শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪০২৪
২৫. মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০২৪। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ)..... উক্কাশা ইব্ন ওয়াহব (রাযিঃ)-এর বোন জুযামা বিনতে ওয়াহব (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী (সা:)- এর সাহাবী উক্কাশা ইব্ন ওয়াহব (রাযিঃ) ও তাঁর অপর এক ভাই কুরবানীর দিন সূর্যাস্তের পর তাঁর নিকট আসেন। এসে তাঁরা জামা খুলে ফেললেন। তিনি বললেন, তোমাদের কি হল তাঁরা বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মিনা থেকে (মক্কার দিকে) প্রত্যাবর্তন করেনি সে যেন তার কাপড় খুলে ফেলে। তারা সেই সময় সুগন্ধি ব্যবহার অবস্থায় এবং কাপড় পরিহিত ছিলেন।
بَابُ اللِّبَاسِ وَالطِّيبِ مَتَى يَحِلَّانِ لِلْمُحْرِمِ؟
4024 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَسْوَدِ , عَنْ عُرْوَةَ عَنْ جُدَامَةَ بِنْتِ وَهْبٍ أُخْتِ عُكَّاشَةَ بْنِ وَهْبٍ " أَنَّ عُكَّاشَةَ بْنَ وَهْبٍ صَاحِبَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَإِخَالُهُ آخَرَ , جَاءَاهَا حِينَ [ص:228] غَابَتِ الشَّمْسُ يَوْمَ النَّحْرِ فَأَلْقَيَا قَمِيصَهَا فَقَالَتْ: مَالَكُمَا؟ فَقَالَا: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ لَمْ يَكُنْ أَفَاضَ مِنْ هُنَا فَلْيُلْقِ ثِيَابَهُ» وَكَانُوا تَطَيَّبُوا وَلَبِسُوا الثِّيَابَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০২৫
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০২৫। ইয়াহ্‌ইয়া ইব্ন উসমান (রাহঃ) ….. উম্মু কায়স বিনতে মিহসান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উক্কাশা ইব্ন মিহসান (রাযিঃ) এবং অন্য এক ব্যক্তি কুরবানীর দিন মিনাতে বিকাল বেলায় আমার নিকট আসেন। এসে তারা তাঁদের কাপড়ও খুলে ফেললেন এবং সুগন্ধিও পরিত্যাগ করলেন। আমি তাঁদের কে বললাম, কি হল ? তাঁরা বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) আমাদেরকে বলেছেন, যে ব্যক্তি এই বিকালে বায়তুল্লাহ শরীফের দিকে যাত্রা করবে না সে যেন কাপড় ও সুগন্ধি (ব্যবহার) পরিত্যাগ করে।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, কারো জন্য কাপড় এবং সুগন্ধি ততক্ষণ পর্যন্ত হালাহল হবে না যতক্ষণ না তার জন্য স্ত্রীর নিকট যাওয়া হালাল হবে। আর এটা তখন হালাল হবে যখন সে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করবে। তারা এ বিষয়ে উল্লিখিত এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, যখন সে রমী করবে এবং মাথা মুণ্ডন করবে তখন তার জন্য পোশাক পরিধান করা জয়িয হয়ে যায়। তবে তাঁরা সুগন্ধি ব্যবহারে মতবিরোধ করেছেন। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, এর হুকুম পোশাকের হুকুমের ন্যায়, পোশাকের ন্যায় এটাও হালাল হবে। অপর একদল বলেছেন, এর হুকুম স্ত্রী সহবাসের হুকুমের ন্যায়, যতক্ষণ না স্ত্রী সহবাস জায়েয হবে এর ব্যবহারও জায়েয হবে না। এ বিষয়ে তারা নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
4025 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ , قَالَ: ثنا ابْنُ لَهِيعَةَ , عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ أُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ , قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ وَآخَرُ فِي مِنًى مَسَاءَ يَوْمِ الْأَضْحَى فَنَزَعَا ثِيَابَهُمَا , وَتَرَكَا الطِّيبَ. فَقُلْتُ: مَالَكُمَا؟ فَقَالَا: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَنَا: «مَنْ لَمْ يُفِضْ إِلَى الْبَيْتِ مِنْ عَشِيَّةِ هَذِهِ , فَلْيَدَعِ الثِّيَابَ وَالطِّيبَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ إِلَى هَذَا قَوْمٌ فَقَالُوا: لَا يَحِلُّ اللِّبَاسُ وَالطِّيبُ لِأَحَدٍ , حَتَّى يَحِلَّ لَهُ النِّسَاءُ , وَذَلِكَ حِينَ يَطُوفُ طَوَافَ الزِّيَارَةِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: إِذَا رَمَى وَحَلَقَ , حَلَّ لَهُ اللِّبَاسُ. وَاخْتَلَفُوا فِي الطِّيبِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: حُكْمُهُ حُكْمُ اللِّبَاسِ , فَيَحِلُّ كَمَا يَحِلُّ اللِّبَاسُ , وَقَالَ آخَرُونَ: حُكْمُهُ حُكْمُ الْجِمَاعِ , فَلَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ الْجِمَاعُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪০২৭
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০২৬-২৭। আলী ইব্ন মা’বাদ (রাহঃ) ….. আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, যখন তোমরা রমী এবং মাথা মুণ্ডন করে ফেল তখন তোমাদের জন্য স্ত্রীদের নিকট যাওয়া ব্যতীত সুগন্ধি ব্যবহার এবং পোশাকসহ প্রত্যেক কাজ (যা ইহরামের কারনে বৈধ ছিল) জায়েয (হালাল) হয়ে যায়।

ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
27- 4026 - بِمَا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: أنا الْحُجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ , عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ , عَنْ عَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَمَيْتُمْ وَحَلَقْتُمْ , فَقَدْ حَلَّ لَكُمُ الطِّيبُ وَالثِّيَابُ وَكُلُّ شَيْءٍ إِلَّا النِّسَاءَ»

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০২৭
empty
৪০২৭।
4027 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩৬
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০২৮-৩৬। ইউনুস (রাহঃ) ….. আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে ইহরাম খোলার জন্য সুগন্ধি লাগিয়েছি যখন তিনি বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করার পূর্বে ইহরাম খুলেছেন। উসামা (রাহঃ) যথাক্রমে আবু বাকর ইব্ন হায্ম (রাহঃ), আমরা (রাযিঃ), রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইউনুস (রাহঃ)..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইব্ন মারযুক (রাযিঃ).....আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ইব্ন মারযুক (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্ন কাসিম (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আলী ইব্ন মা’বুদ (রাহঃ) ….. আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

ফাহাদ (রাহঃ) ….. উবাইদুল্লাহ ইব্ন উমর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. আয়েমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এখানে আয়িশা (রাযিঃ), রাসূলুল্লাহ (সা:) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রমী এবং হলকের (মাথা মুণ্ডন) পরে তাওয়াফে যিয়ারতের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করেছেন। যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছ। বস্তুত এই হাদীস ইব্ন লাহীয়া (রাহঃ)-এর হাদীসের সাথে, যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে উল্লেখ করেছি, সাংঘর্ষিক হচ্ছে। কিন্তু এই রিওয়ায়াত হল উৎকৃষ্টতর। কেননা তাওয়াতুর এবং বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে অন্য হাদীস এর সমতুল্য নয় তারপর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর সূত্রেও নবী (সা:) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে তিনি এতে অন্য এক বিষয় অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
36- 4028 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ , أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ , حَدَّثَهُ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: طَيَّبْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحِلِّهِ حِينَ حَلَّ , قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ "

قَالَ أُسَامَةُ: وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ حَزْمٍ , عَنْ عَمْرَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: ثنا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ , عَنِ الْقَاسِمِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , ح

وَحَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ [ص:229]

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ فَهَذِهِ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تُخْبِرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّطَيُّبِ بَعْدَ الرَّمْيِ وَالْحَلْقِ , قَبْلَ طَوَافِ الزِّيَارَةِ , بِمَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ. فَقَدْ عَارَضَ ذَلِكَ حَدِيثَ ابْنِ لَهِيعَةِ الَّذِي بَدَأْنَا بِذِكْرِهِ فِي هَذَا الْبَابِ فَهَذِهِ أَوْلَى لِأَنَّ مَعَهَا مِنَ التَّوَاتُرِ وَصِحَّةِ الْمَجِيءِ , مَا لَيْسَ مَعَ غَيْرِهَا مِثْلُهُ. ثُمَّ قَدْ رُوِيَ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلُ ذَلِكَ , غَيْرَ أَنَّهُ زَادَ عَلَيْهِ مَعْنًى آخَرَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০২৯
empty
৪০২৯।
4029 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩০
empty
৪০৩০।
4030 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩১
empty
৪০৩১।
4031 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩২
empty
৪০৩২।
4032 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৩
empty
৪০৩৩।
4033 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৪
empty
৪০৩৪।
4034 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৫
empty
৪০৩৫।
4035 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৬
empty
৪০৩৬।
4036 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩৮
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০৩৭-৩৮। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন তোমরা জামরাতে কংকর নিক্ষেপ করবে তখন তোমাদের জন্য স্ত্রী সহবাস ব্যতীত অন্য সব কিছু জায়েয হয়ে যায় (যা ইহরামের কারণে হারাম ছিল)। এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, তাহলে সুগন্ধির অবস্থা কি? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে দেখেছি, তিনি তাঁর পবিত্র মাথায় মিশ্ক (কস্তুরী) ব্যবহার করতেন। সেটা কি সুগন্ধি?
এই হাদীসে ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর বক্তব্য দ্বারা আমরা উল্লেখ করেছি যে, জামরাতে (আকাবায়) কংকর নিক্ষেপ করার পর স্ত্রী (সহবাস) ব্যতীত অন্যান্য প্রত্যেক কাজ হালাল হয়ে যায়। তিনি তাতে হলক তথা মাথা মুণ্ডনের উল্লেখ করেন নি। এই হাদীসে এটাও ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি নবী (সা:) কে দেখেছেন, তিনি তাঁর পবিত্র মাথায় কস্তুরী লাগিয়েছেন। কিন্তু তিনি এটা বলেন নি যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) এই কাজ কোন সময করেছেন। সম্ভবত তিনি মাথা মুণ্ডনের পূর্বে এ কাজ করেছেন। আবার হতে পারে এরপরে করেছেন। কিন্তু আমাদের জন্য উত্তম পন্থা হল যে, আমরা এটাকে সেই বিষয়ের উপর প্রয়োগ করব, যা পূর্ব উল্লিখিত আয়িশা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের অনুুকূল। এর বিপরীত বিষয়ের উপর প্রয়োগ করব না। তিনি নবী (সা:) -এর যে কাজকে দেখেছেন তা জামরাতে কংকর নিক্ষেপ করা এবং মাথা মুণ্ডনোর পরে ছিল, যেমনটি আয়িশা (রাযিঃ)-এর হাদীস ব্যক্ত হয়েছে। তারপর ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন যে, রমী করার পর হলক বা মাথা মুণ্ডন হালাল হয়ে যায় এবং হলকের পর পোশাক পরিধান করা ও সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়েয হয়ে যায়। বস্তুত এই জায়গাটি পর্যবেক্ষণের অবকাশ রাখে। আর তা হল এরুপঃ ইহরাম হল মাথা মুণ্ডন, (সেলাই করা) পোশাক পরিধান করা ও সুগন্ধি ব্যবহারের প্রতিবন্ধক। এই সম্ভাবনাও বিদ্যমান আছে যে, যখন মাথা মুণ্ডন জায়েয হয়ে যায় তখন এই অবশিষ্ট কাজগুলোও জায়েয হয়ে যায়। আবার এই সম্ভাবনাও আছে যে, হরক পর্যন্ত এই সমস্ত কাজ হালাল হবে না। আমরা এতে চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, উমরা পালনকারীর উপর ইহরামের কারণে সেই সমস্ত বিষয় হারাম হয়, যা হজ্জের ইহরামের কারণে হারাম হয়ে থাকে। তারপর আমরা লক্ষ্য করছি, যখন সে বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ সম্পন্ন করে নেয় তখন তার জন্য মাথা মুণ্ডান জায়েয হয়ে যায়। কিন্তু স্ত্রী সহবাস, সুগন্ধি ব্যবহার ও (সেলাই করা) পোশাক পরিধান করা তখন পর্যন্ত হালাল হয় না, যতক্ষণ না মাথা মুণ্ডন করবে। সুতরাং যখন উমরার হুরমত প্রতিষ্ঠিত থাকে তখন তার জন্য মাথা মুণ্ডান জায়েয হয়ে যায়। কিন্তু হলক জায়েয হয়ে যাওয়ার দরুন সে সেই ব্যক্তি হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হবে না যা জন্য এটা ব্যতীত যেমন পোশাক পরিধান ও সুগন্ধি ব্যবহার জায়েয হয়। হজ্জের মধ্যেও অনুরূপ যে, ‍যখন হরক জায়েয হয়ে যায়, তখন এর দ্বারা অপরাপর কাজসমূহের বৈধতা আবশ্যক নয় যা তার উপর ঐ ইহরামের কারণে হারাম হয়ে গিয়েছিল, যতক্ষন না সে মাথা মুণ্ডন করবে। এটা সেই বিষয়ের উপর কিয়াস ও যুক্তি, যা উমরাতে সকলের ঐকমত্যের বিষয়। তারপর আমরা ঐ দুইদল এবং প্রথম দলের মাঝে যারা উক্কাশা (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্ম অনুযায়ী মত পোষণ করেছেন তাঁদের মতবিরোধের দিকে দৃষ্টি ফিরাতে প্রয়াস পাব। আমরা লক্ষ্য করছি যে, ইহরামের পূর্বে, পুরুষের জন্য স্ত্রীদের নিকট যাওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সেলাই করা পোশাক পরিধান করা, শিকার করা, মাথা মুণ্ডানসহ সেই সমস্ত কাজ, যা ইহরামের কারণে হারাম হয়ে যায়, সেগুলো হালাল থাকে। এরপর যখন সে ইহরাম বাঁধে তখন মাত্র একটি কারণ অর্থাৎ ইহরামের কারণে এই সমস্ত কাজসমূহ তার উপর হারাম হয়ে যায়। তাই যেমনিভাবে এটা একই কারণে হারাম হয়, একথার সম্ভাবনা রয়েছে যে, একই কারণে হালালও হয়ে যাবে এবং এটারও সমভাবনা রয়েছে যে, বিভিন্ন জিনিসের দ্বারা হালাল হবে, এক বৈধতার পরে অপর বৈধতা আসবে।
আমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে তাঁদের (ফকীহ্গনকে) লক্ষ্য করছি যে, তাঁরা সকলে এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, মুহরি ব্যক্তি রমী করার পর তার জন্য হলক (মাথা মুণ্ডন করা) হালাল হয়ে যায় এ ব্যাপারে মুসলমানদের মাঝে কোন বিরোধ নেই এবং এ ব্যাপারেও তাঁরা সকলে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, (সেই সময়) স্ত্রী সহবাস পূর্বের ন্যায় তার উপর হারাম থেকে যায়। এতে সাব্যস্ত হল যে, তার উপর যে সমস্ত জিনিস এক কারণে হারাম হয় তা বিভিন্ন কারণে জায়েয হয়ে যায়। এর দ্বারা ঐ ‘কারণ’ বাতিল হয়ে গেল যা আমরা উল্লেখ করেছি। সুতরাং যখন সাব্যস্ত হল যে, রমী করার পর হলক জায়েয হয়ে যায় এবং মাথা মুণ্ডানোর পর তার জন্য জায়েয রয়েছে যে, সে শরীরের যে অংশ থেকে ইচ্ছা চুল ফেলে দিবে অথবা তার নখ কেটে ফেলবে। আমরা দৃষ্টি দিতে প্রয়াস পাব যে, পোশাকেরও কি এই হুকুম না এর হুকুম স্ত্রী সহবাসের হুকুমের ন্যায়। সেটা তখন পর্যন্ত হালাল হবে না যতক্ষণ না স্ত্রী সহবাস জায়েয হবে। আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে হজ্জের ইহরামরত ব্যক্তিকে দেখেছি যে, যদি সে উকুফে আরাফার পূর্বে স্ত্রী সহবাস করে তাহলে তার হজ্জ বিনষ্ট হয়ে যায় এবং আমরা লক্ষ্য করছি যে, যদি সে তার চুল মুণ্ডন করে বা নখ কাটে তাহলে একারণে তার উপর ফিদয়া ওয়াজিব হয় এবং এতে তার হজ্জ বিনষ্ট হবে না। আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, যদি সে উকুফে আরাফার পূর্বে সেলাই করা কাপড় পরিধান করে ফেলে এতে তার ইহরাম বিনষ্ট হবে না এবং তার উপর এ কারণে ফিদয়া আবশ্যক হবে। আরাফাতে অবস্থানের পূর্বের পোশাকের হুকুম চুল ও নখ কাটার হুকুমের অনুরূপ, স্ত্রী সহবাসের হুকুমের অনুরূপ নয়। সুতরাং এর উপর যুক্তির দাবি হল যে, রমী ও হলকের পরেও এর হুকুম সেই দু’টির হুকুমের অনুরূপ হবে, স্ত্রী সহবাসের হুকুমের অনুরূপ হবে না। এ বিষয়ে যুক্তি এটাই।
যদি কোন প্রশ্নকারী বলেন যে, আমরা লক্ষ্য করছি যে, মুহরিমের জন্য চুম্বন দেয়া হলক করার পরেও হারাম এবং আরাফাতে অবস্থান করার পূর্বে এটা পোশাকের হুকুমের অন্তর্ভূক্ত, স্ত্রী সহবাসের হুকুমের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে না। তাহলে হলকের পরে পোশাক পরিধান সেই (চুম্বন দেয়ার) হুকুমের মধ্যে গণ্য হয় না কেন?
তাঁকে উত্তরে বলা হবে যে, পোশাক চুম্বন অপেক্ষা মাথা মুণ্ডানোর সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। কেননা চুম্বন স্ত্রী সহবাসের কারণসমূহের একটি কারণ এবং এর হুকুম স্ত্রী সহবারে হুকুমের সাথে অভিন্ন হবে। যখন সেটা হালাল হবে এটাও হালাল হবে, কখন সেটা হারাম হবে এটাও হারাম হবে। বস্তুসমূহের মাঝে চিন্তা-ভাবনার দাবি এটাই যে, হলক ও পোশাক সহবাসের কারণসমূহের অন্তর্ভূক্ত নয়; বরং সেগুলো শরীর পরিচর্যার কারণসমূহের অন্তর্ভূক্ত বলে গণ্য। সেগুলোর প্রত্যেকটির হুকুম চুম্বনের হুকুম অপেক্ষা এরুপ আমলের (হলক ইত্যাদি) হুকুমের সঙ্গে মিল রাখা অধিক সংগত। সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি, এর দ্বারার সাব্যস্ত হয়েছে যে, রমী এবং হলকের পরে পোশাক পরিধানে কোন অসুবিধা নেই। রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পরবর্তীতে সাহাবীগণও এটা বলেছেনঃ
4037 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ ح

4038 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ , عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: " إِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ , فَقَدْ حَلَّ لَكُمْ كُلُّ شَيْءٍ إِلَّا النِّسَاءَ. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: وَالطِّيبُ. فَقَالَ: أَمَّا أَنَا فَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُضَمِّخُ رَأْسَهُ بِالْمِسْكِ , أَفَطِيبٌ هُوَ "؟ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مِنْ قَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مَا قَدْ ذَكَرْنَا مِنْ إِبَاحَةِ كُلِّ شَيْءٍ إِلَّا النِّسَاءَ , إِذْ رَمَيْتَ الْجَمْرَةَ , وَلَا يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ الْحَلْقَ. وَفِيهِ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُضَمِّخُ رَأْسَهُ بِالْمِسْكِ وَلَمْ يُخْبِرْ بِالْوَقْتِ الَّذِي فَعَلَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ. وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ الْحَلْقِ , وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ بَعْدَهُ إِلَّا أَنَّ أَوْلَى الْأَشْيَاءِ بِنَا , أَنْ نَحْمِلَ ذَلِكَ , عَلَى مَا يُوَافِقُ مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا لَا عَلَى مَا يُخَالِفُ ذَلِكَ. فَيَكُونُ مَا رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ مِنْ ذَلِكَ كَانَ بَعْدَ رَمْيِهِ الْجَمْرَةَ وَحَلْقِهِ , عَلَى مَا فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا. ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُعَدُّ بِرَأْيِهِ إِذَا رَمَى فَقَدْ حَلَّ لَهُ بِرَمْيِهِ أَنْ يَحْلِقَ , حَلَّ لَهُ أَنْ يَلْبَسَ وَيَتَطَيَّبَ. [ص:230] وَهَذَا مَوْضِعٌ يَحْتَمِلُ النَّظَرَ , وَذَلِكَ أَنَّ الْإِحْرَامَ يَمْنَعُ مِنْ حَلْقِ الرَّأْسِ وَاللِّبَاسِ وَالطِّيبِ , فَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ حَلْقُ الرَّأْسِ إِذَا حَلَّ , حَلَّتْ هَذِهِ الْأَشْيَاءُ , وَاحْتُمِلَ أَنْ لَا يَحِلَّ حَتَّى يَكُونَ الْحَلْقُ. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْمُعْتَمِرَ , يَحْرُمُ عَلَيْهِ بِإِحْرَامِهِ فِي عُمْرَتِهِ , مَا يَحْرُمُ عَلَيْهِ بِإِحْرَامِهِ فِي حَجَّتِهِ. ثُمَّ إِذَا رَأَيْنَاهُ إِذَا طَافَ: بِالْبَيْتِ وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , فَقَدْ حَلَّ لَهُ أَنْ يَحْلِقَ وَلَا يَحِلُّ لَهُ النِّسَاءُ , وَلَا الطِّيبُ , وَلَا اللَّبَائِسُ حَتَّى يَحْلِقَ. فَلَمَّا كَانَتْ حُرْمَةُ الْعُمْرَةِ قَائِمَةً حَلَّ لَهُ أَنْ يَحْلِقَ , وَلَا يَكُونُ إِذَا حَلَّ لَهُ أَنْ يَحْلِقَ فِي حُكْمِ مَنْ حَلَّ لَهُ , مَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ اللِّبَاسِ وَالطِّيبِ , كَانَ كَذَلِكَ فِي الْحَجَّةِ , لَا يَجِبُ لِمَا حَلَّ لَهُ الْحَلْقُ فِيهَا أَنْ يَحِلَّ لَهُ شَيْءٌ مِمَّا سِوَاهُ , مِمَّا كَانَ حَرُمَ عَلَيْهِ بِهَا حَتَّى يَحْلِقَ , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا أَجْمَعُوا عَلَيْهِ فِي الْعُمْرَةِ. ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى النَّظَرِ بَيْنَ هَذَيْنِ الْفَرِيقَيْنِ جَمِيعًا وَبَيْنَ أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى حَدِيثِ عُكَّاشَةَ. فَرَأَيْنَا الرَّجُلَ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ يَحِلُّ لَهُ النِّسَاءُ , وَالطِّيبُ , وَاللِّبَاسُ , وَالصَّيْدُ , وَالْحَلْقُ , وَسَائِرُ الْأَشْيَاءِ الَّتِي تَحْرُمُ عَلَيْهِ بِالْإِحْرَامِ , فَإِذَا أَحْرَمَ , حَرُمَ عَلَيْهِ ذَلِكَ كُلُّهُ بِسَبَبٍ وَاحِدٍ , وَهُوَ الْإِحْرَامُ. فَاحْتَمَلَ أَنْ يَكُونَ كَمَا حَرُمَتْ عَلَيْهِ بِسَبَبٍ وَاحِدٍ أَنْ يَحِلَّ مِنْهَا أَيْضًا , بِسَبَبٍ وَاحِدٍ , وَاحْتُمِلَ أَنْ يَحِلَّ مِنْهَا بِأَشْيَاءَ مُخْتَلِفَةٍ , إِحْلَالًا بَعْدَ إِحْلَالٍ. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَاهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّهُ إِذَا رَمَى , فَقَدْ حَلَّ لَهُ الْحَلْقُ , هَذَا مِمَّا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ , وَأَجْمَعُوا أَنَّ الْجِمَاعَ حَرَامٌ عَلَيْهِ عَلَى حَالَتِهِ الْأُولَى , فَثَبَتَ أَنَّهُ حَلَّ مِمَّا قَدْ كَانَ حَرُمَ عَلَيْهِ بِسَبَبٍ وَاحِدٍ بِأَسْبَابٍ مُخْتَلِفَةٍ. فَبَطَلَ بِهَذِهِ الْعِلَّةِ الَّتِي ذَكَرْنَا. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ الْحَلْقَ يَحِلُّ لَهُ إِذَا رَمَى , وَأَنَّهُ مُبَاحٌ لَهُ بَعْدَ حَلْقِ رَأْسِهِ أَنْ يَحْلِقَ مَا شَاءَ مِنْ شَعْرِ بَدَنِهِ , وَيَقُصَّ أَظْفَارَهُ , أَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ , هَلْ حُكْمُ اللِّبَاسِ حُكْمُ ذَلِكَ أَوْ حُكْمُهُ حُكْمُ الْجِمَاعِ , فَلَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلُّ الْجِمَاعُ؟ فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْمُحْرِمَ بِالْحَجِّ إِذَا جَامَعَ قَبْلَ أَنْ يَقِفَ بِعَرَفَةَ , فَسَدَ حَجَّهُ , وَرَأَيْنَاهُ إِذَا حَلَقَ شَعْرَهُ أَوْ قَصَّ أَظْفَارَهُ , وَجَبَتْ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ فِدْيَةٌ , وَلَمْ يَفْسُدْ بِذَلِكَ حَجُّهُ. وَرَأَيْنَا لَوْ لَبِسَ ثِيَابًا قَبْلَ وُقُوفِهِ بِعَرَفَةَ , لَمْ يَفْسُدْ عَلَيْهِ بِذَلِكَ إِحْرَامُهُ , وَوَجَبَتْ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ فِدْيَةٌ. فَكَانَ حُكْمُ اللِّبَاسِ , قَبْلَ عَرَفَةَ , مِثْلَ حُكْمِ قَصِّ الشَّعْرِ وَالْأَظْفَارِ , لَا مِثْلَ حُكْمِ الْجِمَاعِ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ حُكْمُهُ أَيْضًا بَعْدَ الرَّمْيِ وَالْحَلْقِ كَحُكْمِهَا , لَا كَحُكْمِ الْجِمَاعِ فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ. [ص:231] فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رَأَيْنَا الْقُبْلَةَ حَرَامًا عَلَى الْمُحْرِمِ , بَعْدَ أَنْ يَحْلِقَ , وَهِيَ قَبْلَ الْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ , فِي حُكْمِ اللِّبَاسِ , لَا فِي حُكْمِ الْجِمَاعِ , فَلِمَ لَا كَانَ اللِّبَاسُ بَعْدَ الْحَلْقِ أَيْضًا كَهِيَ؟ قِيلَ لَهُ: إِنَّ اللِّبَاسَ بِالْحَلْقِ , أَشْبَهَ مِنْهُ بِالْقُبْلَةِ , لِأَنَّ الْقُبْلَةَ هِيَ بَعْضُ أَسْبَابِ الْجِمَاعِ , وَحُكْمُهَا حُكْمُهُ , تَحِلُّ حَيْثُ يَحِلُّ , وَتَحْرُمُ حَيْثُ يَحْرُمُ , فِي النَّظَرِ فِي الْأَشْيَاءِ كُلِّهَا. وَالْحَلْقُ وَاللِّبَاسُ لَيْسَا مِنْ أَسْبَابِ الْجِمَاعِ إِنَّمَا هُمَا مِنْ أَسْبَابِ إِصْلَاحِ الْبَدَنِ , فَحُكْمُ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِحُكْمِ صَاحِبِهِ , أَشْبَهُ مِنْ حُكْمِهِ بِالْقُبْلَةِ , فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِاللِّبَاسِ بَعْدَ الرَّمْيِ وَالْحَلْقِ. وَقَدْ قَالَ ذَلِكَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَعْدِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৮
empty
৪০৩৮।
4038 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৪১
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০৩৯-৪১। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, যখন তোমরা মাথা মুণ্ডন করে নিবে এবং রমী করে ফেলবে তখন স্ত্রী ও সুগন্ধি ব্যতীত তোমাদের জন্য সব কিছু হালাল হয়ে যাবে (যা ইহরামের কারণে হারাম ছিল)

নসর ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রাযিঃ) আরাফাতে লোকদেরকে খুতবা দিয়েছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
41- 4039 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ , مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ طَاوُسٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " إِذَا حَلَقْتُمْ وَرَمَيْتُمْ , فَقَدْ حَلَّ لَكُمْ كُلُّ شَيْءٍ إِلَّا النِّسَاءَ وَالطِّيبَ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , مِثْلَهُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ خَطَبَ النَّاسَ بِعَرَفَةَ , فَذَكَرَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৪০
empty
৪০৪০।
4040 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৪২
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০৪২। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর নখ গোঁফ ও দাড়ি কাটতেন। অর্থাৎ তাওয়াফের পূর্বে এই আমল করতেন।
বস্তুত এখানে উমর (রাযিঃ) তাদের জন্য হলক ও রমী করার পর স্ত্রী ও সুগন্ধি ব্যতীত অন্য সমস্ত কিছু জায়েয সাব্যস্ত করেছেন। আয়িশা (রাযিঃ), ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) ও ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ) শুধু সুগন্ধির ব্যাপারে তাঁর বিরোধিতা করেছেন। পক্ষান্তরে আয়িশা (রাযিঃ) ও ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) এদের উভয় থেকে আমরা এই বিষয়টি এর পূর্বে এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি।
4042 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , وَمُوسَى , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , أَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ مِنْ أَظْفَارِهِ وَشَارِبِهِ وَلِحْيَتِهِ , يَعْنِي قَبْلَ أَنْ يَزُورَ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ أَبَاحَ لَهُمْ إِذَا رَمَوْا وَحَلَقُوا , كُلَّ شَيْءٍ إِلَّا النِّسَاءَ وَالطِّيبَ , وَقَدْ خَالَفَتْهُ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَابْنُ الزُّبَيْرِ فِي الطِّيبِ خَاصَّةً. فَأَمَّا عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا وَابْنُ عَبَّاسٍ , فَقَدْ رَوَيْنَا ذَلِكَ عَنْهُمَا فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৪৩
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০৪৩। ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ)-এর হাদীস নিম্নরুপঃ
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. কাসিম ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি আব্দুল্লাহ ইব্ন যুবাইর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, যখন কেউ জামরা কুবরায় (জামরা আকাবা) কংকর নিক্ষেপ করবে, তখন যা কিছু তার উপর (ইহরামের কারণে) হারাম হয়ে গিয়েছিল তা হালাল হয়ে যাবে। তবে স্ত্রী (সহবাস) বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ পর্যন্ত জায়েয নয়।
ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকেও এরুপ রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে, যা এর অনুকূলে প্রমাণ বহন করেঃ
4043 - وَأَمَّا ابْنُ الزُّبَيْرِ , فَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ وَفَهْدٌ قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ: إِذَا رَمَى الْجَمْرَةَ الْكُبْرَى فَقَدْ حَلَّ لَهُ مَا حَرُمَ عَلَيْهِ إِلَّا النِّسَاءَ , حَتَّى يَطُوفَ بِالْبَيْتِ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ , مَا يَدُلُّ عَلَى هَذَا أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪০৪৪
মুহরিমের জন্য (সেলাই করা) পোশাক এবং সুগন্ধি কখন জায়েয হয় ?
৪০৪৪। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, যা আমরা এর পূর্বে তাঁরই সূত্রে বর্ণনা করেছি যে, তিনি বলেছেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করে (মিনা থেকে) প্রত্যাবর্তনের পূর্বে আমি তাঁকে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম। সুতরাং উমর (রাযিঃ)-এর সুন্নত (তরীকা) অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা অধিকতর উপযোগী।
এরপর যুক্তিও এ বিষয়ে স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। কেননা সুগন্ধি হুকুম স্ত্রী সহবাস অপেক্ষা পোশাকের হুকুমের সঙ্গে অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ। যেমনটি আমরা ইতিপূর্বে এই অনুচ্ছেদেই সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) - এর অভিমত।
তাবেঈনদের একদল থেকেও অনুরূপ রিওয়ায়াত আছেঃ
4044 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ , عَنْ طَاوُسٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ , قَالَ: قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَذَكَرَ مِثْلَ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُ فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا: قَالَ: " فَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ قَبْلَ أَنْ يُفِيضَ " فَسُنَّةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَحَقُّ أَنْ يُؤْخَذَ بِهَا مِنْ سُنَّةِ عُمَرَ. [ص:232] وَالنَّظَرُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي هَذَا , يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا لِأَنَّ حُكْمَ الطِّيبِ بِحُكْمِ اللِّبَاسِ أَشْبَهُ مِنْ حُكْمِهِ بِحُكْمِ الْجِمَاعِ , لَمَا قَدْ فَسَّرْنَا مِمَّا تَقَدَّمَ فِي هَذَا الْبَابِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ , وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান