শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪২৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯৫
৪. কোরআনের কোন সূরাকে মাহর নির্ধারণপূর্বক বিবাহ
৪২৯৩-৯৫। ইউনুস (রাহঃ)...... সহল ইবন সাদ আস-সায়িদী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “একদিন রাসুলল্লাহ ﷺ-এর দরবারে একজন মহিলা আগমন করেন এবং আরয করেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আমার নিজকে আপনার খিদমতে অর্পণ করলাম।" একথা বলে তিনি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। তখন এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হলেন এবং বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্। তাঁর প্রতি যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে তাহলে তাকে আমার বিবাহে দান করুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তোমার কাছে কি কোন বন্ধু আছে, যা তুমি তাকে মহর হিসেবে প্রদান করবে? লোকটি বলেন, আমার এ লুঙ্গিটি ছাড়া আমার কাছে আর কিছু নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যদি তুমি তা তাকে দান কর তাহলে তোমার কোন লুঙ্গিই থাকবে না। তাই অন্য কিছু খোঁজ কর। লোকটি বলেন “আমি তো কিছুই পাচ্ছি না।" রাসূলুল্লাহ বলেন, “আরো খোঁজ কর, যদিও একটি লোহার আংটি হয় না কেন? বর্ণনাকারী বলেন, “তিনি খোঁজ করলেন কিন্তু কিছুই পেলেন না। রাসুলুল্লাহ তাকে বললেন, তোমার কাছে কি কুরআনুল কারীমের কিছু অংশ জানা আছে? তিনি বলেন, 'হা' অমুক সূরা, অমুক সূরা, এভাবে তিনি কয়েকটি সূরার নাম বললেন। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাকে বলেন, “তোমার কাছে কুরআনুল কারীমের যা কিছু আছে, তার পরিবর্তে আমি তোমাকে তার সাথে বিয়ে দিলাম।”
রাবী আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... সহল (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেছেন قَدْ أَنْكَحْتُكَ مَعَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ
অর্থাৎ তোমার সাথে কুরআনুল কারীমের যে অংশ আছে তার পরিবর্তে তোমাকে বিয়ে করিয়ে দিলাম।
মুহাম্মাদ ইবন হুমাইদ ইবন হিশাম আর রুয়াইনী (রাহঃ) ......... সহল ইবন সাদ আস-সায়িদী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
বর্ণনাকারী আল-লাইস বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর পর কুরআনুল কারীমের পরিবর্তে বিয়ে করা বৈধ নয়।
আবু জাফর আত-তাহানী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের মতে কুরআনুল কারীমের নির্দিষ্ট সূরার পরিবর্তে বিয়ে করা বৈধ। তারা বলেন, এটার অর্থ হল, এ সূরাগুলো শিক্ষা দানের শর্তে বিবাহ বৈধ। আর তারা উপরোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। অন্য একদল 'আলিম তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, “কোন ব্যক্তি কুরআনের পরিবর্তে বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হবে, কিন্তু মাহরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হল এ যে, যেন মাহর উল্লেখ করা হয় নাই, তাই মাহরে মিসাল ওয়াজিব হবে, যদি তার সাথে সঙ্গম করা হয় কিংবা দুই জন অথবা দুই জনের একজন মরে যায়। সঙ্গমের পূর্বে যদি পুরুষটি মহিলাটিকে তালাক দেয় তাহলে তার জন্যে মুতয়া ওয়াজিব, (আর তা হচ্ছে কামীস, ওড়না ও শাড়ি)। আর প্রথম পক্ষের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হল যে, সহল (রাযিঃ) এর হাদীসে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর বাণী قَدْ زَوَّجْتُكَ عَلَى مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ
কে যদি তার প্রকাশ্য অর্থে নেয়া হয় এবং প্রথম পক্ষের মাযহাব হল অন্যটার ব্যাপারেও অনুরূপ, তাহলে বিয়েটা হচ্ছে সুরার জন্যে, তার শিক্ষা করার জন্যে নয়। আবার সুরার জন্যে যদি হয় তাহলে এটা হবে তার সম্মানের জন্য। কেননা সুরা কোন মানুষ প্রদানের দ্রব্য নয়। এরূপে আবু তালহা (রাযিঃ) উম্মে সুলাইমকে তার ইসলামের পরিবর্তে বিয়ে করেছিলেন।
রাবী আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... সহল (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। তবে তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেছেন قَدْ أَنْكَحْتُكَ مَعَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ
অর্থাৎ তোমার সাথে কুরআনুল কারীমের যে অংশ আছে তার পরিবর্তে তোমাকে বিয়ে করিয়ে দিলাম।
মুহাম্মাদ ইবন হুমাইদ ইবন হিশাম আর রুয়াইনী (রাহঃ) ......... সহল ইবন সাদ আস-সায়িদী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ থেকে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
বর্ণনাকারী আল-লাইস বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর পর কুরআনুল কারীমের পরিবর্তে বিয়ে করা বৈধ নয়।
আবু জাফর আত-তাহানী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিমের মতে কুরআনুল কারীমের নির্দিষ্ট সূরার পরিবর্তে বিয়ে করা বৈধ। তারা বলেন, এটার অর্থ হল, এ সূরাগুলো শিক্ষা দানের শর্তে বিবাহ বৈধ। আর তারা উপরোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন। অন্য একদল 'আলিম তাদের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, “কোন ব্যক্তি কুরআনের পরিবর্তে বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হবে, কিন্তু মাহরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হল এ যে, যেন মাহর উল্লেখ করা হয় নাই, তাই মাহরে মিসাল ওয়াজিব হবে, যদি তার সাথে সঙ্গম করা হয় কিংবা দুই জন অথবা দুই জনের একজন মরে যায়। সঙ্গমের পূর্বে যদি পুরুষটি মহিলাটিকে তালাক দেয় তাহলে তার জন্যে মুতয়া ওয়াজিব, (আর তা হচ্ছে কামীস, ওড়না ও শাড়ি)। আর প্রথম পক্ষের বিরুদ্ধে তাদের দলীল হল যে, সহল (রাযিঃ) এর হাদীসে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর বাণী قَدْ زَوَّجْتُكَ عَلَى مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ
কে যদি তার প্রকাশ্য অর্থে নেয়া হয় এবং প্রথম পক্ষের মাযহাব হল অন্যটার ব্যাপারেও অনুরূপ, তাহলে বিয়েটা হচ্ছে সুরার জন্যে, তার শিক্ষা করার জন্যে নয়। আবার সুরার জন্যে যদি হয় তাহলে এটা হবে তার সম্মানের জন্য। কেননা সুরা কোন মানুষ প্রদানের দ্রব্য নয়। এরূপে আবু তালহা (রাযিঃ) উম্মে সুলাইমকে তার ইসলামের পরিবর্তে বিয়ে করেছিলেন।
بَابُ التَّزْوِيجِ عَلَى سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ
4293 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ , فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنِّي قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ. فَقَامَتْ قِيَامًا طَوِيلًا، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا إِيَّاهُ؟» فَقَالَ: مَا عِنْدِي إِلَّا إِزَارِي هَذَا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ أَعْطَيْتَهَا إِيَّاهُ , جَلَسْتَ لَا إِزَارَ لَكَ , فَالْتَمِسْ شَيْئًا» . فَقَالَ: لَا أَجِدُ شَيْئًا. قَالَ: «فَالْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمَ حَدِيدٍ» . قَالَ: فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْءٌ؟» فَقَالَ: نَعَمْ , سُورَةُ كَذَا , وَسُورَةُ كَذَا. السُّوَرَ سَمَّاهَا. [ص:17] فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ زَوَّجْتُكَ بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ» .
4294 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «قَدْ أَنْكَحْتُكَ مَعَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ» .
4295 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. قَالَ اللَّيْثُ: لَا يَجُوزُ هَذَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنْ يُزَوَّجَ بِالْقُرْآنِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ التَّزْوِيجَ عَلَى سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ مُسَمَّاةٍ جَائِزٌ , وَقَالُوا: مَعْنَى ذَلِكَ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهَا تِلْكَ السُّورَةَ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ تَزَوَّجَ عَلَى ذَلِكَ , فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ , وَهُوَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يُسَمِّ مَهْرًا , فَلَهَا مَهْرُ مِثْلِهَا , إِنْ دَخَلَ بِهَا , أَوْ مَاتَا , أَوْ مَاتَ أَحَدُهُمَا , وَإِنْ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا , فَلَهَا الْمُتْعَةُ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ الَّذِي فِي حَدِيثِ سَهْلٍ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ زَوَّجْتُكَ عَلَى مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ» أَنَّ حَمْلَ ذَلِكَ عَلَى الظَّاهِرِ , وَكَذَلِكَ مَذْهَبُ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي غَيْرِ هَذَا , فَذَلِكَ عَلَى السُّورَةِ , لَا عَلَى تَعْلِيمِهَا , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى السُّورَةِ , فَهُوَ عَلَى حُرْمَتِهَا , وَلَيْسَتْ مِنَ الْمَهْرِ فِي شَيْءٍ , كَمَا تَزَوَّجَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ عَلَى إِسْلَامِهِ
4294 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: «قَدْ أَنْكَحْتُكَ مَعَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ» .
4295 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. قَالَ اللَّيْثُ: لَا يَجُوزُ هَذَا بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنْ يُزَوَّجَ بِالْقُرْآنِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ التَّزْوِيجَ عَلَى سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ مُسَمَّاةٍ جَائِزٌ , وَقَالُوا: مَعْنَى ذَلِكَ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهَا تِلْكَ السُّورَةَ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ تَزَوَّجَ عَلَى ذَلِكَ , فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ , وَهُوَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يُسَمِّ مَهْرًا , فَلَهَا مَهْرُ مِثْلِهَا , إِنْ دَخَلَ بِهَا , أَوْ مَاتَا , أَوْ مَاتَ أَحَدُهُمَا , وَإِنْ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا , فَلَهَا الْمُتْعَةُ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ الَّذِي فِي حَدِيثِ سَهْلٍ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ زَوَّجْتُكَ عَلَى مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ» أَنَّ حَمْلَ ذَلِكَ عَلَى الظَّاهِرِ , وَكَذَلِكَ مَذْهَبُ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي غَيْرِ هَذَا , فَذَلِكَ عَلَى السُّورَةِ , لَا عَلَى تَعْلِيمِهَا , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ عَلَى السُّورَةِ , فَهُوَ عَلَى حُرْمَتِهَا , وَلَيْسَتْ مِنَ الْمَهْرِ فِي شَيْءٍ , كَمَا تَزَوَّجَ أَبُو طَلْحَةَ أُمَّ سُلَيْمٍ عَلَى إِسْلَامِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৪
empty
৪২৯৪।
4294 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৫
empty
৪২৯৫।
4295 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৬
কোরআনের কোন সূরাকে মাহর নির্ধারণপূর্বক বিবাহ
৪২৯৬। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আবু তালহা (রাযিঃ) তার ইসলামের পরিবর্তে উম্মে সুলাইমকে বিয়ে করেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর কাছে আমি এটা উল্লেখ করলাম তখন তিনি এটাকে উত্তম মনে করলেন।
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম মাহর ছিল না। বরং এটার অর্থ হল, তিনি তাঁর ইসলামের জন্যে তাকে বিয়ে করেছিলেন। কেউ কেউ আবার আনাস (রাযিঃ) এর বর্ণনায় অতিরিক্ত করেছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেছেন وَاللهِ مَا كَانَ لَهَا مَهْرٌ غَيْرُهُ অর্থাৎ আল্লাহর শপথ, এটা ব্যাতীত তার কোন মাহর ছিল না। আমাদের কাছে এটার অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত, উন্মে সুলাইম তার থেকে এছাড়া অন্য কোন মাহর দাবি করেননি।
অনুরূপ অর্থ বুঝানো হয়েছে হযরত সহল (রাযিঃ)-এর উল্লেখিত হাদীসেও।
আর প্রথম পক্ষের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পক্ষের দলীল হল এ যে, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ কুরআনের পরিবর্তে পার্থিব পানাহার কিংবা পার্থিব সম্পদ অর্জন নিষেধ করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে ইসলাম মাহর ছিল না। বরং এটার অর্থ হল, তিনি তাঁর ইসলামের জন্যে তাকে বিয়ে করেছিলেন। কেউ কেউ আবার আনাস (রাযিঃ) এর বর্ণনায় অতিরিক্ত করেছেন। আনাস (রাযিঃ) বলেছেন وَاللهِ مَا كَانَ لَهَا مَهْرٌ غَيْرُهُ অর্থাৎ আল্লাহর শপথ, এটা ব্যাতীত তার কোন মাহর ছিল না। আমাদের কাছে এটার অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত, উন্মে সুলাইম তার থেকে এছাড়া অন্য কোন মাহর দাবি করেননি।
অনুরূপ অর্থ বুঝানো হয়েছে হযরত সহল (রাযিঃ)-এর উল্লেখিত হাদীসেও।
আর প্রথম পক্ষের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পক্ষের দলীল হল এ যে, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ কুরআনের পরিবর্তে পার্থিব পানাহার কিংবা পার্থিব সম্পদ অর্জন নিষেধ করেছেন।
4296 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْخَطَّابُ بْنُ عُثْمَانَ الْفَوْزِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ , عَنْ عُتْبَةَ بْنِ حُمَيْدٍ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَنَسٍ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ , أَنَّ «أَبَا طَلْحَةَ تَزَوَّجَ أُمَّ سُلَيْمٍ عَلَى إِسْلَامِهِ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَحَسَّنَهُ» فَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ الْإِسْلَامُ مَهْرًا فِي الْحَقِيقَةِ , وَإِنَّمَا مَعْنَى تَزَوَّجَهَا عَلَى إِسْلَامِهِ , أَيْ تَزَوَّجَهَا لِإِسْلَامِهِ , وَقَدْ زَادَ بَعْضُهُمْ فِي حَدِيثِ أَنَسٍ هَذَا: قَالَ أَنَسٌ: وَاللهِ مَا كَانَ لَهَا مَهْرٌ غَيْرُهُ. فَمَعْنَى ذَلِكَ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ , أَيْ: مَا أَرَادَتْ مِنْهُ مَهْرًا غَيْرَهُ. فَكَذَلِكَ مَعْنَى حَدِيثِ سَهْلٍ فِي الْمَرْأَةِ الَّتِي ذَكَرْنَا. وَمِنَ الْحُجَّةِ لِأَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى أَنْ يُؤْكَلَ بِالْقُرْآنِ , أَوْ يُتَعَوَّضَ بِهِ شَيْءٌ مِنْ أُمُورِ الدُّنْيَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৭
কোরআনের কোন সূরাকে মাহর নির্ধারণপূর্বক বিবাহ
৪২৯৭। আবু উমাইয়া (রাহঃ)..... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আমি আসহাবে সুফফার কিছু সদস্যদের কুরআনুল কারীমের কিছু অংশ শিক্ষা দিয়েছিলাম, তখন তাদের মধ্য হতে একজন আমাকে একটি ধনুক হাদিয়া প্রেরণ করেন এ শর্তে যে, আমি যেন এটাকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যবহার করার জন্য গ্রহণ করি। এটা আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর কাছে উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন, যদি তুমি চাও যে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন এটার দ্বারা তোমার গলায় আগুনের বেড়ি পরাবেন তাহলে তুমি তা গ্রহণ করতে পার।
4297 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَادَةُ بْنُ نُسَيٍّ , عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ , عَنْ عُبَادَةَ قَالَ: كُنْتُ أُعَلِّمُ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ الْقُرْآنَ , فَأَهْدَى إِلَيَّ رَجُلٌ مِنْهُمْ قَوْسًا , عَلَى أَنْ أَقْبَلَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنْ أَرَدْتَ أَنْ يُطَوِّقَكَ اللهُ بِهَا طَوْقًا مِنَ النَّارِ , فَاقْبَلْهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৮
কোরআনের কোন সূরাকে মাহর নির্ধারণপূর্বক বিবাহ
৪২৯৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ……. আব্দুর রহমান ইবন শিবলুল আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, “কুরআন অধ্যয়ন করবে, তার মধ্যে বাড়াবাড়ি করবেনা, তার থেকে দূরে সরে যাবে না, তাকে অবলম্বন করে খাবেনা এবং তাকে অবলম্বন করে পার্থিব সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করবেনা।"
4298 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ سَلَامٍ , عَنْ أَبِي سَلَّامٍ , عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا تَغْلُوا فِيهِ , وَلَا تَجْفُوا عَنْهُ , وَلَا تَأْكُلُوا بِهِ , وَلَا تَسْتَكْثِرُوا بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০০
কোরআনের কোন সূরাকে মাহর নির্ধারণপূর্বক বিবাহ
৪২৯৯-৪৩০০। মুহাম্মাদ ইবন খুযাইমা (রাহঃ) …… আব্দুর রহমান ইবন শিবল (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন, "কুরআন অধ্যয়ন করবে, তার মধ্যে বাড়াবাড়ি করবে না, তাকে অবলম্বন করে ভোজনের ব্যবস্থা করবে না।"
এভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবায়ে কিরামকে সতর্ক করেন তারা যেন কোন পার্থিব সম্পদের সাথে কুরআনকে বিনিময় না করেন। দ্বিতীয় অভিমতটির সমর্থনে উল্লেখিত হাদীসগুলো প্রথম অভিমতের সমর্থনে উল্লেখিত হাদীসগুলোর অর্থের বিপরীত হিসেবে অনুভূত হত যদি দ্বিতীয় অভিমতের দলীল হিসেবে যেসব হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে এগুলোর অর্থ বিপরীত প্রমানিত হত; কিন্তু এরূপ প্রমানিত হয় নি, কেননা আমি যেরূপ উল্লেখ করেছি এটার অর্থ সেরূপও হতে পারে। আবার অন্য অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে। এটা হলো মহান আল্লাহর তা'আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যে মাহর ব্যতীত বিবাহ করা বৈধ ঘোষণা করেছেন, যা তিনি ব্যতীত অন্যের জন্যে করা হয়নি। আল্লাহ তা'আলা সূরা আহযাবের ৩৩ঃ৫০ আয়াতে ঘোষণা করেন- وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَنْ يَسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ
অর্থাৎ কোন মু'মিন নারী নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে করলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্যে, অন্য মু'মিনদের জন্য নয়। সুতরাং সম্ভাবনা রয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর জন্য এটা বিশেষভাবে নির্ধারণ করেছেন। তিনিই শুধু মাহর ব্যতীত অন্যের সব কিছুর মালিক হতে পারেন। কাজেই শুধু নবীর জন্যেই বিশেষভাবে এ অনুমতি প্রদান করা হয়েছে, যেমন আল-লাইস ফকীহ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। উপরোক্ত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহিলাটি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, " আমি আমার নিজকে আপনার প্রতি নিবেদন করলাম।" তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! তার প্রতি যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে তাহলে তাকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।" এতদূরই হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে এরূপ উল্লেখ করা হয় নি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার সাথে সম্বন্ধে পরামর্শ করেছিলেন। আর এ কথাও উল্লেখ করা হয় নি যে, 'মহিলাটি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলেছিলেন আমাকে এ লোকটির কাছে বিয়ে দিয়ে দেন। এতে বুঝা যায় যে, আপনার প্রতি আমার নিজকে নিবেদন করলাম' বলার পর তার সাথে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ মহিলাকে কোন কথা বলেননি। মহিলাটি বলেননি যে, মাহর ব্যতীত আমি নিজকে আপনার কাছে অর্পণ করলাম, আপনি যার সাথে ইচ্ছে আমাকে বিয়ে দিয়ে দেন। তাই প্রথম নিবেদন দ্বারাই পরবর্তী বিয়ে জায়েয হয়েছে।
উলামায়ে কিরাম একমত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যে হিবা বিয়েটা খাস, অন্য কারো জন্য নয়। আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্যে বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে, অন্য কোন মু'মিন বান্দার জন্যে নয়। তবে একদল 'আলিম বলেন خَا لِصَةً لَكَ এর অর্থ হচ্ছে মাহর ব্যতীত বিবাহের বিশেষ অনুমতি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে দেয়া হয়েছে। আর অন্যের জন্যে হিবা দ্বারা নিকাহ হবে; কিন্তু সেখানে মাহর ওয়াজিব হবে। আবার কেউ কেউ বলেন خَا لِصَةً لَكَ এর অর্থ হচ্ছে হিবাটা আপনার (রাসূলুল্লাহ ﷺ) জন্য নিকাহ হিসেবে গন্য অন্যের জন্যে নয়।
সহল (রাযিঃ) এর হাদীসে উল্লিখিত মহিলার ঘোষিত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্যে হিবাটি নিকাহ হিসেবে গন্য হওয়ায় এটা প্রমানিত হয় যে, এরূপ নিকাহের বিশেষ অনুমতি শুধু রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে দেয়া হয়েছে।
যদি কোন ব্যক্তি বলে, 'সহল (রাযিঃ) এর হাদীসে উল্লিখিত মহিলাটিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন যে, মহিলাকে তিনি পুরুষটির সাথে বিয়ে দিয়ে দেবেন, যদিও তা হাদীসে উল্লেখ নেই। তাকে বলা যায় যে, অনুরূপভাবে এটাও সম্ভাবনা আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মহিলাটির জন্যে কুরআনের সূরা ব্যতীত মাহর নির্ধারণ করেছিলেন, যদিও এটা হাদীসে উল্লেখ নেই। প্রশ্নকারীকে আরো বলা যায় যে, যদি তুমি হাদীসকে তার প্রকাশ্য অর্থে তোমার মাযহাব অনুযায়ী ধরে নাও তাহলে তোমাকে এটা স্বীকার করতে হবে যে, এ নিকাহটি উল্লেখিত হিবার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। আর যদি আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তোমার অভিমত ব্যক্ত করতে চাও তাহলে মনে রেখো অন্যরাও তাদের গৃহীত ব্যাখ্যা অনুযায়ী তাদের অভিমত ব্যক্ত করবে। তখন তুমি তোমার গৃহীত ব্যাখ্যা নিয়ে তাদের থেকে নিজেকে উত্তম মনে করতে পারবেনা।
বর্নিত হাদীস সমূহের আলোকে এ অনুচ্ছেদের বর্ননা এখানে শেষ হলো। তবে গবেষণার আলোকে যুক্তি প্রমানের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যদি কোন নিকাহ অনির্দিষ্ট মাহরের ভিত্তিতে সংঘটিত হয় তখন তার মাহর যেমন নির্ধারিত হলনা, আর এ মহিলার অবস্থা হবে সে মহিলার ন্যায়, যার কোন মাহরই উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং মাহর নির্ধারণ করা তখন প্রয়োজন, যেমন বেচা-কেনার মধ্যে মূল্য নির্ধারন করা প্রয়োজন কিংবা ইজারার মধ্যে মূল্য নির্ধারন প্রয়োজন। ইজারার ন্যায় এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোরআনের একটি নির্দিষ্ট সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্যে এক দিরহাম প্রদান করার চুক্তি করে তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। অনুরূপভাবে কেউ কাউকে নির্দিষ্ট একটি কবিতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যে এক দিরহামের একটি চুক্তি করে তাও শুদ্ধ হবে না। কেননা ইজারায় দুটো জিনিসের যে কোন একটি থাকতেই হবে।
১. কোন নির্দিষ্ট কাজ হতে হবে, যেমন কোন একটি নির্দিষ্ট কাপড় ধুতে হবে কিংবা সেলাই করতে হবে।
২. কিংবা নির্দিষ্ট সময় হতে হবে।
তাই কোন একটি সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্য যদি চুক্তি করা হয় তাহলে এ চুক্তি কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে হলো না এবং নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্যেও হল না। শুধু একটি সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্যে চুক্তি করা হয়েছে। কোন কোন সময় সামান্য চর্চায়ই শিক্ষা করা যায়, আবার কোন কোন সময় কম সময়ে শিক্ষা করা যায়। আবার কোন কোন সময় বেশী সময়ে শিক্ষা করা হয়। অনুরূপভাবে কোন এক ব্যক্তি যদি কুরআনের কোন একটি সূরা শিক্ষাদানের শর্তে তার বাড়ি বিক্রি করে তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। কারন চুক্তির জন্যে নির্ধারিত শর্ত পাওয়া যায়নি। বেচা-কেনা ও ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব শর্ত উল্লেখ করা হলো মাহরের ক্ষেত্রেও সে শর্তগুলো পাওয়া যেতে হবে। সুতরাং এমন সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা মাহর হিসেবে নির্ধারণ করা বৈধ নয়, যেগুলোর মাধ্যমে বেচা-কেনা ও ইজারা ইত্যাদি সংঘটিত করা বৈধ নয়। শিক্ষা দান এমন সুযোগ-সুবিধা কিংবা সম্পদ নয়, যা অন্যকে মালিক বানানো যায়, তা গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত। অনুরূপভাবে শিক্ষাদান মাহরের সম্পদ হিসেবে গন্য, তাও গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
এভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবায়ে কিরামকে সতর্ক করেন তারা যেন কোন পার্থিব সম্পদের সাথে কুরআনকে বিনিময় না করেন। দ্বিতীয় অভিমতটির সমর্থনে উল্লেখিত হাদীসগুলো প্রথম অভিমতের সমর্থনে উল্লেখিত হাদীসগুলোর অর্থের বিপরীত হিসেবে অনুভূত হত যদি দ্বিতীয় অভিমতের দলীল হিসেবে যেসব হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে এগুলোর অর্থ বিপরীত প্রমানিত হত; কিন্তু এরূপ প্রমানিত হয় নি, কেননা আমি যেরূপ উল্লেখ করেছি এটার অর্থ সেরূপও হতে পারে। আবার অন্য অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে। এটা হলো মহান আল্লাহর তা'আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যে মাহর ব্যতীত বিবাহ করা বৈধ ঘোষণা করেছেন, যা তিনি ব্যতীত অন্যের জন্যে করা হয়নি। আল্লাহ তা'আলা সূরা আহযাবের ৩৩ঃ৫০ আয়াতে ঘোষণা করেন- وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَنْ يَسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ
অর্থাৎ কোন মু'মিন নারী নবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে করলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্যে, অন্য মু'মিনদের জন্য নয়। সুতরাং সম্ভাবনা রয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁর জন্য এটা বিশেষভাবে নির্ধারণ করেছেন। তিনিই শুধু মাহর ব্যতীত অন্যের সব কিছুর মালিক হতে পারেন। কাজেই শুধু নবীর জন্যেই বিশেষভাবে এ অনুমতি প্রদান করা হয়েছে, যেমন আল-লাইস ফকীহ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। উপরোক্ত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহিলাটি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, " আমি আমার নিজকে আপনার প্রতি নিবেদন করলাম।" তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, "হে আল্লাহর রাসূল! তার প্রতি যদি আপনার কোন প্রয়োজন না থাকে তাহলে তাকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।" এতদূরই হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসে এরূপ উল্লেখ করা হয় নি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার সাথে সম্বন্ধে পরামর্শ করেছিলেন। আর এ কথাও উল্লেখ করা হয় নি যে, 'মহিলাটি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলেছিলেন আমাকে এ লোকটির কাছে বিয়ে দিয়ে দেন। এতে বুঝা যায় যে, আপনার প্রতি আমার নিজকে নিবেদন করলাম' বলার পর তার সাথে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ মহিলাকে কোন কথা বলেননি। মহিলাটি বলেননি যে, মাহর ব্যতীত আমি নিজকে আপনার কাছে অর্পণ করলাম, আপনি যার সাথে ইচ্ছে আমাকে বিয়ে দিয়ে দেন। তাই প্রথম নিবেদন দ্বারাই পরবর্তী বিয়ে জায়েয হয়েছে।
উলামায়ে কিরাম একমত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর জন্যে হিবা বিয়েটা খাস, অন্য কারো জন্য নয়। আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্যে বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে, অন্য কোন মু'মিন বান্দার জন্যে নয়। তবে একদল 'আলিম বলেন خَا لِصَةً لَكَ এর অর্থ হচ্ছে মাহর ব্যতীত বিবাহের বিশেষ অনুমতি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে দেয়া হয়েছে। আর অন্যের জন্যে হিবা দ্বারা নিকাহ হবে; কিন্তু সেখানে মাহর ওয়াজিব হবে। আবার কেউ কেউ বলেন خَا لِصَةً لَكَ এর অর্থ হচ্ছে হিবাটা আপনার (রাসূলুল্লাহ ﷺ) জন্য নিকাহ হিসেবে গন্য অন্যের জন্যে নয়।
সহল (রাযিঃ) এর হাদীসে উল্লিখিত মহিলার ঘোষিত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্যে হিবাটি নিকাহ হিসেবে গন্য হওয়ায় এটা প্রমানিত হয় যে, এরূপ নিকাহের বিশেষ অনুমতি শুধু রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে দেয়া হয়েছে।
যদি কোন ব্যক্তি বলে, 'সহল (রাযিঃ) এর হাদীসে উল্লিখিত মহিলাটিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন যে, মহিলাকে তিনি পুরুষটির সাথে বিয়ে দিয়ে দেবেন, যদিও তা হাদীসে উল্লেখ নেই। তাকে বলা যায় যে, অনুরূপভাবে এটাও সম্ভাবনা আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মহিলাটির জন্যে কুরআনের সূরা ব্যতীত মাহর নির্ধারণ করেছিলেন, যদিও এটা হাদীসে উল্লেখ নেই। প্রশ্নকারীকে আরো বলা যায় যে, যদি তুমি হাদীসকে তার প্রকাশ্য অর্থে তোমার মাযহাব অনুযায়ী ধরে নাও তাহলে তোমাকে এটা স্বীকার করতে হবে যে, এ নিকাহটি উল্লেখিত হিবার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। আর যদি আয়াতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তোমার অভিমত ব্যক্ত করতে চাও তাহলে মনে রেখো অন্যরাও তাদের গৃহীত ব্যাখ্যা অনুযায়ী তাদের অভিমত ব্যক্ত করবে। তখন তুমি তোমার গৃহীত ব্যাখ্যা নিয়ে তাদের থেকে নিজেকে উত্তম মনে করতে পারবেনা।
বর্নিত হাদীস সমূহের আলোকে এ অনুচ্ছেদের বর্ননা এখানে শেষ হলো। তবে গবেষণার আলোকে যুক্তি প্রমানের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যদি কোন নিকাহ অনির্দিষ্ট মাহরের ভিত্তিতে সংঘটিত হয় তখন তার মাহর যেমন নির্ধারিত হলনা, আর এ মহিলার অবস্থা হবে সে মহিলার ন্যায়, যার কোন মাহরই উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং মাহর নির্ধারণ করা তখন প্রয়োজন, যেমন বেচা-কেনার মধ্যে মূল্য নির্ধারন করা প্রয়োজন কিংবা ইজারার মধ্যে মূল্য নির্ধারন প্রয়োজন। ইজারার ন্যায় এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কোরআনের একটি নির্দিষ্ট সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্যে এক দিরহাম প্রদান করার চুক্তি করে তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। অনুরূপভাবে কেউ কাউকে নির্দিষ্ট একটি কবিতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যে এক দিরহামের একটি চুক্তি করে তাও শুদ্ধ হবে না। কেননা ইজারায় দুটো জিনিসের যে কোন একটি থাকতেই হবে।
১. কোন নির্দিষ্ট কাজ হতে হবে, যেমন কোন একটি নির্দিষ্ট কাপড় ধুতে হবে কিংবা সেলাই করতে হবে।
২. কিংবা নির্দিষ্ট সময় হতে হবে।
তাই কোন একটি সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্য যদি চুক্তি করা হয় তাহলে এ চুক্তি কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে হলো না এবং নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্যেও হল না। শুধু একটি সূরা শিক্ষা দেয়ার জন্যে চুক্তি করা হয়েছে। কোন কোন সময় সামান্য চর্চায়ই শিক্ষা করা যায়, আবার কোন কোন সময় কম সময়ে শিক্ষা করা যায়। আবার কোন কোন সময় বেশী সময়ে শিক্ষা করা হয়। অনুরূপভাবে কোন এক ব্যক্তি যদি কুরআনের কোন একটি সূরা শিক্ষাদানের শর্তে তার বাড়ি বিক্রি করে তাহলে তা শুদ্ধ হবে না। কারন চুক্তির জন্যে নির্ধারিত শর্ত পাওয়া যায়নি। বেচা-কেনা ও ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব শর্ত উল্লেখ করা হলো মাহরের ক্ষেত্রেও সে শর্তগুলো পাওয়া যেতে হবে। সুতরাং এমন সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা মাহর হিসেবে নির্ধারণ করা বৈধ নয়, যেগুলোর মাধ্যমে বেচা-কেনা ও ইজারা ইত্যাদি সংঘটিত করা বৈধ নয়। শিক্ষা দান এমন সুযোগ-সুবিধা কিংবা সম্পদ নয়, যা অন্যকে মালিক বানানো যায়, তা গবেষণার দ্বারা প্রমাণিত। অনুরূপভাবে শিক্ষাদান মাহরের সম্পদ হিসেবে গন্য, তাও গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
4299 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ. ح
4300 - وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا أَبَانُ قَالَ: ثنا يَحْيَى قَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ زَيْدٍ , وَقَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا زَيْدٌ ثُمَّ اجْتَمَعَا جَمِيعًا فَقَالَا: عَنْ أَبِي سَلَامٍ , عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: «اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا تَغْلُوا فِيهِ وَلَا تَأْكُلُوا بِهِ» . فَحَظَرَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَتَعَوَّضُوا بِالْقُرْآنِ شَيْئًا مِنْ عِوَضِ الدُّنْيَا. فَعَارَضَ ذَلِكَ مَا حَمَلَ عَلَيْهِ الْمُخَالِفُ مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , لَوْ ثَبَتَ أَنَّ مَعْنَاهُ كَذَلِكَ , وَلَمْ يَثْبُتْ ذَلِكَ , إِذْ كَانَ يَحْتَمِلُ تَأْوِيلُهُ بِمَا وَصَفْنَا. وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَيْضًا مَعْنًى آخَرَ , وَهُوَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَبَاحَ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِلْكَ الْبُضْعِ بِغَيْرِ صَدَاقٍ , وَلَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ لِأَحَدٍ غَيْرِهِ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَنْ يَسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ} [الأحزاب: 50] فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَدْ كَانَ مِمَّا خَصَّهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يُمَلِّكَ غَيْرَهُ مَا كَانَ لَهُ تَمَلُّكُهُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ فَيَكُونُ ذَلِكَ خَاصًّا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَالَ اللَّيْثُ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ. فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَقَالَ لَهُ: إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ , فَزَوِّجْنِيهَا. فَكَانَ هَذَا مَا ذُكِرَ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَلَمْ يُذْكَرْ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاوَرَهَا فِي نَفْسِهَا , وَلَا أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ زَوِّجْنِي مِنْهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ إِذَا كَانَ تَزْوِيجُهُ إِيَّاهَا مِنْهُ لَا بِقَوْلٍ تَأْتِي بِهِ بَعْدَ قَوْلِهَا: قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ , وَإِنَّمَا هُوَ بِقَوْلِهَا الْأَوَّلِ وَلَمْ تَكُ قَالَتْ لَهُ، قَدْ جَعَلْتُ لَكَ أَنْ تَهَبَنِي لِمَنْ شِئْتَ , بِالْهِبَةِ الَّتِي لَا تُوجِبُ مَهْرًا جَازَ النِّكَاحُ، وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْهِبَةَ خَالِصَةٌ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا ذَكَرْنَا مِنَ اخْتِصَاصِ اللهِ تَعَالَى إِيَّاهُ بِهَا دُونَ الْمُؤْمِنِينَ. [ص:19] غَيْرَ أَنَّ قَوْمًا قَالُوا {خَالِصَةً لَكَ} [الأحزاب: 50] أَيْ: بِلَا مَهْرٍ , وَجَعَلُوا الْهِبَةَ نِكَاحًا لِغَيْرِهِ , يُوجِبُ الْمَهْرَ وَقَالَ آخَرُونَ {خَالِصَةً لَكَ} [الأحزاب: 50] أَيْ أَنَّ الْهِبَةَ تَكُونُ لَكَ نِكَاحًا , وَلَا تَكُونُ نِكَاحًا لِغَيْرِكَ. فَلَمَّا كَانَتِ الْمَرْأَةُ الْمَذْكُورُ أَمْرُهَا فِي حَدِيثِ سَهْلٍ , مَنْكُوحَةً بِهِبَتِهَا نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ النِّكَاحَ خَاصٌّ كَمَا قَالَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعَ مَا ذَكَرْنَا فِي الْحَدِيثِ سُؤَالٌ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ لَهَا أَنْ يُزَوِّجَهَا مِنْهُ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لَمْ يُنْقَلْ إِلَيْنَا فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ. قِيلَ لَهُ: وَكَذَلِكَ يَحْتَمِلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ النَّبِي صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ , قَدْ جَعَلَ لَهَا مَهْرًا غَيْرَ السُّورَةِ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لَمْ يُنْقَلْ إِلَيْنَا فِي الْحَدِيثِ فَإِنْ حَمَلَتِ الْحَدِيثَ عَلَى ظَاهِرِهِ عَلَى مَا تَذْهَبُ إِلَيْهِ أَنْتَ , لَزِمَكَ مَا ذَكَرْنَا , مِنْ أَنَّ ذَلِكَ النِّكَاحَ كَانَ بِالْهِبَةِ الَّتِي وَصَفْنَا. وَإِنْ حَمَلَتْ ذَلِكَ عَلَى التَّأْوِيلِ عَلَى مَا وَصَفْتُ , فَلِغَيْرِكَ أَنْ يُحَمِّلَهُ أَيْضًا مِنَ التَّأْوِيلِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , ثُمَّ لَا تَكُونُ أَنْتَ بِتَأْوِيلِكَ أَوْلَى مِنْهُ بِتَأْوِيلِهِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا النِّكَاحَ إِذَا وَقَعَ عَلَى مَهْرٍ مَجْهُولٍ , لَمْ يَثْبُتِ الْمَهْرُ , وَرُدَّ حُكْمُ الْمَرْأَةِ إِلَى حُكْمِ مَنْ لَمْ يُسَمِّ لَهَا مَهْرًا , فَاحْتِيجَ إِلَى أَنْ يَكُونَ الْمَهْرُ مَعْلُومًا , كَمَا تَكُونُ الْأَثْمَانُ فِي الْبِيَاعَاتِ مَعْلُومَةً , وَكَمَا تَكُونُ الْأُجْرَةُ فِي الْإِجَارَاتِ مَعْلُومَةً. وَكَانَ الْأَصْلُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ , أَنَّ رَجُلًا لَوِ اسْتَأْجَرَ رَجُلًا عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ سَمَّاهَا بِدِرْهَمٍ , لَا يَجُوزُ وَكَذَلِكَ لَوِ اسْتَأْجَرَهُ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ شِعْرًا بِعَيْنِهِ بِدِرْهَمٍ كَانَ ذَلِكَ غَيْرَ جَائِزٍ أَيْضًا , لِأَنَّ الْإِجَارَاتِ لَا تَجُوزُ إِلَّا عَلَى أَحَدِ مَعْنَيَيْنِ. إِمَّا عَلَى عَمَلٍ بِعَيْنِهِ , مِثْلِ غَسْلِ ثَوْبٍ بِعَيْنِهِ , أَوْ عَلَى خِيَاطَتِهِ , أَوْ عَلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ لَا بُدَّ فِيهَا مِنْ أَنْ يَكُونَ الْوَقْتُ مَعْلُومًا , أَوِ الْعَمَلُ مَعْلُومًا. وَكَانَ إِذَا اسْتَأْجَرَهُ عَلَى تَعْلِيمِ سُورَةٍ , فَتِلْكَ إِجَارَةٌ لَا عَلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ , وَلَا عَلَى عَمَلٍ مَعْلُومٍ , إِنَّمَا اسْتَأْجَرَهُ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ ذَلِكَ , وَقَدْ يَتَعَلَّمُ بِقَلِيلِ التَّعْلِيمِ وَبِكَثِيرِهِ , وَفِي قَلِيلِ الْأَوْقَاتِ وَكَثِيرِهَا. وَكَذَلِكَ لَوْ بَاعَهُ دَارِهِ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ , لَمْ يَجُزْ ذَلِكَ , لِلْمَعَانِي الَّتِي ذَكَرْنَاهَا فِي الْإِجَارَاتِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ فِي الْإِجَارَاتِ وَالْبِيَاعَاتِ , وَقَدْ وَصَفْنَا أَنَّ الْمَهْرَ لَا يَجُوزُ عَلَى أَمْوَالٍ وَلَا عَلَى مَنَافِعَ , [ص:20] إِلَّا عَلَى مَا يَجُوزُ عَلَيْهِ الْبَيْعُ وَالْإِجَارَةُ وَغَيْرُ ذَلِكَ , وَكَانَ التَّعْلِيمُ لَا تُمْلَكُ بِهِ الْمَنَافِعُ وَلَا أَعْيَانُ الْأَمْوَالِ , ثَبَتَ بِالنَّظَرِ عَلَى ذَلِكَ أَنْ لَا يُمْلَكَ بِهِ الْأَبْضَاعُ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
4300 - وَحَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا أَبَانُ قَالَ: ثنا يَحْيَى قَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ فِي حَدِيثِهِ , عَنْ زَيْدٍ , وَقَالَ ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا زَيْدٌ ثُمَّ اجْتَمَعَا جَمِيعًا فَقَالَا: عَنْ أَبِي سَلَامٍ , عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ: «اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا تَغْلُوا فِيهِ وَلَا تَأْكُلُوا بِهِ» . فَحَظَرَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَتَعَوَّضُوا بِالْقُرْآنِ شَيْئًا مِنْ عِوَضِ الدُّنْيَا. فَعَارَضَ ذَلِكَ مَا حَمَلَ عَلَيْهِ الْمُخَالِفُ مَعْنَى الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ , لَوْ ثَبَتَ أَنَّ مَعْنَاهُ كَذَلِكَ , وَلَمْ يَثْبُتْ ذَلِكَ , إِذْ كَانَ يَحْتَمِلُ تَأْوِيلُهُ بِمَا وَصَفْنَا. وَقَدْ يَحْتَمِلُ أَيْضًا مَعْنًى آخَرَ , وَهُوَ أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَبَاحَ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِلْكَ الْبُضْعِ بِغَيْرِ صَدَاقٍ , وَلَمْ يَجْعَلْ ذَلِكَ لِأَحَدٍ غَيْرِهِ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَامْرَأَةً مُؤْمِنَةً إِنْ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَنْ يَسْتَنْكِحَهَا خَالِصَةً لَكَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ} [الأحزاب: 50] فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قَدْ كَانَ مِمَّا خَصَّهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهِ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يُمَلِّكَ غَيْرَهُ مَا كَانَ لَهُ تَمَلُّكُهُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ فَيَكُونُ ذَلِكَ خَاصًّا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَالَ اللَّيْثُ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَنَّهَا قَالَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ. فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ فَقَالَ لَهُ: إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ , فَزَوِّجْنِيهَا. فَكَانَ هَذَا مَا ذُكِرَ فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ , وَلَمْ يُذْكَرْ فِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاوَرَهَا فِي نَفْسِهَا , وَلَا أَنَّهَا قَالَتْ لَهُ زَوِّجْنِي مِنْهُ. فَدَلَّ ذَلِكَ إِذَا كَانَ تَزْوِيجُهُ إِيَّاهَا مِنْهُ لَا بِقَوْلٍ تَأْتِي بِهِ بَعْدَ قَوْلِهَا: قَدْ وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ , وَإِنَّمَا هُوَ بِقَوْلِهَا الْأَوَّلِ وَلَمْ تَكُ قَالَتْ لَهُ، قَدْ جَعَلْتُ لَكَ أَنْ تَهَبَنِي لِمَنْ شِئْتَ , بِالْهِبَةِ الَّتِي لَا تُوجِبُ مَهْرًا جَازَ النِّكَاحُ، وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْهِبَةَ خَالِصَةٌ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا ذَكَرْنَا مِنَ اخْتِصَاصِ اللهِ تَعَالَى إِيَّاهُ بِهَا دُونَ الْمُؤْمِنِينَ. [ص:19] غَيْرَ أَنَّ قَوْمًا قَالُوا {خَالِصَةً لَكَ} [الأحزاب: 50] أَيْ: بِلَا مَهْرٍ , وَجَعَلُوا الْهِبَةَ نِكَاحًا لِغَيْرِهِ , يُوجِبُ الْمَهْرَ وَقَالَ آخَرُونَ {خَالِصَةً لَكَ} [الأحزاب: 50] أَيْ أَنَّ الْهِبَةَ تَكُونُ لَكَ نِكَاحًا , وَلَا تَكُونُ نِكَاحًا لِغَيْرِكَ. فَلَمَّا كَانَتِ الْمَرْأَةُ الْمَذْكُورُ أَمْرُهَا فِي حَدِيثِ سَهْلٍ , مَنْكُوحَةً بِهِبَتِهَا نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ النِّكَاحَ خَاصٌّ كَمَا قَالَ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى ذَلِكَ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعَ مَا ذَكَرْنَا فِي الْحَدِيثِ سُؤَالٌ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ لَهَا أَنْ يُزَوِّجَهَا مِنْهُ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لَمْ يُنْقَلْ إِلَيْنَا فِي ذَلِكَ الْحَدِيثِ. قِيلَ لَهُ: وَكَذَلِكَ يَحْتَمِلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ النَّبِي صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ , قَدْ جَعَلَ لَهَا مَهْرًا غَيْرَ السُّورَةِ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ لَمْ يُنْقَلْ إِلَيْنَا فِي الْحَدِيثِ فَإِنْ حَمَلَتِ الْحَدِيثَ عَلَى ظَاهِرِهِ عَلَى مَا تَذْهَبُ إِلَيْهِ أَنْتَ , لَزِمَكَ مَا ذَكَرْنَا , مِنْ أَنَّ ذَلِكَ النِّكَاحَ كَانَ بِالْهِبَةِ الَّتِي وَصَفْنَا. وَإِنْ حَمَلَتْ ذَلِكَ عَلَى التَّأْوِيلِ عَلَى مَا وَصَفْتُ , فَلِغَيْرِكَ أَنْ يُحَمِّلَهُ أَيْضًا مِنَ التَّأْوِيلِ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , ثُمَّ لَا تَكُونُ أَنْتَ بِتَأْوِيلِكَ أَوْلَى مِنْهُ بِتَأْوِيلِهِ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا النِّكَاحَ إِذَا وَقَعَ عَلَى مَهْرٍ مَجْهُولٍ , لَمْ يَثْبُتِ الْمَهْرُ , وَرُدَّ حُكْمُ الْمَرْأَةِ إِلَى حُكْمِ مَنْ لَمْ يُسَمِّ لَهَا مَهْرًا , فَاحْتِيجَ إِلَى أَنْ يَكُونَ الْمَهْرُ مَعْلُومًا , كَمَا تَكُونُ الْأَثْمَانُ فِي الْبِيَاعَاتِ مَعْلُومَةً , وَكَمَا تَكُونُ الْأُجْرَةُ فِي الْإِجَارَاتِ مَعْلُومَةً. وَكَانَ الْأَصْلُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ , أَنَّ رَجُلًا لَوِ اسْتَأْجَرَ رَجُلًا عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ سَمَّاهَا بِدِرْهَمٍ , لَا يَجُوزُ وَكَذَلِكَ لَوِ اسْتَأْجَرَهُ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ شِعْرًا بِعَيْنِهِ بِدِرْهَمٍ كَانَ ذَلِكَ غَيْرَ جَائِزٍ أَيْضًا , لِأَنَّ الْإِجَارَاتِ لَا تَجُوزُ إِلَّا عَلَى أَحَدِ مَعْنَيَيْنِ. إِمَّا عَلَى عَمَلٍ بِعَيْنِهِ , مِثْلِ غَسْلِ ثَوْبٍ بِعَيْنِهِ , أَوْ عَلَى خِيَاطَتِهِ , أَوْ عَلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ لَا بُدَّ فِيهَا مِنْ أَنْ يَكُونَ الْوَقْتُ مَعْلُومًا , أَوِ الْعَمَلُ مَعْلُومًا. وَكَانَ إِذَا اسْتَأْجَرَهُ عَلَى تَعْلِيمِ سُورَةٍ , فَتِلْكَ إِجَارَةٌ لَا عَلَى وَقْتٍ مَعْلُومٍ , وَلَا عَلَى عَمَلٍ مَعْلُومٍ , إِنَّمَا اسْتَأْجَرَهُ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ ذَلِكَ , وَقَدْ يَتَعَلَّمُ بِقَلِيلِ التَّعْلِيمِ وَبِكَثِيرِهِ , وَفِي قَلِيلِ الْأَوْقَاتِ وَكَثِيرِهَا. وَكَذَلِكَ لَوْ بَاعَهُ دَارِهِ عَلَى أَنْ يُعَلِّمَهُ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ , لَمْ يَجُزْ ذَلِكَ , لِلْمَعَانِي الَّتِي ذَكَرْنَاهَا فِي الْإِجَارَاتِ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ فِي الْإِجَارَاتِ وَالْبِيَاعَاتِ , وَقَدْ وَصَفْنَا أَنَّ الْمَهْرَ لَا يَجُوزُ عَلَى أَمْوَالٍ وَلَا عَلَى مَنَافِعَ , [ص:20] إِلَّا عَلَى مَا يَجُوزُ عَلَيْهِ الْبَيْعُ وَالْإِجَارَةُ وَغَيْرُ ذَلِكَ , وَكَانَ التَّعْلِيمُ لَا تُمْلَكُ بِهِ الْمَنَافِعُ وَلَا أَعْيَانُ الْأَمْوَالِ , ثَبَتَ بِالنَّظَرِ عَلَى ذَلِكَ أَنْ لَا يُمْلَكَ بِهِ الْأَبْضَاعُ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৩০০
empty
৪৩০০।
4300 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান