শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯৯৭
২৩. কুরবানীর দিন জামরা আকাবার রমী বাদ পড়লে তা পরবর্তীতে সম্পাদন করবে
৩৯৯৭। ইউনুস ইব্ন আব্দুল আ’লা (রাহঃ)..... ইব্ন আব্বাস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেনঃ রাখালরা দিনের বেলায় বকরী চরাবে এবং রাতের বেলায় কংকর নিক্ষেপ করবে।
আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এই মত গ্রহণ করেছেন যে, এই হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কংকর নিক্ষেপ করার ব্যাপারে রাত এবং দিন একই সময়। তিনি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কুরবানীর দিনে জামরা আকাবায় রমী করা ছেড়ে দেয় তারপর পরবর্তী রাতে রমী করে তাহলে তার উপর কোন কিছু (কাফ্ফারা) আবশ্যক হবে না। যদি আগামী ভোর পর্যন্ত নিক্ষেপ করতে না পারে, তাহলে তখন নিক্ষেপ করবে এবং বিলম্বের কারণে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। কেননা রমীর সময় দ্বিতীয় দিনের ফজর মুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) তাঁর বিরোধিতা করে বলেছেন, রমী করার দিনগুলোতে যখন স্মরণ হবে রমী করবে। তার উপর দম ইত্যাদি কিছুই আবশ্যক হবে না। যদি তার স্মরণ না হয় এবং রমীর দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, এরপর তার স্মরণ হয় তাহলে এখন আর রমী করবে না। আর এই পরিত্যাগের কারণে তার উপর দম (কুরবানী) ওয়াজিব হবে।
এ বিষয়ে ইমাম মুহাম্মাদ ইব্নুল হাসান (রাহঃ) ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
بَابُ الرَّجُلِ يَدَعُ رَمْيَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ يَرْمِيهَا بَعْدَ ذَلِكَ
3997 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الرَّاعِي يَرْعَى بِالنَّهَارِ وَيَرْمِي بِاللَّيْلِ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ إِلَى أَنَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ دَلَالَةً عَلَى أَنَّ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ , وَقْتٌ وَاحِدٌ لِلرَّمْيِ فَقَالَ إِنْ تَرَكَ رَجُلٌ رَمْيَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , ثُمَّ رَمَاهَا بَعْدَ ذَلِكَ فِي اللَّيْلَةِ الَّتِي بَعْدَهُ , فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ , وَإِنْ لَمْ يَرْمِهَا , حَتَّى أَصْبَحَ مِنْ غَدِهِ , رَمَاهَا , وَعَلَيْهِ دَمٌ , لِتَأْخِيرِهِ إِيَّاهَا إِلَى خُرُوجِ وَقْتِهَا , وَهُوَ طُلُوعُ الْفَجْرِ مِنْ يَوْمِئِذٍ. وَخَالَفَهُ فِي ذَلِكَ , أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُمَا اللهُ فَقَالَا: إِذَا ذَكَرَهَا فِي شَيْءٍ مِنْ أَيَّامِ الرَّمْيِ , رَمَاهَا وَلَا شَيْءَ [ص:222] عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ , مِنْ دَمٍ وَلَا غَيْرِهِ , وَإِنْ لَمْ يَذْكُرْهَا حَتَّى مَضَتْ أَيَّامُ الرَّمْيِ فَذَكَرَهَا , وَلَمْ يَرْمِهَا كَانَ عَلَيْهِ فِي تَرْكِهَا دَمٌ. وَاحْتَجَّ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ فِي ذَلِكَ عَلَى أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৯৮
কুরবানীর দিন জামরা আকাবার রমী বাদ পড়লে তা পরবর্তীতে সম্পাদন করবে
৩৯৯৮। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... আসিম ইব্ন আদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা:) রাখালদেরকে ১০ই যিলহজ্জ উয়াওমুন নাহরের পরেও কংকর নিক্ষেপের অনুমতি প্রদান করেছেন। তারার ইয়াওমুননাহরের পূর্ববর্তী ভোরে কংকর নিক্ষেপ করত এবং এক রাত দিন ছেড়ে দিত। তারপর পরের দিন নিক্ষেপ করত।
এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তারা ১০ই যিলহজ্জ ভোরে কংকর নিক্ষেপ করত। তারপর একরাত দিন ছেড়ে পরের ভোরে কংকর নিক্ষেপ করত। তাই এভাবে তারা দ্বিতীয় দিনের রমী তৃতীয় দিনে করত এবং এতে তাদের উপর দম আবশ্যক হত না। দ্বিতীয় দিনের রমী তৃতীয় দিনে করার হুকুম চতুর্থ দিনের হুকুমের পরিপন্থী বলেও গণ্য হয়নি। এতে এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, যে ব্যক্তি কুরবানীর দিন জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করতে না পারে আইয়ামে তামরীকে তার তা স্মরণ হয়ে তাহলে সে কংকর নিক্ষেপ করবে এবং তার উপর কোন কিছুই ওয়াজিব হবে না। তারপর যুক্তিও এই বক্তব্যের সমর্থনে সাক্ষ্য বহন করে। আর তা হল, আমরা লক্ষ্য করছি যে, হজ্জের কতিপয় আমল এরুপ রয়েছে যে, সর্বদাই (পুরোজীবন) যার সময় হিসাবে বিবেচিত। তা থেকে সাফ-মারওয়ার মাঝে সাই করা ও তাওয়াফে সদর (বিদায়ী তাওয়াফ) অন্যতম। আবার এর কিছু আমল এরুপ আছে, যা নির্দিষ্ট সময়ে সম্পাদন করা হয়, পুরোজীবন এর সময় হিসাবে বিবেচিত নয়। জামরাসমূহের রমী করা এগুলোর অন্যতম। সুতরাং যে আমল পুরোজীবন ও সকল সময়ে সম্পাদন করা যায়, তা যখনই আদায় করা হবে, এর সম্পাদনকারীর উপর দম ইত্যাদি ওয়াজিব হবে না। পক্ষান্তরে যার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, যখন তা নির্ধারিত সময়ে আদায় করা না হবে তখন পরিত্যাগকারীর উপর কুরবানীর ওয়াজিব হবে। অতএব তা থেকে যা অবশিষ্ট সময়ে সম্পাদন করা যায়, এর সম্পাদনকারীর উপর শুধু সেগুলোর সম্পাদন করা আবশ্যক এবং যে সমস্ত কাজ সময় বাকি না থাকার কারণে আদায় করা যায় না, এর স্থলে দম ওয়াজিব হবে। জামরা আকাবায় ইয়াওমুন নাহরের পরের ভোরে কংকর নিক্ষেপ করা বস্তুত উয়াওমুন নাহরের কংকর নিক্ষেপের কাযা। এটা এরুপ সময়ে রমী করা হয়েছে, যা এর সময়ের অর্ন্তভুক্ত।
যদি বিষয়টি এরুপ না হত তাহলে এ রমীর হুকুম দেয়া হত না। যেমনিভাবে ঐ ব্যক্তিকে রমীর হুকুম দেয়া হয় না, যে আইয়ামে তাশরীক খতম হওয়া পর্যন্ত কংকর নিক্ষেপ করে না। যখন ১০ই যিলহজ্জের পরবর্তী দিন সেই রমীর সময় এবং আমরা এ বিষয়ে ফকীহদের ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করেছি যে, হজ্জের কার্যাবলীর যে কাজ নিজ সময়ে সম্পাদন করা হয়, এর সম্পাদনকারীর উপর কোন কিছুই ওয়াজিব হয় না, অনুরূপভাবে যখন এই ব্যক্তি (রমীকারী) নিজ সময়ে কংকর নিক্ষেপ করে তাহলে তার উপরও কোন কিছু ওয়াজিব হবে না।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, আমরা ঐ ব্যক্তির উপর কুরবানী (দম) এই জন্য আবশ্যক সাব্যস্ত করেছি যে, সে কুরবানীর দিন এবং পরবর্তী রাতে কংকর নিক্ষেপ না করে এ বিষয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়েছে।
তাঁকে উত্তরে বলা হবে যে, আমরা লক্ষ্য করছি যে, ‘তাওয়াফে সদর’ (বিদায়ী তাওয়াফ) পরিত্যাগকারী যখন গৃহে প্রত্যাবর্তন করে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ বর্জনকারী যখন গৃহে ফিরে যায়; তারা উভয়েই গুনাহ্গার হয়। আর আপনি বলছেন যে, এরা উবয়ে যদি ফিরে আসে এবং যে আমল পরিত্যাগ করেছিল তা সম্পাদন করে তাহলে তাদের এই গুনাহ্ দ্বারা তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না কেননা তারা এই আমল সময়ের মধ্যেই সম্পাদন করেছে। অনুরূপভাবে কুরবানীর দ্বিতীয় দিনে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করে, যদিও এই রমী কুরবানীর দিন ওয়াজিব ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় দিন নিক্ষেপ করার দ্বারা যেন সে নিজ সময়ে রমী করেছে। তাই তার উপর কংকর নিক্ষেপ করা ব্যতীত কিছু-ই ওয়াজিব হবে না। এই অনুচ্ছেদে এটাই যুক্তি এবং ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর এটাই অভিমত।
3998 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي الْبَدَّاحِ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ لِلرِّعَاءِ أَنْ يَتَعَاقَبُوا , فَكَانُوا يَرْمُونَ غُدْوَةَ يَوْمِ النَّحْرِ وَيَدَعُونَ لَيْلَةً وَيَوْمًا , ثُمَّ يَرْمُونَ مِنَ الْغَدِ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُمْ كَانُوا يَرْمُونَ غَدْوَةَ يَوْمِ النَّحْرِ ثُمَّ يَدَعُونَ يَوْمًا وَلَيْلَةً , ثُمَّ يَرْمُونَ الْغَدَ. فَقَدْ كَانُوا يَرْمُونَ رَمْيَ الْيَوْمِ الثَّانِي فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ , وَلَمْ يَكُنْ ذَلِكَ بِمُوجِبٍ عَلَيْهِمْ دَمًا , وَلَا بِمُوجِبٍ أَنَّ حُكْمَ الْيَوْمِ الثَّالِثِ فِي الرَّمْيِ لِلْيَوْمِ الثَّانِي , خِلَافُ حُكْمِ الْيَوْمِ الرَّابِعِ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ مَنْ تَرَكَ رَمْيَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , فَذَكَرَهَا فِي شَيْءٍ مِنْ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ أَنَّهُ رَمْيٌ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ. ثُمَّ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ يَشْهَدُ لِهَذَا قَوْلٌ أَيْضًا , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا أَشْيَاءَ تُفْعَلُ فِي الْحَجِّ , الدَّهْرُ كُلُّهُ وَقْتٌ لَهَا , مِنْهَا السَّعْيُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَطَوَافُ الصَّدْرِ , وَمِنْهَا أَشْيَاءُ تُفْعَلُ فِي وَقْتٍ خَاصٍّ , هُوَ وَقْتُهَا خَاصَّةً , مِنْهَا رَمْيُ الْجِمَارِ. فَكَانَ مَا الدَّهْرُ وَقْتٌ لَهُ مِنْ هَذِهِ الْأَشْيَاءِ مَتَى فُعِلَ , فَلَا شَيْءَ عَلَى فَاعِلِهِ مَعَ فِعْلِهِ إِيَّاهُ , مِنْ دَمٍ وَلَا غَيْرِهِ. وَمَا كَانَ مِنْهَا لَهُ وَقْتٌ خَاصٌّ مِنَ الدَّهْرِ إِذَا لَمْ يُفْعَلْ فِي وَقْتِهِ , وَجَبَ عَلَى تَارِكِهِ الدَّمُ. فَكَانَ مَا كَانَ مِنْهَا يُفْعَلُ لِبَقَاءِ وَقْتِهِ , فَلَا شَيْءَ عَلَى فَاعِلِهِ غَيْرُ فِعْلِهِ إِيَّاهُ , وَمَا كَانَ مِنْهَا لَا يُفْعَلُ لِعَدَمِ وَقْتِهِ , وَجَبَ مَكَانَهُ الدَّمُ. وَكَانَتْ جَمْرَةُ الْعَقَبَةِ إِذَا رُمِيَتْ مِنْ غَدِ يَوْمِ النَّحْرِ قَضَاءٌ عَنْ رَمْيِ يَوْمِ النَّحْرِ , فَقَدْ رُمِيَتْ فِي يَوْمٍ هُوَ مِنْ وَقْتِهَا , وَلَوْلَا ذَلِكَ لَمَا أَمَرَ بِرَمْيِهَا كَمَا لَا يُؤْمَرُ تَارِكُهَا إِلَّا بَعْدَ انْقِضَاءِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ بِرَمْيِهَا بَعْدَ ذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي مِنْ أَيَّامِ النَّحْرِ , هُوَ وَقْتٌ لَهَا , وَقَدْ ذَكَرْنَا مِمَّا قَدْ أَجْمَعُوا عَلَيْهِ أَنَّ مَا فُعِلَ فِي وَقْتِهِ مِنْ أُمُورِ الْحَجِّ , فَلَا شَيْءَ عَلَى فَاعِلِهِ , وَكَانَ كَذَلِكَ هَذَا الرَّامِي لَهَا , لَمَّا رَمَاهَا فِي وَقْتِهَا , فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا أَوْجَبْنَا عَلَيْهِ الدَّمَ بِتَرْكِهِ رَمْيَهَا يَوْمَ النَّحْرِ وَفِي اللَّيْلَةِ الَّتِي بَعْدَهُ لِلْإِسَاءَةِ الَّتِي كَانَتْ مِنْهُ فِي ذَلِكَ. قِيلَ لَهُ: فَقَدْ رَأَيْنَا تَارِكَ طَوَافِ الصَّدْرِ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهِ , وَتَارِكَ السَّعْيِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهِ مُسِيئَيْنِ، وَأَنْتَ تَقُولُ: إِنَّهُمَا إِذَا رَجَعَا فَفَعَلَا مَا كَانَا تَرَكَا مِنْ ذَلِكَ أَنَّ إِسَاءَتَهُمَا لَا تُوجِبُ عَلَيْهِمَا دَمًا , لِأَنَّهُمَا قَدْ فَعَلَا مَا فَعَلَا مِنْ ذَلِكَ فِي وَقْتِهِ. فَكَذَلِكَ الرَّامِي الْيَوْمَ الثَّانِيَ مِنْ أَيَّامِ مِنًى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ , لَمَا كَانَ وَجَبَ عَلَيْهِ فِي يَوْمِ النَّحْرِ رَامِيًا لَهَا فِي وَقْتِهَا فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ غَيْرُ رَمْيِهَا. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمَا اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান