শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪০৮৩
২৮. মক্কার অধিবাসী কোথা থেকে উমরার ইহরাম বাঁধবে।
৪০৮৩। ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বাকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী (সা:) আমাকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি যেন আয়িশা (রাযিঃ) কে আমার পিছনে আরোহী করে তানঈমে নিয়ে যাই এবং তাঁকে উমরা করাই।
بَابُ الْمَكِّيِّ يُرِيدُ الْعُمْرَةَ مِنْ أَيْنَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يُحْرِمَ بِهَا
4083 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , أَخْبَرَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَوْسٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , قَالَ: أَمَرَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أُرْدِفَ عَائِشَةَ إِلَى التَّنْعِيمِ فَأُعْمِرَهَا "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৮৪
মক্কার অধিবাসী কোথা থেকে উমরার ইহরাম বাঁধবে।
৪০৮৪। ফাহাদ (রাহঃ) ….. হাফ্সা বিনত আব্দুর রহমান (রাহঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বাকর (রাযিঃ)-কে বললেন, তোমার বোন (আয়িশা রা) কে তোমার পিছনে আরোহী করে তানঈম থেকে উমরা করিয়ে নিয়ে এস। যখন তাঁকে নিয়ে টিলা থেকে অবতরণ করবে তখন তাকে বলবে সে যেন ইহরাম বেঁধে নেয়। এটা মাকবূল উমরা।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি মক্কাতে অবস্থানরত তার উমরার জন্য তানঈম ব্যতীত কোন মীকাত নেই তাঁরা মক্কা অধিবাসীদের উমরার জন্য শুধু তানঈমকে মীকাত সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা বলেন যে, সেই সমস্ত লোকদের জন্য যারা ইহরামের ইচ্ছা পোষণ করে সেখান থেকে ইহরাম ব্যতীত তা অতিক্রমে করা অনুরূপভাবে অবৈধ, যেমনিভাবে অপরাপর লোকদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কর্তৃক নির্ধারিত মীকাত থেকে ইহরাম ব্যতীত অতিক্রম করা অবৈধ। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, মক্কা অধিবাসীদের মীকাত, যেখান থেকে তারা উমরায় ইহরাম বাঁধে, তা হল হিল্ল (হারাম বহির্ভূত এলাকা)। হিল্ল তথা হারামের বহির্ভূত এলাকার যেখান থেকে তারা ইহরাম বাঁধাবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। এ বিষয়ে হারামের বহির্ভূত তানঈম এবং অন্য জায়গাসমূহের বিধান তাদের নিকট অভিন্ন।
এ বিষয়ে তাঁদের প্রমান হল যে, সম্ভবত নবী (সা:) এ বিষয়ে তানঈমের সংকল্প এই জন্য করেছেন যে, সেটা মক্কা থেকে হিল্ল এর নিকটতর। এই উদ্দেশ্যে নয় যে, হিল্ল তথা হারামের বহির্ভূত অপরাপর জায়গাসমূহের বিধান এর মত নয়। এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি ওটাকে উমরার জন্য মক্কাবাসীদের মীকাত সাব্যস্ত করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন এবং তারা যেন তা অতিক্রম করে অন্য জায়গার দিকে না যায়।
আমরা এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছি এবং নিম্নোক্ত হাদীস পেয়েছিঃ
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, যে ব্যক্তি মক্কাতে অবস্থানরত তার উমরার জন্য তানঈম ব্যতীত কোন মীকাত নেই তাঁরা মক্কা অধিবাসীদের উমরার জন্য শুধু তানঈমকে মীকাত সাব্যস্ত করেছেন। তাঁরা বলেন যে, সেই সমস্ত লোকদের জন্য যারা ইহরামের ইচ্ছা পোষণ করে সেখান থেকে ইহরাম ব্যতীত তা অতিক্রমে করা অনুরূপভাবে অবৈধ, যেমনিভাবে অপরাপর লোকদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কর্তৃক নির্ধারিত মীকাত থেকে ইহরাম ব্যতীত অতিক্রম করা অবৈধ। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন, মক্কা অধিবাসীদের মীকাত, যেখান থেকে তারা উমরায় ইহরাম বাঁধে, তা হল হিল্ল (হারাম বহির্ভূত এলাকা)। হিল্ল তথা হারামের বহির্ভূত এলাকার যেখান থেকে তারা ইহরাম বাঁধাবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। এ বিষয়ে হারামের বহির্ভূত তানঈম এবং অন্য জায়গাসমূহের বিধান তাদের নিকট অভিন্ন।
এ বিষয়ে তাঁদের প্রমান হল যে, সম্ভবত নবী (সা:) এ বিষয়ে তানঈমের সংকল্প এই জন্য করেছেন যে, সেটা মক্কা থেকে হিল্ল এর নিকটতর। এই উদ্দেশ্যে নয় যে, হিল্ল তথা হারামের বহির্ভূত অপরাপর জায়গাসমূহের বিধান এর মত নয়। এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি ওটাকে উমরার জন্য মক্কাবাসীদের মীকাত সাব্যস্ত করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন এবং তারা যেন তা অতিক্রম করে অন্য জায়গার দিকে না যায়।
আমরা এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছি এবং নিম্নোক্ত হাদীস পেয়েছিঃ
4084 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَ: أنا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ , عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهِكٍ , عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أَبِيهَا , " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرِ: «أَرْدِفْ أُخْتَكَ فَأَعْمِرْهَا مِنَ التَّنْعِيمِ , فَإِذَا هَبَطْتَ بِهَا مِنَ الْأَكَمَةِ , فَمُرْهَا فَلْتُحْرِمْ , فَإِنَّهَا عُمْرَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْعُمْرَةَ لِمَنْ كَانَ بِمَكَّةَ , لَا وَقْتَ لَهَا غَيْرُ التَّنْعِيمِ , وَجَعَلُوا التَّنْعِيمَ خَاصَّةً , وَقْتًا لَعُمْرَةِ أَهْلِ مَكَّةَ , وَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لَهُمْ أَنْ يُجَاوِزُوهُ , كَمَا لَا يَنْبَغِي لِغَيْرِهِمْ أَنْ يُجَاوِزُوا مِيقَاتًا , مِمَّا وَقَّتَهُ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ يُرِيدُ الْإِحْرَامَ إِلَّا مُحْرِمًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: وَقْتُ أَهْلِ مَكَّةَ الَّذِي يُحْرِمُونَ مِنْهُ بِالْعُمْرَةِ , الْحِلُّ , فَمِنْ أَيِّ الْحِلِّ أَحْرَمُوا بِهَا أَجُزْأَهُمْ ذَلِكَ , وَالتَّنْعِيمُ وَغَيْرُهُ مِنَ الْحِلِّ، عِنْدَهُمْ، فِي ذَلِكَ , سَوَاءٌ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصَدَ إِلَى التَّنْعِيمِ فِي ذَلِكَ , لِأَنَّهُ كَانَ أَقْرَبَ الْحِلِّ مِنْهَا , لَا لِأَنَّ غَيْرَهُ مِنَ الْحِلِّ لَيْسَ هُوَ فِي ذَلِكَ , كَهُوَ. [ص:241] وَيُحْتَمَلُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ التَّوْقِيتَ لِأَهْلِ مَكَّةَ فِي الْعُمْرَةِ وَأَنْ لَا يُجَاوِزُوهُ لَهَا إِلَى غَيْرِهِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪০৮৫
মক্কার অধিবাসী কোথা থেকে উমরার ইহরাম বাঁধবে।
৪০৮৫। ইয়যীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ….. আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সারিফ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সা:) আমার কাছে এলেন, তখন আমি কাঁদছিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কি ব্যাপার? আমি বললাম, আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বললেন, কেঁদ না। হজ্জপালনকারী যা যা করে তুমিও তা কর। এরপর আমরা মক্কা এলাম, তারপর মিনাতে গেলাম। পরদিন সকালে আরাফাতে গিয়েছি, তারপরের দিনগুলোতে আমরা কংকর নিক্ষেপ করেছি। যখন প্রত্যাবর্তনের দিন হল তখন তিনি রওয়ানা করলেন। এবং ওয়াদী মুহাস্সার এ অবতরণ করলেন। উম্মুল মু’মিনীণ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, তিনি শুধু আমার কারণে অবতরণ করেছিলেন। তিনি আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিয়ে বললেন, তোমার বোনকে আরোহন করে হারাম (শরীফ) থেকে বাইরে নিয়ে যাও। উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম ! তিনি এটা বলেন নি যে, আমি জি’ইররানা অথবা তানঈম থেকে ইহরাম বাঁধব। যেহেতু আমাদের জন্য হারাম থেকে তানঈম অধিক নিকটবর্তী ছিল। তাই আমি সেখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধেছি। তারপর আমরা বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করেছি এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করেছি। এরপর তাঁর নিকট এলে তিনি রওয়ানা করেছন।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন যে, নবী (সা:) যখন তাঁকে উমরা করানোর সংকল্প করেন তখন শুধু হিল্ল তথা হারাম বহির্ভূত এলাকার সংকল্প করেছেন। বিশেষ কোন নির্ধারিত স্থানকে উদ্দেশ্য করেননি। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাঁকে নিয়ে তানঈমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, যেহেতু সেটা হিল্ল (হারামের বাইরে) -এর অধিক নিকটবর্তী জায়গা। এ জন্য নয় যে, সেটা কোন কারণে হিল্ল-এর জন্য জায়গাসমূহ অপেক্ষা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এতে প্রমাণিত হল যে, মক্কার অধিবাসীদের উমরার জন্য মীকাত হল হিল্ল। আর এ ব্যাপারে তানঈম এবং অন্য জায়গার বিধান অভিন্ন। এসব কিছু হল, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমামা মুহাম্মাদ (রাহঃ)- এর অভিমত।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন যে, নবী (সা:) যখন তাঁকে উমরা করানোর সংকল্প করেন তখন শুধু হিল্ল তথা হারাম বহির্ভূত এলাকার সংকল্প করেছেন। বিশেষ কোন নির্ধারিত স্থানকে উদ্দেশ্য করেননি। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাঁকে নিয়ে তানঈমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, যেহেতু সেটা হিল্ল (হারামের বাইরে) -এর অধিক নিকটবর্তী জায়গা। এ জন্য নয় যে, সেটা কোন কারণে হিল্ল-এর জন্য জায়গাসমূহ অপেক্ষা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এতে প্রমাণিত হল যে, মক্কার অধিবাসীদের উমরার জন্য মীকাত হল হিল্ল। আর এ ব্যাপারে তানঈম এবং অন্য জায়গার বিধান অভিন্ন। এসব কিছু হল, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমামা মুহাম্মাদ (রাহঃ)- এর অভিমত।
4085 - فَإِذَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ صَالِحُ بْنُ رُسْتُمَ , عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ , عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَرِفٍ , وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ: «مَا ذَاكَ؟» قُلْتُ: حِضْتُ قَالَ: «فَلَا تَبْكِي , اصْنَعِي مَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ» . فَقَدِمْنَا مَكَّةَ , ثُمَّ أَتَيْنَا مِنًى ثُمَّ غَدَوْنَا إِلَى عَرَفَةَ , ثُمَّ رَمَيْنَا الْجَمْرَةَ تِلْكَ الْأَيَّامَ , فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ ارْتَحَلَ فَنَزَلَ الْحَصْبَةَ. قَالَتْ: وَاللهِ مَا نَزَلَهَا إِلَّا مَنْ أَجْلَى , فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ , فَقَالَ: «احْمِلْ أُخْتَكَ فَأَخْرِجْهَا مِنَ الْحَرَمِ. قَالَتْ , وَاللهِ مَا ذَكَرَ الْجِعْرَانَةَ , وَلَا التَّنْعِيمَ فَلْتُهْلِلْ بِعُمْرَةٍ فَكَانَ أَدْنَانَا مِنَ الْحَرَمِ , التَّنْعِيمَ , فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ , فَطُفْنَا بِالْبَيْتِ , وَسَعَيْنَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ أَتَيْنَاهُ , فَارْتَحَلَ فَأَخْبَرْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقْصِدْ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يُعَمِّرَهَا إِلَّا إِلَى الْحِلِّ , لَا إِلَى مَوْضِعٍ مِنْهُ بِعَيْنِهِ خَاصًّا» , وَأَنَّهُ إِنَّمَا قَصَدَ بِهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ التَّنْعِيمَ , لِأَنَّهُ كَانَ أَقْرَبَ الْحِلِّ إِلَيْهِمْ , لَا لِمَعْنًى فِيهِ يَبِينُ بِهِ مِنْ سَائِرِ الْحِلِّ غَيْرُهُ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ وَقْتَ أَهْلِ مَكَّةَ لِعُمْرَتِهِمْ , هُوَ الْحِلُّ , وَأَنَّ التَّنْعِيمَ فِي ذَلِكَ وَغَيْرَهُ سَوَاءٌ , وَهَذَا كُلُّهُ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান