শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৫৯৯
৭. আরায়া প্রসঙ্গ*
৫৫৯৯। ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহইয়া বলেন, সালেম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (গাছে ঝুলন্ত) ফলের বিনিময়ে ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
بَابُ الْعَرَايَا
5599 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالثَّمَرِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০০
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০০। আব্দুল্লাহ্ বলেন, যায়েদ ইব্ন সাবিত আমাদের বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) 'আরায়া' এর ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন।**
5600 - قَالَ عَبْدُ اللهِ: وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِي الْعَرَايَا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬০২
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০১-০৩। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক আরিম এর মাধ্যমে এবং ইব্ন আবী দাউদ সুলায়মান ইব্ন হারব এর মাধ্যমে ...... হযরত ইব্ন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নবীন (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি 'মুযাবানা' হতে নিষেধ করেছেন, যায়েদ ইব্ন সাবিত আমাকে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরায়া' এর ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন।
5601 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عَارِمٌ ح
5602 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ
5603 - قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: وَأَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِي الْعَرَايَا
5602 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَا: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ الْمُزَابَنَةِ
5603 - قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: وَأَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِي الْعَرَايَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০২
empty
৫৬০২।
5602 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬০৫
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০৪-০৫। আলা ইব্ন শায়বা বলেন ..... হযরত ইব্ন উমার (রাযিঃ) হযরত যায়েদ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) 'আরায়া' এর ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন
আলী ইব্ন শায়বা এই একই সনদে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুহাকালা (ঘরের ফসলের বিনিময়ে যমীনের ফসল বিক্রয় করা) ও মুযাবানা (ঘরের ফলের বিনিময়ে গাছের ফল বিক্রয় করা) হতে নিষেধ করেছেন। এবং আরায়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন।
আলী ইব্ন শায়বা এই একই সনদে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুহাকালা (ঘরের ফসলের বিনিময়ে যমীনের ফসল বিক্রয় করা) ও মুযাবানা (ঘরের ফলের বিনিময়ে গাছের ফল বিক্রয় করা) হতে নিষেধ করেছেন। এবং আরায়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন।
5604 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِي الْعَرَايَا
5605 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ , قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ , وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا
5605 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ , قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ , وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৪
empty
৫৬০৪।
5604 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৫
empty
৫৬০৫।
5605 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৬
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০৬। ইউনুস বলেন, ..... খারিজা ইব্ন যায়েদ ইব্ন সাবিত তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুকনো খেজুর ও তাজা খেজুরের বিনিময়ে আরায়া বিক্রয় করার অনুমতি প্রদান করেছেন।
5606 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا , بِالتَّمْرِ أَوِ الرُّطَبِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৭
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০৭। ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহ্ইয়া বলেন, .... ইসমাঈল হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি একশ ওয়াসাক খেজুরের বিনিময়ে আমার খেজুর গাছে ঝুলন্ত খেজুর বিক্রয় করলাম। যদি তা (একশ ওয়াসাকের) বেশী হয় তবে তা তাদেরই (ক্রেতাদের) হবে। আর যদি কম হয় তবে তার ক্ষতিও তাদের ওপর বর্তাবে। অতঃপর আমি এ সম্পর্কে হযরত ইব্ন উমার (রাযিঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছের ঝুলন্ত ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। অবশ্য তিনি 'আরায়ার' ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন।
5607 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ: بِعْتُ مَا فِي رُءُوسِ نَخْلِي بِمِائَةِ وَسْقٍ , وَإِنْ زَادَ فَلَهُمْ , وَإِنْ نَقَصَ فَعَلَيْهِمْ. فَسَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرَةِ بِالتَّمْرِ , إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৮
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০৮। রাবী'উল জীযী বলেন, ..... হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) গাছের ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। যাবত না তা খাবার যোগ্য হয়। তিনি আরো বলেন, গাছের কোন ফল দিরহাম ও দীনার ব্যতীত বিক্রয় করা যাবেনা। কিন্তু আরায়া বিক্রয় করা যাবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন।
5608 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَأَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يُطْعَمَ وَقَالَ: لَا يُبَاعُ شَيْءٌ مِنْهُ إِلَّا بِالدَّرَاهِمِ وَالدَّنَانِيرِ , إِلَّا الْعَرَايَا , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِيهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬০৯
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬০৯। ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহইয়া মুযানী বলেন, ..... হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুযাবানা' হতে নিষেধ করেছেন। অবশ্য তিনি আরায়ার ব্যাপারে অবকাশ দিয়েছেন।
5609 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُزَابَنَةِ إِلَّا أَنَّهُ أَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১০
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১০। ইব্ন আবী দাউদ বলেন, ..... আবুয যুবাইর ও সাঈদ ইব্ন মিনা হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। নবী (ﷺ) মুহাকালা, মুযাবানা ও মুখাবারা (যমীন বর্গা দেয়া) হতে নিষেধ করেছেন। (হযরত জাবির রা. হতে বর্ণনাকারী) দুজন রাবীর একজন বলেন, এবং معاومة (বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া) হতে এবং অন্য জন বলেন, بيع السنين (একাধিক বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া) হতেও নিষেধ করেছেন।এবং شنيئا (অনির্দিষ্ট মাল হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাল বাদ দিয়ে বিক্রয় করা) হতেও নিষেধ করেছেন। অবশ্য আরায়ার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন।
5610 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، وَسَعِيدِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْمُحَاقَلَةِ وَالْمُزَابَنَةِ , وَالْمُخَابَرَةِ. وَقَالَ أَحَدُهُمَا: وَالْمُعَاوَمَةِ , وَقَالَ الْآخَرُ: وَبَيْعِ السِّنِينَ , وَنَهَى عَنِ الثُّنْيَا وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১১
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১১। ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহইয়া বলেন, ..... সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গাছে ঝুলন্ত ফল (খেজুর) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। তবে তিনি আরিয়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন, যে আনুমানিক (গাছের খেজুরের) ঐ পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করা যাবে, যা আরিয়ার মালিক 'কুতাব' আকারে আহার করবে।
5611 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، [ص:30] عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ , إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ أَنْ يُبَاعَ بِخَرْصِهَا مِنَ التَّمْرِ , يَأْكُلُهَا أَهْلُهَا رُطَبًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১২
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১২। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা বলেন, ..... বুশাইর ইব্ন ইয়াসার তাদের বাড়ীর কতিপয় সাহাবা-ই কিরাম হতে বর্ণনা করেন, যাদের একজন হযরত সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ), রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরো বলেন, এটা হলো সুদ, এটা হলো মুযাবানা। তবে তিনি আরিয়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন। অর্থাৎ একটি দুটি খেজুর গাছ যা বাড়ীর মালিক গাছে যে পরিমাণ খেজুর রয়েছে, আনুমানিকভাবে ঐ পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে তা গ্রহণ করে, যা তারা তাজা তাজা আহার করবে।
5612 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ دَارِهِمْ , مِنْهُمْ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ , وَقَالَ ذَلِكَ الرِّبَا ذَلِكَ الْمُزَابَنَةُ إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ , النَّخْلَةِ وَالنَّخْلَتَيْنِ يَأْخُذُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ بِخَرْصِهَا تَمْرًا , يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১৩
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১৩। ইবরাহীম ইব্ন মারযূক বলেন, ..... হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাঁচ ওয়াসাক কিংবা পাঁচ ওয়াসাকের কমে আরায়া বিক্রয়ের ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন। পাঁচ ওয়াসাক কিংবা পাঁচ ওয়াসাক এর কমে, ব্যাপারে হাদীসের রাবী দাউদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
5613 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ قَالَا: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا , فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ فِي مَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , يَشُكُّ دَاوُدُ فِي خَمْسَةٍ أَوْ فِي مَا دُونَ خَمْسَةٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬১৫
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১৪-১৫। আহমদ ইব্ন দাউদ বলেন ..... হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরায়ার ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন এক ওয়াসাক, দু' ওয়াসাক, তিন ওয়াসাক ও চার ওয়াসাক-এ। তিনি আরো বলেন, প্রতি দশ ছড়া খেজুরে এক ছড়া খেজুর সদকা দিতে হবে, যা মিসকীনদের জন্য মসজিদে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
ইব্ন আবী দাউদ বলেন, ইব্ন ইসহাক তার সনদে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় এক ওয়াসাক দু' ওয়াসাক, তিন ওয়াসাক ও চার ওয়াসাক-এর কথা উল্লেখ করেছেন, প্রতি দশ ছড়া এর কথা উল্লেখ করেননি।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং আরায়ার ক্রয় বিক্রয়ের ব্যাপারে যে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে, এ ব্যাপারটি মুতাওয়াতির সুত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং সমস্ত উলামা-ই কিরাম গ্রহণ করেছেন। এ হাদীসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করেন নি। তবে এর ব্যাখ্যার ব্যাপারে তারা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। একদল উলামা-ই কিরাম বলেন, 'আরায়া' হলো কোন এক ব্যক্তির অনেক খেজুর গাছের মধ্যে অন্য এক ব্যক্তির এক-দুটি খেজুর গাছ থাকা। তারা বলেন, মদীনার অধিবাসীদের নিয়ম ছিল, যখন খেজুর কাটার সময় উপস্থিত হত, তখন তারা তাদের পরিবারভুক্ত লোকজন নিয়ে তাদের বাগানে চলে যেত। এ সময় ঐ এক-দুটি গাছের মালিকও তার পরিবারের সদস্য নিয়ে উক্ত বাগানে উপস্থিত হত। ফলে অনেক গাছের মালিক বিরক্ত হত।সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং অনেক গাছের মালিককে অনুমতি দিয়েছেন, সে যেন দু-একটি গাছের মালিককে তার গাছের ফল অনুমান করে ঘরের শুকনো ফল প্রদান করে, যাতে সে আর তার পরিবারের লোক বাগান ছেড়ে চলে যায় এবং সব ফলই অনেক খেজুর গাছের মালিকের একার হয়ে যায়। আর তখন উক্ত বাগানে কেবল সে এবং তার পরিবারের লোকজন-ই অবস্থান করত।
মালেক ইব্ন আনাস (রাহঃ) হতে এ মত বর্ণিত হয়েছে। আহমদ ইব্ন আবী ইমরানকে আমি বলতে শুনেছি,তিনি পর্যায়ক্রমে মুহাম্মাদ ইব্ন সিমা'আ ও আবু ইউসুফ (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন। তিনি বলেন, আমাদের মতে আরিয়া এর অর্থ হলো, কোন এক ব্যক্তি তার বাগানের একটি গাছের ফল কাউকে দান করল, কিন্তু যাবত না উক্ত গাছের ফল (খেজুর) পরিপক্ক হত সে ঐ গাছটির ফল তাকে সোপর্দ করত না। এরূপ অবস্থায় ঐ দাতা ব্যক্তিকে এই অনুমতি দেয়া হয়েছিল যে, সে তার ঐ গাছের খেজুর গাছে রেখে দিয়ে তার স্থলে শুকনো খেজুর অনুমান করে দিয়ে দেবে। ইমাম মালেক আরিয়ার' যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন তার চেয়ে ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ)-এর এই ব্যাখ্যা অধিক উত্তম। কারণ, আরিয়া মূলতঃ একটি দান। দেখুন না আরিয়া' দান বলেই কিভাবে প্রসংসাকারী আনসারদের প্রশংসা করেছেনঃ- ليست بسنهاء ولا رجبيه * ولكن عرايا في السنين الجوائح অর্থাৎ তাদের খেজুর গাছগুলো সানহা -* নয়। (যে খেজুর গাছে এক বছর খেজুর ধরে আর এক বছর খেজুর ধরেনা) এবং রাজাবিয়াও -* নয় (যে খেজুর গাছ দুর্বলতার কারণে ঝুঁকে পড়ে এবং অন্য কোন কিছুর সাহায্যে দাঁড় করে রাখা হয়) বরং দুর্ভিক্ষপূর্ণ বছরসমূহে গণ্য।
অর্থাৎ তারা দুর্ভিক্ষের বছরে দান করে থাকে। অতএব আরিয়ার যদি ঐ অর্থ গ্রহণ করা হয়, যা ইমাম মালেক (রাহঃ) করেছেন, তবে আনসারগণের প্রসংসিত হবার কোন কারণ থাকেনা। কারণ ঐ অর্থ গ্রহণ করা হলে তো তাদেরকেও অনুরূপ প্রদান করা হয়, যেমন তারা প্রদান করেন। অতএব আরিয়া শব্দের তাঁর গৃহীত অর্থ হতে ভিন্ন অর্থ হবে।
এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, হযরত যায়িদ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছেঃ- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن بيع التمر بالتمر ورخص في العرايا অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন এবং 'আরায়া' এর ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন। এ হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, আরায়া হলো শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করা।
তবে এ প্রশ্নকারীকে বলা হবে যে, এ হাদীসে 'আরায়া' বিক্রয় করার ব্যাপারে কিছুই নেই। এর মধ্যে শুধু 'আরায়া' সম্পর্কে অনুমতি প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তার উল্লেখ করা হয়েছে শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করার নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে। আর কখনো এমন হয় যে, একটি জিনিস অন্য আর একটি জিনিসের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, অর্থাৎ, উভয়ের হুকুম হয় ভিন্ন ভিন্ন। যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তো কেবল 'পাঁচ ওয়াসাক' পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছে। (অর্থাৎ আরায়ার বিক্রয় কেবল পাঁচ ওয়াসাক পর্যন্ত বৈধ করা হয়েছে) আর পাঁচ ওয়াসাক' এর উল্লেখ করায় একথা বুঝা যায় যে, যে আরায়ার পরিমাণ এর চেয়ে বেশী হবে, তার হুকুম এর মত হবেনা।
তবে এ প্রশ্নকারীকে বলা হবে, এ হাদীসের মধ্যে এমন কিছুই নেই, যা আমাদের উল্লেখকৃত বিষয়ের বিরোধী। প্রশ্নকারীর প্রশ্ন তো তখনই সঠিক হবে, যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কথা বলতেন যে, 'আরিয়া' কেবল পাঁচ ওয়াসাক কিংবা পাঁচ ওয়াসাকের চেয়ে কম হলে বৈধ হবে। হাদীসে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাঁচ ওয়াসাক কিংবা পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমাণে আরায়া বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন। এখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, নবী (ﷺ) এমন কিছু লোককে পাঁচ ওয়াসাক কিংবা তার চেয়ে কমে আরিয়া বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন, যাদের আরিয়ার পরিমাণ ছিলই মাত্র এই পরিমাণ। অতঃপর হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তা-ই নকল করেছেন এবং যে পরিমাণ ছিল তা-ই তিনি বর্ণনা করেছেন। আর যে ক্ষেত্রে 'আরিয়ার' পরিমাণ এর চেয়ে বেশী হবে তখনও যে এ অনুমতি প্রযোজ্য হবে, এটা তার বিরোধী নয়।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, হযরত ইব্ন উমার ও হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, الا انه رخص في العرايا (অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু তিনি আরায়ার মধ্যে অনুমতি প্রদান করেছেন)। অতএব এটা بيع الثمر بالتمر এর হুকুম হতে مستثنى (বাদ)। অতএব এ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, আরায়াও প্রকৃত পক্ষে بيع التمر بالثمر (শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছের ফলের বিক্রয়)।
তবে তাকে বলা হবে, এখানে যে ব্যক্তিকে খেজুর গাছের খেজুর দান করা হয়েছে তাকে উদ্দেশ্য করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাকে গাছের খেজুরের বদলে শুকনো খেজুর নেয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এবং এই অর্থে সে বিক্রেতা বিবেচিত হবে। তার পক্ষে এটা হালালও বটে আর এই কারণেই এখানে (ব্যতিক্রমায়ন) সাব্যস্ত হবে।
আর সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, الا انه رخص فى بيع العرية بخرصها تمرا يأكلها رطبا অর্থাৎ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু গাছের খেজুর অনুমান করে ঐ পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করার অনুমতি প্রদান করেছেন, যা অরিয়ার অধিকারী গাছ থেকে পেড়ে তাজা তাজা আহার করবে। এ হাদীসে আরিয়ার اهل " (অধিকারী) সাব্যস্ত করা হয়েছে গাছের মালিককে, যে তার পরিবারসহ তাজা খেজুর পেড়ে আহার করবে। আর আরিয়ার اهل হবে কেবল তখন, যখন তারা গাছের খেজুরের বদলে শুকনো খেজুর দিয়ে গাছের খেজুরের মালিক হবে। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতকে প্রমাণিত করে।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করে যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) উল্লেখিত এসব রিওয়ায়াতের যে ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, তাতে তো এসব হাদীসে رخصت বা অনুমতি প্রদানের কোন অর্থই হয়না। তবে তাকে বলা হবে,رخصت -এর একটি বিশুদ্ধ অর্থ অবশ্যই আছে, কিন্তু সে অর্থের ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে।
ঈসা ইব্ন আবান বলেন, এখানে رخصت -এর অর্থ হলো, কোন মালের বদলে অন্য কোন মালের মালিক কেবল সেই ব্যক্তি হতে পারে, যে উক্ত মালের মালিক হবে। যে ব্যক্তি কোন বস্তুর মালিক নয় সে তা কোন বদল বা বিনিময়ের মাধ্যমে বিক্রয় করে তার মালিক হতে পারেনা। ঐ বদল বা বিনিময়ের মালিক কেবল তখনই হবে, যখন ঐ বস্তুর সে সঠিক মালিক হবে, যে বস্তুর এটা বদল হিসেবে বিবেচিত। তিনি বলেন, দানকৃত ব্যক্তি যখন গাছের ফলের মালিকই হতে পারেনি কারণ সে এখন পর্যন্ত তা কবযা করতে পারেনি। অথচ, যে শুকনো খেজুর সে আরিয়ার বদল হিসেবে গ্রহণ করছে, হাদীসে তার জন্য তা طيب ও হালাল বলে ঘোষণা করা হয়েছে, অথচ এই শুকনো খেজুর গাছের ঐ তাজা খেজুর رطب (রুতাব) এরই বদল, যার সে মালিক হতে পারেনি। তিনি বলেন, رخصت দ্বারা হাদীসে এই অর্থই উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
ঈসা ইব্ন আবান ব্যতীত অন্যান্য উলামা-ই কিরাম বলেন, আলোচ্য হাদীসে رخصت এর অর্থ হলো কেউ যখন কাউকে গাছের খেজুর দান করে এবং তাকে তা অর্পণ করার ওয়াদা করে, যেন সে তা কবযা করে তার মালিক হতে পারে। আর দানকারী ব্যক্তির ওপর তার দ্বীনী দায়িত্ব হলো তার ওয়াদা পূর্ণ করা। এক্ষেত্রে দানকারী ব্যক্তিকে এই অনুমতি প্রদান করা হয়েছে যে, তার দানকৃত খেজুর রেখে দিয়ে তার পরিবর্তে অনুমান করে শুকনো খেজুর প্রদান করা। এ ক্ষেত্রে সে গুনাহগার হবে না, ওয়াদা ভঙ্গকারীও হবেনা। এটাই হলো رخصت ও অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্র।
ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) হতে এই যে ব্যাখ্যা আমরা উল্লেখ করেছি, অন্যান্য ব্যাখ্যা অপেক্ষা উত্তম। কারণ, শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছের ঝুলন্ত ফল বিক্রয় করা যে নিষেধ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে তা মুতাওয়াতির (متواتر) সূত্রে বর্ণিত।তার কয়েকটি হাদীস তো আমরা এ অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি।এবং নিম্নে আরো কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
ইব্ন আবী দাউদ বলেন, ইব্ন ইসহাক তার সনদে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি তার বর্ণনায় এক ওয়াসাক দু' ওয়াসাক, তিন ওয়াসাক ও চার ওয়াসাক-এর কথা উল্লেখ করেছেন, প্রতি দশ ছড়া এর কথা উল্লেখ করেননি।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং আরায়ার ক্রয় বিক্রয়ের ব্যাপারে যে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে, এ ব্যাপারটি মুতাওয়াতির সুত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং সমস্ত উলামা-ই কিরাম গ্রহণ করেছেন। এ হাদীসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করেন নি। তবে এর ব্যাখ্যার ব্যাপারে তারা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। একদল উলামা-ই কিরাম বলেন, 'আরায়া' হলো কোন এক ব্যক্তির অনেক খেজুর গাছের মধ্যে অন্য এক ব্যক্তির এক-দুটি খেজুর গাছ থাকা। তারা বলেন, মদীনার অধিবাসীদের নিয়ম ছিল, যখন খেজুর কাটার সময় উপস্থিত হত, তখন তারা তাদের পরিবারভুক্ত লোকজন নিয়ে তাদের বাগানে চলে যেত। এ সময় ঐ এক-দুটি গাছের মালিকও তার পরিবারের সদস্য নিয়ে উক্ত বাগানে উপস্থিত হত। ফলে অনেক গাছের মালিক বিরক্ত হত।সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং অনেক গাছের মালিককে অনুমতি দিয়েছেন, সে যেন দু-একটি গাছের মালিককে তার গাছের ফল অনুমান করে ঘরের শুকনো ফল প্রদান করে, যাতে সে আর তার পরিবারের লোক বাগান ছেড়ে চলে যায় এবং সব ফলই অনেক খেজুর গাছের মালিকের একার হয়ে যায়। আর তখন উক্ত বাগানে কেবল সে এবং তার পরিবারের লোকজন-ই অবস্থান করত।
মালেক ইব্ন আনাস (রাহঃ) হতে এ মত বর্ণিত হয়েছে। আহমদ ইব্ন আবী ইমরানকে আমি বলতে শুনেছি,তিনি পর্যায়ক্রমে মুহাম্মাদ ইব্ন সিমা'আ ও আবু ইউসুফ (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন। তিনি বলেন, আমাদের মতে আরিয়া এর অর্থ হলো, কোন এক ব্যক্তি তার বাগানের একটি গাছের ফল কাউকে দান করল, কিন্তু যাবত না উক্ত গাছের ফল (খেজুর) পরিপক্ক হত সে ঐ গাছটির ফল তাকে সোপর্দ করত না। এরূপ অবস্থায় ঐ দাতা ব্যক্তিকে এই অনুমতি দেয়া হয়েছিল যে, সে তার ঐ গাছের খেজুর গাছে রেখে দিয়ে তার স্থলে শুকনো খেজুর অনুমান করে দিয়ে দেবে। ইমাম মালেক আরিয়ার' যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন তার চেয়ে ইমাম আবু হানীফা (রাযিঃ)-এর এই ব্যাখ্যা অধিক উত্তম। কারণ, আরিয়া মূলতঃ একটি দান। দেখুন না আরিয়া' দান বলেই কিভাবে প্রসংসাকারী আনসারদের প্রশংসা করেছেনঃ- ليست بسنهاء ولا رجبيه * ولكن عرايا في السنين الجوائح অর্থাৎ তাদের খেজুর গাছগুলো সানহা -* নয়। (যে খেজুর গাছে এক বছর খেজুর ধরে আর এক বছর খেজুর ধরেনা) এবং রাজাবিয়াও -* নয় (যে খেজুর গাছ দুর্বলতার কারণে ঝুঁকে পড়ে এবং অন্য কোন কিছুর সাহায্যে দাঁড় করে রাখা হয়) বরং দুর্ভিক্ষপূর্ণ বছরসমূহে গণ্য।
অর্থাৎ তারা দুর্ভিক্ষের বছরে দান করে থাকে। অতএব আরিয়ার যদি ঐ অর্থ গ্রহণ করা হয়, যা ইমাম মালেক (রাহঃ) করেছেন, তবে আনসারগণের প্রসংসিত হবার কোন কারণ থাকেনা। কারণ ঐ অর্থ গ্রহণ করা হলে তো তাদেরকেও অনুরূপ প্রদান করা হয়, যেমন তারা প্রদান করেন। অতএব আরিয়া শব্দের তাঁর গৃহীত অর্থ হতে ভিন্ন অর্থ হবে।
এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, হযরত যায়িদ ইব্ন সাবিত (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছেঃ- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن بيع التمر بالتمر ورخص في العرايا অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের ফল বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন এবং 'আরায়া' এর ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেছেন। এ হাদীস দ্বারাও প্রমাণিত হয় যে, আরায়া হলো শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করা।
তবে এ প্রশ্নকারীকে বলা হবে যে, এ হাদীসে 'আরায়া' বিক্রয় করার ব্যাপারে কিছুই নেই। এর মধ্যে শুধু 'আরায়া' সম্পর্কে অনুমতি প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তার উল্লেখ করা হয়েছে শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করার নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে। আর কখনো এমন হয় যে, একটি জিনিস অন্য আর একটি জিনিসের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, অর্থাৎ, উভয়ের হুকুম হয় ভিন্ন ভিন্ন। যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে তো কেবল 'পাঁচ ওয়াসাক' পর্যন্ত সীমিত করা হয়েছে। (অর্থাৎ আরায়ার বিক্রয় কেবল পাঁচ ওয়াসাক পর্যন্ত বৈধ করা হয়েছে) আর পাঁচ ওয়াসাক' এর উল্লেখ করায় একথা বুঝা যায় যে, যে আরায়ার পরিমাণ এর চেয়ে বেশী হবে, তার হুকুম এর মত হবেনা।
তবে এ প্রশ্নকারীকে বলা হবে, এ হাদীসের মধ্যে এমন কিছুই নেই, যা আমাদের উল্লেখকৃত বিষয়ের বিরোধী। প্রশ্নকারীর প্রশ্ন তো তখনই সঠিক হবে, যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কথা বলতেন যে, 'আরিয়া' কেবল পাঁচ ওয়াসাক কিংবা পাঁচ ওয়াসাকের চেয়ে কম হলে বৈধ হবে। হাদীসে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাঁচ ওয়াসাক কিংবা পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমাণে আরায়া বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন। এখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, নবী (ﷺ) এমন কিছু লোককে পাঁচ ওয়াসাক কিংবা তার চেয়ে কমে আরিয়া বিক্রয়ের অনুমতি প্রদান করেছেন, যাদের আরিয়ার পরিমাণ ছিলই মাত্র এই পরিমাণ। অতঃপর হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তা-ই নকল করেছেন এবং যে পরিমাণ ছিল তা-ই তিনি বর্ণনা করেছেন। আর যে ক্ষেত্রে 'আরিয়ার' পরিমাণ এর চেয়ে বেশী হবে তখনও যে এ অনুমতি প্রযোজ্য হবে, এটা তার বিরোধী নয়।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে যে, হযরত ইব্ন উমার ও হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, الا انه رخص في العرايا (অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু তিনি আরায়ার মধ্যে অনুমতি প্রদান করেছেন)। অতএব এটা بيع الثمر بالتمر এর হুকুম হতে مستثنى (বাদ)। অতএব এ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, আরায়াও প্রকৃত পক্ষে بيع التمر بالثمر (শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছের ফলের বিক্রয়)।
তবে তাকে বলা হবে, এখানে যে ব্যক্তিকে খেজুর গাছের খেজুর দান করা হয়েছে তাকে উদ্দেশ্য করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাকে গাছের খেজুরের বদলে শুকনো খেজুর নেয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এবং এই অর্থে সে বিক্রেতা বিবেচিত হবে। তার পক্ষে এটা হালালও বটে আর এই কারণেই এখানে (ব্যতিক্রমায়ন) সাব্যস্ত হবে।
আর সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, الا انه رخص فى بيع العرية بخرصها تمرا يأكلها رطبا অর্থাৎ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু গাছের খেজুর অনুমান করে ঐ পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে গাছের খেজুর বিক্রয় করার অনুমতি প্রদান করেছেন, যা অরিয়ার অধিকারী গাছ থেকে পেড়ে তাজা তাজা আহার করবে। এ হাদীসে আরিয়ার اهل " (অধিকারী) সাব্যস্ত করা হয়েছে গাছের মালিককে, যে তার পরিবারসহ তাজা খেজুর পেড়ে আহার করবে। আর আরিয়ার اهل হবে কেবল তখন, যখন তারা গাছের খেজুরের বদলে শুকনো খেজুর দিয়ে গাছের খেজুরের মালিক হবে। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতকে প্রমাণিত করে।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করে যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) উল্লেখিত এসব রিওয়ায়াতের যে ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, তাতে তো এসব হাদীসে رخصت বা অনুমতি প্রদানের কোন অর্থই হয়না। তবে তাকে বলা হবে,رخصت -এর একটি বিশুদ্ধ অর্থ অবশ্যই আছে, কিন্তু সে অর্থের ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে।
ঈসা ইব্ন আবান বলেন, এখানে رخصت -এর অর্থ হলো, কোন মালের বদলে অন্য কোন মালের মালিক কেবল সেই ব্যক্তি হতে পারে, যে উক্ত মালের মালিক হবে। যে ব্যক্তি কোন বস্তুর মালিক নয় সে তা কোন বদল বা বিনিময়ের মাধ্যমে বিক্রয় করে তার মালিক হতে পারেনা। ঐ বদল বা বিনিময়ের মালিক কেবল তখনই হবে, যখন ঐ বস্তুর সে সঠিক মালিক হবে, যে বস্তুর এটা বদল হিসেবে বিবেচিত। তিনি বলেন, দানকৃত ব্যক্তি যখন গাছের ফলের মালিকই হতে পারেনি কারণ সে এখন পর্যন্ত তা কবযা করতে পারেনি। অথচ, যে শুকনো খেজুর সে আরিয়ার বদল হিসেবে গ্রহণ করছে, হাদীসে তার জন্য তা طيب ও হালাল বলে ঘোষণা করা হয়েছে, অথচ এই শুকনো খেজুর গাছের ঐ তাজা খেজুর رطب (রুতাব) এরই বদল, যার সে মালিক হতে পারেনি। তিনি বলেন, رخصت দ্বারা হাদীসে এই অর্থই উদ্দেশ্য করা হয়েছে।
ঈসা ইব্ন আবান ব্যতীত অন্যান্য উলামা-ই কিরাম বলেন, আলোচ্য হাদীসে رخصت এর অর্থ হলো কেউ যখন কাউকে গাছের খেজুর দান করে এবং তাকে তা অর্পণ করার ওয়াদা করে, যেন সে তা কবযা করে তার মালিক হতে পারে। আর দানকারী ব্যক্তির ওপর তার দ্বীনী দায়িত্ব হলো তার ওয়াদা পূর্ণ করা। এক্ষেত্রে দানকারী ব্যক্তিকে এই অনুমতি প্রদান করা হয়েছে যে, তার দানকৃত খেজুর রেখে দিয়ে তার পরিবর্তে অনুমান করে শুকনো খেজুর প্রদান করা। এ ক্ষেত্রে সে গুনাহগার হবে না, ওয়াদা ভঙ্গকারীও হবেনা। এটাই হলো رخصت ও অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্র।
ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) হতে এই যে ব্যাখ্যা আমরা উল্লেখ করেছি, অন্যান্য ব্যাখ্যা অপেক্ষা উত্তম। কারণ, শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছের ঝুলন্ত ফল বিক্রয় করা যে নিষেধ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে তা মুতাওয়াতির (متواتر) সূত্রে বর্ণিত।তার কয়েকটি হাদীস তো আমরা এ অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি।এবং নিম্নে আরো কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
5614 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّمِيمِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، عَنْ وَاسِعِ بْنِ حِبَّانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي الْعَرِيَّةِ فِي الْوَسْقِ وَالْوَسْقَيْنِ وَالثَّلَاثَةِ وَالْأَرْبَعَةِ , وَقَالَ فِي كُلِّ عَشَرَةِ أَقْنَاءٍ قِنْوٌ يُوضَعُ فِي الْمَسْجِدِ لِلْمَسَاكِينِ
5615 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: ثُمَّ قَالَ «الْوَسْقِ وَالْوَسْقَيْنِ وَالثَّلَاثَةِ وَالْأَرْبَعَةِ» وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ «فِي كُلِّ عَشَرَةٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ جَاءَتْ هَذِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَوَاتَرَتْ فِي الرُّخْصَةِ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا وَقَبِلَهَا أَهْلُ الْعِلْمِ جَمِيعًا , وَلَمْ يَخْتَلِفُوا فِي صِحَّةِ مَجِيئِهَا , وَتَنَازَعُوا فِي تَأْوِيلِهَا. فَقَالَ قَوْمٌ: الْعَرَايَا أَنَّ الرَّجُلَ يَكُونُ لَهُ النَّخْلَةُ وَالنَّخْلَتَانِ , فِي وَسَطِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ , لِرَجُلٍ آخَرَ. قَالُوا: وَقَدْ كَانَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ , إِذَا كَانَ وَقْتُ الثِّمَارِ , خَرَجُوا بِأَهْلِيهِمْ إِلَى حَوَائِطِهِمْ , فَيَجِيءُ صَاحِبُ النَّخْلَةِ أَوِ النَّخْلَتَيْنِ بِأَهْلِهِ , فَيَضُرُّ ذَلِكَ بِأَهْلِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ. فَرَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَاحِبِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ أَنْ يُعْطِيَ صَاحِبَ النَّخْلَةِ أَوِ النَّخْلَتَيْنِ خَرْصَ مَا لَهُ مِنْ ذَلِكَ , تَمْرًا , لِيَنْصَرِفَ هُوَ وَأَهْلُهُ عَنْهُ , وَيَخْلُصَ تَمْرُ الْحَائِطِ كُلُّهُ لِصَاحِبِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ , فَيَكُونُ فِيهِ هُوَ وَأَهْلُهُ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْقَوْلُ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ رَحِمَهُ اللهُ. وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ، فِيمَا سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ أَبِي عِمْرَانَ , يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِمَاعَةَ , [ص:31] عَنْ أَبِي يُوسُفَ , عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ قَالَ، مَعْنَى ذَلِكَ عِنْدَنَا، أَنَّ يُعْرِيَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ ثَمَرَ نَخْلَةٍ مِنْ نَخْلِهِ فَلَا يُسْلِمُ ذَلِكَ إِلَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ لَهُ , فَرَخَّصَ لَهُ أَنْ يَحْبِسَ ذَلِكَ , وَيُعْطِيَهُ مَكَانَهُ , خَرْصَهُ تَمْرًا. وَكَانَ هَذَا التَّأْوِيلُ أَشْبَهَ وَأَوْلَى , مِمَّا قَالَ مَالِكٌ , لِأَنَّ الْعَرِيَّةَ إِنَّمَا هِيَ الْعَطِيَّةُ. أَلَا يَرَى إِلَى الَّذِي مَدَحَ الْأَنْصَارَ كَيْفَ مَدَحَهُمْ , إِذْ يَقُولُ:
[البحر الطويل]
لَيْسَتْ بِسَنْهَاءٍ وَلَا رُجَبِيَّةٍ ... وَلَكِنْ عَرَايَا فِي السِّنِينَ الْجَوَائِحِ
أَيْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُعْرُونَهَا فِي السِّنِينَ الْجَوَائِحِ. فَلَوْ كَانَتِ الْعَرِيَّةُ كَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مَالِكٌ , إِذًا لَمَا كَانُوا مَمْدُوحِينَ بِهَا , إِذْ كَانُوا يُعْطَوْنَ كَمَا يُعْطَوْنَ , وَلَكِنِ الْعَرِيَّةُ بِخِلَافِ مَا قَالَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ ذَكَرْتَ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ , وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا» , فَصَارَتِ الْعَرَايَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا هِيَ بَيْعُ ثَمَرٍ بِتَمْرٍ , قِيلَ لَهُ: لَيْسَ فِي الْحَدِيثِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ , إِنَّمَا فِيهِ ذِكْرُ الرُّخْصَةِ فِي الْعَرَايَا , مَعَ ذِكْرِ النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ , وَقَدْ يُقْرَنُ الشَّيْءُ بِالشَّيْءِ وَحُكْمُهُمَا مُخْتَلِفٌ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ ذَكَرَ التَّوْقِيفَ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَلَى خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , وَفِي ذِكْرِهِ ذَلِكَ , مَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ حُكْمُ مَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ , كَحُكْمِهِ. قِيلَ لَهُ: مَا فِيهِ مَا يَنْفِي شَيْئًا مِمَّا ذَكَرْتَ , وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَوْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَكُونُ الْعَرِيَّةُ إِلَّا فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , أَوْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ «. فَإِذَا كَانَ الْحَدِيثُ إِنَّمَا فِيهِ» أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , أَوْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ " , فَذَلِكَ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِيهِ لِقَوْمٍ فِي عَرِيَّةٍ لَهُمْ هَذَا مِقْدَارُهَا. فَنَقَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ذَلِكَ , وَأَخْبَرَ بِالرُّخْصَةِ فِيمَا كَانَتْ , وَلَا يَنْفِي ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الرُّخْصَةُ جَارِيَةً فِيمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي حَدِيثِ عُمَرَ وَجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا» فَصَارَ ذَلِكَ مُسْتَثْنًى مِنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ بَيْعُ ثَمَرٍ بِتَمْرٍ. قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَصَدَ بِذَلِكَ إِلَى الْمُعْرَى لَهُ فَرَخَّصَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ تَمْرًا , بَدَلًا مِنْ تَمْرٍ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ ; لِأَنَّهُ يَكُونُ بِذَلِكَ , فِي مَعْنَى الْبَائِعِ , وَذَلِكَ لَهُ حَلَالٌ , فَيَكُونُ الِاسْتِثْنَاءُ لِهَذِهِ الْعِلَّةِ. وَفِي حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ «إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ , بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُهَا أَهْلُهَا رُطَبًا» فَقَدْ ذَكَرَ لِلْعَرِيَّةِ أَهْلًا , وَجَعَلَهُمْ يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا , وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِلَّا وَمَلَكَهَا الَّذِينَ عَادَتْ إِلَيْهِمْ بِالْبَدَلِ الَّذِي أُخِذَ مِنْهُمْ , فَذَلِكَ يُثْبِتُ قَوْلَ أَبِي حَنِيفَةَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: لَوْ كَانَ تَأْوِيلُ هَذِهِ الْآثَارِ , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَمَا كَانَ لِذِكْرِ الرُّخْصَةِ فِيهَا مَعْنًى. [ص:32] قِيلَ لَهُ: بَلْ لَهُ مَعْنًى صَحِيحٌ , وَلَكِنْ قَدِ اخْتَلَفَ فِيهِ مَا هُوَ. فَقَالَ عِيسَى بْنُ أَبَانَ: مَعْنَى الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ , أَنَّ الْأَمْوَالَ كُلَّهَا , لَا يَمْلِكُ بِهَا إِبْدَالًا , إِلَّا مَنْ كَانَ مَالِكَهَا , لَا يَبِيعُ رَجُلٌ مَا لَا يَمْلِكُ بِبَدَلِهِ , فَيَمْلِكُ ذَلِكَ الْبَدَلَ. وَإِنَّمَا يَمْلِكُ ذَلِكَ الْبَدَلَ إِذَا مَلَكَهُ , بِصِحَّةِ مِلْكِهِ لِلشَّيْءِ الَّذِي هُوَ بَدَلٌ مِنْهُ. قَالَ: فَالْمُعْرَى , لَمْ يَكُنْ مَلَكَ الْعَرِيَّةَ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ قَبَضَهَا , وَالتَّمْرُ الَّذِي يَأْخُذُهُ بَدَلًا مِنْهَا , قَدْ جُعِلَ طَيِّبًا لَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَهُوَ بَدَلٌ مِنْ رُطَبٍ لَمْ يَكُنْ مَلَكَهُ. قَالَ: فَهَذَا هُوَ الَّذِي قَصَدَ بِالرُّخْصَةِ إِلَيْهِ. وَقَالَ غَيْرُهُ , الرُّخْصَةُ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَعْرَى الرَّجُلَ الشَّيْءَ مِنْ ثَمَرِهِ , وَقَدْ وَعَدَهُ أَنْ يُسَلِّمَهُ إِلَيْهِ لِيَمْلِكَهُ الْمُسَلَّمُ إِلَيْهِ بِقَبْضِهِ إِيَّاهُ , وَعَلَى الرَّجُلِ فِي دِينِهِ أَنْ يَفِيَ بِوَعْدِهِ , وَإِنْ كَانَ غَيْرَ مَأْخُوذٍ بِهِ فِي الْحُكْمِ , فَرَخَّصَ لِلْمُعْرِي أَنْ يَحْتَبِسَ مَا أَعْرَى , بِأَنْ يُعْطِيَ الْمُعْرَى خَرْصَهُ تَمْرًا , بَدَلًا مِنْهُ , مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ آثِمًا , وَلَا فِي حُكْمِ مَنِ اخْتَلَفَ مَوْعِدًا , فَهَذَا مَوْضِعُ الرُّخْصَةِ. وَهَذَا التَّأْوِيلُ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , أَوْلَى مِمَّا حُمِلَ عَلَيْهِ وَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ , لِأَنَّ الْآثَارَ قَدْ جَاءَتْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاتِرَةً بِالنَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ. فَمِنْهَا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا
وَمِنْهَا مَا قَدْ
5615 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ إِسْحَاقَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: ثُمَّ قَالَ «الْوَسْقِ وَالْوَسْقَيْنِ وَالثَّلَاثَةِ وَالْأَرْبَعَةِ» وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَهُ «فِي كُلِّ عَشَرَةٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ جَاءَتْ هَذِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَوَاتَرَتْ فِي الرُّخْصَةِ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا وَقَبِلَهَا أَهْلُ الْعِلْمِ جَمِيعًا , وَلَمْ يَخْتَلِفُوا فِي صِحَّةِ مَجِيئِهَا , وَتَنَازَعُوا فِي تَأْوِيلِهَا. فَقَالَ قَوْمٌ: الْعَرَايَا أَنَّ الرَّجُلَ يَكُونُ لَهُ النَّخْلَةُ وَالنَّخْلَتَانِ , فِي وَسَطِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ , لِرَجُلٍ آخَرَ. قَالُوا: وَقَدْ كَانَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ , إِذَا كَانَ وَقْتُ الثِّمَارِ , خَرَجُوا بِأَهْلِيهِمْ إِلَى حَوَائِطِهِمْ , فَيَجِيءُ صَاحِبُ النَّخْلَةِ أَوِ النَّخْلَتَيْنِ بِأَهْلِهِ , فَيَضُرُّ ذَلِكَ بِأَهْلِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ. فَرَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَاحِبِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ أَنْ يُعْطِيَ صَاحِبَ النَّخْلَةِ أَوِ النَّخْلَتَيْنِ خَرْصَ مَا لَهُ مِنْ ذَلِكَ , تَمْرًا , لِيَنْصَرِفَ هُوَ وَأَهْلُهُ عَنْهُ , وَيَخْلُصَ تَمْرُ الْحَائِطِ كُلُّهُ لِصَاحِبِ النَّخْلِ الْكَثِيرِ , فَيَكُونُ فِيهِ هُوَ وَأَهْلُهُ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْقَوْلُ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ رَحِمَهُ اللهُ. وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللهُ يَقُولُ، فِيمَا سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ أَبِي عِمْرَانَ , يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِمَاعَةَ , [ص:31] عَنْ أَبِي يُوسُفَ , عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ قَالَ، مَعْنَى ذَلِكَ عِنْدَنَا، أَنَّ يُعْرِيَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ ثَمَرَ نَخْلَةٍ مِنْ نَخْلِهِ فَلَا يُسْلِمُ ذَلِكَ إِلَيْهِ حَتَّى يَبْدُوَ لَهُ , فَرَخَّصَ لَهُ أَنْ يَحْبِسَ ذَلِكَ , وَيُعْطِيَهُ مَكَانَهُ , خَرْصَهُ تَمْرًا. وَكَانَ هَذَا التَّأْوِيلُ أَشْبَهَ وَأَوْلَى , مِمَّا قَالَ مَالِكٌ , لِأَنَّ الْعَرِيَّةَ إِنَّمَا هِيَ الْعَطِيَّةُ. أَلَا يَرَى إِلَى الَّذِي مَدَحَ الْأَنْصَارَ كَيْفَ مَدَحَهُمْ , إِذْ يَقُولُ:
[البحر الطويل]
لَيْسَتْ بِسَنْهَاءٍ وَلَا رُجَبِيَّةٍ ... وَلَكِنْ عَرَايَا فِي السِّنِينَ الْجَوَائِحِ
أَيْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُعْرُونَهَا فِي السِّنِينَ الْجَوَائِحِ. فَلَوْ كَانَتِ الْعَرِيَّةُ كَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مَالِكٌ , إِذًا لَمَا كَانُوا مَمْدُوحِينَ بِهَا , إِذْ كَانُوا يُعْطَوْنَ كَمَا يُعْطَوْنَ , وَلَكِنِ الْعَرِيَّةُ بِخِلَافِ مَا قَالَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ ذَكَرْتَ فِي حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ , وَرَخَّصَ فِي الْعَرَايَا» , فَصَارَتِ الْعَرَايَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا هِيَ بَيْعُ ثَمَرٍ بِتَمْرٍ , قِيلَ لَهُ: لَيْسَ فِي الْحَدِيثِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ , إِنَّمَا فِيهِ ذِكْرُ الرُّخْصَةِ فِي الْعَرَايَا , مَعَ ذِكْرِ النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ , وَقَدْ يُقْرَنُ الشَّيْءُ بِالشَّيْءِ وَحُكْمُهُمَا مُخْتَلِفٌ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ ذَكَرَ التَّوْقِيفَ فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَلَى خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , وَفِي ذِكْرِهِ ذَلِكَ , مَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ حُكْمُ مَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ , كَحُكْمِهِ. قِيلَ لَهُ: مَا فِيهِ مَا يَنْفِي شَيْئًا مِمَّا ذَكَرْتَ , وَإِنَّمَا يَكُونُ ذَلِكَ كَذَلِكَ , لَوْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَكُونُ الْعَرِيَّةُ إِلَّا فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , أَوْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ «. فَإِذَا كَانَ الْحَدِيثُ إِنَّمَا فِيهِ» أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ , أَوْ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ " , فَذَلِكَ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِيهِ لِقَوْمٍ فِي عَرِيَّةٍ لَهُمْ هَذَا مِقْدَارُهَا. فَنَقَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ذَلِكَ , وَأَخْبَرَ بِالرُّخْصَةِ فِيمَا كَانَتْ , وَلَا يَنْفِي ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ تِلْكَ الرُّخْصَةُ جَارِيَةً فِيمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي حَدِيثِ عُمَرَ وَجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا» فَصَارَ ذَلِكَ مُسْتَثْنًى مِنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ بَيْعُ ثَمَرٍ بِتَمْرٍ. قِيلَ لَهُ: قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَصَدَ بِذَلِكَ إِلَى الْمُعْرَى لَهُ فَرَخَّصَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ تَمْرًا , بَدَلًا مِنْ تَمْرٍ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ ; لِأَنَّهُ يَكُونُ بِذَلِكَ , فِي مَعْنَى الْبَائِعِ , وَذَلِكَ لَهُ حَلَالٌ , فَيَكُونُ الِاسْتِثْنَاءُ لِهَذِهِ الْعِلَّةِ. وَفِي حَدِيثِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ «إِلَّا أَنَّهُ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ , بِخَرْصِهَا تَمْرًا يَأْكُلُهَا أَهْلُهَا رُطَبًا» فَقَدْ ذَكَرَ لِلْعَرِيَّةِ أَهْلًا , وَجَعَلَهُمْ يَأْكُلُونَهَا رُطَبًا , وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ إِلَّا وَمَلَكَهَا الَّذِينَ عَادَتْ إِلَيْهِمْ بِالْبَدَلِ الَّذِي أُخِذَ مِنْهُمْ , فَذَلِكَ يُثْبِتُ قَوْلَ أَبِي حَنِيفَةَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: لَوْ كَانَ تَأْوِيلُ هَذِهِ الْآثَارِ , مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَمَا كَانَ لِذِكْرِ الرُّخْصَةِ فِيهَا مَعْنًى. [ص:32] قِيلَ لَهُ: بَلْ لَهُ مَعْنًى صَحِيحٌ , وَلَكِنْ قَدِ اخْتَلَفَ فِيهِ مَا هُوَ. فَقَالَ عِيسَى بْنُ أَبَانَ: مَعْنَى الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ , أَنَّ الْأَمْوَالَ كُلَّهَا , لَا يَمْلِكُ بِهَا إِبْدَالًا , إِلَّا مَنْ كَانَ مَالِكَهَا , لَا يَبِيعُ رَجُلٌ مَا لَا يَمْلِكُ بِبَدَلِهِ , فَيَمْلِكُ ذَلِكَ الْبَدَلَ. وَإِنَّمَا يَمْلِكُ ذَلِكَ الْبَدَلَ إِذَا مَلَكَهُ , بِصِحَّةِ مِلْكِهِ لِلشَّيْءِ الَّذِي هُوَ بَدَلٌ مِنْهُ. قَالَ: فَالْمُعْرَى , لَمْ يَكُنْ مَلَكَ الْعَرِيَّةَ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ قَبَضَهَا , وَالتَّمْرُ الَّذِي يَأْخُذُهُ بَدَلًا مِنْهَا , قَدْ جُعِلَ طَيِّبًا لَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , وَهُوَ بَدَلٌ مِنْ رُطَبٍ لَمْ يَكُنْ مَلَكَهُ. قَالَ: فَهَذَا هُوَ الَّذِي قَصَدَ بِالرُّخْصَةِ إِلَيْهِ. وَقَالَ غَيْرُهُ , الرُّخْصَةُ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَعْرَى الرَّجُلَ الشَّيْءَ مِنْ ثَمَرِهِ , وَقَدْ وَعَدَهُ أَنْ يُسَلِّمَهُ إِلَيْهِ لِيَمْلِكَهُ الْمُسَلَّمُ إِلَيْهِ بِقَبْضِهِ إِيَّاهُ , وَعَلَى الرَّجُلِ فِي دِينِهِ أَنْ يَفِيَ بِوَعْدِهِ , وَإِنْ كَانَ غَيْرَ مَأْخُوذٍ بِهِ فِي الْحُكْمِ , فَرَخَّصَ لِلْمُعْرِي أَنْ يَحْتَبِسَ مَا أَعْرَى , بِأَنْ يُعْطِيَ الْمُعْرَى خَرْصَهُ تَمْرًا , بَدَلًا مِنْهُ , مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ آثِمًا , وَلَا فِي حُكْمِ مَنِ اخْتَلَفَ مَوْعِدًا , فَهَذَا مَوْضِعُ الرُّخْصَةِ. وَهَذَا التَّأْوِيلُ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , أَوْلَى مِمَّا حُمِلَ عَلَيْهِ وَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ , لِأَنَّ الْآثَارَ قَدْ جَاءَتْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاتِرَةً بِالنَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ بِالتَّمْرِ. فَمِنْهَا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا
وَمِنْهَا مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১৫
empty
৫৬১৫।
5615 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১৬
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১৬। ইউনুস বলেন, ...... সাঈদ ও আবু সালামা হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তোমরা শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছের ঝুলন্ত ফল বিক্রয় করোনা।
5616 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدٌ , وَأَبُو سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَبَايَعُوا الثَّمَرَ بِالتَّمْرِ» .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬১৮
৭. আরায়া প্রসঙ্গ
৫৬১৭-১৮। ইব্ন শিহাব বলেন, সালেম ইব্ন আব্দিল্লাহ্ তার পিতার মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে হুবহু অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইয়াযীদ ও ইব্ন আবী দাউদ বলেন, ..... সালেম তার পিতার মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইয়াযীদ ও ইব্ন আবী দাউদ বলেন, ..... সালেম তার পিতার মাধ্যমে নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
5617 - قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَحَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ سَوَاءً
5618 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ، وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
5618 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ، وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬১৮
empty
৫৬১৮।
5618 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান