শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৩০১
৫. কোন ব্যক্তি যদি তার দাসীকে এ শর্তে মুক্ত করে দেয় যে, তার মুক্তিই তার মাহর
৪৩০১। মুহাম্মাদ ইবন খুযাইমা (রাহঃ) …. আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সাফিয়া (রাযিঃ) কে মুক্তি দেন এবং তার মুক্তিকেই তার মাহর নির্ধারণ করেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী বলেনঃ একদল 'আলিম অভিমত পেশ করেন যে, যদি কোন ব্যক্তি তার দাসীকে একথার উপরে মুক্তি দেন যে, তার মুক্তিই তার মাহর, তাহলে এটা শুদ্ধ হবে। যদি তাকে বিয়ে করে তাহলে মুক্তি ব্যতীত তার জন্যে অন্য কোন মাহর নেই। এ অভিমত অবলম্বনকারীদের কয়েকজন হলেনঃ সুফিয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) ও আবু ইউসুফ (রাহঃ)। অন্য একদল 'আলিম তাদের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ ব্যতীত অন্য কারো জন্য এরূপ করা বৈধ নয়। এটা ছিল রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্য বিশেষ অনুমতি, কেননা আল্লাহ তা'আলা শুধু তার জন্যে মাহর ছাড়া বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন, অন্যের জন্যে অনুমতি দেন নি। আল্লাহ তা'আলা সূরা আহযাবের ৩৩ঃ৫০ আয়াত ঘোষণা করেনঃ وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَنْ يَسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ
অর্থাৎ "কোন মু'মিন নারী নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে করলে সে-ও বৈধ। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য, অন্য মু'মিনদের জন্যে নয়।" আল্লাহ তা'আলা যখন তাঁর নবীর জন্যে মাহর ব্যতীত বিবাহ করা বৈধ করেছেন তখন তার জন্যে মুক্তি বিনিময়ে বিবাহ করাও বৈধ;
কিন্তু এ মুক্তি মাহর হিসেবে গন্য নয়। আর আল্লাহ তা'আলা মাহর ব্যতীত অন্য কাউকে বিবাহ করা বৈধ করেন নি। কাজেই মুক্তি মাহর হিসেবে গন্য না হওয়ায় মুক্তির বিনিময়ে বিবাহ করা বৈধ হবেনা। এ অভিমত অবলম্বনকারীদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), আবু যুফার (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাদের দলীল নীচে উল্লেখ করা হলোঃ
আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেন। তিনি জুয়াইরিয়া (রাযিঃ) এর ক্ষেত্রে এরূপ করেছিলেন। অনুরূপভাবে আনাস (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ননা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ হযরত সাফিয়া (রাযিঃ) -এর ক্ষেত্রেও এরূপ করেছেন।
بَابُ الرَّجُلِ يَعْتِقُ أَمَتَهُ عَلَى أَنَّ عِتْقَهَا صَدَاقُهَا
4301 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا أَبَانُ , وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , قَالَا: ثنا شُعَيْبُ بْنُ الْحَبْحَابِ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ: أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَعْتَقَ أَمَتَهُ , عَلَى أَنَّ عِتْقَهَا صَدَاقُهَا , جَازَ ذَلِكَ , فَإِنْ تَزَوَّجَهَا , فَلَا مَهْرَ لَهَا غَيْرُ الْعَتَاقِ. وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ , سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , وَأَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَيْسَ لِأَحَدٍ غَيْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَفْعَلَ هَذَا , فَيَتِمُّ لَهُ النِّكَاحُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ سِوَى الْعَتَاقِ , وَإِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ خَاصًّا , لِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ , جَعَلَ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ بِغَيْرِ صَدَاقٍ , وَلَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ لِأَحَدٍ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرِهِ قَالَ عَزَّ وَجَلَّ: {وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَنْ يَسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ} [الأحزاب: 50] . فَلَمَّا أَبَاحَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ أَنْ يَتَزَوَّجَ بِغَيْرِ صَدَاقٍ , كَانَ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ عَلَى الْعَتَاقِ الَّذِي لَيْسَ بِصَدَاقٍ. وَمَنْ لَمْ يُبِحِ اللهُ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ عَلَى غَيْرِ صَدَاقٍ , لَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَ عَلَى الْعَتَاقِ الَّذِي لَيْسَ بِصَدَاقٍ. وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَزُفَرُ , وَمُحَمَّدٌ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ. وَمِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَدْ رَوَى عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَعَلَ فِي جُوَيْرِيَةَ ذَلِكَ , مِثْلَ مَا رَوَى عَنْهُ أَنَسٌ أَنَّهُ فَعَلَهُ فِي صَفِيَّةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৩
কোন ব্যক্তি যদি তার দাসীকে এ শর্তে মুক্ত করে দেয় যে, তার মুক্তিই তার মাহর
৪৩০২-০৩। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) …… ইবন আউন (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, "নাফি' (রাহঃ) আমাকে পত্র লিখে জানান যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বনু মুসতালিকের যুদ্ধে জুয়াইরিয়া (রাযিঃ) -কে গ্রহণ করেন, তাকে মুক্ত করে দেন এবং তাকে বিবাহ করেন। আর তাঁর মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করেন।
এ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন, আর তিনি উক্ত বাহিনীতে শরীক ছিলেন।
ইমাম আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ "আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ননা করেন, যেমন আমরা উল্লেখ করেছি। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর পরে এ ধরনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন যে, স্ত্রীর জন্যে নতুন করে মাহর নির্ধারণ করবে।

সুলায়মান ইবন শুআইব (রাহঃ) …… ইবন উমার (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। দেখুন এই আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) -ই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য যে বিধান ছিল তাঁর পর তা থেকে ভিন্ন সিদ্ধান্ত হবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে যে, এরূপ তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে শুনেছেন। আর এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি নিজেই এ অর্থের দিকে আমাদেরকে পথপ্রদর্শন করেন, যা আমরা পূর্বে বর্ননা করেছি যে, এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যে ছিল একটি বিশেষ অনুমতি, অন্যদের জন্যে নয়।
অতঃপর আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক জুয়াইরিয়া (রাযিঃ) কে মুক্ত করে দেয়া, বিবাহ করা ও মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করা সম্পর্কে গবেষণা করলাম। তখন আমরা এ সম্পর্কে একটি বর্ননা দেখতে পেলামঃ
4302 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدُ قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنِ ابْنِ عَوْنٍ قَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ نَافِعٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ جُوَيْرِيَةَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ , فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا , وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا " أَخْبَرَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , وَكَانَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ فَقَدْ رَوَى هَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ كَمَا ذَكَرْنَا ثُمَّ قَالَ هُوَ مِنْ بَعْدِ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ فِي مِثْلِ هَذَا , أَنَّهُ يُجَدِّدُ لَهَا صَدَاقًا. [ص:21]

4303 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ مِثْلَ ذَلِكَ فَهَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , قَدْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّ الْحُكْمَ فِي ذَلِكَ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ , عَلَى غَيْرِ مَا كَانَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ. فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ سَمَاعًا سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ دَلَّهُ عَلَى ذَلِكَ الْمَعْنَى الَّذِي اسْتَدْلَلْنَا بِهِ نَحْنُ عَلَى خُصُوصِيَّةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , بِمَا وَصَفْنَا دُونَ النَّاسِ. ثُمَّ نَظَرْنَا فِي عَتَاقِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُوَيْرِيَةَ الَّتِي تَزَوَّجَهَا عَلَيْهِ وَجَعَلَهُ صَدَاقَهَا , كَيْفَ كَانَ؟
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৩
empty
৪৩০৩।
4303 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৪
কোন ব্যক্তি যদি তার দাসীকে এ শর্তে মুক্ত করে দেয় যে, তার মুক্তিই তার মাহর
৪৩০৪। রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বনু মুসতালিকের কয়েদীদের গ্রহন করেন তখন জুয়াইরিয়া বিনত আল-হারিস (রাযিঃ) সাবিত ইবন কাইস ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাতো ভাইয়ের ভাগে পড়লেন। তখন তিনি তার মনিবের সাথে মুকাতাবা করেন। হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) বলেন, তিনি ছিলেন অতি 'মধুর' নারী। যখন কেউ তার প্রতি দৃষ্টি করত, তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে আগমন করেন এবং তার মুকাতাবা এর অর্থ অর্জনে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করেন। আল্লাহর শপথ, তিনি ছিলেন সেখানে। আমি যখন মহিলাটিকে হুজরার দরজায় দেখলাম তাকে অসহনীয় মনে করলাম এবং অনুমান করতে লাগলাম, তিনিও অচিরেই আমার ন্যায় তাকে দেখবেন। মহিলাটি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি জুয়াইরিয়া বিনত আল-হারিস ইবন আবু দারার, যিনি নিজ সম্প্রদায়ের সর্দার। আমার উপর যে মুসিবত আপতিত হয়েছে তা কারো কাছে গোপন থাকেনি। অতঃপর আমি সাবিত ইবন কাইস ইবন শাম্মাস কিংবা তার চাচাতো ভাইয়ের ভাগে পড়েছি। তারপর আমি তার সাথে মুকাতাবা করেছি। সুতরাং আমি আমার মুকাতাবা সম্পর্কে কিছু সাহায্য চাওয়ার জন্যে এখন আপনার কাছে আগমন করেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন এর চেয়ে বেশী কল্যানকর বস্তুর প্রতি কি তোমার আগ্রহ আছে? তিনি বললেন, এটা কি, ইয়া রাসূলাল্লাহ? রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আমি তোমার মুকাতাবার অর্থ তোমার পক্ষ থেকে আদায় করে দেব এবং আমি তোমাকে বিবাহ করবো? মহিলাটি বললেন, 'হা'। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তাহলে আমি আদায় করলাম। এরপর জনগনের কাছে এ সংবাদটি প্রচারিত হলো যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ জুয়াইরিয়া বিনতুল হারিস (রাযিঃ) কে বিবাহ করেছেন। অতঃপর লোকজন বলতে লাগলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বৈবাহিক সম্পর্ক করেছেন, কাজেই তারা তাদের হাতে যত কয়েদী ছিল সবাইকে ছেড়ে দিল। হযরত আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ জুয়াইরিয়া (রাযিঃ) কে বিবাহ করার কারনে বনু মুসতালিকের একশটি পরিবার মুক্ত হয়ে গেল। আমি এমন কোন মহিলাকে জানিনা, যে তার সম্প্রদায়ের জন্যে তার থেকে অধিক বরকতময় হতে পারে।
হযরত আয়িশা (রাযিঃ) মুক্তির কথাটি বর্ণনা করেন, যা আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ মুক্তির উপর তাকে বিবাহ করেছেন এবং এ মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করেছেন। কেমন করে এটা হলো? তিনি তার পক্ষ থেকে মুকাতাবার অর্থ আদায় করেন, যে মুকাতাবা হযরত জুয়াইরিয়া সম্পন্ন করেছিলেন, যাতে এ আদায়ের মাধ্যমে মুক্তি লাভ করতে পারেন। অতঃপর যে মুক্তি, মুকাতাবার অর্থ রাসূল ﷺ -এর আদায়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল এবং যিনি তা সম্পাদন করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর পক্ষ থেকে তারই মাহর হিসেবে বিবেচিত হলো, যার বর্ননা আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রাযিঃ) -এর হাদীসেও পাওয়া যায়। আর এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ ব্যতীত অন্য কারো জন্যে হয়নি যে, কোন মহিলার মুকাতাবার অর্থ মনিবের কাছে তার মুক্তির শর্তে আদায় করা হয় এবং আদায়কারীর পক্ষ থেকে তার মাহর বলে বিবেচিত হয় এবং তিনি তার স্ত্রীরূপে পরিগনিত হন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যই বিশেষ অনুমতি ছিল যে, তিনি অর্জন মুক্তিকে মাহর হিসেবে গন্য করবেন। এই অনুমতি তার উম্মতের অন্য কারো জন্যে ছিলো না।
এটা হলো আলোচ্য বিষয়ের হাদীসী প্রমান। আর যুক্তিগত প্রমান এই যে, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেছেন, যাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, তার মাহর হিসেবে মুক্তিকে গন্য করার ব্যাপারে আমার যুক্তি হলো এই যে, মুক্তিদানই শুধু তার মাহর হবে, এর সাথে অন্য কিছু সে পাবে না। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যখন বিয়ে করার শর্তের উপরে মুক্তি অর্জিত হয়, অতঃপর মহিলাটি বিয়েতে অস্বীকার করে তখন তাকে তার মূল্যের বিপরীতে উপার্জন প্রচেষ্টায় নিযুক্ত হতে হয়। তিনি আরো বলেন, সুতরাং বিয়ে অস্বীকার করার বেলায় যে জিনিসটির বিনিময়ে মহিলাটিকে উপার্জন চেষ্টায় নিযুক্ত হতে হয়, বিবাহে সম্মত হওয়ার ক্ষেত্রে সেটাই মাহর বলে সাব্যস্ত হবে। তিনি আরো বলেন, এরপর যদি মহিলাটির সাথে সঙ্গম করার পূর্বে তাকে তালাক দেয়া হয় তাহলে তাকে অর্ধেক মূল্যের বিনিময়ে উপার্জন করতে হবে। আল-হাসান (রাহঃ) হতেও অনুরূপ বর্নিত রয়েছেঃ
4304 - فَإِذَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا هُوَ ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ قَالَ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: لَمَّا أَصَابَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبَايَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ , وَقَعَتْ جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ فِي سَهْمٍ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ , فَكَاتَبَتْ عَلَى نَفْسِهَا قَالَتْ وَكَانَتِ امْرَأَةً حُلْوَةً , لَا يَكَادُ يَرَاهَا أَحَدٌ إِلَّا أَخَذَتْ بِنَفْسِهِ , فَأَتَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْتَعِينُهُ فِي كِتَابَتِهَا فَوَاللهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ رَأَيْتُهَا عَلَى بَابِ الْحُجْرَةِ فَكَرِهْتُهَا , وَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَرَى مِنْهَا مِثْلَ مَا رَأَيْتُ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَنَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ , سَيِّدِ قَوْمِهِ , وَقَدْ أَصَابَنِي مِنَ الْأَمْرِ مَا لَمْ يَخْفَ فَوَقَعْتُ فِي سَهْمِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ , أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ , فَكَاتَبْتُهُ , فَجِئْتُ رَسُولَ اللهِ أَسْتَعِينُهُ عَلَى كِتَابَتِي. قَالَ: «فَهَلْ لَكَ مِنْ خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ» قَالَتْ: وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: «أَقْضِي عَنْكَ كِتَابَتَكَ وَأَتَزَوَّجُكَ» قَالَتْ: نَعَمْ قَالَ: «فَقَدْ فَعَلْتُ» . وَخَرَجَ الْخَبَرُ إِلَى النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ , فَقَالُوا: صَاهَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَرْسَلُوا مَا فِي أَيْدِيهِمْ. قَالَتْ: فَلَقَدْ أَعْتَقَ بِتَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا مِائَةَ أَهْلِ بَيْتٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ " , فَلَا نَعْلَمُ امْرَأَةً كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهَا مِنْهَا فَبَيَّنَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا الْعَتَاقَ الَّذِي ذَكَرَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَهَا عَلَيْهِ , وَجَعَلَهُ مَهْرَهَا كَيْفَ هُوَ؟ وَأَنَّهُ إِنَّمَا هُوَ أَدَاؤُهُ عَنْهَا مُكَاتَبَتَهَا إِلَى الَّذِي كَانَ كَاتَبَهَا لِتَعْتِقَ بِذَلِكَ الْأَدَاءِ. ثُمَّ كَانَ ذَلِكَ الْعَتَاقُ الَّذِي وَجَبَ بِأَدَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُكَاتَبَةَ إِلَى الَّذِي كَانَ كَاتَبَهَا مَهْرًا لَهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. [ص:22] وَلَيْسَ هَذَا لِأَحَدٍ غَيْرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدْفَعَ عَنْ مُكَاتَبَةٍ مُكَاتَبَتَهَا إِلَى مَوْلَاهَا , عَلَى أَنْ تَعْتِقَ بِأَدَائِهِ ذَلِكَ عَنْهَا , وَيَكُونُ ذَلِكَ الْعتاقُ مَهْرًا لَهَا مِنْ قِبَلِ الَّذِي أَدَّى عَنْهَا مُكَاتَبَتَهَا , وَتَكُونُ بِذَلِكَ زَوْجَةً لَهُ. فَلَمَّا كَانَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلَ هَذَا مَهْرًا عَلَى أَنَّ ذَلِكَ خَاصٌّ لَهُ دُونَ أُمَّتِهِ , كَانَ لَهُ أَنْ يَجْعَلَ الْعَتَاقَ الَّذِي تَوَلَّاهُ هُوَ أَيْضًا , مَهْرًا لِمَنْ أَعْتَقَهُ , عَلَى أَنَّ ذَلِكَ خَاصٌّ لَهُ دُونَ أُمَّتِهِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّ أَبَا يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ: النَّظَرُ - عِنْدِي - فِي هَذَا , أَنْ يَكُونَ الْعَتَاقُ مَهْرًا لِلْمُعْتَقَةِ عَلَيْهِ , لَيْسَ لَهَا مَعَهُ غَيْرُهُ. وَذَلِكَ لِأَنَّا رَأَيْنَاهَا إِذَا وَقَعَ الْعَتَاقُ , عَلَى أَنْ تُزَوِّجَهُ نَفْسَهَا , ثُمَّ أَبَتِ التَّزْوِيجَ , أَنَّ عَلَيْهَا أَنْ تَسْعَى فِي قِيمَتِهَا. قَالَ: فَمَا كَانَ يَجِبُ عَلَيْهَا أَنْ تَسْعَى فِيهِ إِذَا أَبَتِ التَّزْوِيجَ , يَكُونُ مَهْرًا لَهَا , إِذَا أَجَابَتْ إِلَى التَّزْوِيجِ. قَالَ: وَإِنْ طَلَّقَهَا بَعْدَ ذَلِكَ , قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ , كَانَ عَلَيْهَا أَنْ تَسْعَى فِي نِصْفِ قِيمَتِهَا. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا أَيْضًا عَنِ الْحَسَنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৫
কোন ব্যক্তি যদি তার দাসীকে এ শর্তে মুক্ত করে দেয় যে, তার মুক্তিই তার মাহর
৪৩০৫। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ……. আশয়াস (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি আল-হাসান (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, "যদি এক ব্যক্তি তার দাসীকে মুক্ত করে দেয় এবং তার মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করে, অতঃপর তাকে সঙ্গমের পূর্বে তালাক প্রদান করে, আল-হাসান (রাহঃ) বলেন, তাহলে মহিলাটিকে অর্ধেক মূল্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে।
এটা ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) -এর বিরুদ্ধে একটি দলীল। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, যখন সে বিয়েকে অস্বীকার করে তখন তাকে পূর্ণ অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)- এর অভিমত। আর যখন সে বিয়েকে স্বীকার করে তখন তাদের অভিমতে যা ধার্য হওয়ার কথা তা ধার্য হয়। তবে ইমাম যুফার (রাহঃ) বলতেন, যখন সে বিয়েটা অস্বীকার করে তখন তার মাহর সংগ্রহের চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই। কেননা তার মতে যদিও মূল মুক্তিতে বিবাহ বন্ধনকে শর্ত করা হয়েছে, তবে বিবাহকে স্বামী থেকে প্রাপ্ত অর্থের বদলে শর্ত করা হয়েছে আর তা হচ্ছে মাহর, যা বিবাহের স্বীকৃতি পাওয়া গেলে স্ত্রীর স্বামীর উপরে ওয়াজিব হয়। আর শর্তাধীন বিবাহের মুক্তি ব্যতীত অন্যটাই বদল রয়েছে। সুতরাং এটা হচ্ছে এমন, যেমন কোন এক ব্যক্তি এক বছর তার খিদমতের শর্তে এক হাজার দিরহামের পরিবর্তে তার গোলামকে মুক্ত করে দিল। গোলাম এ শর্ত কবুল করে নিল। অতঃপর সে তার খিদমত করতে অস্বীকার করল। ইমাম যুফারের মতে তার উপর কোন জিনিস ওয়াজিব হবে না। কেননা যদি সে খিদমত করত তাহলে সে খিদমতের পরিবর্তে সম্পদের অধিকারী হত। অনুরূপভাবে ইমাম যুফারের মতে বিবাহের শর্তে মুক্ত দাসী যদি বিবাহের সম্মতি দেয় তাহলে তার 'সম্ভোগ অঙ্গের' বিপরীতে মাহর ওয়াজিব হত। কিন্তু যখন সে অস্বীকৃতি জানায় তখন তার গর্দানের বিপরীতে কোন জিনিস ওয়াজিব হবে না। কেননা কোন বদল ছাড়াই তার গর্দান মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তবে একটি জিনিসের বিনিময়ে তার উপর বিবাহের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর বিবাহ সাব্যস্ত না হলে বিবাহের বিনিময়ও সাব্যস্ত হয় না। যেমন খিদমত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে খিদমতের বদল প্রতিষ্ঠিত হয় না। সুতরাং দুইটার বিলুপ্তি অথবা কোন একটির বিলুপ্তি মুক্তির বদল হতে পারে না যে মুক্তি কোন বিনিময় ছাড়া সাব্যস্ত হয়েছে। এ অনুচ্ছেদের মধ্যে এটাই গবেষণামূলক চিন্তাধারা, যেমন ইমাম যুফার (রাহঃ) বলেছেন। তবে এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত নয়।
আয়্যুব আস-সাখতিয়ানী রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে সাফিয়া (রাযিঃ) -এর তার মুক্তির শর্তে বিবাহানুষ্ঠানের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম যুফার (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত অনুযায়ী মতামত পেশ করেছেন।
4305 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ , عَنْ أَشْعَثَ , عَنِ الْحَسَنِ , فِي رَجُلٍ أَعْتَقَ أَمَتَهُ , وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا , ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا قَالَ: «عَلَيْهَا أَنْ تَسْعَى فِي نِصْفِ قِيمَتِهَا» وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ فِي هَذَا عَلَى أَبِي يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ , أَنَّ مَا ذَكَرَهُ مِنْ وُجُوبِ السِّعَايَةِ عَلَيْهَا , إِذَا أَبَتْ فِي قِيمَتِهَا , قَدْ قَالَ هُوَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا فَمَا لَزِمَهُمَا مِنْ ذَلِكَ فِي قَوْلِهَا إِذَا أَجَابَتْ إِلَى التَّزْوِيجِ , فَهُوَ لَازِمٌ لَهُمَا. وَأَمَّا زُفَرُ فَكَانَ يَقُولُ: لَا سِعَايَةَ عَلَيْهَا إِذَا أَبَتْ لِأَنَّهُ وَإِنْ كَانَ شَرَطَ عَلَيْهَا النِّكَاحَ فِي أَصْلِ الْعَتَاقِ , فَإِنَّمَا شَرَطَ ذَلِكَ عَلَيْهَا بِبَدَلٍ شَرَطَهُ لَهَا عَلَى نَفْسِهِ , وَهُوَ الصَّدَاقُ الَّذِي يَجِبُ لَهَا فِي قَوْلِهِ إِذَا أَجَابَتْ , فَكَانَ الْعَتَاقُ وَاقِعًا عَلَيْهَا لَا بِبَدَلٍ , وَالنِّكَاحُ الْمَشْرُوطُ عَلَيْهَا لَهُ بَدَلٌ , غَيْرُ الْعَتَاقِ. فَصَارَ ذَلِكَ , كَرَجُلٍ أَعْتَقَ عَبْدَهُ عَلَى أَنْ يَخْدُمَهُ سَنَةً بِأَلْفِ دِرْهَمٍ , فَقَبِلَ ذَلِكَ الْعَبْدُ ثُمَّ أَبَى أَنْ يَخْدُمَهُ , فَلَا شَيْءَ لَهُ عَلَيْهِ , لِأَنَّهُ لَوْ خَدَمَهُ , لَكَانَ يَسْتَحِقُّ عَلَيْهِ بِاسْتِخْدَامِهِ إِيَّاهُ أَجْرًا , بَدَلًا مِنَ الْخِدْمَةِ. فَكَذَلِكَ إِذَا كَانَ مِنْ قَوْلِ زُفَرَ فِي الْأَمَةِ الْمُعْتَقَةِ عَلَى التَّزْوِيجِ , أَنَّهَا إِذَا أَجَابَتْ إِلَى التَّزْوِيجِ , وَجَبَ لَهَا مَهْرٌ بَدَلًا مِنْ بُضْعِهَا , فَإِذَا أَبَتْ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهَا بَدَلٌ مِنْ رَقَبَتِهَا , لِأَنَّ رَقَبَتَهَا عَتَقَتْ لَا بِبَدَلٍ , وَاشْتُرِطَ عَلَيْهَا نِكَاحٌ بِبَدَلٍ. وَلَا يَثْبُتُ الْبَدَلُ مِنَ النِّكَاحِ , إِلَّا بِثُبُوتِ النِّكَاحِ , كَمَا لَا يَثْبُتُ الْبَدَلُ عَلَى الْخِدْمَةِ إِلَّا بِثُبُوتِ الْخِدْمَةِ. [ص:23] فَلَيْسَ بُطْلَانُهُمَا , وَلَا بُطْلَانُ وَاحِدٍ مِنْهُمَا , بِمُوجِبٍ فِي الْعَتَاقِ الَّذِي وَقَعَ عَلَى غَيْرِ شَيْءٍ بَدَلًا. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , كَمَا قَالَ زُفَرُ , لَا كَمَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ كَانَ أَيُّوبُ السِّخْتِيَانِيُّ , يَذْهَبُ فِي تَزْوِيجِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ عَلَى عِتْقِهَا , إِلَى مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو حَنِيفَةَ , وَزُفَرُ , وَمُحَمَّدٌ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৩০৬
কোন ব্যক্তি যদি তার দাসীকে এ শর্তে মুক্ত করে দেয় যে, তার মুক্তিই তার মাহর
৪৩০৬। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ) …….. হাম্মাদ (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, একদিন হিশাম ইবন হাসান (রাহঃ) তার এক উম্মে ওলাদ দাসীকে মুক্ত করেছেন এবং তার মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করেন। এ ঘটনা আমি আয়ুব আস-সাখতিয়ানীর কাছে উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, যদি সে তার মুক্তিকে অস্বীকার করে তাহলে কি হবে? আমি তখন বললাম রাসূলুল্লাহ ﷺ কি সাফিয়াকে মুক্ত করে তার মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করেননি? তখন তিনি বললেন, যদি কোন মহিলা নিজকে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যে সমর্পণ করতেন তখন তাকে গ্রহন করা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য অনুমতি ছিল। আমি এ বিষয়টি সম্বন্ধে হিশাম (রাহঃ) কে অবগত করলাম। দাসীটি তার মুক্তিকে অস্বীকার করল এবং হিশাম তাকে বিয়ে করলেন ও ৪০০ দিরহাম মাহর আদায় করেন।
যদি কেউ এরূপ বলে যে, আমি লক্ষ্য করেছি, কোন ব্যক্তি যদি তার দাসীকে সম্পদের বিনিময়ে মুক্ত করে দেয়, দাসী তার থেকে তা গ্রহন করে এবং মুক্ত হয়ে যায়, আর তার উপর মনিবের জন্য ঐ সম্পদ আদায় করাও ওয়াজিব হয় তখন দেখা যায় যখন তাকে তার মনিব মুক্ত করে দেয় এবং মুক্তিকে তার মাহর হিসেবে গন্য করে সে তা অস্বীকার করেনা, বরং সে তার থেকে তা গ্রহন করে এবং মুক্ত হয়ে যায়। আর উক্ত মালও আদায় করা মনিবের প্রতি ওয়াজিব হয়ে যায়।
তাকে তখন উত্তরে বলা যাবে, যখন মনিব দাসীকে মালের বিনিময়ে মুক্ত করে, দাসী মনিব থেকে তা গ্রহন করে, তাহলে মনিবের উপর তাকে মুক্ত করে দেয়া ওয়াজিব হয়ে যায় এবং দাসীর উপরও মনিবের মাল আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। তাদের দু'জনের অনুষ্ঠিত চুক্তির ফলে তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন বস্তুটি ওয়াজিব হয়ে যায়, চুক্তির পূর্বে তারা কেউ এটার মালিক ছিলেন না। যখন মনিব মুক্তকে মাহর হিসেবে গন্য করে দাসীকে মুক্ত করে দিল তখন সে দাসীকে তার গর্দানের মালিকানা স্বত্তেরও স্বত্ত্ববান করে দিলেন এ শর্তের উপর যে, দাসী ও মনিবকে তার 'সম্ভোগ অঙ্গের' মালিক করে দিয়েছিল। অতঃপর সে যে গর্দানের মালিক হলো দাসীকেও সেটার মালিক করে দিল। অথচ পূর্বে দাসী এটার মালিক ছিল না। কিন্তু মহিলাটি যদি তাকে সম্ভোগ অঙ্গের মালিক বানায়, যার মালিক সে ইতোপূর্বেই ছিলা, তাহলে তো ঐ মুক্তির বিপরীতে মনিবকে এমন কোন জিনিসের মালিক বানায়নি, বরং এমন জিনিসের পূর্ণ মালিক হলেন যার মালিক সে ইতোপূর্বে ছিল না, যার কিয়দাংশের মালিক তিনি পূর্বে ছিলেন।
অনুরূপ ভাবে এ মুক্তি দ্বারা দাসীর উপর মনিবের কোন কিছু সাব্যস্ত করা হয় না। আর এ মুক্তিটিও তার মাহর সাব্যস্ত হয়না। এটা একটা যুক্তি এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যিনি বলেন, মাহর হিসেবে গন্য মুক্তির মাধ্যমে দাসী মুনিবের স্ত্রীতে পরিনত হয়ে যায়। তবে যিনি বলেন, মুক্তির পর পুন নিকাহ প্রতিষ্ঠিত হবার মাধ্যমে ব্যতীত সে তার স্ত্রীতে পরিনত হয় না, আর মুক্তির কারনে দাসীর উপর মাহর সংগ্রহ ওয়াজিব হয়ে যায়, আবার এ মাহরের মাধ্যমে তিনি তাকে যখন ইচ্ছা বিয়ে করতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধেও এটা দলীল। তাই তাকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে, যিনি দাসী মুক্ত করেন,মুক্তির কারন ধার্যকৃত মাহরের জরিমানা আদায় করার অধিকার তার আছে? যদি বলা হয়, 'হা', তাহলে এটা হবে সকল জ্ঞানী ব্যক্তির অভিমত বহির্ভূত। যদি বলা হয় যে, 'না'- দাসী থেকে তিনি জরিমানা আদায় করতে পারেন না, তাহলে তাকে বলা হবে যে, মুক্তির পর দাসীর উপর যে মাহর ওয়াজিব হয়েছে, তা কি মাল হবে? না মাল হবে না? যদি মাল হয় তাহলে যে সময়ে ইচ্ছে দাসী থেকে আদায় করতে পারেন। আর যদি মাল না হয় তাহলে মাল বিহীন তিনি তাকে বিয়ে করতে পারেন না।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের অভিমতের ক্রটিও প্রমানিত হল। আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত।
4306 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ قَالَ: أَعْتَقَ هِشَامُ بْنُ حَسَّانٍ أُمَّ وَلَدٍ لَهُ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِأَيُّوبَ فَقَالَ: لَوْ كَانَ أَبَتَّ عِتْقَهَا؟ فَقُلْتُ: أَلَيْسَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ صَفِيَّةَ , وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا؟ فَقَالَ: لَوْ أَنَّ امْرَأَةً وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ ذَلِكَ لَهُ. فَأَخْبَرْتُ بِذَلِكَ هِشَامًا , فَأَبَتَّ عِتْقَهَا وَتَزَوَّجَهَا , وَأَصْدَقَهَا أَرْبَعَمِائَةٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: قَدْ رَأَيْتُ الرَّجُلَ يُعْتِقُ أَمَتَهُ عَلَى مَالٍ , وَتَقْبَلُ ذَلِكَ مِنْهُ , فَتَكُونُ حُرَّةً , وَيَجِبُ لَهُ عَلَيْهَا ذَلِكَ الْمَالُ , فَمَا تُنْكِرُ أَنْ يَكُونَ إِذَا أَعْتَقَهَا عَلَى أَنَّ عِتْقَهَا صَدَاقُهَا , فَقَبِلَتْ ذَلِكَ مِنْهُ أَنْ تَكُونَ حُرَّةً , وَيَجِبُ لَهُ ذَلِكَ الْمَالُ عَلَيْهَا؟ قِيلَ لَهُ: إِذَا أَعْتَقَهَا عَلَى مَالٍ , فَقَبِلَتْ ذَلِكَ مِنْهُ , وَجَبَ لَهَا عَلَيْهِ الْعَتَاقُ , وَوَجَبَ لَهُ عَلَيْهَا الْمَالُ , فَوَجَبَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِذَلِكَ الْعَقْدِ الَّذِي تَعَاقَدَا بَيْنَهُمَا شَيْءٌ أَوْجَبَهُ لَهُ ذَلِكَ الْعَقْدُ , لَمْ يَكُنْ مَالِكًا لَهُ قَبْلَ ذَلِكَ. وَإِذَا أَعْتَقَهَا عَلَى أَنَّ عِتْقَهَا صَدَاقُهَا , فَقَدْ مَلَّكَهَا رَقَبَتَهَا , عَلَى أَنْ مَلَّكَتْهُ بُضْعَهَا , فَمَلَّكَهَا رَقَبَةً هُوَ لَهَا مَالِكٌ , وَلَمْ تَكُنْ هِيَ مَالِكَةً لَهَا قَبْلَ ذَلِكَ عَلَى أَنْ مَلَّكَتْهُ بُضْعَهَا هُوَ لَهُ مَالِكٌ قَبْلَ ذَلِكَ , فَلَمْ تُمَلِّكْهُ بِذَلِكَ الْعَتَاقِ شَيْئًا , لَمْ يَكُنْ مَالِكًا لَهُ قَبْلَهُ إِنَّمَا مَلَّكَتْهُ بَعْضَ مَا قَدْ كَانَ لَهُ. فَكَذَلِكَ لَمْ يَجِبْ لَهُ عَلَيْهَا بِذَلِكَ الْعَتَاقِ شَيْءٌ , وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ الْعَتَاقُ لَهَا صَدَاقًا. هَذِهِ حُجَّةٌ عَلَى مَنْ يَقُولُ تَكُونُ زَوْجَةً لَهُ بِالْعَتَاقِ الَّذِي هُوَ لَهَا صَدَاقٌ. فَأَمَّا مَنْ يَقُولُ: لَا تَكُونُ زَوْجَتَهُ إِلَّا بِنِكَاحٍ مُسْتَأْنَفٍ بَعْدَ الْعَتَاقِ , وَالصَّدَاقُ لَهُ وَاجِبٌ عَلَيْهَا بِالْعَتَاقِ , وَيَتَزَوَّجُهَا عَلَيْهِ مَتَى أَحَبَّ , فَإِنَّ الْحُجَّةَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ أَنْ يُقَالَ لَهُ: فَلِمُعْتِقِهَا أَنْ يَأْخُذَهَا بِغُرْمِ ذَلِكَ الصَّدَاقِ الَّذِي قَدْ وَجَبَ لَهُ عَلَيْهَا بِالْعَتَاقِ. فَإِنْ قَالَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِهِ , خَرَجَ بِذَلِكَ مِنْ قَوْلِ أَهْلِ الْعِلْمِ جَمِيعًا. وَإِنْ قَالَ: لَيْسَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِهِ , قِيلَ لَهُ: فَمَا الصَّدَاقُ الَّذِي أَوْجَبَ لَهُ عَلَيْهَا الْعَتَاقَ؟ أَمَالٌ هُوَ أَمْ غَيْرُ مَالٍ؟ فَإِنْ كَانَ مَالًا , فَلَهُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِمَا لَهُ عَلَيْهَا مِنَ الْمَالِ مَتَى أَحَبَّ وَإِنْ كَانَ غَيْرَ مَالٍ , فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا عَلَى غَيْرِ مَالٍ. فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا فَسَادُ هَذَا الْقَوْلِ أَيْضًا , وَاللهُ تَعَالَى أَعْلَمُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান