শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮০৪
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮০৪। ইবরাহীম ইবন আবু দাউদ ….. হানাশ আস-সানআনী হযরত ফুযালা ইবন উবায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, খায়বর বিজয়ের দিনে আমি একটি হার লাভ করলাম, যার মধ্যে স্বর্ন ও পুতি ছিলো। আমি সেটি বিক্রয় করার ইচ্ছা করলাম এবং নবী ﷺ এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, প্রথমে তুমি (স্বর্ন ও পুঁতি) পৃথক করো। তারপর যেমন ইচ্ছা বিক্রয় করো।
হাদীসের রাবী আমর ইবন আওন আবু উসমান আল-ওয়াসিতী একজন বিশ্বস্ত রাবী।
হাদীসের রাবী আমর ইবন আওন আবু উসমান আল-ওয়াসিতী একজন বিশ্বস্ত রাবী।
بَابُ الْقِلَادَةُ تُبَاعُ بِذَهَبٍ وَفِيهَا خَرَزٌ وَذَهَبٌ
5804 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ الْوَاسِطِيُّ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , عَنْ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ , عَنْ حَنَشٍ الصَّنْعَانِيِّ , عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ: أَصَبْتُ يَوْمَ خَيْبَرَ قِلَادَةً فِيهَا ذَهَبٌ وَخَرَزٌ , فَأَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهَا. [ص:72] فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ , فَقَالَ: «افْصِلْ بَعْضَهَا عَنْ بَعْضٍ , ثُمَّ بِعْهَا كَيْفَ شِئْتَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮০৫
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮০৫। রাবী' আল-মুয়াযযিন ….. হানাশ আস-সানআনী রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবী হযরত ফুযাল ইবন উবায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, খায়বর বিজয়ের দিনে আমি একটি হার বারো দীনারে ক্রয় করলাম। তার মধ্যে ছিলো, স্বর্ন ও পুঁতি। আমি স্বর্ন ও পুঁতি পৃথক করলাম। দেখা গেলো, স্বর্নের পরিমান বারো দীনারের চেয়ে বেশী। আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট আলোচনা করলে তিনি বললেন : হার বিক্রয় করা যাবে না যাবত না পৃথক করা হবে।
হাদীসের রাবী খালিদ ইবন আবী ইমরান, তিনি আফ্রিকার কাযী ছিলেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী। আর হানাশ ইবন আব্দুল্লাহও একজন বিশ্বস্ত রাবী। হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম নাসাঈ।
হাদীসের রাবী খালিদ ইবন আবী ইমরান, তিনি আফ্রিকার কাযী ছিলেন। তিনি একজন বিশ্বস্ত রাবী। আর হানাশ ইবন আব্দুল্লাহও একজন বিশ্বস্ত রাবী। হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম নাসাঈ।
5805 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو شُجَاعٍ سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِمْيَرِيُّ , عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ صَاحِبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اشْتَرَيْتُ يَوْمَ خَيْبَرَ قِلَادَةً. فِيهَا ذَهَبٌ وَخَرَزٌ , بِاثْنَيْ عَشَرَ دِينَارًا , فَفَصَلْتُهَا فَإِذَا الذَّهَبُ أَكْثَرُ مِنِ اثْنَيْ عَشَرَ دِينَارًا. فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا تُبَاعُ حَتَّى تَفْصِلَهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮০৬
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮০৬। ফাহদ …. হানাশ, হযরত ফুযালা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, খায়বর বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট একটি হার আনা হলো, যার মধ্যে স্বর্নের সাথে পুঁতি জড়ানো ছিলো। এক ব্যক্তি সেটা সাত কিংবা নয় দীনার দ্বারা ক্রয় করেছিল। অতঃপর লোকটি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট তার আলোচনা করল। তখন তিনি বললেন : ক্রয় করতে পারবে না যাবত না তুমি দুটো পৃথক করবে। লোকটি বললো : আমি তো পাথর ক্রয় করার ইচ্ছা করেছি। কিন্তু তারপরও তিনি বললেন : তুমি ক্রয় করতে পারবে না, যাবত না পৃথক করবে। অতঃপর সে সেটি ফিরিয়ে দিলো।
হাদীসের রাবী ফুযালা ইবন উবায়দ (রাযিঃ) উহুদ যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন। হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন।
আলোচনা : আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে একদল উলামায়ে কিরাম বলেন, হার যখন স্বর্ন ও পুঁতি বিজড়িত হয়, তখন তা স্বর্নের বিনিময়ে ক্রয় করা জায়েয নয়। কারন যে স্বর্ন দ্বারা ক্রয় করা হচ্ছে, ক্রয়কালীন সময় তা পুঁতি ও স্বর্নের উপর ভাগ করা হয়। অতএব (হারের) স্বর্ন ও পুঁতি দুটোই مبيع (ক্রয় করা বস্তু)-এ পরিনত হয়। যার অংশে যতটুকু স্বর্ন এলো, তার বিনিময়ে। যেমন দুটি বস্তু স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা হলে উক্ত স্বর্ন হতে যতটুকু অংশ পড়লো। তার বিনিময়ে সেটা مبيع (ক্রয় করা বস্তু)-তে পরিনত হয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, সালিম ইবন আব্দুল্লাহ, কাসেম ইবন মুহাম্মাদ, ইবনুল মুবারক, ইমাম শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক ও আবু সাওর (রাহঃ)।
তারা বলেন, হারের মধ্যে যে স্বর্ন রয়েছে তার অংশে স্বর্নটুকু আছে তো অনুমানের ভিত্তিতে আছে, অথচ স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়েয আছে কেবল তখন, যখন উভয় স্বর্ন সমান সমান হবে। সুতরাং বর্তমান অবস্থায় হারের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়- যতক্ষন না উভয় স্বর্নের সমতা জানা যাবে। তা জানা যাবে কেবল হার হতে স্বর্ন পৃথক করে তার ওজন অবগত হলে। আর যেহেতু হার হতে স্বর্ন পৃথক করার পূর্বে তার ওজন সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় না, এ কারনেই তারা বলেন, হার হতে স্বর্ন পৃথক করার পূর্বে এ হার বিক্রয় করাও জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে যে সব হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি এবং যে যুক্তি আমরা পেশ করেছি, তার দাবিও এটাই।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এ মতের বিপরীতে বলেন: হারটি যদি এমন হয় যে, তার স্বর্ন পৃথক করে ওজন করা ছাড়া জানা যায় যে, মূল্যরূপে নির্ধারিত স্বর্নের সমান না বেশকম, তাহলে উক্ত হার স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়েয হবে না। অবশ্য পৃথক করার পর যদি জানা যায় যে, হারের স্বর্ন মূল্যের চেয়ে কম, তবে সেক্ষেত্রে জায়েয হবে। আর হার যদি এমন হয় যে, পৃথক করা ব্যতীত একথা জানা আছে যে, হারের স্বর্ন কতটুকু এবং একথাও জানা আছে যে, হারের স্বর্নের পরিমান ঐ স্বর্নের চায় কম, যার বিনিময়ে হার বিক্রয় করা হয়েছে। অথবা হারের স্বর্নের পূর্ণ ওজন তো জানা নেই, তবে এ কথা জানা আছে যে, স্বর্নের পরিমান মূল্যের স্বর্নের চেয়ে কম, যার বিনিময়ে হার বিক্রয় করা হয়েছে, তবে বিক্রয় করা জায়েয আছে। আর এক্ষেত্রে হারের মধ্যে যে পরিমান স্বর্ন আছে, ঐ মূল্যের ঐ পরিমাণ স্বর্নের বিনিময়ে তা বিক্রয় হবে। আর ঐ মূল্যে এর অবশিষ্ট স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় হবে হারের পুতি। আর এক্ষেত্রে ঐ মূল্যের উভয়ের মূল্যের ওপর ভাগ করার প্রয়োজন হবে না। যেমন একই মূল্য দ্বারা عروض (মাল-সামান) ক্রয় করলে قيمت এর ওপর ভাগ করার প্রয়োজন হয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, উলামা-ই কিরামের এ দলটি দ্বারা শা'বী, হাম্মাদ ইবন আবু সুলায়মান, সাওরী, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
আর এবিষয়ের প্রমান হলো, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়েয হয়নি, যাবত না مبيع ও ثمن উভয়টা সমান সমান ওজনের হয়। আর উলামা-ই কিরামকে আমরা দেখেছি যে তারা এমন দুটি দীনার যার একটি নির্ভেজাল ও উত্তম, অপরটি ভেজাল, অপর দু'টি নির্ভেজাল ও উত্তম দীনারের বিনিময়ে অথবা সমপরিমাণ ওজনের সীলমোহরশূন্য নির্ভেজাল স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা যে জায়েয, এব্যপারে কোন মতপার্থক্য করেন না। সোনা ও রূপা ব্যতীত অন্যান্য মাল-সামান যখন একই ثمن দ্বারা এক চুক্তিতেই ক্রয় করা হয়, তখন যেমন উক্ত ثمن প্রত্যেকটি বস্তুর বাজার মূল্যের উপর ভাগ করা হয়, এক্ষেত্রেও যদি নির্ভেজাল ও ভেজাল দীনারের মূল্যের উপর ভাগ করা হতো তবে এ ক্রয়-বিক্রয় অবশ্যই ফাসিদ হতো। কারণ স্বর্ন ও ভেজাল দীনারের মূল্য অপর দীনার মূল্য অপেক্ষা কম, সেক্ষেত্রে তার অংশে তার ওজনের চেয়ে কম স্বর্ন পড়বে। আর যখন উল্লেখিত অবস্থায় দীনারের ক্রয় জায়েয হওয়ার ব্যপারে সকলে একমত পোষণ করেন, আর রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণিত হাদীস দ্বারা একথা প্রমানিত যে, সীলমোহর করা স্বর্ন ও সীলমোহরশূন্য স্বর্ন দুটোই সমান, তখন এ কথা প্রমানিত হয় যে, যখন স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন ক্রয়-বিক্রয় হয়, তখন স্বর্নের হুকুম এই যে, তার ثمن বাজার মূল্যের উপর ভাগ করা হবে না। এটা কেবল স্বর্নের সাথে সম্পৃক্ত। একই চুক্তিতে ক্রয় করা অন্যান্য সব মাল-সামানের হুকুম এর থেকে ভিন্ন। আলোচ্য মাসআলায় ভেজাল দীনারের অংশেও তার সমওজনের ثمن পড়বে। তার যে মূল্য, সে মূল্যের হিসেবে ثمن তার অংশে পড়বে না। এই নযর ও যুক্তি এই বক্তব্যের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে।
তবে হযরত ফুযালা (রাহঃ) হতে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের নিকট বিভ্রান্তিপূর্ন। কতিপয় মুহাদ্দিস তো বর্ণনা করেছেন ঐরূপ, যেমন অনুচ্ছেদে শুরুতে আমরা উল্লেখ করেছি। আর অন্যান্য মুহাদ্দিস ভিন্নরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদীসের রাবী ফুযালা ইবন উবায়দ (রাযিঃ) উহুদ যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন। হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন।
আলোচনা : আবু জাফর (রাহঃ) বলেন, এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে একদল উলামায়ে কিরাম বলেন, হার যখন স্বর্ন ও পুঁতি বিজড়িত হয়, তখন তা স্বর্নের বিনিময়ে ক্রয় করা জায়েয নয়। কারন যে স্বর্ন দ্বারা ক্রয় করা হচ্ছে, ক্রয়কালীন সময় তা পুঁতি ও স্বর্নের উপর ভাগ করা হয়। অতএব (হারের) স্বর্ন ও পুঁতি দুটোই مبيع (ক্রয় করা বস্তু)-এ পরিনত হয়। যার অংশে যতটুকু স্বর্ন এলো, তার বিনিময়ে। যেমন দুটি বস্তু স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা হলে উক্ত স্বর্ন হতে যতটুকু অংশ পড়লো। তার বিনিময়ে সেটা مبيع (ক্রয় করা বস্তু)-তে পরিনত হয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, সালিম ইবন আব্দুল্লাহ, কাসেম ইবন মুহাম্মাদ, ইবনুল মুবারক, ইমাম শাফিঈ, আহমদ, ইসহাক ও আবু সাওর (রাহঃ)।
তারা বলেন, হারের মধ্যে যে স্বর্ন রয়েছে তার অংশে স্বর্নটুকু আছে তো অনুমানের ভিত্তিতে আছে, অথচ স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়েয আছে কেবল তখন, যখন উভয় স্বর্ন সমান সমান হবে। সুতরাং বর্তমান অবস্থায় হারের ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়- যতক্ষন না উভয় স্বর্নের সমতা জানা যাবে। তা জানা যাবে কেবল হার হতে স্বর্ন পৃথক করে তার ওজন অবগত হলে। আর যেহেতু হার হতে স্বর্ন পৃথক করার পূর্বে তার ওজন সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় না, এ কারনেই তারা বলেন, হার হতে স্বর্ন পৃথক করার পূর্বে এ হার বিক্রয় করাও জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে যে সব হাদীস আমরা বর্ণনা করেছি এবং যে যুক্তি আমরা পেশ করেছি, তার দাবিও এটাই।
অপরপক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এ মতের বিপরীতে বলেন: হারটি যদি এমন হয় যে, তার স্বর্ন পৃথক করে ওজন করা ছাড়া জানা যায় যে, মূল্যরূপে নির্ধারিত স্বর্নের সমান না বেশকম, তাহলে উক্ত হার স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়েয হবে না। অবশ্য পৃথক করার পর যদি জানা যায় যে, হারের স্বর্ন মূল্যের চেয়ে কম, তবে সেক্ষেত্রে জায়েয হবে। আর হার যদি এমন হয় যে, পৃথক করা ব্যতীত একথা জানা আছে যে, হারের স্বর্ন কতটুকু এবং একথাও জানা আছে যে, হারের স্বর্নের পরিমান ঐ স্বর্নের চায় কম, যার বিনিময়ে হার বিক্রয় করা হয়েছে। অথবা হারের স্বর্নের পূর্ণ ওজন তো জানা নেই, তবে এ কথা জানা আছে যে, স্বর্নের পরিমান মূল্যের স্বর্নের চেয়ে কম, যার বিনিময়ে হার বিক্রয় করা হয়েছে, তবে বিক্রয় করা জায়েয আছে। আর এক্ষেত্রে হারের মধ্যে যে পরিমান স্বর্ন আছে, ঐ মূল্যের ঐ পরিমাণ স্বর্নের বিনিময়ে তা বিক্রয় হবে। আর ঐ মূল্যে এর অবশিষ্ট স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় হবে হারের পুতি। আর এক্ষেত্রে ঐ মূল্যের উভয়ের মূল্যের ওপর ভাগ করার প্রয়োজন হবে না। যেমন একই মূল্য দ্বারা عروض (মাল-সামান) ক্রয় করলে قيمت এর ওপর ভাগ করার প্রয়োজন হয়।
আল্লামা আইনী (রাহঃ) বলেন, উলামা-ই কিরামের এ দলটি দ্বারা শা'বী, হাম্মাদ ইবন আবু সুলায়মান, সাওরী, ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) উদ্দেশ্য।
আর এবিষয়ের প্রমান হলো, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা জায়েয হয়নি, যাবত না مبيع ও ثمن উভয়টা সমান সমান ওজনের হয়। আর উলামা-ই কিরামকে আমরা দেখেছি যে তারা এমন দুটি দীনার যার একটি নির্ভেজাল ও উত্তম, অপরটি ভেজাল, অপর দু'টি নির্ভেজাল ও উত্তম দীনারের বিনিময়ে অথবা সমপরিমাণ ওজনের সীলমোহরশূন্য নির্ভেজাল স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা যে জায়েয, এব্যপারে কোন মতপার্থক্য করেন না। সোনা ও রূপা ব্যতীত অন্যান্য মাল-সামান যখন একই ثمن দ্বারা এক চুক্তিতেই ক্রয় করা হয়, তখন যেমন উক্ত ثمن প্রত্যেকটি বস্তুর বাজার মূল্যের উপর ভাগ করা হয়, এক্ষেত্রেও যদি নির্ভেজাল ও ভেজাল দীনারের মূল্যের উপর ভাগ করা হতো তবে এ ক্রয়-বিক্রয় অবশ্যই ফাসিদ হতো। কারণ স্বর্ন ও ভেজাল দীনারের মূল্য অপর দীনার মূল্য অপেক্ষা কম, সেক্ষেত্রে তার অংশে তার ওজনের চেয়ে কম স্বর্ন পড়বে। আর যখন উল্লেখিত অবস্থায় দীনারের ক্রয় জায়েয হওয়ার ব্যপারে সকলে একমত পোষণ করেন, আর রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণিত হাদীস দ্বারা একথা প্রমানিত যে, সীলমোহর করা স্বর্ন ও সীলমোহরশূন্য স্বর্ন দুটোই সমান, তখন এ কথা প্রমানিত হয় যে, যখন স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন ক্রয়-বিক্রয় হয়, তখন স্বর্নের হুকুম এই যে, তার ثمن বাজার মূল্যের উপর ভাগ করা হবে না। এটা কেবল স্বর্নের সাথে সম্পৃক্ত। একই চুক্তিতে ক্রয় করা অন্যান্য সব মাল-সামানের হুকুম এর থেকে ভিন্ন। আলোচ্য মাসআলায় ভেজাল দীনারের অংশেও তার সমওজনের ثمن পড়বে। তার যে মূল্য, সে মূল্যের হিসেবে ثمن তার অংশে পড়বে না। এই নযর ও যুক্তি এই বক্তব্যের পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করে।
তবে হযরত ফুযালা (রাহঃ) হতে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের নিকট বিভ্রান্তিপূর্ন। কতিপয় মুহাদ্দিস তো বর্ণনা করেছেন ঐরূপ, যেমন অনুচ্ছেদে শুরুতে আমরা উল্লেখ করেছি। আর অন্যান্য মুহাদ্দিস ভিন্নরূপ বর্ণনা করেছেন।
5806 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: سَمِعْتُ خَالِدَ بْنَ أَبِي عِمْرَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ حَنَشٍ، عَنْ فَضَالَةَ، قَالَ: أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ بِقِلَادَةٍ , فِيهَا خَرَزٌ مُعَلَّقَةٌ بِذَهَبٍ , ابْتَاعَهَا رَجُلٌ بِسَبْعٍ أَوْ بِتِسْعٍ. فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: «لَا , حَتَّى تُمَيِّزَ مَا بَيْنَهُمَا» . فَقَالَ: إِنَّمَا أَرَدْتُ الْحِجَارَةَ فَقَالَ: «لَا , حَتَّى تُمَيِّزَ بَيْنَهُمَا» , فَرَدَّهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْقِلَادَةَ إِذَا كَانَتْ كَمَا ذَكَرْنَا لَمْ يَجُزْ أَنْ تُبَاعَ بِالذَّهَبِ , لِأَنَّ ذَلِكَ الثَّمَنَ , وَهُوَ ذَهَبٌ , يُقْسَمُ عَلَى قِيمَةِ الْخَرَزِ , وَعَلَى الذَّهَبِ , فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَبِيعًا , بِمَا أَصَابَهُ مِنَ الثَّمَنِ , كَالْعَرْضَيْنِ يُبَاعَانِ بِذَهَبٍ , فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَبِيعٌ بِمَا أَصَابَ قِيمَتَهُ , مِنْ ذَلِكَ الذَّهَبِ. قَالُوا: فَلَمَّا كَانَ مَا يُصِيبُ الذَّهَبُ , الَّذِي فِي الْقِلَادَةِ , إِنَّمَا يُصِيبُهُ بِالْخَرَزِ , وَالظَّنِّ , وَكَانَ الذَّهَبُ لَا يَجُوزُ أَنْ يُبَاعَ بِالذَّهَبِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ , لَمْ يَجُزِ الْبَيْعُ إِلَّا أَنْ يَعْلَمَ أَنَّ ثَمَنَ الذَّهَبِ الَّذِي فِي الْقِلَادَةِ مِثْلُ وَزْنِهِ مِنَ الذَّهَبِ , الَّذِي اشْتُرِيَتْ بِهِ الْقِلَادَةُ. وَلَا يَعْلَمُ بِقِسْمَةِ الثَّمَنِ , إِنَّمَا يَعْلَمُ بِأَنْ يَكُونَ عَلَى حِدَةٍ , بَعْدَ الْوُقُوفِ عَلَى وَزْنِهِ , وَذَلِكَ غَيْرُ مَوْقُوفٍ عَلَيْهِ إِلَّا بَعْدَ أَنْ يُفْصَلَ مِنَ الْقِلَادَةِ. قَالُوا: فَلَا يَجُوزُ بَيْعُ هَذِهِ الْقِلَادَةِ بِالذَّهَبِ , إِلَّا بَعْدَ أَنْ يُفْصَلَ ذَهَبَهَا مِنْهَا , لِمَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِمَا احْتَجَجْنَا بِهِ مِنَ النَّظَرِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: إِنْ كَانَتْ هَذِهِ الْقِلَادَةُ , لَا يُعْلَمُ مِقْدَارُ ذَهَبِهَا , أَهُوَ مِثْلُ وَزْنِ جَمِيعِ الثَّمَنِ , أَوْ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ , أَوْ أَكْثَرُ , إِلَّا بِأَنْ تُفْصَلَ الْقِلَادَةُ , فَيُوزَنُ ذَلِكَ الذَّهَبُ الَّذِي فِيهَا , فَيُوقَفُ عَلَى زِنَتِهِ لَمْ يَجُزْ بَيْعُهَا بِذَهَبٍ إِلَّا بَعْدَ أَنْ يُفْصَلَ ذَهَبُهَا مِنْهَا , فَيُعْلَمَ أَنَّهُ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ الثَّمَنِ. وَإِنْ كَانَتِ الْقِلَادَةُ يُحِيطُ الْعِلْمُ بِوَزْنِ مَا فِيهَا مِنَ الذَّهَبِ , وَيُعْلَمُ أَنَّهُ أَقَلُّ مِنَ الذَّهَبِ الَّذِي بِيعَتْ بِهِ أَوْ لَا يُحِيطُ الْعِلْمُ بِوَزْنِهِ إِلَّا أَنَّهُ يَعْلَمُ فِي الْحَقِيقَةِ أَقَلُّ مِنَ الثَّمَنِ الَّذِي بِيعَتْ بِهِ الْقِلَادَةُ , وَهُوَ ذَهَبٌ , فَالْبَيْعُ جَائِزٌ. [ص:73] وَذَلِكَ أَنَّهُ يَكُونُ ذَهَبُهَا , بِمِثْلِ وَزْنِهِ مِنَ الذَّهَبِ الثَّمَنَ , وَيَكُونُ مَا فِيهَا مِنَ الْخَرَزِ , بِمَا بَقِيَ مِنَ الثَّمَنِ , وَلَا يُحْتَاجُ إِلَيْهِ فِي الْعُرُوضِ الْمَبِيعَةِ بِالثَّمَنِ الْوَاحِدِ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ , أَنَّا رَأَيْنَا الذَّهَبَ , لَا يَجُوزُ أَنْ يُبَاعَ بِذَهَبٍ مِثْلًا بِمِثْلٍ , وَرَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي دِينَارَيْنِ , أَحَدُهُمَا فِي الْجَوْدَةِ أَفْضَلُ مِنَ الْآخَرِ , بِيعَا , صَفْقَةً وَاحِدَةً , بِدِينَارَيْنِ مُتَسَاوِيَيْنِ فِي الْجَوْدَةِ , أَوْ بِذَهَبٍ غَيْرِ مَضْرُوبٍ جَيِّدٍ , أَنَّ الْبَيْعَ جَائِزٌ. فَلَوْ كَانَ ذَلِكَ مَرْدُودٌ إِلَى حُكْمِ الْقِيمَةِ , كَمَا تُرَدُّ الْعُرُوضُ مِنْ غَيْرِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ , إِذَا بِيعَتْ بِثَمَنٍ وَاحِدٍ , إِذًا لَفَسَدَ الْبَيْعُ , لِأَنَّ الدِّينَارَ الرَّدِيءَ , يُصِيبُهُ أَقَلُّ مِنْ وَزْنِهِ إِذَا كَانَتْ قِيمَتُهُ أَقَلَّ مِنْ قِيمَةِ الدِّينَارِ الْآخَرِ. فَلَمَّا أُجْمِعَ عَلَى صِحَّةِ ذَلِكَ الْبَيْعِ , وَكَانَتِ السُّنَّةُ قَدْ ثَبَتَتْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّ الذَّهَبَ , تِبْرَهُ وَعَيْنَهُ سَوَاءٌ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ الذَّهَبِ فِي الْبَيْعِ إِذَا كَانَ بِذَهَبٍ عَلَى غَيْرِ الْقِسْمَةِ عَلَى الْقِيَمِ , وَأَنَّهُ مَخْصُوصٌ فِي ذَلِكَ بِحُكْمٍ , دُونَ حُكْمِ سَائِرِ الْعُرُوضِ الْمَبِيعَةِ صَفْقَةً وَاحِدَةً , وَإِنَّمَا يُصِيبُهُ مِنَ الثَّمَنِ وَزْنُهُ , لَا مَا يُصِيبُ قِيمَتَهُ. فَهَذَا هُوَ مَا يَشْهَدُ لِهَذَا الْقَوْلِ مِنَ النَّظَرِ. وَقَدِ اضْطَرَبَ عَلَيْنَا حَدِيثُ فَضَالَةَ , الَّذِي ذَكَرْنَا , فَرَوَاهُ قَوْمٌ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , وَرَوَاهُ آخَرُونَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৮০৯
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮০৭-০৯। ইউনুস ….. "আলী ইবন রাবাহ লাখমী বলেন, আমি ফুযালা ইবন উবায়দ (রাযিঃ) আনসারীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ খায়বরে ছিলেন, এমন সময় তার নিকট একটি হার উপস্থিত করা হলো, যার মধ্যে স্বর্ন ও পুঁতি ছিল। হারটি ছিল গনীমতের মালের অংশ, যা তখন বিক্রয় করা হচ্ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ হারটির স্বর্ন পৃথক করে ফেলার নির্দেশ দিলেন। স্বর্ন পৃথক করা হলো। অতঃপর তিনি বললেন: স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান ওজন করে বিক্রয় করো।
হাদীসের রাবী আবু হানী, তিনিই হলেন হুমায়দ ইবন খাওলানী। তার হাদীস বর্ণনা করায় কোন অসুবিধা নেই। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
রাবী' আল-মুয়াযযিন …… হুমায়দ ইবন হানী হযরত ফুযালা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তার বর্ণনায় খায়বরের উল্লেখ নেই।
বকর ইবন ইদরীস ….. হায়ওয়াহ আবু হানী হতে বর্ণনা করেন, তিনি নিজস্ব সমদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল-মুকরী হলেন, আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ আবু আব্দুর রহমান আল-মক্কী, তিনি এক বিশ্বাস রাবী। প্রথম হাদীসে যা বর্ণনা করা হয়েছে, এ হাদীসে তার থেকে ভিন্ন বর্ণনা পেশ করা হয়েছে। এ হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে হার হতে স্বর্ন খুলেছেন এবং তা পৃথক করে রেখেছেন। তারপর তিনি বলেছেন, স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান ওজন করে বিক্রয় করবে। আর এরূপ তিনি করেছেন এ কারনে, যেন লোকেরা জানতে পারে যে, স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে কিভাবে বিক্রয় করতে হবে এবং তার হুকুম কি? হার হতে স্বর্নকে পৃথক করার মাঝে মুসলমানদের অন্য কোন কল্যান থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে তাদের কল্যান রয়েছে, তিনি তাই-ই করেছেন। তিনি হার হতে স্বর্ন এ কারনে পৃথক করেননি যে, স্বর্ন পৃথক করার পূর্বে অন্য বস্তুর সাথে একই চুক্তিতে তা বিক্রয় করা জায়েয নেই। আর এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অন্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার বিপরীত। অন্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা হলো, لاتباع حتي تفصل অর্থাৎ হার হতে যাবত না স্বর্ন পৃথক করা হবে, তা বিক্রয় করা যাবে না।
অন্যান মুহাদ্দিসগন এর বিপরীত বর্ণনাও করেছেন।
হাদীসের রাবী আবু হানী, তিনিই হলেন হুমায়দ ইবন খাওলানী। তার হাদীস বর্ণনা করায় কোন অসুবিধা নেই। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
রাবী' আল-মুয়াযযিন …… হুমায়দ ইবন হানী হযরত ফুযালা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তার বর্ণনায় খায়বরের উল্লেখ নেই।
বকর ইবন ইদরীস ….. হায়ওয়াহ আবু হানী হতে বর্ণনা করেন, তিনি নিজস্ব সমদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল-মুকরী হলেন, আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ আবু আব্দুর রহমান আল-মক্কী, তিনি এক বিশ্বাস রাবী। প্রথম হাদীসে যা বর্ণনা করা হয়েছে, এ হাদীসে তার থেকে ভিন্ন বর্ণনা পেশ করা হয়েছে। এ হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে হার হতে স্বর্ন খুলেছেন এবং তা পৃথক করে রেখেছেন। তারপর তিনি বলেছেন, স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান ওজন করে বিক্রয় করবে। আর এরূপ তিনি করেছেন এ কারনে, যেন লোকেরা জানতে পারে যে, স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে কিভাবে বিক্রয় করতে হবে এবং তার হুকুম কি? হার হতে স্বর্নকে পৃথক করার মাঝে মুসলমানদের অন্য কোন কল্যান থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে তাদের কল্যান রয়েছে, তিনি তাই-ই করেছেন। তিনি হার হতে স্বর্ন এ কারনে পৃথক করেননি যে, স্বর্ন পৃথক করার পূর্বে অন্য বস্তুর সাথে একই চুক্তিতে তা বিক্রয় করা জায়েয নেই। আর এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অন্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার বিপরীত। অন্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা হলো, لاتباع حتي تفصل অর্থাৎ হার হতে যাবত না স্বর্ন পৃথক করা হবে, তা বিক্রয় করা যাবে না।
অন্যান মুহাদ্দিসগন এর বিপরীত বর্ণনাও করেছেন।
09 - 5807 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي , أَبُو هَانِئٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيَّ بْنَ رَبَاحٍ اللَّخْمِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيَّ، يَقُولُ: أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِخَيْبَرَ بِقِلَادَةٍ فِيهَا ذَهَبٌ وَخَرَزٌ , وَهِيَ مِنَ الْمَغَانِمِ تُبَاعُ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالذَّهَبِ الَّذِي فِي الْقِلَادَةِ , فَنُزِعَ وَحْدَهُ , ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ , وَزْنًا بِوَزْنٍ» ،
حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ , عَنْ فَضَالَةَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ بِخَيْبَرَ [ص:74]
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: ثنا الْمُقْرِئُ قَالَ: ثنا حَيْوَةُ عَنْ أَبِي هَانِئٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , غَيْرُ مَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. فِي هَذَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَعَ الذَّهَبَ , فَجَعَلَهُ عَلَى حِدَةٍ , ثُمَّ قَالَ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ , وَزْنًا بِوَزْنٍ لِيَعْلَمَ النَّاسُ كَيْفَ حُكْمُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَ الذَّهَبَ لِأَنَّ صَلَاحَ الْمُسْلِمِينَ كَانَ فِي ذَلِكَ , فَفَعَلَ مَا فِيهِ صَلَاحُهُمْ , لَا لِأَنَّ بَيْعَ الذَّهَبِ قَبْلَ أَنْ يُنْزَعَ , مَعَ غَيْرِهِ , فِي صَفْقَةٍ وَاحِدَةٍ , غَيْرُ جَائِزٍ. وَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَى مَنْ رَوَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تُبَاعُ حَتَّى تُفْصَلَ. وَقَدْ رَوَاهُ آخَرُونَ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ أَيْضًا.
حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , قَالَ: ثنا حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ , عَنْ فَضَالَةَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ بِخَيْبَرَ [ص:74]
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: ثنا الْمُقْرِئُ قَالَ: ثنا حَيْوَةُ عَنْ أَبِي هَانِئٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , غَيْرُ مَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. فِي هَذَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَعَ الذَّهَبَ , فَجَعَلَهُ عَلَى حِدَةٍ , ثُمَّ قَالَ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ , وَزْنًا بِوَزْنٍ لِيَعْلَمَ النَّاسُ كَيْفَ حُكْمُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَ الذَّهَبَ لِأَنَّ صَلَاحَ الْمُسْلِمِينَ كَانَ فِي ذَلِكَ , فَفَعَلَ مَا فِيهِ صَلَاحُهُمْ , لَا لِأَنَّ بَيْعَ الذَّهَبِ قَبْلَ أَنْ يُنْزَعَ , مَعَ غَيْرِهِ , فِي صَفْقَةٍ وَاحِدَةٍ , غَيْرُ جَائِزٍ. وَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَى مَنْ رَوَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تُبَاعُ حَتَّى تُفْصَلَ. وَقَدْ رَوَاهُ آخَرُونَ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ أَيْضًا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮০৮
empty
৫৮০৮।
5808 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮০৯
empty
৫৮০৯।
5809 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১০
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১০। রাবী' আল-মুয়াযযিন ….. হানাশ ইবন আব্দুল্লাহ সানআনী বলেন, একবার তিনি ফুযালা ইবন উবায়দ আনসারী'র সাথে সামুদ্রিক সফরে ছিলেন। হানাশ বলেন, আমি একটি হার ক্রয় করলাম যার মধ্যে স্বর্ন, ইয়াকূত, যবরজাদ পাথর ছিল। হারটি নিয়ে আমি ফুযালা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তার নিকট এ সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি বললেন : স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান ওজন ব্যতীত ক্রয় করো না। একবার আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে খায়বরে ছিলাম। তখন আমি সাত দীনারের বিনিময়ে একটি হার ক্রয় করলাম, যার মধ্যে স্বর্ন ও মূল্যবান পাথর ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট হারটি ক্রয় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন: স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান ব্যতীত গ্রহন করো না।
এ হাদীসে পূর্ববর্তী সব হাদীস হতে পৃথক বিষয় রয়েছে। হযরত ফুযালা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে যা বর্ণনা করেছে, তা হলো তিনি স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয়ের কথা বলেছেন। যে হারে স্বর্নের সাথে অন্য কিছু জড়িত থাকে, তা যে স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা ফাসিদ হবে, এ হাদীসে তা উল্লেখ করা হয় নি। এটা পূর্বে বর্ণিত হাদীস সমূহের বিপরীত।
অন্যান্য মুহাদ্দিসগনও এর থেকে ভিন্নতর বর্ণনা করেছেন।
এ হাদীসে পূর্ববর্তী সব হাদীস হতে পৃথক বিষয় রয়েছে। হযরত ফুযালা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে যা বর্ণনা করেছে, তা হলো তিনি স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয়ের কথা বলেছেন। যে হারে স্বর্নের সাথে অন্য কিছু জড়িত থাকে, তা যে স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা ফাসিদ হবে, এ হাদীসে তা উল্লেখ করা হয় নি। এটা পূর্বে বর্ণিত হাদীস সমূহের বিপরীত।
অন্যান্য মুহাদ্দিসগনও এর থেকে ভিন্নতর বর্ণনা করেছেন।
5810 - فَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: حَدَّثَنِي حَنَشُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الصَّنْعَانِيُّ , أَنَّهُ كَانَ فِي الْبَحْرِ , مَعَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ حَنَشٌ: فَاشْتَرَيْتُ قِلَادَةً فِيهَا تِبْرٌ وَيَاقُوتٌ , وَزَبَرْجَدٌ فَأَتَيْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ , فَذَكَرْتُ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَا تَأْخُذِ التِّبْرَ بِالتِّبْرِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ , فَإِنِّي كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَيْبَرَ , فَاشْتَرَيْتُ قِلَادَةً بِسَبْعَةِ دَنَانِيرَ , فِيهَا تِبْرٌ وَجَوْهَرٌ , فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهَا , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَأْخُذِ التِّبْرَ بِالذَّهَبِ , إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , غَيْرُ مَا تَقَدَّمَهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ: وَذَلِكَ أَنَّ مَا حَكَى فَضَالَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ التِّبْرُ بِالذَّهَبِ , مِثْلًا بِمِثْلٍ , وَلَمْ يَذْكُرْ فَسَادَ الْبَيْعِ فِي الْقِلَادَةِ الْمَبِيعَةِ بِذَلِكَ إِذْ كَانَ فِيهَا ذَهَبٌ وَغَيْرُهُ. فَهَذَا خِلَافُ الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ. وَقَدْ رَوَاهُ آخَرُونَ أَيْضًا عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১১
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১১। ইউনুস ….. হানাশ বলেন, একবার আমরা এক যুদ্ধে হযরত ফুযালা ইবন উবায়দ (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম। তখন আমার ও আমার সাথীদের অংশে একটি হার এলো। যার মধ্যে সোনা-রূপা ও মূল্যবান পাথর জড়িত ছিল। আমি হারটি ক্রয় করার ইচ্ছা করলাম। সুতরাং এ ব্যাপারে হযরত ফুযালা (রাযিঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন, হারটির স্বর্ন পৃথক করে তার সোনা এক পাল্লায় রাখো এবং যে স্বর্নের বিনিময়ে ক্রয় করছো, তা অন্য পাল্লায় রাখো। তারপর সমান ওজনে গ্রহণ করো। কারন আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে, সে যেন সমান সমান ব্যতীত গ্রহণ না করে। এ হাদীসের রাবী কুররা ইবন আব্দুর রহমান একজন সত্যবাদী রাবী, আর আমর ইবনুল হারিসও একজন বিশ্বস্ত রাবী।
এ হাদীসে পূর্বের হাদীসের বিপরীত বিষয় বর্ণিত হয়েছে। কারন এ হাদীসে হযরত ফুযালা (রাযিঃ) হার হতে স্বর্ন পৃথক করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং তা আলাদাভাবে বিক্রয় করার কথা বলেছন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ হার হতে স্বর্ন পৃথক করতে বলেছেন, এ হাদীসে তার কোন
উল্লেখ নেই। শুধু সমান সমান ওজন করা ছাড়া স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয় করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর এ ব্যাপারে তো কারো কোন দ্বিমত নেই। তবে হযরত ফুযালা (রাযিঃ) যে হার হতে স্বর্ন পৃথক করার নির্দেশ প্রদান করেছেন, তার কারণ কি? এক্ষেত্রে সম্ভাবনা আছে যে, তার মতে হার হতে স্বর্ন পৃথক করা না হলে তা বিক্রয় করা জায়েয নয়। আর এ সম্ভাবনাও আছে যে, তিনি একথা ভালো করে জানতেন, হার হতে স্বর্ন পৃথক করা ছাড়া হারের স্বর্নের পরিমান জানার কোন উপায় নেই।
এসব বিভিন্ন রিওয়ায়াতের প্রেক্ষিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত যে, হাদীসটি বিভ্রাটপূর্ন। আর এ হাদীসের উদ্দেশ্য যে কি, তাও সঠিকভাবে জ্ঞাত হওয়া যায় নি। অতএব কারো পক্ষে হাদীসের এক অর্থ গ্রহন করে দলিল পেশ করার সুযোগ নেই। কেননা তাহলে এর অন্য অর্থ গ্রহন করে অন্য কেউ দলিল পেশ করবে।
আর আমরা পূর্বে এ অনুচ্ছেদেই এব্যাপারে যুক্তির কারনও ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। আর তা হলো, যাদের মতে স্বর্নের বিনিময়ে অন্য বস্তুর সাথে জড়িত বিক্রয় করা স্বর্নের হুকুম, মূল্যসমূহের উপর ثمن বন্টন করার নীতির উপর স্থাপন না করা, বরং তারা স্থাপন করেন এই নীতির উপর যে, জড়িত স্বর্ন ثمن এর স্বর্নের ওজনে সমপরিমাণ বিক্রয় করা হবে। আর অবশিষ্ট যা থাকবে তা অতিরিক্ত স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা হবে। আর এটাই হলো, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মাযহাব।
এ হাদীসে পূর্বের হাদীসের বিপরীত বিষয় বর্ণিত হয়েছে। কারন এ হাদীসে হযরত ফুযালা (রাযিঃ) হার হতে স্বর্ন পৃথক করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং তা আলাদাভাবে বিক্রয় করার কথা বলেছন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ হার হতে স্বর্ন পৃথক করতে বলেছেন, এ হাদীসে তার কোন
উল্লেখ নেই। শুধু সমান সমান ওজন করা ছাড়া স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয় করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর এ ব্যাপারে তো কারো কোন দ্বিমত নেই। তবে হযরত ফুযালা (রাযিঃ) যে হার হতে স্বর্ন পৃথক করার নির্দেশ প্রদান করেছেন, তার কারণ কি? এক্ষেত্রে সম্ভাবনা আছে যে, তার মতে হার হতে স্বর্ন পৃথক করা না হলে তা বিক্রয় করা জায়েয নয়। আর এ সম্ভাবনাও আছে যে, তিনি একথা ভালো করে জানতেন, হার হতে স্বর্ন পৃথক করা ছাড়া হারের স্বর্নের পরিমান জানার কোন উপায় নেই।
এসব বিভিন্ন রিওয়ায়াতের প্রেক্ষিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত যে, হাদীসটি বিভ্রাটপূর্ন। আর এ হাদীসের উদ্দেশ্য যে কি, তাও সঠিকভাবে জ্ঞাত হওয়া যায় নি। অতএব কারো পক্ষে হাদীসের এক অর্থ গ্রহন করে দলিল পেশ করার সুযোগ নেই। কেননা তাহলে এর অন্য অর্থ গ্রহন করে অন্য কেউ দলিল পেশ করবে।
আর আমরা পূর্বে এ অনুচ্ছেদেই এব্যাপারে যুক্তির কারনও ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। আর তা হলো, যাদের মতে স্বর্নের বিনিময়ে অন্য বস্তুর সাথে জড়িত বিক্রয় করা স্বর্নের হুকুম, মূল্যসমূহের উপর ثمن বন্টন করার নীতির উপর স্থাপন না করা, বরং তারা স্থাপন করেন এই নীতির উপর যে, জড়িত স্বর্ন ثمن এর স্বর্নের ওজনে সমপরিমাণ বিক্রয় করা হবে। আর অবশিষ্ট যা থাকবে তা অতিরিক্ত স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা হবে। আর এটাই হলো, ইমাম আবু হানীফা, ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মাযহাব।
5811 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي قُرَّةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ , أَنَّ عَامِرَ بْنَ يَحْيَى الْمَعَافِرِيَّ أَخْبَرَهُمَا , عَنْ حَنَشٍ أَنَّهُ قَالَ: كُنَّا مَعَ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ فِي غَزْوَةٍ , فَصَارَتْ لِي وَلِأَصْحَابِي , قِلَادَةٌ فِيهَا ذَهَبٌ , وَوَرِقٌ , وَجَوْهَرٌ فَأَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِيَهَا. فَسَأَلْتُ فَضَالَةَ , فَقَالَ: انْزِعْ ذَهَبَهَا , وَاجْعَلْهُ فِي الْكِفَّةِ , وَاجْعَلْ ذَهَبًا فِي الْكِفَّةِ الْأُخْرَى , ثُمَّ لَا تَأْخُذَنَّ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ , فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ , فَلَا يَأْخُذَنَّ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ» فَهَذَا خِلَافٌ لِمَا تَقَدَّمَهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ , لِأَنَّ فِيهِ أَمْرَ فَضَالَةَ بِنَزْعِ الذَّهَبِ وَبَيْعِهِ وَحْدَهُ , وَلَمْ يَذْكُرْ ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي ذَكَرَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ نَهْيُهُ عَنْ بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ , إِلَّا وَزْنًا بِوَزْنٍ. فَهَذَا مَا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ , وَالْأَمْرُ بِالتَّفْصِيلِ مِنْ قَوْلِ فَضَالَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَ بِذَلِكَ , عَلَى أَنَّهُ لَا يَجُوزُ عِنْدَهُ , الْبَيْعُ فِيهَا , فِي الذَّهَبِ , حَتَّى تُفْصَلَ. [ص:75] وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَمَرَ بِذَلِكَ , لِإِحَاطَةِ عِلْمِهِ أَنَّ تِلْكَ قِلَادَةٌ , لَا يُوصَلُ إِلَى عِلْمِ مَا فِيهَا مِنَ الذَّهَبِ , وَلَا إِلَى مِقْدَارِهِ , إِلَّا بَعْدَ أَنْ يُفْصَلَ مِنْهَا. فَقَدِ اضْطَرَبَ هَذَا الْحَدِيثُ , فَلَمْ يُوقَفْ عَلَى مَا أُرِيدَ مِنْهُ. فَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَحْتَجَّ بِمَعْنًى مِنَ الْمَعَانِي , الَّتِي رُوِيَ عَلَيْهَا , إِلَّا احْتَجَّ مُخَالِفُهُ عَلَيْهِ , بِالْمَعْنَى الْآخَرِ. وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي هَذَا الْبَابِ , كَيْفَ وَجْهُ النَّظَرِ فِي ذَلِكَ , وَأَنَّهُ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الَّذِينَ جَعَلُوا حُكْمَ الذَّهَبِ الْمَبِيعِ مَعَ غَيْرِهِ بِالذَّهَبِ، لَا عَلَى قَسْمِ الثَّمَنِ عَلَى الْقِيَمِ , وَلَكِنْ عَلَى أَنَّ الذَّهَبَ مَبِيعٌ بِوَزْنِهِ مِنَ الذَّهَبِ الثَّمَنِ , وَمَا بَقِيَ مَبِيعٌ بِمَا بَقِيَ مِنَ الثَّمَنِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১২
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১২। ইউনুস ...... আবু তামীম জায়শানী বলেন, একবার হযরত মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান ছয়শ দীনারে একটি হার ক্রয় করলেন। তার মধ্যে স্বর্ন, যবরজাদ,মুক্তা ও ইয়াকূত ছিল। হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) যখন মিম্বরে আরোহন করলেন, কিংবা তিনি যোহরের নামায পড়লেন, তখন হযরত উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, জেনে রাখুন, মুআবিয়া (রাযিঃ) সুদ গ্রহন করেছেন, জেনে রাখুন, তিনি তার হলক পর্যন্ত আগুনে নিমজ্জিত করেছেন।
এ হাদীসের সনদে আব্দুল্লাহ ইবন হুবায়রা নামক রাবী একজন বিশ্বস্ত রাবী। অনুরূপভাবে আবু তামীম আব্দুল্লাহ ইবন মালিক জায়শানীও এ হাদীসের একজন বিশ্বস্ত রাবী।
হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) এই যে হারটি ক্রয় করেছিলেন, সেখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, হারটির স্বর্ন ঐ স্বর্ন অপেক্ষা বেশী ছিল, যা দ্বারা তা ক্রয় করা হয়েছে। আর হযরত উবাদা (রাযিঃ)- এর পক্ষ হতে যে وعيد ও শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা এ কারনেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ সম্ভাবনাও আছে যে, হারটি বাকীতে বিক্রয় করা হয়েছিল। হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বাকী বিক্রয় করায় অসুবিধা মনে করতেন না। এ ব্যাপারে এবং যে কারনে হযরত উবাদা (রাযিঃ) হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) এর প্রতি আপত্তি উত্থাপন করেছিলেন, সে সম্পর্কে বর্ণিত আছে:
এ হাদীসের সনদে আব্দুল্লাহ ইবন হুবায়রা নামক রাবী একজন বিশ্বস্ত রাবী। অনুরূপভাবে আবু তামীম আব্দুল্লাহ ইবন মালিক জায়শানীও এ হাদীসের একজন বিশ্বস্ত রাবী।
হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) এই যে হারটি ক্রয় করেছিলেন, সেখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, হারটির স্বর্ন ঐ স্বর্ন অপেক্ষা বেশী ছিল, যা দ্বারা তা ক্রয় করা হয়েছে। আর হযরত উবাদা (রাযিঃ)- এর পক্ষ হতে যে وعيد ও শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা এ কারনেই উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ সম্ভাবনাও আছে যে, হারটি বাকীতে বিক্রয় করা হয়েছিল। হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বাকী বিক্রয় করায় অসুবিধা মনে করতেন না। এ ব্যাপারে এবং যে কারনে হযরত উবাদা (রাযিঃ) হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) এর প্রতি আপত্তি উত্থাপন করেছিলেন, সে সম্পর্কে বর্ণিত আছে:
5812 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيِّ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيَشَانِيِّ، قَالَ: اشْتَرَى مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ قِلَادَةً , فِيهَا تِبْرٌ , وَزَبَرْجَدٌ , وَلُؤْلُؤٌ , وَيَاقُوتٌ بِسِتِّمِائَةِ دِينَارٍ. فَقَامَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ , حِينَ طَلَعَ مُعَاوِيَةُ , الْمِنْبَرَ أَوْ حِينَ صَلَّى الظُّهْرَ , فَقَالَ: «أَلَا إِنَّ مُعَاوِيَةَ , اشْتَرَى الرِّبَا وَأَكَلَهُ , أَلَا إِنَّهُ فِي النَّارِ إِلَى حَلْقِهِ» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ تِلْكَ الْقِلَادَةُ , كَانَ فِيهَا مِنَ الذَّهَبِ أَكْثَرَ , مِمَّا اشْتُرِيَتْ بِهِ , فَكَانَ مِنْ عُبَادَةَ مَا كَانَ لِذَلِكَ. وَيَجُوزُ أَنْ تَكُونَ بِيعَتْ بِنَسِيئَةٍ , فَإِنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ , أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا. [ص:76] وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ , وَفِي السَّبَبِ الَّذِي مِنْ أَجْلِهِ عُبَادَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْكَرَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فِي ذَلِكَ , مَا أَنْكَرَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৩
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৩। ইসমাঈল ইবন ইয়াহয়া আল-মুযানী ..... আবুল আশআস হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন : একবার আমরা এক যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম, হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) ছিলেন আমাদের সেনাপতি। আমরা সে যুদ্ধে স্বর্ন-রৌপ্য লাভ করলাম। হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) এক ব্যক্তিকে সেগুলো মানুষের কাছে সরকারী ভাতার বিনিময়ে বিক্রয় করার নির্দেশ দিলেন। রাবী বলেন: এ নির্দেশের পর মানুষের মাঝে এ ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলো। তখন হযরত উবাদা (রাযিঃ) তাদেরকে (ভাতার বিনিময়ে ক্রয় করতে) নিষেধ করলে তারা তা ফিরিয়ে দিল। লোকটি হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) এর নিকট এসে হযরত উবাদা (রাযিঃ)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো। তখন হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) দাড়িয়ে ভাষন দিলেন। তিনি বললেন, সে সমস্ত লোকের কি অবস্থা, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করে এবং এমন অসত্য কথা বলে, যা আমরা শুনি নি। অতঃপর হযরত উবাদা (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আল্লাহর কসম, আমরা তো রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীস বর্ণনা করেই যাবো। যদিও মুআবিয়া (রাযিঃ) তা অপছন্দ করুন না কেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন: তোমরা সোনাকে সোনার বিনিময়ে, রূপাকে রূপার বিনিময়ে, গমকে গমের বিনিময়ে, যবকে যবের বিনিময়ে, খেজুরকে খেজুরের বিনিময়ে ও লবনকে লবনের বিনিময়ে সমান সমান ও নগদ বিক্রয় করো না।
আবুল আশআস শুরাহবীল ইবন আদাহ সানআনী এ হাদীসের একজন বিশ্বস্ত রাবী। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
আবুল আশআস শুরাহবীল ইবন আদাহ সানআনী এ হাদীসের একজন বিশ্বস্ত রাবী। হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
5813 - مَا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ , عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ قَالَ: كُنَّا فِي غَزَاةٍ , عَلَيْنَا مُعَاوِيَةُ , فَأَصَبْنَا ذَهَبًا وَفِضَّةً , فَأَمَرَ مُعَاوِيَةُ رَجُلًا أَنْ يَبِيعَهَا النَّاسُ فِي عَطِيَّاتِهِمْ. قَالَ: فَتَنَازَعَ النَّاسُ فِيهَا، فَقَامَ عُبَادَةُ , فَنَهَاهُمْ , فَرَدُّوهَا , فَأَتَى الرَّجُلُ مُعَاوِيَةَ فَشَكَا إِلَيْهِ. فَقَامَ مُعَاوِيَةُ خَطِيبًا فَقَالَ مَا بَالُ رِجَالٍ يُحَدِّثُونَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ , يَكْذِبُونَ فِيهَا عَلَيْهِ , لَمْ نَسْمَعْهَا. فَقَامَ عُبَادَةُ فَقَالَ: وَاللهِ لَأُحَدِّثَنَّ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ كَرِهَ مُعَاوِيَةُ , قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ , وَلَا الْفِضَّةَ بِالْفِضَّةِ , وَلَا الْبُرَّ بِالْبُرِّ , وَلَا الشَّعِيرَ بِالشَّعِيرِ , وَلَا التَّمْرَ بِالتَّمْرِ , وَلَا الْمِلْحَ بِالْمِلْحِ , إِلَّا سَوَاءً بِسَوَاءٍ , يَدًا بِيَدٍ , عَيْنًا بِعَيْنٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৪
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৪। ইসমাঈল ইবন ইয়াহয়া ..... আবুল আশআস সানআনী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ)- এর ইমারতকালে কিছু লোক সোনা ও রূপার পাত্র সরকারী ভাতা প্রদান পর্যন্ত বাকীতে বিক্রয় করছিল। তখন হযরত উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন : রাসূলুল্লাহ ﷺ সোনাকে সোনার বিনিময়ে, রূপাকে রূপার বিনিময়ে, গমকে গমের বিনিময়ে, যবকে যবের বিনিময়ে এবং লবনকে লবনের বিনিময়ে সমান সমান ব্যতীত বিক্রয় করতে নিষেধ করছেন।
একই হাদীসের অন্য রাবী খালিদ ইবন মিহরান আল-ইযযা, নির্ভরযোগ্য রাবী কিন্তু তিনি مرسل রিওয়ায়াত করেন।
আবু জা'ফর (রাযিঃ) বলেন: হযরত উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর ওপর যে আপত্তি করেছিলেন, তাহলো স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে বাকী বিক্রয় করা। কিন্তু স্বর্নবিজড়িত হার যা স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়, যখন সেটা উক্ত হারের স্বর্ন কিংবা রৌপ্যের চেয়ে অধিক ওজনের স্বর্নের কিংবা রৌপ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়, তা জায়েয আছে কিনা হযরত উবাদা (রাযিঃ) হতে আমাদের বর্ণিত এসব রিওয়ায়াতে সে সম্পের্ক কিছুই নেই।
একই হাদীসের অন্য রাবী খালিদ ইবন মিহরান আল-ইযযা, নির্ভরযোগ্য রাবী কিন্তু তিনি مرسل রিওয়ায়াত করেন।
আবু জা'ফর (রাযিঃ) বলেন: হযরত উবাদা ইবন সামিত (রাযিঃ) হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর ওপর যে আপত্তি করেছিলেন, তাহলো স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে বাকী বিক্রয় করা। কিন্তু স্বর্নবিজড়িত হার যা স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়, যখন সেটা উক্ত হারের স্বর্ন কিংবা রৌপ্যের চেয়ে অধিক ওজনের স্বর্নের কিংবা রৌপ্যের বিনিময়ে বিক্রয় করা হয়, তা জায়েয আছে কিনা হযরত উবাদা (রাযিঃ) হতে আমাদের বর্ণিত এসব রিওয়ায়াতে সে সম্পের্ক কিছুই নেই।
5814 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: قَدِمَ نَاسٌ فِي إِمَارَةِ مُعَاوِيَةَ , يَبِيعُونَ آنِيَةَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ إِلَى الْعَطَاءِ. فَقَامَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ , فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْمُذَهَّبِ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ بِالْفِضَّةِ , وَالْبُرِّ بِالْبُرِّ , وَالتَّمْرِ بِالتَّمْرِ , وَالشَّعِيرِ بِالشَّعِيرِ , وَالْمِلْحِ بِالْمِلْحِ , إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ , سَوَاءً بِسَوَاءٍ , فَمَنْ زَادَ , أَوِ ازْدَادَ , فَقَدْ أَرْبَى قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَا كَانَ مِنْ إِنْكَارِ عُبَادَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَلَى مُعَاوِيَةَ , وَهُوَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ , إِلَى أَجَلٍ , لَا غَيْرَ ذَلِكَ. وَأَمَّا الْقِلَادَةُ , الَّتِي فِيهَا الذَّهَبُ الْمَبِيعَةُ بِالذَّهَبِ , أَوِ الْقِلَادَةُ الَّتِي فِيهَا الْفِضَّةُ الْمَبِيعَةُ بِالْفِضَّةِ , فَلَا دَلَالَةَ فِيمَا رَوَيْنَا عَنْهُ , عَلَى حُكْمِ ذَلِكَ إِذَا بِيعَ بِأَكْثَرَ مِنْ وَزْنِ ذَهَبِهِ أَوْ فِضَّتِهِ , مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْفِضَّةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৫
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৫। আলী ইবন শায়বা .... সাইদ জুবায়র হযরত আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: রূপা বিজড়িত তরবারি রূপার বিনিময়ে ক্রয় করো।
এই তো হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) রূপার বিনিময়ে এমন তরবারি ক্রয়ের অনুমতি দিলেন, যা রূপার দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। অবশ্য এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে তাবিঈন হতে মতবিরোধ বর্ণিত হয়েছে।
এই তো হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) রূপার বিনিময়ে এমন তরবারি ক্রয়ের অনুমতি দিলেন, যা রূপার দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। অবশ্য এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে তাবিঈন হতে মতবিরোধ বর্ণিত হয়েছে।
5815 -وَقَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اشْتَرِ السَّيْفَ الْمُحَلَّى بِالْفِضَّةِ» فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدْ أَجَازَ بَيْعَ السَّيْفِ , الَّذِي حِلْيَتُهُ فِضَّةٌ , بِفِضَّةٍ. وَقَدْ رُوِيَ فِي مِثْلِ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ , اخْتِلَافٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৬
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৬। ইউনুস ..... খালিদ ইবন আবু ইমরান হতে বর্ণনা করেন, একবার তিনি কাসিম ইবন মুহাম্মাদ ও সালেম ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-কে স্বর্ন দ্বারা কারুকার্য খচিত কাপড় স্বর্নের বিনিময়ে ক্রয় করা যাবে কি না জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তারা বললেন: স্বর্নের বিনিময়ে ক্রয় করা ঠিক নয়।
হাদীসের রাবী হায়ওয়াহ ইবন শুরাইহ একজন বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও ফকীহ রাবী।
হাদীসের রাবী হায়ওয়াহ ইবন শুরাইহ একজন বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ও ফকীহ রাবী।
5816 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ، وَابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ أَبِي عِمْرَانَ، أَنَّهُ سَأَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ , وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ , عَنِ اشْتِرَاءِ الثَّوْبِ الْمَنْسُوجِ بِالذَّهَبِ بِالذَّهَبِ , فَقَالَا: «لَا يَصْلُحُ اشْتِرَاؤُهُ بِالذَّهَبِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৭
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৭। ইবরাহীম ইবন মারযূক ..... মুজাহিদ সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি স্বর্নকে স্বর্নের বিনিময়ে, কিংবা রূপাকে রূপা ও স্বর্নের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা অসঙ্গত মনে করতেন না।
এ হাদীসের রাবী উসমান ইবনুল আসওয়াদও একজন বিশ্বস্ত রাবী।
এ হাদীসের রাবী উসমান ইবনুল আসওয়াদও একজন বিশ্বস্ত রাবী।
5817 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى بَأْسًا , أَنْ يَشْتَرِيَ ذَهَبًا بِذَهَبٍ , أَوْ فِضَّةً بِفِضَّةٍ وَذَهَبٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৮
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৮। ইবন মারযূক .... হাসান সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, রূপা খচিত তরবারি দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করা অসঙ্গত মনে করতেন না, যদি তরবারির সঙ্গে যুক্ত রূপার চেয়ে দিরহামের রূপা অধিক হয়। রূপা হবে রূপার বিনিময়ে আর তরবারি হবে অতিরিক্ত রূপার বিনিময়ে।
5818 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ مُبَارَكٍ , عَنِ الْحَسَنِ , أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى بَأْسًا , أَنْ يُبَاعَ السَّيْفُ [ص:77] الْمُفَضَّضُ بِالدَّرَاهِمِ , بِأَكْثَرَ مِمَّا فِيهِ , تَكُونُ الْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ , وَالسَّيْفُ بِالْفَضْلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১৯
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮১৯। সুলায়মান ইবন শুয়ায়ব .... আবু মা'শার ইবরাহীম হতে বর্ণনা করেন, তিনি রূপা সজ্জিত তরবারি বিক্রয় করা সম্পের্ক বলেন: যখন তরবারির রূপা ثمن (বিনিময় মূল্য) অপেক্ষা কম হবে, তখন তা ক্রয়-বিক্রয়ে কোন অসুবিধা নেই।
মুবারক ইবন ফুযালা সত্যবাদী রাবী। এছাড়া আবু মা'শার যিয়াদ ইবন কুলায়ব একজন বিশ্বস্ত রাবী।
মুবারক ইবন ফুযালা সত্যবাদী রাবী। এছাড়া আবু মা'শার যিয়াদ ইবন কুলায়ব একজন বিশ্বস্ত রাবী।
5819 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي يُوسُفَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّهُ قَالَ فِي بَيْعِ السَّيْفِ الْمُحَلَّى: إِذَا كَانَتِ الْفِضَّةُ الَّتِي فِيهِ , أَقَلَّ مِنَ الثَّمَنِ , فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮২০
পুঁতি ও স্বর্ন বিজড়িত হার, স্বর্নের বিনিময়ে বিক্রয় প্রসঙ্গে
৫৮২০। সুলায়মান ইবন শুআয়ব ...... আমের শা'বী বলেন, দিরহাম দ্বারা সজ্জিত তরবারি বিক্রয়ে (রূপার বিনিময়ে) কোন অসুবিধা নেই।
কারন তরবারির সঙ্গে তার ফিতা, কোষ ও তার ফলক রয়েছে।
কারন তরবারির সঙ্গে তার ফিতা, কোষ ও তার ফলক রয়েছে।
5820 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي يُوسُفَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: لَا بَأْسَ بِبَيْعِ السَّيْفِ الْمُحَلَّى , بِالدَّرَاهِمِ ; لِأَنَّ فِيهِ حَمَائِلَهُ وَجَفْنَهُ وَنَصْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান