শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৯. গোলাম আযাদ করা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৭২৮
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭২৮। ইউনুস (রাহঃ) …… আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উতবা ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) তাঁর ভাই সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) কে সংবাদ দিলেন যে, যাম'আর দাসীর ছেলেটি তার থেকে জন্ম হয়েছে। সুতরাং তুমি যেন তাকে নিয়ে নাও। অতঃপর মক্কা বিজয়ের বছর সা'দ (রাযিঃ) তাকে নিয়ে নিলেন এবং বললেন, এটা আমার ভাইয়ের ছেলে। আর তিনি আমাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। আব্দ ইবন যাম'আ দন্ডায়মান হলেন এবং বলেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর ছেলে। সে তার ঔরসে জন্ম নিয়েছে। তারা দু'জনেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করলেন। সা'দ (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে আমার ভাইয়ের ছেলে। তার সম্বন্ধে সে আমাকে অছিয়ত করেছে। আব্দ ইবন যাম'আ (রাযিঃ) বলেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর ছেলে। সে তার ঔরসে জন্ম নিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, হে আব্দ ইবন যাম'আ! সে তোমার। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, সন্তান শষ্যা বা স্ত্রীর জন্যে আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মুল মু'মিনীন হযরত সাওদা বিনত যাম'আ (রাযিঃ) কে বললেন, তুমি তার থেকে পর্দা করবে। এই আদেশের কারণ এই যে, তিনি উতবা এর সাথে তার সাদৃশ্য দেখেছেন। সাওদা (রাযিঃ) বলেন যে, তাঁর ইনতিকাল পর্যন্ত তাঁকে সে আর দেখতে পায়নি।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের অভিমত হল, দাসীর সাথে যখন তার মনীব সঙ্গম করে এর পর সে দাবী করুক কিংবা নাই করুক দাসীটি যে সন্তান জন্ম দেবে সেটিই মনীবের সন্তান বলে গণ্য হবে। আর তারা এ হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, হে আব্দ ইবন যাম'আ! সে তোমার। অতঃপর তিনি বলেন, সন্তান স্ত্রীর জন্যে আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর। তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে যাম'আর সাথে যুক্ত করে দিলেন। এটা যাম'আর পুত্রের দাবি করার জন্যে নয়, কেননা পুত্রের পক্ষ হতে কারো অনুকূলে পিতার সাথে নসব দাবি করা গ্রহণযোগ্য নয়, তবে এজন্য যে, তার মা ছিল যাম'আর বিছানা আর সে তার সাথে সঙ্গম করেছিল। নিম্ন বর্ণিত বর্ণনাটিও এ ব্যাপারে তাদের দলীল হিসেবে গণ্যঃ
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের অভিমত হল, দাসীর সাথে যখন তার মনীব সঙ্গম করে এর পর সে দাবী করুক কিংবা নাই করুক দাসীটি যে সন্তান জন্ম দেবে সেটিই মনীবের সন্তান বলে গণ্য হবে। আর তারা এ হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, হে আব্দ ইবন যাম'আ! সে তোমার। অতঃপর তিনি বলেন, সন্তান স্ত্রীর জন্যে আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর। তাই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে যাম'আর সাথে যুক্ত করে দিলেন। এটা যাম'আর পুত্রের দাবি করার জন্যে নয়, কেননা পুত্রের পক্ষ হতে কারো অনুকূলে পিতার সাথে নসব দাবি করা গ্রহণযোগ্য নয়, তবে এজন্য যে, তার মা ছিল যাম'আর বিছানা আর সে তার সাথে সঙ্গম করেছিল। নিম্ন বর্ণিত বর্ণনাটিও এ ব্যাপারে তাদের দলীল হিসেবে গণ্যঃ
بَابُ الْأَمَةِ يَطَؤُهَا مَوْلَاهَا ثُمَّ يَمُوتُ , وَقَدْ كَانَتْ جَاءَتْ بِوَلَدٍ فِي حَيَاتِهِ هَلْ يَكُونُ ابْنَهُ وَتَكُونُ بِهِ أُمَّ وَلَدٍ أَمْ لَا؟
4728 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: " كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ , عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ أَيْ وَصَّى إِلَيْهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ مِنِّي , فَاقْبِضْهُ إِلَيْكَ فَلَمَّا كَانَ عَامَ الْفَتْحِ أَخَذَهُ سَعْدٌ وَقَالَ ابْنُ أَخِي قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ. فَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ , فَقَالَ: أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي , وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ. فَتَسَاوَقَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ سَعْدٌ: يَا رَسُولَ اللهِ , ابْنُ أَخِي قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ. وَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ: أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ. [ص:114] قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ. . . . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ , وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ احْتَجِبِي مِنْهُ " لِمَا رَأَى بِهِ مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ , فَأَتَتْ , فَمَا رَآهَا حَتَّى لَقِيَ اللهَ تَعَالَى قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْأَمَةَ إِذَا وَطِئَهَا مَوْلَاهَا , فَقَدْ لَزِمَهُ كُلُّ وَلَدٍ يَجِيءُ بِهِ بَعْدَ ذَلِكَ , ادَّعَاهُ أَوْ لَمْ يَدَّعِهِ، وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ» ثُمَّ قَالَ «الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ , وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ» . فَأَلْحَقَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِزَمْعَةَ , لَا لِدَعْوَةِ ابْنِهِ , لِأَنَّ دَعْوَةَ الِابْنِ لِلنَّسَبِ لِغَيْرِهِ مِنْ أَبِيهِ , غَيْرُ مَقْبُولَةٍ. وَلَكِنْ لِأَنَّ أُمَّهُ كَانَتْ فِرَاشًا لِزَمْعَةَ , بِوَطْئِهِ إِيَّاهَا وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩০
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭২৯-৩০। ইউনুস (রাহঃ) …… সালিম ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেনঃ লোকগুলোর কি হয়ে গেল, তারা তাদের দাসীদের সাথে সঙ্গম করে অতঃপর তারা তাদেরকে ছেড়ে দেয়। যদি কোন দাসী আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসত আর তার মনীব তার সাথে সঙ্গম করেছে বলে আমার কাছে স্বীকার করত তাহলে আমি মনীবের সাথে তার সন্তানটিকে সংযুক্ত করে দিতাম, তারা দাসীদের ত্যাগ করুক না কেন।
ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কে অনুরূপ বলতে শুনেছি।
ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) কে অনুরূপ বলতে শুনেছি।
4729 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , قَالَ: مَا بَالُ رِجَالٍ يَطَئُونَ وَلَائِدَهُمْ , ثُمَّ يَعْزِلُونَهُنَّ لَا تَأْتِينِي وَلِيدَةٌ يَعْتَرِفُ سَيِّدُهَا أَنْ قَدْ أَلَمَّ بِهَا إِلَّا قَدْ أَلْحَقَتْ بِهِ وَلَدَهَا , فَاعْزِلُوا أَوِ اتْرُكُوا "
4730 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ , قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
4730 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْيَمَانِ , قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ , قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , يَقُولُ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭২৯
empty
৪৭২৯।
4729 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩১
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭৩১। ইউনুস (রাহঃ) …… সাফিয়া বিনত আবু ওবাইদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেনঃ লোকগুলোর কি হয়ে গেল, তারা তাদের দাসীদের সাথে সঙ্গম করে। অতঃপর তারা তাদেরকে ছেড়ে দেয়। আর দাসীরাও বের হয়ে চলে যায়। যদি কোন দাসী আমার কাছে আগমন করত এবং মনীবও স্বীকার করত যে, সে তার সাথে সঙ্গম করেছে, তাহলে আমি দাসীর সন্তানকে মনীবের সাথে সংযুক্ত করে দিতাম। এরপর তারা দাসীদেরকে ছেড়ে দিক কিংবা নিজের কাছে রাখুক।
4731 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنْ نَافِعٍ , عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ , أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , قَالَ: مَا بَالُ رِجَالٍ يَطَئُونَ وَلَائِدَهُمْ ثُمَّ يَدَعُونَهُنَّ يَخْرُجْنَ , لَا تَأْتِينِي وَلِيدَةٌ يَعْتَرِفُ سَيِّدُهَا أَنْ قَدْ أَلَمَّ بِهَا إِلَّا أَلْحَقَتْ بِهِ وَلَدَهَا , فَأَرْسِلُوهُنَّ بَعْدُ , أَوْ أَمْسِكُوهُنَّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩২
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭৩২। ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে, অতঃপর সে তার খোঁজখবর নেয়না এবং তাকে বের করে দেয় ও দাসীটি চলে যায়, অতঃপর সে সন্তানের জন্ম দেয়। তখন সন্তানটি হবে মনীবের আর তার কোন খোঁজখবর না নেয়ার দায়িত্বটিও মনীবের উপর বর্তাবে। নাফি বলেন, এটা হল উমর উবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর বিচার এবং আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ)-এর অভিমত।
অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেনঃ এ দাসীটি যে সন্তানের জন্ম দিয়েছে তা মনিবের বলে গণ্য হবেনা, যতক্ষণ না মনিব সন্তানটিকে নিজের বলে নিকটে না নেয়। নিকটে নেয়ার পূর্বে যদি সন্তানের মৃত্যু হয় তাহলে সে তার সন্তান বলে বিবেচিত হবেনা। তাদের দলীল হল, এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত প্রথম হাদীসটি। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দ ইবন যাম'আকে বলেছিলেন, সে তোমার, হে আব্দ ইবন যাম'আ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেননি, সে তোমার ভাই। তাই এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) “সে তোমার জন্য" কথাটি দ্বারা সে তার মালিকানার সম্পদ বলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘোষণা করেছেন এবং তার বংশধারা সম্বন্ধে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। আর একথার প্রমাণ এই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মুল মু'মিনীন হযরত সাওদা বিনত যাম'আ (রাযিঃ) কে তার থেকে পর্দা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে যাম'আর সন্তান বলে আখ্যায়িত করতেন তাহলে যাম'আর কন্যা তার থেকে পর্দা করতেন না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে বলতেন না, বরং আত্মীয়তা বজায় রাখার হুকুম করতেন। আর আত্মীয়তা বজায় রাখার একটি উপাদান হল পরস্পর দেখাসাক্ষাত করা। সুতরাং তা কেমন করে বৈধ হত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে ভাই হিসেবে গণ্য করার পর তাকে তার থেকে পর্দা করতে বলবেন। এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্যে বৈধ হতনা। আর কেমন করে বৈধ হত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিতেন যে, তিনি তার রিদায়ী চাচাকে দেখা করার অনুমতি দেবেন। অতঃপর হযরত সাওদা (রাযিঃ) কে বলবেন তার ভাই এবং পিতার সন্তান থেকে পর্দা করার। তবে আল্লাহ্ তা'আলা অধিক পরিজ্ঞাত, আমাদের কাছে এটার কারণ হল এ যে, তিনি সা'দ ব্যতীত আব্দ ইবন যাম'আ ও তার সমস্ত ওয়ারিসের জন্য একটি সম্পদ ছাড়া অন্য কিছুর হুকুম দেননি।
যদি কেউ বলেন, এ ঘটনার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী, الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ , وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ “অর্থাৎ সন্তান স্ত্রীর জন্যে আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে প্রস্তর” এর সংযুক্ত করার কারণ কি? জবাবে বলা যায় যে, এটা হযরত সা'দ (রাযিঃ)-এর শেখার জন্যে অর্থাৎ হে সা'দ! তুমি তাকে তোমার ভাইয়ের সন্তান বলে দাবি করছ। তোমার ভাইয়ের ফারাশ বা স্ত্রী সে ছিলনা, আর বংশ প্রমাণিত হয় ফারাশ বা স্ত্রীর দ্বারা। যখন তার জন্য বৈধ ফারাশ ছিলনা তখন সে ব্যভিচারী। আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর। এ ব্যাখ্যাটি নিম্নবর্ণিত বর্ণনাটিতেও পাওয়া যায়ঃ
অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেনঃ এ দাসীটি যে সন্তানের জন্ম দিয়েছে তা মনিবের বলে গণ্য হবেনা, যতক্ষণ না মনিব সন্তানটিকে নিজের বলে নিকটে না নেয়। নিকটে নেয়ার পূর্বে যদি সন্তানের মৃত্যু হয় তাহলে সে তার সন্তান বলে বিবেচিত হবেনা। তাদের দলীল হল, এ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত প্রথম হাদীসটি। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দ ইবন যাম'আকে বলেছিলেন, সে তোমার, হে আব্দ ইবন যাম'আ! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেননি, সে তোমার ভাই। তাই এতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) “সে তোমার জন্য" কথাটি দ্বারা সে তার মালিকানার সম্পদ বলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘোষণা করেছেন এবং তার বংশধারা সম্বন্ধে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। আর একথার প্রমাণ এই যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মুল মু'মিনীন হযরত সাওদা বিনত যাম'আ (রাযিঃ) কে তার থেকে পর্দা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যদি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে যাম'আর সন্তান বলে আখ্যায়িত করতেন তাহলে যাম'আর কন্যা তার থেকে পর্দা করতেন না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে বলতেন না, বরং আত্মীয়তা বজায় রাখার হুকুম করতেন। আর আত্মীয়তা বজায় রাখার একটি উপাদান হল পরস্পর দেখাসাক্ষাত করা। সুতরাং তা কেমন করে বৈধ হত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে ভাই হিসেবে গণ্য করার পর তাকে তার থেকে পর্দা করতে বলবেন। এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্যে বৈধ হতনা। আর কেমন করে বৈধ হত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিতেন যে, তিনি তার রিদায়ী চাচাকে দেখা করার অনুমতি দেবেন। অতঃপর হযরত সাওদা (রাযিঃ) কে বলবেন তার ভাই এবং পিতার সন্তান থেকে পর্দা করার। তবে আল্লাহ্ তা'আলা অধিক পরিজ্ঞাত, আমাদের কাছে এটার কারণ হল এ যে, তিনি সা'দ ব্যতীত আব্দ ইবন যাম'আ ও তার সমস্ত ওয়ারিসের জন্য একটি সম্পদ ছাড়া অন্য কিছুর হুকুম দেননি।
যদি কেউ বলেন, এ ঘটনার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী, الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ , وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ “অর্থাৎ সন্তান স্ত্রীর জন্যে আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে প্রস্তর” এর সংযুক্ত করার কারণ কি? জবাবে বলা যায় যে, এটা হযরত সা'দ (রাযিঃ)-এর শেখার জন্যে অর্থাৎ হে সা'দ! তুমি তাকে তোমার ভাইয়ের সন্তান বলে দাবি করছ। তোমার ভাইয়ের ফারাশ বা স্ত্রী সে ছিলনা, আর বংশ প্রমাণিত হয় ফারাশ বা স্ত্রীর দ্বারা। যখন তার জন্য বৈধ ফারাশ ছিলনা তখন সে ব্যভিচারী। আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর। এ ব্যাখ্যাটি নিম্নবর্ণিত বর্ণনাটিতেও পাওয়া যায়ঃ
4732 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , قَالَ: مَنْ وَطِئَ أَمَةً ثُمَّ ضَيَّعَهَا فَأَرْسَلَهَا تَخْرُجُ , ثُمَّ وَلَدَتْ , فَالْوَلَدُ مِنْهُ , وَالضَّيْعَةُ عَلَيْهِ. قَالَ نَافِعٌ: فَهَذَا قَضَاءُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ , وَقَوْلُ ابْنِ عُمَرَ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَا جَاءَتْ بِهِ هَذِهِ الْأَمَةُ مِنْ وَلَدٍ , فَلَا يَلْزَمُ مَوْلَاهَا إِلَّا أَنْ يُقِرَّ بِهِ , وَإِنْ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يُقِرَّ بِهِ , لَمْ يَلْزَمْهُ. [ص:115] وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا قَالَ لِعَبْدِ بْنِ زَمْعَةَ هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ وَلَمْ يَقُلْ هُوَ أَخُوكَ» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِقَوْلِهِ «هُوَ لَكَ» أَيْ: هُوَ مَمْلُوكٌ لَكَ , لِحَقِّ مَالِكٍ عَلَيْهِ مِنَ الْيَدِ , وَلَمْ يَحْكُمْ فِي نَسَبِهِ بِشَيْءٍ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ بِالْحِجَابِ مِنْهُ. فَلَوْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَدْ جَعَلَهُ ابْنَ زَمْعَةَ إِذًا لَمَا حَجَبَ بِنْتَ زَمْعَةَ مِنْهُ , لِأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَأْمُرْ بِقَطْعِ الْأَرْحَامِ بَلْ كَانَ يَأْمُرُ بِصِلَتِهَا , وَمِنْ صِلَتِهَا , التَّزَاوُرُ , فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَأْمُرَهَا وَقَدْ جَعَلَهُ أَخَاهَا بِالْحِجَابِ مِنْهُ؟ ". هَذَا لَا يَجُوزُ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَكَيْفَ يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَيْهِ , وَهُوَ يَأْمُرُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا أَنْ تَأْذَنَ لِعَمِّهَا مِنَ الرَّضَاعَةِ عَلَيْهَا , ثُمَّ يَحْجُبُ سَوْدَةَ مِمَّنْ قَدْ جَعَلَهُ أَخَاهَا وَابْنَ أَبِيهَا؟ , وَلَكِنَّ وَجْهَ ذَلِكَ - عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ - أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ حَكَمَ فِيهِ بِشَيْءٍ غَيْرِ الْيَدِ , الَّتِي جَعَلَهُ بِهَا لِعَبْدِ بْنِ زَمْعَةَ , وَلِسَائِرِ وَرَثَةِ زَمْعَةَ دُونَ سَعْدٍ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَمَا مَعْنَى قَوْلِهِ الَّذِي وَصَلَهُ بِهَذَا «الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ , وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ» قِيلَ لَهُ: ذَلِكَ عَلَى التَّعْلِيمِ مِنْهُ لِسَعْدٍ , أَيْ أَنَّكَ تَدَّعِي لِأَخِيكَ , وَأَخُوكَ لَمْ يَكُنْ لَهُ فِرَاشٌ , وَإِنَّمَا يَثْبُتُ النَّسَبُ مِنْهُ لَوْ كَانَ لَهُ فِرَاشٌ , فَإِذَا لَمْ يَكُنْ لَهُ فِرَاشٌ , فَهُوَ عَاهِرٌ , وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ. وَقَدْ بَيَّنَ هَذَا الْمَعْنَى وَكَشَفَهُ , مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩৩
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭৩৩। আলী ইবন আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন আল-মুগীরা (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, যাম'আ এর একটি দাসী ছিল। তিনি তার সাথে সঙ্গম করতেন। আর তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে সন্দেহ করতেন যে, সেও তার সাথে সঙ্গম করে। যাম'আ ইনতিকাল করেন, কিন্তু দাসীটি ছিল গর্ভবতী। সে একটি সন্তান জন্ম দেয়, যার সাদৃশ্য ছিল ঐ ব্যক্তিটির সাথে, যাকে তিনি দাসীর সাথে সঙ্গম করেছে বলে সন্দেহ করতেন। উম্মুল মু'মিনীন হযরত সাওদা (রাযিঃ) এ ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উল্লেখ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, সে মীরাস পাবে কিন্তু তার থেকে তুমি পর্দা করবে, কেননা সে তোমার জন্য ভাই নয়।
এ হাদীসে এ তথ্যটি রয়েছে যে, যাম'আ ঐ দাসীটির সাথে সঙ্গম করত। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাওদা (রাযিঃ) কে বলেন, সে তোমার ভাই নয়। এতে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে যাম'আর বংশধর বলে রায় বা হুকুম দেননি। আর যাম'আর সঙ্গম তার কাছে এমন বস্তু ছিলনা, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এ সঙ্গমের কারণে যে সন্তান হয়েছে সেটা তার।
যদি কেউ বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন যে, তার জন্যে মীরাস রয়েছে, এটার দ্বারা তার বংশধর বলে ঘোষণা করা বুঝা যায়। জবাবে তাকে বলা যায়, আপনি যা বলেছেন সেটা এখানে বুঝা যায়না, কেননা আব্দ ইবন যাম'আ এটা দাবি করেছিলেন যে, সে তার পিতার সন্তান। কেননা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) আমাদের এ অনুচ্ছেদের প্রথমে উল্লেখিত হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন যে, যখন সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) আব্দ ইবন যাম'আর সাথে বিবাদ করলেন তখন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেছেন, আমার ভাই, আমার পিতার দাসীর ছেলে, আমার পিতার ঔরসে জন্ম লাভ করেছে। এরূপ কথা হযরত সাওদা (রাযিঃ) ও বলতে পারতেন, এটা তার জন্য বৈধ ছিল। কেননা তারা দুজনই যাম'আর ওয়ারিশ। তাই তারা দুজনই তার জন্যে যাম'আর পরিত্যক্ত সম্পদের মীরাসের স্বীকৃতি দিতে পারেন। তারা যেটা স্বীকার করেছেন যদি তা স্বীকার না করতেন তাদের জন্যে যে সম্পদ হত সেই সম্পদ সম্পর্কে স্বীকার করা তার জন্যে বৈধ ছিল। এর দ্বারা কিন্তু এমন বংশধারা প্রমাণ হয়নি, যার দ্বারা কোন হুকুম ওয়াজিব হয়। তাহলে তার মধ্যে ও হযরত সাওদা (রাযিঃ)-এর মধ্যে দেখা দেয়ার প্রশ্নটি জাগতনা।
যদি কেউ বলেন, পর্দার হুকুম এজন্য দেয়া হয়েছে যে, তার মধ্যে উতবার সাথে সাদৃশ্য দেখা গিয়েছিল, যেমন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর হাদীসে দেখতে পাওয়া যায়। তার জবাবে বলা যায় যে, এরূপ হওয়া বৈধ নয় কেননা সাদৃশ্য পাওয়া গেলে বংশধারা প্রমাণিত হয়না এবং সাদৃশ্য না পাওয়া গেলে বংশধারা বিনষ্ট হয়না। এটা লক্ষণীয় যে, যে লোকটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেছিলেন যে, আমার স্ত্রী কালো রংয়ের সন্তান জন্ম দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেছিলেন, তোমার কি কোন উট আছে? তিনি বললেন, 'হ্যাঁ' রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, কি রংয়ের? তিনি যথাযথ উত্তর দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এদের মধ্যে কোন সবুজ রংয়ের উট দেখতে পাওয়া যায়? তিনি বললেন, 'হ্যাঁ' এগুলোর মধ্যে সবুজ বর্ণের উটও আছে। তিনি বললেন, এগুলো কোথা থেকে এল বলে মনে করছ? তিনি বললেন, এটা একটি বংশধারা। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এটাও তো সম্ভবত একটি বংশধারা।
উপরোক্ত হাদীসটি লি'আন অনুচ্ছেদে আমরা সনদ সহকারে উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে দূরতম সাদৃশ্যের অভাবে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে অনুমতি দেননি। আর তার কন্যাদের কাছে ও পরিবারে প্রবেশ করাতেও নিষেধ করেননি, বরং তার জন্যে একটি উদাহরণ বর্ণনা করে জানিয়ে দিলেন যে, সাদৃশ্য বংশধারা প্রমাণ করেনা এবং অসাদৃশ্যও বংশ ধারাকে বিনষ্ট করেনা। অনুরূপভাবে যাম'আর দাসীর সন্তান যদি তার মায়ের সাথে যাম'আ সঙ্গম করে থাকে তাহলে তার থেকে বংশধারা প্রমাণ করবে। দূরতম অসাদৃশ্যের কোন গুরুত্ব নেই, তার থেকে বংশধারা প্রমাণিত হবে। তিনি তার মেয়েদের কাছে প্রবেশ করতে পারবেন যেমন অন্যান্য ছেলেরাও প্রবেশ করে থাকে। আর তারা এ সম্পর্কে হযরত উমার (রাযিঃ) ও ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে দলীল গ্রহণ করেছেন, আমরা এটা তাদের দুজন থেকেই বর্ণনা করেছি, তবে এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)ঃ
এ হাদীসে এ তথ্যটি রয়েছে যে, যাম'আ ঐ দাসীটির সাথে সঙ্গম করত। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাওদা (রাযিঃ) কে বলেন, সে তোমার ভাই নয়। এতে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে যাম'আর বংশধর বলে রায় বা হুকুম দেননি। আর যাম'আর সঙ্গম তার কাছে এমন বস্তু ছিলনা, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এ সঙ্গমের কারণে যে সন্তান হয়েছে সেটা তার।
যদি কেউ বলেন, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন যে, তার জন্যে মীরাস রয়েছে, এটার দ্বারা তার বংশধর বলে ঘোষণা করা বুঝা যায়। জবাবে তাকে বলা যায়, আপনি যা বলেছেন সেটা এখানে বুঝা যায়না, কেননা আব্দ ইবন যাম'আ এটা দাবি করেছিলেন যে, সে তার পিতার সন্তান। কেননা হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) আমাদের এ অনুচ্ছেদের প্রথমে উল্লেখিত হাদীসে সংবাদ দিয়েছেন যে, যখন সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) আব্দ ইবন যাম'আর সাথে বিবাদ করলেন তখন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেছেন, আমার ভাই, আমার পিতার দাসীর ছেলে, আমার পিতার ঔরসে জন্ম লাভ করেছে। এরূপ কথা হযরত সাওদা (রাযিঃ) ও বলতে পারতেন, এটা তার জন্য বৈধ ছিল। কেননা তারা দুজনই যাম'আর ওয়ারিশ। তাই তারা দুজনই তার জন্যে যাম'আর পরিত্যক্ত সম্পদের মীরাসের স্বীকৃতি দিতে পারেন। তারা যেটা স্বীকার করেছেন যদি তা স্বীকার না করতেন তাদের জন্যে যে সম্পদ হত সেই সম্পদ সম্পর্কে স্বীকার করা তার জন্যে বৈধ ছিল। এর দ্বারা কিন্তু এমন বংশধারা প্রমাণ হয়নি, যার দ্বারা কোন হুকুম ওয়াজিব হয়। তাহলে তার মধ্যে ও হযরত সাওদা (রাযিঃ)-এর মধ্যে দেখা দেয়ার প্রশ্নটি জাগতনা।
যদি কেউ বলেন, পর্দার হুকুম এজন্য দেয়া হয়েছে যে, তার মধ্যে উতবার সাথে সাদৃশ্য দেখা গিয়েছিল, যেমন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর হাদীসে দেখতে পাওয়া যায়। তার জবাবে বলা যায় যে, এরূপ হওয়া বৈধ নয় কেননা সাদৃশ্য পাওয়া গেলে বংশধারা প্রমাণিত হয়না এবং সাদৃশ্য না পাওয়া গেলে বংশধারা বিনষ্ট হয়না। এটা লক্ষণীয় যে, যে লোকটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলেছিলেন যে, আমার স্ত্রী কালো রংয়ের সন্তান জন্ম দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেছিলেন, তোমার কি কোন উট আছে? তিনি বললেন, 'হ্যাঁ' রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, কি রংয়ের? তিনি যথাযথ উত্তর দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এদের মধ্যে কোন সবুজ রংয়ের উট দেখতে পাওয়া যায়? তিনি বললেন, 'হ্যাঁ' এগুলোর মধ্যে সবুজ বর্ণের উটও আছে। তিনি বললেন, এগুলো কোথা থেকে এল বলে মনে করছ? তিনি বললেন, এটা একটি বংশধারা। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, এটাও তো সম্ভবত একটি বংশধারা।
উপরোক্ত হাদীসটি লি'আন অনুচ্ছেদে আমরা সনদ সহকারে উল্লেখ করেছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে দূরতম সাদৃশ্যের অভাবে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে অনুমতি দেননি। আর তার কন্যাদের কাছে ও পরিবারে প্রবেশ করাতেও নিষেধ করেননি, বরং তার জন্যে একটি উদাহরণ বর্ণনা করে জানিয়ে দিলেন যে, সাদৃশ্য বংশধারা প্রমাণ করেনা এবং অসাদৃশ্যও বংশ ধারাকে বিনষ্ট করেনা। অনুরূপভাবে যাম'আর দাসীর সন্তান যদি তার মায়ের সাথে যাম'আ সঙ্গম করে থাকে তাহলে তার থেকে বংশধারা প্রমাণ করবে। দূরতম অসাদৃশ্যের কোন গুরুত্ব নেই, তার থেকে বংশধারা প্রমাণিত হবে। তিনি তার মেয়েদের কাছে প্রবেশ করতে পারবেন যেমন অন্যান্য ছেলেরাও প্রবেশ করে থাকে। আর তারা এ সম্পর্কে হযরত উমার (রাযিঃ) ও ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে দলীল গ্রহণ করেছেন, আমরা এটা তাদের দুজন থেকেই বর্ণনা করেছি, তবে এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)ঃ
4733 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ , قَالَ: ثنا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنْ يُوسُفَ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ «كَانَتْ لِزَمْعَةَ جَارِيَةٌ يَطَؤُهَا , وَكَانَ يَظُنُّ بِرَجُلٍ آخَرَ أَنَّهُ يَقَعُ عَلَيْهَا , فَمَاتَ زَمْعَةُ وَهِيَ حُبْلَى , فَوَلَدَتْ غُلَامًا , كَانَ يُشْبِهُ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ يُظَنُّ بِهَا , فَذَكَرَتْهُ سَوْدَةُ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَمَّا الْمِيرَاثُ فَلَهُ , وَأَمَّا أَنْتِ فَاحْتَجِبِي مِنْهُ , فَإِنَّهُ لَيْسَ لَكِ بِأَخٍ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ زَمْعَةَ كَانَ يَطَأُ تِلْكَ الْأَمَةَ , وَأَنْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِسَوْدَةِ «لَيْسَ هُوَ لَكِ بِأَخٍ» يَعْنِي ابْنَ الْمَوْطُوءَةِ. فَدَلَّ هَذَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ قَضَى فِي نَسَبِهِ عَلَى زَمْعَةَ بِشَيْءٍ , وَأَنَّ وَطْءَ زَمْعَةَ لَمْ يَكُنْ - عِنْدَهُ - بِمُوجِبٍ أَنَّ مَا جَاءَتْ بِهِ تِلْكَ الْمَوْطُوءَةُ مِنْ وَلَدٍ مِنْهُ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «أَمَّا الْمِيرَاثُ فَلَهُ» فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى قَضَائِهِ بِنَسَبِهِ. قِيلَ لَهُ: مَا يَدُلُّ ذَلِكَ عَلَى مَا ذَكَرْتَ , لِأَنَّ عَبْدَ بْنَ زَمْعَةَ قَدْ كَانَ ادَّعَاهُ , وَزَعَمَ أَنَّهُ ابْنُ أَبِيهِ , لِأَنَّ عَائِشَةَ [ص:116] رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَدْ أَخْبَرَتْ فِي حَدِيثِهَا الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عَنْهَا فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , «أَنَّ عَبْدَ بْنَ زَمْعَةَ قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ نَازَعَهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ - أَخِي ابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي , وُلِدَ عَلَى فِرَاشِ أَبِي» فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ سَوْدَةُ قَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ , وَهُمَا وَارِثَا زَمْعَةَ , فَكَانَا مُقِرَّيْنِ لَهُ بِوُجُوبِ الْمِيرَاثِ , مِمَّا تَرَكَ زَمْعَةُ. فَجَازَ ذَلِكَ عَلَيْهِمَا فِي الْمَالِ الَّذِي كَانَ يَكُونُ لَهُمَا , لَوْ لَمْ يُقِرَّ بِمَا أَقَرَّا بِهِ مِنْ ذَلِكَ , وَلَمْ يَجِبْ بِذَلِكَ ثُبُوتُ نَسَبٍ , يَجِبُ بِهِ حُكْمٌ , فَيُخَلَّى بَيْنَهُ وَبَيْنَ النَّظَرِ إِلَى سَوْدَةَ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا كَانَ أَمْرُهَا بِالْحِجَابِ مِنْهُ , لِمَا كَانَ رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ كَمَا فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قِيلَ لَهُ: هَذَا لَا يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , لِأَنَّ وُجُودَ الشَّبَهِ , لَا يَجِبُ بِهِ ثُبُوتُ نَسَبٍ , وَلَا يَجِبُ بِعَدَمِهِ انْتِفَاءُ نَسَبٍ. أَلَا تَرَى إِلَى الرَّجُلِ الَّذِي قَالَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ غُلَامًا أَسْوَدَ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ؟ فَقَالَ: نَعَمْ , قَالَ فَمَا أَلْوَانُهَا؟ فَذَكَرَ كَلَامًا. قَالَ فَهَلْ فِيهَا مِنْ أَوْرَقَ؟ قَالَ: إِنَّ فِيهَا لَوَرِقًا. قَالَ مِمَّ تَرَى ذَلِكَ جَاءَهَا؟ قَالَ: مِنْ عِرْقٍ نَزَعَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَعَلَّ هَذَا مِنْ عِرْقٍ نَزَعَهُ " وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا الْحَدِيثَ بِإِسْنَادِهِ , فِي بَابِ اللِّعَانِ فَلَمْ يُرَخِّصْ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْيِهِ , لِبُعْدِ شَبَهِهِ مِنْهُ , وَلَا مَنَعَهُ مِنْ إِدْخَالِهِ عَلَى بَنَاتِهِ وَحَرَمِهِ , بَلْ ضَرَبَهُ لَهُ مَثَلًا , أَعْلَمَهُ بِهِ أَنَّ الشَّبَهَ لَا يُوجِبُ ثُبُوتَ الْأَنْسَابِ , وَأَنَّ عَدَمَهُ لَا يَجِبُ بِهِ انْتِفَاءُ الْأَنْسَابِ. فَكَذَلِكَ ابْنُ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ , لَوْ كَانَ وَطْءُ زَمْعَةَ لِأُمِّهِ يُوجِبُ ثُبُوتَ نَسَبِهِ مِنْهُ , إِذًا لَمَا كَانَ لِبُعْدِ شَبَهِهِ مِنْهُ مَعْنًى , وَلَكَانَ نَسَبُهُ مِنْهُ ثَابِتُ الدَّخْلِ عَلَى بَنَاتِهِ , كَمَا يَدْخُلُ عَلَيْهِنَّ غَيْرُهُ مِنْ بَنِيهِ وَأَمَّا مَا احْتَجُّوا بِهِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا - فِي ذَلِكَ - مِمَّا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْهُمَا , فَإِنَّهُ قَدْ خَالَفَهُمَا فِي ذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ , وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩৪
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭৩৪। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার এক দাসীর সাথে সঙ্গম করতেন। অতঃপর সে গর্ভবর্তী হয়ে যায়। তখন তিনি বলেন, এ গর্ভ আমার থেকে নয়, কেননা আমি তার সাথে এমনভাবে সঙ্গম করেছি যাতে আমি সন্তানের ইচ্ছে করিনি।
4734 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَأْتِي جَارِيَةً لَهُ , فَحَمَلَتْ , فَقَالَ: لَيْسَ مِنِّي , إِنِّي أَتَيْتُهَا إِتْيَانًا , لَا أُرِيدُ بِهِ الْوَلَدَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩৬
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭৩৫-৩৬। ঈসা ইবন ইবরাহীম আল-গাফিকী (রাহঃ) …… খারিজা ইবন যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তার পিতা একজন ইরানী দাসীর সাথে সঙ্গম কালে আযল করতেন। কিন্তু সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তিনি গর্ভস্থ সন্তানকে অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমি তোমার থেকে সন্তানের ইচ্ছে করিনি। আমি তো তোমাকে তৃপ্তিদান করতে ইচ্ছে করেছি। অতঃপর তিনি তাকে বেত্রাঘাত করে তাকে আযাদ করে দেন এবং সন্তানকেও আযাদ করে দেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ..... খারিজা ইবন যায়দ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে তার বর্ণনায় তিনি বলেননি, “অতঃপর তিনি তাকে আযাদ করে দেন এবং তার সন্তানকেও আযাদ করে দেন।"
ফাহাদ (রাহঃ) ..... খারিজা ইবন যায়দ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে তার বর্ণনায় তিনি বলেননি, “অতঃপর তিনি তাকে আযাদ করে দেন এবং তার সন্তানকেও আযাদ করে দেন।"
4735 - حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْغَافِقِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يَعْزِلُ عَنْ جَارِيَةٍ فَارِسِيَّةٍ , فَحَمَلَتْ بِحَمْلٍ , فَأَنْكَرَهُ وَقَالَ: إِنِّي لَمْ أَكُنْ أُرِيدُ وَلَدَكِ , وَإِنَّمَا أَسْتَطِيبُ نَفْسَكِ , فَجَلَدَهَا , وَأَعْتَقَهَا وَأَعْتَقَ الْوَلَدَ [ص:117]
4736 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فَأَعْتَقَهَا وَأَعْتَقَ وَلَدَهَا
4736 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَقُلْ فَأَعْتَقَهَا وَأَعْتَقَ وَلَدَهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩৫
empty
৪৭৩৫।
4735 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৭৩৭
৪. প্রভু যদি তার দাসীর সাথে সঙ্গম করে অতঃপর প্রভু মৃত্যু মুখে পতিত হন, দাসী প্রভুর জীবিত কালে একটি সন্তানের জন্ম দেয়, তাহলে সন্তানটি কি তার ছেলে বলে গণ্য হবে? এবং এ সন্তানের দ্বারা দাসীটি কি উম্মে ওয়ালাদ বা সন্তানের মাতা হবে?
৪৭৩৭। সুলাইমান ইবন শুয়াইব (রাহঃ) …… সাঈদ ইবন আল-মুসাইয়্যাব (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ একদিন একটি দাসী যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর জন্যে একটি সন্তান জন্ম দিলে তখন তিনি বললেন, “এটা ত আমার থেকে নয়। আমি তো তার সাথে সঙ্গমকালে আযল করতাম।"
ইবন যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ), তারা এ ব্যাপারে হযরত উমার (রাযিঃ) ও ইবন উমার (রাযিঃ)-এর বিরোধিতা করেন। তাদের অভিমতগুলো পরস্পর সমমর্যাদা সম্পন্ন হওয়ায় এ সম্বন্ধে গবেষণা করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, যাতে আমরা দুইটি অভিমত থেকে একটি শুদ্ধ অভিমত উদ্ভাবন করতে পারি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কোন ব্যক্তি যখন স্বীকার করে যে, এটা তার স্ত্রী থেকে তার সন্তান। অতঃপর সে তা অস্বীকার করে তাহলে তার এ অস্বীকৃতি শুদ্ধ বলে গণ্য হবেনা। অনুরূপভাবে যদি স্বামী দাবি করে যে, স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তান তার থেকে। অতঃপর মহিলাটি এ গর্ভ থেকে সন্তান প্রসব করে। এরপর সে লিআন কিংবা কোন পন্থায় সন্তানটিকে অস্বীকার করতে পারবেনা, কেননা তার বংশধারা স্ত্রী থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই হল হুকুম, যেখানে স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে কোন অস্বীকৃতির অবকাশ নেই। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যদি স্বামী স্বীকার করে যে, সে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করেছে, অতঃপর স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেয় তখন সে তা অস্বীকার করে তাহলে এ ব্যাপারে হুকুম হল তাদের দু জনকে লি'আন করানো হবে। সন্তানটি স্বামীর বংশ থেকে বের হয়ে যাবে ও মায়ের সাথে সংযুক্ত হবে। সুতরাং স্ত্রীর সাথে তার সঙ্গম করার স্বীকৃতি, যার থেকে জন্ম এসেছে তার বংশধারাকে প্রমাণ করতে পারছেনা। আর অস্বীকৃতি না থাকলে যেরূপ যাবতীয় বিষয়াদি সুচারুরূপে সুসম্পন্ন হয় তা ও হতে পারছেনা। স্ত্রীদের ক্ষেত্রে যখন এরূপ হুকুম দেখা যায় তাহলে দাসীদের ক্ষেত্রে এরূপ হওয়া অধিক শ্রেয়। যদি কোন ব্যক্তি তার দাসীর সন্তান সম্পর্কে স্বীকৃতি দেয় যে, এটা তার সন্তান অথবা তার গর্ভাবস্থায় স্বীকৃতি দেয় যে, তার যা কিছু পেটে আছে তা তার থেকে। তাহলে এটা গ্রহণীয় হবে আর এরপর তার অস্বীকৃতি কখনও গ্রহণ করা হবেনা। যদি স্বামী স্বীকার করে যে, সে তার সাথে সঙ্গম করেছে তাহলে এটা তার থেকে স্ত্রীর সন্তান পয়দা হওয়ার স্বীকৃতি বলে গণ্য হবেনা। বরং এটার বিপরীতও হতে পারে। তখন সে তা অস্বীকার করতে পারে। যদিও সে দাসীর সাথে সঙ্গম করার স্বীকারোক্তি করে, তার হুকুম হবে এমন, যেমন সে দাসীর সাথে সঙ্গম করা স্বীকার করেনি। স্বাধীনা স্ত্রীদের উপর কিয়াস করেই তার হুকুম দেয়া হয়েছে। আর এটাই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর অভিমত।
ইবন যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ), তারা এ ব্যাপারে হযরত উমার (রাযিঃ) ও ইবন উমার (রাযিঃ)-এর বিরোধিতা করেন। তাদের অভিমতগুলো পরস্পর সমমর্যাদা সম্পন্ন হওয়ায় এ সম্বন্ধে গবেষণা করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, যাতে আমরা দুইটি অভিমত থেকে একটি শুদ্ধ অভিমত উদ্ভাবন করতে পারি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, কোন ব্যক্তি যখন স্বীকার করে যে, এটা তার স্ত্রী থেকে তার সন্তান। অতঃপর সে তা অস্বীকার করে তাহলে তার এ অস্বীকৃতি শুদ্ধ বলে গণ্য হবেনা। অনুরূপভাবে যদি স্বামী দাবি করে যে, স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তান তার থেকে। অতঃপর মহিলাটি এ গর্ভ থেকে সন্তান প্রসব করে। এরপর সে লিআন কিংবা কোন পন্থায় সন্তানটিকে অস্বীকার করতে পারবেনা, কেননা তার বংশধারা স্ত্রী থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই হল হুকুম, যেখানে স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে কোন অস্বীকৃতির অবকাশ নেই। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যদি স্বামী স্বীকার করে যে, সে তার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করেছে, অতঃপর স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেয় তখন সে তা অস্বীকার করে তাহলে এ ব্যাপারে হুকুম হল তাদের দু জনকে লি'আন করানো হবে। সন্তানটি স্বামীর বংশ থেকে বের হয়ে যাবে ও মায়ের সাথে সংযুক্ত হবে। সুতরাং স্ত্রীর সাথে তার সঙ্গম করার স্বীকৃতি, যার থেকে জন্ম এসেছে তার বংশধারাকে প্রমাণ করতে পারছেনা। আর অস্বীকৃতি না থাকলে যেরূপ যাবতীয় বিষয়াদি সুচারুরূপে সুসম্পন্ন হয় তা ও হতে পারছেনা। স্ত্রীদের ক্ষেত্রে যখন এরূপ হুকুম দেখা যায় তাহলে দাসীদের ক্ষেত্রে এরূপ হওয়া অধিক শ্রেয়। যদি কোন ব্যক্তি তার দাসীর সন্তান সম্পর্কে স্বীকৃতি দেয় যে, এটা তার সন্তান অথবা তার গর্ভাবস্থায় স্বীকৃতি দেয় যে, তার যা কিছু পেটে আছে তা তার থেকে। তাহলে এটা গ্রহণীয় হবে আর এরপর তার অস্বীকৃতি কখনও গ্রহণ করা হবেনা। যদি স্বামী স্বীকার করে যে, সে তার সাথে সঙ্গম করেছে তাহলে এটা তার থেকে স্ত্রীর সন্তান পয়দা হওয়ার স্বীকৃতি বলে গণ্য হবেনা। বরং এটার বিপরীতও হতে পারে। তখন সে তা অস্বীকার করতে পারে। যদিও সে দাসীর সাথে সঙ্গম করার স্বীকারোক্তি করে, তার হুকুম হবে এমন, যেমন সে দাসীর সাথে সঙ্গম করা স্বীকার করেনি। স্বাধীনা স্ত্রীদের উপর কিয়াস করেই তার হুকুম দেয়া হয়েছে। আর এটাই হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর অভিমত।
4737 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ ثنا شُعْبَةُ , قَالَ: ثنا قَتَادَةُ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , قَالَ وَلَدَتْ جَارِيَةٌ لِزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ مِنِّي , وَإِنِّي كُنْتُ أَعْزِلُ عَنْهَا فَهَذَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ , وَعَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , قَدْ خَالَفَا عُمَرَ , وَابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي ذَلِكَ. فَقَدْ تَكَافَأَتْ أَقْوَالُهُمْ , وَوَجَبَ النَّظَرُ لِنَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا أَقَرَّ بِأَنَّ هَذَا وَلَدُهُ مِنْ زَوْجَتِهِ , ثُمَّ نَفَاهُ بَعْدَ ذَلِكَ , لَمْ يَنْتِفْ. وَكَذَلِكَ لَوِ ادَّعَى أَنَّ حَمْلَهَا مِنْهُ , ثُمَّ جَاءَتْ بِوَلَدٍ مِنْ ذَلِكَ الْحَمْلِ , لَمْ يَكُنْ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ , أَنْ يَنْفِيَهُ بِلِعَانٍ وَلَا بِغَيْرِهِ , لِأَنَّ نَسَبَهُ قَدْ ثَبَتَ مِنْهُ فَهَذَا حُكْمُ مَا قَدْ وَقَعَتْ عَلَيْهِ الدَّعْوَةُ , مِمَّا لَيْسَ لِمُدَّعِيهِ أَنْ يَنْفِيَهُ , وَرَأَيْنَاهُ لَوْ أَقَرَّ أَنَّهُ وَطِئَ امْرَأَتَهُ , ثُمَّ جَاءَتْ بِوَلَدٍ فَنَفَاهُ , لَكَانَ الْحُكْمُ فِي ذَلِكَ أَنْ يُلَاعَنَ بَيْنَهُمَا , وَيَخْرُجَ الْوَلَدُ مِنْ نَسَبِ الزَّوْجِ , وَيَلْحَقَ بِأُمِّهِ فَلَمْ يَكُنْ إِقْرَارُهُ بِوَطْءِ امْرَأَتِهِ , يَجِبُ بِهِ ثُبُوتُ نَسَبِ مَا يَلِدُ مِنْهُ , وَلَمْ يَكُنْ فِي حُكْمِ مَا قَدْ لَزِمَهُ , مِمَّا لَيْسَ نَفْيَهُ. فَلَمَّا كَانَ هَذَا حُكْمَ الزَّوْجَاتِ , كَانَ حُكْمُ الْإِمَاءِ أَحْرَى أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ فَإِنْ أَقَرَّ رَجُلٌ بِوَلَدِ أَمَتِهِ أَنَّهُ مِنْهُ , أَوْ أَقَرَّ وَهِيَ حَامِلٌ , أَنَّ مَا فِي بَطْنِهَا مِنْهُ , لَزِمَهُ , وَلَمْ يَنْتِفْ مِنْهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَبَدًا وَإِنْ أَقَرَّ أَنَّهُ قَدْ وَطِئَهَا , لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ فِي حُكْمِ إِقْرَارِهِ بِوَلَدِهَا , أَنَّهُ مِنْهُ , بَلْ يَكُونُ بِخِلَافِ ذَلِكَ , فَيَكُونُ لَهُ أَنْ يَنْفِيَهُ , وَيَكُونُ حُكْمُهُ. وَإِنْ أَقَرَّ بِوَطْءِ أَمَتِهِ , كَحُكْمِهِ , لَوْ لَمْ يَكُنْ أَقَرَّ بِوَطْئِهَا , قِيَاسًا عَلَى مَا وَصَفْنَا , مِنَ الْحَرَائِرِ وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান