শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৪৯০
অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯০। ইউনুস ইবনে আব্দিল আ'লা বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওয়াহব ..... মা'মার ইবনে আব্দুল্লাহ হতে বর্ণনা করেন। একবার তিনি তার একজন গােলামকে এক সা' গম দিয়ে (বাজারে) পাঠালেন। তিনি তাকে বললেন, এই গমের বিনিময়ে যব ক্রয় করে নিয়ে এস। গােলামটি গিয়ে এক ‘সা’ গমের বিনিময়ে এক ‘সা’ অপেক্ষা কিছু অধিক যব নিয়ে এল। যখন সে মা'মার-কে খবর দিল, তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি এমন করেছ কেন? এটা ফিরিয়ে দাও এবং গমের সমপরিমাণ যব নিয়ে এসাে। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, খাদ্য খাদ্যের বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয় কর। আর সেকালে আমাদের খাদ্য বলতে শুধু যব ছিল। তখন হযরত মা'মারকে বলা হলাে, যব তাে আর গমের মত নয়। জবাবে তিনি বললেন, আমার আশংকা হয়। যে, যব গমের সদৃশ-ই হবে।
বিশ্লেষণ
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল উলামা এ হাদীসকে গ্রহণ করেছেন।* তারা বলেন, যবের বিনিময়ে গম ক্রয়-বিক্রয় করলে সমান সমান লেনদেন করতে হবে। অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এঁদের বিরােধিতা করেন।** তারা বলেন, অতিরিক্ত লেন-দেনের মাধ্যমে যবের বিনিময়ে গমের ক্রয়-বিক্রয় করলে, চাই অতিরিক্ত দ্বিগুণ কিংবা তিন গুণ অথবা তার চেয়েও বেশী হােক না কেন, এতে কোন অসুবিধা নেই। যারা প্রথম বক্তব্য পেশ করেছেন, দলীল হিসেবে তারা যে হাদীস পেশ করেছেন, দ্বিতীয় পক্ষের দলীলও সেই একই হাদীসে রয়েছে। আর সে হাদীসটি হলােঃ أن معمرا أخبر عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يسمعه يقول «الطعام بالطعام , مثلا بمثل» ثم قال معمر: وكان طعامنا يومئذ الشعير
অর্থাৎ "নবী (ﷺ) হতে মা'মার বর্ণনা করেন, তিনি তাঁকে বলতে শুনতেন, খাদ্যকে খাদ্যের বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয় করবে। অতঃপর মামার বলেন, সেকালে আমাদের খাদ্য ছিল যব।"
অতএব নবী (ﷺ)-এর নিকট হতে মামার বর্ণিত হাদীসে যে খাদ্যের কথা বলা হয়েছে, সম্ভবতঃ তিনি তা দ্বারা সেই খাদ্যই উদ্দেশ্য করেছেন, যা তখন তাদের খাদ্য হিসেবে প্রচলিত ছিল। অতএব বেশ-কমের নিষিদ্ধতা কেবল যবের বিনিময়ে যব ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য হবে। বস্তুতঃ আলােচ্য হাদীসে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয়ের কোন উল্লেখই নেই, বরং হাদীসে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা কেবল মা'মার এর নিজস্ব মত ও ব্যাখ্যা। এ ব্যাপারে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে কিছুই শুনেননি। দেখুন না, তাঁকে যখন বলা হলাে যে, যব তাে আর গম নয়। অর্থাৎ দুটো বস্তু তাে আর এক নয়। তখন তিনি তার কথাকে অস্বীকার করেননি। অতএব তিনি যখন একথা বলেছিলেন আমার আশংকা, যব গমের সদৃশ, তখন তিনি যেন এই আশংকাই করেছিলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যে কথা বলতে শুনেছেন, তা সমস্ত খাদ্যের জন্য প্রযােজ্য। সুতরাং তার অন্তরে যে সন্দেহ প্রবেশ করেছিল, সে কারণেই তিনি এর থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখিত হাদীসে যখন কোন এক পক্ষের কোন দলীল নেই তখন আমরা অন্য হাদীসে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, এর সমাধানে কোন দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় কি না, আর তখনই তা আমরা। গ্রহণযােগ্য মনে করব। তখন আমরা দেখতে পাইঃ
বিশ্লেষণ
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল উলামা এ হাদীসকে গ্রহণ করেছেন।* তারা বলেন, যবের বিনিময়ে গম ক্রয়-বিক্রয় করলে সমান সমান লেনদেন করতে হবে। অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল এঁদের বিরােধিতা করেন।** তারা বলেন, অতিরিক্ত লেন-দেনের মাধ্যমে যবের বিনিময়ে গমের ক্রয়-বিক্রয় করলে, চাই অতিরিক্ত দ্বিগুণ কিংবা তিন গুণ অথবা তার চেয়েও বেশী হােক না কেন, এতে কোন অসুবিধা নেই। যারা প্রথম বক্তব্য পেশ করেছেন, দলীল হিসেবে তারা যে হাদীস পেশ করেছেন, দ্বিতীয় পক্ষের দলীলও সেই একই হাদীসে রয়েছে। আর সে হাদীসটি হলােঃ أن معمرا أخبر عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه كان يسمعه يقول «الطعام بالطعام , مثلا بمثل» ثم قال معمر: وكان طعامنا يومئذ الشعير
অর্থাৎ "নবী (ﷺ) হতে মা'মার বর্ণনা করেন, তিনি তাঁকে বলতে শুনতেন, খাদ্যকে খাদ্যের বিনিময়ে সমান সমান বিক্রয় করবে। অতঃপর মামার বলেন, সেকালে আমাদের খাদ্য ছিল যব।"
অতএব নবী (ﷺ)-এর নিকট হতে মামার বর্ণিত হাদীসে যে খাদ্যের কথা বলা হয়েছে, সম্ভবতঃ তিনি তা দ্বারা সেই খাদ্যই উদ্দেশ্য করেছেন, যা তখন তাদের খাদ্য হিসেবে প্রচলিত ছিল। অতএব বেশ-কমের নিষিদ্ধতা কেবল যবের বিনিময়ে যব ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য হবে। বস্তুতঃ আলােচ্য হাদীসে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয়ের কোন উল্লেখই নেই, বরং হাদীসে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা কেবল মা'মার এর নিজস্ব মত ও ব্যাখ্যা। এ ব্যাপারে তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে কিছুই শুনেননি। দেখুন না, তাঁকে যখন বলা হলাে যে, যব তাে আর গম নয়। অর্থাৎ দুটো বস্তু তাে আর এক নয়। তখন তিনি তার কথাকে অস্বীকার করেননি। অতএব তিনি যখন একথা বলেছিলেন আমার আশংকা, যব গমের সদৃশ, তখন তিনি যেন এই আশংকাই করেছিলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে যে কথা বলতে শুনেছেন, তা সমস্ত খাদ্যের জন্য প্রযােজ্য। সুতরাং তার অন্তরে যে সন্দেহ প্রবেশ করেছিল, সে কারণেই তিনি এর থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখিত হাদীসে যখন কোন এক পক্ষের কোন দলীল নেই তখন আমরা অন্য হাদীসে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, এর সমাধানে কোন দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় কি না, আর তখনই তা আমরা। গ্রহণযােগ্য মনে করব। তখন আমরা দেখতে পাইঃ
كِتَابُ الْبُيُوعِ: بَابٌ بَيْعُ الشَّعِيرِ بِالْحِنْطَةِ مُتَفَاضِلًا
5490 - حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الصَّدَفِيُّ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ بُسْرَ بْنَ سَعِيدٍ حَدَّثَهُ , عَنْ مَعْمَرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّهُ أَرْسَلَ غُلَامًا لَهُ بِصَاعٍ مِنْ قَمْحٍ هُوَ الْحِنْطَةُ، فَقَالَ لَهُ: بِعْهُ ثُمَّ اشْتَرِ بِهِ شَعِيرًا , فَذَهَبَ الْغُلَامُ فَأَخَذَ صَاعًا وَزِيَادَةَ بَعْضِ صَاعٍ , فَلَمَّا جَاءَ مَعْمَرٌ أَخْبَرَهُ , فَقَالَ لَهُ مَعْمَرٌ: لِمَ فَعَلْتَ؟ انْطَلِقْ فَرُدَّهُ , وَلَا تَأْخُذْ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ , فَإِنِّي كُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «الطَّعَامُ بِالطَّعَامِ , مِثْلًا بِمِثْلٍ» وَكَانَ طَعَامُنَا يَوْمَئِذٍ , الشَّعِيرَ. قِيلَ لَهُ: فَإِنَّهُ لَيْسَ مِثْلَهُ , قَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُضَارِعَهُ (أَنْ يُشْبِهَهُ) قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَلَّدُوهُ , وَقَالُوا: لَا يَجُوزُ بَيْعُ الْحِنْطَةِ بِالشَّعِيرِ , إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِبَيْعِ الْحِنْطَةِ بِالشَّعِيرِ مُتَفَاضِلًا , مِثْلَيْنِ بِمِثْلٍ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي الْحَدِيثِ الَّذِي احْتَجُّوا بِهِ عَلَيْهِمْ , أَنَّ مَعْمَرًا أَخْبَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَسْمَعُهُ يَقُولُ «الطَّعَامُ بِالطَّعَامِ , مِثْلًا بِمِثْلٍ» ثُمَّ قَالَ مَعْمَرٌ: وَكَانَ طَعَامُنَا يَوْمَئِذٍ الشَّعِيرَ. فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ الَّذِي حَكَاهُ عَنْهُ مَعْمَرٌ , الطَّعَامَ الَّذِي كَانَ طَعَامَهُمْ يَوْمَئِذٍ , فَيَكُونُ ذَلِكَ عَلَى الشَّعِيرِ بِالشَّعِيرِ , فَلَا يَكُونُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ شَيْءٌ مِنْ ذِكْرِ بَيْعِ الْحِنْطَةِ بِالشَّعِيرِ , مِمَّا ذَكَرَ فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّمَا هُوَ مَذْكُورٌ عَنْ مَعْمَرٍ , مِنْ رَأْيِهِ , وَمِنْ تَأْوِيلِهِ مَا كَانَ سَمِعَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَلَا تَرَى أَنَّهُ قِيلَ لَهُ: فَإِنَّهُ لَيْسَ مِثْلَهُ , أَيْ: لَيْسَ مِنْ نَوْعِهِ , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَى مَنْ قَالَهُ , وَكَانَ جَوَابُهُ لَهُ «إِنِّي أَخْشَى أَنْ يُضَارِعَهُ» كَأَنَّهُ خَافَ أَنْ يَكُونَ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي سَمِعَهُ يَقُولُهُ , وَهُوَ مَا ذَكَرْنَا فِي حَدِيثِهِ عَلَى الْأَطْعِمَةِ كُلِّهَا فَتَوَقَّى ذَلِكَ وَتَنَزَّهَ عَنْهُ , لِلرَّيْبِ الَّذِي وَقَعَ فِي قَلْبِهِ مِنْهُ. فَلَمَّا انْتَفَى أَنْ يَكُونَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ حُجَّةٌ لِأَحَدِ الْفَرِيقَيْنِ عَلَى صَاحِبِهِ , نَظَرْنَا هَلْ فِي غَيْرِهِ مَا يَدُلُّنَا عَلَى حُكْمِ ذَلِكَ كَيْفَ هُوَ؟ [ص:4] فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯১
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯১। আলী ইবনে শায়বা বলেন, ইয়াযীদ ইবন হারুন ..... উবাদা ইবনে ছামিত হতে বর্ণিত। একবার তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, হে লোক সকল, তােমরা বহু রকমের ক্রয়-বিক্রয় নব উদ্ভাবন করেছ। আমি জানিনা সেগুলাের বৈধতা কী? তবে সােনাকে সােনার সমান ওযন করে বিক্রয় করবে। মুদ্রাকৃতির নয় সেটাকে যেমন, মুদ্রাকৃতি যেটা সেটাকেও তেমন। আর রূপাকে রূপার বিনিময়ে সমান ওযন করে বিক্রয় করবে। হােক মুদ্রা বা অমুদ্রা। আর সােনাকে রূপার বিনিময়ে নগদ বেশ-কম পরিমাণে বিক্রয় করায় কোন অসুবিধা নেই। তবে বাকী বিক্রয় করা যাবে না। আর গমকে গমের বিনিময়ে এক ‘মুদ্দ’ এক ‘মুদ্দের’ বিনিময়ে নগদ বিক্রয় করবে। যবকে যবের বিনিময়ে এক মুদ্দ এক মুদ্দের বিনিময়ে নগদ বিক্রয় করবে। তবে যবকে গমের বিনিময়ে যে ক্ষেত্রে যবের পরিমাণ অধিক হয়, নগদ ক্রয়-বিক্রয়ে কোন ক্ষতি নেই। তবে এ ক্ষেত্রে বাকী বিক্রয় করা সঠিক নয়। আর খেজুরকে খেজুরের বিনিময়ে সমান সমান নগদ বিক্রয় করবে। এমন কি তিনি লবণের কথাও উল্লেখ করলেন। এসব ক্ষেত্রে যে বেশ-কমে লেনদেন করালাে, সে সুদী কারবার করল।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এই যে হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) তাে হযরত মা'মার (রাযিঃ)-এর ঐ মতের বিরােধিতা করেছেন, যা আমরা প্রথম হাদীসের আলােচনায় উল্লেখ করেছি। আর হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত বক্তব্যটি খােদ রাসূলুল্লাহ হতেও বর্ণিতঃ
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এই যে হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) তাে হযরত মা'মার (রাযিঃ)-এর ঐ মতের বিরােধিতা করেছেন, যা আমরা প্রথম হাদীসের আলােচনায় উল্লেখ করেছি। আর হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত বক্তব্যটি খােদ রাসূলুল্লাহ হতেও বর্ণিতঃ
5491 - فَإِذَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّهُ قَامَ فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ , إِنَّكُمْ قَدْ أَحْدَثْتُمْ بُيُوعًا , لَا أَدْرِي مَا هِيَ؟ وَإِنَّ الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ , وَزْنًا بِوَزْنٍ , تِبْرَهُ وَعَيْنَهُ , وَالْفِضَّةَ بِالْفِضَّةِ , وَزْنًا بِوَزْنٍ , تِبْرَهَا وَعَيْنَهَا , وَلَا بَأْسَ بِبَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ , وَالْفِضَّةُ أَكْثَرُهُمَا , يَدًا بِيَدٍ , وَلَا يَصْلُحُ نَسِيئًا , وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ , مُدًّا بِمُدٍّ , يَدًا بِيَدٍ , وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ , مُدًّا بِمُدٍّ , يَدًا بِيَدٍ , وَلَا بَأْسَ بِبَيْعِ الشَّعِيرِ بِالْبُرِّ , وَالشَّعِيرُ أَكْثَرُهُمَا , يَدًا بِيَدٍ , وَلَا يَصِحُّ نَسِيئَةً , وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ , حَتَّى عَدَّ الْمِلْحَ , مِثْلًا بِمِثْلٍ , مَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ , فَقَدْ أَرْبَى» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ رِضْوَانُ اللهِ عَلَيْهِ قَدْ خَالَفَ مَعْمَرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ فِيمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا عَنْهُ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا الْكَلَامُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯২
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯২। ইসমাঈল ইবনে ইয়াহইয়া আলমুযানী বলেন, মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রীস ..... হযরত উবাদা ইবনে ছামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা সােনার বিনিময়ে সােনা, রূপার বিনিময়ে রূপা, গমের বিনিময়ে গম আর যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর এবং লবণের বিনিময়ে লবণ, সমান সমান ও নগদ ব্যতীত বিক্রয় কর না। কিন্তু রূপার বিনিময়ে সােনা, সােনার বিনিময়ে রূপা, যবের বিনিময়ে গম এবং গমের বিনিময়ে যব, লবণের বিনিময়ে খেজুর ও খেজুরের বিনিময়ে লবণ, নগদ যেমন ইচ্ছা বিক্রয় করতে পার। তিনি বলেন, তাদের দুজনের একজন লবণের বিনিময়ে খেজুর কম করতে ও অপরজন বেশী করতে পারবে। (কিন্তু মাল একশ্রেণীর হলে) যে ব্যক্তি বেশী দিল কিংবা বেশী নিল সে সুদী কারবার করল।
5492 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، وَرَجُلٍ آخَرَ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ , وَلَا الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ , وَلَا الْبُرَّ بِالْبُرِّ , وَلَا الشَّعِيرَ بِالشَّعِيرِ , وَلَا التَّمْرَ بِالتَّمْرِ , وَلَا الْمِلْحَ بِالْمِلْحِ إِلَّا سَوَاءً بِسَوَاءٍ , عَيْنًا بِعَيْنٍ , وَلَكِنْ بِيعُوا الذَّهَبَ بِالْوَرِقِ , وَالْوَرِقَ بِالذَّهَبِ , وَالْبُرَّ بِالشَّعِيرِ , وَالشَّعِيرَ بِالْبُرِّ وَالتَّمْرَ بِالْمِلْحِ , وَالْمِلْحَ بِالتَّمْرِ يَدًا بِيَدٍ , كَيْفَ شِئْتُمْ» . قَالَ: وَنَقَصَ أَحَدُهُمَا , «التَّمْرَ بِالْمِلْحِ» , وَزَادَ الْآخَرُ «مَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯৩
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯৩। মুহাম্মাদ ইবনে খুযায়মা .... আয়্যূব হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
5493 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ، عَنْ أَيُّوبَ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯৪
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯৪। সুলায়মান ইবনে শু'আইব আল-কায়সান বলেন, ..... আবুল আশ'আস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাদা ইবনে ছামিত (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করেছেন, অথবা তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তােমরা সােনাকে সােনার বিনিময়ে এবং রূপাকে রূপার বিনিময়ে সমান ওজন করা ব্যতীত ক্রয়-বিক্রয় কর না। আর খেজুরকে খেজুরের বিনিময়ে, গমকে গমের বিনিময়ে, যবকে যবের বিনিময়ে ও লবণকে লবণের বিনিময়ে ও সমান পরিমাণ ও নগদ ব্যতীত ক্রয়-বিক্রয় কর না। অতঃপর যে ব্যক্তি অতিরিক্ত দিল, কিংবা অতিরিক্ত নিল সে সুদের লেন-দেন করল। কিন্তু তােমরা সােনাকে রূপার বিনিময়ে, গমকে যবের বিনিময়ে এবং খেজুরকে লবণের বিনিময়ে নগদ যেমন ইচ্ছা ক্রয়-বিক্রয় কর।
5494 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ الْكَيْسَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي يُوسُفَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ، قَالَ: سَمِعْتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ، يَقُولُ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَبَايَعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ , وَلَا الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ إِلَّا وَزْنًا بِوَزْنٍ وَلَا التَّمْرَ بِالتَّمْرِ وَلَا الْحِنْطَةَ بِالْحِنْطَةِ وَلَا الشَّعِيرَ بِالشَّعِيرِ وَلَا الْمِلْحَ بِالْمِلْحِ إِلَّا سَوَاءً بِسَوَاءٍ عَيْنًا بِعَيْنٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى وَلَكِنْ بِيعُوا الذَّهَبَ بِالْوَرِقِ وَالْحِنْطَةَ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرَ بِالْمِلْحِ يَدًا بِيَدٍ كَيْفَ شِئْتُمْ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯৫
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯৫-৯৬। সুলায়মান ইব্ন শুআইব ...... হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, নবী (ﷺ) সোনাকে সোনার বিনিময়ে সমান সমান ওজন ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, মুদ্রা অমুদ্রা সর্ব প্রকার সোনাকে এবং রূপাকে রূপার বিনিময়ে সমান পরিমাণ ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন মুদ্রা অমুদ্রা সম্পর্কে এবং তিনি যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর এবং লবণের বিনিময়ে লবণ সমপরিমাণ মেপে ক্রয়-বিক্রয় করার কথা উল্লেখ করেছেন। অতঃপর যে ব্যক্তি অতিরিক্ত দিল, কিংবা অতিরিক্ত নিল সে সুদী কারবার করল। অবশ্য গমের বিনিময়ে অতিরিক্ত যব দিয়ে নগদ ক্রয়-বিক্রয়ে কোন অসুবিধা নেই ।
সুলায়মান ইবনে শু'আইব ..... হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।*
সুলায়মান ইবনে শু'আইব ..... হযরত উবাদা ইবন ছামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।*
5495 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ أَنْ يُبَاعَ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ , تِبْرُهُ وَعَيْنُهُ , [ص:5] إِلَّا وَزْنًا بِوَزْنٍ , وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ , تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا , إِلَّا مَثَلًا بِمِثْلٍ , وَذَكَرَ الشَّعِيرَ بِالشَّعِيرِ , وَالتَّمْرَ بِالتَّمْرِ , وَالْمِلْحَ بِالْمِلْحِ كَيْلًا بِكَيْلٍ , فَمَنْ زَادَ , أَوِ ازْدَادَ , فَقَدْ أَرْبَى. وَلَا بَأْسَ بِبَيْعِ الشَّعِيرِ بِالْبُرِّ , يَدًا بِيَدٍ , وَالشَّعِيرُ أَكْثَرُهُمَا
5496 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ
5496 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ، قَالَ: ثنا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯৬
empty
৫৪৯৬।
5496 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৪৯৭
১. পরস্পরে অতিরিক্ত লেন-দেন করে গমের বিনিময়ে যব বিক্রয় প্রসঙ্গ
৫৪৯৭। ইবরাহীম ইবনে আবী দাউদ ..... মুসলিম ইবনে ইয়াসার এবং অন্য আর একজন রাবী হতে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, “একবার এক মানযিলে হযরত উবাদা ইবনে ছামিত ও আবু মু'আবিয়া (রাযিঃ) একটি গির্জায় একত্রিত হন। তখন হযরত উবাদা ইবনে ছামিত (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ ইরশাদ করেছেন, “তােমরা সােনার বিনিময়ে সােনা, রূপার বিনিময়ে রূপা, গমের বিনিময়ে গম, যবের বিনিময়ে যব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর এবং লবণের বিনিময়ে লবণ সমান সমান ও নগদ ব্যতীত ক্রয়-বিক্রয় কর না। রাবীদ্বয়ের একজন বলেন, হযরত উবাদা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করেছেন, “আমরা যেন সােনাকে রূপার বিনিময়ে গমকে যবের বিনিময়ে এবং যবকে গমের বিনিময়ে যেমন ইচ্ছা তেমন বিক্রয় করি”।**
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আবু জাফর বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত এসব হাদীসে দ্বিগুণ যবের বিনিময়ে একগুণ গম বিক্রয় করা যে জায়িয সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব বিভিন্ন শ্রেণীর খাদ্যসামগ্রীর বেশকম পরিমাণের বিনিময়ের বৈধতা ‘হাদীসিয় দলিল দ্বারা প্রমাণিত হল। অতঃপর আমরা যুক্তির আলােকে এর হুকুম অন্বেষণ করেছি, যাতে আমরা যুক্তির মাধ্যমে এর সঠিক ফায়সালা জানতে পারি। আমরা নবী (ﷺ)-এর সাহাবায়ে কিরামকে দেখেছি, তারা ‘ইয়ামীন' (বা কসম) এর কাফফারা কি পরিমাণ গম হবে, সে বিষয়ে মতপার্থক্য করেছেন। কেউ কেউ বলেন, প্রতি মিসকীনকে অর্ধ ছা গম দিতে হবে। আবার কেউ বলেন, প্রতি মিসকীনকে এক মুদ্দ গম দিতে হবে। অতঃপর দেখা যায় তারা অর্ধ ছা গম নির্ধারণ করেন, তারা যবের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করেন এক-ছা। আর যারা এক মুদ্দ গম নির্ধারণ করেন, তারা যবের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করেন দু মুদ্দ। আর এসব বিষয় আমরা অন্য স্থানে সাহাবা কিরাম হতে সনদসহ পূর্বেই আলােচনা করেছি। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, গম ও যব দুটো পৃথক বস্তু। কারণ, অভিন্ন হলে একটির জন্য অন্যটি অবশ্যই যথেষ্ট হত।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, গমের স্থানে যবের পরিমাণ তাে অতিরিক্ত এ কারণে প্রদান করা হয় যে, গমের তুলনায় যবের মূল্য বেশী এবং যব সস্তা। তবে প্রশ্নের জবাব হলাে, 'ইয়ামীন' এর কাফফারা আদায় করার ব্যাপারে কিন্তু উত্তম গম ও অনুত্তম গমকে পৃথক করে দেখা হয় না, দুটোকেই দেখি, সমপরিমাণ দেয়া হয়। অনুরূপভাবে যব দ্বারা কাফফারা আদায় করার ক্ষেত্রেও উত্তম ও অনুত্তম যবে কোন পার্থক্য করা হয় না। দেখুন না, যে ব্যক্তির ওপর 'ইয়ামীন' এর কাফফারা ওয়াজিব হলাে আর সে প্রতি মিসকীনকে অর্ধ মুদ্দ দান করল, যা অর্ধ ছা' এর সমমানের হলাে, তা কিন্তু তার অর্ধ ছা'র গমের জন্য যথেষ্ট হবে না আর এক মুদ্দ গমের জন্যও যথেষ্ট হবে না। অতএব আমরা যা উল্লেখ করলাম তা যখন এরকমই এবং ‘ইয়ামীন' এর কাফফারা সমূহেও গমের মতই যব দ্বারা কাফফারা আদায় করা হত। এতে একথা প্রমাণিত হয় যে, যব গম হতে পৃথক বস্তু। অতএব এ দ্বারা একথা প্রমাণিত হলাে যে, দ্বিগুণ ও ততােধিক যবের বিনিময়ে একগুণ গম ক্রয়-বিক্রয় করায় কোন অসুবিধা নেই। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মাযহাব।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ) এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
আবু জাফর বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত এসব হাদীসে দ্বিগুণ যবের বিনিময়ে একগুণ গম বিক্রয় করা যে জায়িয সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব বিভিন্ন শ্রেণীর খাদ্যসামগ্রীর বেশকম পরিমাণের বিনিময়ের বৈধতা ‘হাদীসিয় দলিল দ্বারা প্রমাণিত হল। অতঃপর আমরা যুক্তির আলােকে এর হুকুম অন্বেষণ করেছি, যাতে আমরা যুক্তির মাধ্যমে এর সঠিক ফায়সালা জানতে পারি। আমরা নবী (ﷺ)-এর সাহাবায়ে কিরামকে দেখেছি, তারা ‘ইয়ামীন' (বা কসম) এর কাফফারা কি পরিমাণ গম হবে, সে বিষয়ে মতপার্থক্য করেছেন। কেউ কেউ বলেন, প্রতি মিসকীনকে অর্ধ ছা গম দিতে হবে। আবার কেউ বলেন, প্রতি মিসকীনকে এক মুদ্দ গম দিতে হবে। অতঃপর দেখা যায় তারা অর্ধ ছা গম নির্ধারণ করেন, তারা যবের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করেন এক-ছা। আর যারা এক মুদ্দ গম নির্ধারণ করেন, তারা যবের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করেন দু মুদ্দ। আর এসব বিষয় আমরা অন্য স্থানে সাহাবা কিরাম হতে সনদসহ পূর্বেই আলােচনা করেছি। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, গম ও যব দুটো পৃথক বস্তু। কারণ, অভিন্ন হলে একটির জন্য অন্যটি অবশ্যই যথেষ্ট হত।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, গমের স্থানে যবের পরিমাণ তাে অতিরিক্ত এ কারণে প্রদান করা হয় যে, গমের তুলনায় যবের মূল্য বেশী এবং যব সস্তা। তবে প্রশ্নের জবাব হলাে, 'ইয়ামীন' এর কাফফারা আদায় করার ব্যাপারে কিন্তু উত্তম গম ও অনুত্তম গমকে পৃথক করে দেখা হয় না, দুটোকেই দেখি, সমপরিমাণ দেয়া হয়। অনুরূপভাবে যব দ্বারা কাফফারা আদায় করার ক্ষেত্রেও উত্তম ও অনুত্তম যবে কোন পার্থক্য করা হয় না। দেখুন না, যে ব্যক্তির ওপর 'ইয়ামীন' এর কাফফারা ওয়াজিব হলাে আর সে প্রতি মিসকীনকে অর্ধ মুদ্দ দান করল, যা অর্ধ ছা' এর সমমানের হলাে, তা কিন্তু তার অর্ধ ছা'র গমের জন্য যথেষ্ট হবে না আর এক মুদ্দ গমের জন্যও যথেষ্ট হবে না। অতএব আমরা যা উল্লেখ করলাম তা যখন এরকমই এবং ‘ইয়ামীন' এর কাফফারা সমূহেও গমের মতই যব দ্বারা কাফফারা আদায় করা হত। এতে একথা প্রমাণিত হয় যে, যব গম হতে পৃথক বস্তু। অতএব এ দ্বারা একথা প্রমাণিত হলাে যে, দ্বিগুণ ও ততােধিক যবের বিনিময়ে একগুণ গম ক্রয়-বিক্রয় করায় কোন অসুবিধা নেই। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মাযহাব।
5497 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ: ثنا سَلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، وَذَكَرَ آخَرَ حَدَّثَاهُ , أَوْ، حَدَّثَنَا قَالَ: جَمَعَ الْمَنْزِلُ بَيْنَ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَمُعَاوِيَةَ , فِي كَنِيسَةٍ أَوْ بِيعَةٍ. فَحَدَّثَ عُبَادَةُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ , وَلَا الْوَرِقَ بِالْوَرِقِ , وَلَا الْبُرَّ بِالْبُرِّ , وَلَا الشَّعِيرَ بِالشَّعِيرِ , وَلَا التَّمْرَ بِالتَّمْرِ , وَلَا الْمِلْحَ بِالْمِلْحِ , إِلَّا سَوَاءً بِسَوَاءٍ , عَيْنًا بِعَيْنٍ» قَالَ أَحَدُهُمَا , وَلَمْ يَقُلِ الْآخَرُ: قَالَ عُبَادَةُ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَبِيعَ الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ , وَالْبُرَّ بِالشَّعِيرِ , وَالشَّعِيرَ بِالْبُرِّ , يَدًا بِيَدٍ , كَيْفَ شِئْنَا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِبَاحَةُ بَيْعِ الشَّعِيرِ بِالْحِنْطَةِ مِثْلَيْنِ بِمِثْلٍ , فَقَدْ ثَبَتَ الْقَوْلُ بِذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ , ثُمَّ الْتَمَسْنَا حُكْمَ ذَلِكَ مِنَ الْحِنْطَةِ كَمْ هِيَ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: هِيَ نِصْفُ صَاعٍ لِكُلِّ مِسْكِينٍ , وَقَالَ بَعْضُهُمْ: هِيَ مُدٌّ لِكُلِّ مِسْكِينٍ. فَكَانَ الَّذِينَ جَعَلُوهَا مِنَ الْحِنْطَةِ نِصْفَ صَاعٍ , يَجْعَلُونَهَا مِنَ الشَّعِيرِ صَاعًا , وَكَانَ الَّذِي جَعَلُوهَا مِنَ الْحِنْطَةِ مُدًّا , يَجْعَلُونَهَا مِنَ الشَّعِيرِ مُدَّيْنِ , وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ عَنْهُمْ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُمَا نَوْعَانِ مُخْتَلِفَانِ , لِأَنَّهُمَا لَوْ كَانَا مِنْ نَوْعٍ وَاحِدٍ , إِذًا لَأَجْزَأَ مِنْ أَحَدِهِمَا مَا يُجْزِئُ مِنَ الْآخَرِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّهُ إِنَّمَا زِيدَ فِي الشَّعِيرِ , عَلَى مَا جُعِلَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْحِنْطَةِ , لِغُلُوِّ الْحِنْطَةِ , وَاتِّسَاعِ الشَّعِيرِ. فَالْجَوَابُ لَهُ فِي ذَلِكَ , أَنَّا رَأَيْنَا مَا يُعْطَى مِنْ جَيِّدِ الْحِنْطَةِ وَمِنْ رَدِيئِهَا فِي كَفَّارَةِ الْأَيْمَانِ سَوَاءً , وَكَذَلِكَ الشَّعِيرُ. أَلَا تَرَى أَنَّ مَنْ وَجَبَتْ عَلَيْهِ كَفَّارَةُ يَمِينٍ , فَأَعْطَى كُلَّ مِسْكِينٍ نِصْفَ مُدٍّ , يُسَاوِي نِصْفَ صَاعٍ , أَنَّ ذَلِكَ لَا يُجْزِئُهُ مِنْ نِصْفِ صَاعٍ , وَلَا مِنْ مُدٍّ. فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ , وَكَانَ الشَّعِيرُ يُؤَدَّى مِنْهُ كَفَّارَاتُ الْأَيْمَانِ مِثْلَيْ مَا يُؤَدَّى مِنَ الْحِنْطَةِ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ نَوْعٌ خِلَافُ الْحِنْطَةِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنْ لَا بَأْسَ بِبَيْعِهِ بِالْحِنْطَةِ , مِثْلَيْنِ بِمِثْلٍ وَأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান