শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪১৭৬
৩৪. মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৭৬। রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী(ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি তাঁর জামার বুকের দিকে উন্মুক্ত অংশ থেকে কেটে তা পায়ের দিক দিয়ে বের করে ফেললেন। লােকেরা নবী(ﷺ) -এর দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তিনি বললেন, আমি নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছি, আমি যেন আমার প্রেরিত উটসমূহের অমুক অমুক স্থানে আজকে ‘ইশ্আর’ (কুঁজের এক পাশে জখম করে রক্ত প্রবাহিত করা) করে মালা পরিয়ে দেই। এরপর আমি ভুলে জামা পরিধান করে ফেলেছি। আমার জন্য এটাকে মাথার দিক দিয়ে খােলা সমীচীন মনে করিনি । তিনি তাঁর হাদী পাঠিয়ে দিয়ে নিজে মদীনায় অবস্থান করছিলেন।

আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, যখন কোন ব্যক্তি হাদী পাঠিয়ে দিয়ে নিজে গৃহে অবস্থান করে এবং হাদীকে ‘ইশআর' করে মালা পড়িয়ে দেয় তখন সে (মুহরিমের-ন্যায়) সেলাই করা কাপড় পরিধান করবে এবং এই অবস্থায়ই থাকবে যতক্ষণ না লােকেরা নিজেদের হজ্জের ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যায়। তাঁরা এ বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন এবং তাঁরা তা ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) ও ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) থেকেও রিওয়ায়াত করেছেনঃ
بَابُ الرَّجُلِ يُوَجِّهُ بِالْهَدْيِ إِلَى مَكَّةَ وَيُقِيمُ فِي أَهْلِهِ هَلْ يَتَجَرَّدُ إِذَا قَلَّدَ الْهَدْيَ؟
4176 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي لَبِيبَةَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ جَابِرٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا فَقَدَ قَمِيصَهُ مِنْ جَيْبِهِ , حَتَّى أَخْرَجَهُ مِنْ رِجْلَيْهِ. فَنَظَرَ الْقَوْمُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي أَمَرْتُ بِبُدْنِي الَّتِي بَعَثْتُ بِهَا أَنْ تُقَلَّدَ الْيَوْمَ وَتُشْعَرَ , عَلَى مَكَانِ كَذَا وَكَذَا فَلَبِسْتُ قَمِيصِي وَنَسِيتُ , فَلَمْ أَكُنْ لِأُخْرِجَ قَمِيصِي مِنْ رَأْسِي وَكَانَ بَعَثَ بِبُدْنِهِ فَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا بَعَثَ بِالْهَدْيِ , وَأَقَامَ فِي أَهْلِهِ فَقَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَ أَنَّهُ يَتَجَرَّدُ فَيُقِيمُ كَذَلِكَ , حَتَّى يَحِلَّ النَّاسُ مِنْ حَجِّهِمْ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَرَوَوْا ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৭৭
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৭৭। ইউনুস (রাহঃ) ….. আমরা বিন্‌ত আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যিয়াদ ইব্‌ন আবু সুফইয়ান (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) কে লিখেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি হাদী পাঠাবে তার উপর সেই সমস্ত জিনিস হারাম হয়ে যায় যা হাজীর উপর হারাম হয়, যতক্ষণ না তার হাদী যবাহ করা হবে। আমিও হাদী প্রেরণ করেছি, আমাকে আপনার সিদ্ধান্ত লিখে দিন অথবা হাদী ওয়ালাকে নির্দেশ দিন। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) যা বলেছেন বিষয়টি এমন নয়। আমি নিজে আমার হাতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর হজ্জের কুরবানীর পশুর গলার মালার রশি পাকিয়ে দিয়েছি। তারপর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিজ হাতে সেটিকে মালা পরিয়ে দিয়েছেন। এরপর আমার পিতার সঙ্গে (হাদীকে) পাঠিয়েছেন। হাদী যবাহ হওয়া পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর উপর এরূপ কোন বস্তু হারাম হয়নি, যা আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য হালাল করেছেন।
4177 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ , كَتَبَ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ «عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ» مَنْ أَهْدَى هَدْيًا , حَرُمَ عَلَيْهِ مَا يَحْرُمُ عَلَى الْحَاجِّ حَتَّى يَنْحَرَ هَدْيَهُ «وَقَدْ بَعَثْتُ بِهَدْيٍ , فَاكْتُبِي إِلَيَّ بِأَمْرِكَ , أَوْ مُرِي صَاحِبَ الْهَدْيِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ , أَنَا فَتَلْتُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِي , ثُمَّ قَلَّدَهَا [ص:265] رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ , ثُمَّ بَعَثَ بِهَا مَعَ أَبِي , فَلَمْ يَحْرُمْ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْءٌ أَحَلَّهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْيَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৭৯
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৭৮-৭৯। সালিহ্ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ….. নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) যখন তাঁর হাদী পাঠাতেন এবং নিজে গৃহে অবস্থান করতেন, তখন তিনি হাদী যবাহ না হওয়া পর্যন্ত সে সব বস্তু থেকে বিরত থাকতেন যা থেকে মুহরিম বিরত থাকে।

মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, যখন তিনি তাঁর হাদী পাঠাতেন তখন নারীদের (সঙ্গম) থেকে বিরত থাকতেন।
পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন, যখন পর্যন্ত কোন ব্যক্তি হজ্জ অথবা উমরার ইহরাম না বাঁধবে তার উপর সেলাই করা কাপড় পরিহার করা এবং এরূপ বস্তু ছেড়ে দেয়া যা মুহরিম ছেড়ে দেয়, ওয়াজিব নয়। তাঁরা এ বিষয়ে আয়েশা (রাযিঃ) -এর ঐ রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা আমরা এর পূর্বে যিয়াদ ইব্‌ন সুফইয়ান (রাযিঃ)-কে উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) -এর জবাব প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছি এবং তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
4178 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أنا عُبَيْدُ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ , إِذَا بَعَثَ هَدْيَهُ وَهُوَ مُقِيمٌ , أَمْسَكَ عَمَّا يُمْسِكُ عَنْهُ الْمُحْرِمُ حَتَّى يَنْحَرَ هَدْيَهُ

4179 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ إِذَا بَعَثَ بِهَدْيِهِ , أَمْسَكَ عَنِ النِّسَاءِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا يَجِبُ عَلَى أَحَدٍ تَجْرِيدٌ وَلَا تَرْكُ شَيْءٍ مِمَّا يَتْرُكُهُ الْمُحْرِمُ إِلَّا بِدُخُولِهِ فِي الْإِحْرَامِ إِمَّا بِالْحَجِّ , وَإِمَّا بِالْعُمْرَةِ. وَكَانَ مِمَّا احْتَجُّوا بِهِ فِي ذَلِكَ , مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , فِيمَا أَجَابَتْ بِهِ زِيَادًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৭৯
empty
৪১৭৯।
4179 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮১
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৮০-৮১। আলী ইব্‌ন শায়বা (রাহঃ) ..... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এখানে কিছু সংখ্যক লােক বায়তুল্লাহর দিকে হাদী প্রেরণ করে এবং যার সঙ্গে প্রেরণ করে তার সঙ্গে একটি দিন স্থির করে নেয় যে, সে ঐ দিন ওটাকে মালা পরাবে। তারপর যতক্ষণ না লােকেরা ইহুরাম খুলে হালাল হয় ততক্ষণ সে লাগাতার ইহরাম অবস্থায় থাকে। (এটা শুনে) উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) হাতের উপর হাত মারলেন, যা আমি পর্দার আড়াল থেকে শুনতে পাই। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! আমি আমার হাতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর হজ্জের কুরবানীর পশুর গলার মালার রশি পাকিয়ে দিতাম। তারপর তিনি তা কা'বার দিকে পাঠাতেন এবং নিজে আমাদের মাঝে অবস্থান করতেন। আর যতক্ষণ না লােকেরা প্রত্যাবর্তন করত হালাল তথা ইহরাম মুক্ত ব্যক্তি যা কিছু করত তার কোন কিছুই তিনি বাদ দিতেন না।


আলী ইব্‌ন মা'বাদ (রাহঃ) ….. ইসমাঈল ইব্‌ন আবী খালিদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
4180 - وَبِمَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ إِنَّ رِجَالًا هَاهُنَا يَبْعَثُونَ بِالْهَدْيِ إِلَى الْبَيْتِ , وَيَأْمُرُونَ الَّذِي يَبْعَثُونَ مَعَهُ بِمُعَلِّمٍ لَهُمْ يُقَلِّدُونَهَا ذَلِكَ الْيَوْمَ , فَلَا يَزَالُونَ مُحْرِمِينَ , حَتَّى يَحِلَّ النَّاسُ. فَصَفَّقَتْ بِيَدِهَا , فَسَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ , فَقَالَتْ: سُبْحَانَ اللهِ , لَقَدْ كُنْتُ أَفْتِلُ قَلَائِدَ هَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِي , فَيَبْعَثُ بِهَا إِلَى الْكَعْبَةِ , وَيُقِيمُ فِينَا , لَا يَتْرُكُ شَيْئًا مِمَّا يَصْنَعُ الْحَلَالُ , حَتَّى يَرْجِعَ النَّاسُ "

4181 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮১
empty
৪১৮১।
4181 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮২
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৮২। আলী ইব্‌ন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-এর হজ্জের কুরবানীর উটের গলার মালার রশি পাকাতাম। তারপর তিনি হাদী পাঠাতেন এবং নিজে মদীনায় অবস্থান করতেন। আর তা বায়তুল্লাহ্ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বেও সেই সমস্ত কাজ করতেন যা হালাল তথা ইহরাম মুক্ত ব্যক্তি করে।
4182 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ , قَالَ: أنا دَاوُدَ بْنُ أَبِي هِنْدٍ , عَنْ عَامِرٍ , عَنْ مَسْرُوقٍ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أَفْتِلُ بِيَدِي لِبُدْنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَيَبْعَثُ بِالْهَدْيِ وَهُوَ مُقِيمٌ بِالْمَدِينَةِ , وَيَفْعَلُ مَا يَفْعَلُ الْمُحِلُّ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْبَيْتِ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৩
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৮৩। ফাহাদ (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কখনাে আমি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -এর হজ্জের কুরবানীর পশুর গলার মালার রশি পাকিয়ে দিয়েছি, এরপর তিনি তাকে মালা পরিয়ে পাঠিয়ে দিতেন এবং নিজে (মদীনায়) অবস্থান করতেন। আর মুহরিম যে সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকে তিনি তা থেকে বিরত থাকতেন না।
4183 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ يُونُسَ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ: لَرُبَّمَا فَتَلْتُ الْقَلَائِدَ لِهَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَيُقَلِّدُهُ , ثُمَّ يَبْعَثُهُ بِهِ , ثُمَّ يُقِيمُ لَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৪
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৮৪। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা বকরীকে মালা পরাতাম এরপর তা ছেড়ে দেওয়া হত। অথবা বলেছেন, আমরা তা ছেড়ে দিতাম এবং রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হালাল তথা ইহরাম মুক্ত থাকতেন। তারপর এমন কোন বস্তুকে (নিজের উপর) হারাম মনে করতেন না (যা মুহরিমের জন্য হারাম)।
4184 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو مَعْمَرٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ جُحَادَةَ , عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ , عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنَّا نُقَلِّدُ الشَّاةَ فَتُرْسِلُ أَوْ قَالَتْ: فَنُرْسِلُ بِهَا , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَالٌ , لَمْ يَحْرُمْ مِنْهُ شَيْءٌ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯৭
মক্কা অভিমুখে হাদী প্রেরণকারী নিজগৃহে কি ইহরাম অবস্থায় থাকবে ?
৪১৮৫-৯৭। মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কখনাে কখনাে আমি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর হজ্জের কুরবানীর পশুর গলার মালার রশি পাকিয়ে দিয়েছি। এরপর তিনি তাতে মালা পরিয়ে পাঠিয়ে দিতেন এবং নিজে স্বয়ং অবস্থান করতেন। আর এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকতেন না যা থেকে মুহরিম বিরত থাকে।


মুহাম্মাদ (রাহঃ) ….. ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


নসর ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. মনসুর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. হিশাম (রাহঃ) -এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ)
থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়েশা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ
রিওয়ায়াত করেছেন।


রাবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


ফাহাদ (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্‌ন কাসিম (রাহঃ) এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


সালিহ্ ইব্‌ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও রবী'উল জীযী (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াতকরেছেন।


ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্‌ন কাসিম (রাহঃ) -এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্‌ন কাসিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।


রবী'উল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্‌ন কাসিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি এটা বৃদ্ধি করেছেন যে, আমরা শুধু বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফকেই হরামের ইহরাম থেকে বের হওয়ার কারণ বলে জানি।


ইউনুস (রাহঃ) ….. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি ঐ বর্ধিত অংশ উল্লেখ করেননি যা পূর্বোক্ত হাদীসে রয়েছে।

বস্তুত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এই রিওয়ায়াতসমূহ যা আমরা উল্লেখ করেছি, যেই তাওয়াকুরের সাথে বর্ণিত আছে তার বিরােধী কারাে থেকে এরূপ তাওয়াতুরের সাথে হাদীসসমূহ বর্ণিত নেই। যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সনদের বিশুদ্ধতার দিকে লক্ষ্য করে গ্রহণ করা হয়, তাহলে আয়েশা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের ইসনাদ বিশুদ্ধ। এতে হাদীস বিশেষজ্ঞদের কোন মতবিরােধ নেই। পক্ষান্তরে জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত অনুরূপ মর্যাদা সম্পন্ন নয়। কেননা তাঁর রাবী আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসের রাবীদের অপেক্ষা নিম্নস্তরের। আর যদি বক্তব্যের স্পষ্টতার এবং রিওয়ায়াত-এর তাওয়াতুরের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয় তাহলেও আয়েশা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতই অধিকতর সঙ্গত। কেননা এই ব্যাপারটিও আয়েশা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে বিদ্যমান এবং জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে তা অনুপস্থিত। আর যদি বিষয়টিকে যুক্তির নিরিখে গ্রহণ করা হয়, তাহলে আমরা লক্ষ্য করছি যে, যারা জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতকে নিজেদের মতাদর্শ বানিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন, হাদী প্রেরণকারীর উপর তাকে মালা পরানাে এবং ‘ইশআর’ করার কারণে যে হুরমত ওয়াজিব হয়, তা থেকে সেই সময় কোন আমল ব্যতীত বেরিয়ে আসবে যখন লােকেরা ইহরাম থেকে বেরিয়ে হালাল হয়ে যাবে।

আমরা লক্ষ্য করার প্রয়াস পাব যে, ঐকমত্য ভিত্তিক ইহরামের বিধানও অনুরূপ কিনা ? আমরা দেখছি যে, যখন কোন ব্যক্তি হজ্জ কিংবা উমরার ইহরাম বাঁধে তখন সে এরূপ ইহরাম দ্বারা মুহরিম হয়ে যায়, যার উপর সকলের ঐকমত্য রয়েছে। আমরা এটাও লক্ষ্য করছি যে, সে উক্ত ইহরাম থেকে কিছু কাজ দ্বারা হালাল হয় অন্যথায় হালাল হয় না। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না, যখন সে হজ্জ পালন করে এবং উকুফে আরাফা না করে এমনকি এর সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তার হজ্জ ফউত তথা ছুটে যায়। কিন্তু সে ইহরাম থেকে কিছু কাজ যেমন বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ, মাথা মুণ্ডন করা বা চুল ছােট করে কাটার দ্বারা হালাল হয়ে বেরিয়ে আসে। আর যদি সে আরাফাতে উকুফ (অবস্থান) করে এবং ওয়াজিব (ফরয) তাওয়াফ ব্যতীত অবশিষ্ট হজ্জের সমস্ত আমল সম্পন্ন করে যা হজ্জ পালনকারী সম্পন্ন করে থাকে, তবেই যতক্ষণ সে ওয়াজিব তাওয়াফ সম্পন্ন না করবে তার জন্য স্ত্রীগণ হালাল হবে না। (সঙ্গম জায়িয হবে না)। অনুরূপভাবে উমরা থেকেও ঐ অবস্থায় হালাল হতে পারবে যখন সে বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ এবং এরপরে মাথা মুণ্ডন করে নিবে। বস্তুত এটা ইহরামের ঐকমত্য ভিত্তিতে বিধান। সময় অতিক্রান্ত হওয়া ওই ইহুরাম থেকে বের হওয়ার কারণ নয় বরং তা থেকে বের হওয়ার কিছু আমল রয়েছে। যে ব্যক্তি উমরার ইহরাম বেঁধে হাদী চালনা করে এবং সে তামাত্তু হজ্জের ইচ্ছাপােষণ করে, সুতরাং সে উমরার জন্য তাওয়াফ ও সাঈ করবে। যতক্ষণ না সে হজ্জ সম্পন্ন করে কুরবানী করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইহরাম থেকে বের হয়ে হালাল হতে পারবে না। তাই হাদীর কারণে এই অতিরিক্ত হুরমত এসেছে। কেননা যদি হাদী না থাকত তাহলে যখন সে উমরার জন্য তাওয়াফ ও সাঈ করেছিল এবং মাথা মুণ্ডন করে ছিল তখনই সে ইহরাম থেকে বেরিয়ে যেত। তা থেকে সেই হাদী প্রতিবন্ধক হয়েছে যা সে চালনা করেছে। তারপর সেই ইহরাম থেকেও সে কোন আমলের দ্বারা বেরিয়ে আসে, সময় অতিক্রান্ত হওয়ার দ্বারা নয়। এটা হল ঐকমত্য ভিত্তিক ইহরামের আহকাম যা থেকে কেউ সময় অতিক্রান্ত হওয়া অথবা অপর কোন ব্যক্তির আমল দ্বারা বেরিয়ে আসতে পারবেনা এবং নিজের আমল দ্বারা বেরিয়ে আসবে। যে ব্যক্তি হাদী পাঠিয়ে দিয়ে নিজে আপন গৃহে অবস্থান করে এবং সেটা মালা পড়াবার এবং ‘ইশআর’ করার নির্দেশ প্রদান করে, যারা তার জন্য সেলাই করা পােশাক বর্জন করাকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করে থাকেন, তাঁদের মতে তাকে (সেলাই করা) পােশাক পরিহার করতে হবে। ঐ হুরমত থেকে সে কোন আমলের দ্বারা বেরিয়ে আসবে না। বরং যখন লােকেরা ইহরাম থেকে বের হবে সেও ইহরাম থেকে বের হয়ে যাবে। সুতরাং এই ইহরাম ঐকমত্য ভিত্তিক ইহরামের পরিপন্থী হল। এভাবে এর সাব্যস্ত হওয়াটা প্রমাণিত হবে না। কেননা বিরােধপূর্ণ বস্তুসমূহ তখন সাব্যস্ত হয় যখন তা ঐকমত্য বস্তুসমূহের সঙ্গে সাদৃশ্য পূর্ণ হয়। যখন সেগুলাে সাদৃশ্যপূর্ণ হবে না তখন তা সাব্যস্তও হবে না। তবে সেগুলাের ব্যাপারে যদি নির্ভরযােগ্য হাদীস পাওয়া যায় যা দ্বারা প্রমাণ পেশ করা যায়। তাহলে তা গ্রহণ করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। আর যখন এটা ওয়াজিব হবে তখন বিরােধ রহিত হয়ে যাবে। ।

সুতরাং আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি, তা দ্বারা সেই সমস্ত (আলিমের) বক্তব্য বিশুদ্ধ সাব্যস্ত হয়েছে যারা আয়েশা (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্মানুযায়ী নিজেদের অভিমত নির্ধারণ করেছেন। আর যারা তার বিরুদ্ধে জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ-পেশ করেছেন তাঁদের বক্তব্যের অসারতা প্রমাণিত হয়েছে। আর এটাই হল ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
4185 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «رُبَّمَا فَتَلْتُ الْقَلَائِدَ , لِهَدْيِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيُقَلِّدُهُ , ثُمَّ يَبْعَثُ بِهِ , ثُمَّ يُقِيمُ , لَا يَجْتَنِبُ شَيْئًا مِمَّا يَجْتَنِبُ الْمُحْرِمُ»

4186 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

4187 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ مَنْصُورٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

4188 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ

4189 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , عَنِ اللَّيْثِ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , حَدَّثَهُ , عَنْ عُرْوَةَ , وَعَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ

4190 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ

4191 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ , قَالَ: ثنا شُعَيْبٌ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَهُ

4192 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ

4193 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَرَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ , قَالَ: ثنا أَفْلَحُ , عَنِ الْقَاسِمِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ

4194 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , مِثْلَهُ

4195 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

4196 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , وَزَادَ وَلَا نَعْلَمُ الْمُحْرِمَ يُحِلُّهُ إِلَّا الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ

4197 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ عَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مِثْلَهُ، غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ الزِّيَادَةَ الَّتِي فِيهِ عَلَى مَا قَبْلَهُ فَقَدْ تَوَاتَرَتْ هَذِهِ الْآثَارُ , عَنْ عَائِشَةَ بِمَا ذَكَرْنَا , بِمَا لَمْ يَتَوَاتَرْ عَنْ غَيْرِهَا , بِمَا يُخَالِفُ ذَلِكَ. فَإِنْ كَانَ هَذَا يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ صِحَّةِ الْأَسَانِيدِ , فَإِنَّ إِسْنَادَ حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هَذَا , إِسْنَادٌ صَحِيحٌ , لَا تَنَازُعَ بَيْنَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِيهِ. وَلَيْسَ حَدِيثُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ كَذَلِكَ , لِأَنَّ مَنْ رَوَاهُ , دُونَ مَنْ رَوَى حَدِيثَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا. وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ ظُهُورِ الشَّيْءِ , وَتَوَاتُرِ الرِّوَايَةِ بِهِ , فَإِنَّ حَدِيثَ عَائِشَةَ أَيْضًا أَوْلَى , لِأَنَّ ذَلِكَ مَوْجُودٌ فِيهِ , وَمَعْدُومٌ فِي حَدِيثِ جَابِرٍ. وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الَّذِينَ يَذْهَبُونَ إِلَى حَدِيثِ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُونَ إِنَّ الْحُرْمَةَ الَّتِي تَجِبُ عَلَى بَاعِثِ الْهَدْيِ بِتَقْلِيدِهِ إِيَّاهُ وَإِشْعَارِهِ , فَيَحِلُّ عَنْهُ إِذَا حَلَّ النَّاسُ بِغَيْرِ فِعْلٍ يَفْعَلُهُ هُوَ , فَيَحِلُّ بِهِ. [ص:267] فَأَرَدْنَا أَنَّ نَنْظُرَ فِي الْإِحْرَامِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ , هَلْ هُوَ كَذَلِكَ أَمْ لَا؟ فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ إِذَا أَحْرَمَ بِحَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ , فَقَدْ صَارَ مُحْرِمًا إِحْرَامًا مُتَّفَقًا عَلَيْهِ , وَرَأَيْنَاهُ غَيْرَ خَارِجٍ مِنْ ذَلِكَ الْإِحْرَامِ إِلَّا بِأَفْعَالٍ يَفْعَلُهَا , فَيَحِلُّ بِهَا مِنْهُ , وَلَا يَحِلُّ بِغَيْرِهَا. أَلَا تَرَى أَنَّهُ إِذَا كَانَ حَاجًّا , فَلَمْ يَقِفْ بِعَرَفَةَ , حَتَّى مَضَى وَقْتُهَا , أَنَّ الْحَجَّ قَدْ فَاتَهُ , وَلَا يَحِلُّ إِلَّا بِفِعْلٍ يَفْعَلُهُ مِنَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَالسَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَّا وَالْمَرْوَةِ , وَالْحَلْقِ أَوِ التَّقْصِيرِ. وَلَوْ وَقَفَ بِعَرَفَةَ , وَفَعَلَ جَمِيعَ مَا يَفْعَلُهُ الْحَاجُّ , غَيْرَ الطَّوَافِ الْوَاجِبِ , لَمْ يَحِلَّ لَهُ النِّسَاءُ أَبَدًا حَتَّى يَطُوفَ الطَّوَافَ الْوَاجِبَ. وَكَذَلِكَ الْعُمْرَةُ لَا يَحِلُّ مِنْهَا أَبَدًا إِلَّا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَالسَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَالْحَلْقِ الَّذِي يَكُونُ مِنْهُ بَعْدَ ذَلِكَ. فَكَانَتْ هَذِهِ أَحْكَامَ الْإِحْرَامِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ , لَا يُخْرِجُهُ مِنْهُ مُرُورُ مُدَّةٍ , وَإِنَّمَا يُخْرِجُهُ مِنْهُ الْأَفْعَالُ. وَكَانَ مَنْ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ , وَسَاقَ الْهَدْيَ وَهُوَ يُرِيدُ التَّمَتُّعَ , فَطَافَ لِعُمْرَتِهِ وَسَعَى , لَمْ يَحِلَّ حَتَّى يَفْرَغَ مِنْ حَجِّهِ وَيَنْحَرَ الْهَدْيَ. فَكَانَتْ هَذِهِ حُرْمَةً زَائِدَةً بِسَبَبِ الْهَدْيِ , لِأَنَّهُ لَوْلَا الْهَدْيُ , لَكَانَ إِذَا طَافَ لِعُمْرَتِهِ وَسَعَى , حَلَقَ وَحَلَّ لَهُ , فَإِنَّمَا مَنَعَهُ مِنْ ذَلِكَ الْهَدْيُ الَّذِي سَاقَهُ , ثُمَّ كَانَ إِحْلَالُهُ مِنْ تِلْكَ الْحُرْمَةِ أَيْضًا إِنَّمَا يَكُونُ بِفِعْلٍ يَفْعَلُهُ , لَا بِمُرُورِ وَقْتٍ. فَكَانَ هَذَا الْإِحْرَامُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهِ لَا يَخْرُجُ مِنْهُ بِمُرُورِ الْأَوْقَاتِ وَلَا بِأَفْعَالٍ غَيْرِهِ , وَلَكِنْ بِأَفْعَالٍ يَفْعَلُهَا هُوَ. وَكَأَنَّ مَنْ بَعَثَ بِهَدْيٍ , وَأَقَامَ فِي أَهْلِهِ , وَأَمَرَ أَنْ يُقَلَّدَ وَيُشْعَرَ , فَوَجَبَ عَلَيْهِ بِذَلِكَ التَّجْرِيدُ , فِي قَوْلِ مَنْ يُوجِبُ ذَلِكَ , يَحِلُّ مِنْ تِلْكَ الْحُرْمَةِ , لَا بِفِعْلٍ يَفْعَلُهُ , وَلَكِنْ فِي وَقْتِ مَا يَحِلُّ النَّاسُ. فَخَالَفَ ذَلِكَ الْإِحْرَامَ الْمُتَّفَقَ عَلَيْهِ , فَلَمْ يَجِبْ ثُبُوتُهُ كَذَلِكَ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَثْبُتُ الْأَشْيَاءُ الْمُخْتَلَفُ فِيهَا إِذَا أَشْبَهَتِ الْأَشْيَاءَ الْمُجْتَمَعَ عَلَيْهَا. فَإِذَا كَانَتْ غَيْرَ مُشْبِهَةٍ لَهَا , لَمْ يَثْبُتْ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَعَهَا التَّوْقِيتُ الَّذِي يَقُومُ بِهِ الْحُجَّةُ , فَيَجِبُ الْقَوْلُ بِهَا لِذَلِكَ. فَإِذَا وَجَبَ ذَلِكَ , انْتَفَى الِاخْتِلَافُ , فَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا , صِحَّةُ قَوْلِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَفَسَادُ قَوْلِ مَنْ خَالَفَ ذَلِكَ إِلَى حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৬
empty
৪১৮৬।
4186 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৭
empty
৪১৮৭।
4187 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৮
empty
৪১৮৮।
4188 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৮৯
empty
৪১৮৯।
4189 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯০
empty
৪১৯০।
4190 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯১
empty
৪১৯১।
4191 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯২
empty
৪১৯২।
4192 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৩
empty
৪১৯৩।
4193 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৪
empty
৪১৯৪।
4194 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪১৯৫
empty
৪১৯৫।
4195 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান