শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৯৮৫
২২. কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৮৫। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) .....উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর পালা ছিল কুরবানীর দিন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুযদালিফার রাতে তাকে নির্দেশ দিলেন যে, তিনি যেন (মিনায়) রওয়ানা হয়ে যান। তারপর তিনি জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করলেন এবং ফজরের সালাত মক্কায় আদায় করলেন।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, কুরবানীর রাতে ফজর শুরু হওয়ার পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা জায়েয। তারা এ বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন এবং বলেছেনঃ
মক্কায় তাঁর ফজরের সালাত আদায় তখনই সম্ভবপর হবে যখন কিনা তিনি ফজর শুরুর পূর্বেই জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার কাজ সমাধা করে ফেলেবেন। কেননা দুই জায়গার মাঝে বেশ দূরত্ব রয়েছে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ কারাে জন্য ফজর শুরুর পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করা জায়েয নয়। কেউ যদি ফজর শুরুর পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করে তবে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় গণ্য হবে যে নিক্ষেপ করে নি এবং তার জন্য কংকর নিক্ষেপের সময় পুন নিক্ষেপ করা আবশ্যক হবে। অন্যথায় এর জন্য তাকে আবশ্যিকভাবে দম (কুরবানী) দিতে হবে। এ বিষয়ে তাদের দলীল হলঃ এই হাদীসে হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে বিভিন্ন শব্দাবলী বর্ণিত আছে। তাঁর থেকে সেই বিষয়বস্তুও বর্ণিত আছে যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং তার থেকে এর পরিপন্থী বিষয়ও বর্ণিত আছে।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, কুরবানীর রাতে ফজর শুরু হওয়ার পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা জায়েয। তারা এ বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন এবং বলেছেনঃ
মক্কায় তাঁর ফজরের সালাত আদায় তখনই সম্ভবপর হবে যখন কিনা তিনি ফজর শুরুর পূর্বেই জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার কাজ সমাধা করে ফেলেবেন। কেননা দুই জায়গার মাঝে বেশ দূরত্ব রয়েছে। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করে বলেছেনঃ কারাে জন্য ফজর শুরুর পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করা জায়েয নয়। কেউ যদি ফজর শুরুর পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করে তবে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় গণ্য হবে যে নিক্ষেপ করে নি এবং তার জন্য কংকর নিক্ষেপের সময় পুন নিক্ষেপ করা আবশ্যক হবে। অন্যথায় এর জন্য তাকে আবশ্যিকভাবে দম (কুরবানী) দিতে হবে। এ বিষয়ে তাদের দলীল হলঃ এই হাদীসে হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে বিভিন্ন শব্দাবলী বর্ণিত আছে। তাঁর থেকে সেই বিষয়বস্তুও বর্ণিত আছে যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং তার থেকে এর পরিপন্থী বিষয়ও বর্ণিত আছে।
بَابُ رَمْيِ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ لَيْلَةَ النَّحْرِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ
3985 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدِ التَّيْمِيُّ قَالَ: أنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ «أَنَّ يَوْمَ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا دَارَ إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ جَمْعٍ أَنْ تُفِيضَ , فَرَمَتْ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ , وَصَلَّتِ الْفَجْرَ بِمَكَّةَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ رَمْيَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ , لَيْلَةَ النَّحْرِ , قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , جَائِزٌ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. [ص:219] وَقَالُوا: لَا يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ صَلَّتِ الصُّبْحَ بِمَكَّةَ إِلَّا وَقَدْ كَانَ رَمْيُهَا جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ لِبُعْدِ مَا بَيْنَ الْمَوْضِعَيْنِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَرْمِيَهَا قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , وَمَنْ رَمَاهَا قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , فَهُوَ فِي حُكْمِ مَنْ لَمْ يَرْمِ , وَعَلَيْهِ أَنْ يُعِيدَ الرَّمْيَ فِي وَقْتِ الرَّمْيِ , فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ , كَانَ عَلَيْهِ لِذَلِكَ دَمٌ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ قَدِ اخْتُلِفَ فِيهِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , فَرُوِيَ عَنْهُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , وَرُوِيَ عَنْهُ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৮৬
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৮৬। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ...... উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কুরবানীর দিন তাকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি যেন তার সঙ্গে মক্কাতে ফজরের সালাতে শরীক থাকেন।
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে কুরবানীর দিন যা নির্দেশ দিয়েছেন তাহলাে কুরবানীর পরবর্তী দিনের ফজরের সালাত । এটা প্রথমােক্ত হাদীসের পরিপন্থী। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তার স্ত্রী উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে মিনা অভিমুখে রওয়ানা হওয়ার ব্যাপারে ত্বরা করেছেন। সেখানেই তাঁরা ফজরের সালাত আদায় করেছেন। তখনাে তাঁরা মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন নি।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের অন্যতম হলঃ
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে কুরবানীর দিন যা নির্দেশ দিয়েছেন তাহলাে কুরবানীর পরবর্তী দিনের ফজরের সালাত । এটা প্রথমােক্ত হাদীসের পরিপন্থী। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ও তার স্ত্রী উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে মিনা অভিমুখে রওয়ানা হওয়ার ব্যাপারে ত্বরা করেছেন। সেখানেই তাঁরা ফজরের সালাত আদায় করেছেন। তখনাে তাঁরা মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন নি।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের অন্যতম হলঃ
3986 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ , " عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: أَمَرَهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ أَنْ تُوَافِيَ مَعَهُ صَلَاةَ الصُّبْحِ بِمَكَّةَ «فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِمَا أَمَرَهَا بِهِ مِنْ هَذَا , يَوْمَ النَّحْرِ فَذَلِكَ عَلَى صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي الْيَوْمِ الَّذِي بَعْدَ يَوْمِ النَّحْرِ وَهَذَا خِلَافُ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ وَقَدْ عَجَّلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مِنْ أَزْوَاجِهِ أُمَّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَكَانَ مُضِيُّهُمْ إِلَى» مِنًى " وَبِهَا صَلَّوْا صَلَاةَ الصُّبْحِ , وَلَمْ يَتَوَجَّهُوا , حِينَئِذٍ , إِلَى مَكَّةَ. فَمِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৮৭
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৮৭। আহমদ ইব্ন দাউদ(রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাওদা বিন্ত যামআ (রাযিঃ) : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট কুরবানীর দিন ফজরের সালাত মিনাতে আদায় করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন। তিনি ছিলেন একজন স্থুলকায়া নারী। আমার আফ্সোস হয়, আমিও যদি তার নিকট অনুরূপভাবে অনুমতি চাইতাম (তাহলে কতই না ভাল হত) যেভাবে তিনি চেয়েছেন।
3987 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ «سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ , اسْتَأْذَنَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُصَلِّيَ يَوْمَ النَّحْرِ الصُّبْحَ بِمِنًى فَأَذِنَ لَهَا» وَكَانَتِ الْمَرْأَةُ ثَبِطَةً , فَوَدِدْتُ إِنِّي اسْتَأْذَنْتُهُ كَمَا اسْتَأْذَنَتْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৮৮
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৮৮। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... সালিম ইন শাওয়াল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি উম্মু হাবীবা (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা নবী (ﷺ) -এর যুগে মুযদালিফা থেকে মিনা অভিমুখে ভােরের অন্ধকারে (কাক ডাকা ভােরে) যাত্রা করতাম।
এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তারা ফজর শুরু হওয়ার পরে (মিনা অভিমুখে যাত্রা করতেন। এটা তাদের জন্য প্রথমােক্ত হাদীসের বিষয়বস্তুর পরিপন্থী। এই অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে আমরা আসমা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছি যে, তিনি কংকর নিক্ষেপ করেছেন, তারপর নিজ অবস্থানস্থলে ফিরে এসেছেন এবং ফজরের সালাত আদায় করেছেন। তখন তার গােলাম আব্দুল্লাহ্ বলল, আপনি তাে আমাদেরকে অন্ধকারে জাগিয়ে তুলেছেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নারীদেরকে এ বিষয়ে অনুমতি প্রদান করেছেন। আসমা (রাযিঃ) বলছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নারীদেরকে যে বিষয়ে অনুমতি প্রদান করেছেন, সেটা হল মুযদালিফা থেকে এরূপ সময়ে যাত্রা করা, যাতে করে মিনাতে গিয়ে তারা ফজরের সালাত আদায় করতে পারেন।
যখন হিশাম ইব্ন উরওয়া (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে তথ্যবিভ্রাট (ইতিরাব) বিদ্যমান, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি, তাই মুহাম্মাদ ইব্ন খাযিম (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের মুকাবিলায় হাম্মাদ ইব্ন সালমা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের উপর আমল করা সংগত হবে না। কেননা হাম্মাদ ইব্ন সালমা (রাহঃ) তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে এজন্য তাড়াতাড়ি যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সেটা ছিল তার পালার দিন এবং তিনি তাঁর কাছে তাই চাচ্ছিলেন, যা একজন পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করে।
অথচ সেই দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিনা থেকে রওয়ানা করেন নি বরং মিনাতে অবস্থান করেন এবং রাত না হওয়া পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারতও করেন নি।
এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তারা ফজর শুরু হওয়ার পরে (মিনা অভিমুখে যাত্রা করতেন। এটা তাদের জন্য প্রথমােক্ত হাদীসের বিষয়বস্তুর পরিপন্থী। এই অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে আমরা আসমা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে উল্লেখ করেছি যে, তিনি কংকর নিক্ষেপ করেছেন, তারপর নিজ অবস্থানস্থলে ফিরে এসেছেন এবং ফজরের সালাত আদায় করেছেন। তখন তার গােলাম আব্দুল্লাহ্ বলল, আপনি তাে আমাদেরকে অন্ধকারে জাগিয়ে তুলেছেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নারীদেরকে এ বিষয়ে অনুমতি প্রদান করেছেন। আসমা (রাযিঃ) বলছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নারীদেরকে যে বিষয়ে অনুমতি প্রদান করেছেন, সেটা হল মুযদালিফা থেকে এরূপ সময়ে যাত্রা করা, যাতে করে মিনাতে গিয়ে তারা ফজরের সালাত আদায় করতে পারেন।
যখন হিশাম ইব্ন উরওয়া (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতে তথ্যবিভ্রাট (ইতিরাব) বিদ্যমান, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি, তাই মুহাম্মাদ ইব্ন খাযিম (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের মুকাবিলায় হাম্মাদ ইব্ন সালমা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের উপর আমল করা সংগত হবে না। কেননা হাম্মাদ ইব্ন সালমা (রাহঃ) তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে এজন্য তাড়াতাড়ি যেতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সেটা ছিল তার পালার দিন এবং তিনি তাঁর কাছে তাই চাচ্ছিলেন, যা একজন পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করে।
অথচ সেই দিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মিনা থেকে রওয়ানা করেন নি বরং মিনাতে অবস্থান করেন এবং রাত না হওয়া পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারতও করেন নি।
3988 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , عَنْ سَالِمِ بْنِ شَوَّالٍ , أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ حَبِيبَةَ , تَقُولُ: كُنَّا نُغَلِّسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ إِلَى مِنًى " فَفِي هَذَا أَنَّهُمْ كَانُوا يُفِيضُونَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , فَهَذَا أَبْعَدُ لَهُمْ مِمَّا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ فِي حَدِيثِ أَسْمَاءَ أَنَّهَا رَمَتْ , ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى مَنْزِلِهَا فَصَلَّتِ الْفَجْرَ , فَقَالَ لَهَا عَبْدُ اللهِ: لَقَدْ غَلَّسْتِنَا فَقَالَتْ: «رَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلظُّعُنِ» . فَأَخْبَرَتْ أَنَّ مَا قَدْ كَانَ رَخَّصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ لِلظُّعُنِ هُوَ الْإِفَاضَةُ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ , فِي وَقْتِ مَا يَصِيرُونَ إِلَى «مِنًى» فِي حَالِ مَا لَهُمْ أَنْ يُصَلُّوا صَلَاةَ الصُّبْحِ. وَلَمَّا اضْطَرَبَ حَدِيثُ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا , لَمْ يَكُنِ الْعَمَلُ بِمَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَوْلَى مِمَّا رَوَاهُ , مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ. وَقَدْ ذَكَرَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ فِي حَدِيثِهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَرَادَ بِتَعْجِيلِهِ أُمَّ سَلَمَةَ إِلَى حَيْثُ عَجَّلَهَا لِأَنَّهُ يَوْمُهَا أَيْ لِيُصِيبَ مِنْهَا فِي يَوْمِهَا ذَلِكَ , مَا يُصِيبُ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , فَلَمْ يَبْرَحْ بِمِنًى " , وَلَمْ يَطُفْ طَوَافَ الزِّيَارَةِ إِلَى اللَّيْلِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯০
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৮৯-৯০। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) ও ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাওয়াফে যিয়ারতকে রাত পর্যন্ত বিলম্বিত করেছেন।
90- 3989 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَارِقٍ , [ص:220] عَنْ طَاوُسٍ , وَأَبُو الزُّبَيْرِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ طَوَافَ الزِّيَادَةِ إِلَى اللَّيْلِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৯১
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৯১। ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দিনের শেষে যাত্রা করেন।
যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরবানীর দিনে রাত না হওয়া পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারত করেন নি, তাহলে এটা অসম্ভব যে, তাঁর এই তাওয়াফের পূর্বে মক্কাতে উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে কোন প্রয়ােজন হবে। কেননা এটা তাঁর পালার দিন ছিল এবং তিনি তার থেকে তাই প্রত্যাশা করছিলেন, যা একজন পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। আর এটা তাওয়াফের পূর্বে তার জন্য হালাল হতাে না। সুতরাং আমাদের মতে অধিকতর সংগত কথা হল, আল্লাহ্-ই সর্বাধিক জ্ঞাত যে, তিনি তাঁকে কুরবানীর দ্বিতীয় দিনে মক্কাতে ফজরের সালাতে শরীক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে সময় তিনি মক্কাতে হালাল তথা ইহরামমুক্ত ছিলেন। কুরবানীর দিনে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার সময় সম্পর্কে মুসলমানগণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আমল থেকে জ্ঞাত হয়েছেন।
যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরবানীর দিনে রাত না হওয়া পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারত করেন নি, তাহলে এটা অসম্ভব যে, তাঁর এই তাওয়াফের পূর্বে মক্কাতে উম্মু সালামা (রাযিঃ)-এর সঙ্গে কোন প্রয়ােজন হবে। কেননা এটা তাঁর পালার দিন ছিল এবং তিনি তার থেকে তাই প্রত্যাশা করছিলেন, যা একজন পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। আর এটা তাওয়াফের পূর্বে তার জন্য হালাল হতাে না। সুতরাং আমাদের মতে অধিকতর সংগত কথা হল, আল্লাহ্-ই সর্বাধিক জ্ঞাত যে, তিনি তাঁকে কুরবানীর দ্বিতীয় দিনে মক্কাতে ফজরের সালাতে শরীক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে সময় তিনি মক্কাতে হালাল তথা ইহরামমুক্ত ছিলেন। কুরবানীর দিনে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করার সময় সম্পর্কে মুসলমানগণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর আমল থেকে জ্ঞাত হয়েছেন।
3991 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ , أَنَّهَا قَالَتْ: «أَفَاضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ» فَلَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَطُفْ طَوَافَ الزِّيَارَةِ يَوْمَ النَّحْرِ إِلَى اللَّيْلِ , اسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ بِهِ، إِلَى حُضُورِ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا إِلَى مَكَّةَ قَبْلَ ذَلِكَ، حَاجَةٌ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يُرِيدُهَا لِأَنَّهُ فِي يَوْمِهَا , وَلِيُصِيبَ مِنْهَا مَا يُصِيبُ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِهِ , وَذَلِكَ لَا يَحِلُّ لَهُ مِنْهَا إِلَّا بَعْدَ الطَّوَافِ. فَأَشْبَهَ الْأَشْيَاءِ، عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنْ يَكُونَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَ صَلَاةَ الصُّبْحِ بِمَكَّةَ فِي غَدٍ يَوْمِ النَّحْرِ , فِي وَقْتِ يَكُونُ فِيهِ حَلَالًا بِمَكَّةَ , وَقَدْ عَلِمَ الْمُسْلِمُونَ وَقْتَ رَمْيِ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , بِفِعْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৪
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৯২-৯৪। ইউনুস (রাহঃ)..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) কুরবানীর দিন জামরা আকাবায় চাশতের সময় কংকর নিক্ষেপ করেছেন। অন্য দিনগুলোতে মধ্যাহ্নের পর কংকর নিক্ষেপ (রমী) করেছেন।
আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ)..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বস্তুত এতে মুসলমানগণ জ্ঞাত হয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) যে সময় কংকর নিক্ষেপ করেছেন সেটাই তাঁদের সময়। আমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়াস পাব যে, তিনি দুর্বল লোকদেরকে এর পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করার অনুমতি দিয়েছেন কি-না ? আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যখন তিনি (সা:) বানূ হাশিম-এর দুর্বল লোকদেরকে মিনার দিকে আগে পাঠিয়ে দেন তখন তাদের দিকে অগ্রসর হয়ে নির্দেশ দিলেন, সূর্যোদয়ের পরেই কংকর নিক্ষেপ করবে। এতে আমরা জ্ঞাত হলাম যে, তিনি দুর্বল লোকদেরকে শক্তিশালীদের থেকে আগে কংকর নিক্ষেপের অনুমতি দেন নি এবং তাদের সকলের জন্য কংকর নিক্ষেপ করার সময় একটি-ই। আর সেটা সূর্যোদয়ের পরে। বস্তুুত রিওয়ায়াতসমূহের নীতি অনুযায়ী এই অনুচ্ছেদের এটাই সঠিক বিশ্লেষণ্ আর যুক্তির নিরিখে এর বিশ্লেষন হলো নিম্নরুপঃ
আমরা লক্ষ্য করছি যে, তারা (ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, যে ব্যক্তি দ্বিতীয় দিনের কংকর ইয়াওমুন্ নাহর (১০ই যিলহজ্জ)-এর পরে ফজর শুরু হওয়ার পূর্বে রাতে কংকর নিক্ষেপ করে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে না, যতক্ষণ না সে দিনে নিক্ষেপ করবে। তাই যুক্তির দাবি হল যে, কুরবানীর দিনে কংকর নিক্ষেপ করার বিধানও অনুরূপ হবে যে, সেটা সেই দিনেই নিক্ষেপ করা জায়েয হবে। যদিও এ ব্যাপারে দিনের কিছু অংশ অপর কিছু অংশ অপেক্ষা উত্তম। যেমনিভাবে দ্বিতীয় দিনের কিছু অংশের কংকর নিক্ষেপ করা অপর কিছু অংশ অপেক্ষা উত্তম। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
আমি আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ (রাহঃ)-এর কলমে লিখিত তাঁর পাণ্ডূলিপিতে পেয়েছি যে, তিনি আসরাম (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন। আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ (রাহঃ) বলেন, আবু বাকর আসরাম (রাহঃ)-এর অনুমতি প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রদান করেছেন, যে কি-না তাঁর পাণ্ডূলিপি থেকে উদ্ধৃত করবে। আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে আমাদেরকেও এর অনুমতি প্রদান করেছেন। আসরাম (রাহঃ) বলেন, ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আহমদ ইব্ন হাম্বল (রাহঃ) আমাকে বলেছেন, আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন আবু মুআবিয়া (রাহঃ)।
আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ)..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী (সা:) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বস্তুত এতে মুসলমানগণ জ্ঞাত হয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) যে সময় কংকর নিক্ষেপ করেছেন সেটাই তাঁদের সময়। আমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করার প্রয়াস পাব যে, তিনি দুর্বল লোকদেরকে এর পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করার অনুমতি দিয়েছেন কি-না ? আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যখন তিনি (সা:) বানূ হাশিম-এর দুর্বল লোকদেরকে মিনার দিকে আগে পাঠিয়ে দেন তখন তাদের দিকে অগ্রসর হয়ে নির্দেশ দিলেন, সূর্যোদয়ের পরেই কংকর নিক্ষেপ করবে। এতে আমরা জ্ঞাত হলাম যে, তিনি দুর্বল লোকদেরকে শক্তিশালীদের থেকে আগে কংকর নিক্ষেপের অনুমতি দেন নি এবং তাদের সকলের জন্য কংকর নিক্ষেপ করার সময় একটি-ই। আর সেটা সূর্যোদয়ের পরে। বস্তুুত রিওয়ায়াতসমূহের নীতি অনুযায়ী এই অনুচ্ছেদের এটাই সঠিক বিশ্লেষণ্ আর যুক্তির নিরিখে এর বিশ্লেষন হলো নিম্নরুপঃ
আমরা লক্ষ্য করছি যে, তারা (ফকীহ্গণ) এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, যে ব্যক্তি দ্বিতীয় দিনের কংকর ইয়াওমুন্ নাহর (১০ই যিলহজ্জ)-এর পরে ফজর শুরু হওয়ার পূর্বে রাতে কংকর নিক্ষেপ করে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে না, যতক্ষণ না সে দিনে নিক্ষেপ করবে। তাই যুক্তির দাবি হল যে, কুরবানীর দিনে কংকর নিক্ষেপ করার বিধানও অনুরূপ হবে যে, সেটা সেই দিনেই নিক্ষেপ করা জায়েয হবে। যদিও এ ব্যাপারে দিনের কিছু অংশ অপর কিছু অংশ অপেক্ষা উত্তম। যেমনিভাবে দ্বিতীয় দিনের কিছু অংশের কংকর নিক্ষেপ করা অপর কিছু অংশ অপেক্ষা উত্তম। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
আমি আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ (রাহঃ)-এর কলমে লিখিত তাঁর পাণ্ডূলিপিতে পেয়েছি যে, তিনি আসরাম (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন। আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ (রাহঃ) বলেন, আবু বাকর আসরাম (রাহঃ)-এর অনুমতি প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রদান করেছেন, যে কি-না তাঁর পাণ্ডূলিপি থেকে উদ্ধৃত করবে। আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে আমাদেরকেও এর অনুমতি প্রদান করেছেন। আসরাম (রাহঃ) বলেন, ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আহমদ ইব্ন হাম্বল (রাহঃ) আমাকে বলেছেন, আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন আবু মুআবিয়া (রাহঃ)।
94- 3992 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ ضُحًى , وَمَا سِوَاهَا بَعْدَ الزَّوَالِ "
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: أنا ابْنُ جُرَيْجٍ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ فَعَلِمَ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوَقْتَ الَّذِي رَمَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ الْجِمَارَ , هُوَ وَقْتُهَا. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ , هَلْ رَخَّصَ لِلضَّعَفَةِ فِي الرَّمْيِ قَبْلَ ذَلِكَ أَمْ لَا؟ فَوَجَدْنَاهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَقَدَّمَ إِلَى ضَعَفَةِ بَنِي هَاشِمٍ , حِينَ قَدَّمَهُمْ إِلَى «مِنًى» أَنْ لَا تَرْمُوا الْجَمْرَةَ إِلَّا بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ. فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ الضَّعَفَةَ لَمْ يُرَخِّصْ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنْ يَتَقَدَّمُوا عَلَى غَيْرِ الضَّعَفَةِ , وَأَنَّ وَقْتَ رَمْيِهِمْ جَمِيعًا , وَقْتٌ وَاحِدٌ , وَهُوَ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ. فَهَذَا هُوَ وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَاهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ رَمْيَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ لِلْيَوْمِ الثَّانِي بَعْدَ يَوْمِ النَّحْرِ فِي اللَّيْلِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , أَنَّ ذَلِكَ لَا يَجْزِيهِ حَتَّى يَكُونَ رَمْيُهُ لَهَا فِي يَوْمِهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هِيَ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , لَا يَجُوزُ أَنْ تُرْمَى إِلَّا فِي يَوْمِهَا , وَإِنْ كَانَ بَعْضُ يَوْمِهَا فِي ذَلِكَ أَفْضَلَ مِنْ بَعْضِ الْيَوْمِ الثَّانِي الرَّمْيُ فِيهِ أَفْضَلُ مِنَ الرَّمْيِ فِي بَعْضِهِ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. [ص:221] وَقَدْ وَجَدْتُ فِي كِتَابِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سُوَيْدٍ بِخَطِّهِ عَنِ الْأَثْرَمِ , مِمَّا ذَكَرَ لَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سُوَيْدٍ أَنَّ الْأَثْرَمَ أَجَازَهُ لِمَنْ كَتَبَهُ مِنْ خَطِّهِ ذَلِكَ , وَأَجَازَهُ لَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سُوَيْدٍ عَنِ الْأَثْرَمِ , يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ قَالَ: قَالَ لِي أَبُو عَبْدِ اللهِ , يَعْنِي أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: أنا ابْنُ جُرَيْجٍ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ فَعَلِمَ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ أَنَّ الْوَقْتَ الَّذِي رَمَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ الْجِمَارَ , هُوَ وَقْتُهَا. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ , هَلْ رَخَّصَ لِلضَّعَفَةِ فِي الرَّمْيِ قَبْلَ ذَلِكَ أَمْ لَا؟ فَوَجَدْنَاهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَقَدَّمَ إِلَى ضَعَفَةِ بَنِي هَاشِمٍ , حِينَ قَدَّمَهُمْ إِلَى «مِنًى» أَنْ لَا تَرْمُوا الْجَمْرَةَ إِلَّا بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ. فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ الضَّعَفَةَ لَمْ يُرَخِّصْ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , أَنْ يَتَقَدَّمُوا عَلَى غَيْرِ الضَّعَفَةِ , وَأَنَّ وَقْتَ رَمْيِهِمْ جَمِيعًا , وَقْتٌ وَاحِدٌ , وَهُوَ بَعْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ. فَهَذَا هُوَ وَجْهُ هَذَا الْبَابِ , مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. وَأَمَّا مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَاهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ رَمْيَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ لِلْيَوْمِ الثَّانِي بَعْدَ يَوْمِ النَّحْرِ فِي اللَّيْلِ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , أَنَّ ذَلِكَ لَا يَجْزِيهِ حَتَّى يَكُونَ رَمْيُهُ لَهَا فِي يَوْمِهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ هِيَ فِي يَوْمِ النَّحْرِ , لَا يَجُوزُ أَنْ تُرْمَى إِلَّا فِي يَوْمِهَا , وَإِنْ كَانَ بَعْضُ يَوْمِهَا فِي ذَلِكَ أَفْضَلَ مِنْ بَعْضِ الْيَوْمِ الثَّانِي الرَّمْيُ فِيهِ أَفْضَلُ مِنَ الرَّمْيِ فِي بَعْضِهِ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. [ص:221] وَقَدْ وَجَدْتُ فِي كِتَابِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سُوَيْدٍ بِخَطِّهِ عَنِ الْأَثْرَمِ , مِمَّا ذَكَرَ لَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سُوَيْدٍ أَنَّ الْأَثْرَمَ أَجَازَهُ لِمَنْ كَتَبَهُ مِنْ خَطِّهِ ذَلِكَ , وَأَجَازَهُ لَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سُوَيْدٍ عَنِ الْأَثْرَمِ , يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ قَالَ: قَالَ لِي أَبُو عَبْدِ اللهِ , يَعْنِي أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯৬
কুরবানীর রাতে ফজর শুরুর পূর্বে জামরা আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা
৩৯৯৫-৯৬। আবু মুআবিয়া (রাহঃ)..... উম্মু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সা:) তাঁকে কুরবানীর দিনে মক্কাতে নিজের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই হাদীসটি আবু মুআবিয়া (রাহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ মুসনাদ রুপে বর্ণনা করে নি, এটা ভুল। ইমাম আহমদ (রাহঃ) বলেন, ওকী (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে তিনি তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সা:) তাঁকে (উম্মু সালামা রা) কুরবানীর দেনে মক্কাতে নিজের সঙ্গে ফজরের সালাত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অথবা তিনি অনুরূপ শব্দ বলেছেন। তিনি বলেন, এটাও আশ্চর্যজনক কথা। ইমাম আবু আব্দুল্লাহ (আহমদ ইব্ন হাম্বল র) বলেন, কুরবানীর দিনে নবী (সা:)- এর মক্কাতে কি কাজ ছিল ? মনে হয় তিনি এই হাদীসকে অস্বীকার করছেন। (আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ র বলেন) তারপর আমি ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বর্ণনা করলেন, হিশাম (রাহঃ) তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, নবী (সা:) উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে নিজের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, এটা তাঁর মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এবং বলেছেন, কুরবানীর দিন ফজরের সালাত আব্তাহ’ উপত্যকার যীফারাক নামক স্থানে পড়া হবে। (আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ র) বলেন, ইয়াহয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) আমাকে বলেছেন যে, আব্দুর রহমান ইব্ন মাহদী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাস কর, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন যে, এভাবে সুফইয়ান (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে তিনি তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে تُوَافِيه -এর স্থলে تُوَافِي শব্দ রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর ইমাম আবু আব্দুল্লাহ্ (আহমদ ইব্ন হাম্বল র) আমাকে বললেন, ইয়াহয়া ইব্ন সাইদ কতই না স্মৃতিশক্তি (যাব্ত)-এর অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন মুহাদ্দিস ছিলেন। এরপর তিনি (আহমদ ইব্ন হাম্বল র) তাঁর চমৎকার প্রশংসা করলেন।
এই হাদীসটি আবু মুআবিয়া (রাহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ মুসনাদ রুপে বর্ণনা করে নি, এটা ভুল। ইমাম আহমদ (রাহঃ) বলেন, ওকী (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে তিনি তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সা:) তাঁকে (উম্মু সালামা রা) কুরবানীর দেনে মক্কাতে নিজের সঙ্গে ফজরের সালাত পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অথবা তিনি অনুরূপ শব্দ বলেছেন। তিনি বলেন, এটাও আশ্চর্যজনক কথা। ইমাম আবু আব্দুল্লাহ (আহমদ ইব্ন হাম্বল র) বলেন, কুরবানীর দিনে নবী (সা:)- এর মক্কাতে কি কাজ ছিল ? মনে হয় তিনি এই হাদীসকে অস্বীকার করছেন। (আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ র বলেন) তারপর আমি ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ)-এর নিকট এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বর্ণনা করলেন, হিশাম (রাহঃ) তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, নবী (সা:) উম্মু সালামা (রাযিঃ)-কে নিজের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, এটা তাঁর মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এবং বলেছেন, কুরবানীর দিন ফজরের সালাত আব্তাহ’ উপত্যকার যীফারাক নামক স্থানে পড়া হবে। (আব্দুল্লাহ ইব্ন সুওয়াইদ র) বলেন, ইয়াহয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) আমাকে বলেছেন যে, আব্দুর রহমান ইব্ন মাহদী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাস কর, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন যে, এভাবে সুফইয়ান (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে তিনি তাঁর পিতা উরওয়া (রাহঃ) থেকে تُوَافِيه -এর স্থলে تُوَافِي শব্দ রিওয়ায়াত করেছেন। তারপর ইমাম আবু আব্দুল্লাহ্ (আহমদ ইব্ন হাম্বল র) আমাকে বললেন, ইয়াহয়া ইব্ন সাইদ কতই না স্মৃতিশক্তি (যাব্ত)-এর অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন মুহাদ্দিস ছিলেন। এরপর তিনি (আহমদ ইব্ন হাম্বল র) তাঁর চমৎকার প্রশংসা করলেন।
3995 - حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ زَيْنَبَ , «عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ بِمَكَّةَ» وَلَمْ يُسْنِدْ ذَلِكَ , غَيْرُ أَبِي مُعَاوِيَةَ , وَهُوَ خَطَأٌ
3996 - قَالَ أَحْمَدُ: وَقَالَ وَكِيعٌ , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ مُرْسَلًا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَهُ صَلَاةَ الصُّبْحِ يَوْمَ النَّحْرِ بِمَكَّةَ» , أَوْ نَحْوَ هَذَا. قَالَ: وَهَذَا أَيْضًا عَجَبٌ قَالَ أَبُو عُبَيْدِ اللهِ: وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يَصْنَعُ بِمَكَّةَ يَوْمَ النَّحْرِ؟ كَأَنَّهُ يُنْكِرُ ذَلِكَ. قَالَ: فَجِئْتُ إِلَى يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَ لَيْسَ شَأْنَهُ قَالَ: وَفَرْقٌ بَيْنَ ذِي وَيَوْمِ النَّحْرِ صَلَاةُ الْفَجْرِ بِالْأَبْطُحِ. قَالَ: وَقَالَ لِي يَحْيَى: سَلْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ مَهْدِيٍّ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: هَكَذَا عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ تُوَافِي. ثُمَّ قَالَ لِي أَبُو عَبْدِ اللهِ: رَحِمَ اللهُ يَحْيَى , مَا كَانَ أَضْبَطَهُ , وَأَشَدَّهُ كَانَ مُحَدِّثًا وَأَثْنَى عَلَيْهِ , فَأَحْسَنَ الثَّنَاءَ عَلَيْهِ
3996 - قَالَ أَحْمَدُ: وَقَالَ وَكِيعٌ , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ مُرْسَلًا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَهُ صَلَاةَ الصُّبْحِ يَوْمَ النَّحْرِ بِمَكَّةَ» , أَوْ نَحْوَ هَذَا. قَالَ: وَهَذَا أَيْضًا عَجَبٌ قَالَ أَبُو عُبَيْدِ اللهِ: وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يَصْنَعُ بِمَكَّةَ يَوْمَ النَّحْرِ؟ كَأَنَّهُ يُنْكِرُ ذَلِكَ. قَالَ: فَجِئْتُ إِلَى يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا أَنْ تُوَافِيَ لَيْسَ شَأْنَهُ قَالَ: وَفَرْقٌ بَيْنَ ذِي وَيَوْمِ النَّحْرِ صَلَاةُ الْفَجْرِ بِالْأَبْطُحِ. قَالَ: وَقَالَ لِي يَحْيَى: سَلْ عَبْدَ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ مَهْدِيٍّ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ: هَكَذَا عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ هِشَامٍ , عَنْ أَبِيهِ تُوَافِي. ثُمَّ قَالَ لِي أَبُو عَبْدِ اللهِ: رَحِمَ اللهُ يَحْيَى , مَا كَانَ أَضْبَطَهُ , وَأَشَدَّهُ كَانَ مُحَدِّثًا وَأَثْنَى عَلَيْهِ , فَأَحْسَنَ الثَّنَاءَ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান