শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪০৬৯
২৭. হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৬৯। আবু বাকরা (রাহঃ) ….. আলী ইব্ন আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সা:) -এর দরবারে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি মাথা মুণ্ডন করার পূর্বে তাওয়াফে ইফাযা (যিয়ারত) করে ফেলেছি? তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডন করে ফেল, এতে কোন দোষ নেই। রাবী বলেন, তারপর আরেক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন, কংকর নিক্ষেপ করে নাও, এত কোন দোষ নেই।
আবু জা’ফর তাহবী (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে মাথা মুণ্ডন করার পূর্বে তাওয়াফ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার হয়েছে। তিনি বলেছেন, মাথা মুণ্ডন করে নাও, এতে কেন দোষ নেই। এতে একথারও সম্ভাবনা বিদ্যমান আছে যে, মাথা মুণ্ডন করার পূর্বে তাওয়াফ করা জায়েয আছে এবং এ বিষয়ে তাঁর পক্ষ থেকে অবকাশ দেয়া হয়েছে। আর তিনি হজ্জপালনকারীকে অনুমতি দিয়েছেন যে, এ দুই কাজ থেকে যেটি ইচ্ছা অন্যটির আগে সম্পন্ন করতে পারবে। এই হাদীসে আরো ব্যক্ত হয়েছে যে, তাঁর কাছে আরেক ব্যক্তি এসে বলল, আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন, কংকর মেরে নাও, এতে কোন দোষ নেই। এতেও সেই বিষয়ের সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে যা আমরা প্রথম প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেছি।
এ বিষয়ে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সা:) থেকে কিছু রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছেঃ
بَابُ مَنْ قَدَّمَ مِنْ حَجِّهِ نُسُكًا قَبْلَ نُسُكٍ
4069 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو أَحْمَدَ , قَالَ ثنا سُفْيَانُ بْنُ مَسْرُوقٍ الثَّوْرِيُّ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ , عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " أَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ , فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَفَضْتُ قَبْلَ أَنْ أَحْلِقَ قَالَ: «احْلِقْ , وَلَا حَرَجَ» . قَالَ: وَجَاءَهُ آخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ , قَالَ: «ارْمِ وَلَا حَرَجَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الطَّوَافِ قَبْلَ الْحَلْقِ فَقَالَ: «احْلِقْ وَلَا حَرَجَ» . [ص:236] فَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ إِبَاحَةً مِنْهُ لِلطَّوَافِ قَبْلَ الْحَلْقِ , وَتَوْسِعَةً مِنْهُ فِي ذَلِكَ , فَجَعَلَ لِلْحَاجِّ أَنْ يُقَدِّمَ مَا شَاءَ مِنْ هَذَيْنِ عَلَى صَاحِبِهِ. وَفِيهِ أَيْضًا أَنَّ آخَرَ جَاءَهُ فَقَالَ: إِنِّي ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ , فَقَالَ: «ارْمِ وَلَا حَرَجَ» . فَذَلِكَ أَيْضًا يَحْتَمِلُ مَا ذَكَرْنَا فِي جَوَابِهِ فِي السُّؤَالِ الْأَوَّلِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭০
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭০। আলী ইব্ন শায়রা (রাহঃ) ….. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে অথবা মাথা মুণ্ডন করার পূর্বে যবাহ করে ফেলে? তিনি বললেন, এতে কোন দোষ নেই, কোন দোষ নেই।
4070 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَمَّنْ حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ أَوْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ فَقَالَ: «لَا حَرَجَ لَا حَرَجَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭১
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭১। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সা:) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তাঁকে কুরবানীর দিন যখন তিনি মিনাতে অবস্থান করছিলেন, কুরবানী, হলক, ও রমী করা এবং এগুলোর মাঝে আগে পিছে করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ এতে কোন দোষ নেই।
4071 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ يَوْمَ النَّحْرِ وَهُوَ بِمِنًى فِي النَّحْرِ , وَالْحَلْقِ , وَالرَّمْيِ , وَالتَّقْدِيمِ , وَالتَّأْخِيرِ , فَقَالَ: «لَا حَرَجَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭২
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭২। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) …. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সে দিন রাসূলুল্লাহ (সা:) কে ঐ ব্যাক্তি সম্পর্কে যে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করে ফেলে, যা-ই জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি বলেছেন, এতে কোন দোষ নেই, এতে কোন দোষ নেই।
বস্তুত এতেও সেই বিষয়ের সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে, যা প্রথমোক্ত হাদীসে বিদ্যমান। এ বিষয়ে জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকেও কিছু রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
4072 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ , قَالَ: ثنا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ , عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: مَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ عَمَّنْ قَدَّمَ شَيْئًا قَبْلَ شَيْءٍ إِلَّا قَالَ: «لَا حَرَجَ لَا حَرَجَ» فَذَلِكَ يَحْتَمِلُ , مَا يَحْتَمِلُهُ الْحَدِيثُ الْأَوَّلُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৩
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৩। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে যবাহ করে ফেলেছি। তিনি বললেন, কংকর মেরে নাও, এতে কোন দোষ নেই। অপর এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছি। তিনি বললেন, যবাহ বরে নাও, এতে কোন দোষ নেই। আরেক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যবাহ করার পূবেৃ বায়তুল্লাহ্ শরীফের তওয়াফ করে ফেলেছি। তিনি বললেন, যবাহ করে নাও, এতে কোন দোষ নেই।
বস্তুত এই রিওয়ায়াতটি পূর্বোক্ত রিওয়ায়াতের অনুরূপ। এতেও পূর্বানুরুপ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।
এই বিষয়ে উসামা ইব্ন শরীক (রাযিঃ) সূত্রে নবী (সা:) থেকে বর্ণিত আছেঃ
4073 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ قَيْسٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , " أَنَّ رَجُلًا , قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ , قَالَ: «ارْمِ وَلَا حَرَجَ» . قَالَ آخَرُ: يَا رَسُولَ اللهِ , حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ , قَالَ: «اذْبَحْ وَلَا حَرَجَ» . قَالَ آخَرُ: يَا رَسُولَ اللهِ , طُفْتُ بِالْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ قَالَ: «اذْبَحْ وَلَا حَرَجَ» فَهَذَا أَيْضًا مِثْلُ مَا قَبْلَهُ , وَالْكَلَامُ فِيهِ مِثْلُ الْكَلَامِ فِيمَا قَبْلَهُ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৪
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৪। আহমদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ) ….. উসামা ইব্ন শরীফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা:)-এর সঙ্গে হজ্জ পালন করেছি। তাঁর নিকট ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছে অথবা মাথা মুণ্ডন করার পূর্বে যবাহ করে ফেলেছে। তিনি বললেন, এতে কোন দোষ নেই। যখন তাঁরা তাঁকে পুন পুন জিজ্ঞাসা করলেন তখন তিনি বললেন, হে লোক সকল! কঠোরতা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে যে ব্যক্তি তার (মুসলমান) ভাই থেকে সীমালংঘন করে কোন বস্তু নিয়ে নেয়, বস্তুত এটা হল কঠোরতা।
এটাও পূর্বোক্ত রিওয়ায়াত সমূহের অনুরূপ। আর সম্ভবত এখানে গুনাহ্ না হওয়ার কথাই বুঝান হয়েছে অর্থাৎ যা কিছু তোমরা করেছ এতে কোন গুনাহ্ নেই। কেননা তোমরা তা জেনে-শুনে করনি; বরং অজ্ঞতার কারণে সুন্নত পরিপন্থী এই আমল করেছ। সুতরাং এতে তোমাদের কোন গুনাহ্ নেই।
এ বিষযে রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্ট রিওয়ায়াত বর্ণিত আছেঃ
4074 - حدثنا أحمد بن الحسن , هو ابن القاسم الكوفي , قال: ثنا أسباط بن محمد , قال: ثنا أبو إسحاق الشيباني , عن زياد بن علاقة , عن أسامة بن شريك , قال: حججنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم , فسئل عمن حلق قبل أن يذبح أو ذبح قبل أن يحلق فقال: «لا حرج» . فلما أكثروا عليه قال: «يا أيها الناس , قد رفع الحرج إلا من اقترض من أخيه شيئا ظلما , فذلك الحرج» فهذا أيضا مثل ما قبله. وقد يحتمل أيضا أن يكون قوله لا حرج هو على الإثم , أي لا حرج عليكم فيما فعلتموه من هذا , لأنكم فعلتموه على الجهل منكم به , لا على التعمد , بخلاف السنة , فلا جناح عليكم في ذلك. [ص:237] وقد روي عن ذلك مبينا ومشروحا عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৫
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৫। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আলী ইব্ন আবী তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক ব্যক্তি তার হজ্জ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সা:) -এর নিকট জিজ্ঞাসা করে বলল, আমি রমী ও তাওয়াফে ইফাযা (ফরয তাওয়াফ) করেছি; কিন্তু মাথা মুণ্ডন করতে ভুলে গিয়েছি। তিনি বললেন, মাথা মুণ্ডন কর, এতে কোন দোষ নেই। তারপর তাঁর কাছে আরেক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল, আমি রমী এবং মাথা মুণ্ডন করেছি কিন্তু কুরবানী করতে ভুলে গিয়েছি। তিনি বললেন, কুরবানী কর, এতে কোন দোষ নেই।
4075 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَبُو ثَابِتٍ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللهِ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ , أَرَاهُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ , عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ , " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ رَجُلٌ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَ إِنِّي رَمَيْتُ وَأَفَضْتُ , وَنَسِيتُ وَلَمْ أَحْلِقْ قَالَ: «فَاحْلِقْ وَلَا حَرَجَ» . ثُمَّ جَاءَهُ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ إِنِّي رَمَيْتُ وَحَلَقْتُ , وَنَسِيتُ أَنْ أَنْحَرَ قَالَ: «فَانْحَرْ وَلَا حَرَجَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৬
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৬। ইউনুস (রাযিঃ) ….. আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে লোকদের জন্য অবস্থান করলেন। তাঁর তাঁকে (বিভিন্ন বিষয়) জিজ্ঞাসা করছিলেন। তখন জনৈক ব্যক্তি এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি বুঝতে পারিনি, তাই আমি যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছি। তিনি বললেন, যবাহ কর, এতে কোন দোষ নেই। তারপর তাঁর কাছে আরেক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি বুঝতে পরিনি, তাই আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বললেন কংকর মেরে নাও, এতে কোন দোষ নেই। রাবী বলেন, সেই দিন রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে যে কোন আমল আগে-পিছে করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তিনি বলেছেন, (তা) করে নাও, এতে কোন দোষ নেই।
4076 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , وَيُونُسَ , حَدَّثَاهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , أَنَّهُ قَالَ: وَقَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ لِلنَّاسِ يَسْأَلُونَهُ. فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , لَمْ أُشْعِرْ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ , فَقَالَ: «اذْبَحْ وَلَا حَرَجَ» . فَجَاءَهُ آخَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , لَمْ أَشْعُرْ فَنَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ , قَالَ: «ارْمِ وَلَا حَرَجَ» , قَالَ فَمَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ وَلَا أُخِّرَ , إِلَّا قَالَ: «افْعَلْ وَلَا حَرَجَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৭
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৭। ইউনুস (রাহঃ) ….. আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে জিজ্ঞাসা করলো, আমি যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছি? তিনি বললেন, যবাহ করে নাও, এতে কোন দোষ নেই। অপর এক ব্যক্তি বলল, আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে যবাহ করে ফেলেছি। তিনি বললেন, কংকর মেরে নাও এতে কোন দোষ নেই।
4077 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو , قَالَ: " سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " حَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ , قَالَ: «اذْبَحْ وَلَا حَرَجَ» . قَالَ آخَرُ: ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ , قَالَ: «ارْمِ وَلَا حَرَجَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৮
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৮। ইউনুস (রাহঃ) ….. আতা ইব্ন আবু রিবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জাবির ইব্ন আব্দূল্লাহ (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করতে শুনেছেন। অর্থাৎ তিনি বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে লোকদের জন্য দাঁড়ালেন, তাঁরা তাঁকে (বিভিন্ন বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করেছেন। এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি বুঝতে পারিনি, তাই আমি কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে কুরবানী করে ফেলেছি? তিনি বললেন, কংকর নিক্ষেপ করে নাও, এতে কোন দোষ নেই। অপর এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি বুঝতে পারিনি, তাই আমি যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছি। তিনি বললেন, যবাহ করে নাও, এতে কোন দোষ নেই। রাবী (জাবির রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) কে যে কোন আমল আগে-পিছে করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হত তিনি বলতেন, এখন করে নাও, এতে কোন দোষ নেই।
আমরা যা উল্লেখ করেছি তাতে প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) ভুলে যাওয়ার দরুন তাদের থেকে কঠোরতাকে রহিত করেছেন। এরুপ নয় যে, তা তাদের জন্য জায়েয করেছেন। এমন কি যদি তারা জেনে শুনেও এরুপ করে তা তাদের জন্য জায়েয হয়ে যাবে (এমন নয়)
আবু সাঈদ খুদরী ও নবী (সা:) থেকে উক্ত বিষয়বস্তু সমর্থনে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেনঃ
4078 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ , أَنَّ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ , حَدَّثَهُ أَنَّهُ , سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ يَعْنِي " أَنَّهُ وَقَفَ لِلنَّاسِ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ يَسْأَلُونَهُ , فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: لَمْ أُشْعِرْ فَنَحَرْتُ قَبْلَ أَنْ أَرْمِيَ , قَالَ: «ارْمِ وَلَا حَرَجَ» . قَالَ آخَرُ: يَا رَسُولَ اللهِ , لَمْ أُشْعِرْ فَحَلَقْتُ قَبْلَ أَنْ أَذْبَحَ , قَالَ: «اذْبَحْ وَلَا حَرَجَ» قَالَ: فَمَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ وَلَا أُخِّرَ إِلَّا قَالَ: «افْعَلْ وَلَا حَرَجَ» فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا عَلَى أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَسْقَطَ الْحَرَجَ عَنْهُمْ فِي ذَلِكَ لِلنِّسْيَانِ , لَا أَنَّهُ أَبَاحَ ذَلِكَ لَهُمْ , حَتَّى يَكُونَ لَهُمْ مُبَاحٌ أَنْ يَفْعَلُوا ذَلِكَ فِي الْعَمْدِ. وَقَدْ رَوَى أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৭৯
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৭৯। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আবু যুবাইদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) দুই জামরার মাঝখানে ছিলেন, এমন সময় তাঁকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, যে কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছে। তিনি বললেন, এতে কোন দোষ নেই। এবং ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে (জিজ্ঞাসা করা হয়েছে) যে কি না কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বে যবাহ করে ফেলেছে? তিনি বললেন, এতে কোন দোষ নেই। তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ ! আল্লাহ তাআলা থেকে কঠোরতা ও সংকীর্ণতাকে দূর করে দিয়েছেন। হজ্জের কার্যক্রম (মানসিক) শিক্ষা কর, এটা তোমাদের দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত।
আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না ? তিনি তাঁদেরকে হজ্জের মানসিক (কার্যক্রম) শিখার নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা, তারা তা সুন্দরভাবে আদায় করতে পারছিলেন না। এতে প্রতীয়মান হয় যে, যে কঠোরতা ও সংকীর্ণতা আল্লাহ্ তাআলা তাদের থেকে দূর করেছেন, তা ছিল হজ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতা; অন্য কোন কারণে নয়। উসামা ইব্ন শরীক (রাযিঃ)-এর যে রিওয়ায়াত পূর্বে আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি তা-ও এর স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করেঃ
4079 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ , عَنِ الْحَجَّاجِ , عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَيٍّ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو زُبَيْدٍ , قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ , قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بَيْنَ الْجَمْرَتَيْنِ , عَنْ رَجُلٍ حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ , قَالَ: «لَا حَرَجَ» وَعَنْ رَجُلٍ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ , قَالَ: «لَا حَرَجَ» ثُمَّ قَالَ عِبَادَ اللهِ , وَضَعَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ الْحَرَجَ وَالضِّيقَ , وَتَعَلَّمُوا مَنَاسِكَكُمْ فَإِنَّهَا مِنْ دِينِكُمْ " أَفَلَا تَرَى أَنَّهُ أَمَرَهُمْ بِتَعَلُّمِ مَنَاسِكِهِمْ , لِأَنَّهُمْ كَانُوا لَا يُحْسِنُونَهَا , فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْحَرَجَ وَالضِّيقَ الَّذِي رَفَعَهُ اللهُ عَنْهُمْ , هُوَ لِجَهْلِهِمْ بِأَمْرِ مَنَاسِكِهِمْ , لَا لِغَيْرِ ذَلِكَ. [ص:238] وَقَدْ رُوِيَ فِي حَدِيثِ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ الَّذِي قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ , مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৮০
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৮০। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. উসামা ইব্ন শরীক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, বেদুইনরা রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন। তারপর তারা বলেছেন যে, অমুক বিষয়ে কি আমাদের কোন অসুবিধা আছে? তখন রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, অবশ্যই আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের থেকে কঠোরতা বিদূরিত করে দিয়েছেন। তবে সেই ব্যক্তি ব্যতীত, যে নিজের (মুসলমান) ভাই থেকে কোন বস্তু অন্যায়ভাবে আত্নসাৎ করে, সুতরাং এটা হল কঠোরতা ও ধ্বংস।
আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে জিজ্ঞাসাকারী ছিল বেদুইনও রা, যাদের হজ্জের মানসিক তথা কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞান ছিল না। রাসূলুল্লাহ্ (সা:) তাদেরকে উত্তর দিলেন, এতে কোন দোষ নেই। অর্থাৎ তাদের জন্য (হজ্জ সংক্রান্ত বিষয়ে) আগপিছ করা জায়েয, তারপর তাদেরকে সেই কথাই বলেছেন, যা আবু সাঈদ (খুদরী রা) তাঁর হাদীসে উল্লেখ করেছেন। (তিনি বলেছেন) এবং তোমরা মানসিক তথা হজ্জের কার্যক্রম শিক্ষা কর।
তারপর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও উক্ত বিষয়ের সমর্থনে হাদীস বর্ণিত আছেঃ
4080 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ , قَالَا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ , عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ , أَنَّ الْأَعْرَابَ , سَأَلُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , عَنْ أَشْيَاءَ , ثُمَّ قَالُوا: هَلْ عَلَيْنَا حَرَجٌ فِي كَذَا؟ وَهَلْ عَلَيْنَا حَرَجٌ فِي كَذَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ رَفَعَ الْحَرَجَ عَنْ عِبَادِهِ , إِلَّا مَنِ اقْتَرَضَ مِنْ أَخِيهِ شَيْئًا مَظْلُومًا , فَذَلِكَ الَّذِي حَرِجَ وَهَلَكَ» أَفَلَا تَرَى أَنَّ السَّائِلِينَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا كَانُوا أَعْرَابًا , لَا عِلْمَ لَهُمْ بِمَنَاسِكِ الْحَجِّ؟ فَأَجَابَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ «لَا حَرَجَ» عَلَى الْإِبَاحَةِ مِنْهُ لَهُمْ , التَّقْدِيمُ فِي ذَلِكَ وَالتَّأْخِيرُ فِيمَا قَدَّمُوا مِنْ ذَلِكَ وَأَخَّرُوا. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ مَا ذَكَرَ أَبُو سَعِيدٍ فِي حَدِيثِهِ «وَتَعَلَّمُوا مَنَاسِكَكُمْ» . ثُمَّ قَدْ جَاءَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْمَعْنَى أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৮২
হজ্জ পালন কালে কোন আমলকে অন্য আমলের আগে সম্পাদন করা
৪০৮১-৮২। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ….. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি হজ্জের কোন আমলকে আগে-পিছে করলে সে যেন এ জন্য পশু কুরবানী দেয়।

নসর ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. সাঈদ ইব্ন জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
সুতরাং এখানে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) ঐ ব্যক্তির উপর দম (পশু কুরবানী) ওয়াজিব সাব্যস্ত করেন, যে তার হজ্জের কোন আমলের মাঝে আগ-পিছ করে এবং তিনি সেই সমস্ত রাবীদের অন্যতম, যারা নবী (সা:) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, সেই দিন তাঁকে হজ্জের কোন আমলের আগ-পিছ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেন, এতে কোন দোষ নেই। বস্তুত তাঁর নিকট এর অর্থ আগ-পিছ করার বৈধতা নয়, যা আমরা উল্লেখ করেছি। কেননা তিনি এতে কুরবানী ওয়াজিব সাব্যস্ত করেন। বরং তাঁর নিকট এর অর্থ হল, যারা নবী (সা:)-এর হজ্জের প্রাক্কালে এরুপ করেছে তারা এ হুকুম সম্পর্কে অজ্ঞ ছিল। তাই তিনি তাদের অজ্ঞতার কারণে তাদেরকে ওযরগ্রস্ত করেছেন এবং তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আগামীতে যেন তারা মানসিক তথা হজ্জের কার্যক্রম শিক্ষা করে।
তারপর ফকীহ্গণ ঐ কিরান হজ্জ পালনকারীর ব্যাপারে আলোচনা করেছেন, যে যবাহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেছেন, তার উপর একটি (পশু) কুরবানী ওয়াজিব। ইমাম যুফার (রাহঃ) বলেচেন, তার উপর দু’টি কুরবানী ওয়াজিব। ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেছেন, তার ‍উপর কোন কিছুই ওয়াজিব নয়। তাঁরা উভয়ে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সা:)-এর ঐ বক্তব্য দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা তিনি জিজ্ঞাসা কারীদেরকে বলেছেন। যেমনটি আমরা পুর্বোক্ত হাদীস সমূহে বর্ণনা করেছি, আর তিনি তাদেরকে এই বলে উত্তর দিয়েছেন, এত তাদের কোন দোষ নেই। ১. এ বিষযে তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম যুফার (রাহঃ)-এর প্রমাণ হল সেটি, যা আমরা ঐ সমস্ত রিওয়ায়াতের বিয়য়বস্তুর বিশ্লেষণে উল্লেখ করেছি। ২. দ্বিতীয় প্রমান হলঃ রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে জিজ্ঞাসাকারী সম্পর্কে জানা নেই, সে কি কিরানকারী না মুফরিদ, না মুতামাত্তি ছিল। যদি সে ইফরাদ হজ্জ আদায়কারী হয়ে থাকে তাহলে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম যুফার (রাহঃ) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব না হওয়ার কথা অস্বীকার করেন না। কেননা সে যেই কুবানীর আগে মাথা মুণ্ডন করেছে সেটা ওয়াজিব ছিল না। বরং তার জন্য হজ্জের পূর্বে যবাহ করা ছিল উত্তম। কিন্তু যখন সে হলককে আগে করে ফেলেছে তাহলে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে, এবং তার উপর কোন কিছুই ওয়াজিব হবে না। আর যদি সে কিরানকারী অথবা মুতামাত্তি ছিল। যদি সে ইফরাদ হজ্জ আদায়কারী হয়ে থাকে তাহলে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম যুফার (রাহঃ) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব না হওয়ার কথা অস্বীকার করেন না। কেননা সে যেই কুরবানীর আগে মাথা মুণ্ডন করেছে সেটা ওয়াজিব ছিল না। বরং তার জন্য হজ্জের পূর্বে যবাহ করা ছিল ‍উত্তম। কিন্তু যখন সে হলককে আগে করে ফেলেছে তাহলে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে, এবং তার উপর কোন কিছুই ওয়াজিব হবে না। আর যদি সে কিরানকারী অথবা মুতামাত্তি হয়ে থাকে তাহলে নবী (সা:)-এর উত্তরের সেই অর্থই হবে, যা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি। আমরা হজ্জের মাঝে আগ-পিছ করার বিষয়ে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছি যে, তাতে কুরবানী ওয়াজিব নয়। আর নবী (সা:)-এর বক্তব্য যে, এতে কোন দোষ নেই, এটা ওটার পরিপন্থী নয়। যখন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট এ বিষয়ে নবী (সা:) -এর বক্তব্য এতে কোন দোষ নেই- কুরবানী ওয়াজিব হওয়াকে নাকচ করে না। অনুরূপভাবে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম যুফার (রাহঃ)-এর নিকটেও ওটাকে নাকচ করবে না। কিরানকারী কর্তৃক পশু যবাহ করা এরুপ পশু যবাহ করা যা তার উপর ওয়াজিব ছিল। আর এর দ্বারা সে ইহরাম থেকে বের হয়ে হালাল হয়ে যায়।
আমরা লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব সেই সমস্ত জিনিসকে যা দ্বারা হজ্জ পালনকারী ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যায়। যদি সে তা ইহরাম থেকে হালাল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করে তখন এর হুকুম কিরুপ হবে? আমরা আল্লাহ্ তাআলার বাণীতে দেখতে পাইঃ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ -এবং মাথা মুণ্ডন করবে না যতক্ষণ না কুরবানীর (পশু) কুরবানীর স্থান পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সুতরাং অবরুদ্ধ ব্যক্তি কুরবানীর পশু কুরবানীর স্থানে পৌছানোর পরে মাথা মুণ্ডন করে এবং এর দ্বারা সে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যায়। আর যদি তা তার স্থানে পৌছানোর পূর্বে সে মাথা মুণ্ডন করে তাহলে এতে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়। আর এটা হল ইজমা বা ঐকমত্যের বিষয়। তাই এর উপর যুক্তির দাবি হল যে, কিরানকারীরও অনুরূপ হুকুম হবে যে, যখন সে ঐ যবাহ’র পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলে যা দ্বারা সে ইহরাম থেকে হালাল হয়, তার উপর দম বা কুরবানী ওয়াজিব হবে। এ বিষয়ে যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি এর উপর কিয়াস ও যুক্তির এটাই হল দাবি। এতে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মাযহাব নাকচ হল এবং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) অথবা ইমাম যুফার (রাহঃ) এর বক্তব্য (মাযহাব) সঠিক সাব্যস্ত হল।
বস্তুত এ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং দেখতে পেয়েছি যে, এই কিরানকারী ঐ সময় মাথা মুণ্ড করেছে যখন তার উপর মাথা মুণ্ড করা হারাম ছিল। অর্থাৎ যখন সে হজ্জ অথবা উমরার ইহরামরত থাকে। কিরানকারী যখন কিরান অবস্থায় এরুপ আমল করে যা ইফরাদ হজ্জ পালনকারী অথবা উমরা পালনকারী করলে তার উপর একটি কুরবানী আবশ্যক হতো, তার উপর দু’টি কুরবানী ওয়াজিব হবে। এখানে এ কথার সম্ভাবনা রয়েছে যে, সময়ের পূর্বে হলকের অবস্থায়ও তার উপর দু’টি কুরবানী ওয়াজিব হবে। যেমনটি ইমাম যুফার (রাহঃ) বলেছেন। সুতরাং আমরা এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং লক্ষ্য করেছি যে, কিছু জিনিস এরুপ রয়েছে, যা কারিনের উপর দু’টি কুরবানীকে ওয়াজিব করে যখন সে কিরান অবস্থায় সেগুলোতে লিপ্ত হয়। আর সেই জিনিসগুলোই যদি ইফরাদ হজ্জ আদায়কারী বা উমরার ইহরামরত ব্যক্তি করে তাহলে তার উপর একটি কুরবানী ওয়াজিব হয়। কারিন ইহরাম অবস্থায় যখন তা করবে, তার উপর দু’টি কুরবানী ওয়াজিব হবে। যেমন, স্ত্রী সঙ্গম ও এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কাজসমূহ। যবাহের পূর্বে তার মাথা মুণ্ডন করা শুধু উমরার বা শুরু হজ্জের কারনে হারাম হয় না। বরং তার উপর ঐ দু’টির কারনে তা ওয়াজিব হয় এবং ঐ দু’টির একত্রিতকরণের কারণে হারাম হয়। শুধু হজ্জ কিংবা উমরার ইহরামের কারণে হারাম হয় না।
ঐ দু’টি একত্রিত হওয়ার দ্বরা কি ওয়াজিব হয়, আমরা এর হুকুমের দিকে লক্ষ্য করার প্রয়াস পাব যে, তা কি দুই বস্তু, না একই বস্তু। আমরা এতে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে, যখন কোন ব্যক্তি শুধু হজ্জ অথবা শুধু উমরার ইহরাম বাঁধে তখন তার উপর কোন কিচুই আবশ্যক হয় না্ পক্ষান্তরে যখন দু’টিতে একত্রিত করে তখন এই একত্রিকরণের কারণে ঐ বস্তু আবশ্যক হয়, যা প্রত্যেকটিকে পৃথকভাবে করার দ্বারা আবশ্যক হয় না। আর সেই জিনিস হল একটি কুরবানী। তাই যুক্তির দাবি হল যে, যবাহের পূর্বে মাথা মুণ্ডন করা, যাকে হজ্জ ও উমরা একত্রিকরনে বাধা প্রদান করেছে তার হুকুমও এটাই হবে। যদি তা থেকে কোন একটি (হজ্জ বা উমরা) হত তাহলে তা ওটাকে নিষেধ করত না। সে বস্তু কারিনের উপর কিরানের অবস্থায় হারামের বিরোধিতায় আবশ্যক হয় সেটা লক্ষণীয় যে, সেটা শুধু হজ্জ অথবা উমরার ইহরামের কারণে? যখন ঐ দু’টি একত্রিত হয়ে যাবে তখন এই হুরমত (ইহরাম) দুই ভিন্ন জিনিসকে হারাম করবে। এ দু’টির বিরোধিতায় দু’টি কাফ্ফারা আবশ্যক হবে। তাই প্রত্যেক সেই হুরমত (ইহরাম) যা শুধু হজ্জ অথবা শুধু উমরার কারণে হয় না, সেই দু’টির একতিকরণের দ্বরা তা সৃষ্টি হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি তা ভেঙ্গে ফেলবে তার উপর একটি কুরবানী আবশ্যক হবে। কেননা সে ঐ হুরমতকে ভেঙ্গে ফেলেছে যা একই কারণে হারাম হয়েছিল। এই অনুচ্ছেদে যুক্তির দাবি এটাই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর অভিমত এটাই, আমরাও এটাকে গ্রহণ করি।
4081 - 4081 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى , قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: " مَنْ قَدَّمَ شَيْئًا مِنْ حَجِّهِ أَوْ أَخَّرَهُ , فَلْيُهْرِقْ لِذَلِكَ دَمًا

4082 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , مِثْلَهُ فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ , يُوجِبُ عَلَى مَنْ قَدَّمَ شَيْئًا مِنْ نُسُكِهِ أَوْ أَخَّرَهُ دَمًا , وَهُوَ أَحَدُ مَنْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ مَا سُئِلَ يَوْمَئِذٍ عَنْ شَيْءٍ قُدِّمَ وَلَا أُخِّرَ مِنْ أَمْرِ الْحَجِّ إِلَّا قَالَ «لَا حَرَجَ» . فَلَمْ يَكُنْ مَعْنَى ذَلِكَ عِنْدَهُ مَعْنَى الْإِبَاحَةِ فِي تَقْدِيمِ مَا قَدَّمُوا , وَلَا فِي تَأْخِيرِ مَا أَخَّرُوا , مِمَّا ذَكَرْنَا , إِذْ كَانَ يُوجِبُ فِي ذَلِكَ دَمًا. وَلَكِنْ كَانَ مَعْنَى ذَلِكَ عِنْدَهُ , عَلَى أَنَّ الَّذِي فَعَلُوهُ فِي حَجَّةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَ عَلَى الْجَهْلِ مِنْهُمْ بِالْحُكْمِ فِيهِ كَيْفَ هُوَ؟ فَعَذَرَهُمْ بِجَهْلِهِمْ وَأَمَرَهُمْ فِي الْمُسْتَأْنَفِ أَنْ يَتَعَلَّمُوا مَنَاسِكَهُمْ. وَتَكَلَّمَ النَّاسُ بَعْدَ هَذَا فِي الْقَارِنِ إِذَا حَلَقَ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ. فَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ: «عَلَيْهِ دَمٌ» , وَقَالَ زُفَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: «عَلَيْهِ دَمَانِ» . وَقَالَ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ وَاحْتَجَّا فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِينَ سَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ , عَلَى مَا قَدْ رَوَيْنَا فِي الْآثَارِ الْمُتَقَدِّمَةِ , وَبِجَوَابِهِ لَهُمْ أَنْ لَا حَرَجَ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ. [ص:239] وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمَا فِي ذَلِكَ لِأَبِي حَنِيفَةَ وَزُفَرُ رَحِمَهُمَا اللهُ , مَا ذَكَرْنَا مِنْ شَرْحِ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ. وَحَجَّةٌ أُخْرَى , وَهِيَ أَنَّ السَّائِلَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَعْلَمْ , هَلْ كَانَ قَارِنًا أَوْ مُفْرِدًا , أَوْ مُتَمَتِّعًا فَإِنْ كَانَ مُفْرِدًا فَأَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ , وَزُفَرُ , لَا يُنْكِرَانِ أَنْ يَكُونَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ دَمٌ , لِأَنَّ ذَلِكَ الذَّبْحَ الَّذِي قَدَّمَ عَلَيْهِ الْحَلْقَ , ذَبْحٌ غَيْرُ وَاجِبٍ , وَلَكِنْ كَانَ أَفْضَلَ لَهُ أَنْ يُقَدِّمَ الذَّبْحَ قَبْلَ الْحَلْقِ , وَلَكِنَّهُ إِذَا قَدَّمَ الْحَلْقَ أَجْزَأَهُ , وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ. وَإِنْ كَانَ قَارِنًا , أَوْ مُتَمَتِّعًا , فَكَانَ جَوَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , عَلَى مَا ذَكَرْنَا. فَقَدْ ذَكَرْنَا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي التَّقْدِيمِ فِي الْحَجِّ وَالتَّأْخِيرِ , أَنَّ فِيهِ دَمًا , وَأَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا حَرَجَ «لَا يَدْفَعُ ذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ» لَا حَرَجَ " لَا يَنْفِي عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وُجُوبَ الدَّمِ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا لَا يَنْفِيِهِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ , وَزُفَرُ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَكَانَ الْقَارِنُ ذَبْحُهُ ذَبْحٌ وَاجِبٌ عَلَيْهِ , يَحِلُّ بِهِ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي الْأَشْيَاءِ الَّتِي يَحِلُّ بِهَا الْحَاجُّ إِذَا أَخَّرَهَا , حَتَّى يَحِلَّ , كَيْفَ حُكْمُهَا. فَوَجَدْنَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ قَالَ: {وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ "} فَكَانَ الْمُحْصَرُ يَحْلِقُ بَعْدَ بُلُوغِ الْهَدْيِ مَحِلَّهُ , فَيَحِلُّ بِذَلِكَ , وَإِنْ حَلَقَ قَبْلَ بُلُوغِهِ مَحِلَّهُ , وَجَبَ عَلَيْهِ دَمٌ وَهَذَا إِجْمَاعٌ. فَكَانَ النَّظَرُ عَلَى أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ , الْقَارِنُ إِذَا قَدَّمَ الْحَلْقَ قَبْلَ الذَّبْحِ , الَّذِي يَحِلُّ بِهِ أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ دَمٌ , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. فَبَطَلَ بِهَذَا مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَثَبَتَ مَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ , أَوْ مَا قَالَ زُفَرُ رَحِمَهُ اللهُ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَإِذَا هَذَا الْقَارِنُ قَدْ حَلَقَ رَأْسَهُ فِي وَقْتٍ , الْحَلْقُ عَلَيْهِ حَرَامٌ , وَهُوَ فِي حُرْمَةِ حَجَّةٍ , وَفِي حُرْمَةِ عُمْرَةٍ. وَكَانَ الْقَارِنُ مَا أَصَابَ فِي قِرَانَهُ , مِمَّا لَوْ أَصَابَهُ وَهُوَ فِي حَجَّةٍ مُفْرَدَةٍ , أَوْ عُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ , وَجَبَ عَلَيْهِ دَمٌ , فَإِذَا أَصَابَهُ وَهُوَ قَارِنٌ , وَجَبَ عَلَيْهِ دَمَانِ , فَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ حَلْقُهُ أَيْضًا قَبْلَ وَقْتِهِ , يُوجِبُ عَلَيْهِ أَيْضًا دَمَيْنِ , كَمَا قَالَ زُفَرُ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الْأَشْيَاءَ الَّتِي تُوجِبُ عَلَى الْقَارِنِ دَمَيْنِ , فِيمَا أَصَابَ فِي قِرَانِهِ هِيَ الْأَشْيَاءَ الَّتِي لَوْ أَصَابَهَا وَهُوَ فِي حُرْمَةِ حَجَّةٍ , أَوْ فِي حُرْمَةِ عُمْرَةٍ وَجَبَ عَلَيْهِ دَمٌ. فَإِذَا أَصَابَهَا فِي حُرْمَتِهِمَا وَجَبَ عَلَيْهِ دَمَانِ , كَالْجِمَاعِ , وَمَا أَشْبَهَهُ وَكَانَ حَلْقُهُ قَبْلَ أَنْ يَذْبَحَ , لَمْ يَحْرُمْ عَلَيْهِ بِسَبَبِ الْعُمْرَةِ خَاصَّةً , وَلَا بِسَبَبِ الْحَجِّ خَاصَّةً , إِنَّمَا وَجَبَ عَلَيْهِ بِسَبَبِهِمَا , وَبِحُرْمَةِ الْجَمْعِ بَيْنَهُمَا , لَا بِحُرْمَةِ الْحَجَّةِ خَاصَّةً , وَلَا بِحُرْمَةِ الْعُمْرَةِ خَاصَّةً. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي حُكْمِ مَا يَجِبُ بِالْجَمْعِ , هَلْ هُوَ شَيْئَانِ أَوْ شَيْءٌ وَاحِدٌ؟ فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا الرَّجُلَ إِذَا أَحْرَمَ بِحَجَّةٍ مُفْرَدَةٍ , أَوْ بِعُمْرَةٍ مُفْرَدَةٍ , لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ شَيْءٌ , وَإِذَا [ص:240] جَمَعَهُمَا جَمِيعًا , وَجَبَ عَلَيْهِ لِجَمْعِهِ بَيْنَهُمَا شَيْءٌ لَمْ يَكُنْ يَجِبُ عَلَيْهِ فِي إِفْرَادِهِ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا , فَكَانَ ذَلِكَ الشَّيْءُ دَمًا وَاحِدًا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ الْحَلْقُ , قَبْلَ الذَّبْحِ الَّذِي مَنَعَ مِنْهُ الْجَمْعُ بَيْنَ الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ , فَلَا يَمْنَعُ مِنْهُ وَاحِدَةٌ مِنْهُمَا , لَوْ كَانَتْ مُفْرَدَةً أَنْ يَكُونَ الَّذِي يَجِبُ بِهِ فِيهِ دَمٌ وَاحِدٌ. فَيَكُونُ أَصْلُ مَا يَجِبُ عَلَى الْقَارِنِ فِي انْتِهَاكِهِ الْحَرَمَ فِي قِرَانِهِ , أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا كَانَ مِنْ تِلْكَ الْحُرُمِ , تُحَرَّمُ بِالْحَجَّةِ خَاصَّةً , وَبِالْعُمْرَةِ خَاصَّةً. فَإِذَا جُمِعَتَا جَمِيعًا , فَتِلْكَ الْحُرْمَةُ مُحَرَّمَةٌ لِشَيْئَيْنِ مُخْتَلِفَيْنِ , فَيَكُونُ عَلَى مَنِ انْتَهَكَهُمَا كَفَّارَتَانِ. وَكُلُّ حُرْمَةٍ لَا تُحَرِّمُهَا الْحَجَّةُ عَلَى الِانْفِرَادِ , وَلَا الْعُمْرَةُ عَلَى الِانْفِرَادِ , يُحَرِّمُهَا الْجَمْعُ بَيْنَهُمَا , فَإِذَا انْتُهِكَتْ , فَعَلَى الَّذِي انْتَهَكَهَا دَمٌ وَاحِدٌ , لِأَنَّهُ انْتَهَكَ حُرْمَةً حَرُمَتْ عَلَيْهِ بِسَبَبٍ وَاحِدٍ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَبِهِ نَأْخُذُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৮২
empty
৪০৮২।
4082 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান