শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৪. উপহার ও সাদ্‌কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৮৮৭
ওয়াকফকৃত সদাকাসমূহ
৫৮৮৭। ইয়াযীদ ইব্‌ন সিনান ….. নাফে' হযরত ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ হযরত উমর (রাযিঃ) একবার খায়বারে একটা যমীন লাভ করলেন। অতঃপর তিনি নবী(ﷺ)-এর নিকট পরামর্শ করার জন্য উপস্থিত হলেন। তিনি বললেন, আমি একটা যমীন লাভ করেছি, তার চেয়ে উত্তম মাল আমি কখন লাভ করিনি। আপনি এ সম্পর্কে কি নির্দেশ প্রদান করেন? তিনি বললেন : তােমার ইচ্ছা হলে তুমি মূল আটকিয়ে রাখবে, যা না তাে বিক্রয় করা যাবে আর না তা হেবা করা যাবে। আবু আসিম বলেন, আমার ধারণা (আমার শায়খ ইব্‌ন আওন) তিনি এ কথাও বলেছেন, তা বিক্রয়ও করা যাবে না। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি তা (যমীন) ফকীর, আত্মীয়, গােলাম- বাদী, জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ, মুসাফির ও দুর্বলদের মধ্যে সদকা করে দিলেন। তবে যে ব্যক্তি তার মুতাওয়াল্লী হবে, তার পক্ষে প্রয়ােজনে খাওয়ায় কোন গুনাহ হবে না। তবে সে সঞ্চয় করতে পারবে না। রাবী বলেন, পরে আমি হাদীসটি মুহাম্মাদ-এর নিকট বর্ণনা করলে, তিনি غير متمول এর স্থানে متائل বললেন।
بَابُ الصَّدَقَاتِ الْمَوْقُوفَاتِ
5887 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ وَسَعِيدُ بْنُ سُفْيَانَ الْجَحْدَرِيُّ قَالَا: ثنا ابْنُ عَوْنٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ أَصَابَ أَرْضًا بِخَيْبَرَ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَأْمِرُهُ فَقَالَ إِنِّي أَصَبْتُ أَرْضًا لَمْ أُصِبْ مَالًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهَا فَكَيْفَ تَأْمُرُنِي. قَالَ: «إِنْ شِئْتَ حَبَسْتَ أَصْلَهَا لَا تُبَاعُ وَلَا تُوهَبُ» قَالَ أَبُو عَاصِمٍ وَأَرَاهُ قَالَ: «لَا تُورَثُ» . قَالَ: فتَصَدَّقَ بِهَا فِي الْفُقَرَاءِ وَالْقُرْبَى وَالرِّقَابِ وَفِي سَبِيلِ اللهِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَالضَّعِيفِ، لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهَا أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا غَيْرَ مُتَمَوِّلٍ قَالَ: فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِمُحَمَّدٍ فَقَالَ: غَيْرَ مُتَأَثِّلٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮৮৮
ওয়াকফকৃত সদাকাসমূহ
৫৮৮৮। আহমদ ইব্‌ন আব্দুর রহমান ইব্‌ন ওয়াহব ….. হযরত ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) বলেন, হযরত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর নিকট ছামাগ নামক স্থানে তাঁর যে মাল রয়েছে, তা সদকা করা সম্পর্কে পরামর্শ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন : তুমি তা এরূপ সদকা কর যে, তার ফল বিতরণ করা হবে এবং মূল ভূমি (দান করবে না) আটকিয়ে রাখবে। না তা বিক্রয় করা যাবে, আর না তা হিবা করা যাবে।

আলােচনা : আবু জাফর বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ মত পােষণ করেন। যখন কোন ব্যক্তি তার সন্তান, সন্তানের সন্তান ও তার পরবর্তীদের জন্য আল্লাহর রাহে তার বাড়ি ওয়াকফ করে, তবে তা জায়েয আছে। আর এই ওয়াকফ করার কারণে তার মালিকানা অধিকার হতে বের হয়ে আল্লাহ্ পাকের কবযে দাখিল করবে। এরপর তার জন্য সেটা বিক্রয় করার আর কোন পথ থাকবে না। তাঁরা উল্লেখিত এ সব রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন।

যারা এ মত অবলম্বন করেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন, ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ ইব্‌নুল হাসান মাদানী ও বসরী আলিমগণও এ মত পােষণ করেন।

আর এর বিপরীত মত পােষণ করেন উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ইমাম আবু হানীফা ও যুফার ইব্‌ন হুযায়ল (রাহঃ)। তাঁরা বলেন, ওয়াকফের এ সব মালই মীরাসের অন্তর্ভুক্ত হবে। যে ব্যক্তি ওয়াফ করবে, তার ওয়াক্‌ফের কারণে তার মালিকানা অধিকার হতে বের হবে না। এ ব্যাপারে তাঁদের যে দলীল, তা হলাে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) যখন হযরত উমর (রাযিঃ)-কে পরামর্শ দিলেন, তখন তিনি বললেন : মূল ভূমি রেখে দাও এবং গাছের ফল দান করে দাও।

এতে এ সম্ভাবনা আছে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে ওয়াকফের যে নির্দেশ প্রদান করেছেন, তাতেই তাঁর মালিকানা অধিকার হতে তার ভূমি বের হয়েছে। আর এ সম্ভাবনাও আছে, যে, ওয়াকফ তার মালিকানা অধিকার হতে তাঁর ভূমি বের করবে না, বরং যে অবস্থার ওপর চালু করেছে, তার ওপরই অব্যাহত থাকবে। (অর্থাৎ গাছের ফল-ফলাদি দান করবে এবং ভূমি ও গাছ তার মালিকানায় থাকবে)। আর যখনই তার ইচ্ছা হবে, এটা নসখ ও রহিত করবে। যেমন কোন ব্যক্তি এ কথা বলল, আল্লাহর ওয়াস্তে সে তার খেজুর গাছের ফল সদকা করতে থাকবে যত দিন সে জীবিত থাকবে। তখন তাকে এমন তাে বলা যাবে যে, তুমি তােমার কথা পালন কর কিন্তু তাকে বাধ্য করা যাবে না এবং জোর করেও তার থেকে নেয়া যাবে না। বরং সে যদি স্বেচ্ছায় প্রদান করে, তবে তা উত্তম। আর না দিলে বাধ্য করা যাবে না। অনুরূপ তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিসরা যদি তার পিতার জারী করা কাজ বহাল রাখে, তবে তাে ভাল, আর যদি তারা অস্বীকার করে, তবে তাদের সে ইখতিয়ার আছে।

আর হযরত উমর (রাযিঃ) যে তাঁর ওয়াকফ শেষ পর্যন্ত বহাল রয়েছে; তা এ কথা প্রমাণ করে না যে, তাঁর পরিবারের কারাে পক্ষে এ ওয়াকফ ভংগ করার অধিকার ছিল না, বরং যা প্রমাণ করে তা হলাে, যদি তারা হযরত উমর (রাযিঃ)-এর ইন্তিকালের পর ঐ ভূমি লাভের জন্য মামলা করতেন এবং তাদেরকে তা না দেয়া হতাে তবে এটা প্রমাণিত হতাে যে, তাদের জন্য ওয়াকফের চুক্তি ভংগ করার এখতিয়ার নেই ।

আর যদি ওয়াকফের মালের মধ্যে ওয়াকফকারীকে বাধ্য করা জায়েয হতাে, তবে তা উমরা-এর মত দান হতাে যা এ কথাই প্রমাণ করে যে, ওয়াকফের মাল বিক্রয় করা যাবে না। কিন্তু হযরত উমর (রাযিঃ)-এর পরিবারের লােকেরা যে ওয়াকফের মাল হিসেবে তা রেখে দিয়েছিলেন, তার কারণ হলাে, হযরত উমর (রাযিঃ) তা ওয়াকফ করেছিলেন এবং তাঁর জীবিতাবস্থায় যেভাবে তিনি চালু রেখেছিলেন, সেভাবেই তা চলতে থাকবে এটাই তাদের অভিপ্রায় ছিল। আমাদের নিকট এমন কোন তথ্য আসেনি যে, তাদের কেউ তা লাভ করার জন্য কোন চেষ্টা করেছেন।

অথচ হযরত উমর (রাযিঃ) হতে এমন রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে যা প্রমাণ করে যে, তার জন্য ওয়াকফ ভংগ করার এখতিয়ার ছিল।
5888 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ، اسْتَشَارَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَنْ يَتَصَدَّقَ بِمَالِهِ بِثَمْغٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَصَدَّقْ بِهِ تَقْسِمُ ثَمَرَهُ وَتَحْبِسُ أَصْلَهُ لَا تُبَاعُ وَلَا تُوهَبُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَوْقَفَ دَارِهِ عَلَى وَلَدِهِ وَوَلَدِ وَلَدِهِ ثُمَّ مَنْ بَعْدَهُمْ فِي سَبِيلِ اللهِ أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ وَأَنَّهَا قَدْ خَرَجَتْ بِذَلِكَ مِنْ مِلْكِهِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَا سَبِيلَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى بَيْعِهَا وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَمِمَّنْ قَالَ بِذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَأَهْلِ الْبَصْرَةِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ مِنْهُمْ أَبُو حَنِيفَةَ وَزُفَرُ بْنُ الْهُذَيْلِ رَحِمَهُ اللهُ عَلَيْهِمَا فَقَالُوا: هَذَا كُلُّهُ مِيرَاثٌ لَا يَخْرُجُ مِنْ مِلْكِ الَّذِي أَوْقَفَهُ بِهَذَا السَّبَبِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا شَاوَرَهُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ قَالَ لَهُ حَبِّسْ أَصْلَهَا وَسَبِّلِ الثَّمَرَةَ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَا أَمَرَهُ بِهِ مِنْ ذَلِكَ يَخْرُجُ بِهِ مِنْ مِلْكِهِ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ لَا يُخْرِجُهَا مِنْ مِلْكِهِ [ص:96] وَلَكِنَّهَا تَكُونُ جَارِيَةً عَلَى مَا أَجْرَاهَا عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ مَا تَرَكَهَا وَيَكُونُ لَهُ فَسْخُ ذَلِكَ مَتَى شَاءَ. كَرَجُلٍ جَعَلَ لِلَّهِ عَلَيْهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِثَمَرَةِ نَخْلِهِ مَا عَاشَ فَيُقَالُ لَهُ: أَنْفِذْ ذَلِكَ وَلَا يُجْبَرُ عَلَيْهِ وَلَا يُؤْخَذُ بِهِ إِنْ شَاءَ وَإِنْ أَبَى. وَلَكِنْ إِنْ أَنْفَذَ ذَلِكَ فَحَسَنٌ وَإِنْ مَنَعَهُ لَمْ يُجْبَرْ عَلَيْهِ. وَكَذَلِكَ وَرَثَتُهُ مِنْ بَعْدِهِ إِنْ أَنَفَذُوا ذَلِكَ عَلَى مَا كَانَ أَبُوهُمْ أَجْرَاهُ عَلَيْهِ فَحَسَنٌ وَإِنْ مَنَعُوهُ كَانَ ذَلِكَ لَهُمْ. وَلَيْسَ فِي بَقَاءِ حَبْسِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى غَايَتِنَا هَذِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِهِ نَقْضُهُ. وَإِنَّمَا الَّذِي يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ لَهُمْ نَقْضُهُ لَوْ كَانُوا خَاصَمُوا فِيهِ بَعْدَ مَوْتِهِ فَمُنِعُوا مِنْ ذَلِكَ. وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَكَانَ فِيهِ الْعُمْرَى مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْأَوْقَافَ لَا تُبَاعُ. وَلَكِنْ إِنَّمَا جَاءَنَا تَرْكُهُمْ لِوَقْفِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَجْرِي عَلَى مَا كَانَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَجْرَاهُ عَلَيْهِ فِي حَيَاتِهِ وَلَمْ يَبْلُغْنَا أَنَّ أَحَدًا مِنْهُمْ عَرَضَ فِيهِ بِشَيْءٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ لَهُ نَقْضُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮৮৯
ওয়াকফকৃত সদাকাসমূহ
৫৮৮৯। ইউনুস ….. ইব্‌ন শিহাব বলেন, হযরত উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন : যদি আমি আমার সদকার ওয়াক্‌ফের আলােচনা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাথে না করতাম। (রাবী বলেন) অথবা তিনি অনুরূপ কথা বললেন, তবে আমি তা ফিরিয়ে নিতাম।

হযরত উমর (রাযিঃ)-এর এ কথা প্রমাণ করে যে, ভূমি ওয়াকফ করলে এই ওয়াক্‌ফের কারণে তা ফিরিয়ে নেয়া নিষিদ্ধ হয় না। হযরত উমর (রাযিঃ)-কে তা ফিরিয়ে নিতে যে বিষয়টি বাধার সৃষ্টি করেছে; তা হলাে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে একটি বিষয়ের পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি তা পালনও করেছেন। আর তাঁকে পালন করতে দেখেই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করেছেন। অতএব তিনি পুনরায় তা ফিরিয়ে নেয়া পছন্দ করেননি। যেমন হযরত ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এর ইন্তেকালের পর ঐ রােযা রাখা বন্ধ করা পছন্দ করেন নি, যে রােযা তাঁকে রাখতে দেখে তিনি দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করেছেন। অথচ রােযা না রাখা তাঁর জন্য জায়েয ছিল। আর এই যে, হযরত শুরায়হ (রাহঃ) যিনি হযরত উমর, হযরত উসমান ও হযরত আলী (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে কাযী ও বিচারক নিযুক্ত ছিলেন। আর তাঁরা ছিলেন খুলাফা-ই রাশেদীন। অথচ তাঁর সম্পর্কেও এ কথা বর্ণিত আছে যা, আমাদের নিকট নিম্নের সূত্রে বর্ণিত :
5889 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ عَنْ زِيَادِ بْنِ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: لَوْلَا أَنِّي ذَكَرْتُ صَدَقَتِي لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ نَحْوِ هَذَا لَرَدَدْتُهَا فَلَمَّا قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ نَفْسَ الْإِيقَافِ لِلْأَرْضِ لَمْ يَكُنْ يَمْنَعُهُ مِنَ الرُّجُوعِ فِيهَا وَأَنَّهُ إِنَّمَا مَنَعَهُ مِنَ الرُّجُوعِ فِيهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ فِيهَا بِشَيْءٍ وَفَارَقَهُ عَلَى الْوَفَاءِ بِهِ فَكَرِهَ أَنْ يَرْجِعَ عَنْ ذَلِكَ كَمَا كَرِهَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ أَنْ يَرْجِعَ بَعْدَ مَوْتِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّوْمِ الَّذِي كَانَ فَارَقَهُ عَلَيْهِ أَنْ يَفْعَلَهُ وَقَدْ كَانَ لَهُ أَنْ لَا يَصُومَ. ثُمَّ هَذَا شُرَيْحٌ وَهُوَ قَاضِي عُمَرَ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ رِضْوَانُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮৯০
ওয়াকফকৃত সদাকাসমূহ
৫৮৯০। সুলায়মান ইব্‌ন শুআয়ব তাঁর পিতা হতে …… আতা ইব্‌ন সা-ইব বলেন, আমি শুরায়হকে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যে তার পর একটা বাড়ি তার সন্তানদের জন্য পর্যায়ক্রমে ওয়াকফ করেছে (এ সম্পর্কে আপনার মত কি?) তিনি বললেন : আমি তাে বিচার করি। আমি ফাতওয়া প্রদান করি না। অতঃপর আমি তাঁকে কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন : আল্লাহ্ পাকের পক্ষ হতে বণ্টন করা ফারাইযের ওপর ওয়াফ করা জায়েয নয়। আর যারা কাযী ও বিচারক, তাদের জন্য এসব বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কোন অবকাশ নেই। আর এ ধরনের বিষয় সম্পর্কে যে কাযী অজ্ঞ থাকবেন, দেশের শাসকদের জন্য (বিচারকার্যে) তার অনুসরণ করার কোন সুযােগ নেই। ।

অতঃপর তাঁর এই ফাতওয়াকে সাহাবা-ই কিরামের কেউ অস্বীকার করতেন না এবং পরবর্তীতে তাবিঈও কেউ তা অস্বীকার করতেন না।

হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) কর্তৃকও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে এ বিষয়ে হাদীস বর্ণিত হয়েছে :
5890 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي يُوسُفَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَالَ: سَأَلْتُ شُرَيْحًا عَنْ رَجُلٍ جَعَلَ دَارِهِ حَبْسًا عَلَى الْآخَرِ فَالْآخَرُ مِنْ وَلَدِهِ فَقَالَ: إِنَّمَا أَقْضِي وَلَسْتُ أُفْتِي قَالَ: فَنَاشَدْتُهُ فَقَالَ: لَا حَبْسَ عَلَى فَرَائِضِ اللهِ وَهَذَا لَا يَسَعُ الْقُضَاةَ جَهْلُهُ وَلَا يَسَعُ الْأَئِمَّةَ تَقْلِيدُ مَنْ يَجْهَلُ مِثْلَهُ ثُمَّ لَا يُنْكِرُ ذَلِكَ عَلَيْهِ مُنْكِرٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا مِنْ تَابِعِيهِمْ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا
مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৯৩
ওয়াকফকৃত সদাকাসমূহ
৫৮৯১-৯৩। রাবী আল-মুয়াযযিন,…… হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, সূরা নিসা নাযিল হবার পর, যার মধ্যে ফারাইযের আয়াত ছিল, আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-কে ওয়াকফ হতে নিষেধ করতে শুনেছি।


রাওহ ইব্‌নুল ফারজ …... আব্দুল্লাহ ইব্‌ন লাহীআ স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।


রাওহ ও মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা বলেন, আহমদ ইব্‌ন সালিহ আমাদের বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। আর আমিও তাই বলি। রাওহ বলেন, আহমদ ইব্‌ন সালিহ আমাকে বলেন, দিমাশকী অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ইউসুফ ইব্‌ন লাহীআ হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন : ওয়াকফ নিষিদ্ধ ও নাজায়েয। ফারাইয নাযিল হবার পূর্বে ওয়াকফ জায়েয ছিল কিন্তু ফারাইয নাযিল হবার পর আর (মীরাসে বণ্টনযােগ্য মালে) ওয়াকফ জায়েয থাকে নি। হাদীস সূত্রে এটাই এ বিষয়ের ব্যাখ্যা।

কিন্তু যুক্তির আলােকে এর ব্যাখ্যা এই যে, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ, যুফার ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এবং তাঁদের সকল সমর্থক ও বিরােধী উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পােষণ করেন যে, কোন ব্যক্তি যদি তার অসুস্থতার অবস্থায় গরীব-মিসকীনদের জন্য তার একটা বাড়ি ওয়াকফ করে, অতঃপর ঐ অসুখেই সে মারা যায়, তবে এ ওয়াকফ তার মালের এক-তৃতীয়াংশ হতে আদায় করা জায়েয হবে এবং তার মধ্যে তার মীরাস জারী হবে না।
অতঃপর আমরা এ বিষয়ে গবেষণা করে দেখেছি, এটা দুটি মতের কোন একটি প্রমাণ করে কি না। দেখা গেছে, কোন ব্যক্তি তার মাল হতে কিছু দীনার কিংবা দিরহাম সদকা করল, কিন্তু তা কাউকে দেয়ার পূর্বেই তার ইন্তিকাল হলাে। তবে এ মাল মীরাস হিসেবেই বিবেচিত হবে। চাই সদকা প্রদানকারী তার অসুস্থাবস্থায় সদকার ঘােষণা করুক কিংবা সুস্থ থাকাকালীন, এতে কোন পার্থক্য হবে না। অবশ্য অসীয়ত হিসেবে যদি ঘােষণা করে থাকে, তবে তার মৃত্যুর পর মালের এক-তৃতীয়াংশে অসীয়ত কার্যকর হবে। যেমন অসীয়তসমূহ এভাবেই চালু হয়ে থাকে। তবে যদি তার অসুস্থতার মধ্যে সদকার ঘােষণা করে থাকে কিন্তু তা মিসকীনদের হাতে তুলে দেয়নি, তবে সে ক্ষেত্রে এ সদকার হুকুম তেমন-ই হবে যেমন সুস্থ অবস্থায় সদকা করলে তার হুকুম হয়। আর সুস্থ অবস্থায় যে সদকাই করবে, তা তার পূর্ণ মাল হতে সদকা বলে বিবেচিত হবে। তারপর আর তার মধ্যে সদকা প্রদানকারীর কোন মালিকানা অধিকার থাকবে না। যেমন গােলাম আযাদ করা, যাবতীয় হেবা ও যাবতীয় সদকা। (সুস্থ অবস্থায় এসব কাজ করলে আদায়কারী হেবা ও সদকা প্রদানকারীর সমুদয় মাল হতে বিবেচিত হবে এবং এতে তার কোন মালিকানা অধিকার থাকলাে না) কিন্তু এসব কাজ তার অসুস্থ অবস্থায় সম্পন্ন করলে তার মালের এক-তৃতীয়াংশ হতে তা বিবেচ্য হবে। ওয়াফকারী যখন তার অসুস্থ অবস্থায় সম্পন্ন করলে তার মালের এক-তৃতীয়াংশ হতে তা বিবেচ্য হবে। ওয়াকফকারী যখন তার অসুস্থ অবস্থায় কোন বাড়ি কিংবা ভূমি ওয়াকফ করে অবশেষে তা আল্লাহর রাহে দান করে, তবে সর্বসম্মতিক্রমে তার মৃত্যুর পর তার মালের এক-তৃতীয়াংশে তা জায়েয হবে এবং এ মালের ওপর তার ওয়ারিসদের কোন অধিকার থাকবে না। আর এটা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর বক্তব্য لا حبس على فرائض القر -এর অন্তর্ভুক্ত হবে না ।

এর ওপর নযর ও কিয়াস করে এ কথা বলতে হবে যে, যখন কেউ সুস্থ অবস্থায় ওয়াকফ করবে, তখন তার সমুদয় মাল হতেই তা কার্যকর হবে এবং তার ওপর অধিকার বহাল রাখার তার কোন উপায় থাকবে না। উপরে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তার ওপর কিয়াস করেই আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনিত হই এবং যুক্তির আলােকে আমিও এই মত অবলম্বন করি, রিওয়ায়াত ও হাদীসের দৃষ্টিতে নয়। কারণ এ সম্পর্কে রিওয়ায়াত ও হাদীস পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে এবং অর্থ, মর্ম ও ব্যাখ্যা আমরা পূর্বেই বিস্তারিত আলােচনা করেছি।

যদি কেউ প্রশ্ন করে, তবে কি আপনি ওয়াকফের মাধ্যমে মালিকের মালিকানা অধিকার হতে ভূমি বের করে, মালিকানা শূন্য করতে চান ? তবে তাকে বলা হবে, আপনি এর কোনটুকু অস্বীকার করেন? আপনি ও আপনার বিরােধী উভয়-ই তাে এ বিষয়ে একমত যে, যে ব্যক্তি তার কোন যমীনে মুসলমানদের জন্য মসজিদ নির্মাণ করে এবং তাদের জন্য দখলমুক্ত করে দেয়, সে যমীন তার মালিকানা অধিকার হতে বের হয়ে যায় । কিন্তু কোন ব্যক্তির মালিকানায় প্রবেশ করে না, বরং আল্লাহ পাকের অধিকারে চলে যায়। আর এক্ষেত্রে আপনার বিরোধীর ওপর আপনি দলীল-প্রমাণ দ্বারা যা চাপাবেন, আপনার ওপরও তা-ই চেপে বসবে।
এখন কেউ যদি এ প্রশ্ন করে, তাহলে রাসূলুল্লাহ্।(ﷺ) যে, ওয়াকফ করতে নিষেধ করেছেন বলে আপনি হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) হতে সে বর্ণনা করেছেন, তার অর্থ কি হবে ?

তাকে বলা হবে, এ ব্যাপারে লােকেরা দুটি ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন : (১) এক ব্যাখ্যা তাে তা-ই যা আমরা উক্ত রিওয়ায়াত বর্ণনার সময় পেশ করেছি। (২) আর দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হলো, জাহিলী যুগের লােকেরা যে, بحيرة (বাহীরা), سائبه (সায়েবাহ), وصله (ওয়সীলাহ) ও حام (হাম)-এর ন্যায় জাহিলী কর্মকাণ্ডকে ইবাদত মনে করে সম্পাদন করত এবং তারা এ সবকে আটকিয়ে রাখত, কাউকে তারা এর ওয়ারিস করত না। কিন্তু যখন ফারাইযের সূরা নাযিল হলাে এবং আল্লাহ্ তা'আলা তার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে মীরাসের আলােচনা করলেন এবং মাল বণ্টন করে দিলেন তখন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করলেন : "لاحبس" অর্থাৎ মাল বিতরণ না করে আটকিয়ে রাখা ইসলামে কোন নিয়ম নেই। (রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর হাদীসে বর্ণিত حبس দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য)। যারা ওয়াকফকৃত সদকা জায়েয বলে মত প্রকাশ করেন, তারাই আবার এ সম্পর্কে পরস্পরে মতপার্থক্য করেছেন। কেউ কেউ বলেন, সদকা প্রদানকারী হতে তা গ্রহণ করা হােক কিংবা না হােক সর্বাবস্থায় জায়েয আছে।

যারা এমত পােষণ করেন, তাদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) অন্যতম। আর কেউ কেউ বলেন, ওয়াকফকৃত সদকার মাল যতক্ষণ না সদকাকারী তার নিয়ন্ত্রণ হতে বের করে অন্যের কয় দিয়ে দেবে, সদকা কার্যকর হবে না। যারা এমত পােষণ করেন, তারা হলেন ইব্‌ন আবু লায়লা, মালিক ইব্‌ন আনাস ও মুহাম্মাদ ইব্‌নুল হাসান (রাহঃ)।

অতঃপর আমরা এ দুটি মত হতে একটি বিশুদ্ধ মত বের করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করেছি। আমরা লক্ষ্য করছি যে, আল্লাহর বান্দারা যে সব কাজ করেন, তা কয়েক প্রকার : (১) আযাদ করা, এটা এমন এক কাজ যা কেবল। মৌখিকভাবেই সম্পন্ন হয়ে যায় এবং গােলামের ওপর মনীবের মালিকানা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এবং আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। (২) দ্বিতীয় প্রকার কাজ যেমন হেবা ও সদকা এ দুটো কাজ শুধু উচ্চারণ দ্বারা সম্পন্ন হয় না, যতক্ষণ তাতে গ্রহীতার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হবে, সে তার মালিক হবে না। অতঃপর আমরা এটা দেখার ইচ্ছা করেছি যে, ওয়াকফ কোনটার অধিকতর সদৃশ্য। যার সাথে অধিক ঘনিষ্ঠ, আমরা তার প্রতি ঝুঁকব ও গ্রহণ করব।

আমরা দেখেছি; কেউ যখন তার ভূমি কিংবা তার বাড়ি ওয়াকফ করে, তখন ওয়াকফ গ্রহীতা তার মুনাফার মালিক হয়, মূল ভূমি কিংবা বাড়ির একটিরও মালিক হয় না। বস্তুত ওয়াফকারী (তার ভূমি কিংবা বাড়ি) তার নিজের মালিকানা হতে বের করে আল্লাহর নিকট অর্পণ করে।

অতএব প্রমাণিত হলাে, ওয়াকফকৃত বস্তুর নযীর হলাে ঐ বস্তু যা কোন ব্যক্তি নিজের মালিকানা অধিকার হতে বের করে আল্লাহ্ পাকের নিকট অর্পণ করে। অতএব ঐ বস্তুর জন্য মৌখিক বলার সাথে গ্রহণ করার কোন প্রয়ােজন পড়ে না। অনুরূপভাবে মৌখিকভাবে ওয়াকফ করার পর তার মধ্যেও গ্রহণ করার কোন প্রয়ােজন। হবে না।

অন্য আর এক দলীল হলাে ওয়াকফ-এর মালে কবয করা যদি আমরা ওয়াজিব করি, তবে যে ব্যক্তি কবয করবে, সে কবয করবে এমন এক বস্তুকে, যার সে ওয়াকফ-এর মাধ্যমে মালিক হবে না। কাজেই তার পক্ষে কবয করা আর কবয না করা দুটোই সমান।

অতএব আমরা যে আলােচনা করলাম, তা দ্বারা ইমাম ইউসুফ (রাহঃ)-এর মাযহাবই সহীহ প্রমাণিত হলাে।
5891 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي عِيسَى عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: سَمِعْتُ [ص:97] رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا أُنْزِلَتْ سُورَةُ النِّسَاءِ وَأُنْزِلَ فِيهَا الْفَرَائِضُ نَهَى عَنِ الْحَبْسِ

5892 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ، وَعَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ و حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

5893 - حَدَّثَنَا رَوْحٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَا: قَالَ لَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ وَبِهِ أَقُولُ. قَالَ رَوْحٌ: قَالَ لِي أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ وَقَدْ حَدَّثَنِيهِ الدِّمَشْقِيُّ يَعْنِي: عَبْدَ اللهِ بْنَ يُوسُفَ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ. فَأَخْبَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ الْأَحْبَاسَ مَنْهِيٌّ عَنْهَا غَيْرُ جَائِزَةٍ وَأَنَّهَا قَدْ كَانَتْ قَبْلَ نُزُولِ الْفَرَائِضِ بِخِلَافِ مَا صَارَتْ عَلَيْهِ بَعْدَ نُزُولِ الْفَرَائِضِ فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّ أَبَا حَنِيفَةَ وَأَبَا يُوسُفَ وَزُفَرَ وَمُحَمَّدًا رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ وَجَمِيعَ الْمُخَالِفِينَ لَهُمْ وَالْمُوَافِقِينَ قَدِ اتَّفَقُوا عَلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا وَقَفَ دَارِهِ فِي مَرَضِهِ عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ ثُمَّ تُوُفِّيَ فِي مَرَضِهِ ذَلِكَ جَائِزٌ مِنْ ثُلُثِهِ وَأَنَّهَا غَيْرُ مَوْرُوثَةٍ عَنْهُ. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ هَلْ يَدُلُّ عَلَى أَحَدِ الْقَوْلَيْنِ؟ فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا جَعَلَ شَيْئًا مِنْ مَالِهِ مِنْ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ صَدَقَةً فَلَمْ يَنْفُذْ ذَلِكَ حَتَّى مَاتَ أَنَّهُ مِيرَاثٌ وَسَوَاءٌ جَعَلَ ذَلِكَ فِي مَرَضِهِ أَوْ فِي صِحَّتِهِ إِلَّا أَنْ يَجْعَلَ ذَلِكَ وَصِيَّةً بَعْدَ مَوْتِهِ فَيَنْفُذُ ذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِهِ مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ كَمَا يَنْفُذُ الْوَصَايَا. فَأَمَّا إِذَا جَعَلَهُ فِي مَرَضِهِ وَلَمْ يُنْفِذْهُ لِلْمَسَاكِينِ بِدَفْعِهِ إِيَّاهُ إِلَيْهِمْ فَهُوَ كَمَا جَعَلَهُ فِي صِحَّتِهِ وَكَانَ جَمِيعُ مَالِهِ يَفْعَلُهُ فِي صِحَّتِهِ فَيَنْفُذُ مِنْ جَمِيعِ مَالِهِ وَلَا يَكُونُ لَهُ عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ مِلْكٌ مِثْلُ الْعَتَاقِ وَالْهِبَاتِ وَالصَّدَقَاتِ هُوَ الَّذِي يَنْفُذُ إِذَا فَعَلَهُ فِي مَرَضِهِ مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ وَكَانَ الْوَاقِفُ إِذَا وَقَفَ فِي مَرَضِهِ دَارِهِ أَوْ أَرْضَهُ وَجَعَلَ آخِرَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا بِاتِّفَاقِهِمْ مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ بَعْدَ وَفَاتِهِ لَا سَبِيلَ لِوَارِثِهِ عَلَيْهِ. وَلَيْسَ ذَلِكَ بِدَاخِلٍ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا حَبْسَ عَلَى فَرَائِضِ اللهِ. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ سَبِيلُهُ إِذَا وَقَفَ فِي الصِّحَّةِ فَيَكُونُ نَافِذًا مِنْ جَمِيعِ الْمَالِ وَلَا يَكُونُ لَهُ عَلَيْهِ سَبِيلٌ بَعْدَ ذَلِكَ قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا. فَإِلَى هَذَا أَذْهَبُ وَبِهِ أَقُولُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ لَا مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ لِأَنَّ الْآثَارَ فِي ذَلِكَ قَدْ تَقَدَّمَ وَصْفِي لَهَا وَبَيَانُ مَعَانِيهَا وَكَشْفُ وُجُوهِهَا. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: أَفَتَخْرَجُ الْأَرْضُ بِالْوُقُوفِ مِنْ مِلْكِ رَبِّهَا بِوَقْفِهِ إِيَّاهَا لَا إِلَى مِلْكِ مَالِكٍ؟ قِيلَ لَهُ: وَمَا تُنْكِرُ مِنْ هَذَا وَقَدِ اتَّفَقْتَ أَنْتَ وَخَصْمُكَ عَلَى الْأَرْضِ يَجْعَلُهَا صَاحِبُهَا مَسْجِدًا لِلْمُسْلِمِينَ وَيُخَلِّي بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهَا أَنَّهَا قَدْ خَرَجَتْ بِذَلِكَ مِنْ مِلْكِهِ لَا إِلَى مِلْكِ مَالِكٍ وَلَكِنْ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. [ص:98] فَالَّذِي يَلْزَمُ مُحَالِفَكَ فِيمَا احْتَجَجْتَ عَلَيْهِ بِمَا وَصَفْنَا يَلْزَمُكَ فِي هَذَا مِثْلُهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى نَهْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَبْسِ الَّذِي رَوَيْتَهُ عَنْهُ فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا؟ قِيلَ لَهُ: قَدْ قَالَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ قَوْلَيْنِ: أَحَدَهُمَا الْقَوْلُ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عِنْدَ رِوَايَتِنَا إِيَّاهُ. وَالْآخَرُ أَنَّ ذَلِكَ أُرِيدَ بِهِ مَا كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَفْعَلُونَهُ مِنَ الْبُحَيْرَةِ وَالسَّائِبَةِ وَالْوَصِيلَةِ وَالْحَامِ. فَكَانُوا يَحْبِسُونَ مَا يَجْعَلُونَهُ كَذَلِكَ كَذَلِكَ فَلَا يُوَرِّثُونَهُ أَحَدًا فَلَمَّا أُنْزِلَتْ سُورَةُ الْفَرَائِضِ وَبَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهَا الْمَوَارِيثَ وَقَسَمَ الْأَمْوَالَ عَلَيْهَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا حَبْسَ. ثُمَّ تَكَلَّمَ الَّذِينَ أَجَازُوا الصَّدَقَاتِ الْمَوْقُوفَاتِ فِيهَا بَعْدَ تَثْبِيتِهِمْ إِيَّاهَا عَلَى مَا ذَكَرْنَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هِيَ جَائِزَةٌ قُبِضَتْ مِنَ الْمُصَدِّقِ بِهَا أَوْ لَمْ تُقْبَضْ. وَمِمَّنْ قَالَ بِذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَا يُنْفِذُهَا حَتَّى يُخْرِجَهَا مِنْ يَدِهِ وَيَقْبِضَهَا مِنْهُ غَيْرُهُ وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ ابْنُ أَبِي لَيْلَى وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ. فَاحْتَجْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ لِنَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ قَوْلًا صَحِيحًا فَرَأَيْنَا أَشْيَاءَ يَفْعَلُهَا الْعِبَادُ عَلَى ضُرُوبٍ. فَمِنْهَا الْعَتَاقُ يَنْفُذُ بِالْقَوْلِ لِأَنَّ الْعَبْدَ إِنَّمَا يَزُولُ مِلْكُ مَوْلَاهُ عَنْهُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَمِنْهَا الْهِبَاتُ وَالصَّدَقَاتُ لَا تَنْفُذُ بِالْقَوْلِ حَتَّى يَكُونَ مَعَهُ الْقَبْضُ مِنَ الَّذِي مَلَّكَهَا لَهُ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ حُكْمَ الْأَوْقَافِ بِأَيِّهَا هِيَ أَشْبَهُ فَنَعْطِفَهُ عَلَيْهِ. فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا وَقَفَ أَرْضَهُ أَوْ دَارِهِ فَإِنَّمَا يَمْلِكُ الَّذِي أَوْقَفَهَا عَلَيْهِ مَنَافِعَهَا وَلَمْ يَمْلِكْ مِنْ رَقَبَتِهَا شَيْئًا إِنَّمَا أَخْرَجَهَا مِنْ مِلْكِ نَفْسِهِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ نَظِيرُ مَا أَخْرَجَهُ مِنْ مِلْكِهِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَكَمَا كَانَ ذَلِكَ لَا يَحْتَاجُ فِيهِ إِلَى قَبْضٍ مَعَ الْقَوْلِ كَانَ كَذَلِكَ الْوُقُوفُ لَا يَحْتَاجُ فِيهَا إِلَى قَبْضٍ مَعَ الْقَوْلِ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى: أَنَّ الْقَبْضَ لَوْ أَوْجَبْنَاهُ فَإِنَّمَا كَانَ الْقَابِضُ يَقْبِضُ مَا لَمْ يَمْلِكْ بِالْوَقْفِ فَقَبْضُهُ إِيَّاهُ وَغَيْرُ قَبْضِهِ إِيَّاهُ سَوَاءٌ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮৯২
empty
৫৮৯২।
5892 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৮৯৩
empty
৫৮৯৩।
5893 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান