শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৯০৭
১৮. কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯০৭। সালিহ্ ইব্ন আব্দুর রহমান আনসারী (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন ইদরীস মক্কী (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর সূত্রে নবী (ﷺ) এর থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করবে তার পক্ষে উভয়টির জন্য এক ভাওয়াফ ও এক সাঈ যথেষ্ট হবে। তারপর উভয়টি থেকে একই সঙ্গে সে ইহুরাম খুলবে।
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন, হজ্জ ও উমরার একত্রকারী (কারিন)-এর উপর একটি তাওয়াফ আবশ্যক। এ ব্যতীত তার উপর কোন তাওয়াফ ওয়াজিব নয়। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বরং উভয়টির প্রত্যেকটির জন্য পৃথক পৃথক তাওয়াফ এবং সাঈ করবে। এ বিষয়ে তাদের দলীল হল যে, এই হাদীসে ক্রটি রয়েছে। এতে রাবী দারা ওয়ারদী (রাহঃ) ভুল করেছেন। তিনি নবী (ﷺ) থেকে মারফুরূপে রিওয়ায়াত করেছেন । অথচ এটা ইবন উম (রাযিঃ)-এ নিজস্ব অভিমত। হাদীসের হাফিগণ এটাকে সেভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন। তা সত্ত্বেও তারা দারাওয়ারদী (রাহঃ) সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা কোনরূপেই প্রমাণ পেশ করেন না। তাহলে এ বিষয়ে তারা তা দ্বারা কিরূপে প্রমাণ পেশ করবেন। এ বিষয়ে যা কিছু হাফিযগণ উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন তা হলাে নিম্নরূপঃ
আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন, হজ্জ ও উমরার একত্রকারী (কারিন)-এর উপর একটি তাওয়াফ আবশ্যক। এ ব্যতীত তার উপর কোন তাওয়াফ ওয়াজিব নয়। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বরং উভয়টির প্রত্যেকটির জন্য পৃথক পৃথক তাওয়াফ এবং সাঈ করবে। এ বিষয়ে তাদের দলীল হল যে, এই হাদীসে ক্রটি রয়েছে। এতে রাবী দারা ওয়ারদী (রাহঃ) ভুল করেছেন। তিনি নবী (ﷺ) থেকে মারফুরূপে রিওয়ায়াত করেছেন । অথচ এটা ইবন উম (রাযিঃ)-এ নিজস্ব অভিমত। হাদীসের হাফিগণ এটাকে সেভাবেই রিওয়ায়াত করেছেন। তা সত্ত্বেও তারা দারাওয়ারদী (রাহঃ) সূত্রে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা কোনরূপেই প্রমাণ পেশ করেন না। তাহলে এ বিষয়ে তারা তা দ্বারা কিরূপে প্রমাণ পেশ করবেন। এ বিষয়ে যা কিছু হাফিযগণ উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন তা হলাে নিম্নরূপঃ
بَابُ الْقَارِنِ , كَمْ عَلَيْهِ مِنَ الطَّوَافِ لِعُمْرَتِهِ وَلِحَجَّتِهِ؟
3907 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ , وَمُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الْمَكِّيُّ , قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ كَفَاهُ لَهُمَا طَوَافٌ وَاحِدٌ , وَسَعْيٌ وَاحِدٌ , ثُمَّ لَا يَحِلُّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَقَالُوا: عَلَى الْقَارِنِ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , طَوَافٌ وَاحِدٌ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ مِنَ الطَّوَافِ غَيْرُهُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ يَطُوفُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا , وَيَسْعَى لَهُمَا سَعْيًا. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ خَطَأٌ أَخْطَأَ فِيهِ الدَّرَاوَرْدِيُّ , فَرَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَإِنَّمَا أَصْلُهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ , عَنْ نَفْسِهِ , هَكَذَا رَوَاهُ الْحُفَّاظُ , وَهُمْ , مَعَ هَذَا , فَلَا يَحْتَجُّونَ بِالدَّرَاوَرْدِيِّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ أَصْلًا فَكَيْفَ يَحْتَجُّونَ بِهِ فِي هَذَا. فَأَمَّا مَا رَوَاهُ الْحُفَّاظُ مِنْ ذَلِكَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯০৮
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯০৮। সালিহ্ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলতেন, যখন কোন ব্যক্তি হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করবে তখন সে উভয়টির জন্য একটি তাওয়াফ করবে। আর যদি উভয়টিকে আলাদা আলাদা করে তাহলে প্রত্যেকটির জন্য পৃথক পৃথক তাওয়াফ ও সাঈ করবে।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, আয়ুব ইবন মুসা (রাহঃ) ও মুসা ইব্ন উকবা (রাহঃ) নাফি (রাহঃ) থেকে, তিনি ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে তিনি নবী (ﷺ) থেকে এরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, যার বিষয়বস্তু দারাওয়ারদী (রাহঃ)-এর বিষয়বস্তুর অনুরূপ। এ বিষয়ে প্রশ্নকারী নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেনঃ
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, আয়ুব ইবন মুসা (রাহঃ) ও মুসা ইব্ন উকবা (রাহঃ) নাফি (রাহঃ) থেকে, তিনি ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে তিনি নবী (ﷺ) থেকে এরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, যার বিষয়বস্তু দারাওয়ারদী (রাহঃ)-এর বিষয়বস্তুর অনুরূপ। এ বিষয়ে প্রশ্নকারী নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত উল্লেখ করেনঃ
3908 - فَمَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ. عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا قَرَنَ , طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا , فَإِذَا فَرَّقَ , طَافَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا طَوَافًا وَسَعْيًا فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رَوَى أَيُّوبُ بْنُ مُوسَى , وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَا يَعُودُ مَعْنَاهُ إِلَى مَعْنَى مَا رَوَى الدَّرَاوَرْدِيُّ. وَقَدْ ذُكِرَ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১০
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯০৯-১০। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইব্ন উমর (রাযিঃ) মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে উমরার ইহরাম বেঁধে বেরিয়েছিলেন। কেননা তাঁর পথে বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশংকা ছিল। এরপর তিনি বললেন, “এ দুটির ব্যাপার অভিন্ন। আমি তােমাদেরকে সাক্ষী রাখছি যে, আমি আমার উমরাকে হজ্জের সঙ্গে মিলিয়ে দিলাম। তারপর তিনি সম্মুখে অগ্রসর হলেন এবং উভয়টির জন্য একটি তাওয়াফ করলেন, আর বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অনুরূপ করেছেন।
আহমদ (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁরা বলেন, এই হাদীস দারাওয়ারদী (রাহঃ)-এর সেই রিওয়ায়াতের অনুকূলে হয়ে গিয়েছে যা তিনি যথাক্রমে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) নাফি (রাহঃ), ইব্ন উমর (রাযিঃ), নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, আপনাদের জন্য ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে এটা গ্রহণ করা কিভাবে জায়েয হবে, অথচ নিম্নোক্ত হাদীসে বর্ণিত আছেঃ
আহমদ (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁরা বলেন, এই হাদীস দারাওয়ারদী (রাহঃ)-এর সেই রিওয়ায়াতের অনুকূলে হয়ে গিয়েছে যা তিনি যথাক্রমে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) নাফি (রাহঃ), ইব্ন উমর (রাযিঃ), নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, আপনাদের জন্য ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে এটা গ্রহণ করা কিভাবে জায়েয হবে, অথচ নিম্নোক্ত হাদীসে বর্ণিত আছেঃ
3909 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى , عَنْ نَافِعٍ , " أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ مُهِلًّا بِعُمْرَةٍ , مَخَافَةَ الْحَصْرِ , ثُمَّ قَالَ مَا شَأْنُهُمَا إِلَّا وَاحِدًا , أُشْهِدُكُمْ إِنِّي قَدْ قَرَنْتُ إِلَى عُمْرَتِي حَجَّةً , ثُمَّ قَدِمَ فَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا وَقَالَ: هَكَذَا فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "
3910 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , نَحْوَهُ [ص:198] قَالُوا: فَقَدْ وَافَقَ هَذَا مَا رَوَى الدَّرَاوَرْدِيُّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قِيلَ لَهُمْ: فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ تَقْبَلُوا هَذَا , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا؟
3910 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , نَحْوَهُ [ص:198] قَالُوا: فَقَدْ وَافَقَ هَذَا مَا رَوَى الدَّرَاوَرْدِيُّ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قِيلَ لَهُمْ: فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ تَقْبَلُوا هَذَا , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا؟

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১০
empty
৩৯১০।
- 3910

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১১
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১১। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ও ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... সালিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে হজ্জের সঙ্গে উমরার লাভালাভ অর্জন করেছেন (তামাত্তু হজ্জ করেছেন)। যুলহুলায়ফা থেকে হাদী হাঁকিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথমে উমরার ইহরাম বেঁধেছেন, এরপর হজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন। লােকেরা তথা সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে হজ্জের সাথে উমরার লাভালাভ হাসিল করেছেন। এখানে ইব্ন উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে তামাত্তু হজ্জ আদায়কারী ছিলেন এবং তিনি শুরুতে উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন।
3911 - وَقَدْ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «تَمَتَّعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ , وَأَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ , وَبَدَأَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ , ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ , وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ» فَهَذَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , يُخْبِرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ مُتَمَتِّعًا , وَأَنَّهُ بَدَأَ فَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১২
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১২। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) .... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের তালবিয়া পাঠ করতে করতে মক্কায় আগমন করেছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি চায় সে যেন একে উমরা দ্বারা পরিবর্তিত করে দেয়, তারা ব্যতীত যারা সঙ্গে করে হাদী নিয়ে এসেছে।
বকর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর এই হাদীসে ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কা এসেছেন এবং তিনি হজ্জের ভালবিয়া পাঠ করছিলেন। আর সালিম (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইহরাম দ্বারা উমরার সূচনা করেছেন। বস্তুত আমাদের মতে এর অর্থ হলাে : (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত) তিনি শুরুতে শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন। তারপর তা ভেঙ্গে উমরা দ্বারা পরিবর্তিত করে উমরার তালবিয়া পাঠ করেছেন। এরপর এর সঙ্গে হজ্জের লাভালাভ অর্জন করেছেন। যাতে করে সালিম (রাহঃ) ও বকর (রাহঃ)-এর এই দুই হাদীসে সমন্বয় সাধিত হয়ে যায় এবং উভয় হাদীস যেন পারস্পরিক সাংঘর্ষিক না হয়। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওই হজ্জকে ভঙ্গ করেছেন যা তিনি সম্পাদন করেছিলেন এবং সাহাবীগণকেও এর নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। এটা তাদের বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করার পরবর্তী ব্যাপার। এটাকে আমরা হজ্জ ভঙ্গ করা' শীর্ষক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। এখানে তা পুন বর্ণনা করার প্রয়ােজন নেই। সুতরাং এরূপ হতে পারবে না যে, রাসূলুল্লাহ কর্তৃক এই উমরার জন্য তাওয়াফ করা যা, তিনি হজ্জ থেকে (উমরাতে) পরিবর্তন করেছেন, ঐ হজ্জের জন্যও যথেষ্ট করবে যার জন্য তিনি পরে ইহরাম বেঁধেছেন। কিন্তু আমাদের মতে এর এই বিশ্লেষণ হতে পারে যে, (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত), তিনি ইয়াওমুন্নাহার তথা দশ তারিখ কুরবানী দিবসের পূর্বে হজ্জের তাওয়াফ করেন নি। কেননা হজ্জের অবস্থায় কুরবানী দিবসের পূর্বে যে তাওয়াফ করা হয় সেটা তাওয়াফে কুদূম হিসাবে বিবেচিত হয়, যা হজ্জের ফরয সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইব্ন উমর (রাযিঃ) ঐ তাওয়াফকে যথেষ্ট মনে করেছেন যা তিনি (মক্কা) আগমনের পর ঐ উমরার অবস্থায় সম্পাদন করেছিলেন । তিনি হজ্জের জন্য দ্বিতীয়বার তাওয়াফ করেন নি। এটাও ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তার আমলের অনুরূপ ।
বকর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর এই হাদীসে ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কা এসেছেন এবং তিনি হজ্জের ভালবিয়া পাঠ করছিলেন। আর সালিম (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে তিনি বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইহরাম দ্বারা উমরার সূচনা করেছেন। বস্তুত আমাদের মতে এর অর্থ হলাে : (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত) তিনি শুরুতে শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন। তারপর তা ভেঙ্গে উমরা দ্বারা পরিবর্তিত করে উমরার তালবিয়া পাঠ করেছেন। এরপর এর সঙ্গে হজ্জের লাভালাভ অর্জন করেছেন। যাতে করে সালিম (রাহঃ) ও বকর (রাহঃ)-এর এই দুই হাদীসে সমন্বয় সাধিত হয়ে যায় এবং উভয় হাদীস যেন পারস্পরিক সাংঘর্ষিক না হয়। আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ওই হজ্জকে ভঙ্গ করেছেন যা তিনি সম্পাদন করেছিলেন এবং সাহাবীগণকেও এর নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। এটা তাদের বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করার পরবর্তী ব্যাপার। এটাকে আমরা হজ্জ ভঙ্গ করা' শীর্ষক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। এখানে তা পুন বর্ণনা করার প্রয়ােজন নেই। সুতরাং এরূপ হতে পারবে না যে, রাসূলুল্লাহ কর্তৃক এই উমরার জন্য তাওয়াফ করা যা, তিনি হজ্জ থেকে (উমরাতে) পরিবর্তন করেছেন, ঐ হজ্জের জন্যও যথেষ্ট করবে যার জন্য তিনি পরে ইহরাম বেঁধেছেন। কিন্তু আমাদের মতে এর এই বিশ্লেষণ হতে পারে যে, (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত), তিনি ইয়াওমুন্নাহার তথা দশ তারিখ কুরবানী দিবসের পূর্বে হজ্জের তাওয়াফ করেন নি। কেননা হজ্জের অবস্থায় কুরবানী দিবসের পূর্বে যে তাওয়াফ করা হয় সেটা তাওয়াফে কুদূম হিসাবে বিবেচিত হয়, যা হজ্জের ফরয সমূহের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইব্ন উমর (রাযিঃ) ঐ তাওয়াফকে যথেষ্ট মনে করেছেন যা তিনি (মক্কা) আগমনের পর ঐ উমরার অবস্থায় সম্পাদন করেছিলেন । তিনি হজ্জের জন্য দ্বিতীয়বার তাওয়াফ করেন নি। এটাও ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তার আমলের অনুরূপ ।
3912 - وَقَدْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ قَالَ: أنا حُمَيْدٌ , عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ قَدِمُوا مَكَّةَ مُلَبِّينَ بِالْحَجِّ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ شَاءَ فَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ» فَأَخْبَرَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي حَدِيثِ بَكْرٍ هَذَا , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ مَكَّةَ , وَهُوَ مُلَبٍّ بِالْحَجِّ. وَقَدْ أَخْبَرَ فِي حَدِيثِ سَالِمٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدَأَ , فَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ. فَهَذَا مَعْنَاهُ، عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنَّهُ كَانَ أَحْرَمَ أَوَّلًا بِحَجَّةٍ , عَلَى أَنَّهَا حَجَّةٌ , ثُمَّ فَسَخَهَا فَصَيَّرَهَا عُمْرَةً , فَلَبَّى بِالْعُمْرَةِ , ثُمَّ تَمَتَّعَ بِهَا إِلَى الْحَجِّ , حَتَّى يَصِحُّ حَدِيثُ سَالِمٍ وَبَكْرٍ هَذَيْنِ , وَلَا يَتَضَادَّانِ. وَفَسْخُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّ الَّذِي كَانَ فَعَلَهُ وَأَمَرَ بِهِ أَصْحَابَهُ , هُوَ بَعْدَ طَوَافِهِمْ بِالْبَيْتِ , قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي بَابِ فَسْخِ الْحَجِّ , فَأَغْنَانَا ذَلِكَ عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا. فَاسْتَحَالَ بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الطَّوَافُ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَهُ لِلْعُمْرَةِ , الَّتِي انْقَلَبَتْ إِلَيْهَا حَجَّتُهُ مُجْزِيًا عَنْهُ , مِنْ طَوَافِ حَجَّتِهِ الَّتِي أَحْرَمَ بِهَا بَعْدَ ذَلِكَ. وَلَكِنَّ وَجْهَ ذَلِكَ، عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنَّهُ لَمْ يَطُفْ لِحَجَّتِهِ قَبْلَ يَوْمِ النَّحْرِ , لِأَنَّ الطَّوَافَ الَّذِي يُفْعَلُ قَبْلَ يَوْمِ النَّحْرِ فِي الْحَجَّةِ , إِنَّمَا يُفْعَلُ لِلْقُدُومِ , لَا لِأَنَّهُ مِنْ صُلْبِ الْحَجَّةِ. فَاكْتَفَى ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بِالطَّوَافِ الَّذِي كَانَ فَعَلَهُ بَعْدَ الْقُدُومِ فِي عُمْرَتِهِ عَنْ إِعَادَتِهِ فِي حَجَّتِهِ. وَهَذَا مِثْلُ مَا قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَيْضًا مِنْ فِعْلِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১৩
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১৩। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)..... নাফি (রাহঃ) থেকে বণনা করেন যে, ইব্ন উমর (রাহঃ) যখন মক্কা যেতেন বায়তুল্লাহর তাওয়াফকালে রমল করতেন। তারপর সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করতেন। আর যখন মক্কা থেকেই তালবিয়া পাঠ করতেন (ইহরাম বাঁধতেন) তখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফকালে রমল করতেন না এবং সাফা-মারওয়ার সাঈকে কুরবানী দিবস পর্যন্ত বিলম্বিত করতেন। কুরবানীর দিবসেও রমল করতেন না। বস্তুত আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এতে প্রতীয়মান হয় যে, ইব্ন উমর (রাযিঃ) যখন মক্কা থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধতেন, তখন কুরবানীর দিবস পর্যন্ত এর জন তাওরাফ করতেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর ওই হজ্জের ইহুরাম সম্পর্কে অনুরূপ বর্ণিত আছে যার জন্য তিনি প্রথমােক্ত ইজ্জ ভঙ্গ করার পর ইহরাম বেঁধেছিলেন। তিনি কুরবানীর দিবস পর্যন্ত এর জন্য তাওয়াফ করেন নি। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত ইব্ন উমর (রাযিঃ)-এর হাদীসে কারিন-এর হজ্জ ও উমরার তাওয়াফ সম্পর্কে কোন কিছু নেই, আমরা যা কিছু। বর্ণনা করেছি তাতেও দারাওয়ারদী (রাহঃ)-এর ভ্রান্তি সাব্যস্ত হয়েছে যা উবায়দুল্লাহর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে। প্রথমােক্ত মতের অনুসারীগণ তাদের মতের স্বপক্ষে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
3913 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ رَمَلَ بِالْبَيْتِ , ثُمَّ طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَإِذَا لَبَّى مِنْ مَكَّةَ بِهَا , لَمْ يَرْمُلْ بِالْبَيْتِ وَأَخَّرَ الطَّوَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ , وَكَانَ لَا يَرْمُلُ يَوْمَ النَّحْرِ فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ إِذَا أَحْرَمَ بِالْحَجَّةِ مِنْ مَكَّةَ , لَمْ يَطُفْ لَهَا إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ. [ص:199] فَكَذَلِكَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ إِحْرَامِهِ بِالْحَجَّةِ الَّتِي أَحْرَمَ بِهَا بَعْدَ فَسْخِ حَجَّتِهِ الْأُولَى , لَمْ يَكُنْ طَافَ لَهَا إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ. فَلَيْسَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حُكْمِ طَوَافِ الْقَارِنِ لِعُمْرَتِهِ وَحَجَّتِهِ , شَيْءٌ. وَثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَيْضًا , خَطَأُ الدَّرَاوَرْدِيِّ فِي حَدِيثِ عُبَيْدِ اللهِ الَّذِي وَصَفْنَاهُ. وَاحْتَجَّ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ أَيْضً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৫
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১৪-১৫। ইব্ন মারমূক (রাহঃ) ও ইউনুস (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সঙ্গে বের হয়েছি। তারপর আমরা উমরার ইহরাম বেঁধেছি । তারপর রাসূলুল্লাহ বললেন, যার সঙ্গে হাদী রয়েছে সে যেন হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধে। সে ততক্ষণ পর্যন্ত ইহরাম খুলবে না যতক্ষণ না উভয়ের ইহরাম একই সময়ে খুলে । (তিনি বলেন) আমি মক্কায় এলাম অথচ আমি ঋতুবর্তী ছিলাম । আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করিনি এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈও করিনি। আমি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট অভিযােগ আকারে উত্থাপন করলাম। তিনি বললেন, তােমার মাথার চুল খুলে দাও এবং চিরুনী কর। তারপর হজ্জের ইহরাম বাঁধ এবং উমরা পরিত্যাগ কর। তিনি বলেন, আমি যখন হজ্জ সমাধা করলাম তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে আব্দুর রহমান ইব্ন আবী বাকর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে তানঈম পাঠালেন। আমি উমরা পালন করলাম। তিনি বললেন, এটা তােমার ওই উমরার স্থলাভিষিক্ত। তিনি বলেন, যে সমস্ত লােকেরা উমরার ইহরাম বেঁধেছিল তারা বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ,এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খুলেছেন। এরপর মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পর হজ্জের জন্য অপর তাওয়াফ করেছেন। আর যে সমস্ত লােকেরা হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছিলেন তাঁরা উভয়ের জন্য একটি তাওয়াফ করেছেন।
তাঁরা বলেন, এখানে আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, যে সমস্ত লােকেরা হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন তারা একটি তাওয়াই করেছেন। অথচ তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশে-ই এরূপ করতেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, হজ্জ ও উমরা একত্রকারী কারিন-এর উপর একটি তাওয়াফই ফরয। তার উপর এ ছাড়া অন্য কিছু নেই।
তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হল এই যে, আমরা এই অনুচ্ছেদে পূর্বেই উকাইল (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) সূত্রে রিওয়ায়াত করেছি যে, রাসূলুল্লাহর বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে তামাত্তু আদায় করেছেন, এবং তার সঙ্গে সাহাবীগণও তামাত্ত হজ্জ করেছেন। আর আমরা জানি যে, মুতামাত্তি সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, যে উমরার জন্য তাওয়াফ করার পর হজ্জের ইহরাম বাঁধে । তারপর মালিক (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে যা তিনি যুহরী (রাহঃ) থেকে, তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে নবী (ﷺ) -এর সঙ্গে বের হয়েছি। তারপর আমরা উমরার ইহরাম বেঁধেছি। আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেনঃ সাহাবীগণ ইহরামের মাঝে সেইভাবে দাখিল হয়েছে যেভাবে তামাত্তুকারী দাখিল হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আরপর রাসূলুল্লাহ বলেছেন, যার সঙ্গে হাদী রয়েছে সে যেন উমরার সঙ্গে হজ্জেরও ইহরাম বাঁধে এরপর একই সময় উভয়ের ইহুরাম খুলে ফেলবে।
এই হাদীসে একথা বলা হয়নি যে, তিনি তাঁকে এ বক্তব্যটি কোন স্থানে প্রদান করেছেন। সম্ভবত তিনি মক্কা প্রবেশ করার পূর্বে তাঁদেরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন আবার এটাও হতে পারে যে, মক্কা প্রবেশ করার পর তাওয়াফের পূর্বে তা বলেছেন। সুতরাং তারা ওই হজ্জকে ঐ উমরার সঙ্গে একত্রকারী কারিন' হয়েছেন, যার জন্য তারা এর পূর্বে ইহরাম বেঁধেছিলেন। এই সম্ভাবনাও বিদ্যমান আছে যে, তিনি তাদেরকে এই নির্দেশ সেই সময় প্রদান করেছেন যখন তারা উমরার জন্য তাওয়াফ করে ফেলেছেন । সুতরাং এভাবে তারা ওই হজ্জের সঙ্গে, যার ইহরামের নির্দেশ তিনি তাদেরকে দিয়েছিলেন তামাত্তুকারী সাব্যস্ত হবেন। এ বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) নিজেদের সেই রওয়ায়াতে যা আমরা হজ্জ ভঙ্গকরণ’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি তারা উভয়ে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এই বক্তব্যটি মারওয়ার আখেরী চক্করের সময় প্রদান করেছেন। সুতরাং আমরা অবহিত হলাম যে, মালিক (রাহঃ)-এর হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ)-এর বক্তব্য যে সমস্ত লােক হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন দ্বারা উদ্দেশ্য তামাত্তু হিসাবে একত্রিত করা, কিরান হিসাবে একত্রিত করা নয়। তিনি বলেছেন, তাঁরা একটি তাওয়াফ করেছেন। অর্থাৎ উমরার তাওয়াফ করার পর যখন তারা হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন
তাওয়াফ করেছেন। কেননা তাদের এই হজ্জ যা উমরার সঙ্গে মিলিত করা হয়েছিল তা মক্কা থেকেই করা হয়েছিল। আর এরূপ হজ্জ যার ইহরাম মক্কা থেকেই বাঁধা হয় এর জন্য আরাফাতের (অবস্থানের) পূর্বে তাওয়াফ করা হয় না। বরং এর জন্য আরাফাতের পরে করা হয়। যেমন ইবন উমর (রাযিঃ) করতেন। আর আমরা বিষয়টি তার থেকে বর্ণনা করেছি। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছি এর বিষয়বস্তুর বৈপরিত্যকে বিদূরিত করার এবং রিওয়ায়াতের সঠিক মর্ম নিরূপণের জন্য আমরা যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি, তা এবং ইবন উমর (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের বিষয়বস্তু এবং যা কিছু আমরা তার থেকে সহীহ সাব্যস্ত করেছি, উভয়ের মর্ম একই হয়ে যায়। এতে এরূপ কারিন সম্পর্কে কোন হুকুম উল্লেখ নেই যে কুফা' (মক্কা ছাড়া অন্যস্থান) থেকে হজ্জ করতে গিয়ে কিরান করে সে কি তাওয়াফ একটি করবে না দু'টি ? কারিন-এর হজ্জ ও উমরার জন্য এক তাওয়াফকে যারা যথেষ্ট মনে করেন, তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেন ?
তাঁরা বলেন, এখানে আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন, যে সমস্ত লােকেরা হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন তারা একটি তাওয়াই করেছেন। অথচ তারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশে-ই এরূপ করতেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, হজ্জ ও উমরা একত্রকারী কারিন-এর উপর একটি তাওয়াফই ফরয। তার উপর এ ছাড়া অন্য কিছু নেই।
তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হল এই যে, আমরা এই অনুচ্ছেদে পূর্বেই উকাইল (রাহঃ)...... আয়েশা (রাযিঃ) সূত্রে রিওয়ায়াত করেছি যে, রাসূলুল্লাহর বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে তামাত্তু আদায় করেছেন, এবং তার সঙ্গে সাহাবীগণও তামাত্ত হজ্জ করেছেন। আর আমরা জানি যে, মুতামাত্তি সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, যে উমরার জন্য তাওয়াফ করার পর হজ্জের ইহরাম বাঁধে । তারপর মালিক (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে যা তিনি যুহরী (রাহঃ) থেকে, তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, আমরা বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে নবী (ﷺ) -এর সঙ্গে বের হয়েছি। তারপর আমরা উমরার ইহরাম বেঁধেছি। আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেনঃ সাহাবীগণ ইহরামের মাঝে সেইভাবে দাখিল হয়েছে যেভাবে তামাত্তুকারী দাখিল হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আরপর রাসূলুল্লাহ বলেছেন, যার সঙ্গে হাদী রয়েছে সে যেন উমরার সঙ্গে হজ্জেরও ইহরাম বাঁধে এরপর একই সময় উভয়ের ইহুরাম খুলে ফেলবে।
এই হাদীসে একথা বলা হয়নি যে, তিনি তাঁকে এ বক্তব্যটি কোন স্থানে প্রদান করেছেন। সম্ভবত তিনি মক্কা প্রবেশ করার পূর্বে তাঁদেরকে এই নির্দেশ দিয়েছেন আবার এটাও হতে পারে যে, মক্কা প্রবেশ করার পর তাওয়াফের পূর্বে তা বলেছেন। সুতরাং তারা ওই হজ্জকে ঐ উমরার সঙ্গে একত্রকারী কারিন' হয়েছেন, যার জন্য তারা এর পূর্বে ইহরাম বেঁধেছিলেন। এই সম্ভাবনাও বিদ্যমান আছে যে, তিনি তাদেরকে এই নির্দেশ সেই সময় প্রদান করেছেন যখন তারা উমরার জন্য তাওয়াফ করে ফেলেছেন । সুতরাং এভাবে তারা ওই হজ্জের সঙ্গে, যার ইহরামের নির্দেশ তিনি তাদেরকে দিয়েছিলেন তামাত্তুকারী সাব্যস্ত হবেন। এ বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখেছি যে, জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) নিজেদের সেই রওয়ায়াতে যা আমরা হজ্জ ভঙ্গকরণ’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি তারা উভয়ে বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এই বক্তব্যটি মারওয়ার আখেরী চক্করের সময় প্রদান করেছেন। সুতরাং আমরা অবহিত হলাম যে, মালিক (রাহঃ)-এর হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ)-এর বক্তব্য যে সমস্ত লােক হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন দ্বারা উদ্দেশ্য তামাত্তু হিসাবে একত্রিত করা, কিরান হিসাবে একত্রিত করা নয়। তিনি বলেছেন, তাঁরা একটি তাওয়াফ করেছেন। অর্থাৎ উমরার তাওয়াফ করার পর যখন তারা হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন
তাওয়াফ করেছেন। কেননা তাদের এই হজ্জ যা উমরার সঙ্গে মিলিত করা হয়েছিল তা মক্কা থেকেই করা হয়েছিল। আর এরূপ হজ্জ যার ইহরাম মক্কা থেকেই বাঁধা হয় এর জন্য আরাফাতের (অবস্থানের) পূর্বে তাওয়াফ করা হয় না। বরং এর জন্য আরাফাতের পরে করা হয়। যেমন ইবন উমর (রাযিঃ) করতেন। আর আমরা বিষয়টি তার থেকে বর্ণনা করেছি। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমরা যা কিছু রিওয়ায়াত করেছি এর বিষয়বস্তুর বৈপরিত্যকে বিদূরিত করার এবং রিওয়ায়াতের সঠিক মর্ম নিরূপণের জন্য আমরা যে ব্যাখ্যা পেশ করেছি, তা এবং ইবন উমর (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের বিষয়বস্তু এবং যা কিছু আমরা তার থেকে সহীহ সাব্যস্ত করেছি, উভয়ের মর্ম একই হয়ে যায়। এতে এরূপ কারিন সম্পর্কে কোন হুকুম উল্লেখ নেই যে কুফা' (মক্কা ছাড়া অন্যস্থান) থেকে হজ্জ করতে গিয়ে কিরান করে সে কি তাওয়াফ একটি করবে না দু'টি ? কারিন-এর হজ্জ ও উমরার জন্য এক তাওয়াফকে যারা যথেষ্ট মনে করেন, তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেন ?
3914 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ قَالَ: ثنا مَالِكٌ ح
3915 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ , ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ , فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ , ثُمَّ لَا يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا. فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ , وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ» انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ , وَدَعِي الْعُمْرَةَ «فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ هَذِهِ مَكَانُ عُمْرَتِكِ» قَالَتْ فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ حَلُّوا , ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى لِحَجِّهِمْ. وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , فَإِنَّمَا طَافُوا لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا قَالُوا: فَهَذِهِ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَدْ قَالَتْ وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا وَهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَبِأَمْرِهِ كَانُوا يَفْعَلُونَ. فَفِي ذَلِكَ مَا يَدُلُّ , عَلَى أَنَّ عَلَى الْقَارِنِ لِحَجَّتِهِ وَعُمْرَتِهِ طَوَافًا وَاحِدًا , لَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ. فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَيْهِمْ لِمُخَالِفِهِمْ , أَنَّا قَدْ رَوَيْنَا عَنْ عُقَيْلٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ تَمَتَّعَ , وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَهُ» . وَالْمُتَمَتِّعُ قَدْ عَلِمْنَا أَنَّهُ الَّذِي يُهِلُّ بِحَجَّةٍ بَعْدَ طَوَافِهِ لِلْعُمْرَةِ
ثُمَّ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي حَدِيثِ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ فَأُخْبِرْتُ أَنَّهُمْ دَخَلُوا فِي إِحْرَامِهِمْ كَمَا يَدْخُلُ الْمُتَمَتِّعُونَ. قَالَتْ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ , ثُمَّ لَا يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا» وَلَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , الْمَوْضِعَ الَّذِي قَالَ لَهُمْ هَذَا الْقَوْلَ فِيهِ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَالَهُ لَهُمْ قَبْلَ دُخُولِ مَكَّةَ , أَوْ بَعْدَ دُخُولِ مَكَّةَ قَبْلَ الطَّوَافِ , فَيَكُونُونَ قَارِنِينَ بِتِلْكَ الْحَجَّةِ الْعُمْرَةَ , الَّتِي كَانُوا أَحْرَمُوا بِهَا قَبْلَهَا. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَالَ لَهُمْ ذَلِكَ بَعْدَ طَوَافِهِمْ لِلْعُمْرَةِ , فَيَكُونُونَ مُتَمَتِّعِينَ بِتِلْكَ الْحَجَّةِ الَّتِي أَمَرَهُمْ بِالْإِحْرَامِ بِهَا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَأَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ أَخْبَرَا فِي حَدِيثَيْهِمَا , اللَّذَيْنِ رَوَيْنَاهُمَا عَنْهُمَا , فِي بَابِ فَسْخِ الْحَجِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ الْقَوْلَ فِي آخِرِ طَوَافٍ عَلَى الْمَرْوَةِ. فَعَلِمْنَا أَنَّ قَوْلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي حَدِيثِ مَالِكٍ. وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا بَيْنَ الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ أَنَّهَا تَعْنِي جَمْعَ مُتْعَةٍ , لَا جَمْعَ قِرَانٍ , قَالَتْ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا أَيْ: فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا بَعْدَ جَمْعِهِمْ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , الَّتِي كَانُوا قَدْ طَافُوا لَهَا طَوَافًا وَاحِدًا , لِأَنَّ حَجَّتَهُمْ تِلْكَ الْمَضْمُومَةَ مَعَ الْعُمْرَةِ , كَانَتْ مَكِّيَّةً , وَالْحَجَّةُ الْمَكِّيَّةُ لَا يُطَافُ لَهَا قَبْلَ عَرَفَةَ , إِنَّمَا يُطَافُ لَهَا بَعْدَ عَرَفَةَ , عَلَى مَا كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ فِيمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْهُ. فَقَدْ عَادَ مَعْنَى مَا رَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَمَا صَحَّحْنَا مِنْ ذَلِكَ لِنَفْيِ التَّضَادِّ عَنْهُ , إِلَى مَعْنَى مَا رَوَيْنَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمَا صَحَّحْنَا مِنْ ذَلِكَ. فَلَيْسَ شَيْءٌ مِنْ هَذَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ الْقَارِنِ حَجَّةً كُوفِيَّةً , مَعَ عُمْرَةٍ كُوفِيَّةٍ كَيْفَ طَوَافُهُ لَهُمَا , هَلْ هُوَ طَوَافٌ وَاحِدٌ , أَوْ طَوَافَانِ؟ وَاحْتَجَّ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ الْقَارِنَ يَجْزِيهِ لِعُمْرَتِهِ وَحَجَّتِهِ طَوَافٌ وَاحِدٌ أَيْضًا
3915 - وَحَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ , ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ , فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ , ثُمَّ لَا يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا. فَقَدِمْتُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ لَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ , وَلَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ» انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ , وَدَعِي الْعُمْرَةَ «فَلَمَّا قَضَيْتُ الْحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ فَقَالَ هَذِهِ مَكَانُ عُمْرَتِكِ» قَالَتْ فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالْعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ حَلُّوا , ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى لِحَجِّهِمْ. وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , فَإِنَّمَا طَافُوا لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا قَالُوا: فَهَذِهِ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَدْ قَالَتْ وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا وَهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَبِأَمْرِهِ كَانُوا يَفْعَلُونَ. فَفِي ذَلِكَ مَا يَدُلُّ , عَلَى أَنَّ عَلَى الْقَارِنِ لِحَجَّتِهِ وَعُمْرَتِهِ طَوَافًا وَاحِدًا , لَيْسَ عَلَيْهِ غَيْرُ ذَلِكَ. فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَيْهِمْ لِمُخَالِفِهِمْ , أَنَّا قَدْ رَوَيْنَا عَنْ عُقَيْلٍ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ تَمَتَّعَ , وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَهُ» . وَالْمُتَمَتِّعُ قَدْ عَلِمْنَا أَنَّهُ الَّذِي يُهِلُّ بِحَجَّةٍ بَعْدَ طَوَافِهِ لِلْعُمْرَةِ
ثُمَّ قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي حَدِيثِ مَالِكٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ فَأُخْبِرْتُ أَنَّهُمْ دَخَلُوا فِي إِحْرَامِهِمْ كَمَا يَدْخُلُ الْمُتَمَتِّعُونَ. قَالَتْ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهْلِلْ بِالْحَجِّ مَعَ الْعُمْرَةِ , ثُمَّ لَا يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا» وَلَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , الْمَوْضِعَ الَّذِي قَالَ لَهُمْ هَذَا الْقَوْلَ فِيهِ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَالَهُ لَهُمْ قَبْلَ دُخُولِ مَكَّةَ , أَوْ بَعْدَ دُخُولِ مَكَّةَ قَبْلَ الطَّوَافِ , فَيَكُونُونَ قَارِنِينَ بِتِلْكَ الْحَجَّةِ الْعُمْرَةَ , الَّتِي كَانُوا أَحْرَمُوا بِهَا قَبْلَهَا. وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَالَ لَهُمْ ذَلِكَ بَعْدَ طَوَافِهِمْ لِلْعُمْرَةِ , فَيَكُونُونَ مُتَمَتِّعِينَ بِتِلْكَ الْحَجَّةِ الَّتِي أَمَرَهُمْ بِالْإِحْرَامِ بِهَا. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ , فَوَجَدْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَأَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ أَخْبَرَا فِي حَدِيثَيْهِمَا , اللَّذَيْنِ رَوَيْنَاهُمَا عَنْهُمَا , فِي بَابِ فَسْخِ الْحَجِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ الْقَوْلَ فِي آخِرِ طَوَافٍ عَلَى الْمَرْوَةِ. فَعَلِمْنَا أَنَّ قَوْلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي حَدِيثِ مَالِكٍ. وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا بَيْنَ الْعُمْرَةِ وَالْحَجِّ أَنَّهَا تَعْنِي جَمْعَ مُتْعَةٍ , لَا جَمْعَ قِرَانٍ , قَالَتْ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا أَيْ: فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا بَعْدَ جَمْعِهِمْ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , الَّتِي كَانُوا قَدْ طَافُوا لَهَا طَوَافًا وَاحِدًا , لِأَنَّ حَجَّتَهُمْ تِلْكَ الْمَضْمُومَةَ مَعَ الْعُمْرَةِ , كَانَتْ مَكِّيَّةً , وَالْحَجَّةُ الْمَكِّيَّةُ لَا يُطَافُ لَهَا قَبْلَ عَرَفَةَ , إِنَّمَا يُطَافُ لَهَا بَعْدَ عَرَفَةَ , عَلَى مَا كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ فِيمَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْهُ. فَقَدْ عَادَ مَعْنَى مَا رَوَيْنَا عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا الْبَابِ , وَمَا صَحَّحْنَا مِنْ ذَلِكَ لِنَفْيِ التَّضَادِّ عَنْهُ , إِلَى مَعْنَى مَا رَوَيْنَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمَا صَحَّحْنَا مِنْ ذَلِكَ. فَلَيْسَ شَيْءٌ مِنْ هَذَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ الْقَارِنِ حَجَّةً كُوفِيَّةً , مَعَ عُمْرَةٍ كُوفِيَّةٍ كَيْفَ طَوَافُهُ لَهُمَا , هَلْ هُوَ طَوَافٌ وَاحِدٌ , أَوْ طَوَافَانِ؟ وَاحْتَجَّ الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّ الْقَارِنَ يَجْزِيهِ لِعُمْرَتِهِ وَحَجَّتِهِ طَوَافٌ وَاحِدٌ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১৫
empty
৩৯১৫।
- 3915

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৭
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১৬-১৭। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ও আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) তাকে বলেছিলেন যখন তুমি মক্কায় প্রত্যাবর্তন করবে তখন তোমার এক তাওয়াফ তােমার হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য যথেষ্ট হবে।
তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন যে, উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ)-এর উপর হজ্জ ও উমরা উভয়ের কারণে এক তাওয়াফই আবশ্যক।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, আপনারা যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এর শব্দ এরূপ নয়। বরং এর শব্দ হল যে, তিনি বলেছেন : “তােমার হজ্জের জন্য তাওয়াফ করা তােমার হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য যথেষ্ট।” তাই তিনি বলেছেন যে, হজ্জের জন্য কৃত তাওয়াফ তােমার হজ্জ ও উমরার জন্য যথেষ্ট। আর আপনারা এটা বলেন না বরং আপনারা বলেন যে, কারিনের তাওয়াফ কিরানের জন্য হয়, শুধু হজ্জ বা শুধু উমরার জন্য হয় না । তা সত্ত্বেও ইবন আবী নাজীহ (রাহঃ) ব্যতীত আতা (রাহঃ)-এর অপরাপর শিষ্যবৃন্দ এই হাদীসকে তাঁর থেকে অন্য মর্মে রিওয়ায়াত করেছেন।
তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন যে, উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ)-এর উপর হজ্জ ও উমরা উভয়ের কারণে এক তাওয়াফই আবশ্যক।
তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, আপনারা যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এর শব্দ এরূপ নয়। বরং এর শব্দ হল যে, তিনি বলেছেন : “তােমার হজ্জের জন্য তাওয়াফ করা তােমার হজ্জ ও উমরা উভয়ের জন্য যথেষ্ট।” তাই তিনি বলেছেন যে, হজ্জের জন্য কৃত তাওয়াফ তােমার হজ্জ ও উমরার জন্য যথেষ্ট। আর আপনারা এটা বলেন না বরং আপনারা বলেন যে, কারিনের তাওয়াফ কিরানের জন্য হয়, শুধু হজ্জ বা শুধু উমরার জন্য হয় না । তা সত্ত্বেও ইবন আবী নাজীহ (রাহঃ) ব্যতীত আতা (রাহঃ)-এর অপরাপর শিষ্যবৃন্দ এই হাদীসকে তাঁর থেকে অন্য মর্মে রিওয়ায়াত করেছেন।
3916 - - بِمَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ ح
3917 - وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَا: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي نَجِيحٍ , عَنْ عَطَاءٍ " عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: «إِذَا رَجَعْتِ إِلَى مَكَّةَ , فَإِنَّ طَوَافَكِ يَكْفِيكِ لِحَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ» قَالُوا: فَقَدْ أَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الَّذِي عَلَيْهَا لِحَجَّتِهَا وَعُمْرَتِهَا , طَوَافٌ وَاحِدٌ. قِيلَ لَهُمْ: لَيْسَ هَكَذَا لَفْظُ هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْتُمُوهُ , إِنَّمَا لَفْظُهُ أَنَّهُ قَالَ «طَوَافُكِ لِحَجِّكِ يُجْزِيكِ لِحَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ» فَأَخْبَرَ أَنَّ الطَّوَافَ الْمَفْعُولَ لِلْحَجِّ يُجْزِيكِ عَنِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , وَأَنْتُمْ لَا تَقُولُونَ هَذَا , إِنَّمَا تَقُولُونَ: إِنَّ طَوَافَ [ص:201] الْقَارِنِ طَوَافٌ لِقِرَانِهِ لَا لِحَجَّتِهِ دُونَ عُمْرَتِهِ , وَلَا لِعُمْرَتِهِ دُونَ حَجَّتِهِ , مَعَ أَنَّ غَيْرَ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ , مِنْ أَصْحَابِ عَطَاءٍ , قَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ بِعَيْنِهِ عَنْ عَطَاءٍ , عَلَى مَعْنَى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى
3917 - وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَا: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي نَجِيحٍ , عَنْ عَطَاءٍ " عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: «إِذَا رَجَعْتِ إِلَى مَكَّةَ , فَإِنَّ طَوَافَكِ يَكْفِيكِ لِحَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ» قَالُوا: فَقَدْ أَخْبَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الَّذِي عَلَيْهَا لِحَجَّتِهَا وَعُمْرَتِهَا , طَوَافٌ وَاحِدٌ. قِيلَ لَهُمْ: لَيْسَ هَكَذَا لَفْظُ هَذَا الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْتُمُوهُ , إِنَّمَا لَفْظُهُ أَنَّهُ قَالَ «طَوَافُكِ لِحَجِّكِ يُجْزِيكِ لِحَجِّكِ وَعُمْرَتِكِ» فَأَخْبَرَ أَنَّ الطَّوَافَ الْمَفْعُولَ لِلْحَجِّ يُجْزِيكِ عَنِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , وَأَنْتُمْ لَا تَقُولُونَ هَذَا , إِنَّمَا تَقُولُونَ: إِنَّ طَوَافَ [ص:201] الْقَارِنِ طَوَافٌ لِقِرَانِهِ لَا لِحَجَّتِهِ دُونَ عُمْرَتِهِ , وَلَا لِعُمْرَتِهِ دُونَ حَجَّتِهِ , مَعَ أَنَّ غَيْرَ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ , مِنْ أَصْحَابِ عَطَاءٍ , قَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ بِعَيْنِهِ عَنْ عَطَاءٍ , عَلَى مَعْنَى غَيْرِ هَذَا الْمَعْنَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১৮
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১৭। সালিহ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ).... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে র্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি ব্যতীত কি আপনার সকল পরিজন হজ্জ ও উমরা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে? তিনি বললেন, তুমি চল, তােমার এই হজ্জই যথেষ্ট। হাজ্জাজ (রাহঃ) তাঁর হাদীসে আতা (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে বলেছেন, যখন উম্মুল মু'মিনীন রাসূলুল্লাহ্ -এর নিকট বারবার অনুনয় করতে লাগলেন, তখন তিনি তাঁকে তানঈম-এর দিকে যাওয়ার এবং সেখান থেকে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন। তাঁর সঙ্গে তার ভাই আব্দুর রহমান ইবন আবী বাকর (রাযিঃ) কে পাঠালেন। তারপর তিনি সেখান থেকে উমরার ইহরাম বাঁধলেন । তারপর এসে তাওয়াফ এবং সাঈ করলেন, চুল কাটালেন, আর রাসূলুল্লাহ্ তাঁর পক্ষ থেকে (কুরবানীর পশু জবাই করলেন। আব্দুল মালিক (রাহঃ) আতা (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি তার পক্ষ থেকে গাভী জবাই করেন। আব্দুল মালিক (রাহঃ) আতা (রাহঃ) থেকে আর তিনি আয়েশা (রাযিঃ) থেকে সুদীর্ঘ ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এবং উম্মুল মুমিনীন উমরার ইহরাম সেই সময় বেঁধেছেন যখন হজ্জ ও উমরা থেকে অবসর হওয়ার পর প্রত্যাবর্তনের সময় হয়ে গিয়েছিল। আর তিনি যে উল্লেখ করেছেন, তার জন্য সেটাই যথেষ্ট। এর দ্বারা হজ্জ ও উমরার পক্ষে শুধু হজ্জই উদ্দেশ্য ছিল, “তাওয়াফ’ উদ্দেশ্য ছিল না। সুতরাং এটা বাতিল হয়ে গেল যে, আতা (রাহঃ)-এর এই রিওয়ায়াতে কারিনের তাওয়াফের ধরন সম্পর্কিত বিধানের প্রমাণ পাওয়া যায়। কিরানকারীর হজ্জ ও উমরার জন্য এক তাওয়াফের প্রবক্তাদের জন্য এটিও একটি দলীল ঃ
3918 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أنا حَجَّاجٌ , وَأَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ , عَنْ عَطَاءٍ , " عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ , أَكُلُّ أَهْلِكِ يَرْجِعُ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ غَيْرَى؟ قَالَ انْفِرِي فَإِنَّهُ يَكْفِيكِ " قَالَ حَجَّاجٌ فِي حَدِيثِهِ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: أَلَحَّتْ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَمَرَهَا أَنْ تَخْرُجَ إِلَى التَّنْعِيمِ , فَتُهِلَّ مِنْهُ بِعُمْرَةٍ , وَبَعَثَ مَعَهَا أَخَاهَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ , فَأَهَلَّتْ مِنْهُ بِعُمْرَةٍ , ثُمَّ قَدِمَتْ فَطَافَتْ وَسَعَتْ وَقَصَّرَتْ , وَذَبَحَ عَنْهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ: ذَبَحَ عَنْهَا بَقَرَةً فَأَخْبَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِقِصَّتِهَا بِطُولِهَا , وَأَنَّهَا إِنَّمَا أَحْرَمَتْ بِالْعُمْرَةِ فِي وَقْتِ مَا كَانَ لَهَا أَنْ تَنْفِرَ بَعْدَ فَرَاغِهَا مِنَ الْحَجَّةِ وَالْعُمْرَةِ , وَأَنَّ الَّذِي ذُكِرَ أَنَّهُ يَكْفِيهَا , هُوَ الْحَجُّ مِنَ الْحَجَّةِ وَالْعُمْرَةِ , لَا الطَّوَافُ. فَقَدْ بَطَلَ أَنْ يَكُونَ فِي حَدِيثِ عَطَاءٍ هَذَا حُجَّةٌ , فِي حُكْمِ طَوَافِ الْقَارِنِ كَيْفَ هُوَ. وَاحْتَجَّ مَنْ ذَهَبَ أَيْضًا فِي الْقَارِنِ أَنَّهُ يَطُوفُ لِعُمْرَتِهِ وَحَجَّتِهِ طَوَافًا وَاحِدًا ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২০
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯১৯-২০। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) .... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে দেখলেন, তিনি কাঁদছেন। তিনি বললেন, “কেন কাঁদছ’? তিনি বললেন, আমি এজন্য কাঁদছি যে, যেহেতু লােকেরা ইহরাম খুলে ফেলেছেন, আর আমি খুলিনি, তাঁরা বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করেছেন, আমি করিনি। এদিকে হজের সময় এসে গিয়েছে, যা আপনি দেখছেন। তিনি বললেন, এ (ঋতুস্রাব) একটি বিধান, আল্লাহ তা'আলা আদম (আ)-এর সন্তানদের মধ্যে নারীদের উপর আবশ্যক করেছেন। সুতরাং তুমি গােসল করে হজ্জের ইহরাম বাঁধ। তারপর হজ্জ পালন কর, সেই সমস্ত কার্যাদি পূর্ণ কর, যা একজন হজ্জ পালনকারী পূর্ণ করে। তবে বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করবে এবং সালাত আদায় করবে না। তিনি (উম্মুল মুমিনীন রা) বললেন, আমি এমনটিই করলাম। যখন আমি ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হয়ে গেলাম তখন তিনি আর বললেন, বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ কর এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ কর। তারপর তুমি হজ্জ ও উমরার ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাও। (তিনি বললেন) আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার উমরার ব্যাপারে আমার কিছুটা সংশয় রয়েছে, কেননা আমি হজ্জের পূর্বে এর তাওয়াফ করিনি। তখন তিনি আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি তাকে তাঈম নামক স্থান থেকে উমরা করিয়ে দিলেন
ইউনুস (রাহঃ) ..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (ﷺ) একান্ত থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁর (হাদীস বিশারদগণ) বলেছেন : উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধা থাকা অবস্থায় তাকে নবী (ﷺ) তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার, তারপর ইহরাম থেকে বের হয়ে আসার তথা হালাল হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, হজ্জ ও উমরাকে একাত্রকারী ‘কারিন’-এর হুকুম অনুরূপই, তার উপর শুধু এক তাওয়াফ জরুরী, তা ব্যতীত অন্য তাওয়াফ নেই। বস্তুত এই দ্বিতীয় মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, আয়েশা (রাযিঃ) -এর এই হাদীস আমরা যা উল্লেখ করেছি তা ব্যতীত অন্যভাবেও বর্ণিত আছে ?
ইউনুস (রাহঃ) ..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী (ﷺ) একান্ত থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তাঁর (হাদীস বিশারদগণ) বলেছেন : উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধা থাকা অবস্থায় তাকে নবী (ﷺ) তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার, তারপর ইহরাম থেকে বের হয়ে আসার তথা হালাল হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, হজ্জ ও উমরাকে একাত্রকারী ‘কারিন’-এর হুকুম অনুরূপই, তার উপর শুধু এক তাওয়াফ জরুরী, তা ব্যতীত অন্য তাওয়াফ নেই। বস্তুত এই দ্বিতীয় মত পােষণকারীদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, আয়েশা (রাযিঃ) -এর এই হাদীস আমরা যা উল্লেখ করেছি তা ব্যতীত অন্যভাবেও বর্ণিত আছে ?
3919 - بِمَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ: وَأَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يَقُولُ: " دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ تَبْكِي , فَقَالَ مَا لَكَ تَبْكِينَ. قَالَتْ: أَبْكِي لِأَنَّ النَّاسَ حَلُّوا , وَلَمْ أَحْلِلْ , وَطَافُوا بِالْبَيْتِ وَلَمْ أَطُفْ , وَهَذَا الْحَجُّ قَدْ حَضَرَ كَمَا تَرَى فَقَالَ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ , فَاغْتَسِلِي وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ , ثُمَّ حُجِّي , وَاقْضِي مَا يَقْضِي الْحَاجُّ , غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ , وَلَا تُصَلِّي قَالَتْ: فَفَعَلْتُ ذَلِكَ , فَلَمَّا طَهُرْتُ قَالَ طُوفِي بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ قَدْ حَلَلْتَ مِنْ حَجِّكَ وَعُمْرَتِكَ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ إِنِّي أَجِدُ فِي نَفْسِي مِنْ عُمْرَتِي , إِنِّي لَمْ أَكُنْ طُفْتُ حَتَّى حَجَجْتُ فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ , فَأَعْمَرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ "
3920 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ قَالُوا: فَقَدْ أَمَرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ مُحْرِمَةٌ بِالْعُمْرَةِ وَالْحَجَّةِ , أَنْ تَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَتَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ تَحِلَّ. [ص:202] فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ حُكْمَ الْقَارِنِ فِي طَوَافِهِ لِحَجَّتِهِ وَعُمْرَتِهِ , هُوَ كَذَلِكَ , وَأَنَّهُ طَوَافٌ وَاحِدٌ , لَا شَيْءَ عَلَيْهِ مِنَ الطَّوَافِ غَيْرُهُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ الْأُخْرَى أَنَّ حَدِيثَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هَذَا , قَدْ رُوِيَ عَلَى غَيْرِ مَا ذَكَرْنَا
3920 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِثْلَهُ قَالُوا: فَقَدْ أَمَرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ مُحْرِمَةٌ بِالْعُمْرَةِ وَالْحَجَّةِ , أَنْ تَطُوفَ بِالْبَيْتِ وَتَسْعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ تَحِلَّ. [ص:202] فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ حُكْمَ الْقَارِنِ فِي طَوَافِهِ لِحَجَّتِهِ وَعُمْرَتِهِ , هُوَ كَذَلِكَ , وَأَنَّهُ طَوَافٌ وَاحِدٌ , لَا شَيْءَ عَلَيْهِ مِنَ الطَّوَافِ غَيْرُهُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ الْأُخْرَى أَنَّ حَدِيثَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا هَذَا , قَدْ رُوِيَ عَلَى غَيْرِ مَا ذَكَرْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২০
empty
৩৯২০।
- 3920

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৩
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯২১-২৩। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) আমাদেরকে নিদের্শ দিতে গিয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি চাইবে হজ্জের ইহরাম বাঁধবে এবং যে চাইবে উমরার ইহরাম বাঁধবে । তিনি বলেন, আমি সেই সমস্ত লােকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। তারপর আমি ঋতুবতী হয়ে পড়ি, নবী (ﷺ) আমার নিকট এলেন এবং আমাকে নির্দেশ দিলেন যেন আমি চুল খুলে মাথায় চিরুনী করি এবং উমরা পরিত্যাগ করি ।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ......... ইকরামা (রাহঃ) এর বরাতে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত
করেছেন ।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... ইব্ন আবী মুলায়কা (রাহঃ) এর বরাতে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) ঋতুগ্রস্ত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে উমরা পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা তার তাওয়াফের পূর্বের কথা। তাঁর এই হজ্জের জন্য তাওয়াফ করা যার জন্য পরে এর ইহরাম বেঁধেছেন, তা কিভাবে হজ্জ ও উমরার পরিত্যক্ত (উভয়ের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে । এটা অসম্ভব।
এ বিষয়ে তাঁর থেকে আসওয়াদ (রাহঃ)ও রিওয়ায়াত করেছেন, যা নিম্নরূপঃ
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ......... ইকরামা (রাহঃ) এর বরাতে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত
করেছেন ।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... ইব্ন আবী মুলায়কা (রাহঃ) এর বরাতে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) ঋতুগ্রস্ত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে উমরা পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা তার তাওয়াফের পূর্বের কথা। তাঁর এই হজ্জের জন্য তাওয়াফ করা যার জন্য পরে এর ইহরাম বেঁধেছেন, তা কিভাবে হজ্জ ও উমরার পরিত্যক্ত (উভয়ের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে । এটা অসম্ভব।
এ বিষয়ে তাঁর থেকে আসওয়াদ (রাহঃ)ও রিওয়ায়াত করেছেন, যা নিম্নরূপঃ
3921 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَا: ثنا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ , قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ , عَنْ عُرْوَةَ , " عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: أَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " مَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِالْحَجِّ , وَمَنْ شَاءَ فَلْيُهْلِلْ بِالْعُمْرَةِ. قَالَتْ: كُنْتُ مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ , فَحِضْتُ , وَدَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَنِي أَنْ أَنْقُضَ رَأْسِي , وَأَمْتَشِطَ , وَأَدَعَ عُمْرَتِي "
3922 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ , عَنْ إِسْرَائِيلَ , عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَهُ
3923 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا، حِينَ حَاضَتْ، أَنْ تَدَعَ عُمْرَتَهَا , وَذَلِكَ قَبْلَ طَوَافِهَا لَهَا. فَكَيْفَ يَكُونُ طَوَافُهَا فِي حَجَّتِهَا الَّتِي أَحْرَمَتْ بِهَا بَعْدَ ذَلِكَ , يُجْزِئُ عَنْهَا مِنْ حَجَّتِهَا تِلْكَ , وَمِنْ عُمْرَتِهَا الَّتِي قَدْ رَفَضَتْهَا؟ هَذَا مُحَالٌ
وَقَدْ رَوَى الْأَسْوَدُ عَنْهَا فِي ذَلِكَ أَيْضًا ,
3922 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ , عَنْ إِسْرَائِيلَ , عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَهُ
3923 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ , عَنْ عَائِشَةَ , مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا، حِينَ حَاضَتْ، أَنْ تَدَعَ عُمْرَتَهَا , وَذَلِكَ قَبْلَ طَوَافِهَا لَهَا. فَكَيْفَ يَكُونُ طَوَافُهَا فِي حَجَّتِهَا الَّتِي أَحْرَمَتْ بِهَا بَعْدَ ذَلِكَ , يُجْزِئُ عَنْهَا مِنْ حَجَّتِهَا تِلْكَ , وَمِنْ عُمْرَتِهَا الَّتِي قَدْ رَفَضَتْهَا؟ هَذَا مُحَالٌ
وَقَدْ رَوَى الْأَسْوَدُ عَنْهَا فِي ذَلِكَ أَيْضًا ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২২
empty
৩৯২২।
- 3922

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২৩
empty
৩৯২৩।
- 3923

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২৪
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯২৪। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা বের হই এবং আমরা শুধু হজ্জের সংকল্প করেছিলাম। যখন তিনি শাহর মক্কা আগমন করেন তখন তিনি তাওয়াফ করেন কিন্তু ইহরাম খুলেননি। কেননা তার সঙ্গে হাদী বিদ্যমান ছিল। তাঁর সঙ্গে তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণ এবং সাহাবীগণও ভাওয়াফ করেছেন। আর যাদের সঙ্গে হাদী ছিল না তারা ইহরাম খুলে ফেলেন। রাবী বলেন, উম্মুল মুমিনীন (রাযিঃ) ঋতুগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমরা আপন আপন হজ্জের আরকান আদায় করেছি। যখন হাসবার রাত তথা প্রত্যাবর্তনের রাত হল (যে রাতে প্রত্যাবর্তনকালে ‘মুহাস্সার’ উপত্যকায় অবতরণ করা হয়। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগণ কি হজ্জ ও উমরা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন আর আমি শুধু হজ্জ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করব? তিনি বললেন, তুমি কি আসার পরে তাওয়াফ করনি ? তিনি বলেন, আমি বললাম, জী না, তিনি বললেন, তােমার ভাইয়ের সঙ্গে তানঈমে গিয়ে উমরার ইহরাম বাঁধ, তারপর তুমি অমুক স্থানে গিয়ে অবস্থান করবে।
বস্তুত এই হাদীসের দ্বারা এই বিষয়টি প্রতীয়মান হয় যে, হজ্জ ভঙ্গকরণের কারণে যে উমরা হজের স্থানে এসেছে এর জন্য তাওয়াফ করার পূর্বে উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) কর্তৃক আরাফাতে যাওয়ার কারণে সেই উমরা খতম হয়ে গিয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেছেন, আমরা যে রাতে এসেছি তখন কি তুমি তাওয়াফ করনি। অর্থাৎ যদি তুমি তাওয়াফ করতে তাহলে ওই হজ্জের সঙ্গে যা থেকে এখন অবসর গ্রহণ করেছ, উমরাও পূর্ণ হয়ে যেত। যখন উম্মুল মুমিনীন (রাযিঃ) বললেন যে, তিনি মক্কা পৌছানাের পর তাওয়াফ করেন নি তখন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পরবর্তী কার্যাদি যেমন আরাফাতে অবস্থান অথবা এর দিকে যাওয়াকে হজ্জে জন্য সাব্যস্ত করেছেন। তাছাড়া ওই উমরা থেকে বের হয়ে গেছেন বলে জানিয়ে দেন। তারপর তিনি তাতে এই উমরার স্থানে তাঈম থেকে আরেকটি উমরা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং কোন ব্যক্তির জন্য এটা বলা কিভাবে জায়েয হবে যে, তার হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করাটা হজ্জের জন্যও ছিল এবং উমার জন্যও ছিল যা তিনি এর পূর্বে পরিত্যাগ করেছিলেন। আমাদের মতে এটা অসম্ভব। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাসিম ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছেনঃ
বস্তুত এই হাদীসের দ্বারা এই বিষয়টি প্রতীয়মান হয় যে, হজ্জ ভঙ্গকরণের কারণে যে উমরা হজের স্থানে এসেছে এর জন্য তাওয়াফ করার পূর্বে উম্মুল মু'মিনীন (রাযিঃ) কর্তৃক আরাফাতে যাওয়ার কারণে সেই উমরা খতম হয়ে গিয়েছে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেছেন, আমরা যে রাতে এসেছি তখন কি তুমি তাওয়াফ করনি। অর্থাৎ যদি তুমি তাওয়াফ করতে তাহলে ওই হজ্জের সঙ্গে যা থেকে এখন অবসর গ্রহণ করেছ, উমরাও পূর্ণ হয়ে যেত। যখন উম্মুল মুমিনীন (রাযিঃ) বললেন যে, তিনি মক্কা পৌছানাের পর তাওয়াফ করেন নি তখন তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর পরবর্তী কার্যাদি যেমন আরাফাতে অবস্থান অথবা এর দিকে যাওয়াকে হজ্জে জন্য সাব্যস্ত করেছেন। তাছাড়া ওই উমরা থেকে বের হয়ে গেছেন বলে জানিয়ে দেন। তারপর তিনি তাতে এই উমরার স্থানে তাঈম থেকে আরেকটি উমরা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং কোন ব্যক্তির জন্য এটা বলা কিভাবে জায়েয হবে যে, তার হজ্জের জন্য বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করাটা হজ্জের জন্যও ছিল এবং উমার জন্যও ছিল যা তিনি এর পূর্বে পরিত্যাগ করেছিলেন। আমাদের মতে এটা অসম্ভব। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাসিম ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছেনঃ
3924 - مَا حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا وَلَا نُرَى إِلَّا أَنَّهُ الْحَجُّ , فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ , طَافَ وَلَمْ يَحِلَّ، وَكَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ , فَطَافَ مَنْ مَعَهُ مِنْ نِسَائِهِ وَأَصْحَابِهِ , فَحَلَّ مِنْهُمْ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الْهَدْيُ.، قَالَ: وَحَاضَتْ هِيَ، قَالَتْ: فَقَضَيْنَا مَنَاسِكَنَا مِنْ حَجَّتِنَا , فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ لَيْلَةُ النَّفْرِ , قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَيَرْجِعُ أَصْحَابُكَ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ , وَأَرْجِعُ أَنَا بِحَجٍّ؟ قَالَ: «أَمَا كُنْتِ طُفْتِ بِالْبَيْتِ لَيَالِيَ قَدِمْنَا؟» قَالَتْ: قُلْتُ: لَا , قَالَ: «انْطَلِقِي مَعَ أَخِيكِ إِلَى التَّنْعِيمِ , فَأَهِلِّي بِعُمْرَةٍ , ثُمَّ مَوْعِدُكِ مَكَانُ كَذَا وَكَذَا» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا قَدْ كَانَتْ خَرَجَتْ مِنْ عُمْرَتِهَا الَّتِي صَارَتْ مَكَانَ حَجَّتِهَا بِفَسْخِ الْحَجِّ بِحَيْضَتِهَا إِلَى عَرَفَةَ , قَبْلَ طَوَافِهَا لَهَا. [ص:203] لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا «أَمَا كُنْتِ طُفْتِ لَيَالِيَ قَدِمْنَا؟» أَيْ: لَوْ كُنْتِ طُفْتِ , كَانَتْ قَدْ تَمَّتْ لَكِ عُمْرَتُكِ مَعَ حَجَّتِكِ الَّتِي قَدْ فَرَغْتِ مِنْهَا. فَلَمَّا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ طَافَتْ لَيَالِيَ قَدِمُوا , جَعَلَهَا بِمَا فَعَلَتْ بَعْدَ ذَلِكَ لِحَجِّهَا , مِنْ وُقُوفِهَا بِعَرَفَةَ , أَوْ تَوَجُّهِهَا إِلَيْهَا، خَارِجَةً مِنْ عُمْرَتِهَا فَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَمِرَ أُخْرَى مَكَانَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ. فَكَيْفَ يَجُوزُ لِقَائِلٍ أَنْ يَقُولَ إِنَّ طَوَافَهَا بِالْبَيْتِ لِحَجَّةٍ هِيَ فِيهَا , يَكُونُ لِتِلْكَ الْحَجَّةِ , وَلِعُمْرَةٍ أُخْرَى قَدْ خَرَجَتْ مِنْهَا قَبْلَ ذَلِكَ؟ هَذَا عِنْدَنَا مُحَالٌ وَقَدْ رَوَى الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২৫
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯২৫। ফাহাদ (রাহঃ) ..... কাসিম (রাহঃ)-এর পিতা মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর বরাতে আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। যে, তিনি বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সঙ্গে শুধু হজ্জ পালনের জন্য বের হই। আমরা যখন সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলাম, আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নিকট এলেন, আমি তখন কাঁদছিলাম। তিনি বললেন, কেন কাঁদছ ? আমি বললাম, আমি যদি এ বছর হজ্জ পালন না করতাম তাহলে কতই না ভাল হতাে অথবা (বলেছেন) এ বছর যদি বের না হতাম। তিনি বললেন, সম্ভবত তােমার ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছে, আমি বললাম ‘জ্বী, হ্যাঁ’, তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা'আলা এটা আদম সন্তানের নারীদের উপর অবধারিত করে দিয়েছেন। হজ্জ পালনকারী যা কিছু সম্পাদন করে তুমিও তা সম্পাদন কর। তবে বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করবে না। তিনি বলেন, যখন আমরা মক্কা পৌঁছলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে বললেন, এ কে (হজ্জকে) উমরাতে পরিবর্তিত করে নাও। সুতরাং যাদের কাছে হাদী ছিল না তারা-ইহরাম খুলে ফেললেন। তাঁর (ﷺ), আবু বাকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ), উসমান (রাযিঃ) সই সামর্থ্যবানদের সঙ্গে হাদী ছিল। এরপর তাঁরা হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন । আর যখন কুরবানীর দিন হল, আমি (ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হয়ে গেলাম, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে পাঠালেন, আমি তাওয়াফে যিয়ারত করলাম। তারপর গরুর গােশত আনা হল, আমি বললাম, এটা কি ? তারা বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার পবিত্র স্ত্রীদের পক্ষ থেকে গরু কুরবানী দিয়েছেন। অবশেষে প্রত্যাবর্তনের রাত হল, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহু! লােকেরা হজ্জ ও উমরা নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে, আর আমি শুধু হজ্জ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করব ? এতে তিনি (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবন আবী বাকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন, তিনি আমাকে সওয়ারীতে নিজের পিছনে বসালেন। আমার অবশ্যই স্মরণ আছে যে, আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম আর আমার চেহারা (মাথা) হাওদার পিছনের অংশে গিয়ে ঠেকছিল। অবশেষে আমরা তাঈমে পৌঁছলাম। ঐ স্থান যেখান থেকে সাহাবীগণ উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন, আমি তার স্থলবতী উমরার ইহরাম বেঁধেছি ।
বস্তুত এটাও পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ এবং এটাকে উরওয়া (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে তার চাইতে আরাে সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন ?
বস্তুত এটাও পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ এবং এটাকে উরওয়া (রাহঃ) আয়েশা (রাযিঃ) থেকে তার চাইতে আরাে সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন ?
3925 - مَا حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَلَا نَذْكُرُ إِلَّا الْحَجَّ , فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ , فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكِ؟ فَقُلْتُ: لَوَدِدْتُ إِنِّي لَمْ أَحُجَّ الْعَامَ , أَوْ لَمْ أَخْرُجِ الْعَامَ , قَالَ لَعَلَّكِ نُفِسْتِ؟ . قُلْتُ: نَعَمْ , قَالَ فَإِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللهُ تَعَالَى عَلَى بَنَاتِ آدَمَ , فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحُجَّاجُ , غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ. قَالَتْ: فَلَمَّا جِئْنَا مَكَّةَ , قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ «اجْعَلُوهَا عُمْرَةً» فَحَلَّ النَّاسُ إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَكَانَ الْهَدْيُ مَعَهُ , وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ , وَعُمَرَ , وَعُثْمَانَ , وَذِي الْيَسَارَةِ , ثُمَّ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ , طَهُرْتُ , فَأَرْسَلَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَفَضْتُ فَأَتَى بِلَحْمِ بَقَرٍ , فَقُلْتُ مَا هَذَا؟ فَقَالُوا: أَهْدَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نِسَائِهِ الْبَقَرَ , حَتَّى إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ يَرْجِعُ النَّاسُ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَأَرْجِعُ بِحَجَّةِ , فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ فَأَرْدَفَنِي خَلْفَهُ , فَإِنِّي أَذْكُرُ أَنِّي كُنْتُ أَنْعَسُ , فَيَضْرِبَ وَجْهِي مُؤَخِّرَةَ الرَّحْلِ , حَتَّى جِئْنَا التَّنْعِيمَ فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ , جَزَاءَ عُمْرَةِ النَّاسِ الَّتِي اعْتَمَرُوا بِهَا " فَهَذَا مِثْلُ الْحَدِيثِ الَّذِي قَبْلَهُ , وَقَدْ رَوَاهُ عُرْوَةُ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَبَيْنَ مِنْ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২৬
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯২৬। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা সেই সময় বের হই যখন যিলহজ মাস নিকটবর্তী এসে গয়েছিল (যিলকদ মাসের পাঁচদিন বাকী ছিল)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বাঁধতে ইচ্ছুক সে যেন হজ্জের ইহরাম বাঁধে; আর যে ব্যক্তি উমরার ইহরাম বাঁধতে ইচ্ছুক সে যেন উমরার ইহরাম বাঁধে। কিন্তু আমি শুধু হজ্জের ইহরাম বাঁধব, কেননা আমার সঙ্গে হাদী রয়েছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমাদের কতেক হজ্জের কতেক উমরার ইহরামের বেঁধেছেন কিন্তু আমি উমরার ইহরাম বেঁধেছি। আরাফাতের দিন পর্যন্ত আমি ঋতুবতী থেকে গৈলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, উমরা ছেড়ে দাও, চুল খুলে চিরুনী কর। এরপর হজ্জের জন্য তালবিয়া পাঠ কর । তারপর আমি হজ্জের । তালবিয়া পাঠ করলাম। যখন প্রত্যাবর্তনের রাত হল এবং আমি ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হয়ে গেলাম, তখন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবন আবী বকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন। তিনি আমাকে তাঈমে নিয়ে গেলেন। আমি উমরা কাযা করার জন্য উমরার ইহরাম বাঁধলাম।
আয়েশা (রাযিঃ) সুস্পষ্টরূপে বলছেন যে, তাঁর হজ্জ উমরা থেকে পৃথক ছিল এবং উভয়ের মাঝে তিনি চুল খুলেছেন, চিরুনী করেছেন। তাই কিভাবে জায়েয হবে যে, তাঁর এই হজ্জের জন্য তাওয়াফ করা, যার ও উমরার মাঝে উল্লিখিত ইহরাম মুক্ত অবস্থা ছিল, তা উমরা ও হজ্জ উভয়ের জন্য যথেষ্ট হবে ? এটা অসম্ভব। এটা জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আবু যুবাইর (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিকতর সংগত। কেননা সেই হাদীসে জাবির (রাযিঃ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এবং তাতে হজ্জ ও উমরার মাঝে ইহরাম খােলার উল্লেখ নেই।
পক্ষান্তরে এই হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ) বলছেন যে, নবী (ﷺ) তাঁকে হজ্জ শুরু করার পূর্বে উমরা পরিত্যাগ করার এবং ইহরাম থেকে মুক্ত হালাল ব্যক্তির অনুরূপ কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনটি তার হাদীসে উল্লেখ হয়েছে।
এতেও প্রমাণিত হয় যে, আয়েশা (রাযিঃ) থেকে আতা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত এরূপ যেভাবে তাঁর থেকে হাজ্জাজ (রাহঃ) ও আব্দুল মালিক (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। সেরূপ নয় যেভাবে তার থেকে ইবন আবী নাজীহ (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। হজ্জ ও উমরার জন্য একই তাওয়াফের প্রবক্তাগণ নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও দলীল পেশ করেছেন ঃ
আয়েশা (রাযিঃ) সুস্পষ্টরূপে বলছেন যে, তাঁর হজ্জ উমরা থেকে পৃথক ছিল এবং উভয়ের মাঝে তিনি চুল খুলেছেন, চিরুনী করেছেন। তাই কিভাবে জায়েয হবে যে, তাঁর এই হজ্জের জন্য তাওয়াফ করা, যার ও উমরার মাঝে উল্লিখিত ইহরাম মুক্ত অবস্থা ছিল, তা উমরা ও হজ্জ উভয়ের জন্য যথেষ্ট হবে ? এটা অসম্ভব। এটা জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আবু যুবাইর (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত অপেক্ষা অধিকতর সংগত। কেননা সেই হাদীসে জাবির (রাযিঃ) আয়েশা (রাযিঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এবং তাতে হজ্জ ও উমরার মাঝে ইহরাম খােলার উল্লেখ নেই।
পক্ষান্তরে এই হাদীসে আয়েশা (রাযিঃ) বলছেন যে, নবী (ﷺ) তাঁকে হজ্জ শুরু করার পূর্বে উমরা পরিত্যাগ করার এবং ইহরাম থেকে মুক্ত হালাল ব্যক্তির অনুরূপ কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমনটি তার হাদীসে উল্লেখ হয়েছে।
এতেও প্রমাণিত হয় যে, আয়েশা (রাযিঃ) থেকে আতা (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত এরূপ যেভাবে তাঁর থেকে হাজ্জাজ (রাহঃ) ও আব্দুল মালিক (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। সেরূপ নয় যেভাবে তার থেকে ইবন আবী নাজীহ (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। হজ্জ ও উমরার জন্য একই তাওয়াফের প্রবক্তাগণ নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারাও দলীল পেশ করেছেন ঃ
3926 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ: «خَرَجْنَا مُوَافِينَ لِلْهِلَالِ [ص:204] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِالْحَجِّ , فَلْيُهْلِلْ , وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُهِلَّ بِالْعُمْرَةِ , فَلْيُهْلِلْ , فَأَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُهِلُّ بِالْحَجِّ , لِأَنَّ مَعِي الْهَدْيَ. قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ , وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ , وَأَمَّا أَنَا فَإِنِّي أَهْلَلْتُ بِالْعُمْرَةِ , فَوَافَانِي يَوْمُ عَرَفَةَ وَأَنَا حَائِضٌ , فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعِي عَنْكِ عُمْرَتَكِ , وَانْقُضِي شَعْرَكِ , وَامْتَشِطِي , ثُمَّ لَبِّي بِالْحَجِّ فَلَبَّيْتُ بِالْحَجِّ. فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ وَطَهُرْتُ , أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ , فَذَهَبَ بِي إِلَى التَّنْعِيمِ , فَلَبَّيْتُ بِالْعُمْرَةِ» , قَضَاءً لِعُمْرَتِهَا فَبَيَّنَتْ عَائِشَةُ أَنَّ حَجَّتَهَا كَانَتْ مَفْصُولَةً مِنْ عُمْرَتِهَا , قَدْ كَانَتْ فِيمَا بَيْنَهُمَا , نَقَضَتْ شَعْرَهَا وَامْتَشَطَتْ. فَكَيْفَ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ طَوَافُهَا لِحَجَّتِهَا , الَّتِي بَيْنَهَا وَبَيْنَ عُمْرَتِهَا مَا ذَكَرْنَا مِنَ الْإِحْلَالِ يُجْزِئُ عَنْهَا لِعُمْرَتِهَا وَلِحَجَّتِهَا؟ هَذَا مُحَالٌ , وَهُوَ أَوْلَى مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , لِأَنَّ ذَلِكَ إِنَّمَا أَخْبَرَ فِيهِ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِقِصَّةِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَأَنَّهَا لَمْ تَكُنْ حَلَّتْ بَيْنَ عُمْرَتِهَا وَحَجَّتِهَا , وَأَخْبَرَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِي هَذَا بِأَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا قَبْلَ دُخُولِهَا فِي حَجَّتِهَا , أَنْ تَدَعَ عُمْرَتَهَا , وَأَنْ تَفْعَلَ مَا يَفْعَلُ الْحَلَالُ , بِمَا ذَكَرَتْ فِي حَدِيثِهَا. وَدَلَّ ذَلِكَ أَيْضًا عَلَى أَنَّ حَدِيثَ عَطَاءٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , كَمَا رَوَاهُ عَنْهُ الْحَجَّاجُ , وَعَبْدُ الْمَلِكِ , لَا كَمَا رَوَاهُ عَنْهُ ابْنُ أَبِي نَجِيحٍ. وَاحْتَجَّ أَيْضًا الَّذِينَ قَالُوا: يَطُوفُ الْقَارِنُ لِحَجَّتِهِ وَعُمْرَتِهِ طَوَافًا وَاحِدًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৯২৭
কিরান হজ্জে হজ্জ ও উমরার কতটি তাওয়াফ আবশ্যক
৩৯২৭। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) হজ্জ ও উমরাকে একত্রিত করেছেন এবং উভয়টির জন্য এক তাওয়াফ করেছেন। তাদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ব্যাপার, আপনারা এরূপ হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করার প্রয়াস পাচ্ছেন। অথচ আপনারা জাফর ইব্ন মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর পিতার বরাতে জাবির (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইফরাদ হজ্জ আদায় করেছেন। ইব্ন জুরাইজ (রাহঃ), আওযাঈ (রাহঃ), আমর ইব্ন দীনার (রাহঃ) ও কায়স ইব্ন সা'দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তারা আতা (রাহঃ) সূত্রে জাবির (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তারা (সাহাবীগণ) ৪ঠা যিলহজ্জ ভােরে হজ্জের ইহরাম বেঁধে এসেছেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে তা উমরায় পরিবর্তিত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তখন তিনি সাফাতে আখেরী চক্কর দিচ্ছিলেন। সুতরাং আপনারা কিভাবে ঐরূপ রিওয়ায়াতকে গ্রহণ করছেন এবং এরূপ হাদীসকে পরিত্যাগ করছেন ?
তাঁরা যদি এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন ?
তাঁরা যদি এ বিষয়ে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন ?
3927 - بِمَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ , قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , فَطَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا» قِيلَ لَهُمْ: مَا أَعْجَبَ هَذَا , إِنَّكُمْ تَحْتَجُّونَ بِمِثْلِ هَذَا , وَقَدْ رَوَيْتُمْ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ» وَعَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَالْأَوْزَاعِيِّ , وَعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ , وَقَيْسِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُمْ قَدِمُوا صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ , فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَجْعَلُوهَا , وَهُوَ عَلَى الصَّفَا فِي آخِرِ طَوَافٍ " , فَكَيْفَ تَقْبَلُونَ مِثْلَ ذَلِكَ , وَتَدَّعُونَ مِثْلَ هَذَا؟ فَإِنِ احْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান