শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৯৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪০
১৯. মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান) করার বিধান
৩৯৩৯-৪০। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) ..... উরওয়া ইবন মুদাররিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মুযদালিফায় নবী (ﷺ) -এর দরবারে হাযির হলাম এবং বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার হজ্জ হবে কি ? আমি তাে আমার বাহনকে ক্লান্ত করে ফেলেছি। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই সালাত আদায় করেছে, এর পূর্বে আমাদের সঙ্গে রাতে হােক বা দিনে উকুফ (আরাফাতে) করেছে এবং আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করেছে তার হজ্জ পূর্ণরূপে সমাধা হয়েছে, সে তার হজ্জের বিধানসমূহ সম্পাদন করে নিতে পেরেছে।

ইবরাহীম ইবনে মারযূক (রাহঃ)...... উরওয়া ইবনে মুদাররিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনূরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ حُكْمِ الْوُقُوفِ بِالْمُزْدَلِفَةِ
3939 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَمْعٍ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , هَلْ لِي مِنْ حَجٍّ وَقَدْ أَنْضَيْتُ رَاحِلَتِي؟ [ص:208] فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى مَعَنَا هَذِهِ الصَّلَاةَ , وَقَدْ وَقَفَ مَعَنَا قَبْلَ ذَلِكَ وَأَفَاضَ مِنْ عَرَفَةَ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ وَقَضَى تَفَثَهُ»

3940 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: أنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ ابْنِ أَبِي السَّفَرِ , وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , وَزَكَرِيَّا عَنِ الشَّعْبِيِّ , وَدَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৪০
empty
৩৯৪০।
- 3940
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৪১
মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান) করার বিধান
৩৯৪১। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ..... উরওয়া ইব্ন মুদাররিস ইবন আওস ইবন হারিসা ইবন লাম তাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ -এর কাছে মুযদালিফায় আসলাম। আমি বললাম, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তায়-এর দুই পাহাড় (অঞ্চল) থেকে এসেছি। আল্লাহর কসম! আমি আমাকে খুবই পরিশ্রান্ত করেছি আর আমার বাহনকেও ক্লান্ত করে ফেলেছি। এখানে এই সমস্ত পাহাড়সমূহে এমন কোন পাহাড় নেই যেখানে আমি উকুফ করিনি। আমার হজ্জ হবে কি ? তখন রাসূলুল্লাহ্ বললেন, যে ব্যক্তি মুযদালিফায় আমাদের সঙ্গে এই ফজরের সালাতে হাযির হয়েছে, এর পূর্বে সে রাতে হােক বা দিনে হােক, উকুফে আরাফা করেছে তার হজ্জ পূর্ণরূপে সমাধা হয়েছে এবং সে তার হজ্জের বিধানসমূহ সম্পাদন করে নিতে পেরেছে। সুফইয়ান (রাহঃ) বলেন, যাকারিয়া (রাহঃ) যিনি এই হাদীসের সংরক্ষণকারী তিনজনের শ্রেষ্ঠতম, তিনি এটা বৃদ্ধি করেছেন ঃ (উরওয়া ইবন মুদাররিস রা বলেন) আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! এ সময় আমি তায়-এর দুই পাহাড় (অঞ্চল) থেকে এসেছি। আমার বহন ক্লান্ত করে ফেলেছি আর নিজেকেও খুবই পরিশ্রান্ত করেছি। আমার হজ্জ হবে কি? তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই সালাতে হাযির হয়েছে এবং রওয়ানা হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে উকুফ করেছে আর এর পূর্বে রাতে হােক বা দিনে তােক উকুফে আরাফাত করেছে তার হজ্জ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং সে তার হজ্জের বিধানসমূহ সম্পাদন করে নিতে পেরেছে। সুফইয়ান (রাহঃ) বলেন, দাউদ ইবন আবী হিন্দ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে এটা বৃদ্ধি করেছেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দরবারে তখন হাযির হয়েছি যখন ফজর উদ্ভাসিত হয়ে গিয়েছে। তারপর হাদীসের অবশিষ্ট অংশ উল্লেখ করেছেন।

আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন যে, মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান) করা ফরয; সেখানে যাওয়া ব্যতীত হজ্জ হবে না। তারা এ বিষয়ে আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ
যখন তােমরা আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করবে তখন মাশআরুল হারামের নিকট পৌঁছে আল্লাহকে স্মরণ করবে। (সূরা বাকারা : আয়াত ৯৮) তাছাড়া তাঁরা এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন যা আমরা উল্লেখ করেছি। তারা বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে ‘মাশআরুল হারাম’কে সেইরূপে উল্লেখ করেছেন যেরূপে আরাফাতের উল্লেখ করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর সুন্নাহতে এর উল্লেখ করেছেন। সুতরাং উভয়ের হুকুম অভিন্ন হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এ দু’স্থানে না পৌঁছবে, হজ্জ আদায় হবে না। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন, আরাফাতে উকুফ (অবস্থান) করা হজ্জের ফরযসমূহের অন্যতম, সেখানে পৌঁছা ব্যতীত হজ্জ আদায় হবে না। কিন্তু মুযদালিফায় উকুফ করার বিধান এরূপ নয়।
এ বিষয়ে তাদের দলীল হল, আল্লাহ্ তা'আলার বাণী فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ
যখন তােমরা আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করবে তখন মাশআরুল হারামের নিকট পৌঁছে আল্লাহকে স্মরণ করবে। এতে সেখানে উক্‌ফ ওয়াজিব হওয়ার দলীল নেই। কেননা আল্লাহ তাআলা যিকর-এর বিষয়ে বলেছেন, কিন্তু উকুফের উল্লেখ করেন নি। আর এ বিষয়ে সকলের ঐকমত্য রয়েছে যে, যদি কোন ব্যক্তি মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান করে কিন্তু আল্লাহর যিকর না করে তাহলে তার হজ্জ পূর্ণ হয়ে যায়। যখন কুরআন শরীফে উল্লিখিত ‘যিকর’ হজ্জের ফরযসমূহের অন্তর্ভুক্ত নয় তাহলে সেই অবস্থান করা যাতে এই যিকর পাওয়ানা যায় কিন্তু কুরআনের যে অবস্থানের উল্লেখ নেই এটা ফরয না হওয়া অধিকতর সংগত। আল্লাহ্ তাআলা কুরআন শরীফে হজ্জ সম্পর্কে অনেকগুলাে বিষয় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এগুলাের উল্লেখ করে এগুলাে ওয়াজিব হওয়া বুঝান নি যে, কোন মুসলমানের পক্ষেই এগুলাে আদায় না করলে হজ্জ বিশুদ্ধ হবে না (এরূপ নয়)। তা থেকে আল্লাহ্ তা'আলার নিম্নোক্ত বাণীঃ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا
সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে কেউ কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এই দুটির মধ্যে সাঈ করলে তার কোন পাপ নেই। (সূরা বাকারা আয়াতঃ ১৫৮)। বস্তুত এ বিষয়ে সকলে একমত যে, যদি কোন ব্যক্তি হজ্জ আদায় করতে গিয়ে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করে তাহলে তার হজ্জ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে তা ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার উপরে দম (কুরবানী করা) আবশ্যক হবে। অনুরূপভাবে কুরআন শরীফে ‘মাশআরুল হারাম’ -এর উল্লেখও এর ওয়াজিব হওয়ার কোন দলীল নয় যে, এটা ব্যতীত হজ্জ জায়িয হবে না। উরওয়া ইবন মুদাররিস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতেও এর কোন প্রমাণ নেই, যেমনটি তারা উল্লেখ করেছেন। কেননা রাসূলুল্লাহর তাতে বলেছেন : যে ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এই সালাত আদায় করেছে এবং এর পূর্বে রাতে হােক বা দিনে হােক আরাফাতে গিয়েছে (উকুফে আরাফাত করেছে) তাঁর হজ্জ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং সে তার হজ্জের বিধানসমূহ সম্পাদন করে নিতে পেরেছে। এখানে তিনি সালাতের উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সকলের ঐকমত্য রয়েছে যে, যদি সে সেখানে রাত অতিবাহিত করে এবং অবস্থান করে তারপর
ফজরের সালাতের সময় ঘুমিয়ে থাকে ইমামের সঙ্গে তা আদায় না করে পরিশেষে সেই সালাত তার ছুটে যায়, তাহলেও তার হজ্জ পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। যখন এই হাদীসে উল্লিখিত ইমামের সঙ্গে সালাতে উপস্থিতি হজ্জের ফরযসমূহে অন্তর্ভুক্ত নয় যে, তা ব্যতীত হজ্জ বিশুদ্ধ হবে না। হাদীসে যে উকুফে সালাতের উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও উক্ত সালাত ছাড়াও হজ্জ বিশুদ্ধ হয়ে যায় সে উকুফ (অবস্থানে) হাদীসে যার উল্লেখ নেই, এভাবে (ফরয) না হওয়াটা অধিকতর সংগত। সুতরাং এই হাদীসে শুধু আরাফাতের (উকুফ)-এর ফরয হওয়া সাব্যস্ত হল। আব্দুর রহমান ইব্ন ইয়া’মুর দায়লী (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে এ বিষয়ের স্বপক্ষে প্রমাণ সম্বলিত হাদীস রিওয়ায়াত করেছেনঃ
3941 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ , قَالَ: ثنا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , وَابْنِ أَبِي زَائِدَةَ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , وَزَكَرِيَّا عَنِ الشَّعْبِيِّ , وَدَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ قَالَ: سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ مُضَرِّسِ بْنِ أَوْسِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ لَائِمٍ الطَّائِيَّ , يَقُولُ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمُزْدَلِفَةَ , فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ جِئْتُ مِنْ جَبَلَيْ طَيِّئٍ , وَوَاللهِ مَا جِئْتُ حَتَّى أَتْعَبْتُ نَفْسِي وَأَنْضَيْتُ رَاحِلَتِي , وَمَا تَرَكْتُ جَبَلًا مِنْ هَذِهِ الْجِبَالِ إِلَّا وَقَدْ وَقَفْتُ عَلَيْهِ , فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ شَهِدَ مَعَنَا هَذِهِ الصَّلَاةَ , صَلَاةَ الْفَجْرِ بِالْمُزْدَلِفَةِ , وَقَدْ كَانَ وَقَفَ بِعَرَفَةَ قَبْلَ ذَلِكَ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا , فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ , وَقَضَى تَفَثَهُ» قَالَ سُفْيَانُ , وَزَادَ زَكَرِيَّا فِيهِ , وَكَانَ أَحْفَظَ الثَّلَاثَةِ لِهَذَا الْحَدِيثِ , قَالَ: " فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَتَيْتُ هَذِهِ السَّاعَةَ مِنْ جَبَلَيْ طَيِّئٍ , قَدْ أَكَلَلْتُ رَاحِلَتِي , وَأَتْعَبْتُ نَفْسِي , فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ؟ فَقَالَ: «مَنْ شَهِدَ مَعَنَا هَذِهِ الصَّلَاةَ , وَوَقَفَ مَعَنَا حَتَّى نُفِيضَ , وَقَدْ كَانَ وَقَفَ قَبْلَ ذَلِكَ بِعَرَفَةَ , مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ , وَقَضَى تَفَثَهُ» قَالَ سُفْيَانُ: وَزَادَ دَاوُدَ بْنُ أَبِي هِنْدَ , قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَرَقَ الْفَجْرُ , ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْوُقُوفَ بِالْمُزْدَلِفَةِ فَرْضٌ , لَا يَجُوزُ إِلَّا بِإِصَابَتِهِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ "} [البقرة: 198] وَبِهَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ. وَقَالُوا ذَكَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كِتَابِهِ الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ , كَمَا ذَكَرَ عَرَفَاتٍ , وَذَكَرَ ذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سُنَّتِهِ , فَحُكْمُهَا وَاحِدٌ , لَا يُجْزِئُ الْحَجُّ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا. [ص:209] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: أَمَّا الْوُقُوفُ بِعَرَفَةَ , فَهُوَ مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ الَّذِي لَا يُجْزِئُ الْحَجُّ إِلَّا بِإِصَابَتِهِ , وَأَمَّا الْوُقُوفُ بِمُزْدَلِفَةَ , فَلَيْسَ كَذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ قَوْلَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ: {فَإِذَا أَفَضْتُمْ مِنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللهَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ "} [البقرة: 198] لَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ عَلَى الْوُجُوبِ لِأَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّمَا ذَكَرَ الذِّكْرَ , وَلَمْ يَذْكُرِ الْوُقُوفَ , وَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّهُ لَوْ وَقَفَ بِمُزْدَلِفَةَ , وَلَمْ يَذْكُرِ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّ حَجَّهُ تَامٌّ. فَإِذَا كَانَ الذِّكْرُ الْمَذْكُورُ فِي الْكِتَابِ , لَيْسَ مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ , فَالْمَوْطِنُ الَّذِي يَكُونُ ذَلِكَ الذِّكْرُ فِيهِ , الَّذِي لَمْ يُذْكَرْ فِي الْكِتَابِ , أَحْرَى أَنْ لَا يَكُونَ فَرْضًا. وَقَدْ ذَكَرَ اللهُ تَعَالَى أَشْيَاءَ فِي كِتَابِهِ مِنَ الْحَجِّ , وَلَمْ يُرِدْ بِذِكْرِهَا إِيجَابَهَا , حَتَّى لَا يُجْزِئَ الْحَجُّ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا فِي قَوْلِ أَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. مِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا "} [البقرة: 158] وَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّهُ لَوْ حَجَّ وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , أَنَّ حَجَّهُ قَدْ تَمَّ , وَعَلَيْهِ دَمٌ مَكَانَ مَا نَزَلَ مِنْ ذَلِكَ. فَكَذَلِكَ ذِكْرُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ فِي كِتَابِهِ لَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى إِيجَابِهِ حَتَّى لَا يُجْزِئَ الْحَجُّ إِلَّا بِإِصَابَتِهِ. وَأَمَّا مَا فِي حَدِيثِ عُرْوَةَ بْنِ مُضَرِّسٍ , فَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ أَيْضًا عَلَى مَا ذَكَرُوا لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا قَالَ فِيهِ: «مَنْ صَلَّى مَعَنَا صَلَاتَنَا هَذِهِ , وَقَدْ كَانَ أَتَى عَرَفَةَ قَبْلَ ذَلِكَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ وَقَضَى تَفَثَهُ» فَذَكَرَ الصَّلَاةَ , وَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ عَلَى أَنَّهُ لَوْ بَاتَ بِهَا , وَوَقَفَ وَنَامَ عَنِ الصَّلَاةِ فَلَمْ يُصَلِّهَا مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى فَاتَتْهُ , أَنَّ حَجَّهُ تَامٌّ. فَلَمَّا كَانَ حُضُورُ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ الْمَذْكُورُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , لَيْسَ مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ الَّذِي لَا يُجْزِئُ الْحَجُّ إِلَّا بِإِصَابَتِهِ , كَانَ الْمَوْطِنُ الَّذِي تَكُونُ فِيهِ تِلْكَ الصَّلَاةُ , الَّذِي لَمْ يُذْكَرْ فِي الْحَدِيثِ , أَحْرَى أَنْ لَا يَكُونَ كَذَلِكَ. فَلَمْ يَتَحَقَّقْ بِهَذَا الْحَدِيثِ ذِكْرُ الْفَرْضِ إِلَّا لِعَرَفَةَ خَاصَّةً. وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَعْمُرَ الدِّيلِيُّ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৪৩
মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান) করার বিধান
৩৯৪২-৪৩। আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবন ইয়ামুর দায়লী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আরাফাতে অবস্থানরত দেখেছি। তাঁর কাছে নজদ অধিবাসী কিছু লােক এসে তাঁকে হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, হজ্জ হল আরাফা দিবস। যে ব্যক্তি ফজরের সালাতের পূর্বে মুযদালিফায় পৌঁছে যাবে সে হজ্জকে পেয়ে গেল। মিনার দিন হল তিন দিন অর্থাৎ আইয়ামে তাশরিক। যে ব্যক্তি উভয় দিনের (পরে প্রত্যাবর্তনে) তাড়াতাড়ি করবে তার কোন গুনাহ্ নেই আর যে ব্যক্তি (তৃতীয় দিন অবস্থানে) বিলম্ব করবে তারও কোন গুনাহ নেই। তারপর তিনি তাঁর পিছনে তাঁর বাহনে এক ব্যক্তিকে বসালেন, যে একথাগুলাে ঘােষণা দিচ্ছিল।


আলী ইব‌ন মা’বাদ (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্‌ন ইয়ামুর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন। তারপর তিনি অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তিনি নজদ অধিবাসীদের প্রশ্ন এবং এক ব্যক্তিকে পিছে বসানাের উল্লেখ করেন নি।
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, নজদ অধিবাসী কতিপয় লােক রাসূলুল্লাহ্ কে হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছে এবং তাদেরকে তার উত্তর ছিলঃ হজ্জ হল আরাফা দিবস। এ কথা আমরা অবশ্যই অবহিত আছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর উত্তরটি পূর্ণাঙ্গ ছিল, যাতে হ্রাস-বৃদ্ধি ছিল না। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে ‘জাওয়ামিউল কালিম' (ব্যাপক ব্যঞ্জনামূলক বাক্যাবলী) দান করেছেন। যদি হজ্জ সম্পর্কে প্রশ্ন করার প্রাক্কালে তাদের ইচ্ছা এটা হতাে যে, হজ্জের মধ্যে কি কি বিষয়াবলী আবশ্যক, তাহলে তিনি অবশ্যই আরাফাত, তাওয়াফ ও মুযদালিফাসহ ঐ বিষয়গুলাে উল্লেখ করতেন, যা হজ্জের মধ্যে করা হয়ে থাকে। যখন তিনি তার উত্তরে তা ছেড়ে দিয়েছেন তাতে বুঝা গেল যে, তাদের প্রশ্নের উদ্দেশ্য ছিল এটা যে, হজ্জের মাঝে কোন কোন বিষয় রয়েছে যা ছুটে গেলে হজ্জ ছুটে যায়। তখন তিনি তাদেরকে উত্তর দিয়ে বললেন, হজ্জ হল আরাফা দিবস। যদি মুযদালিফার হুকুমও আরাফার অনুরূপ হত তাহলে তিনি তাদেরকে আরাফার সঙ্গে মুযদালিফারও উল্লেখ করতেন। কিন্তু তিনি শুধু আরাফাতের উল্লেখ করেছেন। কেননা তা হজ্জের ফরয সমূহের অন্তর্ভুক্ত, যা ছুটে গেলে হজ্জ ছুটে যায়। তারপর তিনি নতুনভাবে কথা বললেন, যেন লােকদেরকে শিক্ষা দিতে পারেন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি ফজর উদিত হওয়ার পূর্বে মুযদালিফাকে পেল সে হজ্জকে পেল। এটার এই অর্থ নয় যে, সে সমস্ত হজ্জকে পেল। কেননা তার প্রথমােক্ত বাক্য দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে যে, হজ্জ হল আরাফাতে অবস্থান) করা। এতে অবধারিতরূপে সাব্যস্ত হল যে, আরাফাতের (উকুফ) ছুটে যাওয়া হজ্জ ছুটে যাওয়ার নামান্তর। তারপর বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাতের পূর্বে মুযদালিফাকে পেল সে হজ্জকে পেল । এর অর্থ এটা নয় যে, তার উপর হজ্জের কোন আমল অবশিষ্ট নেই। কেননা এর পরে তাওয়াফে যিয়ারত রয়েছে যা ওয়াজিব (ফরয), যা আদায় করা অপরহাির্য। (বরং এর অর্থ হল যে, সে প্রথমে তার আরাফাতে অবস্থানের কারণে হজ্জকে পেল। এই সমস্ত রিওয়ায়াতের অর্থাবলীর এই ব্যাখ্যাই সঠিক ও উৎকৃষ্ট, কেননা এতে পারস্পরিক বৈপরিত্য বিদ্যমান থাকে না।
এ বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হল নিম্নরূপঃ আমরা এক সর্ববাদিসম্মত মূলনীতি লক্ষ্য করছি যে, দুর্বল। লােকেরা মুযদালিফা থেকে রাতে যাত্রা ত্বরান্বিত করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বানূ আব্দুল মুত্তালিব এর শিশু-কিশােরদেরকেও অনুরূপ নির্দেশ প্রদান করেছেন। এই বিষয়টি আমরা এই গ্রন্থেরই স্বস্থানে অতিসত্বর উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ্। তিনি সাওদা (রাযিঃ) কে মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান) পরিত্যাগ করার অনুমতিও প্রদান করেছেন।
3942 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمُرَ الدِّيلِيِّ , قَالَ: " رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفًا بِعَرَفَاتٍ , فَأَقْبَلَ أُنَاسٌ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ فَسَأَلُوهُ عَنِ الْحَجِّ. فَقَالَ: " الْحَجُّ يَوْمُ عَرَفَةَ , وَمَنْ أَدْرَكَ جَمْعًا قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ , فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ أَيَّامَ مِنًى ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ , أَيَّامَ [ص:210] التَّشْرِيقِ {فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ} [البقرة: 203] عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ «ثُمَّ أَرْدَفَ خَلْفَهُ رَجُلًا يُنَادِي بِذَلِكَ»

3943 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمُرَ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ , وَلَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَ أَهْلِ نَجْدٍ , وَلَا إِرْدَافَهُ الرَّجُلَ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ أَهْلَ نَجْدٍ سَأَلُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَجِّ , فَكَانَ جَوَابُهُ لَهُمْ «الْحَجُّ يَوْمُ عَرَفَةَ» وَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ جَوَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الْجَوَابُ التَّامُّ , الَّذِي لَا نَقْصَ فِيهِ , وَلَا فَضْلَ , لِأَنَّ اللهَ تَعَالَى قَدْ آتَاهُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَخَوَاتِمَهُ فَلَوْ كَانَ عِنْدَمَا سَأَلُوهُ عَنِ الْحَجِّ أَرَادُوا بِذَلِكَ مَا لَا بُدَّ مِنْهُ فِي الْحَجِّ , لَكَانَ يَذْكُرُ عَرَفَةَ , وَالطَّوَافَ , وَمُزْدَلِفَةَ , وَمَا يُفْعَلُ مِنَ الْحَجِّ. فَلَمَّا تَرَكَ ذَلِكَ فِي جَوَابِهِ إِيَّاهُمْ , عَلِمْنَا أَنَّ مَا أَرَادُوا بِسُؤَالِهِمْ إِيَّاهُ عَنِ الْحَجِّ , هُوَ مَا إِذَا فَاتَ , فَاتَ الْحَجُّ , فَأَجَابَهُمْ بِأَنْ قَالَ: «الْحَجُّ يَوْمُ عَرَفَةَ» فَلَوْ كَانَتْ مُزْدَلِفَةُ كَعَرَفَةَ , لَذَكَرَ لَهُمْ مُزْدَلِفَةَ , مَعَ ذِكْرِهِ عَرَفَةَ , وَلَكِنَّهُ ذَكَرَ عَرَفَةَ خَاصَّةً , لِأَنَّهَا صُلْبُ الْحَجِّ , الَّذِي إِذَا فَاتَ , فَاتَ الْحَجُّ. ثُمَّ قَالَ كَلَامًا مُسْتَأْنَفًا , لِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّ مَنْ أَدْرَكَ جَمْعًا , قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ , لَيْسَ عَلَى مَعْنَى أَنَّهُ أَدْرَكَ جَمِيعَ الْحَجِّ , لِأَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ فِي أَوَّلِ كَلَامِهِ «الْحَجُّ عَرَفَةَ» فَأَوْجَبَ بِذَلِكَ أَنَّ فَوْتَ عَرَفَةَ , فَوْتُ الْحَجِّ. ثُمَّ قَالَ: «وَمَنْ أَدْرَكَ جَمْعًا قَبْلَ صَلَاةِ الصُّبْحِ , فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ» لَيْسَ عَلَى مَعْنَى أَنَّهُ لَمْ يَبْقَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَجِّ شَيْءٌ , لِأَنَّ بَعْدَ ذَلِكَ طَوَافُ الزِّيَارَةِ , وَهُوَ وَاجِبٌ لَا بُدَّ مِنْهُ , وَلَكِنْ فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ , بِمَا تَقَدَّمَ لَهُ مِنَ الْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ. فَهَذَا أَحْسَنُ مَا خُرِّجَ مِنْ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , وَصُحِّحَتْ عَلَيْهِ وَلَمْ تَتَضَادَّ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُجْتَمَعَ عَلَيْهِ أَنَّ لِلضَّعَفَةِ أَنْ يَتَعَجَّلُوا مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ. وَكَذَلِكَ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُغَيْلِمَةَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ , وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. وَرَخَّصَ لِسَوْدَةِ فِي تَرْكِ الْوُقُوفِ بِهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৪৩
empty
৩৯৪৩।
- 3943
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৯৪৪
মুযদালিফায় উকুফ (অবস্থান) করার বিধান
৩৯৪৪। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, (উম্মুল মুমিনীন) সাওদা (রাযিঃ) ভারী, ধীরগতি সম্পন্না নারী ছিলেন। তিনি নবী (ﷺ) -এর নিকট মুযদালিফায় অবস্থান করার পূর্বে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন। (আয়েশা রা বলেন) আমার আফসােস হয় যে, আমিও যদি তাঁর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করতাম আর তিনি আমাকে অনুমতি প্রদান করতেন (তাহলে কতই না ভাল হত)
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, ওযরের কারণে তাদের উপর থেকে মুযদালিফার অবস্থান রহিত হয়ে গিয়েছে এবং আমরা দেখছি যে, উকুফে আরাফাত জরুরী, এটা কোন ওযরের কারণে রহিত হয় না। সেটা (উকুফে মুযাদালিফা) হজ্জের ফরয সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যেটা আদায় করা জরুরী এবং ওযর কিংবা, ওযর ব্যতীত কোন অবস্থায় রহিত হয় না, সেটা হজ্জের ফরযসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না যে, তাওয়াফে যিয়ারত হজ্জের ফরযের অন্তর্ভুক্ত। এটা ওযর তথা ঋতুস্রাবের কারণে রহিত হয় না। পক্ষান্তরে তাওয়াফে সদর হজ্জের ফরযের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা ঋতুবতী নারী থেকে ওযর তথা ঋতুস্রাবের কারণে রহিত হয়ে যায়। সুতরাং যখন মুযদালিফার উকুফ সেই সমস্ত বিধানের অন্তর্ভুক্ত যা ওযরের কারণে রহিত হয়ে যায় তাই সেটা এরূপ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে যা ফরয নয়। এতে সেই বিষয়টি সাব্যস্ত হয়েছে যা আমরা বর্ণনা করেছি। এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
3944 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: أنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَتْ سَوْدَةُ الْمَرْأَةُ ثَبِطَةً , ثَقِيلَةً , فَاسْتَأْذَنَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُفِيضَ مِنْ جَمْعٍ , قَبْلَ أَنْ تَقِفَ فَأَذِنَ لَهَا , وَلَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ اسْتَأْذَنْتُهُ فَأَذِنَ لِي " [ص:211] قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَسَقَطَ عَنْهُمُ الْوُقُوفُ بِمُزْدَلِفَةَ لِلْعُذْرِ , وَرَأَيْنَا عَرَفَةَ , لَا بُدَّ مِنَ الْوُقُوفِ بِهَا , وَلَا يَسْقُطُ ذَلِكَ لِعُذْرٍ. فَمَا سَقَطَ بِالْعُذْرِ , فَهُوَ الَّذِي لَيْسَ مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ , وَمَا لَا بُدَّ مِنْهُ , فَلَا يَسْقُطُ بِعُذْرٍ وَلَا بِغَيْرِهِ , فَهُوَ الَّذِي مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ. أَلَا تَرَى أَنَّ طَوَافَ الزِّيَارَةِ هُوَ مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ , وَأَنَّهُ لَا يَسْقُطُ عَنِ الْحَائِضِ بِالْعُذْرِ , وَأَنَّ طَوَافَ الصَّدْرِ لَيْسَ مِنْ صُلْبِ الْحَجِّ , وَهُوَ يَسْقُطُ عَنِ الْحَائِضِ بِالْعُذْرِ , وَهُوَ الْحَيْضُ. فَلَمَّا كَانَ الْوُقُوفُ بِمُزْدَلِفَةَ مِمَّا يَسْقُطُ بِالْعُذْرِ , كَانَ مِنْ شَكْلِ مَا لَيْسَ بِفَرْضٍ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ مَا وَصَفْنَا. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান