শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩৮৭
১০. পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৮৭। আহমাদ ইবন দাউদ (রাহঃ) …… আবু সায়ীদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে পিছন দিক্ দিয়ে সহবাস করে। লোকজন তা অপছন্দ করে এবং বলতে লাগে সে কি তাকে পরিত্যাগ করতে চাচ্ছে? তখন আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনঃ نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্য ক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে গমন করতে পার। (সূরা বাকারাঃ ২২৩)
আবু জা'ফর আত-তাহাবী বলেনঃ একদল আলিমের মতে স্ত্রীর পিছন দিক্ দিয়ে সহবাস করা বৈধ। উপরোক্ত হাদীসটিকে তারা দলীল হিসেবে পেশ করেন। আর এরূপ সহবাসকে বৈধ করার জন্য তারা এ আয়াতটির এরূপ অর্থ নির্দেশ করেন। অন্য একদল আলিম তাদের বিরোধিতা করেন। তারা মহিলাদের পিছন দিক দিয়ে সঙ্গম করা অপছন্দ করেন এবং তারা এ কাজকে নিষেধ করেন। আর আয়াতটির অর্থ অন্যরূপ বর্ণনা করেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী বলেনঃ একদল আলিমের মতে স্ত্রীর পিছন দিক্ দিয়ে সহবাস করা বৈধ। উপরোক্ত হাদীসটিকে তারা দলীল হিসেবে পেশ করেন। আর এরূপ সহবাসকে বৈধ করার জন্য তারা এ আয়াতটির এরূপ অর্থ নির্দেশ করেন। অন্য একদল আলিম তাদের বিরোধিতা করেন। তারা মহিলাদের পিছন দিক দিয়ে সঙ্গম করা অপছন্দ করেন এবং তারা এ কাজকে নিষেধ করেন। আর আয়াতটির অর্থ অন্যরূপ বর্ণনা করেন।
بَابُ وَطْءِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ
4387 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ رَجُلًا أَصَابَ امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا , فَأَنْكَرَ النَّاسُ ذَلِكَ عَلَيْهِ , وَقَالُوا: أَتُعَزِّبُهَا , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ وَطْءَ الْمَرْأَةِ فِي دُبُرِهَا جَائِزٌ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَتَأَوَّلُوا هَذِهِ الْآيَةَ عَلَى إِبَاحَةِ ذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوا وَطْءَ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ , وَمَنَعُوا مِنْ ذَلِكَ , وَتَأَوَّلُوا هَذِهِ الْآيَةَ عَلَى غَيْرِ هَذَا التَّأْوِيلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯১
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৮৮-৯১। ইউনুস (রাহঃ) .....জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা বলত, যে ব্যক্তি পিছন দিক দিয়ে তার স্ত্রীর সাথে যোনীদেশে সঙ্গম করে তার সন্তান হবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেনঃ نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার (সূরা বাকারাঃ ২২৩)।
ইউনুস (রাহঃ) …… অন্য এক সনদে জাবির (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
আবু শুরাইহ্ মুহাম্মাদ ইবন যাকারিয়া ..... সুফিয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) হতে নিজ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …… জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা বলত, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বসা অবস্থায় সঙ্গম করে তার সন্তান হবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট। এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উল্লেখ করা হল। অতঃপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
উলামায়ে কিরাম বলেন, এটা ছিল ইয়াহুদীদের কথা, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের কথার প্রতিরোধ স্বরূপ সামনের এবং পিছনের উভয় দিক দিয়ে সঙ্গম করার বৈধতা ঘোষণা করেন। অন্যান্যরাও এ হাদীসটিকে ইবন আল-মুনকাদির (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি। আর তারা এটার মধ্যে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, এটা হতে হবে যোনীদ্বারে।
ইউনুস (রাহঃ) …… অন্য এক সনদে জাবির (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
আবু শুরাইহ্ মুহাম্মাদ ইবন যাকারিয়া ..... সুফিয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) হতে নিজ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
ইবন মারযূক (রাহঃ) …… জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা বলত, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বসা অবস্থায় সঙ্গম করে তার সন্তান হবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট। এটা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উল্লেখ করা হল। অতঃপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
উলামায়ে কিরাম বলেন, এটা ছিল ইয়াহুদীদের কথা, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের কথার প্রতিরোধ স্বরূপ সামনের এবং পিছনের উভয় দিক দিয়ে সঙ্গম করার বৈধতা ঘোষণা করেন। অন্যান্যরাও এ হাদীসটিকে ইবন আল-মুনকাদির (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি। আর তারা এটার মধ্যে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, এটা হতে হবে যোনীদ্বারে।
4388 - فَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَنْ جَابِرٍ , " أَنَّ الْيَهُودَ قَالُوا: مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي فَرْجِهَا مِنْ دُبُرِهَا خَرَجَ وَلَدُهَا أَحْوَلَ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] "
4389 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ حَدَّثَهُ , عَنْ جَابِرٍ مِثْلَهُ.
4390 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زَكَرِيَّا أَبُو شُرَيْحٍ قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4391 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَتِ الْيَهُودُ إِذَا أَتَى الرَّجُلُ أَهْلَهُ بَارِكَةً , جَاءَ الْوَلَدُ أَحْوَلَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَإِنَّمَا كَانَ مِنْ قَوْلِ الْيَهُودِ , مَا ذَكَرْنَا , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ , دَفْعًا لِقَوْلِهِمْ , وَإِبَاحَةً لِلْوَطْءِ فِي الْفَرْجِ مِنَ الدُّبُرِ وَمِنَ الْقُبُلِ جَمِيعًا. وَقَدْ رَوَى آخَرُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَزَادَ فِيهِ «إِذَا كَانَ ذَلِكَ فِي الْفَرْجِ»
4389 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ حَدَّثَهُ , عَنْ جَابِرٍ مِثْلَهُ.
4390 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زَكَرِيَّا أَبُو شُرَيْحٍ قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4391 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَتِ الْيَهُودُ إِذَا أَتَى الرَّجُلُ أَهْلَهُ بَارِكَةً , جَاءَ الْوَلَدُ أَحْوَلَ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ. قَالُوا: فَإِنَّمَا كَانَ مِنْ قَوْلِ الْيَهُودِ , مَا ذَكَرْنَا , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ , دَفْعًا لِقَوْلِهِمْ , وَإِبَاحَةً لِلْوَطْءِ فِي الْفَرْجِ مِنَ الدُّبُرِ وَمِنَ الْقُبُلِ جَمِيعًا. وَقَدْ رَوَى آخَرُونَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا وَزَادَ فِيهِ «إِذَا كَانَ ذَلِكَ فِي الْفَرْجِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮৯
empty
৪৩৮৯।
4389 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯০
empty
৪৩৯০।
4390 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯১
empty
৪৩৯১।
4391 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯২
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৯২। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …… জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন এক ইয়াহুদী বলল, যদি কোন ব্যক্তি মুজবিয়া (যার পাছা নেই, রানে গোশত নেই এবং বুকেও স্তন উচু নেই- কেউ কেউ বলেন এটার অর্থ হচ্ছে প্রভাবিত) মহিলাকে বিয়ে করে তার সন্তান হবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট । তখন আল্লাহ্ তা'আলা অবতীর্ণ করেনঃ نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার। (সূরা বাকারাঃ ২২৩) স্ত্রী মুজবিয়া হোক অথবা মুজবিয়া না হোক, যখন এটা হবে একই ছিদ্র।
4392 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا أُبَيٌّ قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ رَاشِدٍ , يُحَدِّثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ " أَنَّ يَهُودِيًّا قَالَ: إِذَا نَكَحَ الرَّجُلُ امْرَأَةً مُجَبِّيَةً , خَرَجَ وَلَدُهَا أَحْوَلَ. فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] إِنْ شِئْتُمْ مُجَبِّيَةً , وَإِنْ شِئْتُمْ غَيْرَ مُجَبِّيَةٍ , إِذَا كَانَ ذَلِكَ فِي صِمَامٍ وَاحِدٍ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৩
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৯৩। ইউনুস (রাহঃ) ……. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা মুসলমানদেরকে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে পিছন দিক্ দিয়ে সঙ্গম করে তার সন্তান টেরা চক্ষু বিশিষ্ট হয়। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা কুরআন অবতীর্ণ করেনঃ ★★ অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্য ক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে গমন করতে পার। (সূরা বাকারাঃ ২২৩)। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, সামনের দিক দিয়ে ও পিছন দিক দিয়ে উভয়ই সমান, যদি তা লজ্জাস্থানে হয়।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক লজ্জাস্থানের শর্ত আরোপ করায় বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘোষণা করেন যে, মলদ্বারের বিষয়টি উপরোল্লেখিত বিষয়াদির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবে কেউ কেউ উপরোল্লেখিত আয়াতের ব্যাখা অন্যরূপও করেছেন। এ সম্পর্কে নিম্নে বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযোগ্যঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক লজ্জাস্থানের শর্ত আরোপ করায় বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘোষণা করেন যে, মলদ্বারের বিষয়টি উপরোল্লেখিত বিষয়াদির সাথে সম্পৃক্ত নয়। তবে কেউ কেউ উপরোল্লেখিত আয়াতের ব্যাখা অন্যরূপও করেছেন। এ সম্পর্কে নিম্নে বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযোগ্যঃ
4393 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ , أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ حَدَّثَهُ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , أَنَّ الْيَهُودَ قَالُوا لِلْمُسْلِمِينَ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ وَهِيَ مُدَبَّرَةٌ , جَاءَ وَلَدُهَا أَحْوَلَ فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُقْبِلَةٌ وَمُدْبِرَةٌ , مَا كَانَ فِي الْفَرْجِ» فَفِي تَوْقِيفِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُمْ فِي ذَلِكَ عَلَى الْفَرْجِ , إِعْلَامٌ مِنْهُ إِيَّاهُمْ أَنَّ الدُّبُرَ بِخِلَافِ ذَلِكَ. وَقَدْ قِيلَ فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآيَةِ أَيْضًا غَيْرُ هَذَا التَّأْوِيلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৪
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৯৪। আহমাদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ….. যায়িদা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আমি একদিন আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে আযল সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন, “তোমাদের স্ত্রী তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র, যদি তুমি ইচ্ছে কর আযল কর আর যদি তুমি ইচ্ছে কর আমল না কর।” প্রথম দলের দলীলসমূহের মধ্য হতে এটাও একটা দলীল যে, তারা আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত বর্ণনাটিও তাদের অভিমত হিসেবে বর্ণনা করেন অর্থাৎ এটাকে হালাল মনে করেন।
4394 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ , عَنْ زَائِدَةَ قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ الْعَزْلِ , فَقَالَ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ} [البقرة: 223] إِنْ شِئْتَ فَاعْزِلْ , وَإِنْ شِئْتَ فَلَا تَعْزِلْ وَكَانَ مِنْ حُجَّةِ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَيْضًا لِقَوْلِهِمْ فِي ذَلِكَ , مَا قَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا مِنْ إِبَاحَةِ ذَلِكَ كَمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৫
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৯৫। আবু কুর্রা মুহাম্মাদ ইবন হুমাইদ ইবন হিশাম আর-রায়িনী (রাহঃ)..... আবুল হুবাব সায়ীদ ইবন ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি একদিন আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ)-কে মহিলাদের পিছন দিক দিয়ে সঙ্গম করা বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, এতে কোন ক্ষতি নেই।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এটা ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে, যেমন তোমরা উল্লেখ করেছ। তবে তার থেকে এর বিপরীতও বর্ণিত রয়েছেঃ
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এটা ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে, যেমন তোমরা উল্লেখ করেছ। তবে তার থেকে এর বিপরীতও বর্ণিত রয়েছেঃ
4395 - حَدَّثَنَا أَبُو قُرَّةَ مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ قَالَ: ثنا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ , وَأَبُو زَيْدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْغَمْرِ قَالَا: قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ: وَحَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ , أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ عَنْهُ , يَعْنِي عَنْ وَطْءِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ , فَقَالَ: «لَا بَأْسَ بِهِ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: قَدْ رُوِيَ هَذَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ , كَمَا ذَكَرْتُمْ , وَرُوِيَ عَنْهُ خِلَافُ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৭
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৯৬-৯৭। ফাহাদ (রাহঃ) ..... আবুল হুবাব সায়ীদ ইবন ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আমি আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ)-কে মহিলাদের পিছন দিয়ে সঙ্গম করার কথা জিজ্ঞেস করলাম, উত্তরে তিনি বলেন, কোন মুসলমান কি এরূপ কাজ করে?"
সুতরাং দেখা গেল প্রথম অভিমত অবলম্বনকারীদের বিপরীত বক্তব্য ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। শেষোক্ত বর্ণনাটির বিশুদ্ধতার দলীল হিসেবে নিম্ন বর্ণিত সালিম ইবন আব্দুল্লাহর অস্বীকৃতিকে পেশ করা হলঃ
সুতরাং দেখা গেল প্রথম অভিমত অবলম্বনকারীদের বিপরীত বক্তব্য ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। শেষোক্ত বর্ণনাটির বিশুদ্ধতার দলীল হিসেবে নিম্ন বর্ণিত সালিম ইবন আব্দুল্লাহর অস্বীকৃতিকে পেশ করা হলঃ
4396 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ ح
4397 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَا: ثنا اللَّيْثُ قَالَ ابْنُ وَهْبٍ فِي حَدِيثِهِ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَعْقُوبَ , وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ يَعْقُوبَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي الْحُبَابِ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ , مَا تَقُولُ فِي الْجَوَارِي الْحَمِضُ بِهِنَّ قَالَ: «وَمَا التَّحْمِيضُ» فَذَكَرْتُ الدُّبُرَ. فَقَالَ: «وَهَلْ يُفْعَلُ ذَلِكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ؟» فَقَدْ ضَادَّ هَذَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , مَا قَدْ رَوَاهُ عَنْهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي ذَلِكَ. وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ هَذَا , إِنْكَارُ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْ أَبِيهِ
4397 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَا: ثنا اللَّيْثُ قَالَ ابْنُ وَهْبٍ فِي حَدِيثِهِ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ يَعْقُوبَ , وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ يَعْقُوبَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي الْحُبَابِ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ , مَا تَقُولُ فِي الْجَوَارِي الْحَمِضُ بِهِنَّ قَالَ: «وَمَا التَّحْمِيضُ» فَذَكَرْتُ الدُّبُرَ. فَقَالَ: «وَهَلْ يُفْعَلُ ذَلِكَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ؟» فَقَدْ ضَادَّ هَذَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , مَا قَدْ رَوَاهُ عَنْهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي ذَلِكَ. وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ هَذَا , إِنْكَارُ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْ أَبِيهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৭
empty
৪৩৯৭।
4397 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৯
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৩৯৮-৯৯। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. মুসা ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন আল-হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তার পিতা, সালিম ইবন আব্দুল্লাহকে আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত নাফি' এর হাদীস বর্ণনা করার জন্য তাকে অনুরোধ করে। আর হাদীসটি ছিল মহিলাদের পিছন দিক দিয়ে সঙ্গম করাকে তিনি কোন প্রকার খারাপ মনে করতেন না। তখন সালিম বলেন, গোলামটি মিথ্যে বলেছে অথবা ভুল করেছে, তিনি বরং বলেছেন, পিছন দিক দিয়ে যোনীদ্বারে সঙ্গম করায় কোন ক্ষতি নেই। আবার মাইমুন ইবন মিহরান বলেন, নাফি' এ হাদীসটি বর্ণনা করেন যখন তিনি বৃদ্ধ হয়ে যান এবং তার বিবেচনা শক্তি লোপ পেয়ে যায়।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. মাইমুন ইবন মিহরান হতে বর্ণনা করেন। তিনি অধিকাংশ সময় এটাকে দুর্বল বর্ণনা বলে আখ্যায়িত করেন। নাফি' প্রথমত তার এ বর্ণনাটিকে অস্বীকার করেছিলেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ….. মাইমুন ইবন মিহরান হতে বর্ণনা করেন। তিনি অধিকাংশ সময় এটাকে দুর্বল বর্ণনা বলে আখ্যায়িত করেন। নাফি' প্রথমত তার এ বর্ণনাটিকে অস্বীকার করেছিলেন।
4398 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ الْحَسَنِ , أَنَّ أَبَاهُ سَأَلَ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ أَنْ يُحَدِّثَهُ بِحَدِيثِ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى بَأْسًا بِإِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ. فَقَالَ سَالِمٌ: كَذَبَ الْعَبْدُ , أَوْ أَخْطَأَ , إِنَّمَا قَالَ «لَا بَأْسَ أَنْ يُؤْتَيْنَ فِي فُرُوجِهِنَّ مِنْ أَدْبَارِهِنَّ» وَلَقَدْ قَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ: إِنَّ نَافِعًا إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ بَعْدَ مَا كَبِرَ وَذَهَبَ عَقْلُهُ
4399 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ فَهْدٌ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ , عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ. فَقَدْ يَضْعُفُ مَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا بِأَقَلَّ مِنْ قَوْلِ مَيْمُونٍ وَلَقَدْ أَنْكَرَهُ نَافِعٌ ابْتِدَاءً , عَلَى مَنْ رَوَاهُ عَنْهُ أَيْضًا
4399 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ فَهْدٌ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ , عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ. فَقَدْ يَضْعُفُ مَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا بِأَقَلَّ مِنْ قَوْلِ مَيْمُونٍ وَلَقَدْ أَنْكَرَهُ نَافِعٌ ابْتِدَاءً , عَلَى مَنْ رَوَاهُ عَنْهُ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৯৯
empty
৪৩৯৯।
4399 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০০
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০০। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) …… কা'ব ইবন আলকামা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি আবু নদর হতে বর্ণনা করেন। আবু নদর আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ)-এর গোলাম নাফি' কে বলেন, অনেক সময় শুনা যায় তুমি নাকি আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছ যে, তিনি মহিলাদের পিছন দিক দিয়ে সঙ্গম করাকে বৈধ বলে ফাতওয়া দিয়েছেন। নাফি' বলেন, তারা আমার সম্বন্ধে মিথ্যা বলেছে, আমি এখনই খবর দিচ্ছি যে, ব্যাপারটি ছিল এরূপঃ ইবন উমার (রাযিঃ) একদিন কুরআন পড়তে লাগলেন, আমি তার কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি যখন نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ এ পৌঁছলেন তখন বলেন, হে নাফি‘! তুমি কি এ আয়াতটি সম্পর্কে জান? আমি বললাম, 'না'। তিনি বললেন, আমরা ছিলাম কুরাইশ বংশের লোক। আমরা মহিলাদের উপর কর্তৃত্ব করতাম। যখন আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম এবং আনসারদের মহিলাদেরকে বিয়ে করলাম তখন আমরা তাদের থেকে ঐরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা করলাম যা আমরা আগে পেয়ে আসছিলাম। কিন্তু তারা এটা খারাপ মনে করতে লাগল এবং এটাকে বড় আকারে দেখতে লাগল। আনসারদের মহিলারা ইয়াহুদীদের আচার-আচরণ গ্রহণ করেছিল এবং তাদেরকে কাত করে উদগত হবার ব্যবস্থা ছিল, তখন আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনী আয়াত নাযিল করেন نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র, অতএব তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে গমন করতে পার। (সূরা বাকারাঃ ২২৩)।
এ হাদীসের মধ্যে নাফি'র অস্বীকৃতি রয়েছে এমন বর্ণনায়, যা ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহিলাদের পিছনে সঙ্গম করা বৈধ। এবং নাফি' থেকে আরও একটি সংবাদ জানা যায়, তিনি ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে আল্লাহর বাণী। এর তাফসীর প্রথম দলের তাফসীর অনুযায়ী নয়। বরং এ তাফসীরে বুঝা যায় যে, মহিলাদেরকে বসা অবস্থায় যোনী দ্বারে সঙ্গম করা বৈধ। আর এ ধরনের তাফসীর উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতেও বর্ণিত রয়েছেঃ
এ হাদীসের মধ্যে নাফি'র অস্বীকৃতি রয়েছে এমন বর্ণনায়, যা ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহিলাদের পিছনে সঙ্গম করা বৈধ। এবং নাফি' থেকে আরও একটি সংবাদ জানা যায়, তিনি ইবন উমার (রাযিঃ) থেকে আল্লাহর বাণী। এর তাফসীর প্রথম দলের তাফসীর অনুযায়ী নয়। বরং এ তাফসীরে বুঝা যায় যে, মহিলাদেরকে বসা অবস্থায় যোনী দ্বারে সঙ্গম করা বৈধ। আর এ ধরনের তাফসীর উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতেও বর্ণিত রয়েছেঃ
4400 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى , كَاتِبُ الْعُمَرِيِّ قَالَ: ثنا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَيَّاشٍ , عَنْ كَعْبِ بْنِ عَلْقَمَةَ , عَنْ أَبِي النَّضْرِ , أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَالَ لِنَافِعٍ , مَوْلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ: إِنَّهُ قَدْ أَكْثَرَ عَلَيْكَ الْقَوْلَ أَنَّكَ تَقُولُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّهُ أَفْتَى أَنْ تُؤْتَى النِّسَاءُ فِي أَدْبَارِهِنَّ. قَالَ نَافِعٌ: كَذَبُوا عَلَيَّ , وَلَكِنْ سَأُخْبِرُكَ كَيْفَ الْأَمْرُ , إِنَّ ابْنَ عُمَرَ عَرَضَ الْمُصْحَفَ يَوْمًا وَأَنَا عِنْدَهُ حَتَّى بَلَغَ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] فَقَالَ: «يَا نَافِعُ , هَلْ تَعْلَمُ مِنْ أَمْرِ هَذِهِ الْآيَةِ؟» قُلْتُ: لَا. قَالَ: " إِنَّا كُنَّا - مَعْشَرَ قُرَيْشٍ - نُحْبِي النِّسَاءَ , فَلَمَّا دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ وَنَكَحْنَا نِسَاءَ الْأَنْصَارِ , أَرَدْنَا مِنْهُنَّ مِثْلَ مَا كُنَّا نُرِيدُ , فَإِذَا هُنَّ قَدْ كَرِهْنَ ذَلِكَ وَأَعْظَمْنَهُ , وَكَانَتْ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ قَدْ أَخَذْنَ بِحَالِ الْيَهُودِ , وَإِنَّمَا يُؤْتَيْنَ عَلَى جُنُوبِهِنَّ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] " فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ إِنْكَارُ نَافِعٍ لِمَا قَدْ رُوِيَ عَنْهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا مِنْ إِبَاحَةِ وَطْءِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ وَإِخْبَارٍ مِنْهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّ تَأْوِيلَ قَوْلِهِ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] لَيْسَ عَلَى مَا تَأَوَّلَهُ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , وَلَكِنْ عَلَى إِبَاحَةٍ , وَعَلَى النِّسَاءِ بِأَرْكَانِ فُرُوجِهِنَّ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا نَحْوٌ مِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০১
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০১। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইবন সাবিত (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হাফসা বিনত আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-এর কাছে একদিন আগমন করলাম এবং তাকে বললাম, আমি আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। কিন্তু আমি আপনার থেকে লজ্জাবোধ করছি। হাফসা (রাযিঃ) বলেন, হে আমার ভাইয়ের সন্তান, তোমার যা প্রয়োজন তা তুমি আমাকে জিজ্ঞেস কর। আমি বললাম, মহিলাদের মলদ্বারে উদগত হওয়া সম্বন্ধে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই। তিনি বলেন, আমাকে উম্মে সালামা (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আনসারগণ মহিলাদের উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতেন না এবং মুহাজিরগণ কর্তৃত্ব বজায় রাখতেন। আর ইয়াহূদীরা বলতো, যে ব্যক্তি সঙ্গমের সময় মহিলাদের উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখে তার সন্তান হবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট। মুহাজিরগণ যখন মদীনায় আগমন করেন তারা আনসারদের মহিলাদেরকে বিয়ে করেন। মুহাজিরদের এক ব্যক্তি আনসারদের এক মহিলাকে বিয়ে করল এবং সঙ্গমের সময় তার উপর কর্তৃত্ব করতে ইচ্ছে করল। মহিলাটি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল এবং উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করে এ বিষয়টি উল্লেখ করল। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘরে প্রবেশ করলেন উম্মে সালামা (রাযিঃ) এ বিষয়টি তার কাছে উল্লেখ করলেন। আনসারী মহিলাটি লজ্জাবোধ করল এবং ঘর থেকে বের হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, তাকে ডেকে আন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) তখন তাকে ডেকে আনলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ صِمَامًا وَاحِدًا অর্থাৎ তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র, অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছে গমন করতে পার, তবে একই ছিদ্র হতে হবে।
সুতরাং উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এ আয়াতাংশটির তাফসীর সম্পর্কেও সংবাদ দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক একই ছিদ্র শর্ত আরোপের সংবাদও দিলেন। আর এটাই দলীল হচ্ছে একথার ওপর যে, ঐ ছিদ্রের বিপরীতটার হুকুমও এ ছিদ্রের বিপরীত হুকুম হবে। আর যদি এটাই না হয় তাহলে একই ছিদ্রের কথাটির কোন অর্থই হয় না।
এ আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও বর্ণনা পাওয়া যায়, যা এ অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণঃ
সুতরাং উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এ আয়াতাংশটির তাফসীর সম্পর্কেও সংবাদ দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক একই ছিদ্র শর্ত আরোপের সংবাদও দিলেন। আর এটাই দলীল হচ্ছে একথার ওপর যে, ঐ ছিদ্রের বিপরীতটার হুকুমও এ ছিদ্রের বিপরীত হুকুম হবে। আর যদি এটাই না হয় তাহলে একই ছিদ্রের কথাটির কোন অর্থই হয় না।
এ আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও বর্ণনা পাওয়া যায়, যা এ অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণঃ
4401 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو سَلَمَةَ التَّبُوذَكِيُّ قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ قَالَ: أَتَيْتُ حَفْصَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ لَهَا: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَسْأَلَكِ عَنْ شَيْءٍ وَأَنَا أَسْتَحِي مِنْكِ , فَقَالَتْ: سَلْ يَا ابْنَ أَخِي عَنْ مَا بَدَا لَكَ. قُلْتُ: عَنْ إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ , قَالَتْ: حَدَّثَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ أَنَّ الْأَنْصَارَ كَانُوا لَا يُجِبُّونَ وَكَانَ الْمُهَاجِرُونَ يُجِبُّونَ وَكَانَتِ الْيَهُودُ تَقُولُ مَنْ جَبَّى خَرَجَ وَلَدُهُ أَحْوَلَ. [ص:43] فَلَمَّا قَدِمَ الْمُهَاجِرُونَ الْمَدِينَةَ , نَكَحُوا نِسَاءَ الْأَنْصَارِ , فَنَكَحَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْمَرْأَةَ مِنَ الْأَنْصَارِ فَجَبَّا , فَأَبَتْ , وَأَتَتْ أُمَّ سَلَمَةَ فَذَكَرَتْ لَهَا ذَلِكَ. فَلَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ أُمُّ سَلَمَةَ , فَاسْتَحْيَتِ الْأَنْصَارِيَّةُ وَخَرَجَتْ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ادْعِيهَا فَدَعَتْهَا , فَقَالَ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ "} [البقرة: 223] صِمَامًا وَاحِدًا فَقَدْ أَخْبَرَتْ أُمُّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِتَأْوِيلِ هَذِهِ الْآيَةِ أَيْضًا , وَبِتَوْقِيفِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ بِقَوْلِهِ صِمَامًا وَاحِدًا. فَذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ حُكْمَ ضِدِّ ذَلِكَ الصِّمَامِ , بِخِلَافِ حُكْمِ ذَلِكَ الصِّمَامِ , وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَمَا كَانَ لِقَوْلِهِ صِمَامًا وَاحِدًا مَعْنًى. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي تَأْوِيلِ هَذِهِ الْآيَةِ مَا يَرْجِعُ مَعْنَاهُ إِلَى هَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০২
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০২। রাবীআল-জীযী......হানাশ ইবন আব্দুল্লাহ্ আস-সাবায়ী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে শুনেছেন। তিনি বলেন, হিমইয়ার সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক লোক রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে আগমন করে এবং তাঁকে মহিলাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে । তখন আল্লাহ্ তাআলা কুরআনী আয়াত নাযিল করেনঃ نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ এবং রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ সামনের দিক দিয়ে হোক কিংবা পিছনের দিক দিয়ে হোক তাতে কিছু আসে যায় না, যদি তা হয়ে থাকে যোনীদ্বার দিয়ে।
অতঃপর মহিলাদের মলদ্বার দিয়ে উদগত হওয়ার নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত হাদীসসমূহ বর্ণিত হয়ে থাকেঃ
অতঃপর মহিলাদের মলদ্বার দিয়ে উদগত হওয়ার নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত হাদীসসমূহ বর্ণিত হয়ে থাকেঃ
4402 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , أَنَّ عَامِرَ بْنَ يَحْيَى الْمَعَافِرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ حَنَشَ بْنَ عَبْدِ اللهِ الشَّيْبَانِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ , سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ , أَنَّ نَاسًا مِنْ حِمْيَرٍ أَتَوْا إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ عَنِ النِّسَاءِ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: 223] قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِيتِهَا مُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً , إِذَا كَانَ ذَلِكَ فِي الْفَرْجِ» ثُمَّ جَاءَتِ الْآثَارُ مُتَوَاتِرَةً بِالنَّهْيِ عَنْ إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ
فَمِنْ ذَلِكَ ,
فَمِنْ ذَلِكَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০৩
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০৩। ইউনুস (রাহঃ) …. খুযাইমা ইবন সাবিত হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা'আলা সত্য কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন না, তোমরা মহিলাদের মলদ্বারে উদগত হবে না।
4403 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ , عَنِ ابْنِ الْهَادِ , عَنْ عُمَارَةَ بْنَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ , لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০৪
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০৪। রাওহ ইবন আল-ফারাজ (রাহঃ) ..... খুযাইমা ইবন সাবিত (রাহঃ) হতে বর্ণা করেন। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অতঃপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
4404 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ , مَوْلَى عَفْرَةَ بِنْتِ رَبَاحٍ أُخْتِ بِلَالٍ مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَرَمِيٍّ الْخِطْمِيِّ , عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০৫
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০৫। রাওহ ইবন আল-ফারাজ (রাহঃ) ...... মুহাম্মাদ ইবন আলী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবন কা'ব আল-ফারাজীর সাথে ছিলাম, তখন তাকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আবু হামযা! মহিলাদের মলদ্বারে সঙ্গম করা সম্বন্ধে আপনি কী বলেন? তিনি তখন অন্যদিকে মুখ ঘুরালেন কিংবা চুপচাপ রইলেন। তারপর তিনি আব্দুল্লাহ ইবন আলী ইবন সাঈদকে দেখিয়ে বললেন, ইনি কুরাইশদের একজন ওস্তাদ, সুতরাং তাকে জিজ্ঞাসা কর তখন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ, সেটা নোংরা বিষয়, এমনকি যদি তা হালালও হয় (বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদ শাফেঈ বলেন) আমার নানা (মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন শাফে') বলেন, তিনি (অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবন আলী ইবন সাইব) অতঃপর আব্দুল্লাহ্ ইবন আলী আমাকে সংবাদ দিলেন যে, এ বিষয়ে কোন হাদীস শুনেছিলেন না। তিনি আমর ইবন আবু উহাইহা ইবন আল-জুলাহ এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করেন, তখন তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি অবশ্যই খুযাইমা ইবন সাবিতকে শুনেছি, যার সাক্ষ্যকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুইজনের সাক্ষ্যের বরাবর মনে করতেন। তিনি বললেন, একদিন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আগমন করে ও বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি কি আমার স্ত্রীর পিছন দিয়ে উদগত হতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, 'হ্যাঁ' লোকটি এ কথাটি দু'বার অথবা তিনবার বলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ব্যাপারটি অনুধাবন করলেন এবং বললেন, দুই রাস্তার কোনটিতে? তবে সামনের পথে পিছন দিক দিয়ে হলে 'হ্যাঁ'। আর পিছনের পথের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে মহিলাদের মলদ্বারে উদগত হওয়া নিষেধ করেছেন।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ব্যাপারটি অনুধাবন করলেন এবং বললেন, দুই রাস্তার কোনটিতে? তবে সামনের পথে পিছন দিক দিয়ে হলে 'হ্যাঁ'। আর পিছনের পথের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদেরকে মহিলাদের মলদ্বারে উদগত হওয়া নিষেধ করেছেন।
4405 - حَدَّثَنَا رَوْحٌ قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الشَّافِعِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: كُنْتُ مَعَ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ فَسَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا أَبَا حَمْزَةَ , مَا تَرَى فِي إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ؟ فَأَعْرَضَ أَوْ سَكَتَ. فَقَالَ: هَذَا شَيْخُ قُرَيْشٍ فَسَأَلَهُ , يَعْنِي عَبْدَ اللهِ بْنَ عَلِيِّ بْنِ السَّائِبِ , فَقَالَ عَبْدُ اللهِ: اللهُمَّ قَذِرًا , وَلَوْ كَانَ حَلَالًا. قَالَ حَرَمِيٌّ وَلَمْ يَكُنْ سَمِعَ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ: ثُمَّ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عَلِيٍّ أَنَّهُ لَقِيَ عَمْرَو بْنَ أَبِي أُحَيْحَةَ بْنِ الْجِلَاحِ فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ خُزَيْمَةَ بْنَ ثَابِتٍ الَّذِي جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهَادَتَهُ شَهَادَةَ رَجُلَيْنِ يَقُولُ: أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , آتِي امْرَأَتِي مِنْ دُبُرِهَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَعَمْ» قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. [ص:44] قَالَ: ثُمَّ فَطِنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «فِي أَيِّ الْخَرْطَتَيْنِ أَوْ فِي أَيِّ الْخَرْزَتَيْنِ؟ أَمَّا مِنْ دُبُرِهَا فِي قُبُلِهَا فَنَعَمْ , وَأَمَّا فِي دُبُرِهَا فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى نَهَاكُمْ أَنْ تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১০
পিছন দিক দিয়ে মহিলাদের সাথে সহবাস করা
৪৪০৬-১০। আব্দুর রহমান ইবন আল-জারূদ (রাহঃ) ..... খুযাইমা ইবন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তোমরা মহিলাদের মলদ্বারে উদগত হবে না।
বাকর ইবন ইদ্রিস (রাহঃ) অনুরূপ বর্ণনা করেন। খুযাইমা ইবন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) …… আবু আব্দুর রহমান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি তার নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
রাবী' আল-জীযী (রাহঃ) ….. হাসসান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
রাবী' আল-জীযী (রাহঃ) অন্য এক সনদে সায়ীদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
বাকর ইবন ইদ্রিস (রাহঃ) অনুরূপ বর্ণনা করেন। খুযাইমা ইবন সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) …… আবু আব্দুর রহমান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি তার নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
রাবী' আল-জীযী (রাহঃ) ….. হাসসান (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
রাবী' আল-জীযী (রাহঃ) অন্য এক সনদে সায়ীদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
4406 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْجَارُودِ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحُسَيْنِ الْأَنْصَارِيُّ ثُمَّ الْوَائِلِيُّ , عَنْ هَرَمِيِّ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْوَائِلِيِّ , عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَأْتُوا النِّسَاءَ فِي أَدْبَارِهِنَّ»
4407 - حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ قَالَ ثنا حَيْوَةُ وَابْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا حُسَيْنٌ , مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَلِيٍّ , عَنْ هَرَمِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الْخِطْمِيِّ , عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
4408 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4409 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو زُرْعَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَسَّانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4410 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ قَالَ: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ حَسَّانَ , مَوْلَى سَهْلِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ سَعِيدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4407 - حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ قَالَ ثنا حَيْوَةُ وَابْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا حُسَيْنٌ , مَوْلَى مُحَمَّدِ بْنِ سَهْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَلِيٍّ , عَنْ هَرَمِيِّ بْنِ عَلِيٍّ الْخِطْمِيِّ , عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ.
4408 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4409 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو زُرْعَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ قَالَ: أَخْبَرَنَا حَسَّانُ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4410 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ قَالَ: أنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ حَسَّانَ , مَوْلَى سَهْلِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ , عَنْ سَعِيدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান