عَلَيْهِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَيْسَ لِلرَّاهِنِ أَنْ يَرْكَبَ الرَّهْنَ وَلَا يَشْرَبَ لَبَنَهُ وَهُوَ رَهْنٌ مَعَهُ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَنْتَفِعَ مِنْهُ بِشَيْءٍ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ الَّذِي احْتَجُّوا بِهِ حَدِيثٌ مُجْمَلٌ لَمْ يُبَيِّنْ فِيهِ مَنِ الَّذِي يَرْكَبُ وَيَشْرَبُ اللَّبَنَ؟ فَمِنْ أَيْنَ جَازَ لَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهُ الرَّاهِنَ دُونَ أَنْ يَجْعَلُوهُ الْمُرْتَهِنَ؟ هَذَا لَا يَكُونُ لِأَحَدٍ إِلَّا بِدَلِيلٍ يَدُلُّهُ عَلَى ذَلِكَ إِمَّا مِنْ كِتَابٍ أَوْ سُنَّةٍ أَوْ إِجْمَاعٍ. وَمَعَ ذَلِكَ فَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ هُشَيْمٌ وَبَيَّنَ فِيهِ مَا لَمْ يُبَيِّنْ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৯৫
বন্ধক রাখা প্রাণীতে আরােহণ, তার ব্যবহার ও তার দুধপান করা প্রসঙ্গ
৫৮৯৫। আহমদ ইব্ন দাউদ ….. হুশায়ম পর্যায়ক্রমে যাকারিয়া, শা'বী ও হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী(ﷺ) ইরশাদ করেছেন : যখন কোন চতুষ্পদ প্রাণী বন্ধক রাখা হয় তখন مرتهن -এর ওপর এর ঘাস খাওয়ানাের দায়িত্ব বর্তাবে। আর তার দুধপান করা যাবে। আর যে ব্যক্তি দুধপান করবে ও সওয়ার হবে, তার ওপর তার ব্যয় বহন করার দায়িত্ব বর্তাবে।
এ হাদীস প্রমাণ করে যে, প্রথম হাদীসে যার সওয়ার হওয়া ও দুধপান করার কথা বলা হয়েছে, সে ব্যক্তি مرتهن (সে راهن নয়) সওয়ার হওয়া ও দুধপান করার অধিকার তাকে প্রদান করা হয়েছে এবং বিনিময়ে তার ওপরই তার ব্যয় বহনের দায় আরােপ করা হয়েছে। আর এটাই আমাদের মাযহাব ছিল তখন, যখন রিবা ও সুদ মুবাহ ছিল এবং এমন ঋণ হতে যখন নিষেধ করা হয়নি যে ঋণ কোন উপকার টেনে আনে। আর একই ধরনের বস্তুর অসম বিনিময় গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়নি। অবশ্য তারপর রিবা হারাম করা হয়েছে, এমন সব ঋণও হারাম করা হয়েছে যা উপকার টেনে আনে (এবং ঋণদাতা অতিরিক্ত উপকার লাভ করে)। আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, বন্ধক রাখা প্রাণীর ব্যয় راهن-এর ওপর বর্তাবে, مرتهن-এর ওপর নয় এবং বন্ধক রাখা বস্তু مرتهن-এর জন্য ব্যবহার করা জায়েয নয়। রিবা মানসূখ হবার ব্যাপারে যে সব রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে তা হতে-
এ হাদীস প্রমাণ করে যে, প্রথম হাদীসে যার সওয়ার হওয়া ও দুধপান করার কথা বলা হয়েছে, সে ব্যক্তি مرتهن (সে راهن নয়) সওয়ার হওয়া ও দুধপান করার অধিকার তাকে প্রদান করা হয়েছে এবং বিনিময়ে তার ওপরই তার ব্যয় বহনের দায় আরােপ করা হয়েছে। আর এটাই আমাদের মাযহাব ছিল তখন, যখন রিবা ও সুদ মুবাহ ছিল এবং এমন ঋণ হতে যখন নিষেধ করা হয়নি যে ঋণ কোন উপকার টেনে আনে। আর একই ধরনের বস্তুর অসম বিনিময় গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়নি। অবশ্য তারপর রিবা হারাম করা হয়েছে, এমন সব ঋণও হারাম করা হয়েছে যা উপকার টেনে আনে (এবং ঋণদাতা অতিরিক্ত উপকার লাভ করে)। আর উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, বন্ধক রাখা প্রাণীর ব্যয় راهن-এর ওপর বর্তাবে, مرتهن-এর ওপর নয় এবং বন্ধক রাখা বস্তু مرتهن-এর জন্য ব্যবহার করা জায়েয নয়। রিবা মানসূখ হবার ব্যাপারে যে সব রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে তা হতে-
5895 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ الصَّائِغُ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ زَكَرِيَّا، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَانَتِ الدَّابَّةُ مَرْهُونَةً فَعَلَى الْمُرْتَهِنِ عَلَفُهَا وَلَبَنُ الدَّرِّ يُشْرَبُ وَعَلَى الَّذِي يَشْرَبُ نَفَقَتُهَا وَيَرْكَبُ» فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ أَنَّ الْمَعْنِيَّ بِالرُّكُوبِ وَشُرْبِ اللَّبَنِ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ هُوَ الْمُرْتَهِنُ لَا الرَّاهِنُ فَجَعَلَ ذَلِكَ لَهُ وَجُعِلَتِ النَّفَقَةُ عَلَيْهِ بَدَلًا مِمَّا يَتَعَوَّضُ مِنْهُ مِمَّا ذَكَرْنَا. وَكَانَ هَذَا عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ، فِي وَقْتِ مَا كَانَ الرِّبَا مُبَاحًا وَلَمْ يُنْهَ حِينَئِذٍ عَنِ الْقَرْضِ الَّذِي يَجُرُّ مَنْفَعَةً وَلَا عَنْ أَخْذِ الشَّيْءِ بِالشَّيْءِ وَإِنْ كَانَا غَيْرَ مُتَسَاوِيَيْنِ ثُمَّ حُرِّمَ الرِّبَا بَعْدَ ذَلِكَ وَحُرِّمَ كُلُّ قَرْضٍ جَرَّ نَفْعًا وَأَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنَّ نَفَقَةَ الرَّهْنِ عَلَى الرَّاهِنِ لَا عَلَى الْمُرْتَهِنِ وَأَنَّهُ لَيْسَ لِلْمُرْتَهِنِ اسْتِعْمَالُ الرَّهْنِ. فَمِمَّا رُوِيَ فِي نَسْخِ الرِّبَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৯৭
বন্ধক রাখা প্রাণীতে আরােহণ, তার ব্যবহার ও তার দুধপান করা প্রসঙ্গ
৫৮৯৬-৯৭। সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব ..…. মাসরূক হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : যখন সূরা বাকারার শেষের আয়াতসমূহ নাযিল হলাে, তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দাঁড়িয়ে সেগুলাে মানুষের সম্মুখে পাঠ করলেন। অতঃপর তিনি মদের ক্রয়-বিক্রয় করে ব্যবসা-বাণিজ্য করা হারাম ঘােষণা করলেন।
হাদীসের রাবী আব্দুর রহমান ইব্ন যিয়াদ আস্-সাকাফী-কে ইব্ন ইউনুস বিশ্বস্ত বলে মন্তব্য করেছেন। অনুরূপভাবে আবুয-যুহাও একজন বিশ্বস্ত রাবী ।
আহমদ ইব্ন দাউদ ….. মাসরূক হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর যখন রিবা হারাম ঘােষণা করা হলাে, তখন এর যাবতীয় রূপও হারাম হয়ে গেল এবং রিবা ও সুদী কারবারে গৃহীত সব বস্তু তার সমপরিমাণ বদলে ফিরিয়ে দেয়া হলাে। আর এ সময়েই দুধের পশুর ওলানের দুধ বিক্রয় করাও হারাম করা হলাে। তখন যে ব্যয় বহনের মাধ্যমে ব্যয় বহনকারী ওলানের দুধের মালিক হতাে, সে ব্যয় করাও নিষিদ্ধ হওয়ার অন্তর্ভুক্ত হলাে। আর সে ব্যয় (নিষিদ্ধ হওয়া) তার কোন বিশেষ পরিমাণের ওপর মউকুফ নয়। অনুপভাবে দুধ বিক্রয়ের অবৈধতাও কোন বিশেষ পরিমাণের ওপর নির্ভরশীল নয়।
অতএব রিবা মানসূখ হবার কারণে مرتهن-এর ওপর তার নিকট বন্ধক রাখা বস্তু দ্বারা মুনাফা লাভের বিনিময়ে এবং দুধ দোহন করে তা পান করার বিনিময়ে যে ব্যয় বহন করা ওয়াজিব ছিল, তাও রহিত হয়েছে।
আর যিনি বন্ধকী প্রাণীর ব্যয় راهن-এর ওপর বর্তায় বলে মত প্রকাশ করেন এবং বন্ধকী বস্তু ব্যবহার করার অধিকারও তারই বলে সাব্যস্ত করেন, তাঁকে বলা হবে, বলুন তাে راهن-এর জন্য কি এটা জায়েয হবে যে, সে এমন একটি প্রাণী কারাে নিকট বন্ধক রাখবে, যার ওপর সে নিজে সওয়ার হওয়ার শর্ত করে ? তবে তার না বলা ছাড়া কোন উপায় নেই। তখন তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হবে, বন্ধকী বস্তু এবং مرتهن -এর মাঝে বাধার অপসারণ না করলে তাে رهن , জায়েযই হবে না, তখন তাে مرتهن তা কবয করবে এবং তার হাতেই তা থাকবে, راهن এর হাতে নয়। যেমন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন : فرهان مقبوضة - তখনও তিনি বলবেন, জ্বী, হ্যাঁ। তখন তাকে বলা হবে, যে পশুর ওপর راهن সওয়ার হয়ে আছে, তা বন্ধক রাখা যখন গ্রহণযােগ্য হবে , তখন তার কবযায় তা অবশিষ্ট থাকা একই কারণে জায়েয হবে না। কারণ বন্ধকী চুক্তিতে مرتهن-এর কবযায় বন্ধক রাখা বস্তুর অব্যাহতভাবে থাকা জরুরী। কারণ رهن (বন্ধক রাখা)-এর অর্থই হলাে مرتهن তার ঋণের বিনিময়ে বন্ধকী বস্তুকে আটকিয়ে রাখবে। আর এর মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা مرتهن-কে বন্ধক রাখা বাদী হতে খিদমত ও সেবা গ্রহণ করতে বিরত রাখে। কারণ এক্ষেত্রে উক্ত বাঁদী এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়, যে কারণে তাকে বন্ধক রাখা চলে না।
এই দ্বিতীয় দলের পক্ষে অন্য একটি দলীল হলাে, উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, যে বাঁদীকে বন্ধক রাখা হয়, راهن -এর জন্য তার সাথে যৌন মিলন করা জায়েয নয় এবং مرتهن -এর জন্য তাকে বাধা দেয়ার অধিকার আছে। সুতরাং مرتهن যেমন راهن-কে তার বন্ধক রাখার অধিকারে বাঁদীর সহিত যৌন মিলন ঘটাতে বাধা দিতে পারে, অনুরূপভাবে راهن একই অধিকারে مرتهن কে উক্ত বাঁদী হতে খিদমত ও সেবা গ্রহণ করতে বাধা দিতে পারে। এটাই ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
হাদীসের রাবী আব্দুর রহমান ইব্ন যিয়াদ আস্-সাকাফী-কে ইব্ন ইউনুস বিশ্বস্ত বলে মন্তব্য করেছেন। অনুরূপভাবে আবুয-যুহাও একজন বিশ্বস্ত রাবী ।
আহমদ ইব্ন দাউদ ….. মাসরূক হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
অতঃপর যখন রিবা হারাম ঘােষণা করা হলাে, তখন এর যাবতীয় রূপও হারাম হয়ে গেল এবং রিবা ও সুদী কারবারে গৃহীত সব বস্তু তার সমপরিমাণ বদলে ফিরিয়ে দেয়া হলাে। আর এ সময়েই দুধের পশুর ওলানের দুধ বিক্রয় করাও হারাম করা হলাে। তখন যে ব্যয় বহনের মাধ্যমে ব্যয় বহনকারী ওলানের দুধের মালিক হতাে, সে ব্যয় করাও নিষিদ্ধ হওয়ার অন্তর্ভুক্ত হলাে। আর সে ব্যয় (নিষিদ্ধ হওয়া) তার কোন বিশেষ পরিমাণের ওপর মউকুফ নয়। অনুপভাবে দুধ বিক্রয়ের অবৈধতাও কোন বিশেষ পরিমাণের ওপর নির্ভরশীল নয়।
অতএব রিবা মানসূখ হবার কারণে مرتهن-এর ওপর তার নিকট বন্ধক রাখা বস্তু দ্বারা মুনাফা লাভের বিনিময়ে এবং দুধ দোহন করে তা পান করার বিনিময়ে যে ব্যয় বহন করা ওয়াজিব ছিল, তাও রহিত হয়েছে।
আর যিনি বন্ধকী প্রাণীর ব্যয় راهن-এর ওপর বর্তায় বলে মত প্রকাশ করেন এবং বন্ধকী বস্তু ব্যবহার করার অধিকারও তারই বলে সাব্যস্ত করেন, তাঁকে বলা হবে, বলুন তাে راهن-এর জন্য কি এটা জায়েয হবে যে, সে এমন একটি প্রাণী কারাে নিকট বন্ধক রাখবে, যার ওপর সে নিজে সওয়ার হওয়ার শর্ত করে ? তবে তার না বলা ছাড়া কোন উপায় নেই। তখন তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হবে, বন্ধকী বস্তু এবং مرتهن -এর মাঝে বাধার অপসারণ না করলে তাে رهن , জায়েযই হবে না, তখন তাে مرتهن তা কবয করবে এবং তার হাতেই তা থাকবে, راهن এর হাতে নয়। যেমন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন : فرهان مقبوضة - তখনও তিনি বলবেন, জ্বী, হ্যাঁ। তখন তাকে বলা হবে, যে পশুর ওপর راهن সওয়ার হয়ে আছে, তা বন্ধক রাখা যখন গ্রহণযােগ্য হবে , তখন তার কবযায় তা অবশিষ্ট থাকা একই কারণে জায়েয হবে না। কারণ বন্ধকী চুক্তিতে مرتهن-এর কবযায় বন্ধক রাখা বস্তুর অব্যাহতভাবে থাকা জরুরী। কারণ رهن (বন্ধক রাখা)-এর অর্থই হলাে مرتهن তার ঋণের বিনিময়ে বন্ধকী বস্তুকে আটকিয়ে রাখবে। আর এর মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা مرتهن-কে বন্ধক রাখা বাদী হতে খিদমত ও সেবা গ্রহণ করতে বিরত রাখে। কারণ এক্ষেত্রে উক্ত বাঁদী এমন এক অবস্থায় উপনীত হয়, যে কারণে তাকে বন্ধক রাখা চলে না।
এই দ্বিতীয় দলের পক্ষে অন্য একটি দলীল হলাে, উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত যে, যে বাঁদীকে বন্ধক রাখা হয়, راهن -এর জন্য তার সাথে যৌন মিলন করা জায়েয নয় এবং مرتهن -এর জন্য তাকে বাধা দেয়ার অধিকার আছে। সুতরাং مرتهن যেমন راهن-কে তার বন্ধক রাখার অধিকারে বাঁদীর সহিত যৌন মিলন ঘটাতে বাধা দিতে পারে, অনুরূপভাবে راهن একই অধিকারে مرتهن কে উক্ত বাঁদী হতে খিদমত ও সেবা গ্রহণ করতে বাধা দিতে পারে। এটাই ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
5896 - مَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ وَالْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمَّا نَزَلَتِ الْآيَاتُ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ حَرَّمَ التِّجَارَةَ فِي بَيْعِ الْخَمْرِ
5897 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ فَلَمَّا حُرِّمَ الرِّبَا حُرِّمَتْ أَشْكَالُهُ كُلُّهَا وَرُدَّتِ الْأَشْيَاءُ الْمَأْخُوذَةُ إِلَى أَبْدَالِهَا الْمُسَاوِيَةِ لَهَا وَحُرِّمَ بَيْعُ اللَّبَنِ فِي الضُّرُوعِ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ النَّهْيُ عَنِ النَّفَقَةِ الَّتِي يَمْلِكُ بِهَا الْمُنْفِقُ لَبَنًا فِي الضُّرُوعِ وَتِلْكَ النَّفَقَةُ فَغَيْرُ مَوْقُوفٍ عَلَى مِقْدَارِهَا وَاللَّبَنُ كَذَلِكَ أَيْضًا. فَارْتَفَعَ بِنَسْخِ الرِّبَا أَنْ تَجِبَ النَّفَقَةُ عَلَى الْمُرْتَهِنِ بِالْمَنَافِعِ الَّتِي يَجِبُ لَهُ عِوَضُهَا مِنْهَا وَبِاللَّبَنِ الَّذِي يَحْتَلِبُهُ فَيَشْرَبُهُ وَيُقَالُ لِمَنْ صَرَفَ ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِنِ فَجَعَلَ لَهُ اسْتِعْمَالَ الرَّهْنِ: أَيَجُوزُ لِلرَّاهِنِ أَنْ يَرْهَنَ رَجُلًا دَابَّةً هُوَ رَاكِبُهَا؟ فَلَا يَجِدُ بُدًّا مِنْ أَنْ يَقُولَ: لَا. [ص:100] فَيُقَالُ لَهُ: فَإِذَا كَانَ الرَّهْنُ لَا يَجُوزُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُخَلًّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُرْتَهِنِ فَيَقْبِضُهُ وَيَصِيرُ فِي يَدِهِ دُونَ يَدِ الرَّاهِنِ كَمَا وَصَفَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الرَّهْنَ بِقَوْلِهِ {فَرِهَانٌ مَقْبُوضَةٌ} [البقرة: 283] فَيَقُولُ: نَعَمْ. فَيُقَالُ لَهُ: فَلَمَّا لَمْ يَجُزْ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الرَّهْنَ عَلَى مَا الرَّاهِنُ رَاكِبُهُ لَمْ يَجُزْ ثُبُوتُهُ فِي يَدِهِ بَعْدَ ذَلِكَ رَهْنًا بِحَقِّهِ إِلَّا لِذَلِكَ أَيْضًا لِأَنَّ دَوَامَ الْقَبْضِ لَا بُدَّ مِنْهُ فِي الرَّهْنِ إِذَا كَانَ الرَّاهِنُ إِنَّمَا هُوَ احْتِبَاسُ الْمُرْتَهِنِ لِلشَّيْءِ الْمَرْهُونِ بِالدَّيْنِ وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا مَا يَمْنَعُ الْمُرْتَهِنَ مِنِ اسْتِخْدَامِ الْأَمَةِ الرَّهْنِ لِأَنَّهَا تَرْجِعُ بِذَلِكَ إِلَى حَالٍ لَا يَجُوزُ عَلَيْهَا اسْتِقْبَالُ الرَّهْنِ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْأَمَةَ الرَّهْنَ لَيْسَ لِلرَّاهِنِ أَنْ يَطَأَهَا وَلِلْمُرْتَهِنِ مَنْعُهُ مِنْ ذَلِكَ. فَكَمَا كَانَ الْمُرْتَهِنُ يَمْنَعُ الرَّاهِنَ بِحَقِّ الرَّهْنِ مِنْ وَطْئِهَا كَانَ لَهُ أَيْضًا أَنْ يَمْنَعَهُ بِحَقِّ الرَّهْنِ مِنِ اسْتِخْدَامِهَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ.
5897 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ فَلَمَّا حُرِّمَ الرِّبَا حُرِّمَتْ أَشْكَالُهُ كُلُّهَا وَرُدَّتِ الْأَشْيَاءُ الْمَأْخُوذَةُ إِلَى أَبْدَالِهَا الْمُسَاوِيَةِ لَهَا وَحُرِّمَ بَيْعُ اللَّبَنِ فِي الضُّرُوعِ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ النَّهْيُ عَنِ النَّفَقَةِ الَّتِي يَمْلِكُ بِهَا الْمُنْفِقُ لَبَنًا فِي الضُّرُوعِ وَتِلْكَ النَّفَقَةُ فَغَيْرُ مَوْقُوفٍ عَلَى مِقْدَارِهَا وَاللَّبَنُ كَذَلِكَ أَيْضًا. فَارْتَفَعَ بِنَسْخِ الرِّبَا أَنْ تَجِبَ النَّفَقَةُ عَلَى الْمُرْتَهِنِ بِالْمَنَافِعِ الَّتِي يَجِبُ لَهُ عِوَضُهَا مِنْهَا وَبِاللَّبَنِ الَّذِي يَحْتَلِبُهُ فَيَشْرَبُهُ وَيُقَالُ لِمَنْ صَرَفَ ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِنِ فَجَعَلَ لَهُ اسْتِعْمَالَ الرَّهْنِ: أَيَجُوزُ لِلرَّاهِنِ أَنْ يَرْهَنَ رَجُلًا دَابَّةً هُوَ رَاكِبُهَا؟ فَلَا يَجِدُ بُدًّا مِنْ أَنْ يَقُولَ: لَا. [ص:100] فَيُقَالُ لَهُ: فَإِذَا كَانَ الرَّهْنُ لَا يَجُوزُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُخَلًّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمُرْتَهِنِ فَيَقْبِضُهُ وَيَصِيرُ فِي يَدِهِ دُونَ يَدِ الرَّاهِنِ كَمَا وَصَفَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الرَّهْنَ بِقَوْلِهِ {فَرِهَانٌ مَقْبُوضَةٌ} [البقرة: 283] فَيَقُولُ: نَعَمْ. فَيُقَالُ لَهُ: فَلَمَّا لَمْ يَجُزْ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الرَّهْنَ عَلَى مَا الرَّاهِنُ رَاكِبُهُ لَمْ يَجُزْ ثُبُوتُهُ فِي يَدِهِ بَعْدَ ذَلِكَ رَهْنًا بِحَقِّهِ إِلَّا لِذَلِكَ أَيْضًا لِأَنَّ دَوَامَ الْقَبْضِ لَا بُدَّ مِنْهُ فِي الرَّهْنِ إِذَا كَانَ الرَّاهِنُ إِنَّمَا هُوَ احْتِبَاسُ الْمُرْتَهِنِ لِلشَّيْءِ الْمَرْهُونِ بِالدَّيْنِ وَفِي ذَلِكَ أَيْضًا مَا يَمْنَعُ الْمُرْتَهِنَ مِنِ اسْتِخْدَامِ الْأَمَةِ الرَّهْنِ لِأَنَّهَا تَرْجِعُ بِذَلِكَ إِلَى حَالٍ لَا يَجُوزُ عَلَيْهَا اسْتِقْبَالُ الرَّهْنِ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْأَمَةَ الرَّهْنَ لَيْسَ لِلرَّاهِنِ أَنْ يَطَأَهَا وَلِلْمُرْتَهِنِ مَنْعُهُ مِنْ ذَلِكَ. فَكَمَا كَانَ الْمُرْتَهِنُ يَمْنَعُ الرَّاهِنَ بِحَقِّ الرَّهْنِ مِنْ وَطْئِهَا كَانَ لَهُ أَيْضًا أَنْ يَمْنَعَهُ بِحَقِّ الرَّهْنِ مِنِ اسْتِخْدَامِهَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৯৭
empty
৫৮৯৭।
5897 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৯৮
বন্ধক রাখা প্রাণীতে আরােহণ, তার ব্যবহার ও তার দুধপান করা প্রসঙ্গ
৫৮৯৮। ফাহদ ..... ইসমাঈল ইব্ন আবু খালিদ শা'বী হতে বর্ণনা করেন رهن (বন্ধক রাখা বস্তু) হতে কোন প্রকার উপকার লাভ করা যাবে না ।
এই তাে ইমাম শা'বী একথা বলেন, অথচ তিনি হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী(ﷺ) ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা পূর্বে উল্লেখ করেছি। অতএব এ সম্ভাবনা আছে যে, তিনি নবী(ﷺ) হতে ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তারপর তিনি তার বিপরীত হাদীসও বর্ণনা করেন। অথচ পূর্বে বর্ণিত হাদীস মানসূখ হবার বিষয়টি তাঁর নিকট প্রমাণিত নয়। যদি বাস্তবে এমনিই হয়ে থাকে, তবে নিশ্চিতভাবে তাঁর রায়ে তিনি অভিযুক্ত হবেন। আর তার রায়ে যখন তিনি অভিযুক্ত হবেন, তখন তিনি তাঁর রিওয়ায়াতেও অভিযুক্ত হবেন। আর যখন তাঁর রিওয়ায়াতে তাঁর আদালত প্রমাণিত, তখন তাঁর রিওয়ায়াতের বিপরীত বিষয় ত্যাগ করার ব্যাপারেও তাঁর আদালাত প্রতিষ্ঠিত। আর দুটি বিষয়ের (রিওয়ায়াতে ক্ষেত্রে আদালাত ও রিওয়ায়াত ত্যাগ করার ক্ষেত্রে আদালাত) কোন একটি রহিত হওয়া যখন অনিবার্য হবে তখন অন্যটিও অনিবর্যভাবে রহিত হবে। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীস দ্বারা যিনি দলীল পেশ করেন, তিনি একথা বলেন যে, নবী(ﷺ) হতে যিনি কোন হাদীস বর্ণনা করেন, সে হাদীসের ব্যাখ্যাও তিনিই অধিক ভাল জানেন। সুতরাং তিনি তাঁর নিজের নীতির কাছেই আব্দ্ধ হবেন এবং তাঁর বক্তব্য মুতাবিক তাঁর ঐ কথা বলাই জরুরী হবে, যা ইমাম শা'বী (রাহঃ) বলেছেন এবং তা নবী(ﷺ) হতে বর্ণিত ঐ হাদীসের বিপরীত যা তিনি হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। যে হাদীস আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি। এটাই ঐ হাদীসের মানসূখ হবার প্রমাণ।
এই তাে ইমাম শা'বী একথা বলেন, অথচ তিনি হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী(ﷺ) ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা পূর্বে উল্লেখ করেছি। অতএব এ সম্ভাবনা আছে যে, তিনি নবী(ﷺ) হতে ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তারপর তিনি তার বিপরীত হাদীসও বর্ণনা করেন। অথচ পূর্বে বর্ণিত হাদীস মানসূখ হবার বিষয়টি তাঁর নিকট প্রমাণিত নয়। যদি বাস্তবে এমনিই হয়ে থাকে, তবে নিশ্চিতভাবে তাঁর রায়ে তিনি অভিযুক্ত হবেন। আর তার রায়ে যখন তিনি অভিযুক্ত হবেন, তখন তিনি তাঁর রিওয়ায়াতেও অভিযুক্ত হবেন। আর যখন তাঁর রিওয়ায়াতে তাঁর আদালত প্রমাণিত, তখন তাঁর রিওয়ায়াতের বিপরীত বিষয় ত্যাগ করার ব্যাপারেও তাঁর আদালাত প্রতিষ্ঠিত। আর দুটি বিষয়ের (রিওয়ায়াতে ক্ষেত্রে আদালাত ও রিওয়ায়াত ত্যাগ করার ক্ষেত্রে আদালাত) কোন একটি রহিত হওয়া যখন অনিবার্য হবে তখন অন্যটিও অনিবর্যভাবে রহিত হবে। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীস দ্বারা যিনি দলীল পেশ করেন, তিনি একথা বলেন যে, নবী(ﷺ) হতে যিনি কোন হাদীস বর্ণনা করেন, সে হাদীসের ব্যাখ্যাও তিনিই অধিক ভাল জানেন। সুতরাং তিনি তাঁর নিজের নীতির কাছেই আব্দ্ধ হবেন এবং তাঁর বক্তব্য মুতাবিক তাঁর ঐ কথা বলাই জরুরী হবে, যা ইমাম শা'বী (রাহঃ) বলেছেন এবং তা নবী(ﷺ) হতে বর্ণিত ঐ হাদীসের বিপরীত যা তিনি হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। যে হাদীস আমরা পূর্বে বর্ণনা করেছি। এটাই ঐ হাদীসের মানসূখ হবার প্রমাণ।
5898 - وَقَدْ حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ لَا يُنْتَفَعُ مِنَ الرَّهْنِ بِشَيْءٍ فَهَذَا الشَّعْبِيُّ يَقُولُ هَذَا وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا ذَكَرْنَا. فَيَجُوزُ عَلَيْهِ أَنْ يَكُونَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُحَدِّثُهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ ثُمَّ يَقُولُ هُوَ بِخِلَافِهِ وَلَمْ يَثْبُتِ النَّسْخُ عِنْدَهُ؟ فَلَئِنْ كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ فَلَقَدْ صَارَ مُتَّهَمًا فِي رَأْيِهِ وَإِذَا كَانَ مُتَّهَمًا فِي رَأْيِهِ كَانَ مُتَّهَمًا فِي رِوَايَتِهِ وَإِذَا ثَبَتَتْ لَهُ الْعَدَالَةُ فِي رِوَايَتِهِ ثَبَتَتْ لَهُ الْعَدَالَةُ فِي تَرْكِ خِلَافِهَا وَإِنْ وَهَبَ سُقُوطَ أَحَدِالْأَمْرَيْنِ وَهَبَ سُقُوطَ الْآخَرِ. وَالْمُحْتَجُّ عَلَيْنَا بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا يَقُولُ مَنْ رَوَى حَدِيثًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ أَعْلَمُ بِتَأْوِيلِهِ. فَكَانَ يَجِيءُ عَلَى أَصْلِهِ وَيَلْزَمُهُ فِي قَوْلِهِ أَنْ يَقُولَ لِمَ قَالَ الشَّعْبِيُّ مَا ذَكَرْنَا مِمَّا يُخَالِفُ مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ ذَلِكَ دَلِيلًا عَلَى نَسْخِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান