শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৪. উপহার ও সাদ্কা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮৪৬
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৪৬। ইউনুস …… মুহাম্মাদ ইবন নু'মান ও হুমায়দ ইবন আব্দুর রহমান বলেন, তারা দু'জনই হযরত নু'মান ইবন বাশীর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, আমার আব্বা আমাকে একটা গোলাম দান করলেন, তখন আমার আম্মা আমাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট যাবার নির্দেশ দিলেন, যেন আমি তাকে এর ওপর সাক্ষী বানিয়ে রাখি। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার আব্বাকে জিজ্ঞেস করলেন : তোমার প্রত্যেক সন্তানকে কি একটা করে গোলাম দিয়েছে? তিনি বললেন, না। তিনি বললেন : তবে তুমি তাকে ফিরিয়ে নাও।
بَابٌ: الرَّجُلُ يُنْحِلُ بَعْضَ بَنِيهِ دُونَ بَعْضٍ
5846 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا سَمِعَا النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ يَقُولُ: نَحَلَنِي أَبِي غُلَامًا فَأَمَرَتْنِي أُمِّي أَنْ أَذْهَبَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُشْهِدَهُ عَلَى ذَلِكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكُلُّ وَلَدِكَ أَعْطَيْتَهُ» ، فَقَالَ: لَا، قَالَ: «فَارْدُدْهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৪৭
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৪৭। ইউনুস …… নুমান ইবন বশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার তার আব্বা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট উপস্থিত হলেন। অতঃপর তিনি বললেন : আমার এই পুত্রকে আমি একটা গোলাম দান করেছি। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন : তোমার প্রত্যেক সন্তানকে কি অনুরূপ দান করেছ? তিনি বললেন, না। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন: তুমি তাকে ফিরিয়ে নাও।
আবু দাউদ ব্যতীত মুহাদ্দিসের একটি দল হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আলোচনা : আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ মত পোষণ করেন, কোন ব্যক্তি যখন তার কোন সন্তানকে বাদ দিয়ে অন্য কোন সন্তানকে দান করে, তার এই দান বাতিল হবে। তারা উল্লেখিত এ হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। তারা বলেন : নুমান ইবন বশীর (রাযিঃ) কে তার আব্বা যখন গোলাম দান করেছিলেন, তখন তিনি শিশু ছিলেন। অতএব তার পক্ষ হতে তার আব্বাই তা গ্রহন করেছিলেন। কারন ছোট হবার কারনে তার কবজা গ্রহনযোগ্য নয়। অতঃপর নবী ﷺ তার গ্রহণ করার হুকুম আসার পর যখন তাকে বললেন, "গোলামটা ফিরিয়ে নাও", তখন তা এ কথা প্রমান করে যে, কোন এক সন্তানকে দান করে অন্য সন্তানকে দান না করলে যাকে দান করা হয়েছে সে তার মালিক হবে না এবং তার জন্য হেবার চুক্তিও সম্পন্ন হবে না।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, তাউস, আতা ইবন আবী রবাহ, মুজাহিদ, উরওয়া, ইবন জুরায়জ, নাখঈ, শা'বী, ইবন শুবরুমা, আহমদ, ইসহাক, দাউদ এবং সমস্ত যাহিরপন্হি আলিম।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত ভিন্নমত পোষণ করে বলেন: প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, সে যেন দানের ব্যাপারে সন্তানদের মধ্যে সমতা অবলম্বন করে। যেন তারা সকলেই তার এই নেক কাজের সমান অধিকারী হয়। আর তার সন্তানদের একজনকে যেন অন্যজনের চেয়ে বেশী না দেয়। এতে যাদের ওপর একে বেশী দেয়া হবে, তাদের অন্তরে মলিনতা সৃষ্টি হবে। অবশ্য যদি কোন সন্তানকে অতিরিক্ত কিছু দান করে থাকে এবং যাকে দান করা হয়েছে, সে যদি তা গ্রহন করে থাকে, যদি সে বড় (বালেগ হয়) অথবা ছোট হলে তার আব্বা যদি তার পক্ষে তাকে জানিয়ে ও সাক্ষী রেখে গ্রহণ করে, তবে তা জায়েয আছে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হচ্ছেন, সাওরী, লায়স, ইবন সা'দ, মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী এবং এক রিওয়ায়াত মুতাবিক ইমাম আহমদ (রাহঃ)-ও।
আর এ বিষয়ে তাদের দলীল হলো, আমরা হযরত নু'মান (রাযিঃ) এর যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তার থেকে। সে হাদীস তাদের মতে যেমন বর্ণিত হয়েছে, তাতে এ কথার কোন প্রমাণ নেই যে, নু'মান (রাযিঃ) তখন ছোট ছিলেন। সম্ভবত তখন তিনি বড়ই ছিলেন কিন্তু তিনি গোলাম হস্তগত করেন নি।
প্রথম হাদীসে যে অর্থ বর্ণিত হয়েছে, তার বিপরীত অর্থেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
আবু দাউদ ব্যতীত মুহাদ্দিসের একটি দল হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
আলোচনা : আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম এ মত পোষণ করেন, কোন ব্যক্তি যখন তার কোন সন্তানকে বাদ দিয়ে অন্য কোন সন্তানকে দান করে, তার এই দান বাতিল হবে। তারা উল্লেখিত এ হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। তারা বলেন : নুমান ইবন বশীর (রাযিঃ) কে তার আব্বা যখন গোলাম দান করেছিলেন, তখন তিনি শিশু ছিলেন। অতএব তার পক্ষ হতে তার আব্বাই তা গ্রহন করেছিলেন। কারন ছোট হবার কারনে তার কবজা গ্রহনযোগ্য নয়। অতঃপর নবী ﷺ তার গ্রহণ করার হুকুম আসার পর যখন তাকে বললেন, "গোলামটা ফিরিয়ে নাও", তখন তা এ কথা প্রমান করে যে, কোন এক সন্তানকে দান করে অন্য সন্তানকে দান না করলে যাকে দান করা হয়েছে সে তার মালিক হবে না এবং তার জন্য হেবার চুক্তিও সম্পন্ন হবে না।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, তাউস, আতা ইবন আবী রবাহ, মুজাহিদ, উরওয়া, ইবন জুরায়জ, নাখঈ, শা'বী, ইবন শুবরুমা, আহমদ, ইসহাক, দাউদ এবং সমস্ত যাহিরপন্হি আলিম।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত ভিন্নমত পোষণ করে বলেন: প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, সে যেন দানের ব্যাপারে সন্তানদের মধ্যে সমতা অবলম্বন করে। যেন তারা সকলেই তার এই নেক কাজের সমান অধিকারী হয়। আর তার সন্তানদের একজনকে যেন অন্যজনের চেয়ে বেশী না দেয়। এতে যাদের ওপর একে বেশী দেয়া হবে, তাদের অন্তরে মলিনতা সৃষ্টি হবে। অবশ্য যদি কোন সন্তানকে অতিরিক্ত কিছু দান করে থাকে এবং যাকে দান করা হয়েছে, সে যদি তা গ্রহন করে থাকে, যদি সে বড় (বালেগ হয়) অথবা ছোট হলে তার আব্বা যদি তার পক্ষে তাকে জানিয়ে ও সাক্ষী রেখে গ্রহণ করে, তবে তা জায়েয আছে।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হচ্ছেন, সাওরী, লায়স, ইবন সা'দ, মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী এবং এক রিওয়ায়াত মুতাবিক ইমাম আহমদ (রাহঃ)-ও।
আর এ বিষয়ে তাদের দলীল হলো, আমরা হযরত নু'মান (রাযিঃ) এর যে হাদীস বর্ণনা করেছি, তার থেকে। সে হাদীস তাদের মতে যেমন বর্ণিত হয়েছে, তাতে এ কথার কোন প্রমাণ নেই যে, নু'মান (রাযিঃ) তখন ছোট ছিলেন। সম্ভবত তখন তিনি বড়ই ছিলেন কিন্তু তিনি গোলাম হস্তগত করেন নি।
প্রথম হাদীসে যে অর্থ বর্ণিত হয়েছে, তার বিপরীত অর্থেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
5847 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، حَدَّثَاهُ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ إِنَّ أَبَاهُ أَتَى بِهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلَامًا كَانَ لِي. [ص:85] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا» ، فَقَالَ: لَا، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَارْجِعْهُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا نَحَلَ بَعْضَ بَنِيهِ دُونَ بَعْضٍ أَنَّ ذَلِكَ بَاطِلٌ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالُوا: قَدْ كَانَ النُّعْمَانُ فِي وَقْتِ مَا نَحَلَهُ أَبُوهُ صَغِيرًا فَكَانَ أَبُوهُ قَابِضًا لَهُ لِصِغَرِهِ عَنِ الْقَبْضِ لِنَفْسِهِ. فَلَمَّا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْدُدْهُ بَعْدَمَا كَانَ فِي حُكْمِ مَا قَبَضَ دَلَّ هَذَا أَنَّ النُّحْلَى مِنَ الْوَالِدِ لِبَعْضِ وَلَدِهِ دُونَ بَعْضٍ لَا يَمْلِكُهُ الْمَنْحُولُ وَلَا يَنْعَقِدُ لَهُ عَلَيْهِ هِبَةٌ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: يَنْبَغِي لِلرَّجُلِ أَنْ يُسَوِّيَ بَيْنَ وَلَدِهِ فِي الْعَطِيَّةِ لِيَسْتَوُوا فِي الْبِرِّ وَلَا يُفَضِّلُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ فَيُوقِعُ ذَلِكَ لَهُ الْوَحْشَةَ فِي قُلُوبِ الْمَفْضُولِينَ مِنْهُمْ. فَإِنْ نَحَلَ بَعْضَهُمْ شَيْئًا دُونَ بَعْضٍ وَقَبَضَهُ الْمَنْحُولُ لِنَفْسِهِ إِنْ كَانَ كَبِيرًا أَوْ قَبَضَهُ لَهُ أَبُوهُ مِنْ نَفْسِهِ إِنْ كَانَ صَغِيرًا بِإِعْلَامِهِ إِيَّاهُ وَالْإِشْهَادِ بِهِ فَهُوَ جَائِزٌ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ حَدِيثَ النُّعْمَانِ الَّذِي ذَكَرْنَا قَدْ رُوِيَ عَنْهُ عَلَى مَا ذَكَرُوا وَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ أَنَّهُ كَانَ حِينَئِذٍ صَغِيرًا وَلَعَلَّهُ وَقَدْ كَانَ كَبِيرًا وَلَمْ يَكُنْ قَبَضَهُ. وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَلَى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى الَّذِي فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৪৮
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৪৮। নসর ইব্ন মারযূক ….. নু'মান ইব্ন বশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার আব্বা আমাকে নিয়ে নবী(ﷺ)-এর নিকট গেলেন এবং তিনি আমাকে একটা গােলাম দান করলেন, (তিনি আমাকে তাঁর নিকট নিয়ে গেলেন এ জন্য যে তাঁকে এ দানের জন্য যে তাঁকে এ দানের জন্য তিনি সাক্ষী বানিয়ে রাখবেন)। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তােমার প্রত্যেক সন্তানকেও কি অনুরূপ দান করেছ? তিনি বললেন, না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ তােমাকে কি একথা আনন্দ দেবে যে, তারা সকলেই তােমার প্রতি সমান সদাচার করুক? তিনি বললেন, জ্বী, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ তবে তুমি আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে সাক্ষী বানাও।
হযরত বশীর (রাযিঃ) তার পুত্র নু'মানকে যা দান করেছিলেন, সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে যে কথা বলেছেন, “আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে সাক্ষী বানাও" তাঁর এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, নু'মানের মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যথায় অন্যকে সাক্ষী বানানাে সঠিক হতাে না। অতএব এ হাদীস প্রথম হাদীসের বিপরীত। কারণ (রাসূলুলুল্লাহ্(ﷺ) -এর) এ বক্তব্য হযরত নু'মান তার আব্বার সাথে যে চুক্তিতে আব্দ্ধ হয়েছেন, তা ফাসেদ হওয়াকে প্রমাণ করে না। বস্তুত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কখনাে কখনাে সাক্ষ্য প্রদান করা হতে বিরত থাকতেন। কারণ شهادت (সাক্ষ্য প্রদান করা) এমনই এক বিষয় যে, مشهود له (যার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করা হয়)-এর জন্য যামিন (সাক্ষী) তার যামিন হয়ে যায়। অতএব তাঁর পক্ষে শুরুতেই صامت না হবার সুযােগ রয়েছে (অর্থাৎ তিনি ইচ্ছা করলে সাক্ষীই না হতে পারেন)।
এ ছাড়া এর আরাে একটি ব্যাখ্যা হতে পারে। তা হলাে, “আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে সাক্ষী বানাও” কারণ আমি তাে ইমাম। আর যিনি ইমাম হবেন, সাক্ষী হওয়া তাঁর পক্ষে অশােভনীয়। বস্তুত তিনি সাক্ষ্য প্রদান করবেন না; তিনি তাে ফায়সালা দিবেন। আর তাঁর এ বক্তব্য اشهد على هذا غيرى আকদ ও চুক্তি বিশুদ্ধ হবারই প্রমাণ।
হযরত বশীর (রাযিঃ) তার পুত্র নু'মানকে যা দান করেছিলেন, সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে যে কথা বলেছেন, “আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে সাক্ষী বানাও" তাঁর এ বক্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, নু'মানের মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যথায় অন্যকে সাক্ষী বানানাে সঠিক হতাে না। অতএব এ হাদীস প্রথম হাদীসের বিপরীত। কারণ (রাসূলুলুল্লাহ্(ﷺ) -এর) এ বক্তব্য হযরত নু'মান তার আব্বার সাথে যে চুক্তিতে আব্দ্ধ হয়েছেন, তা ফাসেদ হওয়াকে প্রমাণ করে না। বস্তুত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কখনাে কখনাে সাক্ষ্য প্রদান করা হতে বিরত থাকতেন। কারণ شهادت (সাক্ষ্য প্রদান করা) এমনই এক বিষয় যে, مشهود له (যার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করা হয়)-এর জন্য যামিন (সাক্ষী) তার যামিন হয়ে যায়। অতএব তাঁর পক্ষে শুরুতেই صامت না হবার সুযােগ রয়েছে (অর্থাৎ তিনি ইচ্ছা করলে সাক্ষীই না হতে পারেন)।
এ ছাড়া এর আরাে একটি ব্যাখ্যা হতে পারে। তা হলাে, “আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে সাক্ষী বানাও” কারণ আমি তাে ইমাম। আর যিনি ইমাম হবেন, সাক্ষী হওয়া তাঁর পক্ষে অশােভনীয়। বস্তুত তিনি সাক্ষ্য প্রদান করবেন না; তিনি তাে ফায়সালা দিবেন। আর তাঁর এ বক্তব্য اشهد على هذا غيرى আকদ ও চুক্তি বিশুদ্ধ হবারই প্রমাণ।
5848 - فَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: انْطَلَقَ بِي أَبِي إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحَلَنِي نُحْلَى لِيُشْهِدَهُ عَلَى ذَلِكَ، فَقَالَ: «أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا» فَقَالَ: لَا. قَالَ: «أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي الْبِرِّ كُلُّهُمْ سَوَاءً» قَالَ: بَلَى قَالَ: «فَأَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي» فَكَانَ وَالَّذِي فِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَشِيرٍ فِيمَا كَانَ نَحَلَهُ النُّعْمَانُ أَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي. فَهَذَا دَلِيلٌ أَنَّ الْمِلْكَ ثَابِتٌ لِأَنَّهُ لَوْ لَمْ يَثْبُتْ لَا يَصِحُّ قَوْلُهُ. فَهَذَا بِخِلَافِ مَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ لِأَنَّ هَذَا الْقَوْلَ لَا يَدُلُّ عَلَى فَسَادِ الْعَقْدِ الَّذِي كَانَ عَقَدَهُ النُّعْمَانُ لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ يَتَوَقَّى الشَّهَادَةَ عَلَى مَالِهِ أَنْ يُشْهِدَ عَلَيْهِ وَعَلَى الْأُمُورِ الَّتِي قَدْ كَانَتْ. وَكَذَلِكَ لِمَنْ بَعْدَهُ لِأَنَّ الشَّهَادَةَ إِنَّمَا هِيَ أَمْرٌ يَتَضَمَّنُهُ الشَّاهِدُ لِلْمَشْهُودِ لَهُ فَلَهُ أَنْ لَا يَتَضَمَّنَ ذَلِكَ. وَقَدْ يُحْتَمَلُ غَيْرُ هَذَا أَيْضًا فَيَكُونُ قَوْلُهُ أَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي أَيْ: إِنِّي أَنَا الْإِمَامُ وَالْإِمَامُ لَيْسَ مِنْ شَأْنِهِ أَنْ يَشْهَدَ وَإِنَّمَا مِنْ شَأْنِهِ أَنْ يَحْكُمَ. [ص:86] وَفِي قَوْلِهِ أَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي دَلِيلٌ عَلَى صِحَّةِ الْعَقْدِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৪৯
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৪৯। ইব্ন আবু দাউদ ….. শাবী বলেন, আমি হযরত নু'মানকে এই মিম্বরের ওপর বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইরশাদ করেনঃ তােমরা তােমাদের সন্তানদের মধ্যে দানের বেলায় ঠিক তদ্রপ সমতা অবলম্বন কর যেমন তােমরা এ কথা পছন্দ কর যে, তারা তােমাদের মধ্যে সদ্ব্যবহার ও দানে সমতা অবলম্বন করুক।
হাদীসটি ইমাম তাবারানী দীর্ঘ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর (রাহঃ) বলেন : আলােচ্য হাদীসের মূল উদ্দেশ্য হলাে সন্তানদের মধ্যে দানের বেলায় সমতা অবলম্বন করার নির্দেশ প্রদান করা। যাতে তারা সকলেই সমান হয়ে যায়। কাউকে কিছু দেয়ার চুক্তি করা হলে তা বাতিল হয়ে যাবে, এমন কিছুই হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়নি।
হাদীসটি ইমাম তাবারানী দীর্ঘ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর (রাহঃ) বলেন : আলােচ্য হাদীসের মূল উদ্দেশ্য হলাে সন্তানদের মধ্যে দানের বেলায় সমতা অবলম্বন করার নির্দেশ প্রদান করা। যাতে তারা সকলেই সমান হয়ে যায়। কাউকে কিছু দেয়ার চুক্তি করা হলে তা বাতিল হয়ে যাবে, এমন কিছুই হাদীসের মধ্যে উল্লেখ করা হয়নি।
5849 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا آدَمُ قَالَ: ثنا وَرْقَاءُ عَنِ الْمُغِيرَةِ عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ عَلَى مِنْبَرِنَا هَذَا يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَوُّوا بَيْنَ أَوْلَادِكُمْ فِي الْعَطِيَّةِ كَمَا تُحِبُّونَ أَنْ يُسَوُّوا بَيْنَكُمْ فِي الْبِرِّ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: كَأَنَّ الْمَقْصُودَ إِلَيْهِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْأَمْرُ بِالتَّسْوِيَةِ بَيْنَهُمْ فِي الْعَطِيَّةِ لِيَسْتَوُوا جَمِيعًا فِي الْبِرِّ. وَلَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ مِنْ ذِكْرِ فَسَادِ الْعَقْدِ الْمَعْقُودِ عَلَى التَّفْضِيلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫০
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫০। ফাহদ ..... হুসায়ন শা'বী হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন : আমি হযরত নু'মান ইব্ন বশীর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন : আমার আব্বা আমাকে একটি বস্তু দান করেছিলেন। অতঃপর আমার আম্মা আমরাহ বিনত রাওয়াহা বললেন, যাবত না রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) সাক্ষী বানাবে, আমি রাজী হব না। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন : আমি আমরাহর গর্ভের আমার এই পুত্রকে একটি বস্তু দান করেছি এবং সে ব্যাপারে আমি আপনাকে সাক্ষী করছি। তিনি বললেন : তােমার সমস্ত সন্তানকে কি অনুরূপ দান করেছ? তিনি বললেন, জী না। তখন তিনি বললেন : আল্লাহকে ভয় কর এবং তােমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ কর।
হুসায়ন ইব্ন আব্দুর রহমান সুলামী একজন বিশ্বস্ত রাবী । মুহাদ্দিসগণের একটি জামাত তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসেও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দান ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেননি, তিনি সমতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হুসায়ন ইব্ন আব্দুর রহমান সুলামী একজন বিশ্বস্ত রাবী । মুহাদ্দিসগণের একটি জামাত তাঁর থেকে বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসেও রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দান ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেননি, তিনি সমতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
5850 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ: أَعْطَانِي أَبِي عَطِيَّةً فَقَالَتْ أُمِّي عَمْرَةُ بِنْتُ رَوَاحَةَ لَا أَرْضَى حَتَّى تُشْهِدَ مِنَ الْأَشْهَادِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي قَدْ أَعْطَيْتُ ابْنِي مِنْ عَمْرَةَ عَطِيَّةً وَإِنِّي أُشْهِدُكَ. قَالَ: «أَكُلَّ وَلَدِكَ أَعْطَيْتَ مِثْلَ هَذَا؟» قَالَ لَا، قَالَ: «فَاتَّقُوا اللهَ وَاعْدِلُوا بَيْنَ أَوْلَادِكُمْ» فَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ بِرَدِّ الشَّيْءِ وَإِنَّمَا فِيهِ الْأَمْرُ بِالتَّسْوِيَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫১
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫১। ইব্ন আবু দাউদ ..... শা'বী হযরত নু'মান ইব্ন বশীর হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : আমার আব্বা আমাকে কোলে করে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট গমন করলেন। অতঃপর তিনি বললেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ(ﷺ) আপনি সাক্ষী থাকুন,আমি নু'মানকে আমার মাল হতে এই এই বস্তু দান করেছি। তখন তাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে বললেন : তােমার প্রত্যেক সন্তানকে কি দান করেছ? তিনি বললেন, জী না। তিনি বললেন : তােমার কি এতে আনন্দ হয় যে, তােমার প্রতি সদাচারের ক্ষেত্রে ওরা সকলেই সমান হােক? তিনি বললেন, জী, হ্যাঁ। তিনি বললেন : তা হলে না।
দাউদ হতে এ হাদীসে মুরাসী যে বর্ণনা পেশ করেছেন, তার শব্দ এবং এ অনুচ্ছেদেই পূর্বে ওহায়ব দাউদ হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তার শব্দের পার্থক্য রয়েছে। শা'বী নু'মান হতে এরূপই বর্ণনা করেছেন। আবুয-যুহাও নু'মান হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি বর্ণনা করেছেন এরূপ :
দাউদ হতে এ হাদীসে মুরাসী যে বর্ণনা পেশ করেছেন, তার শব্দ এবং এ অনুচ্ছেদেই পূর্বে ওহায়ব দাউদ হতে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তার শব্দের পার্থক্য রয়েছে। শা'বী নু'মান হতে এরূপই বর্ণনা করেছেন। আবুয-যুহাও নু'মান হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি বর্ণনা করেছেন এরূপ :
5851 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ، قَالَ: ثنا مُرَجَّى، قَالَ: ثنا دَاوُدُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ: انْطَلَقَ بِي أَبِي يَحْمِلُنِي إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ اشْهَدْ أَنِّي قَدْ نَحَلْتُ النُّعْمَانَ مِنْ مَالِي كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ» ، قَالَ: لَا، قَالَ: «أَمَا يَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا لَكَ فِي الْبِرِّ سَوَاءً» . قَالَ: بَلَى، قَالَ: «فَلَا إِذًا» فَقَدِ اخْتَلَفَ لَفْظُ حَدِيثِ دَاوُدَ هَذَا فِيمَا رَوَى عَنْهُ مُرَجَّى هَاهُنَا وَفِيمَا رَوَى عَنْهُ وُهَيْبٌ فِيمَا قَدْ تَقَدَّمَ فِي هَذَا الْبَابِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الشَّعْبِيُّ عَنِ النُّعْمَانِ وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الضُّحَى عَنِ النُّعْمَانِ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৫৩
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫২-৫৩। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা ….. আবুয্-যুহা বলেন, আমি হযরত নু'মান ইব্ন বাশীর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমার আব্বা আমাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট গমন করলেন, যাতে তিনি তাঁকে সাক্ষী করেন এমন একটি বস্তুর ওপর যা তিনি আমাকে দান করেছিলেন। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তােমার এই পুত্র ব্যতীত আরাে কি সন্তান আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি হাত দ্বারা ইশারা করে বললেন : তাদের মধ্যে সমান করনি কেন?
এ হাদীসেও কোন এমন কথা নেই যে, তিনি তাকে তার দান ফিরিয়ে নেবার নির্দেশ প্রদান করেছেন; বরং তিনি পরামর্শমূলকভাবে তাকে শুধু এ কথা বলেছেন যে, তাদের মধ্যে সমান করনি কেন? যদি তিনি এমন করতেন তবে তা হতাে উত্তম।
হযরত নু'মান (রাযিঃ)-এর এই ঘটনা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক তার বিপরীত হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা আমরা হযরত নু'মান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি।
এ হাদীসেও কোন এমন কথা নেই যে, তিনি তাকে তার দান ফিরিয়ে নেবার নির্দেশ প্রদান করেছেন; বরং তিনি পরামর্শমূলকভাবে তাকে শুধু এ কথা বলেছেন যে, তাদের মধ্যে সমান করনি কেন? যদি তিনি এমন করতেন তবে তা হতাে উত্তম।
হযরত নু'মান (রাযিঃ)-এর এই ঘটনা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক তার বিপরীত হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা আমরা হযরত নু'মান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি।
5852 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى، عَنْ فِطْرٍ ح
5853 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا فِطْرٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الضُّحَى، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ: ذَهَبَ بِي أَبِي إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُشْهِدَهُ عَلَى شَيْءٍ أَعْطَانِيهِ. فَقَالَ: «أَلَكَ وَلَدٌ غَيْرُهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، فَقَالَ بِيَدِهِ أَلَا سَوَّيْتَ بَيْنَهُمْ فَلَمْ يُخْبِرْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ أَمَرَ بِرَدِّهِ. وَإِنَّمَا قَالَ أَلَا سَوَّيْتُ بَيْنَهُمْ عَلَى طَرِيقِ الْمَشُورَةِ وَأَنَّ ذَلِكَ لَوْ فَعَلَهُ كَانَ أَفْضَلَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَّةِ النُّعْمَانِ هَذَا خِلَافُ كُلِّ مَا رَوَيْنَا عَنِ النُّعْمَانِ
5853 - وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا فِطْرٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الضُّحَى، قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ: ذَهَبَ بِي أَبِي إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُشْهِدَهُ عَلَى شَيْءٍ أَعْطَانِيهِ. فَقَالَ: «أَلَكَ وَلَدٌ غَيْرُهُ؟» قَالَ: نَعَمْ، فَقَالَ بِيَدِهِ أَلَا سَوَّيْتَ بَيْنَهُمْ فَلَمْ يُخْبِرْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ أَمَرَ بِرَدِّهِ. وَإِنَّمَا قَالَ أَلَا سَوَّيْتُ بَيْنَهُمْ عَلَى طَرِيقِ الْمَشُورَةِ وَأَنَّ ذَلِكَ لَوْ فَعَلَهُ كَانَ أَفْضَلَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَّةِ النُّعْمَانِ هَذَا خِلَافُ كُلِّ مَا رَوَيْنَا عَنِ النُّعْمَانِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৩
empty
৫৮৫৩।
5853 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮৫৫
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫৪-৫৫। ফাহদ ….. আবু যুবায়র হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : একবার হযরত বাশীর (রাযিঃ)-এর স্ত্রী তাকে বললেন : আমার পুত্রকে তােমার একটা গােলাম দান কর এবং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে সাক্ষী বানাও। (অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট আগমন করলে) তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন : তার কি আরাে ভাই আছে? তিনি বললেন, জী, হ্যাঁ। তিনি বললেন : তাদের সকলকে কি দান করেছ? তিনি বললেন,জী,না। তিনি বললেন : এটা তাে সংগত নয়। আর আমি হক ব্যতীত অন্য কিছুর ওপর সাক্ষী হই না।
হাদীসে রাবী নুফায়লী হলেন, আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ইব্ন নুফায়ল আবু জা'ফর আল-হাররানী, তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী ও হাফি। যুহায়র ইব্ন মুআবিয়া হতে তিনি বর্ণনা করেন। ফাহদ ইব্ন সুলায়মান তাঁর থেকে باب الانتباذ في الدباء -এও হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসে এ কথা বিদ্যমান যে, হযরত বাশীর (রাযিঃ) তাঁর দান সম্পন্ন করার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে তা ফেরত নেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তাঁকে পরামর্শ দিলেন ঐ বিষয়ের, যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এ পর্যন্ত হযরত নু'মান (রাযিঃ) হতে যত রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে, এটা তাঁর সব রিওয়ায়াতের বিপরীত ।
কারণ পূর্বে বর্ণিত সব রিওয়ায়াতেই এ কথা রয়েছে যে, হযরত বাশীর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হবার পূর্বেই তিনি নু'মান (রাযিঃ)-কে দান করেছিলেন এবং তিনি তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেছেন, আমি আমার এই পুত্রকে এই বস্তু দান করেছি।
অথচ হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসে তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে এ খবর দিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী তাকে দান করার জন্য আব্দার করেছেন। তারপর নবী(ﷺ) তাঁকে যে কথা বলেছেন, তা তাঁকে পরামর্শ দানের পদ্ধতিতেই বলেছেন এবং যা তাঁর জন্য করা সমুচিত, তাই তাঁকে বলেছেন।
শুআয়ব ইব্ন আবু হামযা ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে এ হাদীসে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপই বর্ণনা করেছেন :
ফাহদ ….. হুমায়দ ইব্ন আব্দুর রহমান ও মুহাম্মাদ ইব্ন নু'মান বলেন, তারা দুজনই হযরত নু'মান ইব্ন বাশীর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমার আব্বা আমাকে একটি গােলাম দান করেছিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে চললেন। এমনকি তিনি আমাকে নবী(ﷺ) -এর নিকট প্রবেশ করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার এই পুত্রকে একটা গােলাম দান করেছি। এখন যদি আপনি অনুমতি প্রদান করেন তবে তাে দান বহাল রাখব। অতঃপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন।
আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা এ কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত বাশীর (রাযিঃ) তাঁর পুত্রকে দান করার দায় থেকে নবী(ﷺ) -এর প্রত্যাহার আদেশ পর্যন্ত তাঁর দান পূর্ণতাই লাভ করে নি।
আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর নিয়ম ছিল, যখন তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিতরণ করতেন, তখন তিনি তাদের সকলের মধ্যে তা সমভাবে বণ্টন করতেন। তিনি গােলাম-বাঁদীকেও তেমনি দান করতেন, একজন আযাদ ব্যক্তিকে দান করতেন।
হাদীসে রাবী নুফায়লী হলেন, আব্দুল্লাহ ইব্ন মুহাম্মাদ ইব্ন আলী ইব্ন নুফায়ল আবু জা'ফর আল-হাররানী, তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী ও হাফি। যুহায়র ইব্ন মুআবিয়া হতে তিনি বর্ণনা করেন। ফাহদ ইব্ন সুলায়মান তাঁর থেকে باب الانتباذ في الدباء -এও হাদীস বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসে এ কথা বিদ্যমান যে, হযরত বাশীর (রাযিঃ) তাঁর দান সম্পন্ন করার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাঁকে তা ফেরত নেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তাঁকে পরামর্শ দিলেন ঐ বিষয়ের, যা আমরা উল্লেখ করেছি। আর এ পর্যন্ত হযরত নু'মান (রাযিঃ) হতে যত রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে, এটা তাঁর সব রিওয়ায়াতের বিপরীত ।
কারণ পূর্বে বর্ণিত সব রিওয়ায়াতেই এ কথা রয়েছে যে, হযরত বাশীর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হবার পূর্বেই তিনি নু'মান (রাযিঃ)-কে দান করেছিলেন এবং তিনি তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেছেন, আমি আমার এই পুত্রকে এই বস্তু দান করেছি।
অথচ হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসে তিনি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে এ খবর দিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী তাকে দান করার জন্য আব্দার করেছেন। তারপর নবী(ﷺ) তাঁকে যে কথা বলেছেন, তা তাঁকে পরামর্শ দানের পদ্ধতিতেই বলেছেন এবং যা তাঁর জন্য করা সমুচিত, তাই তাঁকে বলেছেন।
শুআয়ব ইব্ন আবু হামযা ইমাম যুহরী (রাহঃ) হতে এ হাদীসে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপই বর্ণনা করেছেন :
ফাহদ ….. হুমায়দ ইব্ন আব্দুর রহমান ও মুহাম্মাদ ইব্ন নু'মান বলেন, তারা দুজনই হযরত নু'মান ইব্ন বাশীর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমার আব্বা আমাকে একটি গােলাম দান করেছিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে চললেন। এমনকি তিনি আমাকে নবী(ﷺ) -এর নিকট প্রবেশ করলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার এই পুত্রকে একটা গােলাম দান করেছি। এখন যদি আপনি অনুমতি প্রদান করেন তবে তাে দান বহাল রাখব। অতঃপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন।
আমরা যা উল্লেখ করেছি, তা এ কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত বাশীর (রাযিঃ) তাঁর পুত্রকে দান করার দায় থেকে নবী(ﷺ) -এর প্রত্যাহার আদেশ পর্যন্ত তাঁর দান পূর্ণতাই লাভ করে নি।
আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর নিয়ম ছিল, যখন তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিতরণ করতেন, তখন তিনি তাদের সকলের মধ্যে তা সমভাবে বণ্টন করতেন। তিনি গােলাম-বাঁদীকেও তেমনি দান করতেন, একজন আযাদ ব্যক্তিকে দান করতেন।
5854 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا النُّفَيْلُ قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ قَالَ: ثنا أَبُو زُبَيْرٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَتِ امْرَأَةُ بَشِيرٍ لِبَشِيرٍ انْحَلِ ابْنِي غُلَامَكَ وَأَشْهِدْ لِي رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ. قَالَ: فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ بِنْتَ فُلَانٍ سَأَلَتْنِي أَنْ أَنْحَلَ ابْنَهَا غُلَامِي وَقَالَتْ أَشْهِدْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: «أَلَهُ إِخْوَةٌ» ، قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: «أَفَكُلُّهُمْ أَعْطَيْتَهُ» ، قَالَ: لَا، قَالَ: «فَإِنَّ هَذَا لَا يَصْلُحُ وَإِنِّي لَا أَشْهَدُ إِلَّا عَلَى حَقٍّ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا كَانَ أَمْرُهُ لِبَشِيرٍ بِالرَّدِّ قَبْلَ إِنْفَاذِ بَشِيرٍ الصَّدَقَةَ فَأَشَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ بِمَا ذَكَرْنَا. وَهَذَا خِلَافُ جَمِيعِ مَا رُوِيَ عَنِ النُّعْمَانِ لِأَنَّ فِي تِلْكَ الْأَحَادِيثِ أَنَّهُ نَحَلَهُ قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَّهُ قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا كَذَا فَأَخْبَرَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ فَعَلَ. وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ هَذَا إِخْبَارُهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسُؤَالِ امْرَأَتِهِ إِيَّاهُ فَكَانَ كَلَامُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ بِمَا كَلَّمَهُ بِهِ عَلَى طَرِيقِ الْمَشُورَةِ وَعَلَى مَا يَنْبَغِي أَنْ يُفْعَلَ عَلَيْهِ الشَّيْءُ إِنْ آثَرَ أَنْ يَفْعَلَهُ. وَقَدْ رَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ مُوَافِقًا لِهَذَا الْمَعْنَى
5855 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، أَنَّهُمَا سَمِعَا النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ: نَحَلَنِي أَبِي غُلَامًا ثُمَّ مَشَى بِي حَتَّى أَدْخَلَنِي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي غُلَامًا فَإِنْ أَذِنْتَ أَنْ أُجِيزَهُ لَهُ أَجَزْتُهُ، ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنِ النُّحْلَى كَمُلَتْ فِيهِ مِنْ حِينِ نَحَلَهُ إِيَّاهُ إِلَى أَنْ أَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَدِّهِ. وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَسَمَ شَيْئًا بَيْنَ أَهْلِهِ سَوَّى بَيْنَهُمْ جَمِيعًا فَأَعْطَى الْمَمْلُوكَ مِنْهُمْ كَمَا يُعْطَى الْحُرُّ
5855 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، أَنَّهُمَا سَمِعَا النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ، يَقُولُ: نَحَلَنِي أَبِي غُلَامًا ثُمَّ مَشَى بِي حَتَّى أَدْخَلَنِي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي غُلَامًا فَإِنْ أَذِنْتَ أَنْ أُجِيزَهُ لَهُ أَجَزْتُهُ، ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنِ النُّحْلَى كَمُلَتْ فِيهِ مِنْ حِينِ نَحَلَهُ إِيَّاهُ إِلَى أَنْ أَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَدِّهِ. وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَسَمَ شَيْئًا بَيْنَ أَهْلِهِ سَوَّى بَيْنَهُمْ جَمِيعًا فَأَعْطَى الْمَمْلُوكَ مِنْهُمْ كَمَا يُعْطَى الْحُرُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৫
empty
৫৮৫৫।
5855 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৬
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫৬। এ বিষয় সম্পর্কে ইউনুস ….. উরওয়া হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : একবার রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর নিকট উজ্জ্বল পুঁতির দানা আনা হলাে। তখন তিনি তা আযাদ ও বাঁদীদের মধ্যে বিতরণ করতেন।
নবী(ﷺ) এরূপই করতেন।
তাঁর দানে তার পরিবারের সকলেই অংশীদার হতাে। গােলাম- বাঁদী সকলকেই তিনি দান করতেন। তবে এমনটা করা ওয়াজিব ছিল না; বরং উত্তম ছিল । অনুরূপভাবে সন্তানদের ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ ছিল যে, তাদের মধ্যে দানের ব্যাপারে যেন সমান ব্যবহার করা হয়। যদিও এটা ওয়াজিব নয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
আর এ কথা প্রমাণিত যে, কোন কোন সাহাবা-ই কিরাম নিজেদের এক সন্তানকে অন্য সন্তানের ওপর দানের বেলায় প্রাধান্য দান করেছেন।
নবী(ﷺ) এরূপই করতেন।
তাঁর দানে তার পরিবারের সকলেই অংশীদার হতাে। গােলাম- বাঁদী সকলকেই তিনি দান করতেন। তবে এমনটা করা ওয়াজিব ছিল না; বরং উত্তম ছিল । অনুরূপভাবে সন্তানদের ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ ছিল যে, তাদের মধ্যে দানের ব্যাপারে যেন সমান ব্যবহার করা হয়। যদিও এটা ওয়াজিব নয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
আর এ কথা প্রমাণিত যে, কোন কোন সাহাবা-ই কিরাম নিজেদের এক সন্তানকে অন্য সন্তানের ওপর দানের বেলায় প্রাধান্য দান করেছেন।
5856 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ نِيَارٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِطِيبَةِ خَرَزٍ فَقَسَمَهَا بَيْنَ الْحُرَّةِ وَالْأَمَةِ. قَالَتْ: عَائِشَةُ وَكَذَلِكَ كَانَ أَبِي يَقْسِمُ لِلْحُرِّ وَالْعَبْدِ فَكَانَ هَذَا مِمَّا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ يَعُمُّ بِعَطَايَاهُ جَمِيعَ أَهْلِهِ حُرِّهِمْ وَعَبْدِهِمْ لَيْسَ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ وَاجِبٌ وَلَكِنَّهُ أَحْسَنُ مِنْ غَيْرِهِ. فَكَذَلِكَ كَانَتْ مَشُورَتُهُ فِي الْوَلَدِ أَنْ يُسَوِّيَ بَيْنَهُمْ فِي الْعَطِيَّةِ لَيْسَ عَلَى أَنَّهُ وَاجِبٌ وَلَا عَلَى أَنَّ غَيْرَهُ إِنْ فَعَلَ لَمْ يَثْبُتْ. وَهَذَا [ص:88] قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ فَضَّلَ بَعْضُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ عَنْهُمْ بَعْضَ أَوْلَادِهِمْ عَلَى بَعْضٍ فِي الْعَطَايَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৭
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫৭। ইউনুস ….. উরওয়া ইব্ন যুবায়র (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সহধর্মিণী হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : হযরত আবু বকর (রাযিঃ) গাবায় তাঁর যে মাল ছিল, তা থেকে তাঁকে বিশ ওয়াসাক পরিমাণ দান করেছিলেন, কিন্তু যখন তাঁর মৃত্যু উপস্থিত হলাে, তখন তিনি তাকে বললেন, আমার প্রিয় কন্যা! সমস্ত মানুষের মধ্যে তুমি ব্যতীত একব্যক্তিও এমন নেই, যে আমার পর ধনী হবার দিক থেকে আমার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় হবে। আর আমার পর দরিদ্র হবার দিক থেকেও অধিক সম্মানিত তুমি ব্যতীত আর কেউ নেই। আমি তােমাকে বিশ ওয়াসাক পরিমাণ কাঁচা খেজুর দান করেছি। যদি তুমি তা কেটে থাক এবং সংরক্ষণ করে থাক, তবে তাে তা তােমার হবে। কিন্তু কেটে না থাকলে আজ তা ওয়ারিসের মাল। তােমার তাে দুজন ভাই ও দুজন বােন আছে। অতএব আল্লাহর নির্দেশ মুতাবিক তা তাদের মধ্যে বণ্টন করে দেবে। তখন হযরত আয়েশা বললেন : আমার আব্বাজান (এতাে অতি সামান্য মাল) যদি এত এত মালও হতাে, তবে আমি তাও ছেড়ে দিতাম। তবে আমার বােন তাে দেখি শুধু আসমা (রাযিঃ) আর একজন কে? তিনি বললেন : গর্ভস্থ খারেজার কন্যা, আমার ধারণা, সে মেয়ে।
5857 - فَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ نَحَلَهَا جِدَادَ عِشْرِينَ وَسْقًا مِنْ مَالِهِ بِالْغَابَةِ. فَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ وَاللهِ يَا بُنَيَّةُ مَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ أَحَبَّ إِلَيَّ غِنًى مِنْكِ وَلَا أَعَزَّ النَّاسِ عَلَيَّ فَقْرًا مِنْ بَعْدِي مِنْكِ وَإِنِّي كُنْتُ نَحَلْتُكِ جِدَادَ عِشْرِينَ وَسْقًا فَلَوْ كُنْتِ جَدَدْتِيهِ وَأَحْرَزْتِيهِ كَانَ لَكِ وَإِنَّمَا هُوَ الْيَوْمَ مَالُ وَارِثٍ وَإِنَّمَا هُمَا أَخُوكِ وَأُخْتَاكِ فَاقْسِمُوهُ عَلَى كِتَابِ اللهِ تَعَالَى. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: وَاللهِ يَا أَبَتِ لَوْ كَانَ كَذَا وَكَذَا لَتَرَكْتُهُ إِنَّمَا هِيَ أَسْمَاءُ فَمَنِ الْأُخْرَى قَالَ: ذُو بَطْنٍ بِنْتُ خَارِجَةَ أَرَاهَا جَارِيَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৮
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫৮। ফাহদ ….. মাসরূক বলেন : হযরত আবু বকর (রাযিঃ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে একটা দান করেছিলেন। অতঃপর তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তিনি তাঁকে বললেন : তুমি ওটা মীরাসের অন্তর্ভুক্ত কর এবং তারা হেবা ও সদকার ক্ষেত্রে কবযা করার কথা উল্লেখ করেন।
5858 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: ثنا أَبِي، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ: ثنا مَسْرُوقٌ، قَالَ: كَانَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ قَدْ أَعْطَى عَائِشَةَ نُحْلَى فَلَمَّا مَرِضَ قَالَ لَهَا اجْعَلِيهِ فِي الْمِيرَاثِ وَذَكَرُوا الْقَبْضَ وَالْهِبَةَ وَالصَّدَقَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৫৯
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৫৯। ইউনুস ….. সালিহ ইব্ন ইবরাহীম ইব্ন আব্দুর রহমান ইব্ন আওফ বলেন : হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আওফ (রাযিঃ) ঐ দানের মাল হতে উম্মে কুলসূম-এর সন্তানদেরকে কিছু বেশী দান করলেন, যা তিনি তাঁর সন্তানদের মধ্যে বণ্টন করেছিলেন।
এই তাে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে দান করেছিলেন যা তাঁর অন্যান্য সকল সন্তানকে দান করেন নি এবং এ কাজ তিনি জায়েয মনে করেছেন। আর হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-ও এটা জায়েযই মনে করেছিলেন এবং সাহাবা-ই কিরামের কেউ এতে কোন আপত্তিও করেন নি।
আর এই যে, হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আওফ (রাযিঃ) তাঁর সন্তানদেরকে যে দান করেছিলেন, তখন তাঁর কতিপয় সন্তানকে কিছু অতিরিক্ত দান করেছিলেন। অথচ কেউ এতে কোন আপত্তি উত্থাপন করেনি। এ সমস্ত জালীলুল-কদর সাহাবা-ই কিরাম এই যে কাজ করেছেন, এঁদের এ কাজকে কিভাবে কারাে পক্ষে বলা সম্ভব হবে যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর বক্তব্যের বিপরীত কাজ করেছেন ? সে কথা বলা (তা সম্ভব নয়) কিন্তু আমাদের মতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর বক্তব্যকে উত্তমতার ওপর প্রয়ােগ করতে হবে। যেমন তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সমান সমান দান করা তিনি মুস্তাহাব মনে করতেন এবং গােলামদের ওপর আযাদদেরকে তিনি অতিরিক্ত দান করতেন না (এটাও তিনি মুস্তাহাবই মনে করতেন)। এটা এজন্য নয় যে, পরিবারের কোন সদস্যকে বেশী দেয়া জায়েয নয় কিংবা আযাদকে গােলামের চাইতে অতিরিক্ত দেয়াও জায়েয নয়।
আমাদের মাযহাবের উলামা-ই কিরাম সন্তানকে ঐ দানের ব্যাপারে মতপার্থক্য করেছেন, যে দানের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর ঐ নির্দেশের অনুসরণ করতে হবে যা তিনি হযরত বশীর (রাযিঃ)-কে প্রদান করেছিলেন, বস্তুত সেটি কি ধরনের দান?
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, নারী-পুরুষ উভয়কে সমান সমান দান করতে হবে। মুহাম্মাদ ইব্নুল হসান বলেন, নারী-পুরুষকে তাদের মীরাস অনুসারে দান করতে হবে। অর্থাৎ পুরুষকে নারীর দ্বিগুণ প্রদান করবে।
আবু জাফর বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর বক্তব্য “তােমরা তাদের মধ্যে (সন্তানদের মধ্যে) সমান সমান বিতরণ কর যেমন তােমরা তাদের থেকে এ কথা পসন্দ কর যে, তারা তােমাদের সাথে সমান ব্যবহার করুক।” এটা এ কথারই প্রমাণ যে, তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলাে, নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে সমান বণ্টন করা। কারণ নারী হতেও ঠিক অনুরূপ নেকী ও সদ্ব্যবহার লাভ করা উদ্দেশ্য হয়, যেমন পুরুষ হতে উদ্দেশ্য হয়।
নবী(ﷺ) যখন পিতার নিকট হতে তার সন্তানের জন্য ঠিক ঐ আচরণ পাওয়ারই ইচ্ছা করেন যা তিনি সন্তানের নিকট হতে তার পিতার জন্য পাওয়ার ইচ্ছা করেন। আর তিনি নারীর থেকে ঐ আচরণই পাওয়ার ইচ্ছা করতেন, যা তিনি পুরুষ হতে পাওয়ার ইচ্ছা করতেন। সে ক্ষেত্রে পিতার পক্ষ হতে নারীর জন্য ঐ পরিমাণ পাওয়ারই ইচ্ছা করতেন যা তিনি পুরুষের জন্য পাওয়ার ইচ্ছা করতেন।
আর আবুয-যুহা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, বাশীর (রাযিঃ) যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে সাক্ষী বানাতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন : এই পুত্র ব্যতীত তােমার আরো কি সন্তান আছে ? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
তিনি বললেন : তাদের মধ্যে তুমি সমান ব্যবহার করনি কেন ? এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কিন্তু এ কথা জিজ্ঞেস করেন নি, এ ব্যতীত তােমার আরাে কি সন্তান আছে ? পুত্র, না কন্যা ? আর এ ধরনে প্রশ্ন কেবল এ কারণে করেছেন যে, পুত্র-কন্যা ও নরনারী উভয়ের হুকুম এ ব্যাপারে সমান। যদি এমনই না হতাে, তবে তাদের সমান সমান করার কথা কেবল এ কথা জানার পরই বলতেন যে, তার সন্তান সকলেই পুত্র সন্তান। আর তিনি যখন এ আলােচনা হতে বিরত রয়েছেন, তাতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তাঁর মতে এ ব্যাপারে ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) যে মত প্রকাশ করেছেন, তার চাইতে এ মতই আমাদের মতে উত্তম।
আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতেও এমন হাদীস বর্ণিত আছে যা আমাদের এ মত প্রমাণ করে :
এই তাে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে দান করেছিলেন যা তাঁর অন্যান্য সকল সন্তানকে দান করেন নি এবং এ কাজ তিনি জায়েয মনে করেছেন। আর হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-ও এটা জায়েযই মনে করেছিলেন এবং সাহাবা-ই কিরামের কেউ এতে কোন আপত্তিও করেন নি।
আর এই যে, হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আওফ (রাযিঃ) তাঁর সন্তানদেরকে যে দান করেছিলেন, তখন তাঁর কতিপয় সন্তানকে কিছু অতিরিক্ত দান করেছিলেন। অথচ কেউ এতে কোন আপত্তি উত্থাপন করেনি। এ সমস্ত জালীলুল-কদর সাহাবা-ই কিরাম এই যে কাজ করেছেন, এঁদের এ কাজকে কিভাবে কারাে পক্ষে বলা সম্ভব হবে যে, তাঁরা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর বক্তব্যের বিপরীত কাজ করেছেন ? সে কথা বলা (তা সম্ভব নয়) কিন্তু আমাদের মতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর বক্তব্যকে উত্তমতার ওপর প্রয়ােগ করতে হবে। যেমন তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সমান সমান দান করা তিনি মুস্তাহাব মনে করতেন এবং গােলামদের ওপর আযাদদেরকে তিনি অতিরিক্ত দান করতেন না (এটাও তিনি মুস্তাহাবই মনে করতেন)। এটা এজন্য নয় যে, পরিবারের কোন সদস্যকে বেশী দেয়া জায়েয নয় কিংবা আযাদকে গােলামের চাইতে অতিরিক্ত দেয়াও জায়েয নয়।
আমাদের মাযহাবের উলামা-ই কিরাম সন্তানকে ঐ দানের ব্যাপারে মতপার্থক্য করেছেন, যে দানের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর ঐ নির্দেশের অনুসরণ করতে হবে যা তিনি হযরত বশীর (রাযিঃ)-কে প্রদান করেছিলেন, বস্তুত সেটি কি ধরনের দান?
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, নারী-পুরুষ উভয়কে সমান সমান দান করতে হবে। মুহাম্মাদ ইব্নুল হসান বলেন, নারী-পুরুষকে তাদের মীরাস অনুসারে দান করতে হবে। অর্থাৎ পুরুষকে নারীর দ্বিগুণ প্রদান করবে।
আবু জাফর বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর বক্তব্য “তােমরা তাদের মধ্যে (সন্তানদের মধ্যে) সমান সমান বিতরণ কর যেমন তােমরা তাদের থেকে এ কথা পসন্দ কর যে, তারা তােমাদের সাথে সমান ব্যবহার করুক।” এটা এ কথারই প্রমাণ যে, তাঁর বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলাে, নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে সমান বণ্টন করা। কারণ নারী হতেও ঠিক অনুরূপ নেকী ও সদ্ব্যবহার লাভ করা উদ্দেশ্য হয়, যেমন পুরুষ হতে উদ্দেশ্য হয়।
নবী(ﷺ) যখন পিতার নিকট হতে তার সন্তানের জন্য ঠিক ঐ আচরণ পাওয়ারই ইচ্ছা করেন যা তিনি সন্তানের নিকট হতে তার পিতার জন্য পাওয়ার ইচ্ছা করেন। আর তিনি নারীর থেকে ঐ আচরণই পাওয়ার ইচ্ছা করতেন, যা তিনি পুরুষ হতে পাওয়ার ইচ্ছা করতেন। সে ক্ষেত্রে পিতার পক্ষ হতে নারীর জন্য ঐ পরিমাণ পাওয়ারই ইচ্ছা করতেন যা তিনি পুরুষের জন্য পাওয়ার ইচ্ছা করতেন।
আর আবুয-যুহা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, বাশীর (রাযিঃ) যখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -কে সাক্ষী বানাতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন : এই পুত্র ব্যতীত তােমার আরো কি সন্তান আছে ? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
তিনি বললেন : তাদের মধ্যে তুমি সমান ব্যবহার করনি কেন ? এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কিন্তু এ কথা জিজ্ঞেস করেন নি, এ ব্যতীত তােমার আরাে কি সন্তান আছে ? পুত্র, না কন্যা ? আর এ ধরনে প্রশ্ন কেবল এ কারণে করেছেন যে, পুত্র-কন্যা ও নরনারী উভয়ের হুকুম এ ব্যাপারে সমান। যদি এমনই না হতাে, তবে তাদের সমান সমান করার কথা কেবল এ কথা জানার পরই বলতেন যে, তার সন্তান সকলেই পুত্র সন্তান। আর তিনি যখন এ আলােচনা হতে বিরত রয়েছেন, তাতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তাঁর মতে এ ব্যাপারে ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) যে মত প্রকাশ করেছেন, তার চাইতে এ মতই আমাদের মতে উত্তম।
আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতেও এমন হাদীস বর্ণিত আছে যা আমাদের এ মত প্রমাণ করে :
5859 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، فَضَّلَ بَنِي أُمِّ كُلْثُومٍ بِنُحْلٍ قَسَمَهُ بَيْنَ وَلَدِهِ فَهَذَا أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ أَعْطَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا دُونَ سَائِرِ وَلَدِهِ وَرَأَى ذَلِكَ جَائِزًا وَرَأَتْهُ هِيَ كَذَلِكَ وَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِمَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ عَنْهُمْ. وَهَذَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ فَضَّلَ بَعْضَ أَوْلَادِهِ أَيْضًا فِيمَا أَعْطَاهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ مُنْكِرٌ. [ص:89] فَكَيْفَ يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْمِلَ فِعْلَ هَؤُلَاءِ عَلَى خِلَافِ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَلَكِنْ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَنَا فِيمَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا كَانَ عَلَى الِاسْتِحْبَابِ كَاسْتِحْبَابِهِ التَّسْوِيَةَ بَيْنَ أَهْلِهِ فِي الْعَطِيَّةِ. وَتَرْكُ التَّفْضِيلِ لِحُرِّهِمْ عَلَى مَمْلُوكِهِمْ لَيْسَ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ مَا لَا يَجُوزُ غَيْرُهُ وَلَكِنْ عَلَى اسْتِحْبَابِهِ لِذَلِكَ وَغَيْرِهِ فِي الْحُكْمِ جَائِزٌ كَجَوَازِهِ. وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُنَا فِي عَطِيَّةِ الْوَلَدِ الَّتِي يُتْبَعُ فِيهَا أَمْرُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَشِيرٍ كَيْفَ هِيَ؟ . فَقَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ: يُسَوِّي بَيْنَ الْأُنْثَى فِيهَا وَالذَّكَرِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ: بَلْ يَجْعَلُهَا بَيْنَهُمْ عَلَى قَدْرِ الْمَوَارِيثِ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سَوُّوا بَيْنَهُمْ فِي الْعَطِيَّةِ كَمَا تُحِبُّونَ أَنْ يُسَوُّوا لَكُمْ فِي الْبِرِّ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ أَرَادَ التَّسْوِيَةَ بَيْنَ الْإِنَاثِ وَالذُّكُورِ لِأَنَّهُ لَا يُرَادُ مِنَ الْبِنْتِ شَيْءٌ مِنَ الْبِرِّ إِلَّا الَّذِي يُرَادُ مِنَ الِابْنِ مِثْلُهُ. فَلَمَّا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ مِنَ الْأَبِ لِوَلَدِهِ مَا يُرِيدُ مِنْ وَلَدِهِ لَهُ وَكَانَ مَا يُرِيدُ مِنَ الْأُنْثَى مِنَ الْبِرِّ مِثْلَ مَا يُرِيدُ مِنَ الذَّكَرِ كَانَ مَا أَرَادَ مِنْهُ لَهُمْ مِنَ الْعَطِيَّةِ لِلْأُنْثَى مِثْلَ مَا أَرَادَ لِلذَّكَرِ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي الضُّحَى فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَكَ وَلَدٌ غَيْرُهُ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: أَلَا سَوَّيْتَ بَيْنَهُمْ؟ وَلَمْ يَقُلْ أَلَكَ وَلَدٌ غَيْرُهُ ذَكَرٌ أَوْ أُنْثَى، وَذَلِكَ لَا يَكُونُ وَإِلَّا وَحُكْمُ الْأُنْثَى فِيهِ كَحُكْمِ الذَّكَرِ وَلَوْلَا ذَلِكَ لَمَا ذَكَرَ التَّسْوِيَةَ إِلَّا بَعْدَ عِلْمِهِ أَنَّهُمْ ذُكُورٌ كُلُّهُمْ. فَلَمَّا أَمْسَكَ عَنِ الْبَحْثِ عَنْ ذَلِكَ ثَبَتَ اسْتِوَاءُ حُكْمِهِمْ فِي ذَلِكَ عِنْدَهُ فَهَذَا أَحْسَنُ عِنْدَنَا مِمَّا قَالَ مُحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮৬০
কোন পুত্রকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি তার অপর কোন পুত্রকে দান করে
৫৮৬০। আহমদ ইব্ন দাউদ ….. যুহরী হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাথে এক ব্যক্তি ছিল। ইতিমধ্যে তার এক পুত্র এসে উপস্থিত হলাে, সে তার পুত্রকে চুমু খেয়ে তার উরুর উপর বসাল। তার এক কন্যাও সেখানে এসে উপস্থিত হলাে। তখন সে তাকেও তার পার্শ্বে বসাল। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন : তুমি উভয়ের মধ্যে ইনসাফ করলে না কেন?
এখানে কি এ বিষয় পরিলক্ষিত হয় না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার নিকট হতে শুধু কন্যা ও পুত্র উভয়ের মধ্যে সমান আচরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, আর সে যেন একজনকে অন্যজনের চেয়ে বেশী প্রদান না করে এটা দানের ব্যাপারে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তারও প্রমাণ বহন করে।
এখানে কি এ বিষয় পরিলক্ষিত হয় না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তার নিকট হতে শুধু কন্যা ও পুত্র উভয়ের মধ্যে সমান আচরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, আর সে যেন একজনকে অন্যজনের চেয়ে বেশী প্রদান না করে এটা দানের ব্যাপারে আমরা যা উল্লেখ করেছি, তারও প্রমাণ বহন করে।
5860 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كَانَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَجَاءَ ابْنٌ لَهُ فَقَبَّلَهُ وَأَجْلَسَهُ عَلَى فَخِذِهِ ثُمَّ جَاءَتْ بِنْتٌ لَهُ فَأَجْلَسَهَا إِلَى جَنْبِهِ قَالَ: «فَهَلَّا عَدَلْتَ بَيْنَهُمَا» أَفَلَا يَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَرَادَ مِنْهُ التَّعْدِيلَ بَيْنَ الِابْنَةِ وَالِابْنِ وَأَنْ لَا يُفَضِّلَ أَحَدَهُمَا عَلَى الْآخَرِ فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي الْعَطِيَّةِ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান