শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৭. বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪২৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৬
২. অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৫১-৫৬। ইউনুস (রাহঃ) …… আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, "রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন যে, কোন মহিলা তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ করলে তা বাতিল বলে গন্য হবে। এক্ষেত্রে স্বামী যদি তাকে সঙ্গম করে তবে তার সম্ভোগ অঙ্গ হালাল করার কারনে তার জন্য মোহর সাব্যস্ত হবে। আর যদি অভিভাবক না থাকার কারনে অভিভাবক নিয়ে লোকেরা বিবাহ করে তাহলে যার অভিভাবক নেই, দেশের বাদশাহ-ই তার অলী বা অভিভাবক হবে।"

ফাহাদ (রাহঃ) …… ইবন জুরাইজ (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আবু বিশর আর- রাকী (রাহঃ) ….. আয-যুহরী (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

রাবী' আল-মুয়াযযিন (রাহঃ) …… ইবন শিহাব আয- যুহারী হতে বর্ননা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

রাবী' আলজীযী (রাহঃ) …….. ইবন শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনিও নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল 'আলিম' এ মত অবলম্বন করে বলেন, "অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলার নিজ অভিমতে বিবাহ শুদ্ধ হবে না।" তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)। আর তারা উপরে বর্নিত হাদীসগুলোর মাধ্যমে তাদের অভিমতের পক্ষে দলীল পেশ করেন।
অন্য একদল 'আলিম এ ব্যাপারে তাদের বিরোধিতা করেন এবং তারা বলেনঃ "মহিলার অধিকার রয়েছে যাকে ইচ্ছা তার কাছে নিজেকে বিয়ে দেয়ার। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অধিকার অভিভাবকের নেই, যদি সে উপযুক্ত পাত্রে নিজেকে অর্পণ করে।" এ বিষয়ে তাদের একটি প্রমান এই যে, ইবন জুরাইজের যে হাদীস সুলায়মান ইবন মুসা হতে আমরা উল্লেখ করেছি, এ ব্যাপারে ইবন জুরাইজ বলেন যে, তিনি এ হাদীস সম্বন্ধে ইবন শিহাবকে প্রশ্ন করেছেন, কিন্তু তিনি হাদীসটির পরিচয় বলতে পারেন নি।

ইবন আবু ইমরান (রাহঃ) …… ইবন জুরাইজ (রাহঃ) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন।
আবু জা'ফর বলেনঃ এর চেয়ে কম ত্রুটির ভিত্তিতেও এরা হাদীস নাকচ করে দেন। হাজ্জাজ ইবন আরতাত বর্ননাকারীর শ্রবন ইমাম যুহরী (রাহঃ) থেকে তাদের কাছে প্রমানিত নয়। তাই এ হাদীস তাদের কাছে مُرْسَل এবং তারা مُرْسَلْ حَدِيْثْ – কে দলীল মনে করেন না।
প্রতিপক্ষ যখন এদের বিপক্ষে বর্ননাকারী ইবন লাহীয়াহ এর হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন তখন এরা অপছন্দ করেন, তাহলে এখানে কিভাবে এরা তার হাদীসকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দলীলরূপে পেশ করেছেন। তদুপরি তারা যুহরী থেকে এ সম্পর্কে যা বর্ননা করেছেন তা প্রমানিত হলেও আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে এর বিপরীত বর্ননাও এসেছেঃ
بَابُ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ عَصَبَةٍ
4251 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا , فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ , فَإِنْ أَصَابَهَا فَلَهَا مَهْرُهَا بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا , فَإِنِ اشْتَجَرُوا , فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لَا وَلِيَّ لَهُ» .

4252 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

4253 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّقِّيُّ , عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

4254 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَسَدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

4255 -حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذَا قَوْمٌ , فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ تَزْوِيجُ الْمَرْأَةِ نَفْسَهَا إِلَّا بِإِذْنِ وَلِيِّهَا. وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لِلْمَرْأَةِ أَنْ تُزَوِّجَ نَفْسَهَا مِمَّنْ شَاءَتْ , وَلَيْسَ لِوَلِيِّهَا أَنْ يَعْتَرِضَ عَلَيْهَا فِي ذَلِكَ إِذَا وَضَعَتْ نَفْسَهَا حَيْثُ كَانَ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تَضَعَهَا. [ص:8] وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ حَدِيثَ ابْنِ جُرَيْجٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى , قَدْ ذَكَرَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَنَّهُ سَأَلَ عَنْهُ ابْنَ شِهَابٍ , فَلَمْ يَعْرِفْهُ.

4256 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ: أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِذَلِكَ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَهُمْ يُسْقِطُونَ الْحَدِيثَ بِأَقَلَّ مِنْ هَذَا , وَحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ , فَلَا يُثْبِتُونَ لَهُ سَمَاعًا عَنِ الزُّهْرِيِّ , وَحَدِيثُهُ عَنْهُ عِنْدَهُمْ مُرْسَلٌ , وَهُمْ لَا يَحْتَجُّونَ بِالْمُرْسَلِ , وَابْنُ لَهِيعَةَ , فَهُمْ يُنْكِرُونَ عَلَى خَصْمِهِمُ الِاحْتِجَاجَ عَلَيْهِمْ بِحَدِيثِهِ , فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ بِهِ عَلَيْهِ فِي مِثْلِ هَذَا؟ ثُمَّ لَوْ ثَبَتَ مَا رَوَوْا مِنْ ذَلِكَ عَنِ الزُّهْرِيِّ , لَكَانَ قَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا يُخَالِفُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫২
empty
৪২৫২।
4252 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৩
empty
৪২৫৩।
4253 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৪
empty
৪২৫৪।
4254 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৫
empty
৪২৫৫।
4255 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৬
empty
৪২৫৬।
4256 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৯
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৫৭-৫৯। ইউনুস (রাহঃ) …… আল-কাসিম (রাহঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি উম্মুল মু'মিনীন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সহধর্মিণী আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি একবার হাফসা বিনতে আব্দুর রহমানকে আল-মুনযার ইবন আয-যুবাইরের সাথে বিবাহ দেন। আব্দুর রহমান সিরিয়ায় থাকার কারনে মদীনায় ছিলেন অনুপস্থিত। আব্দুর রহমান যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন তিনি বললেন, 'আমার মত লোকের সাথেও কি এরূপ ব্যবহার করা হয়? আমার মত লোকের ব্যাপারেও কি তাড়াহুড়া করা হবে?' হযরত আয়িশা (রাযিঃ) আল-মুনযারের সাথে কথা বলেন। আল-মুনযার বললেন, এটাতো আব্দুর রহমানের হাতে। আব্দুর রহমান বললেন, আপনি যে বিষয়টি ফায়সালা করেছেন, তা আমি রদ করতে পারি না। অতঃপর হাফসা আল-মুনযারের নিকট স্থির রইলেন, আর তালাকের বিষয়টি উত্থাপিত হল না।

ইউনুস (রাহঃ) …… আব্দুর রহমান ইবন আল-কাসিম হতে বর্ননা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ননা পেশ করেন।

ইউনুস (রাহঃ) ……. আল-কাসিম ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে হাফসা সম্পর্কে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
মোট কথা আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) যখন আব্দুর রহমানের অনুমতি ব্যতীত তার কন্যা-কে তাঁর বিবাহ দেয়া বৈধ মনে করলেন এবং ঐ আকদকে সিদ্ধ মনে করলেন, এমন কি তিনি ঐ আকদের মাধ্যমে (সম্ভোগ অঙ্গের) মালিকানা অনুমোদন করলেন, তখন আমাদের মতে এটা অসম্ভব যে, তিনি এটা সহী মনে করবেন, অথচ তিনি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন 'অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ শুদ্ধ হয়না।' সুতরাং এ দ্বারা যুহরী থেকে বর্নিত হাদীসের অসিদ্ধতা প্রমানিত হয়।
প্রথম পক্ষ আবার তাদের সপক্ষে নীচে বর্নিত হাদীসটি দলীল হিসেবে উল্লেখ করেনঃ
4257 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا زَوَّجَتْ حَفْصَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ , وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ غَائِبٌ بِالشَّامِ فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ: أَمِثْلِي يُصْنَعُ بِهِ هَذَا , وَيُفْتَاتُ عَلَيْهِ؟ فَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ عَنِ الْمُنْذِرِ فَقَالَ الْمُنْذِرُ: إِنَّ ذَلِكَ بِيَدِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: مَا كُنْتُ أَرُدُّ أَمْرًا قَضَيْتُهُ , فَقَرَّتْ حَفْصَةُ عِنْدَهُ , وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ طَلَاقًا.

4258 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ.

4259 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي حَنْظَلَةُ , وَأَفْلَحُ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ فِي حَفْصَةَ , بِمِثْلِ ذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَدْ رَأَتْ أَنَّ تَزْوِيجَهَا بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بِغَيْرِهِ جَائِزٌ , وَرَأَتْ ذَلِكَ الْعَقْدَ مُسْتَقِيمًا حَتَّى أَجَازَتْ فِيهِ التَّمْلِيكَ الَّذِي لَا يَكُونُ إِلَّا عَنْ صِحَّةِ النِّكَاحِ وَثُبُوتِهِ , اسْتَحَالَ عِنْدَنَا أَنْ يَكُونَ تَرَى ذَلِكَ، وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ» . فَثَبَتَ بِذَلِكَ فَسَادُ مَا رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِي ذَلِكَ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَيْضًا لِقَوْلِهِمْ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৮
empty
৪২৫৮।
4258 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৯
empty
৪২৫৯।
4259 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬১
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৬০-৬১। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ….. আবু বুরদা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি তার পিতা হতে বর্ননা করেন। তার পিতা বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন, অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ শুদ্ধ নয়।
এখানে এ হাদীসের বিরুদ্ধে বক্তব্য হলো, এই যে, এ হাদীসটি মূলের দিকে লক্ষ্য করলে দলীল হিসেবে টিকে না। কেননা এ হাদীসের বর্ননাকারীদের মধ্যে উল্লেখিত 'ইসরাইল' থেকে বেশী ধী সম্পন্ন ও শক্তিশালী, যেমন সুফিয়ান ও শু'বা তারাও এ হাদীসটি আবু ইসহাক থেকে مُنْقَطِعْ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
4260 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ.

4261 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ , عَنْ أَبِيهِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ» . أَيْ إِلَّا بِإِذْنِهِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ , عَلَى أَصْلِهِمْ أَيْضًا , لَا تَقُومُ بِهِ حُجَّةٌ؛ وَذَلِكَ أَنَّ مَنْ هُوَ أَثْبَتُ مِنْ إِسْرَائِيلَ وَأَحْفَظُ مِنْهُ , مِثْلَ سُفْيَانَ وَشُعْبَةَ , قَدْ رَوَاهُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ مُنْقَطِعًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬১
empty
৪২৬১।
4261 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৩
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৬২-৬৩। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) …… শু'বার মাধ্যমে আবু ইসহাক হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু বুরদা হতে বর্ননা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ননা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, "অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহই শুদ্ধ হয় না।"

ইবন মারযূক (রাহঃ) …… সুফিয়ান আস-সাওরীর মাধ্যমে আবু ইসহাক হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু বুরদা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন।
তাহলে দেখা গেল, মূল হাদীসটি শু'বা ও সুফিয়ানের মাধ্যমে আবু বুরদা (রাযিঃ) হতে বর্নিত। তারা প্রত্যেকেই মুহাদ্দিসীনের নিকট ইসরাইল থেকে শক্তিশালী। আর দু'জন একত্রিত হলে তো আর কোন কথাই থাকতে পারেনা।
যদি প্রথম পক্ষ বলেন, আবু আওয়ানাই হাদীসটি مَرْفُوْعُ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেমন ইসরাইল বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হল নিন্মরূপঃ
4262 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ» .

4263 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ. فَصَارَ أَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمَ , بِرِوَايَةِ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ , وَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا - عِنْدَهُمْ - حُجَّةٌ عَلَى إِسْرَائِيلَ , فَكَيْفَ إِذَا اجْتَمَعَا جَمِيعًا. فَإِنْ قَالُوا: فَإِنَّ أَبَا عَوَانَةَ قَدْ رَوَاهُ مَرْفُوعًا , كَمَا رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ. وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৩
empty
৪২৬৩।
4263 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৭
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৬৪-৬৭। ফাহাদ (রাহঃ) …… আবু আওয়ানা এর মাধ্যমে আবু ইসহাক (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু মুসা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ননা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ "অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ শুদ্ধ নয়।"
তাদেরকে প্রতিউত্তরে বলা যায়, হ্যাঁ, আবু আওয়ানা হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে, যেমন তোমরা উল্লেখ করেছ, কিন্তু গভীরভাবে এ হাদীসের মূলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আবু আওয়ানা ইসরাইল থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং ইসরাইল আবু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন। সুতরাং আবু আওয়ানা বর্নিত হাদীসটিও ইসরাইলের বর্নিত হাদীসই। যেমন হাদীসটি নিন্মে উল্লেখ করা হলঃ

আবু উমাইয়া (রাহঃ) ….. আবু আওয়ানা হতে বর্ননা করেন। তিনি ইসরাঈল হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু ইসহাক হতে বর্ননা করেন। আর আবু ইসহাক নিজের সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন। সুতরাং এ সম্পর্কে আবু আওয়ানার কাছে আবু ইসহাক থেকে কোন বর্ননা থাকার বিষয়টি নাকচ হয়ে গেল।
যদি প্রথম পক্ষ আবার বলেন যে, এ হাদীসটি কাইস ইবনুল রাবী'ও আবু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেছেন, যেমন ইসরাইল বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হলো নিন্মরূপঃ
4264 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ وَأَبُو عَوَانَةَ. ح.

4265 - وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ. ح.

4266 - وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ , عَنْ أَبِي مُوسَى , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ» قِيلَ لَهُمْ: قَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ هَذَا كَمَا ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنَّا نَظَرْنَا فِي أَصْلِ ذَلِكَ , فَإِذَا هُوَ عَنْ أَبِي عَوَانَةَ , عَنْ إِسْرَائِيلَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , فَرَجَعَ حَدِيثُ أَبِي عَوَانَةَ أَيْضًا إِلَى حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ.

4267 - حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو أُمَيَّةَ قَالَ: ثنا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ الرَّازِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ إِسْرَائِيلَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. فَانْتَفَى بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ أَبِي عَوَانَةَ فِي هَذَا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ شَيْءٌ. فَإِنْ قَالُوا: فَإِنَّهُ قَدْ رَوَاهُ قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ أَيْضًا , كَمَا رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ
وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৫
empty
৪২৬৫।
4265 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৬
empty
৪২৬৬।
4266 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৭
empty
৪২৬৭।
4267 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৯
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৬৮-৬৯। ফাহাদ (রাহঃ) …… কাইস ইবনুল রাবী' হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু ইসহাক হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু বুরদা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু মুসা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেনঃ "অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ শুদ্ধ নয়।"
তাদেরকে প্রতিউত্তরে বলা যায়, হ্যাঁ, তোমরা সত্য বলেছ, কাইস এ হাদীসটি বর্ণনা করেন, যেমন তোমরা উল্লেখ করেছ। তবে কাইস মুহাদ্দিসীনপ কিরামের কাছে ইসরাইল থেকে কম মর্যাদার অধিকারী, তাই ইসরাইল যদি সুফিয়ান ও শু'বার সমকক্ষ না হতে পারেন তাহলে কাইস তাদের সমকক্ষ না হওয়া তো আরো স্বাভাবিক।
যদি প্রথম পক্ষ আবার বলেন যে, এ হাদীসটি সুফিয়ানের জনৈক শিষ্য সুফিয়ান থেকে مَرْفُوْعُ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেমন ইসরাইল ও কাইস বর্ননা করেছেন। হাদীসটি নিন্মরূপঃ
4268 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ الْكُوفِيُّ. ح.

4269 - وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَا: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ , عَنْ أَبِي مُوسَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ» . قِيلَ لَهُمْ: صَدَقْتُمْ , قَدْ رَوَاهُ قَيْسٌ كَمَا ذَكَرْتُمْ , وَقَيْسٌ - عِنْدَهُمْ - دُونَ إِسْرَائِيلَ , فَإِذَا انْتَفَى أَنْ يَكُونَ إِسْرَائِيلُ مُضَادًّا لِسُفْيَانَ وَلِشُعْبَةَ , كَانَ قَيْسٌ أَحْرَى أَنْ لَا يَكُونَ مُضَادًّا لَهُمَا. فَإِنْ قَالُوا: فَإِنَّ بَعْضَ أَصْحَابِ سُفْيَانَ قَدْ رَوَاهُ عَنْ سُفْيَانَ مَرْفُوعًا , كَمَا رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ وَقَيْسٌ , وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৬৯
empty
৪২৬৯।
4269 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৭০
অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ
৪২৭০। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) …… বিশর ইবন মনসুর হতে বর্ননা করেন। তিনি সুফিয়ান থেকে বর্ণনা করেন। তিনি আবু ইসহাক হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু বুরদা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি আবু মুসা (রাযিঃ) হতে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ "অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহই শুদ্ধ হয়না।"
তাদেরকে প্রতিউত্তরে বলা যায়, তোমরা সত্য বলেছ যে, এ হাদীসটি বিশর ইবন মনসুর, সুফিয়ান থেকে বর্ননা করেছেন, যেমন তোমরা উল্লেখ করেছ, কিন্তু তোমরা তো তোমাদের প্রতিপক্ষের এ ধরনের আচরন পছন্দ করো না, অর্থাৎ সুফিয়ানের শিষ্যগন কিংবা তাদের অধিকাংশ যে হাদীস বর্ননা করেছেন তা দ্বারা যদি একটি সিদ্ধান্ত প্রমাণ করা হয়, আর তোমাদের প্রতিপক্ষ সুফিয়ান হতে বিশর ইবন মনসুরের বর্ননা দ্বারা তোমাদের বিপক্ষে দলীল পেশ করেন, যা ভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, তখন তো তোমরা তাকে হাদীস সম্পর্কে বলে মনে করো, তো তোমাদের বিপক্ষে তোমাদের প্রতিপক্ষের যে আচরন তোমরা পছন্দ করো না, সে আচরন তোমাদের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কিভাবে তোমরা করতে পারো, এটা তো প্রকাশ্য যুলুম।
আত-তাহাবী বলেনঃ এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য এ জন্য নয় যে, আমি যাদের কথা উল্লেখ করেছি তাদের কাউকে অসম্মান করতে চাই। আর এ ধরনের বক্তব্যকে আমি দোষের মনে করি না। বরং আমি শুধু এই দলীল উপস্থাপনকারীর যুলুমের কথা বয়ান করতে চেয়েছি,আর তার অনুঃসৃত 'হুজ্জত' তারই উপর চাপাতে চেয়েছি। তবে আমি বলতে চাই যে, যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে এ কথা বর্নিত থাকেও যে, "অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ শুদ্ধ নয়" তাহলেও যারা এ অনুচ্ছেদে নিজেদের দাবীর পক্ষে এটাকে দলীল হিসেবে পেশ করেছেন তা দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা এটাতে কয়েকটি অর্থের সম্ভাবনা রয়েছেঃ আমাদের বিপক্ষের লোক যে وَلِيْ বা অভিভাবকের কথা বলেছেন এর দ্বারা মহিলাটির নিকটতম স্বজনের কথাও বলা যেতে পারে। অথবা এ وَلِيْ এর দ্বারা মহিলাটির নিযুক্ত নিকট কিংবা দূরের ব্যক্তিও হতে পারে। আর এটা ঐ ব্যক্তিদের মাযহাব, যারা বলে যে, বিবাহ বন্ধনের ব্যাপারটি নিয়ে মহিলার নিজের বিবাহের কিংবা অন্যের বিবাহের ব্যাপারে অভিভাবকত্ব করা বৈধ নয়, যদিও তার অভিভাবক তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি দেয়। এ অভিভাবকত্ব শুধু পুরুষরাই করা বৈধ। এরূপ ঘটনা হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রাযিঃ) হতে বর্নিত হয়েছেঃ
4270 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو كَامِلٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ. قِيلَ لَهُمْ: قَدْ صَدَقْتُمْ , قَدْ رَوَى هَذَا بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ , عَنْ سُفْيَانَ كَمَا ذَكَرْتُمْ , وَلَكِنَّكُمْ لَا تَرْضَوْنَ مِنْ خَصْمِكُمْ بِمِثْلِ هَذَا إِنِ احْتَجُّوا عَلَيْهِ بِمَا رَوَاهُ أَصْحَابُ سُفْيَانَ أَوْ أَكْثَرُهُمْ عَنْهُ عَلَى مَعْنًى , وَيَحْتَجُّ هُوَ عَلَيْكُمْ بِمَا رَوَاهُ [ص:10] بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ , عَنْ سُفْيَانَ بِمَا يُخَالِفُ ذَلِكَ الْمَعْنَى , وَتَعُدُّونَ الْمُحْتَجَّ عَلَيْكُمْ بِمِثْلِ هَذَا جَاهِلًا بِالْحَدِيثِ , فَكَيْفَ تُسَوِّغُونَ أَنْفُسَكُمْ عَلَى مُخَالِفِكُمْ مَا لَا يُسَوِّغُونَهُ عَلَيْكُمْ؟ إِنَّ هَذَا لَجَوْرٌ بَيِّنٌ. وَمَا كَلَامِي فِي هَذَا إِرَادَةٌ مِنِّي الْإِزْرَاءَ عَلَى أَحَدٍ مِمَّنْ ذَكَرْتُ , وَلَا أَعُدُّ مِثْلَ هَذَا طَعْنًا، وَلَكِنِّي أَرَدْتُ بَيَانَ ظُلْمِ هَذَا الْمُحْتَجِّ , وَإِلْزَامَهُ مِنْ حُجَّةِ نَفْسِهِ مَا ذَكَرْتُ , وَلَكِنِّي أَقُولُ: إِنَّهُ لَوْ ثَبَتَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ» لَمْ يَكُنْ فِيهِ حُجَّةٌ لِمَا قَالَ الَّذِينَ احْتَجُّوا بِهِ لِقَوْلِهِمْ فِي هَذَا الْبَابِ ; لِأَنَّهُ قَدْ يَحْتَمِلُ مَعَانِيَ. فَيَحْتَمِلُ مَا قَالَ هَذَا الْمُخَالِفُ لَنَا أَنَّ ذَلِكَ الْوَلِيَّ هُوَ أَقْرَبُ الْعَصَبَةِ إِلَى الْمَرْأَةِ. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ الْوَلِيُّ مَنْ تُوَلِّيهِ الْمَرْأَةُ مِنَ الرِّجَالِ , قَرِيبًا كَانَ مِنْهَا أَوْ بَعِيدًا. وَهَذَا الْمَذْهَبُ يَصِحُّ بِهِ قَوْلُ مَنْ يَقُولُ: لَا يَجُوزُ لِلْمَرْأَةِ أَنْ تَتَوَلَّى عَقْدَ نِكَاحِ نَفْسِهَا , وَإِنْ أَمَرَهَا وَلِيُّهَا بِذَلِكَ , وَلَا عَقْدَ نِكَاحِ غَيْرِهَا , وَلَا يَجُوزُ أَنْ يَتَوَلَّى ذَلِكَ إِلَّا الرِّجَالُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا مِثْلُ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান