শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৬ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৮৩৪
অধ্যায়ঃ অপরাধের শাস্তি বিধান।
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৩৪। ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ) ….. উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বনেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার থেকে তোমরা শরীয়তের বিধান গ্রহণ কর। আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য শাস্তির বিধান প্রদান করেছেন। অবিবাহিত যদি অবিবাহিতার সাথে এবং বিবাহিত যদি বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে অবিবাহিতকে বেত্রাঘাত করা হবে ও তাকে নির্বাসন দেয়া হবে। আার বিবাহিত-কে বেত্রাঘাত করা হবে ও প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হবে।
كِتَابُ الْحُدُودِ بَابٌ حَدُّ الْبِكْرِ فِي الزِّنَا.
4834 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنِ الْحَسَنِ , عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الرَّقَاشِيِّ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ الْبِكْرُ تُجْلَدُ وَتُنْفَى , وَالثَّيِّبُ تُجْلَدُ وَتُرْجَمُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৩৫
অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
4834 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , وَعِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغَافِقِيُّ , قَالَا: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ , وَشِبْلٍ , قَالُوا: كُنَّا قُعُودًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللهَ إِلَّا قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَقَالَ خَصْمُهُ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ. فَقَالَ: صَدَقَ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللهِ وَإِيذَنْ لِي. قَالَ قُلْ قَالَ: إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ , فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ ثُمَّ سَأَلْتُ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ , وَعَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ. فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ , لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللهِ الْمِائَةُ الشَّاةُ وَالْخَادِمُ رَدٌّ عَلَيْكَ , وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ , وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ إِلَى امْرَأَةِ هَذَا , فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا فَغَدَا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ , فَرَجَمَهَا "

4835 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , وَمَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ , قَالَا: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْبِكْرَ إِذَا زَنَى , فَعَلَيْهِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ جَمِيعًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: حَدُّ الْبِكْرِ إِذَا زَنَى جَلْدُ مِائَةٍ وَلَا نَفْيَ عَلَيْهِ مَعَ الْجَلْدِ إِلَّا أَنْ يَرَى الْإِمَامُ أَنْ يَنْفِيَهُ لِلدِّعَارَةِ الَّتِي كَانَتْ مِنْهُ فَيَنْفِيهِ إِلَى حَيْثُ أَحَبَّ كَمَا يُنْفَى الدُّعَّارُ وَغَيْرُ الزُّنَاةِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ وَلَمْ تُحْصَنْ. فَقَالَ إِذَا زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا , ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ بِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ» . قَالَ مَالِكٌ: قَالَ ابْنُ شِهَابٍ لَا أَدْرِي أَبَعْدَ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৩৫
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৩৫। ইবনে আবু দাউদ (রাহঃ) ….. সালামা ইবনে আল-মুহব্বিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমরা আমার থেকে শরীয়তের বিধি-বিধান গ্রহণ কর। আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য শাস্তির বিধান প্রদান করেছেনঃ অবিবাহিত যদি অবিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে একশটি বেত্রাঘাত করেবে এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন প্রদান করবে আর বিবাহিত যদি বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে একশটি বেত্রাঘাত করেবে এবং প্রস্তর মেরে হত্যা করতে হবে।
4835 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ قَالَ: ثنا وَكِيعٌ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ دَلْهَمٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خُذُوا عَنِّي قَدْ جَعَلَ اللهُ لَهُنَّ سَبِيلًا الْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْيُ سَنَةٍ , وَالثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৩৭
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৩৬-৩৭। ইউনুস (রাহঃ) ও ঈসা ইবন ইবরাহীম অলি-গাফিকী (রাহঃ) ..... আবু হুরাইরা (রাযিঃ), যায়দ ইবন আলিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) এবং শিবল (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, আমরা এক সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দরবারে এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিচ্ছি, আপনি যেন আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাবের হুকুম মুতাবিক ফায়সালা প্রদান করেন। তখন তার প্রতিপক্ষও দণ্ডায়মান হলেন। তিনি ছিলেন প্রথম পক্ষ থেকে বেশী জ্ঞানী। তিনি বললেন, আমার প্রতিপক্ষ সত্য বলেছেন। আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করুন এবং আমাকে আরযী পেশ করতে অনুমতি প্রদান করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আপনি বলুন, তখন তিনি বললেন, “আমার ছেলে সে ছিল পথভ্রষ্ট, অতঃপর সে এ লােকটির স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিল এরপর আমি তার কাছে একশ বকরী ও একটি গােলাম দণ্ড আদায় করি। অতঃপর আমি কিছু সংখ্যক জ্ঞানী লােকদেরকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করি, তারা আমাকে বলে যে, আমার ছেলের জন্যে একশ বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন দিতে হবে। আর মহিলাটিকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করতে হবে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “যে তার হাতে আমার প্রাণ নাস্ত, তার নামে শপথ করে বলছি, আমি তােমাদের দুই জনের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করব। একশটি বকরী এবং গোলাম তােমার কাছে ফেরত আসবে। আর তােমার ছেলের জন্য রয়েছে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন। হে উনাইস! তুমি এ লােকটির স্ত্রীর কাছে যাও, যদি সে অপরাধের কথা স্বীকার করে তাহলে তাকে ‘রাজম’ করো। উনাইস (রাযিঃ) মহিলাটির কাছে গেলেন, আর সে অপরাধ স্বীকার করল এবং উনাইস তাকে ‘রাজম’ করলেন।
4836 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , وَعِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغَافِقِيُّ , قَالَا: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , " عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ , وَشِبْلٍ , قَالُوا: كُنَّا قُعُودًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللهَ [ص:135] إِلَّا قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَقَالَ خَصْمُهُ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ. فَقَالَ: صَدَقَ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللهِ وَإِيذَنْ لِي. قَالَ قُلْ قَالَ: إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ , فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ ثُمَّ سَأَلْتُ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ , وَعَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ. فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ , لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللهِ الْمِائَةُ الشَّاةُ وَالْخَادِمُ رَدٌّ عَلَيْكَ , وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ , وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ إِلَى امْرَأَةِ هَذَا , فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا فَغَدَا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ , فَرَجَمَهَا "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৩৮
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৩৮। ইউনুস (রাহঃ) ..... হযরত আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দরবারে উপবিষ্ট ছিলাম, অতঃপর তারা অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম অভিমত পেশ করেন যে, অবিবাহিত লােক যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন উভয় প্রকার শান্তি প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা উপরােক্ত হাদীসগুলােকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরােধিতা করেন। তারা বলেন, অবিবাহিত ব্যক্তি যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে একশ বেত্রাঘাত করতে হবে, তবে বেত্রাঘাতের সাথে তার জন্যে নির্বাসন নেই। হ্যাঁ, যদি ইমাম মনে করেন তার এ অপরাধের জন্যে তাকে নির্বাসনে প্রেরণ করা উচিত, তাহলে তিনি তাকে যেখানে ইচ্ছে নির্বাসনে প্রেরণ করতে পারেন, যেমন ব্যভিচারী ব্যতীত অন্যান্য অপরাধীকে নির্বাসনে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে তাদের দলীল হল নিম্নরূপঃ
4838 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , وَمَالِكٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ , قَالَا: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْبِكْرَ إِذَا زَنَى , فَعَلَيْهِ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ جَمِيعًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: حَدُّ الْبِكْرِ إِذَا زَنَى جَلْدُ مِائَةٍ وَلَا نَفْيَ عَلَيْهِ مَعَ الْجَلْدِ إِلَّا أَنْ يَرَى الْإِمَامُ أَنْ يَنْفِيَهُ لِلدِّعَارَةِ الَّتِي كَانَتْ مِنْهُ فَيَنْفِيهِ إِلَى حَيْثُ أَحَبَّ كَمَا يُنْفَى الدُّعَّارُ وَغَيْرُ الزُّنَاةِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৩৯
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৩৯। ইউনুস (ব) ......... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) -কে এমন দাসী সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হল, যে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছিল, সতীত্ব বজায় রাখে নাই। তিনি বলেন, যখন সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে তোমরা বেত্রাঘাত করবে। এরপর যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে তােমরা বেত্রাঘাত করবে। অতঃপর যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে তোমরা বেত্রাঘাত করবে। অতঃপর তাকে বিক্রি করে দেবে, এমনকি চুল নির্মিত একটি রশির বিনিময়ে হলেও। বর্ণনাকারী মালিক বলেন, ইবন শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমার সুনিশ্চিতভাবে জানা নেই, তিনবার, না চার বারের পর বিক্রির কথা বলেছেন।
4839 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ وَلَمْ تُحْصَنْ. فَقَالَ إِذَا زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا , ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ بِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ» . قَالَ مَالِكٌ: قَالَ ابْنُ شِهَابٍ لَا أَدْرِي أَبَعْدَ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৮৪০
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪০। ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইবন মালিক আল-আউসী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি সংবাদ দেন যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দাসী যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, এরপর অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি বিক্রির কথা বলেছেন তৃতীয়বারে কিংবা চতুর্থবারে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবী যায়দ ইবন খালিদ (রাযিঃ) ও অনুরূপ সংবাদ পরিবেশন করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ উপরােক্ত হাদীসে উল্লেখিত শিবল ইবন খালিদ বর্ণনাকারীর নাম ভুল। শুদ্ধ হবে শিবল ইবন খুলাইদ আল-মুযানী।
4840 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ شِبْلَ بْنَ خَالِدٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَالِكٍ الْأَوْسِيَّ أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْوَلِيدَةُ إِذَا زَنَتْ مِثْلَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ الْبَيْعُ» وَأَخْبَرَهُ زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: هَذَا خَطَأُ شِبْلٍ هَذَا ابْنُ خُلَيْدٍ الْمُزَنِيُّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪১
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪১। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন মালিক আল-আউলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, “দাসী যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তখন তাকে তােমরা বেত্রাঘাত করবে, পুনরায় যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে তােমরা বেত্রাঘাত করবে। আবার যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে তােমরা বেত্রাঘাত করবে। অতঃপর যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে একটি রশির বিনিময়ে হলেও বিক্রি করে দিবে। হাদীসে উল্লেখিত الضَّفِيرُ এর অর্থ রশি।
4841 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ , قَالَ: ثنا بَقِيَّةُ هُوَ ابْنُ الْوَلِيدِ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , [ص:136] عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , أَنَّ شِبْلَ بْنَ خُلَيْدٍ الْمُزَنِيَّ , أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَالِكٍ الْأَوْسِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «الْوَلِيدَةُ إِذَا زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا , ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِنْ زَنَتْ فَبِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ» وَالضَّفِيرُ: الْحَبْلُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৪৪
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪২-৪৪। ইউনুস (রাহঃ) ….. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তােমাদের কোন দাসী যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে বেত্রাঘাতের মাধ্যমে তােমরা শাস্তি প্রদান করবে। তার এ অপরাধের জন্যে অন্য কোন শাস্তি নেই। শান্তি প্রয়ােগের কথা তিনি তিন বার। বলেন, অতঃপর তিনি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বারে বলেন, অতঃপর তােমরা তাকে বিক্রি করে দিবে, যদিও একটি রশির বিনিময়ে হয়।

বাহার ইবন নসর (রাহঃ) ......... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।

ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
44 - 4842 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا الْحَدَّ , وَلَا يُثَرِّبْ عَلَيْهَا قَالَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ ثُمَّ بِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ» .

حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ , حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ , عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: فَذَكَرَ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৮৪৩
empty
৪৮৪৩।
4843 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪৪
empty
৪৮৪৪।
4844 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪৫
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪৫। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... উব্বাদ ইবুন তামীম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার চাচা হতে বর্ণনা করেন, তিনি ছিলেন একজন সাহাবী। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তােমরা তাকে বেত্রাঘাত করবে। পুনরায় যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাকে তােমরা বেত্রাঘাত করবে। আবারও যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তােমরা তাকে বেত্রাঘাত করবে অতঃপর তাকে বিক্রি করে দিবে, যদি একটি রশিরও বিনিময়ে হয়।
4845 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو أُوَيْسٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ , عَنْ عَمِّهِ , وَكَانَتْ , لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا زَنَتِ الْأَمَةُ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِذَا زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ إِذَا زَنَتْ فَاجْلِدُوهَا ثُمَّ بِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৮৪৬
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪৬। আলী (রাহঃ) ...যায়দ ইবন খালিদ (রাহঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
4846 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ , قَالَ: ثنا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ , عَنْ أَبِي أُوَيْسٍ , عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ , مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪৭
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪৭। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আম্মার বিনত আব্দুর রহমান (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। এরপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেন।
4847 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ , أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مُسْلِمٍ , حَدَّثَهُ أَنَّ عُرْوَةَ حَدَّثَهُ , أَنَّ عَمْرَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪৮
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪৮। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে তাদের এক দাসী সম্বন্ধে সংবাদ দেয়া হল যে, সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে তার কাছে প্রেরণ করেন এবং বলেন, তুমি যাও এবং তার উপর শাস্তি প্রয়ােগ কর। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, আমি গেলাম এবং আমি তাকে পেলাম যে তার রক্ত এখনাে শুকায়নি। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ফেরত আসলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি তােমার উপর অর্পিত কর্তব্য সম্পাদন করে অবসর হয়েছ? তখন আমি বললাম, আমি তাকে পেয়েছি কিন্তু তার রক্ত এখনও শুকায়নি, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন তার রক্ত শুকিয়ে যাবে তখন তাকে বেত্রাঘাত করবে। হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তােমরা তােমাদের দাস-দাসীর উপর শাস্তি প্রয়ােগ করবে।

উলামায়ে কিরাম বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাসীকে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে বেত্রাঘাত করার হুকুম দিয়েছেন কিন্তু কেএঘাতের সাথে নির্বাসনের হুকুম দেননি। আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনুল কারিমের সূরা নিসাঃ ২৫ আয়াতে ইরশাদ করেনঃ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ অর্থাৎ “তবে তাদের শান্তি স্বাধীনা নারীর অর্ধেক।” আমরা জানতে পারলাম যে, দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার উপর স্বাধীনা নারীর অর্ধেক শাস্তি প্রয়ােগ করা ওয়াজিব হয়। অতঃপর প্রমাণিত হয় যে, দাসী যেমন ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার জন্য কোন নির্বাসন নেই, স্বাধীনা নারীও ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার জন্যে নির্বাসন নেই। কেননা আমরা ইতিমধ্যে আমাদের এ কিতাবে উল্লেখ করেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন নারীকে মাহরাম ব্যতীত তিন দিনের বেশী ভ্রমণ করতে নিষেধ করেছেন। তাই এটাও একটা দলীল যে, কোন নারী যেন মাহরাম ব্যতীত ব্যভিচারের শাস্তির ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশী ভ্ৰমণ না করে। আর এ হাদীসের দ্বারাই ব্যভিচারের ক্ষেত্রে মহিলাদের থেকে নির্বাসনের শাস্তি বাতিল করা হয়। সুতরাং দেখা যায় যে, পরাধীন নারীর ক্ষেত্রে ব্যভিচারের বেলায় যেমন নির্বাসনকে রহিত করা হয়েছে, অনুরূপ পুরুষদের থেকেও তা রহিত করা হয়েছে। আর আমাদের উল্লেখিত পরাধীনা নারীদের থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রহিত করার ফলে স্বাধীনা নারীদের থেকেও রহিত হয়ে যায় আর স্বাধীনা নারীদের ক্ষেত্রে রহিত করার বিষয়টিও স্বাধীন পুরুষদের ক্ষেত্রে রহিত হিসেবে গণ্য। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
যদি কোন ব্যক্তি বলে, “দাসী যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাকে ৬ মাসের নির্বাসন দেয়াটা স্বাধীনা নারীর নির্বাসনের অর্ধেক হিসেবে গণ্য। সে আরাে বলে, দাসীকে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার বেত্রাঘাতের শাস্তি সম্পর্কে তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যে বাণী উল্লেখ করেছ এবং তাকে চতুর্থবারের সময় বিক্রি করার যে বাণী বর্ণিত হয়েছে, তাতে রাসূলুল্লাহ তার নির্বাসনকে প্রত্যাখ্যান করেননি।" উপরােক্ত প্রশ্নকারী তার এ কথা দ্বারা তার পূর্বেকার জ্ঞানীদের বিরােধিতা করেছে এবং তাদের বাণীগুলাে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই তাকে উত্তরে বলা যায় যে, বরং, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে যে বর্ণনা পেশ করেছি, তিনি বলেছেন, যদি তােমার কোন দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাকে তার মুনিব যেন বেত্রাঘাত করে। আর চতুর্থ বারের জনা বলেছেন, সে যেন তাকে বিক্রি করে দেয়। এ বাণীটি একথার উপর দলীল যে, তার জন্যে কোন নির্বাসন নেই, কেননা তিনি সাহাবায়ে কিরামকে ব্যভিচারে লিপ্ত দাসীদের সাথে যেরূপ আচরণ করতেন তা শিক্ষা দিয়েছেন, তাই তাদের ব্যাপারে যা কিছু করা দরকার তার থেকে কোন কিছু কম করা সম্ভব নয়। আবার ৬ মাস অতিক্রান্ত হবার পূর্বে বিক্রেতা থেকে হস্তগত হওয়ার সামর্থ্য না থাকায় এটাকে বিক্রি করার আদেশ করাও সম্ভব নয়। তাকে আরাে বলা যায় যে, যা তুমি ধারণা করেছ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উনাইস (রাযিঃ) কে লক্ষ্য করে বলা, “তুমি মহিলাটির কাছে যাও, যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রাজম কর বাণীটি একথার দলীল যে, এর সাথে বেত্রাঘাত নেই, যদিও বেত্রাঘাত বাতিলের কথা এ হাদীসে উল্লেখ নেই। আর তুমি একথা বলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত বাণীর বিরােধিতা করলে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী হল, “বিবাহিত বিবাহিতার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হলে একশ বেত্রাঘাত আসবে এবং রাজম আসবে। আর এটা যখন তােমার কাছে আমাদের উল্লেখিত মতামতের বিরুদ্ধে একটি দলীল হিসেবে গণ্য, তাহলে তুমি তােমার প্রতিপক্ষকে কেন খারাপ মনে করছ, যখন সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী, “যদি তোমাদের কোন দাসী ব্যভিচার করে তাকে মুনিব বেত্রাঘাত করবে”-কে দাসার নির্বাসন বাতিলের জন্যে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে। দাসীর নির্বাসন সম্বন্ধে হাদীসের মৌনতাই তার থেকে নির্বাসনকে দূরীভূত করে, যেমন তুমিও উল্লেখ করেছ যে, রাজমের সাথে বেত্রাঘাত থেকে মৌনতা অবলম্বন ব্যভিচারী বিবাহিতের শাস্তির ক্ষেত্রে প্রস্তরের সাথে বেত্রাঘাতকে দূরীভূত করেনা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উনাইস (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে প্রস্তর দ্বারা শাস্তি প্রদান করবে। এ ক্ষেত্রে তুমি যেরূপ ভূমিকা নিয়েছ তােমার প্রতিপক্ষও রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণীতে إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ অর্থাৎ যখন তােমাদের কোন দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় فَلْيَجْلِدْهَا তখন সে যেন তাকে বেত্রাঘাত করে, অনুরূপ ভূমিকা নিয়েছে। প্রশ্নকারীকে আরাে বলা হয় যে, ব্যভিচারী ছাড়াও অন্যের ক্ষেত্রে নির্বাসন প্রয়ােগ করার ঘটনা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে দেখতে পাওয়া যায়
4848 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى التَّغْلِبِيِّ , عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ , عَنْ عَلِيٍّ , قَالَ: أُخْبِرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَمَةٍ لَهُمْ فَجَرَتْ فَأَرْسَلَنِي إِلَيْهَا فَقَالَ اذْهَبْ فَأَقِمْ عَلَيْهَا الْحَدَّ. فَانْطَلَقْتُ فَوَجَدْتُهَا لَمْ تَجِفَّ مِنْ دَمِهَا , فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ لِي: فَرَغْتَ؟ فَقُلْتُ: وَجَدْتُهَا لَمْ تَجِفَّ مِنْ دَمِهَا. فَقَالَ إِذَا هِيَ جَفَّتْ مِنْ دَمِهَا فَاجْلِدْهَا. قَالَ عَلِيٌّ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقِيمُوا الْحُدُودَ عَلَى مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ " [ص:137] قَالُوا: فَلَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ أَنْ تُجْلَدَ وَلَمْ يَأْمُرْ مَعَ الْجَلْدِ بِنَفْيٍ وَقَدْ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ «فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ» فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ مَا يَجِبُ عَلَى الْإِمَاءِ - إِذَا زَنَيْنَ - هُوَ نِصْفُ مَا يَجِبُ عَلَى الْحَرَائِرِ إِذَا زَنَيْنَ. ثُمَّ ثَبَتَ أَنْ لَا نَفْيَ عَلَى الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا أَنْ لَا نَفْيَ عَلَى الْحُرَّةِ إِذَا زَنَتْ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا أَنَّهُ نَهَى أَنْ تُسَافِرَ امْرَأَةٌ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ إِلَّا مَعَ مَحْرَمٍ فَذَلِكَ دَلِيلٌ أَيْضًا أَنْ لَا تُسَافِرَ الْمَرْأَةُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ فِي حَدِّ الزِّنَا بِغَيْرِ مَحْرَمٍ , وَفِي ذَلِكَ إِبْطَالُ النَّفْيِ عَنِ النِّسَاءِ فِي الزِّنَا , فَإِذَا انْتَفَى أَنْ يَكُونَ يَجِبُ عَلَى النِّسَاءِ اللَّاتِي غَيْرُ الْمُحْصَنَاتِ نَفْيٌ فِي الزِّنَا انْتَفَى ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ الرِّجَالِ. وَكَانَ دَرْءُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ عَنِ الْإِمَاءِ فِيمَا ذَكَرْنَا كَانَ دَرْءًا عَنِ الْحَرَائِرِ , وَفِي دَرْئِهِ إِيَّاهُ عَنِ الْحَرَائِرِ دَلِيلٌ عَلَى دَرْئِهِ إِيَّاهُ عَنِ الْأَحْرَارِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ نَفْيَ الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ سِتَّةَ أَشْهُرٍ مِثْلُ مَا تُنْفَى الْحَرَّةُ؟ وَقَالَ: لَمْ يَنْفِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّفْيَ فِيمَا ذَكَرْتُمُوهُ عَنْهُ مِنْ جَلْدِ الْأَمَةِ إِذَا زَنَتْ وَلَا بِقَوْلِهِ ثُمَّ بِيعُوهَا فِي الْمَرَّةِ الرَّابِعَةِ. فَكَانَ هَذَا الْقَائِلُ يُخَالِفُ كُلَّ مَنْ تَقَدَّمَهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَخَرَجَ مِنْ أَقَاوِيلِهِمْ. فَيُقَالُ لَهُ: بَلْ فِيمَا رَوَيْنَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا» ثُمَّ قَالَ فِي الرَّابِعَةِ فَلْيَبِعْهَا دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا نَفْيَ عَلَيْهَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا عَلَّمَهُمْ فِي ذَلِكَ مَا يَفْعَلُونَ بِإِمَائِهِمْ إِذَا زَنَيْنَ. فَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ يُقَصِّرُ فِي ذَلِكَ عَنْ جَمِيعِ مَا يَجِبُ عَلَيْهِنَّ وَمُحَالٌ أَنْ يَأْمُرَ بِبَيْعِ مَنْ لَا يَقْدِرُ مُبْتَاعُهُ عَلَى قَبْضِهِ مِنْ بَائِعِهِ , وَلَا تَصِلُ إِلَى ذَلِكَ إِلَّا بَعْدَ مُضِيِّ سِتَّةِ أَشْهُرٍ. وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا: قَدْ زَعَمْتَ أَنْتَ أَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُنَيْسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «اغْدُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا جَلْدَ عَلَيْهَا مَعَ ذَلِكَ , وَإِنْ كَانَ إِبْطَالُ الْجَلْدِ لَمْ يُذْكَرْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَجَعَلْتَ ذَلِكَ مُعَارِضًا لِمَا قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَوْلِهِ «الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ» . فَإِذَا كَانَ هَذَا عِنْدَكَ دَلِيلًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا فَمَا تُنْكِرُ عَلَى خَصْمِكَ أَنْ يَكُونَ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا» عِنْدَهُ دَلِيلًا عَلَى إِبْطَالِ النَّفْيِ عَلَى الْأَمَةِ. فَإِذَا كَانَ مَا ذَكَرْنَا فِي السُّكُوتِ عَنْ نَفْيِ الْأَمَةِ لَيْسَ يَرْفَعُ النَّفْيَ عَنْهَا فِيمَا ذَكَرْتَ أَنْتَ أَيْضًا فِي السُّكُوتِ عَنِ الْجَلْدِ مَعَ الرَّجْمِ لَا يَرْفَعُ الْجَلْدَ عَنِ الثَّيِّبِ الزَّانِي مَعَ الرَّجْمِ. وَمَا يَلْزَمُ خَصْمَكَ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا» شَيْءٌ إِلَّا لَزِمَكَ مِثْلُهُ فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُنَيْسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا» . وَيُقَالُ لَهُ: رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّفْيِ غَيْرُ الزِّنَا مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৪৯
১. অবিবাহিতের যিনার শাস্তি।
৪৮৪৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আমর ইবন শুয়াইব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা এবং তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। একবার এক ব্যক্তি তার গােলামকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে একশ বেত্রাঘাত করেন এবং তাকে এক বছরের জন্যে নির্বাসন দেন, সম্ভবত মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত ভাতা তার থেকে স্থগিত করেন এবং তাকে একটি গােলাম আযাদ করতে নির্দেশ দেন।
এ ব্যক্তির ব্যাপারে হত্যাকারী হওয়ার কারণে তাকে যে নির্বাসন দেয়ার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর এ কর্মটি আমাদের এবং তােমাদের কাছে এ কথার উপর দলীল নয় যে, এটা একটি অপরিহার্য শাস্তির বিধান, যা প্রত্যাখ্যান করা সমীচীন নয়, বরং এটা ছিল তার যুলুমের জন্যে। আর এটা একটি সাধারণ শাস্তি হিসেবে গণ্য নয়। তাহলে হে প্রশ্নকারী, তুমি কেন ব্যভিচারীর নির্বাসনকে তার যুলুমের জন্যে নির্দেশ করা হয়েছে বলে মনে করছনা? আর এটা বেত্রাঘাত ও প্রস্তরের অপরিহার্য শাস্তির ন্যায় অপরিহার্য শান্তি নয় (এরূপও তােমাকে মনে করতে হবে)।
4849 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ [ص:138] بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْوَاسِطِيُّ قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ «أَنَّ رَجُلًا قَتَلَ عَبْدَهُ مُتَعَمِّدًا فَجَلَدَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةً , وَنَفَاهُ سَنَةً وَمَحَا أَرَاهُ سَهْمَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْتِقَ رَقَبَةً» فَلَمْ يَكُنْ مَا فَعَلَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا مِنْ نَفْيِهِ الْقَاتِلَ سَنَةً دَلِيلًا عِنْدَنَا وَلَا عِنْدَكَ , عَلَى أَنَّ ذَلِكَ حَدٌّ وَاجِبٌ لَا يَنْبَغِي تَرْكُهُ. وَإِنْ كَانَ عَلَى أَنَّهُ لِلدِّعَارَةِ لَا لِأَنَّهُ حَدٌّ. فَمَا تُنْكِرُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا أَمَرَ بِهِ , مِنْ نَفْيِ الزَّانِي , عَلَى أَنَّهُ لِلدِّعَارَةِ , لَا لِأَنَّهُ حَدٌّ وَاجِبٌ كَوُجُوبِ الْجَلْدِ وَالرَّجْمِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান