শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৯. গোলাম আযাদ করা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৯ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৭৮
অধ্যায়ঃ দাসমুক্তি
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৭৮। আলী ইবন শাইবা (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার মালিকানাধীন গোলামের একাংশ আযাদ করে দেয় সে তার শরীকদের অংশগুলোর জিম্মাদারী গ্রহণ করবে।
كِتَابُ الْعَتَاقِ بَابُ الْعَبْدِ يَكُونُ بَيْنَ رَجُلَيْنِ فَيُعْتِقُهُ أَحَدُهُمَا
4678 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ , عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ , ضَمِنَ لِشُرَكَائِهِ حِصَصَهُمْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭৮
দুই ব্যাক্তির মালিকানাধীন গোলামকে তাদের একজন আযাদ করে দিলে তার হুকুম।
4678 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ شُرَكَائِهِ , قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَتُهُ , وَعَتَقَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭৯
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৭৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার এবং তার শরীকদের মালিকানাধীন কোন গোলামকে আযাদ করবে, গোলামের মূল্য তার কাছে নির্ধারণ করা হবে এবং সে সম্পূর্ণ গোলামটি আযাদ করবে।"
4679 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ شُرَكَائِهِ , قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَتُهُ , وَعَتَقَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮০
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮০। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন গোলাম কিংবা দাসীর মালিকানাধীন তার অংশ আযাদ করে দিবে বাকি অংশ তার মালের মধ্যে চাপিয়ে দেয়া হবে, যাতে তিনি সম্পূর্ণটা আযাদ করেছেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম বলেন, একটি গোলামের যখন দুই জন হয় মালিক অতঃপর তাদের একজন স্বীয় অংশ আযাদ করে দেয় তাহলে সে তার শরীকের অংশের মূল্যের যিম্মাদার হবে সে সচ্ছল হোক কিংবা অসচ্ছল হোক। তারা আরো বলেন, এক শরীকের দাস মুক্তি তার অন্য শরীকের অংশের জন্যে জরিমানা স্বরূপ গণ্য হবে। তাই নিজ সম্পদ দ্বারা সেই অংশের মূল্য আদায় করা তার যিম্মায় ওয়াজিব হয়ে যাবে। কেননা যদি কোন ব্যক্তি কারো সম্পদের উপর যুলুম করে সে সচ্ছল হোক কিংবা অসচ্ছল হোক তার যুলুমের জন্য যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। তবে এ ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার মধ্যে সচ্ছল ও অসচ্ছল হওয়ার কোন পার্থক্য নেই। তারা আরো বলেন, তখন শরীকের উপর মুক্তির জন্যে তার অন্য শরীকের অংশের মূল্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা ওয়াজিব হয় যখন সে সচ্ছল থাকে। অনুরূপভাবে যখন সে অসচ্ছল হয় তখনও তার উপর ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হয়। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে উপরোক্ত উলামার বিরোধিতা করেন এবং তারা বলেন, সচ্ছল না হলে শরীকের উপর মুক্তির জন্য তার অন্য শরীকের অংশের মূল্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা ওয়াজিব হয়না। তারা আরো বলেন, 'ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীসে যে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কথা বলা হয়েছে তা শুধুমাত্র সচ্ছল অংশীদারের জন্য, অসচ্ছল অংশীদারের জন্যে নয়।
উপরোক্ত হাদীসগুলো ভিন্ন এক বর্ণনাতেও ইবন উমার (রাযিঃ) হতে উল্লেখ রয়েছে, যেমনঃ
4680 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَعْتَقَ جُزْءًا لَهُ مِنْ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ , حُمِلَ عَلَيْهِ مَا بَقِيَ فِي مَالِهِ , حَتَّى يَعْتِقَ كُلَّهُ جَمِيعًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا كَانَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ , فَأَعْتَقَ أَحَدُهُمَا نَصِيبَهُ , ضَمِنَ قِيمَةَ نَصِيبِ شَرِيكِهِ مُوسِرًا كَانَ أَوْ مُعْسِرًا , وَقَالُوا: قَدْ جُعِلَ الْعَتَاقُ مِنَ الشَّرِيكِ جِنَايَةً عَلَى نَصِيبِ شَرِيكِهِ , يَجِبُ عَلَيْهِ بِهَا ضَمَانُ قِيمَتِهِ فِي مَالِهِ , وَكَأَنَّ مَنْ جَنَى عَلَى مَالٍ لِرَجُلٍ وَهُوَ مُوسِرٌ أَوْ مُعْسِرٌ , وَجَبَ عَلَيْهِ ضَمَانُ مَا أَتْلَفَ بِجِنَايَتِهِ , وَلَمْ يَفْتَرِقْ حُكْمُهُ فِي ذَلِكَ إِنْ كَانَ مُوسِرًا أَوْ مُعْسِرًا , فِي وُجُوبِ الضَّمَانِ عَلَيْهِ , قَالُوا: فَكَذَلِكَ لَمَّا وَجَبَ عَلَى الشَّرِيكِ ضَمَانُ قِيمَةِ نَصِيبِ شَرِيكِهِ لِعَتَاقِهِ , لَمَّا كَانَ مُوسِرًا , وَجَبَ عَلَيْهِ ضَمَانُ ذَلِكَ أَيْضًا إِذَا كَانَ مُعْسِرًا. [ص:106] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجِبُ الضَّمَانُ عَلَيْهِ لِقِيمَةِ نَصِيبِ شَرِيكِهِ لِعَتَاقِهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُوسِرًا وَقَالُوا: حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا هَذَا , إِنَّمَا الضَّمَانُ الْمَذْكُورُ فِيهِ , عَلَى الْمُوسِرِ خَاصَّةً , دُونَ الْمُعْسِرِ , قَدْ بُيِّنَ ذَلِكَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي غَيْرِ هَذِهِ الْآثَارِ، فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ , مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮১
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮১। ইউনুস (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তার এক অংশকে আযাদ করে দেয় এবং তার কাছে এমন সম্পদ আছে যা গোলামের মূল্যের অন্য অংশের সমান হয়, তার কাছে গোলামের মূল্যকে নির্ধারণ করা হবে এবং তিনি অন্যান্য শরীকদের অংশ আদায় করবেন। আর তার মাধ্যমে গোলামটি মুক্ত হয়ে যাবে, অন্যথায় যতটুকু পূর্বে আযাদ হয়েছিল ততটুকু তার দ্বারা আযাদ হয়েছে বলে গণ্য হবে।
4681 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنْ نَافِعٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ , فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ , قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةُ الْعَبْدِ , فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ , وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ عَلَيْهِ مَا عَتَقَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮২
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮২। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ....... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি তার মালিকানাধীন গোলামের এক অংশ আযাদ করে দেয় এবং বাকি অংশের মূল্য পরিমাণ যদি তার সম্পদ মজুদ থাকে তাহলে সম্পূর্ণ গোলামই আযাদ হয়ে যাবে।
4682 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ , وَكَانَ لِلَّذِي يَعْتِقُ نَصِيبُهُ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَهُ , فَهُوَ عَتِيقٌ كُلُّهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৩
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮৩। ফাহাদ (রাহঃ) …... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি তার মালিকানাধীন গোলামের একাংশ আযাদ করে দেয় আর তার কাছে বাকি অংশের মূল্য আদায় করার সামর্থ্য থাকে তাহলে তার উপর সম্পূর্ণটা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আর যদি তার কাছে সম্পদ না থাকে তাহলে গোলামের মূল্য নির্ধারণ করে মুক্তিদাতার উপর সাব্যস্ত করা হবে এবং যতটুকু আযাদ করা হয়েছে ততটুকু আযাদ হয়েছে বলে গণ্য হবে।
4683 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أُسَامَةَ , وَعَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ , فَعَلَيْهِ عِتْقُهُ كُلِّهِ , إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَهُ , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ , فَيُقَوَّمُ قِيمَةَ عَدْلٍ عَلَى الْمُعْتِقِ , وَقَدْ عَتَقَ بِهِ مَا عَتَقَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৪
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮৪। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার মালিকানাধীন গোলামের একাংশ আযাদ করে দেয় তার সম্পূর্ণ গোলাম আযাদ হয়ে যায়। যদি তার কাছে এ পরিমাণ মাল থাকে যা গোলামের মূল্যের সমপরিমাণ হয় তাহলে সম্পূর্ণ গোলাম আযাদ করে দেয়াই তার উপর ওয়াজিব হয়।
4684 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ , فَقَدْ عَتَقَ كُلُّهُ , فَإِنْ كَانَ لِلَّذِي أَعْتَقَهُ مِنَ الْمَالِ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَهُ , فَعَلَيْهِ عِتْقُهُ كُلِّهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৫
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮৫। আবু বাকরা (রাহঃ) …… নাফি' (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইবন উমার (রাযিঃ) গোলাম কিংবা দাসী সম্পর্কে ফাতোয়া দিতেন, যার মালিক বিভিন্ন শরীক। অতঃপর তাদের একজন তার অংশ আযাদ করে দেয়, যদি তার কাছে গোলামের বাকি মূল্যের পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে ঐ গোলামটি আযাদ করা তার জন্যে ওয়াজিব হয়ে যায়। আযাদকারীর সম্পদে গোলামের মূল্য স্থির করা হবে এবং অন্য শরীকদের অংশানুযায়ী তাদেরকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে সংবাদ পরিবেশন করেনঃ
4685 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ «كَانَ يُفْتِي فِي الْعَبْدِ أَوِ الْأَمَةِ , يَكُونُ أَحَدُهُمَا بَيْنَ شُرَكَاءَ , فَيُعْتِقُ أَحَدُهُمْ نَصِيبَهُ مِنْهُ , فَإِنَّهُ يَجِبُ عِتْقُهُ عَلَى الَّذِي أَعْتَقَهُ إِذَا كَانَ لَهُ مِنَ الْمَالِ مَا يَبْلُغُ ثَمَنَهُ يُقَوَّمُ فِي مَالِهِ قِيمَةَ عَدْلٍ , فَيَدْفَعُ إِلَى شُرَكَائِهِ أَنْصِبَاءَهُمْ , وَيُخَلِّي سَبِيلَ الْعَبْدِ» , يُخْبِرُ بِذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৬
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮৬। ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া আল মাযানী (রাহঃ) …… সালিম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যদি কোন গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন এবং এক ব্যক্তি তার অংশ আযাদ করেছেন তারপর তিনি যদি সম্পদশালী হন তাহলে ঐ ব্যক্তির উপর গোলামের বাকি মূল্য নির্ধারণ করা হবে এবং তাকে আযাদ করে দেয়া হবে। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, প্রায় সময়ই বর্ণনাকারী আমর ইবন দীনার (রাহঃ) বলতেন, গোলামের বাকিমূল্য নির্ধারণ কালে যেন কোন প্রকার কমবেশী করা না হয় এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
উপরোক্ত বিশুদ্ধ হাদীসগুলোর আলোকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে যে বর্ণনা এসেছে তা শুধুমাত্র ধনীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখন আমরা অসচ্ছল ব্যক্তির আযাদ করার বিষয়টি চিন্তা করে দেখবো যে, তা কীভাবে হতে পারে। একদল আলিম বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ অর্থাৎ অন্যথায় যতটুকু আযাদ হয়েছে ততটুকু আযাদ বলে গণ্য হবে" প্রমাণ করে যে, গোলামের বাকি অংশটুকু আযাদ হবেনা; বরং সে ঐ অংশের জন্যে গোলাম অবস্থায় থেকে যাবে। অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, বরং গোলাম নিজে বাকি অংশের মূল্য সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করবে। তাদের জন্য এ ব্যাপারে হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ)-এর ন্যায় হযরত আবু হুরাইরা (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত একটি হাদীস দলীল হিসেবে গণ্য। এ বর্ণনায় অতিরিক্ত বর্ণনা এসেছে যে, আযাদকারীর অংশের পর গোলামের বাকি অংশ সম্পর্কে কি করা হবে?
4686 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَ اثْنَيْنِ , فَأَعْتَقَ أَحَدُهُمَا نَصِيبَهُ , فَإِنْ كَانَ مُوسِرًا , فَإِنَّهُ يُقَوَّمُ عَلَيْهِ بِأَعْلَى الْقِيمَةِ , ثُمَّ يَعْتِقُ» . قَالَ سُفْيَانُ: وَرُبَّمَا قَالَ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ «قِيمَةَ عَدْلٍ , لَا وَكْسَ فِيهَا وَلَا شَطَطَ» . فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ , أَنَّ مَا رَوَاهُ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ , إِنَّمَا هُوَ فِي الْمُوسِرِ خَاصَّةً. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي حُكْمِ عَتَاقِ الْمُعْسِرِ كَيْفَ هُوَ؟ [ص:107] فَقَالَ قَائِلُونَ: قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ» دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَا بَقِيَ مِنَ الْعَبْدِ لَمْ يَدْخُلْهُ عَتَاقٌ , فَهُوَ رَقِيقٌ لِلَّذِي لَمْ يُعْتِقْ عَلَى حَالِهِ وَخَالَفَهُمْ آخَرُونَ فِي ذَلِكَ , فَقَالُوا: بَلْ يَسْعَى الْعَبْدُ فِي نِصْفِ قِيمَتِهِ لِلَّذِي لَمْ يُعْتِقْهُ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , قَدْ رَوَى ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَمَا رَوَاهُ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَزَادَ عَلَيْهِ شَيْئًا بَيَّنَ بِهِ كَيْفَ حُكْمُ مَا بَقِيَ مِنَ الْعَبْدِ بَعْدَ نَصِيبِ الْمُعْتِقِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯২
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৮৭-৯২। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ..... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার মালিকানাধীন গোলামের এক অংশ আযাদ করবে, তার সম্পদ হতে বাকিটা আযাদ করাও তার উপর ওয়াজিব হয়ে পড়ে। যদি তার সম্পদ না থাকে তাহলে গোলাম তার উপরে বোঝা সৃষ্টি না করে নিজে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করবে।

মুহাম্মাদ ইবন খুযাইমা (রাহঃ) …… কাতাদা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

ফাহাদ (রাহঃ) …… কাতাদা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) …… কাতাদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।

আবু বাকরা (রাহঃ) …… কাতাদা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।

মুহাম্মাদ ইবন নু'মান (রাহঃ) …… কাতাদা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
সুতরাং দেখা যায় এ হাদীসে যে তথ্য পাওয়া যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীসেও ঐরূপ তথ্যই পাওয়া যায়। তবে এ হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, মুক্তিদাতা যদি অসচ্ছল হয় তাহলে অর্থ সংগ্রহের জন্য গোলামের চেষ্টা করা ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে আরো একটি বর্ণনা পাওয়া যায়ঃ
92- 4687 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ , عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنْ أَعْتَقَ نَصِيبًا أَوْ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ , فَعَلَيْهِ خَلَاصُهُ كُلِّهِ فِي مَالِهِ , فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ , اسْتُسْعِيَ الْعَبْدُ غَيْرُ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ» .

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: ثنا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّازِيُّ , عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحٌ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ , قَالَ: ثنا الْحُمَيْدِيُّ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , وَيَحْيَى بْنِ صُبَيْحٍ , عَنْ قَتَادَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. فَكَانَ هَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ مَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , وَفِيهِ وُجُوبُ السِّعَايَةِ عَلَى الْعَبْدِ , إِذَا كَانَ مُعْتِقُهُ مُعْسِرًا. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৮
empty
৪৬৮৮।
4688 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮৯
empty
৪৬৮৯।
4689 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯০
empty
৪৬৯০।
4690 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯১
empty
৪৬৯১।
4691 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯২
empty
৪৬৯২।
4692 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯৪
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৯৩-৯৪। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… আবুল মালীহ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার মালিকানাধীন গোলামের এক অংশ আযাদ করে দেয় তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার সম্পূর্ণটা আযাদ হয়ে গেছে বলে ঘোষণা করেন এবং বলেন, আল্লাহর কোন শরীক নেই।

আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) …… হুমাম (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাণী অর্থাৎ আল্লাহর কোন শরীক নেই, প্রমাণ করে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে যখন গোলামের কিছু অংশ আযাদ হয়ে যায় তখন বাকি অংশের মধ্যে অন্যের মালিকানা স্বত্ব লোপ পেয়ে যায়। তাই এতে আরো প্রমাণিত হয় যে, সচ্ছল ও অসচ্ছল যে কারো মুক্তিদানই গোলামকে তার দাসত্ব অবস্থা থেকে মুক্ত করে দেয়। অতঃপর এ হাদীসটি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের সমর্থক বলে গণ্য। আবু হুরাইরা (রাযিঃ)-এর হাদীসে ইবন উমার (রাযিঃ)-এর হাদীস থেকে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। আর তা এই যে, আযাদকারী যদি অসচ্ছল হয় তাহলে ঐ শরীকের অংশের বিপরীতে (গোলামের উপর) উপার্জন প্রচেষ্টা অবশ্য সাব্যস্ত হবে, যে শরীক তার অংশ আযাদ করেনি। সুতরাং এই সকল হাদীসের অর্থগত বিশুদ্ধায়নের দাবি হচ্ছে এই সিদ্ধান্তের উপর আমল করা। অর্থাৎ যে শরীক তার অংশ আযাদ করেনি তার অনুকূলে সচ্ছল মুক্তিদাতার উপর ক্ষতিপূরণ সাব্যস্ত করা, আর অসচ্ছল মুক্তিদাতার উপর ক্ষতিপূরণ সাব্যস্ত না করা, বরং গোলামের উপর উপার্জন প্রচেষ্টা সাব্যস্ত করা ইমাম ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। এ অভিমতই আমাদের কাছে গ্রহণীয়। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, যদি মুক্তিদাতা সচ্ছল ব্যক্তি হন তাহলে অংশীদারের ইখতিয়ার রয়েছে। যদি সে ইচ্ছে করে গোলামের বাকি অংশকে মুক্তি দিতে পারে। যেমন অন্য অংশকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, আর ওয়ালা বা গোলাম থেকে প্রাপ্ত মীরাস দুজনের মধ্যে বণ্টন হবে। আর যদি সে ইচ্ছে করে, গোলাম অর্ধেক মূল্য আদায়ের প্রচেষ্টা চালাবে, যদি সে আদায় করতে পারে তাহলে সে আযাদ হয়ে যাবে। আর ওয়ালা তাদের দুজনের মধ্যে বণ্টন হবে। আবার যদি ইচ্ছে হয় তাহলে মুক্তিদানকারী অর্ধেক মূল্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করবে। যখন সে আদায় করবে গোলামটি আলাদা হয়ে যাবে। আর ক্ষতিপূরণ আদায়কারী গোলামের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, অর্থ আদায়ে তাকে চেষ্টা করতে বলবে। ওয়ালা হবে মুক্তিদাতার জন্যে। আর যদি মুক্তিদাতা অসচ্ছল হয় তখন অংশীদারের ইখতিয়ার থাকবে যদি সে ইচ্ছে করে মুক্তি দান করবে। আর যদি ইচ্ছে করে গোলাম বাকি অংশের মূল্য সংগ্রহে চেষ্টা করবে। সেটাই সে করবে, ওয়ালা দুই জনের মধ্যে বণ্টন হবে। তিনি নিম্নবর্ণিত দলীলটি পেশ করেনঃ
4693 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ , عَنْ أَبِيهِ: " أَنَّ رَجُلًا أَعْتَقَ شِقْصًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ , فَأَعْتَقَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلَّهُ عَلَيْهِ , وَقَالَ: «لَيْسَ لِلَّهِ شَرِيكٌ» .

4694 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ الْحَوْضِيُّ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. فَدَلَّ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَيْسَ لِلَّهِ شَرِيكٌ» عَلَى أَنَّ الْعَتَاقَ إِذَا وَجَبَ بِهِ بَعْضُ الْعَبْدِ لِلَّهِ , انْتَفَى أَنْ يَكُونَ لِغَيْرِهِ عَلَى بَقِيَّتِهِ مِلْكٌ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ إِعْتَاقَ الْمُوسِرِ وَالْمُعْسِرِ جَمِيعًا يُبْرِئَانِ الْعَبْدَ مِنَ الرِّقِّ. [ص:108] فَقَدْ وَافَقَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا حَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَزَادَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَيْهِ , وَعَلَى حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وُجُوبَ السِّعَايَةِ لِلشَّرِيكِ الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ , إِذَا كَانَ الْمُعْتَقُ مُعْسِرًا فَتَصْحِيحُ هَذِهِ الْآثَارِ , يُوجِبُ الْعَمَلَ بِذَلِكَ , وَيُوجِبُ الضَّمَانَ عَلَى الْمُعْتِقِ الْمُوسِرِ لِشَرِيكِهِ , الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ , وَلَا يُوجِبُ الضَّمَانَ عَلَى الْمُعْتِقِ الْمُعْسِرِ , وَلَكِنَّ الْعَبْدَ يَسْعَى فِي ذَلِكَ لِلشَّرِيكِ الَّذِي لَمْ يُعْتِقْ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا , وَبِهِ نَأْخُذُ , فَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَكَانَ يَقُولُ: إِنْ كَانَ الْمُعْتِقُ مُوسِرًا , فَالشَّرِيكُ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءَ أَعْتَقَ كَمَا أَعْتَقَ وَكَانَ الْوَلَاءُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ. وَإِنْ شَاءَ اسْتَسْعَى الْعَبْدَ فِي نِصْفِ الْقِيمَةِ , فَإِذَا أَدَّاهَا عَتَقَ , وَكَانَ الْوَلَاءُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ , وَإِنْ شَاءَ ضَمِنَ الْمُعْتِقُ نِصْفَ الْقِيمَةِ , فَإِذَا أَدَّاهَا عَتَقَ وَرَجَعَ بِهَا الْمُضَمَّنُ عَلَى الْعَبْدِ فَاسْتَسْعَاهُ فِيهَا , وَكَانَ وَلَاؤُهُ لِلْمُعْتِقِ , وَإِنْ كَانَ الْمُعْتِقُ مُعْسِرًا , فَالشَّرِيكُ بِالْخِيَارِ , إِنْ شَاءَ أَعْتَقَ , وَإِنْ شَاءَ اسْتَسْعَى الْعَبْدَ فِي نِصْفِ قِيمَتِهِ , فَأَيُّهُمَا فَعَلَ , فَالْوَلَاءُ بَيْنَهُمَا نِصْفَانِ. وَاحْتَجَّ فِي ذَلِكَ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯৪
empty
৪৬৯৪।
4694 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯৫
১. যদি একটি গোলামের মালিক দুই ব্যক্তি হন অতঃপর তাদের একজন তাকে মুক্তি দেন
৪৬৯৫। আবু বিশর আর-রাকী (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমাদের ছিল একটি গোলাম। সে কাদেসিয়ার যুদ্ধে শরীক হয়েছিল। সেখানে সে পঙ্গু হয়ে যায়। আর সে ছিল আমার, আমার মায়ের ও আমার ভাই আসওয়াদের। তারা তাকে আযাদ করে দিতে ইচ্ছে করল আর আমি ছিলাম তখন ছোট। আসওয়াদ এ ঘটনাটি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর কাছে উল্লেখ করেন, তখন হযরত উমার (রাযিঃ) বলেন, “তোমরা যদি ইচ্ছে কর তাকে মুক্ত করে দাও। যদি এ খবর আব্দুর রহমানের কাছে পৌঁছে এবং তোমরা যা চাও যদি সে তা চায় তাহলে সে আযাদ করে দিবে। অন্যথায় তোমরা তার ক্ষতিপূরণ আদায় করবে।"
এ হাদীসের মধ্যে দেখা যায় যে, আব্দুর রহমানের কাছে খবর পৌছার পর সে যদি চায় তাহলে গোলামের অংশ আযাদ করে তার মায়ের এবং ভাইয়ের আযাদ কার্যে শরীক হতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, যখন সে কোন বদল ছাড়াই গোলামটিকে আযাদ করে দিতে পারে তাহলে বাকি মূল্য আদায়ের মাধ্যমে গোলামিটকে সে নিয়ে নিতে পারে। এমনকি এ আদায়ের মাধ্যমে সে তাকে আযাদ করে দিতেও পারে। যিনি গোলামটি আযাদ করেননি, তার জন্য তার অংশটি আযাদ করার অধিকার রয়েছে। মুক্তিদাতা অংশীদার ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। সে গোলামটির দিকে প্রত্যাবর্তন করবে যেমন সাধারণত যার জন্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করে তার দিকে প্রত্যাবর্তন করে থাকে। এখন তার জন্য সঙ্গত যে, সে গোলামকে তার সাথীর প্রাপ্য সংগ্রহের জন্যে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলবে এবং তার সাথীকেও প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলবে। এ সম্পর্কে এটাই ইমাম ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত। আর প্রথম অভিমতটি যার প্রবক্তা ছিলেন ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) আমাদের কাছে দুইটি অভিমতের মধ্যে শুদ্ধতর। কেননা এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে উল্লেখিত বর্ণনার সমর্থিত অভিমত।
4695 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , قَالَ: كَانَ لَنَا غُلَامٌ قَدْ شَهِدَ الْقَادِسِيَّةَ فَأَبْلَى فِيهَا , وَكَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ أُمِّي وَبَيْنَ أَخِي الْأَسْوَدِ , فَأَرَادُوا عِتْقَهُ , وَكُنْتُ يَوْمَئِذٍ صَغِيرًا , فَذَكَرَ ذَلِكَ الْأَسْوَدُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , فَقَالَ: «أَعْتِقُوا أَنْتُمْ , فَإِذَا بَلَغَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ , فَإِنْ رَغِبَ فِيمَا رَغِبْتُمْ أَعْتَقَ , وَإِلَّا ضَمِنَكُمْ» . فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بَعْدَ بُلُوغِهِ أَنْ يُعْتِقَ نَصِيبَهُ مِنَ الْعَبْدِ الَّذِي قَدْ كَانَ دَخَلَهُ عَتَاقُ أُمِّهِ وَأَخِيهِ قَبْلَ ذَلِكَ. فَأَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ: فَلَمَّا كَانَ لَهُ أَنْ يُعْتِقَ بِلَا بَدَلٍ , كَانَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ الْعَبْدَ بِأَدَاءِ قِيمَةِ مَا بَقِيَ لَهُ فِيهِ حَتَّى يَعْتِقَ بِأَدَاءِ ذَلِكَ إِلَيْهِ , وَلَمَّا كَانَ لِلَّذِي لَمْ يُعْتِقْ , أَنْ يُعْتِقَ نَصِيبَهُ مِنَ الْعَبْدِ , فَضَمِنَ الشَّرِيكُ الْمُعْتِقُ , رَجَعَ إِلَى هَذَا الْمُضَمَّنِ مِنْ هَذَا الْعَبْدِ , مِثْلُ مَا كَانَ الَّذِي ضَمِنَهُ , فَوَجَبَ لَهُ أَنْ يَسْتَسْعِيَ الْعَبْدَ فِي قِيمَةِ مَا كَانَ لِصَاحِبِهِ فِيهِ , وَفِيمَا كَانَ لِصَاحِبِهِ أَنْ يَسْتَسْعِيَهُ فِيهِ. فَهَذَا مَذْهَبُ أَبِي حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَالْقَوْلُ الْأَوَّلُ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ أَصَحُّ الْقَوْلَيْنِ عِنْدَنَا , لِمُوَافَقَتِهِ لِمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَاللهُ أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান