শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৩৭২
৯. স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৭২। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের কোন একজনকে ঋতু অবস্থায় কটিবস্ত্র পরিধান করতে হুকুম দিতেন। অতঃপর তিনি তার সাথে রাত যাপন করতেন। শু'বা নামক এক বর্ণনাকারী বলেন, يُضَاجِعَهَا-এর স্থলে কোন কোন জায়গায় يُبَاشِرُهَا বর্ণিত রয়েছে।
بَابٌ الْحَائِضُ مَا يَحِلُّ لِزَوْجِهَا مِنْهَا
4372 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُ إِحْدَانَا أَنْ تَتَّزِرَ وَهِيَ حَائِضٌ , ثُمَّ يُضَاجِعَهَا» قَالَ شُعْبَةُ: وَقَالَ مَرَّةً: يُبَاشِرُهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৩
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৭৩। আলী ইবন মা‘বাদ (রাহঃ) ....... হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, প্রায় সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার সাথে কটি বস্ত্রের উপর সহবাস করতেন। আর আমি থাকতাম ঋতুবতী।
4373 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ: ثنا حُرَيْثُ بْنُ عَمْرٍو , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ: «رُبَّمَا بَاشَرَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا حَائِضٌ فَوْقَ الْإِزَارِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭৫
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৭৪-৭৫। রাবী' আল-মুয়াযযিন …… মাইমুনা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার স্ত্রীদের সাথে ঋতু অবস্থায় কটি বস্ত্রের উপর সঙ্গম করতেন।
4374 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَسَدٌ قَالَ: ثنا أَسْبَاطٌ ح
4375 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا أَسْبَاطٌ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادٍ , عَنْ مَيْمُونَةَ , قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَاشِرُ نِسَاءَهُ فَوْقَ الْإِزَارِ , وَهُنَّ حُيَّضٌ»
4375 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا أَسْبَاطٌ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادٍ , عَنْ مَيْمُونَةَ , قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَاشِرُ نِسَاءَهُ فَوْقَ الْإِزَارِ , وَهُنَّ حُيَّضٌ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৫
empty
৪৩৭৫।
4375 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭৭
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৭৬-৭৭। ইউনুস (রাহঃ) ….. রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর স্ত্রী হযরত মাইমুনা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার স্ত্রীদের কারো সাথে ঋতুবর্তী অবস্থায় কটি বস্ত্রের উপর সঙ্গম করতেন। আর এ কটি বস্ত্রটি দুই রান অথবা দুই হাটু পর্যন্ত লম্বা ছিল। আল-লাইস নামক বর্ণনাকারীর হাদীসে محتجزة به শব্দটি অতিরিক্ত পাওয়া যায় ।
রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) করেন। আল-লাইস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি ইবন ওয়াহবের ন্যায় বর্ণনা করেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল 'আলিম অভিমত পেশ করেন যে, ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কটিবস্ত্র ব্যতীত 'সহবাস' করা স্বামীর জন্য উচিত নয়, এবং স্ত্রীর গুপ্তস্থান অবগত হওয়া তার উচিত নয়। তারা দলীল হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাজকে উল্লেখ করেন, যা আমরা বর্ণনা করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)ও এরূপ অভিমত পেশ করেন। তারা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বর্ণিত বাণী থেকেও দলীল পেশ করেনঃ
রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) করেন। আল-লাইস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি ইবন ওয়াহবের ন্যায় বর্ণনা করেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল 'আলিম অভিমত পেশ করেন যে, ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে কটিবস্ত্র ব্যতীত 'সহবাস' করা স্বামীর জন্য উচিত নয়, এবং স্ত্রীর গুপ্তস্থান অবগত হওয়া তার উচিত নয়। তারা দলীল হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাজকে উল্লেখ করেন, যা আমরা বর্ণনা করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)ও এরূপ অভিমত পেশ করেন। তারা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বর্ণিত বাণী থেকেও দলীল পেশ করেনঃ
4376 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , وَاللَّيْثُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حَبِيبٍ , مَوْلَى عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ نَدْبَةَ قَالَ ابْنُ وَهْبٍ: إِنَّ اللَّيْثَ يَقُولُ بُدَيَّةُ مَوْلَاةُ مَيْمُونَةَ , عَنْ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَاشِرُ الْمَرْأَةَ مِنْ نِسَائِهِ , وَهِيَ حَائِضٌ , إِذَا كَانَ عَلَيْهَا إِزَارٌ يَبْلُغُ أَنْصَافَ الْفَخِذَيْنِ أَوِ الرُّكْبَتَيْنِ وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ: مُحْتَجِزَةً بِهِ
4377 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , فَذَكَرَ مِثْلَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ وَهْبٍ عَنِ اللَّيْثِ سَوَاءً. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْحَائِضَ لَا يَنْبَغِي لِزَوْجِهَا أَنْ يُجَامِعَهَا إِلَّا كَذَلِكَ , وَلَا يَطَّلِعَ مِنْهَا عَلَى عَوْرَةٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِفِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي ذَكَرْنَا , وَمِمَّنْ قَالَ بِهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا رُوِيَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
4377 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , فَذَكَرَ مِثْلَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ وَهْبٍ عَنِ اللَّيْثِ سَوَاءً. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْحَائِضَ لَا يَنْبَغِي لِزَوْجِهَا أَنْ يُجَامِعَهَا إِلَّا كَذَلِكَ , وَلَا يَطَّلِعَ مِنْهَا عَلَى عَوْرَةٍ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِفِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي ذَكَرْنَا , وَمِمَّنْ قَالَ بِهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا بِمَا رُوِيَ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৭
empty
৪৩৭৭।
4377 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮১
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৭৮-৮১। ইবরাহীম ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আসিম ইবন আমর আশ-শামী, যারা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-এর কাছে আগমন করেছিলেন, তাদের একজন থেকে বর্ণনা করেন। তারা ছিলেন তিনজন। তারা হযরত উমার (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, যখন কোন মহিলার ঋতু দেখা দেয় তখন তার স্বামী তার সাথে কি ব্যবহার করবে? তিনি বলেন, “তোমরা আমাকে এমন বস্তুটি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করছ, যার সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে আমার জিজ্ঞেস করার পর হতে এখন পর্যন্ত কেউ জিজ্ঞেস করেনি।” তিনি বলেন, “স্বামী তার থেকে কটি বস্ত্রের উপরাংশে ব্যবহার সমেত চুমু দিতে ও জড়িয়ে ধরতে পারে, কিন্তু তার নীচে আর খোঁজ নিতে পারবে না।"
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আসিম ইবন আমর আল-বাজালী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদল জনতা হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর কাছে আগমন করেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আসিম ইবন আমর আল বাজালী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদল জনতা উমার (রাযিঃ) এর কাছে আগমন করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ..... হযরত উমার (রাযিঃ)-এর গোলাম উমাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত উমার (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, স্বামী স্ত্রীর কটিবন্ত্রের উপরাংশ এবং কটিবস্ত্রের নিম্নাংশও ব্যবহার করতে পারবে, এতে কোন ক্ষতি নেই। তবে রক্তের স্থান থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা আরো বলেন, তোমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাজ বলে যে বর্ণনা পেশ করেছ তা তোমাদের পক্ষে এ ব্যাপারে দলীল নয়। কেননা আমরা অস্বীকার করি না যে, ঋতুবতী মহিলার কটি বস্ত্রের উপরাংশ থেকে তার স্বামী উপকৃত হতে পারবে। যদি আমরা অস্বীকার করতাম তাহলে এ হাদীস আমাদের বিরুদ্ধে দলীল বলে প্রমাণিত হত। বরং আমরা বলি, ঋতুবতী মহিলার স্বামী তার কটি বস্ত্রের উপরাংশ ব্যবহার করতে পারে এবং নীচের অংশও ব্যবহার করতে পারে, তবে রক্তের স্থান থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন সে ঋতুবতী হবার পূর্বে এসব স্থানগুলো ব্যবহার করতে পারত। সুতরাং এ হাদীসটি ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে গণ্য, যে কটিবস্ত্রের উপরাংশ ব্যবহার করার বৈধতা অস্বীকার করে। আর যারা এটাকে বৈধ মনে করে, তাদের বিরুদ্ধে এ হাদীসটি দলীল নয়, তোমাদের বিরুদ্ধে দলীল। কেননা তোমরা বলছ, স্বামী স্ত্রীর শুধু কটি বস্ত্রের উপরাংশই ব্যবহার করতে পারে। এ ব্যাপারে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রয়েছে যা আমাদের অভিমতের পক্ষে এবং তোমাদের অভিমতের বিপক্ষে। আর তিনি হলেন এমন এক সত্তা যার থেকে তোমরাও বর্ণনা পেশ করেছ যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীদের ঋতুর অবস্থায় তাদের সাথে এরূপ ব্যবহার করতেন। তোমরাই উল্লেখ করেছঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ….. আসিম ইবন আমর আল-বাজালী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদল জনতা হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর কাছে আগমন করেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আসিম ইবন আমর আল বাজালী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদল জনতা উমার (রাযিঃ) এর কাছে আগমন করেন। অতঃপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ফাহাদ (রাহঃ) ..... হযরত উমার (রাযিঃ)-এর গোলাম উমাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত উমার (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, স্বামী স্ত্রীর কটিবন্ত্রের উপরাংশ এবং কটিবস্ত্রের নিম্নাংশও ব্যবহার করতে পারবে, এতে কোন ক্ষতি নেই। তবে রক্তের স্থান থেকে বিরত থাকতে হবে। তারা আরো বলেন, তোমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাজ বলে যে বর্ণনা পেশ করেছ তা তোমাদের পক্ষে এ ব্যাপারে দলীল নয়। কেননা আমরা অস্বীকার করি না যে, ঋতুবতী মহিলার কটি বস্ত্রের উপরাংশ থেকে তার স্বামী উপকৃত হতে পারবে। যদি আমরা অস্বীকার করতাম তাহলে এ হাদীস আমাদের বিরুদ্ধে দলীল বলে প্রমাণিত হত। বরং আমরা বলি, ঋতুবতী মহিলার স্বামী তার কটি বস্ত্রের উপরাংশ ব্যবহার করতে পারে এবং নীচের অংশও ব্যবহার করতে পারে, তবে রক্তের স্থান থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন সে ঋতুবতী হবার পূর্বে এসব স্থানগুলো ব্যবহার করতে পারত। সুতরাং এ হাদীসটি ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীল হিসেবে গণ্য, যে কটিবস্ত্রের উপরাংশ ব্যবহার করার বৈধতা অস্বীকার করে। আর যারা এটাকে বৈধ মনে করে, তাদের বিরুদ্ধে এ হাদীসটি দলীল নয়, তোমাদের বিরুদ্ধে দলীল। কেননা তোমরা বলছ, স্বামী স্ত্রীর শুধু কটি বস্ত্রের উপরাংশই ব্যবহার করতে পারে। এ ব্যাপারে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত রয়েছে যা আমাদের অভিমতের পক্ষে এবং তোমাদের অভিমতের বিপক্ষে। আর তিনি হলেন এমন এক সত্তা যার থেকে তোমরাও বর্ণনা পেশ করেছ যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর স্ত্রীদের ঋতুর অবস্থায় তাদের সাথে এরূপ ব্যবহার করতেন। তোমরাই উল্লেখ করেছঃ
4378 - فَإِنَّهُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَلِيُّ [ص:37] بْنُ الْجَعْدِ قَالَ: أَخْبَرَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو الشَّامِيِّ , عَنْ أَحَدِ النَّفَرِ الَّذِينَ أَتَوْا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَكَانُوا ثَلَاثَةً , فَسَأَلُوهُ: مَا لِلرَّجُلِ مِنَ امْرَأَتِهِ إِذَا أَحْدَثَتْ؟ يَعْنُونَ الْحَيْضَ. فَقَالَ: سَأَلْتُمُونِي عَنْ شَيْءٍ , مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ مُنْذُ سَأَلْتُ عَنْهُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «لَهُ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , مِنَ التَّقْبِيلِ وَالضَّمِّ , وَلَا يَطَّلِعُ عَلَى مَا تَحْتَهُ»
4379 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو الْبَجَلِيِّ , أَنَّ قَوْمًا أَتَوْا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَسَأَلُوهُ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ.
4380 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ قَالَ: ثنا عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيِّ , أَنَّ قَوْمًا أَتَوْا عُمَرَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ.
4381 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عُمَيْرٍ , مَوْلًى لِعُمَرَ , عَنْ عُمَرَ , مِثْلَهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِمَا فَوْقَ الْإِزَارِ مِنْهَا , وَمَا تَحْتَ الْإِزَارِ إِذَا اجْتَنَبَ مَوَاضِعَ الدَّمِ. وَقَالُوا: أَمَّا مَا ذَكَرْتُمْ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي ذَلِكَ , لِأَنَّا نَحْنُ لَا نُنْكِرُ أَنَّ لِزَوْجِ الْحَائِضِ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , فَيَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً عَلَيْنَا. بَلْ نَحْنُ نَقُولُ: لَهُ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ وَمَا تَحْتَهُ , إِذَا اجْتَنَبَ مَوَاضِعَ الدَّمِ , كَمَا لَهُ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ قَبْلَ حُدُوثِ الْحَيْضِ. وَإِنَّمَا ذَلِكَ الْحَدِيثُ حُجَّةٌ عَلَى مَنْ أَنْكَرَ أَنَّ لِزَوْجِ الْحَائِضِ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ. فَأَمَّا مَنْ أَبَاحَ ذَلِكَ لَهُ , فَإِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ لَيْسَ بِحَجَّةٍ عَلَيْهِ , وَعَلَيْكُمُ الْبُرْهَانُ بَعْدُ , لِقَوْلِكُمْ: إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ مِنْهَا إِلَّا ذَلِكَ. فَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ نَحْنُ , وَيُخَالِفُ مَا ذَهَبْتُمْ أَنْتُمْ إِلَيْهِ , وَهِيَ أَحَدُ مَنْ رَوَيْتُمْ عَنْهَا , مِمَّا كَانَ يَفْعَلُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنِسَائِهِ إِذَا حِضْنَ , مَا ذَكَرْتُمْ مِنْ ذَلِكَ
4379 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو الْبَجَلِيِّ , أَنَّ قَوْمًا أَتَوْا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَسَأَلُوهُ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ.
4380 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ قَالَ: ثنا عَاصِمُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيِّ , أَنَّ قَوْمًا أَتَوْا عُمَرَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ.
4381 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عُمَيْرٍ , مَوْلًى لِعُمَرَ , عَنْ عُمَرَ , مِثْلَهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِمَا فَوْقَ الْإِزَارِ مِنْهَا , وَمَا تَحْتَ الْإِزَارِ إِذَا اجْتَنَبَ مَوَاضِعَ الدَّمِ. وَقَالُوا: أَمَّا مَا ذَكَرْتُمْ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي ذَلِكَ , لِأَنَّا نَحْنُ لَا نُنْكِرُ أَنَّ لِزَوْجِ الْحَائِضِ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , فَيَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً عَلَيْنَا. بَلْ نَحْنُ نَقُولُ: لَهُ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ وَمَا تَحْتَهُ , إِذَا اجْتَنَبَ مَوَاضِعَ الدَّمِ , كَمَا لَهُ أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ قَبْلَ حُدُوثِ الْحَيْضِ. وَإِنَّمَا ذَلِكَ الْحَدِيثُ حُجَّةٌ عَلَى مَنْ أَنْكَرَ أَنَّ لِزَوْجِ الْحَائِضِ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ. فَأَمَّا مَنْ أَبَاحَ ذَلِكَ لَهُ , فَإِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ لَيْسَ بِحَجَّةٍ عَلَيْهِ , وَعَلَيْكُمُ الْبُرْهَانُ بَعْدُ , لِقَوْلِكُمْ: إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ مِنْهَا إِلَّا ذَلِكَ. فَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ نَحْنُ , وَيُخَالِفُ مَا ذَهَبْتُمْ أَنْتُمْ إِلَيْهِ , وَهِيَ أَحَدُ مَنْ رَوَيْتُمْ عَنْهَا , مِمَّا كَانَ يَفْعَلُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنِسَائِهِ إِذَا حِضْنَ , مَا ذَكَرْتُمْ مِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৭৯
empty
৪৩৭৯।
4379 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮০
empty
৪৩৮০।
4380 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮১
empty
৪৩৮১।
4381 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮২
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৮২। ফাহাদ (রাহঃ) …… আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমার ঋতু অবস্থায় একই চাদরে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার সাথে রাত যাপন করতেন, তবে তিনি তার খায়েশের ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে অধিক নিয়ন্ত্রক বা মালিক ছিলেন।
এ হাদীসে উল্লেখিত 'একই চাদরে তিনি তার সাথে রাত যাপন করতেন' দ্বারা কটিবস্ত্রের নীচেও ব্যবহারের বৈধতা প্রকাশ পায়। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে এরূপ হাদীসও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে হুকুম দিতেন যেন কটিবস্ত্র পরিধান করে। এরপর তিনি তার সাথে রাত যাপন করতেন। তাই আমাদের -অভিমতে তিনি একবার এরূপ করতেন এবং অন্য বার অন্যরূপ করতেন। আর এতে প্রমাণ হয়, দুই প্রকার আমলই বৈধ। উপরোল্লেখিত বর্ণনা ছাড়াও অন্য সনদে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে আমাদের অভিমতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে নিম্ন বর্ণিত বর্ণনাটি প্রণিধানযোগ্যঃ
এ হাদীসে উল্লেখিত 'একই চাদরে তিনি তার সাথে রাত যাপন করতেন' দ্বারা কটিবস্ত্রের নীচেও ব্যবহারের বৈধতা প্রকাশ পায়। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে এরূপ হাদীসও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে হুকুম দিতেন যেন কটিবস্ত্র পরিধান করে। এরপর তিনি তার সাথে রাত যাপন করতেন। তাই আমাদের -অভিমতে তিনি একবার এরূপ করতেন এবং অন্য বার অন্যরূপ করতেন। আর এতে প্রমাণ হয়, দুই প্রকার আমলই বৈধ। উপরোল্লেখিত বর্ণনা ছাড়াও অন্য সনদে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে আমাদের অভিমতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বর্ণনা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে নিম্ন বর্ণিত বর্ণনাটি প্রণিধানযোগ্যঃ
4382 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: ثنا زُهَيْرُ قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يُبَاشِرُنِي وَأَنَا فِي شِعَارٍ وَاحِدٍ , وَأَنَا حَائِضٌ , وَلَكِنَّهُ كَانَ أَمْلَكَكُمْ لِأَرَبِهِ , أَوْ أَمْلَكَ لِأَرَبِهِ» فَهَذَا عَلَى أَنَّهُ كَانَ يُبَاشِرُهَا فِي إِزَارٍ وَاحِدٍ , فَفِي ذَلِكَ إِبَاحَةُ مَا تَحْتَ الْإِزَارِ. [ص:38] فَلَمَّا جَاءَ هَذَا عَنْهَا , وَقَدْ جَاءَ عَنْهَا أَنَّهُ كَانَ يَأْمُرُهَا أَنْ تَتَّزِرَ ثُمَّ يُبَاشِرُهَا , كَانَ هَذَا - عِنْدَنَا - عَلَى أَنَّهُ كَانَ يَفْعَلُ هَكَذَا مَرَّةً , وَهَكَذَا مَرَّةً , وَفِي ذَلِكَ إِبَاحَةُ الْمَعْنَيَيْنِ جَمِيعًا. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ , مَا يُوَافِقُ هَذَا الْقَوْلَ الَّذِي صَحَّحْنَا عَلَيْهِ حَدِيثَيْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , لِلَّذِينَ ذَكَرْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮৩
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৮৩। মুহাম্মাদ ইবন খুযাইমা (রাহঃ) ...... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইয়াহুদীরা ঋতুবতী মহিলাদের সাথে একই ঘরে পানাহার, উঠাবসা ও মেলামেশা করত না। এ খবর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে উত্থাপন করা হল । তখন আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনের আয়াত নাযিল করেনঃ
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ
অর্থাৎ লোকে আপনাকে রজঃস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, এটা অশুচি। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন করবে।' (সূরা বাকারাঃ ২২২) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন বলেন, “সঙ্গম ব্যতীত তোমরা সবকিছুই কর।"
সুতরাং এ হাদীসে বোঝা গেল যে, ঋতুবতী মহিলার সাথে সংগম ব্যতীত আর সব কিছুই করতে পারে। আর এরূপ কথা অবিকল হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রয়েছেঃ
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ
অর্থাৎ লোকে আপনাকে রজঃস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, এটা অশুচি। সুতরাং তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন করবে।' (সূরা বাকারাঃ ২২২) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন বলেন, “সঙ্গম ব্যতীত তোমরা সবকিছুই কর।"
সুতরাং এ হাদীসে বোঝা গেল যে, ঋতুবতী মহিলার সাথে সংগম ব্যতীত আর সব কিছুই করতে পারে। আর এরূপ কথা অবিকল হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রয়েছেঃ
4383 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ ثَابِتٍ , عَنْ أَنَسٍ , أَنَّ الْيَهُودَ , كَانُوا لَا يَأْكُلُونَ , وَلَا يَشْرَبُونَ , وَلَا يَقْعُدُونَ مَعَ الْحُيَّضِ فِي بَيْتٍ. فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ} [البقرة: 222] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ , مَا خَلَا الْجِمَاعَ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّهُمْ كَانُوا قَدْ أُبِيحُوا مِنَ الْحَائِضِ كُلَّ شَيْءٍ مِنْهَا , غَيْرَ جِمَاعِهَا خَاصَّةً , وَذَلِكَ عَلَى جِمَاعِ الْفَرَجِ دُونَ مَا سِوَاهُ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْقَوْلُ بِعَيْنِهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৫
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৮৪-৮৫। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) ….. আবু কিলাবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করে, ঋতুবতী মহিলার কি কি জিনিস তার স্বামীর জন্য বৈধ ? তিনি বলেন, লজ্জাস্থান ব্যতীত তার সবকিছুই স্বামীর জন্য বৈধ।
ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) অন্য এক সনদে আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) অন্য এক সনদে আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
4384 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَائِشَةَ: مَا يَحِلُّ لِلرَّجُلِ مِنَ امْرَأَتِهِ إِذَا كَانَتْ حَائِضًا؟ فَقَالَتْ: «كُلُّ شَيْءٍ إِلَّا فَرْجَهَا»
4385 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَ ذَلِكَ
4385 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮৫
empty
৪৩৮৫।
4385 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩৮৬
স্বামীর জন্য ঋতুবতী মহিলার কি কি হালাল ?
৪৩৮৬। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... হাকীম ইবন ইকাল (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদিন আমি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, যখন আমার স্ত্রী ঋতুবতী হয় তখন আমার জন্য তার কি কি জিনিস হারাম বা অবৈধ। তিনি বলেন, তার লজ্জাস্থান।
মোট কথা, এটাই হল হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের দিক থেকে আলোচ্য অধ্যায়ের সঠিক সিদ্ধান্ত। পক্ষান্তরে যুক্তিগত দিক থেকে ব্যাখ্যা এই যে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মহিলাটির ঋতুবতী হবার পূর্বে স্বামী তার লজ্জাস্থানে তাকে সঙ্গম করতে পারে। আর সে কটিবন্ত্রের উপরে যেমন সঙ্গম করতে পারে অনুরূপভাবে কটিবস্ত্রের নীচেও সঙ্গম করতে পারে। অতঃপর মহিলাটি যখন ঋতুবতী হয় তখন তার লজ্জাস্থানে সঙ্গম করা স্বামীর জন্যে হারাম হয়ে যায়; কিন্তু সকলের মতানুযায়ী কটিবস্ত্রের উপরে সঙ্গম করা হালাম থেকে যায়। আর কটিবস্ত্রের নীচে সঙ্গম করা সম্পর্কে মতভেদ থেকে যায়। এটা আমি পূর্বে বর্ণনা করেছি। সুতরাং কেউ কেউ এটাকে হালাল মনে করে এবং এটার হুকুমকে কটিবস্ত্রের উপরের হুকুমের ন্যায় গণ্য করে। তবে কেউ কেউ এটাকে নিষিদ্ধ মনে করে এবং এটার হুকুমকে লজ্জাস্থানে সঙ্গমের হুকুমের ন্যায় গণ্য করে। যখন উলামায়ে কিরাম এ মাসআলা সম্পর্কে মতভেদ করেন তখন আমাদের জন্যে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে এ ব্যাপারে চিন্তা ও গবেষণার আশ্রয় নেয়া। তাহলে জানা যাবে কোন অভিমতটি সঠিকতার অধিক নিকটবর্তী। তাহলে সেভাবেই এটার হুকুমকে গণ্য করতে হবে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, লজ্জাস্থানে সঙ্গম করলে আল্লাহর শাস্তি, মাহর ও গোসল ইত্যাদি ওয়াজিব হয়, কিন্তু লজ্জাস্থান ব্যতীত অন্য জায়গায় সঙ্গমের জন্যে এরূপ কোন কিছুই ওয়াজিব হয় না, বরং এটার মধ্যে কটিবস্ত্রের উপর এবং কটিবস্ত্রের নিচ একই বরাবর। তাতে প্রমাণ হয় যে, কটিবন্ত্রের নীচে সঙ্গম করাটা লজ্জাস্থানে সঙ্গম করার চেয়ে কটিবন্ত্রের উপর সঙ্গম করার অতি নিকটবর্তী হিসেবে গণ্য। এর উপর গবেষণা করলে বুঝা যায় যে, ঋতুবতী নারীর ক্ষেত্রেও অনুরূপ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য । সুতরাং তার হুকুম হবে কটিবস্ত্রের উপর সঙ্গম করার ন্যায়, লজ্জাস্থানে সঙ্গম করার মত নয়। এটা ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। আর এটা আমাদেরও অভিমত।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “অতঃপর আমরা এ অনুচ্ছেদ নিয়ে আরো চিন্তা-ভাবনা করলাম এবং বিশুদ্ধ হাদীসগুলো সংগ্রহ করলাম, তাতে দেখা যায় যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এর অভিমতই অধিক গ্রহণীয় । ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত নয়। এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলোকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
প্রথম প্রকারের হাদীসগুলো হলঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঋতুর সময় স্ত্রীদের সাথে কটি বস্ত্রের উপরে সঙ্গম করতেন। এতে কটিবন্ত্রের নীচে সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কোন দলীল পাওয়া যায় না। এ অনুচ্ছেদের যথাস্থানে আমি তা উল্লেখ করেছি।
দ্বিতীয় প্রকারের হাদীসগুলো হলঃ হযরত উমার (রাযিঃ) -এর গোলাম উমাইর (রাযিঃ) হযরত উমার (রাযিঃ) হতে এবং উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তাও যথাস্থানে উল্লেখ করেছি। এতে একথার উপর দলীল রয়ে গেছে যে, ঋতুবতী স্ত্রীকে কটিবন্ত্রের নীচে সহবাস করা নিষেধ। কেননা এটা সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কোন বাণী নেই। তিনি শুধু উল্লেখ করেছেন কটিবন্ত্রের উপরে সহবাস করাকে। আর এটাও হল কোন ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে যে প্রশ্ন করেছিলেন তার উত্তর। প্রশ্ন ছিল কোন ব্যক্তির স্ত্রী ঋতুবতী হলে তার কি কি জিনিস স্বামীর জন্য বৈধ ও হালাল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, কটিবস্ত্রের উপর। সুতরাং এটা ছিল একটি প্রশ্নের উত্তর, কমও নয়, বেশীও নয়।
তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলো হলঃ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যা আমি যথাস্থানে উল্লেখ করেছি। তা হল লজ্জাস্থান ব্যতীত ঋতুবতী মহিলাকে সহবাস করা বৈধ যদিও তা কটিবস্ত্রের নীচে হয়ে থাকে। এখন আমরা গবেষণা করে দেখব শেষোক্ত দু প্রকারের হাদীসগুলোর মধ্যে কোটা অন্যটার পরে এসেছে; যাতে পরবর্তীটি পূর্ববর্তীটির জন্যে বিলুপ্তকারী হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় যে, আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মধ্যে ইয়াহুদীদের সম্বন্ধে সংবাদ দেয়া হয়েছে। কিতাবীদের যে কাজে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বিপরীত করার হুকুম দেয়া হয়নি সে কাজটির ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিতাবীদের অনুসরণ করা পছন্দ করতেন। আল-জানাইয অধ্যায়ে আমরা আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি। অনুরূপভাবে আল্লাহ্ তা'আলাও হুকুম দিয়েছেন। সূরা আনআমের ৯০ আয়াতে ইরশাদ করেনঃ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهِ অর্থাৎ “তাদেরকেই আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেছেন সুতরাং তুমি তাদের পথের অনুসরণ কর।” সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পূর্বেকার শরীয়াত অনুসরণ করা ছিল ফরজ যতক্ষণ না তার জন্য এমন একটি শরীয়াত প্রদান করা হবে যা হবে পূর্বেকার শরীয়াতের বিলুপ্তকারী। ইয়াহুদীরা ঋতুবতী মহিলার সাথে পানাহার ও একই সাথে বসবাস করা হতে বিরত থাকত। আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে লজ্জাস্থান ব্যতীত অন্যান্য জায়গায় সঙ্গম করা বৈধ। আর উমার (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে কটিবস্ত্রের উপর সঙ্গম করার কথা বলা হয়েছে এবং কটিবস্ত্রের নিচ থেকে বিরত থাকার জন্যে বলা হয়েছে। কাজই হযরত উমার (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের পূর্বে হতে পারে না। সুতরাং আনাস (রাযিঃ)-এর হাদীসটি পরবর্তী হাদীস হওয়ায় প্রমাণিত হল যে, আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি ناسخ বা বিলুপ্তকারী। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমতটি বিশুদ্ধ হাদীসের বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতটি বর্জনীয় বলে প্রমাণিত হল।
মোট কথা, এটাই হল হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের দিক থেকে আলোচ্য অধ্যায়ের সঠিক সিদ্ধান্ত। পক্ষান্তরে যুক্তিগত দিক থেকে ব্যাখ্যা এই যে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, মহিলাটির ঋতুবতী হবার পূর্বে স্বামী তার লজ্জাস্থানে তাকে সঙ্গম করতে পারে। আর সে কটিবন্ত্রের উপরে যেমন সঙ্গম করতে পারে অনুরূপভাবে কটিবস্ত্রের নীচেও সঙ্গম করতে পারে। অতঃপর মহিলাটি যখন ঋতুবতী হয় তখন তার লজ্জাস্থানে সঙ্গম করা স্বামীর জন্যে হারাম হয়ে যায়; কিন্তু সকলের মতানুযায়ী কটিবস্ত্রের উপরে সঙ্গম করা হালাম থেকে যায়। আর কটিবস্ত্রের নীচে সঙ্গম করা সম্পর্কে মতভেদ থেকে যায়। এটা আমি পূর্বে বর্ণনা করেছি। সুতরাং কেউ কেউ এটাকে হালাল মনে করে এবং এটার হুকুমকে কটিবস্ত্রের উপরের হুকুমের ন্যায় গণ্য করে। তবে কেউ কেউ এটাকে নিষিদ্ধ মনে করে এবং এটার হুকুমকে লজ্জাস্থানে সঙ্গমের হুকুমের ন্যায় গণ্য করে। যখন উলামায়ে কিরাম এ মাসআলা সম্পর্কে মতভেদ করেন তখন আমাদের জন্যে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে এ ব্যাপারে চিন্তা ও গবেষণার আশ্রয় নেয়া। তাহলে জানা যাবে কোন অভিমতটি সঠিকতার অধিক নিকটবর্তী। তাহলে সেভাবেই এটার হুকুমকে গণ্য করতে হবে। আমরা আরো লক্ষ্য করেছি যে, লজ্জাস্থানে সঙ্গম করলে আল্লাহর শাস্তি, মাহর ও গোসল ইত্যাদি ওয়াজিব হয়, কিন্তু লজ্জাস্থান ব্যতীত অন্য জায়গায় সঙ্গমের জন্যে এরূপ কোন কিছুই ওয়াজিব হয় না, বরং এটার মধ্যে কটিবস্ত্রের উপর এবং কটিবস্ত্রের নিচ একই বরাবর। তাতে প্রমাণ হয় যে, কটিবন্ত্রের নীচে সঙ্গম করাটা লজ্জাস্থানে সঙ্গম করার চেয়ে কটিবন্ত্রের উপর সঙ্গম করার অতি নিকটবর্তী হিসেবে গণ্য। এর উপর গবেষণা করলে বুঝা যায় যে, ঋতুবতী নারীর ক্ষেত্রেও অনুরূপ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য । সুতরাং তার হুকুম হবে কটিবস্ত্রের উপর সঙ্গম করার ন্যায়, লজ্জাস্থানে সঙ্গম করার মত নয়। এটা ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। আর এটা আমাদেরও অভিমত।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “অতঃপর আমরা এ অনুচ্ছেদ নিয়ে আরো চিন্তা-ভাবনা করলাম এবং বিশুদ্ধ হাদীসগুলো সংগ্রহ করলাম, তাতে দেখা যায় যে, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এর অভিমতই অধিক গ্রহণীয় । ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত নয়। এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীসগুলোকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
প্রথম প্রকারের হাদীসগুলো হলঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঋতুর সময় স্ত্রীদের সাথে কটি বস্ত্রের উপরে সঙ্গম করতেন। এতে কটিবন্ত্রের নীচে সহবাস নিষিদ্ধ হওয়ার কোন দলীল পাওয়া যায় না। এ অনুচ্ছেদের যথাস্থানে আমি তা উল্লেখ করেছি।
দ্বিতীয় প্রকারের হাদীসগুলো হলঃ হযরত উমার (রাযিঃ) -এর গোলাম উমাইর (রাযিঃ) হযরত উমার (রাযিঃ) হতে এবং উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তাও যথাস্থানে উল্লেখ করেছি। এতে একথার উপর দলীল রয়ে গেছে যে, ঋতুবতী স্ত্রীকে কটিবন্ত্রের নীচে সহবাস করা নিষেধ। কেননা এটা সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কোন বাণী নেই। তিনি শুধু উল্লেখ করেছেন কটিবন্ত্রের উপরে সহবাস করাকে। আর এটাও হল কোন ব্যক্তি হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে যে প্রশ্ন করেছিলেন তার উত্তর। প্রশ্ন ছিল কোন ব্যক্তির স্ত্রী ঋতুবতী হলে তার কি কি জিনিস স্বামীর জন্য বৈধ ও হালাল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বললেন, কটিবস্ত্রের উপর। সুতরাং এটা ছিল একটি প্রশ্নের উত্তর, কমও নয়, বেশীও নয়।
তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলো হলঃ হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যা আমি যথাস্থানে উল্লেখ করেছি। তা হল লজ্জাস্থান ব্যতীত ঋতুবতী মহিলাকে সহবাস করা বৈধ যদিও তা কটিবস্ত্রের নীচে হয়ে থাকে। এখন আমরা গবেষণা করে দেখব শেষোক্ত দু প্রকারের হাদীসগুলোর মধ্যে কোটা অন্যটার পরে এসেছে; যাতে পরবর্তীটি পূর্ববর্তীটির জন্যে বিলুপ্তকারী হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় যে, আনাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মধ্যে ইয়াহুদীদের সম্বন্ধে সংবাদ দেয়া হয়েছে। কিতাবীদের যে কাজে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বিপরীত করার হুকুম দেয়া হয়নি সে কাজটির ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কিতাবীদের অনুসরণ করা পছন্দ করতেন। আল-জানাইয অধ্যায়ে আমরা আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছি। অনুরূপভাবে আল্লাহ্ তা'আলাও হুকুম দিয়েছেন। সূরা আনআমের ৯০ আয়াতে ইরশাদ করেনঃ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهِ অর্থাৎ “তাদেরকেই আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেছেন সুতরাং তুমি তাদের পথের অনুসরণ কর।” সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পূর্বেকার শরীয়াত অনুসরণ করা ছিল ফরজ যতক্ষণ না তার জন্য এমন একটি শরীয়াত প্রদান করা হবে যা হবে পূর্বেকার শরীয়াতের বিলুপ্তকারী। ইয়াহুদীরা ঋতুবতী মহিলার সাথে পানাহার ও একই সাথে বসবাস করা হতে বিরত থাকত। আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে লজ্জাস্থান ব্যতীত অন্যান্য জায়গায় সঙ্গম করা বৈধ। আর উমার (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে কটিবস্ত্রের উপর সঙ্গম করার কথা বলা হয়েছে এবং কটিবস্ত্রের নিচ থেকে বিরত থাকার জন্যে বলা হয়েছে। কাজই হযরত উমার (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীস হযরত আনাস (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের পূর্বে হতে পারে না। সুতরাং আনাস (রাযিঃ)-এর হাদীসটি পরবর্তী হাদীস হওয়ায় প্রমাণিত হল যে, আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি ناسخ বা বিলুপ্তকারী। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমতটি বিশুদ্ধ হাদীসের বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য এবং ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতটি বর্জনীয় বলে প্রমাণিত হল।
4386 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ بُكَيْرٍ , عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلٍ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ عِقَالٍ قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ: مَا يَحْرُمُ عَلِيَّ مِنَ امْرَأَتِي إِذَا حَاضَتْ؟ قَالَتْ: «فَرْجُهَا» فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الْمَرْأَةَ قَبْلَ أَنْ تَحِيضَ , لِزَوْجِهَا أَنْ يُجَامِعَهَا فِي فَرْجِهَا , وَلَهُ مِنْهَا مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , وَمَا تَحْتَ الْإِزَارِ أَيْضًا. ثُمَّ إِذَا حَاضَتْ , حَرُمَ عَلَيْهِ الْجِمَاعُ فِي فَرْجِهَا , وَحَلَّ لَهُ مِنْهَا , مَا فَوْقَ الْإِزَارِ بِاتِّفَاقِهِمْ. وَاخْتَلَفُوا فِيمَا تَحْتَ الْإِزَارِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , فَأَبَاحَهُ بَعْضُهُمْ , فَجَعَلَ حُكْمَهُ حُكْمَ مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , وَمَنَعَ مِنْهُ بَعْضُهُمْ فَجَعَلَ حُكْمَهُ حُكْمَ الْجِمَاعِ فِي الْفَرَجِ. فَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ , وَجَبَ النَّظَرُ , لِنَعْلَمَ أَيُّ الْوَجْهَيْنِ هُوَ أَشْبَهُ بِهِ , فَيُحْكَمَ لَهُ بِحُكْمِهِ؟ [ص:39] فَرَأَيْنَا الْجِمَاعَ فِي الْفَرَجِ , يُوجِبُ الْحَدَّ وَالْمَهْرَ وَالْغُسْلَ , وَرَأَيْنَا الْجِمَاعَ فِيمَا سِوَى الْفَرَجِ لَا يُوجِبُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا وَيَسْتَوِي فِي ذَلِكَ حُكْمُ مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , وَمَا تَحْتَ الْإِزَارِ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ حُكْمَ مَا تَحْتَ الْإِزَارِ أَشْبَهُ بِمَا فَوْقَ الْإِزَارِ مِنْهُ بِالْجِمَاعِ فِي الْفَرَجِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هُوَ فِي حُكْمِ الْحَائِضِ , فَيَكُونُ حُكْمُهُ حُكْمَ الْجِمَاعِ فَوْقَ الْإِزَارِ , لَا حُكْمَ الْجِمَاعِ فِي الْفَرَجِ. وَهَذَا قَوْلُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , وَبِهِ نَأْخُذُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: ثُمَّ نَظَرْتُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي هَذَا الْبَابِ , وَفِي تَصْحِيحِ الْآثَارِ فِيهِ , فَإِذَا هِيَ تَدُلُّ عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , لَا عَلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مُحَمَّدٌ. وَذَلِكَ أَنَّا وَجَدْنَاهَا عَلَى ثَلَاثَةِ أَنْوَاعٍ: فَنَوْعٌ مِنْهَا مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُبَاشِرُ نِسَاءَهُ وَهُنَّ حُيَّضٌ , فَوْقَ الْإِزَارِ , فَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى مَنْعِ الْمَحِيضِ مِنَ الْمُبَاشَرَةِ تَحْتَ الْإِزَارِ , لِمَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ. وَنَوْعٌ آخَرُ مِنْهَا , وَهُوَ مَا رَوَى عُمَيْرُ , مَوْلَى عُمَرَ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ فِي مَوْضِعِهِ. فَكَانَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى الْمَنْعِ مِنْ جِمَاعِ الْحُيَّضِ تَحْتَ الْإِزَارِ , لِأَنَّ مَا فِيهِ مِنْ كَلَامِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَذِكْرُهُ مَا فَوْقَ الْإِزَارِ , فَإِنَّمَا هُوَ جَوَابٌ لِسُؤَالِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ إِيَّاهُ: مَا لِلرَّجُلِ مِنَ امْرَأَتِهِ إِذَا كَانَتْ حَائِضًا؟ فَقَالَ لَهُ: مَا فَوْقَ الْإِزَارِ فَكَانَ ذَلِكَ جَوَابَ سُؤَالِهِ , لَا نُقْصَانَ فِيهِ وَلَا تَقْصِيرَ. وَنَوْعٌ آخَرُ مَا هُوَ , مَا رُوِيَ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ , فَذَلِكَ مُبِيحٌ لِإِتْيَانِ الْحُيَّضِ دُونَ الْفَرَجِ , وَإِنْ كَانَ تَحْتَ الْإِزَارِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ أَيُّ هَذَيْنِ النَّوْعَيْنِ تَأَخَّرَ عَنْ صَاحِبِهِ , فَنَجْعَلُهُ نَاسِخًا لَهُ؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَإِذَا حَدِيثُ أَنَسٍ , فِيهِ إِخْبَارٌ عَمَّا كَانَتِ الْيَهُودُ عَلَيْهِ , وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ مُوَافَقَةَ أَهْلِ الْكِتَابِ فِيمَا لَمْ يُؤْمَرْ فِيهِ بِخِلَافِهِمْ , قَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , فِي كِتَابِ الْجَنَائِزِ , وَكَذَلِكَ أَمَرَهُ اللهُ تَعَالَى فِي قَوْلِهِ: {أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللهُ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهِ} [الأنعام: 90] فَكَانَ عَلَيْهِ اتِّبَاعُ مَنْ تَقَدَّمَهُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى يَحْدُثَ لَهُ شَرِيعَةٌ تَنْسَخُ شَرِيعَتَهُ. فَكَانَ الَّذِي نَسَخَ مَا كَانَتِ الْيَهُودُ عَلَيْهِ , مِنَ اجْتِنَابِ كَلَامِ الْحَائِضِ وَمُؤَاكَلَتِهَا وَالِاجْتِمَاعِ مَعَهَا فِي بَيْتٍ , هُوَ مَا هُوَ فِي حَدِيثِ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَا وَاسِطَةَ بَيْنَهُمَا. فَفِي حَدِيثِ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هَذَا , إِبَاحَةُ جِمَاعِهَا فِيمَا دُونَ الْفَرَجِ. [ص:40] وَكَانَ الَّذِي فِي حَدِيثِ عُمَرَ الْإِبَاحَةَ لِمَا فَوْقَ الْإِزَارِ , وَالْمَنْعَ مَا تَحْتَ الْإِزَارِ. فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مُتَقَدِّمًا لِحَدِيثِ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِذَا كَانَ حَدِيثُ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ هُوَ النَّاسِخَ لِاجْتِنَابِ الِاجْتِمَاعِ مَعَ الْحَائِضِ , وَمُؤَاكَلَتِهَا وَمُشَارَبَتِهَا. فَثَبَتَ أَنَّهُ مُتَأَخِّرٌ عَنْهُ , وَنَاسِخٌ لِبَعْضِ الَّذِي أُبِيحَ فِيهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مِنْ هَذَا , بِتَصْحِيحِ الْآثَارِ , وَانْتَفَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান