শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪২৮০
৩. যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮০। সুলাইমান ইবন শুয়াইব আল-কাইসানী (রাহঃ)...... সাহল ইবন আবু হাসমা (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ একদিন আমি মুহাম্মাদ ইবন মাসলামা (রাযিঃ) কে সুবাইতা বিনত আদ-দাহ্হাক -এর প্রতি, বসরাস্থ তার এক ভবন থেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতে দেখলাম। তখন আমি বললাম, "তুমি এরূপ করছ অথচ তুমি রাসুলুল্লাহ্ ﷺ -এর সাহাবী।” তিনি তখন বললেন, “আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, "কোন ব্যক্তির মনে যখন কোন মহিলার প্রতি বিবাহের প্রস্তাব উদ্রেক হয় তখন তার পক্ষে মহিলাটির প্রতি নযর করার মধ্যে কোন প্রকার ক্ষতি নেই।"
بَابُ الرَّجُلِ يُرِيدُ تَزَوُّجَ الْمَرْأَةِ هَلْ يَحِلُّ لَهُ النَّظَرُ إِلَيْهَا أَمْ لَا؟
4280 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ الْكَيْسَانِيُّ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانٍ قَالَ: ثنا أَبُو شِهَابٍ الْحَنَّاطُ , عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ , عَنْ عَمِّهِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ: رَأَيْتُ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ يُطَارِدُ ثَبِيتَةَ بِنْتَ الضَّحَّاكِ فَوْقَ إِجَّارٍ لَهَا بِبَصَرِهِ طَرْدًا شَدِيدًا، فَقُلْتُ: أَتَفْعَلُ هَذَا , وَأَنْتَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ [ص:14] فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا أُلْقِيَ فِي قَلْبِ امْرِئٍ خِطْبَةُ امْرَأَةٍ , فَلَا بَأْسَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮১
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮১। ইব্ন আবু দাউদ (রাহঃ) ..... আবু হুমাইদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। আবু হুমাইদ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ ﷺ কে দেখেছেন ও আনুগত্য করেছেন। তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোন মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় তাহলে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করার কারণে তাকে দেখার জন্যে তার দিকে নযর করলে কোন প্রকার গুনাহ/ ক্ষতি নেই, যদিও সে মহিলাটি এ ব্যাপারে অবগত হয়নি।”
4281 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ , عَنْ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عِيسَى , عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ , وَكَانَ قَدْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً , فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا إِذَا كَانَ إِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا لِلْخِطْبَةِ، وَإِنْ كَانَتْ لَا تَعْلَمُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮২
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮২। ইবন আবু দাউদ (রাহঃ)..... জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “যদি তোমাদের মধ্য হতে কেউ কোন মহিলাকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দেয় এবং মহিলার কোন পসন্দনীয় অঙ্গ যদি সে দেখতে সমর্থ হয় তাহলে যেন সে তা করে।" জাবির (রাযিঃ) বলেন, “আমি বনু সালামার একটি মহিলার কাছে বিবাহের প্রস্তাব প্রদানের মনস্থ করেছিলাম। আমি খেজুর বাগানে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকে দেখতে চেষ্টা করলাম। শেষ পর্যন্ত আমি তার এমন অঙ্গ দেখলাম, যা আমার পছন্দ হয়। এরপর আমি তার সাথে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করি এবং তাকে বিবাহ করি "
4282 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْوَهْبِيُّ قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ , عَنْ وَاقِدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ , فَقَدَرَ عَلَى أَنْ يَرَى مِنْهَا مَا يُعْجِبُهُ , فَلْيَفْعَلْ» . قَالَ جَابِرٌ: فَلَقَدْ خَطَبْتُ امْرَأَةً مِنْ بَنِي سَلِمَةَ , فَكُنْتُ أَتَخَبَّأُ - أَيْ أَخْتَفِي - فِي أُصُولِ النَّخْلِ , حَتَّى رَأَيْتُ مِنْهَا بَعْضَ مَا يُعْجِبُنِي فَخَطَبْتُهَا , فَتَزَوَّجْتُهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৩
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮৩। মুহাম্মাদ ইবনুন নু'মান আস-সাকাতী (রাহঃ) ……. আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি আনসারদের একটি মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছে পোষণ করল। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাকে বললেন, “তুমি তার প্রতি নযর করে দেখ। কেননা আনসারী মহিলাদের চোখ ছোট বা হরিদ্রাভত হয়ে থাকে।
4283 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ السَّقَطِيُّ قَالَ: ثنا الْحُمَيْدِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ الْيَشْكُرِيُّ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , أَنَّ رَجُلًا أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنْ نِسَاءِ الْأَنْصَارِ , فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْظُرْ إِلَيْهَا، فَإِنَّ فِي أَعْيُنِ نِسَاءِ الْأَنْصَارِ شَيْئًا» يَعْنِي الصِّغَرَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৪
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮৪। ইয়াযীদ ইলবন সিনান (রাযিঃ) …… বকর ইবন আব্দুল্লাহ আল-মাযুনী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আল মুগীরা ইবন শু'বা (রাযিঃ) এক মহিলাকে বিবাহ করতে মনস্থ করলেন। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাকে বললেন, “তুমি তাকে দেখে নাও, তাতে তোমাদের মধ্যে মহব্বত স্থায়ী হবে।”
4284 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُزَنِيِّ , أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ امْرَأَةً , فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «انْظُرْ إِلَيْهَا؛ فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৫
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮৫। মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস (রাহঃ) ...... আল-মুগীরা ইন শু'বা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “আমি একটি মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দিতে মনস্থ করলাম। রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, “তুমি কি তার দিকে নযর করেছ? আমি বললাম, 'না', তিনি বললেন, তাহলে তুমি তার দিকে নয়র কর। কেননা তাতে তোমাদের মধ্যে মহব্বত স্থায়ী হবে।”
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “উপরোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা বুঝা যায় যে, কোন পুরুষ কোন মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছে পোষণ করলে তার চেহারার দিকে নযর করা পুরুষটির জন্যে বৈধ। একদল আলিম এ অভিমতটি গ্রহণ করেন এবং অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করেন। আর তারা বলেনঃ যে কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছে পোষণ করুক কিংবা না-ই করুক, তার দিকে নযর করা জায়িয নেই, যতক্ষণ না সে তার স্ত্রী হবে কিংবা তার মাহরাম হবে। আর তারা নিন্মের দলীল পেশ করেনঃ
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ “উপরোক্ত হাদীসগুলো দ্বারা বুঝা যায় যে, কোন পুরুষ কোন মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছে পোষণ করলে তার চেহারার দিকে নযর করা পুরুষটির জন্যে বৈধ। একদল আলিম এ অভিমতটি গ্রহণ করেন এবং অন্য একদল আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করেন। আর তারা বলেনঃ যে কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছে পোষণ করুক কিংবা না-ই করুক, তার দিকে নযর করা জায়িয নেই, যতক্ষণ না সে তার স্ত্রী হবে কিংবা তার মাহরাম হবে। আর তারা নিন্মের দলীল পেশ করেনঃ
4285 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ عَاصِمٍ , عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: خَطَبْتُ امْرَأَةً، فَقَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا؟» فَقُلْتُ: لَا. فَقَالَ: «فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ إِبَاحَةُ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِ الْمَرْأَةِ , لِمَنْ أَرَادَ نِكَاحَهَا , فَذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ قَوْمٌ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ ذَلِكَ لِمَنْ أَرَادَ نِكَاحَ الْمَرْأَةِ , وَلَا لِغَيْرِ مَنْ أَرَادَ نِكَاحَهَا، إِلَّا أَنْ يَكُونَ زَوْجًا لَهَا أَوْ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ مِنْهَا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৬
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮৬। ইবরাহীম ইবন মারযুক (রাহঃ) ......আলী ইব্ন আবু তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে একদিন বলেন, "হে আলী। জান্নাতে তোমার সম্পদ রয়েছে আর তুমি জান্নাতে স্ত্রীর অধিকারী হবে। সুতরাং তুমি নযরের উপর নয়র করবে না। কেননা প্রথম দৃষ্টিটি তোমার অনুকূলে, কিন্তু দ্বিতীয়টি তোমার অনুকূলে নয়।"
4286 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ سَلَمَةَ بْنِ أَبِي طُفَيْلٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:15] قَالَ لَهُ: «يَا عَلِيُّ، إِنَّ لَكَ كَنْزًا فِي الْجَنَّةِ , وَإِنَّكَ ذُو قَرْنَيْهَا، فَلَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ , فَإِنَّمَا لَكَ الْأُولَى، وَلَيْسَتْ لَكَ الْأُخْرَى»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৯
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৮৭-৮৯। আবুল আওয়াম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল জব্বার আল-মুরাদী (রাহঃ)... জারীর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “একদিন আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আকস্মিক নযর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমার চোখ ফিরিয়ে নাও।”
নসর ইবন মারযুক (রাহঃ) .... ইউনুস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ফাহাদ (রাহঃ)...... ইউনুস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার নিজ সনদে অনুষণ বর্ণনা পেশ করেন।
নসর ইবন মারযুক (রাহঃ) .... ইউনুস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
ফাহাদ (রাহঃ)...... ইউনুস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার নিজ সনদে অনুষণ বর্ণনা পেশ করেন।
4287 - حَدَّثَنَا أَبُو الْعَوَّامِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْمُرَادِيُّ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ: ثنا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ , وَأَبُو شِهَابٍ , عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ , عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَظْرَةِ الْفَجْأَةِ، قَالَ: «اصْرِفْ بَصَرَكَ» .
4288 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ يُونُسَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4289 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ , عَنْ يُونُسَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
4288 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ يُونُسَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.
4289 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ , عَنْ يُونُسَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৮
empty
৪২৮৮।
4288 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৮৯
empty
৪২৮৯।
4289 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯০
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৯০। ফাহাদ (রাহঃ)...... ইবন বুরাইদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি তার পিতা হতে مرفوع হিসেবে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ ﷺ আলী (রাযিঃ) কে বলেন, “হে আলী! তুমি নয়রের পর নযর করবে না। কেননা প্রথমটি তোমার অনুকূলে, কিন্তু দ্বিতীয়টি তোমার অনুকূলে নয়।
অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ ﷺ আলী (রাযিঃ) কে বলেন, “হে আলী! তুমি নয়রের পর নযর করবে না। কেননা প্রথমটি তোমার অনুকূলে, কিন্তু দ্বিতীয়টি তোমার অনুকূলে নয়।
4290 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ , عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ الْإِيَادِيِّ , عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ , عَنْ أَبِيهِ , رَفَعَهُ مِثْلَهُ. يَعْنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ: «يَا عَلِيُّ، لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ , فَإِنَّمَا لَكَ الْأُولَى , وَلَيْسَتْ لَكَ الثَّانِيَةُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৯২
যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তার দিকে নযর করা ঐ ব্যক্তিটির জন্যে হালাল হবে কি-না?
৪২৯১-৯২। আবু উমাইয়া (রাহঃ).... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাকে বলেছেন, “প্রথম দৃষ্টিটি তোমার অনুকূলে, কিন্তু দ্বিতীয়টি তোমার প্রতিকূলে।”
তারা আরো বলেন, যেহেতু রাসুলুল্লাহ্ ﷺ দ্বিতীয় দৃষ্টিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। কেননা তা হচ্ছে
দৃষ্টিকারীর স্বেচ্ছাকৃত, এবং যেহেতু এই দৃষ্টি ও পূর্ববর্তী দৃষ্টির মাঝে পার্থক্য করেছেন, যদি সেটা তার স্বেচ্ছাকৃত না হয়ে থাকে, সেহেতু এটা প্রমান করে যে, কারো জন্য কোন মহিলার চেহারার দিকে নযর করা বৈধ নয়, যতক্ষন না উভয়ের মধ্যে বিবাহ সম্পর্ক বা মাহরাম সম্পর্ক বিদ্যমান হবে, যাতে তার দিকে নযর করা অবৈধ না হয়।
প্রথম পক্ষের জন্যও এটা দলীল হিসেবে গণ্য হতে পারে এজন্য যে, প্রথম হাদীসগুলোতে রাসুলুল্লাহ ﷺ যা বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন, সেটা ছিল বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার কারণে তার দিকে নগর করা, অন্য কোন কারণে নয়। আর এজন্য তার দিকে নঘর করা বৈধ, কেননা সচরাচর দেখা যায় যে, কোন ব্যক্তি যদি কোন রমণীর চেহারার দিকে প্রথম নযর করে, যাদের মধ্যে কোন বিবাহের সম্পর্ক নেই, তাহলে এটাও তার জন্য বৈধ। আর আলী (রাযিঃ) জারীর (রাযিঃ) ও বুরাইদা (রাযিঃ) এর বর্ণিত হাদীসে যে নিষেধ করা হয়েছে, তা হল বিবাহের প্রস্তাব প্রদান না করলে কিংবা অন্য কোন অবৈধ উদ্দেশ্য থাকলে, এরপ নয়র করা অপসন্দনীয় ও অবৈধ। তবে আমরা এটা লক্ষ্য করেছি যে, যদি কোন ব্যক্তি দাসী খরিদ করতে ইচ্ছে করে তাহলে দাসীর বুকের দিকে নযর করার বৈধতার ব্যাপারে উলামায়ে কিরাম মতবিরোধ করেন না। কেননা তিনি তাকে খরিদ করার জন্যে তার দিকে নয়র করেছেন, অন্য কোন কারণে নয়র করেননি। খরিদ করার জন্যে নয়র করলে তা হবে বৈধ, আর অন্য কোন উদ্দেশ্যে নযর করলে এটা হবে অবৈধ। অনুরূপভাবে রমণীর চেহারার দিকে যদি বৈধ কারণে নযর করা হয় তাহলে এটা হবে বৈধ, আর অবৈধ কারণে যদি নযর করা হয় তাহলে এটা হবে হারাম। আবার বিবাহের প্রস্তাব প্রদানের জন্যে রমণীর চেহারার দিকে নযর করা বৈধ হওয়ায় প্রমাণিত হয় যে, চেহারা পর্দার আওতাভুক্ত নয়। কেননা আমরা জানি, যা পর্দার অন্তর্ভুক্ত, বিবাহের প্রস্তাবের জন্যে হলেও এটার দিকে নযর করা বৈধ নয়। আমরা সচরাচর দেখতে পাই যে, যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তার জন্যে মহিলার চুলের প্রতি, বুকের প্রতি এবং তার শরীরের নিম্নাংশের প্রতি নযর করা অবৈধ যেমন সে বিবাহ না করবে তার জন্যেও অবৈধ। সুতরাং বিবাহ করার ইচ্ছা থাকলে যেমন রমণীর চেহারার দিকে নয়র করা বৈধ বলে প্রমাণিত, তদ্রূপ মন্দ উদ্দেশ্য না থাকলে এবং বিবাহ করার ইচ্ছা না থাকলেও রমণীর চেহারার দিকে নযর করা বৈধ বলে প্রমাণিত।
এরূপও বলা হয়েছে যে, সূরা নূর ২৪ঃ৩১ আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
অর্থাৎ তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে।" এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা'আলা চেহারা ও দুইহাতের তালুকে পর্দা থেকে ব্যতিক্রম করেছেন। এ ব্যাখ্যাটি আমাদের উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ মত পোষণকারীদের মাঝে রয়েছেন ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)। সুলাইমান ইবন শুয়াইব এ সম্পর্কে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন।
আর তিনি ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা পেশ করেছেন। এসব আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমতের অন্তর্ভুক্ত।
তারা আরো বলেন, যেহেতু রাসুলুল্লাহ্ ﷺ দ্বিতীয় দৃষ্টিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। কেননা তা হচ্ছে
দৃষ্টিকারীর স্বেচ্ছাকৃত, এবং যেহেতু এই দৃষ্টি ও পূর্ববর্তী দৃষ্টির মাঝে পার্থক্য করেছেন, যদি সেটা তার স্বেচ্ছাকৃত না হয়ে থাকে, সেহেতু এটা প্রমান করে যে, কারো জন্য কোন মহিলার চেহারার দিকে নযর করা বৈধ নয়, যতক্ষন না উভয়ের মধ্যে বিবাহ সম্পর্ক বা মাহরাম সম্পর্ক বিদ্যমান হবে, যাতে তার দিকে নযর করা অবৈধ না হয়।
প্রথম পক্ষের জন্যও এটা দলীল হিসেবে গণ্য হতে পারে এজন্য যে, প্রথম হাদীসগুলোতে রাসুলুল্লাহ ﷺ যা বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন, সেটা ছিল বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার কারণে তার দিকে নগর করা, অন্য কোন কারণে নয়। আর এজন্য তার দিকে নঘর করা বৈধ, কেননা সচরাচর দেখা যায় যে, কোন ব্যক্তি যদি কোন রমণীর চেহারার দিকে প্রথম নযর করে, যাদের মধ্যে কোন বিবাহের সম্পর্ক নেই, তাহলে এটাও তার জন্য বৈধ। আর আলী (রাযিঃ) জারীর (রাযিঃ) ও বুরাইদা (রাযিঃ) এর বর্ণিত হাদীসে যে নিষেধ করা হয়েছে, তা হল বিবাহের প্রস্তাব প্রদান না করলে কিংবা অন্য কোন অবৈধ উদ্দেশ্য থাকলে, এরপ নয়র করা অপসন্দনীয় ও অবৈধ। তবে আমরা এটা লক্ষ্য করেছি যে, যদি কোন ব্যক্তি দাসী খরিদ করতে ইচ্ছে করে তাহলে দাসীর বুকের দিকে নযর করার বৈধতার ব্যাপারে উলামায়ে কিরাম মতবিরোধ করেন না। কেননা তিনি তাকে খরিদ করার জন্যে তার দিকে নয়র করেছেন, অন্য কোন কারণে নয়র করেননি। খরিদ করার জন্যে নয়র করলে তা হবে বৈধ, আর অন্য কোন উদ্দেশ্যে নযর করলে এটা হবে অবৈধ। অনুরূপভাবে রমণীর চেহারার দিকে যদি বৈধ কারণে নযর করা হয় তাহলে এটা হবে বৈধ, আর অবৈধ কারণে যদি নযর করা হয় তাহলে এটা হবে হারাম। আবার বিবাহের প্রস্তাব প্রদানের জন্যে রমণীর চেহারার দিকে নযর করা বৈধ হওয়ায় প্রমাণিত হয় যে, চেহারা পর্দার আওতাভুক্ত নয়। কেননা আমরা জানি, যা পর্দার অন্তর্ভুক্ত, বিবাহের প্রস্তাবের জন্যে হলেও এটার দিকে নযর করা বৈধ নয়। আমরা সচরাচর দেখতে পাই যে, যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করতে ইচ্ছে পোষণ করে তার জন্যে মহিলার চুলের প্রতি, বুকের প্রতি এবং তার শরীরের নিম্নাংশের প্রতি নযর করা অবৈধ যেমন সে বিবাহ না করবে তার জন্যেও অবৈধ। সুতরাং বিবাহ করার ইচ্ছা থাকলে যেমন রমণীর চেহারার দিকে নয়র করা বৈধ বলে প্রমাণিত, তদ্রূপ মন্দ উদ্দেশ্য না থাকলে এবং বিবাহ করার ইচ্ছা না থাকলেও রমণীর চেহারার দিকে নযর করা বৈধ বলে প্রমাণিত।
এরূপও বলা হয়েছে যে, সূরা নূর ২৪ঃ৩১ আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
অর্থাৎ তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে।" এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ তা'আলা চেহারা ও দুইহাতের তালুকে পর্দা থেকে ব্যতিক্রম করেছেন। এ ব্যাখ্যাটি আমাদের উল্লেখিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ মত পোষণকারীদের মাঝে রয়েছেন ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)। সুলাইমান ইবন শুয়াইব এ সম্পর্কে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন।
আর তিনি ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা পেশ করেছেন। এসব আবু হানীফা (রাহঃ), আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমতের অন্তর্ভুক্ত।
4291 - وَحَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ , عَنْ أَبِي رَبِيعَةَ , عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «النَّظْرَةُ الْأُولَى لَكَ , وَالْآخِرَةُ عَلَيْكَ» . قَالُوا: فَلَمَّا حَرَّمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ النَّظْرَةَ الثَّانِيَةَ , لِأَنَّهَا تَكُونُ بِاخْتِيَارِ النَّاظِرِ , وَخَالَفَ بَيْنَ حُكْمِهَا وَبَيْنَ حُكْمِ مَا قَبْلَهَا , إِذَا كَانَتْ بِغَيْرِ اخْتِيَارٍ مِنَ النَّاظِرِ , دَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى وَجْهِ الْمَرْأَةِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مِنَ النِّكَاحِ أَوِ الْحُرْمَةِ , مَا لَا يُحَرِّمُ ذَلِكَ عَلَيْهِ مِنْهَا. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ لِأَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , أَنَّ الَّذِي أَبَاحَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ , هُوَ النَّظَرُ لِلْخِطْبَةِ لَا لِغَيْرِ ذَلِكَ , فَذَلِكَ نَظَرٌ بِسَبَبٍ هُوَ حَلَالٌ. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ نَظَرَ إِلَى وَجْهِ امْرَأَةٍ , لَا نِكَاحَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , لِيَشْهَدَ عَلَيْهَا , وَلِيَشْهَدَ لَهَا أَنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ. فَكَذَلِكَ إِذَا نَظَرَ إِلَى وَجْهِهَا لِيَخْطُبَهَا , كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا لَهُ أَيْضًا. فَأَمَّا الْمَنْهِيُّ عَنْهُ فِي حَدِيثِ عَلِيٍّ , وَجَرِيرٍ , وَبُرَيْدَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمْ , فَذَلِكَ لِغَيْرِ الْخِطْبَةِ , وَلِغَيْرِ مَا هُوَ حَلَالٌ , فَذَلِكَ مَكْرُوهٌ مُحَرَّمٌ. وَقَدْ رَأَيْنَاهُمْ لَا يَخْتَلِفُونَ فِي نَظَرِ الرَّجُلِ إِلَى صَدْرِ الْمَرْأَةِ الْأَمَةِ , إِذَا أَرَادَ أَنْ يَبْتَاعَهَا أَنَّ ذَلِكَ لَهُ جَائِزٌ حَلَالٌ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَى ذَلِكَ مِنْهَا , لِيَبْتَاعَهَا لَا لِغَيْرِ ذَلِكَ. وَلَوْ نَظَرَ إِلَى ذَلِكَ مِنْهَا , لَا لِيَبْتَاعَهَا , وَلَكِنْ لِغَيْرِ ذَلِكَ , كَانَ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَرَامًا. فَكَذَلِكَ نَظَرُهُ إِلَى وَجْهِ الْمَرْأَةِ إِنْ كَانَ فَعَلَ ذَلِكَ لِمَعْنًى هُوَ حَلَالٌ , فَذَلِكَ غَيْرُ مَكْرُوهٍ لَهُ , وَإِنْ كَانَ فَعَلَهُ لِمَعْنًى هُوَ عَلَيْهِ حَرَامٌ , فَذَلِكَ مَكْرُوهٌ لَهُ، [ص:16] وَإِذَا ثَبَتَ أَنَّ النَّظَرَ إِلَى وَجْهِ الْمَرْأَةِ لِيَخْطُبَهَا حَلَالٌ , خَرَجَ بِذَلِكَ حُكْمُهُ مِنْ حُكْمِ الْعَوْرَةِ، وَلِأَنَّا رَأَيْنَا مَا هُوَ عَوْرَةٌ لَا يُبَاحُ لِمَنْ أَرَادَ نِكَاحَهَا النَّظَرُ إِلَيْهَا. أَلَا تَرَى أَنَّ مَنْ أَرَادَ نِكَاحَ امْرَأَةٍ , فَحَرَامٌ عَلَيْهِ النَّظَرُ إِلَى شَعْرِهَا , وَإِلَى صَدْرِهَا , وَإِلَى مَا هُوَ أَسْفَلَ مِنْ ذَلِكَ فِي بَدَنِهَا , كَمَا يَحْرُمُ ذَلِكَ مِنْهَا , عَلَى مَنْ لَمْ يُرِدْ نِكَاحَهَا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ النَّظَرَ إِلَى وَجْهِهَا حَلَالٌ لِمَنْ أَرَادَ نِكَاحَهَا , ثَبَتَ أَنَّهُ حَلَالٌ أَيْضًا لِمَنْ لَمْ يُرِدْ نِكَاحَهَا , إِذَا كَانَ لَا يَقْصِدُ بِنَظَرِهِ ذَلِكَ لِمَعْنًى هُوَ عَلَيْهِ حَرَامٌ. وَقَدْ قِيلَ فِي قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا} [النور: 31] : إِنَّ ذَلِكَ الْمُسْتَثْنَى هُوَ الْوَجْهُ وَالْكَفَّانِ , فَقَدْ وَافَقَ مَا ذَكَرْنَا مِنْ حَدِيثِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ هَذَا التَّأْوِيلَ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا التَّأْوِيلِ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ.
4292 - كَمَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ بِذَلِكَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ مُحَمَّدٍ. وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
4292 - كَمَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ بِذَلِكَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ مُحَمَّدٍ. وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪২৯২
empty
৪২৯২।
4292 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান