শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮৬৮
১৭. হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৬৮। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) বলতেন, যে ব্যক্তি হজ্জ ইত্যাদিতে বায়তুল্লাহ্ শরীফে তাওয়াফ করবে সে এর দ্বারা ইহরাম থেকে বের (হালাল) হয়ে যাবে। (রাবী বলেন) আমি বললাম ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এ কথাটি কোথা থেকে গ্রহণ করেছেন ? তিনি বললেন, আল্লাহ্ তা'আলার এই বাণীঃ ثُمَّ مَحِلُّہَاۤ اِلَی الۡبَیۡتِ الۡعَتِیۡقِ “তারপর তাদের কুরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকট" (হাজ্জ ২২ : ৩৩) থেকে (রাবী বলেন) আমি বললাম, এটাতো আরাফাতে অবস্থান করার পরের হুকুম। তিনি উত্তরে বললেন, ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মতে এটা আরাফাতে অবস্থান করার পূর্বে এবং পরে উভয়েরই বিধান। রাবী বলেন, ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এটা নবীর থেকে গ্রহণ করে প্রমাণ পেশ করেছেন। তিনি বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে সাহাবীগণকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বহুবার একথাটি আমাকে বলেছেন।
بَابُ مَنْ أَحْرَمَ بِحَجَّةٍ فَطَافَ لَهَا قَبْلَ أَنْ يَقِفَ بِعَرَفَةَ
3868 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يَقُولُ: لَا يَطُوفُ أَحَدٌ بِالْبَيْتِ حَاجٌّ وَلَا غَيْرُهُ إِلَّا حَلَّ بِهِ. قُلْتُ لَهُ: مِنْ أَيْنَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَأْخُذُ ذَلِكَ؟ . قَالَ: مِنْ قِبَلَ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ "} [الحج: 33] . فَقُلْتُ لَهُ: فَإِنَّمَا ذَلِكَ بَعْدَ الْمُعَرَّفِ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَرَاهُ قَبْلَ الْمُعَرَّفِ وَبَعْدَهُ. قَالَ: وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَأْخُذُهَا مِنْ «أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُحِلُّوا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , قَالَهَا فِي غَيْرِ مَرَّةٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬৯
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৬৯। রবী'উল মুআযিন (রাহঃ) ..... আবু মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উরওয়া (রাহঃ) ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বললেন, হে ইব্ন আব্বাস! আপনি লোকদের বিভ্রান্ত করে ফেলেছেন। তিনি বললেন, হে উরাইয়া তা কিভাবে? তিনি বললেন, আপনি লোকদেরকে ফতোয়া দিচ্ছেন যে, তারা যখন বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করবে তখনই হালাল হয়ে যাবে। অথচ আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) হজ্জের তালবিয়া পাঠ করে আসতেন এবং তাঁরা কুরবানীর দিন পর্যন্ত মুহরিম থাকতেন। ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এই কারণে তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছ? আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে (তাঁর আমল) বর্ণনা করছি। আর তুমি আমাকে আবু বকর (রাযিঃ), উমর (রাযিঃ) থেকে (তাঁদের আমল) বর্ণনা করছ। উরওয়া (রাহঃ) বললেন, আপনার চাইতে আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ্ ﷺ (এর আমল) কে অধিক জানতেন।
3869 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ , أَنَّ عُرْوَةَ قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَضْلَلْتَ النَّاسَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: وَمَا ذَاكَ يَا عُرَيَّةُ؟ قَالَ: تُفْتِي النَّاسَ أَنَّهُمْ إِذَا طَافُوا بِالْبَيْتِ فَقَدْ حَلُّوا , وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَجِيئَانِ مُلَبِّيَيْنِ بِالْحَجِّ فَلَا يَزَالَانِ مُحْرِمَيْنِ إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: بِهَذَا ضَلَلْتُمْ؟ أُحَدِّثُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتُحَدِّثُونِي عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا؟ فَقَالَ عُرْوَةُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَا أَعْلَمَ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭০
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭০। সুলায়মান ইব্ন শুআইব (রাহঃ) ..... আবু হাসান আর-রাক্কাশী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) কে বলল, হে আবু আব্বাস! এটা কিরূপ ফতোয়া, যা আপনার পক্ষ থেকে প্রসিদ্ধ হয়েছে যে, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করবে, সে (ইহরাম মুক্ত হয়ে) হালাল হয়ে যাবে? তিনি বললেন, এটা তোমাদের নবী ﷺ-এর সুন্নত, যদিও তোমরা তা অপছন্দ করছ।
3870 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , قَالَ أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ , قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حَسَّانَ الرَّقَاشِيَّ , أَنَّ " رَجُلًا , قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ , مَا هَذِهِ الْفُتْيَا الَّتِي قَدْ تَفَشَّتْ عَنْكَ؟ أَنَّ مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ فَقَدْ حَلَّ؟ قَالَ: سُنَّةُ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ رَغِمْتُمْ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৩
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭১-৭৩। আলী ইব্ন মা'বাদ (রাহঃ), হুসাইন ইব্ন নসর (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর দরবারে এমন সময় এলাম যখন তিনি 'বাহা' উপত্যকায় অবস্থান করছিলেন। তিনি বললেন, তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? আমি বললাম, আমি নবী ﷺ-এর ন্যায় ইহরাম বেঁধেছি। রসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, তুমি উত্তম করেছ। তুমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ কর, সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ কর। তারপর ইহরাম খুলে ফেল। আমি এরূপ করলাম। তারপর আমি কায়স গোত্রের এক নারীর নিকট এলাম। সে আমার মাথা থেকে উকুন বের করে দিল। আমি লোকদেরকেও এই ফতোয়া দিতে লাগলাম। এরপর উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর (খিলাফতের) যুগ এলো। আমাকে এক ব্যক্তি বলল, হে আব্দুল্লাহ ইব্ন কায়স! তোমার কিছু ফতোয়া ছেড়ে দাও। তোমার জানা নেই, তোমার পরে আমীরুল মু'মিনীন হজ্জের বিধানাবলীতে কি তরীকা জারী করেছেন। আমি বললাম, হে লোকসকল! আমি যাদেরকে ফতোয়া প্রদান করতাম, তাদের সবর করা বাঞ্ছনীয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমীরুল মু'মিনীন অগ্রণী। তাঁর অনুসরণ কর। যখন উমর (রাযিঃ) এলেন, তখন আমি তাঁর নিকট তা উল্লেখ করলাম। উমর (রাযিঃ) আমাকে বললেন, যদি আমরা আল্লাহর কিতাবকে গ্রহণ করি, তাহলে অবশ্যই তা আমাদেরকে (হজ্জের আহকাম) পূর্ণ করার হুকুম প্রদান করে। আর যদি আমরা রসূলূল্লাহ্ ﷺ-এর সুন্নতকে গ্রহণ করি তাহলে তিনি (রসূলুল্লাহ্) ওই সময় পর্যন্ত ইহরাম খুলেননি, যতক্ষণ না কুরবানীর পশু কুরবানী স্থল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।
3871 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ ح
3872 - وَحَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ ح
3873 - وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ , قَالَ: سَمِعْتُ طَارِقَ بْنَ شِهَابٍ , يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ لِي: " بِمَ أَهْلَلْتَ؟ قَالَ قُلْتُ: أَهْلَلْتُ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ أَحْسَنْتَ , طُفْ بِالْبَيْتِ , وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ أَحْلِلْ " فَفَعَلْتُ. فَأَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَيْسٍ فَفَلَّتْ رَأْسِي فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ , حَتَّى كَانَ زَمَانُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ , رُوَيْدًا بَعْضَ فُتْيَاكَ , فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ فَقُلْتُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ فُتْيَا فَلْيَتَّئِدْ , فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ فَبِهِ فَائْتَمُّوا. فَلَمَّا قَدِمَ عُمَرُ أَتَيْتُهُ , فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ , فَقَالَ لِي عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللهِ , فَإِنَّ كِتَابَ اللهِ يَأْمُرُنَا بِالْإِتْمَامِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى بَلَغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ»
3872 - وَحَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ ح
3873 - وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ , قَالُوا: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ , قَالَ: سَمِعْتُ طَارِقَ بْنَ شِهَابٍ , يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ لِي: " بِمَ أَهْلَلْتَ؟ قَالَ قُلْتُ: أَهْلَلْتُ كَإِهْلَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَدْ أَحْسَنْتَ , طُفْ بِالْبَيْتِ , وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ أَحْلِلْ " فَفَعَلْتُ. فَأَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَيْسٍ فَفَلَّتْ رَأْسِي فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ , حَتَّى كَانَ زَمَانُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ , رُوَيْدًا بَعْضَ فُتْيَاكَ , فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ فَقُلْتُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ فُتْيَا فَلْيَتَّئِدْ , فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ فَبِهِ فَائْتَمُّوا. فَلَمَّا قَدِمَ عُمَرُ أَتَيْتُهُ , فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ , فَقَالَ لِي عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللهِ , فَإِنَّ كِتَابَ اللهِ يَأْمُرُنَا بِالْإِتْمَامِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى بَلَغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭২
empty
৩৮৭২।
- 3872

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৩
empty
৩৮৭৩।
- 3873

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৫
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭৪-৭৫। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... জা'ফর ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর পিতা (মুহাম্মাদ র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমরা জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলাম, এবং তাঁকে রসূলুল্লাহ ﷺ-এর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ (মদীনাতে) নয় বছর অবস্থান করেছেন কিন্তু তখনও তিনি হজ্জ পালন করেননি। তারপর দশম বছরে লোকদের মাঝে হজ্জের ঘোষণা দিয়ে বললেন যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ হজ্জ পালন করবেন তারপর মদীনাতে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটল, সকলে রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর অনুসরণের প্রত্যাশী ছিলো। তারপর আমরা (হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে) বের হলাম যখন আমরা ফুলহুলায়ফায় পৌছলাম, রসূলুল্লাহ্ ﷺ মসজিদে দুই রাক'আত সালাত আদায় করলেন। এরপর 'কাওয়া’ উঠনীর উপর আরোহণ করলেন। যখন সাওয়ারী 'বায়দা' নামক স্থানে পৌঁছল তখন রসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদের মাঝে ছিলেন এবং তাঁর উপর কুরআন অবতীর্ণ হচ্ছিল। আর তিনি এর অর্থ অনুধাবন করছিলেন। তিনি যা আমল করেছেন আমরাও তা আমল করেছি। তিনি শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন এবং লোকেরাও বেঁধেছেন। রসূলুল্লাহ্ ﷺ এর অতিরিক্ত কিছু করেননি। তিনি এই হজ্জের তালবিয়া পাঠকে আবশ্যক করেছেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমরা উমরাকে জানতাম না। অবশেষে যখন আমরা মারওয়ায় উমরার আখেরী চক্করে ছিলাম তখন তিনি বললেন, যদি আমার সেই বিষয়টি প্রথমে জানা থাকত যা এখন জ্ঞাত হয়েছি (অর্থাৎ তামাত্তু) তাহলে হাদী নিয়ে আসতাম না এবং এটা (হজ্জ) কে উমরা দ্বারা পরিবর্তন করে দিতাম। সুতরাং যার কাছে হাদী নেই সে (তাওয়াফের পর) ইহরাম থেকে বের হয়ে যেন ওটাকে উমরায় পরিবর্তন করে দেয়। তখন লোকেরা ইহরাম খুলে ফেলল এবং চুল কাটল। কেবল নবী ﷺ এবং ঐ সমস্ত লোকেরা ব্যতীত যাদের সঙ্গে হাদী ছিল। সুরাকা ইবন মালিক ইবন জু'শুম (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাদের এই উমরা কি এই বছরের জন্য, না সর্বদার জন্য? রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ এক অঙ্গুলীকে অন্য অঙ্গুলীর মাঝে ঢুকিয়ে দিয়ে বললেন, উমরা হজ্জের মাঝে এভাবে (অঙ্গুলীর ন্যায়) ঢুকে গিয়েছে। একথা তিনি দু'বার বললেন। তারপর রসূলুল্লাহ্ ﷺ এবং যাদের কাছে হাদী ছিলো তাঁরা ব্যতীত সমস্ত লোকেরা ইহরাম খুলে ফেললেন এবং চুল কেটে ফেললেন।
আবু-জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ নবী ﷺ কে সুরাকা (রাযিঃ) কর্তৃক প্রশ্ন করা এবং তাঁকে তাঁর উত্তর প্রদানে এই সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে যে, এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো, হজ্জের মাসগুলোতে আমাদের এই উমরা সর্বদার জন্য, না শুধু এই বছরের জন্য? কেননা ইতিপূর্বে তাদের কাছে হজ্জের মাসগুলোতে উমরা প্রচলিত ছিল না। বরং এটাকে তারা অত্যন্ত বড় গুনাহের কাজ মনে করত। তাই নবী ﷺ তাঁকে উত্তর প্রদান করে বললেন যে, সর্বদার জন্য এই উমরার হুকুম।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) ..... জা'ফর ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি সুরাকা (রাযিঃ)-এর প্রশ্ন এবং নবী ﷺ কর্তৃক তাঁকে উত্তর প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন নি।
আবু-জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ নবী ﷺ কে সুরাকা (রাযিঃ) কর্তৃক প্রশ্ন করা এবং তাঁকে তাঁর উত্তর প্রদানে এই সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে যে, এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো, হজ্জের মাসগুলোতে আমাদের এই উমরা সর্বদার জন্য, না শুধু এই বছরের জন্য? কেননা ইতিপূর্বে তাদের কাছে হজ্জের মাসগুলোতে উমরা প্রচলিত ছিল না। বরং এটাকে তারা অত্যন্ত বড় গুনাহের কাজ মনে করত। তাই নবী ﷺ তাঁকে উত্তর প্রদান করে বললেন যে, সর্বদার জন্য এই উমরার হুকুম।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) ..... জা'ফর ইবন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি সুরাকা (রাযিঃ)-এর প্রশ্ন এবং নবী ﷺ কর্তৃক তাঁকে উত্তর প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন নি।
3874 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَدِينِيُّ , قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ حَجَّةِ , رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: " إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَثَ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ , ثُمَّ أُذِّنَ فِي النَّاسِ فِي الْعَاشِرَةِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجٌّ. فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجْنَا حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا ذَا الْحُلَيْفَةِ , فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ , ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ , حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ , وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا وَيَنْزِلُ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ وَهُوَ يَعْرِفُ تَأْوِيلُهُ , مَا عَمِلَ مِنْ شَيْءٍ عَمِلْنَا بِهِ , فَأَهَلَّ بِالتَّوْحِيدِ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهَذَا الَّذِي يُهِلُّونَ بِهِ , وَلَمْ يَرُدَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ شَيْئًا , وَلَزِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَلْبِيَتَهُ. قَالَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: لَسْنَا نَنْوِي إِلَّا الْحَجَّ , لَسْنَا نَعْرِفُ الْعُمْرَةَ , حَتَّى إِذَا كُنَّا آخِرَ طَوَافٍ عَلَى الْمَرْوَةِ قَالَ إِنِّي لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ , مَا سُقْتُ الْهَدْيَ , وَلَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً , فَمَنْ كَانَ لَيْسَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَحْلِلْ وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً فَحَلَّ النَّاسُ , وَقَصَّرُوا إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَمَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ. فَقَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , عُمْرَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا , أَمْ لِلْأَبَدِ؟ فَقَالَ: فَشَبَّكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابِعَهُ فِي الْأُخْرَى فَقَالَ: «دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ , هَكَذَا , فِي الْحَجِّ مَرَّتَيْنِ فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا , إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَقَوْلُ سُرَاقَةَ هَذَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَجَوَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ , يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ بِهِ عُمْرَتَنَا هَذِهِ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ لِلْأَبَدِ , أَوْ لِعَامِنَا هَذَا , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْرِفُونَ الْعُمْرَةَ فِيمَا مَضَى فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ , وَيَعُدُّونَ ذَلِكَ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ «هِيَ لِلْأَبَدِ»
3875 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , وَفَهْدٌ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , عَنِ ابْنِ الْهَادِ , عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَ سُرَاقَةَ وَلَا جَوَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ
3875 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , وَفَهْدٌ , قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , عَنِ ابْنِ الْهَادِ , عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ سُؤَالَ سُرَاقَةَ وَلَا جَوَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৫
empty
৩৮৭৫।
- 3875

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৬
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭৬। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ ৪ঠা যিলহাজ্জ মক্কায় আগমন করেন। যখন বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ সম্পাদন করে ফেললেন, তখন তিনি বললেন, এটাকে উমরা দ্বারা পরিবর্তন করে নাও। যখন আট-ই যিলহাজ্জের দিন হলো তখন তিনি (হজ্জের ইহরাম বাঁধেন) এবং তালবিয়া পাঠ করেন। কুরবানীর দিন (আরাফাত থেকে) ফিরে এসে বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করলেন; কিন্তু সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করেন নি।
3876 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ لِأَرْبَعٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ. فَلَمَّا طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْعَلُوهَا عُمْرَةً» فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ لَبَّوْا , فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ , قَدِمُوا فَطَافُوا بِالْبَيْتِ , وَلَمْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৭
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭৭। আবু বাকরা (রাহঃ) ..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা ৪ঠা যিলহজ্জ ভোরে রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সঙ্গে মক্কায় আসি। তিনি আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। আমরা বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইহরাম থেকে কোন ধরনের হালাল হবো? তিনি বললেন, পূর্ণাঙ্গরূপে বের হওয়া (অর্থাৎ যা কিছু ইহরামের কারণে হারাম ছিলো এখন তা সব হালাল)। আমি যদি পূর্বে এ বিষয়ে অবহিত হতাম যা এখন জ্ঞাত হয়েছি, তাহলে আমি সেইরূপ করতাম যে রূপ তোমরা করছ।
3877 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ , قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , قَالَ: ثنا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ , صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ , فَأَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ , قُلْنَا: أَيُّ حِلٍّ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ , فَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ , لَصَنَعْتُ مِثْلَ الَّذِي تَصْنَعُونَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৮
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭৮। মুহাম্মাদ ইব্ন হুমাইদ আর-রুআইনী (রাহঃ) ..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা যখন বিদায় হজ্জের প্রাক্কালে রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সঙ্গে মক্কায় এলাম, তিনি লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা কিসের ইহরাম বেধেছ? কেউ বললেন, আমরা হজ্জের ইহরাম বেঁধেছি। আবার কেউ কেউ বললেন, আমরা তামাত্তু পালনকারী হিসেবে ইহরাম বেঁধেছি। পক্ষান্তরে, অপর একদল বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! আমরা সেই ইহরাম বেঁধেছি যা আপনি বেঁধেছেন। রসূলুল্লাহ্ ﷺ তাঁদেরকে বললেন, যে ব্যক্তি হাদী ব্যতীত এসেছে সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আমি যদি পূর্বে সেই বিষয়ে অবহিত হতাম যা এখন জ্ঞাত হয়েছি, তাহলে আমি হাদী নিয়ে আসতাম না এবং আমি ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুরাকা ইব্ন মালিক ইব্ন জু’শুম (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের এই উমরা কি এই বছরের জন্য, না সর্বকালের জন্য? তিনি ﷺ বললেন, না, বরং সর্বকালের জন্য।
3878 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرُّعَيْنِيُّ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ , عَنْ خُصَيْفٍ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: لَمَّا قَدِمْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , سَأَلَ النَّاسَ: «بِمَا أَحْرَمْتُمْ؟» فَقَالَ أُنَاسٌ أَهْلَلْنَا بِالْحَجِّ وَقَالَ آخَرُونَ قَدِمْنَا مُتَمَتِّعِينَ وَقَالَ آخَرُونَ أَهْلَلْنَا بِإِهْلَالِكَ يَا رَسُولَ اللهِ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كَانَ قَدِمَ وَلَمْ يَسُقْ هَدْيًا فَلْيَحْلِلْ , فَإِنِّي لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْيَ , حَتَّى أَكُونَ حَلَالًا. فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنُ جُعْشُمٍ: يَا رَسُولَ اللهِ , عُمْرَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا , أَمْ لِلْأَبَدِ؟ فَقَالَ بَلْ لِأَبَدِ الْأَبَدِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৭৯
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৭৯। ফাহাদ (রাহঃ) ..... জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ এবং তার সঙ্গে আমরাও শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলাম। তারপর যখন আমরা ৪ঠা যিলহজ্জ মক্কায় পৌছলাম, তখন আমরা বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করলাম, সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহর নির্দেশ জারী করলেন, যে হাদী নিয়ে আসে নি। সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আমরা ভাবলাম যে, আরাফাত থেকে যেতে শুধু পাঁচ দিন অবশিষ্ট আছে। আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার হুকুম দেয়া হয়েছে। এখন আমরা কি স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করে এমন অবস্থায় আরাফাতে যাব ? যে আমাদের পুরুষাঙ্গগুলাে থেকে মযীর (বীর্য পূর্ব তরল পদার্থের) ফোঁটা ঝরতে থাকবে। রাসূলুল্লাহ্ নিজে ইহরাম খুলেন নি। যেহেতু তিনি হাদী নিয়ে এসেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ -এর নিকট আমাদের আলােচনার বিষয় পৌছে গেল, তিনি দাঁড়িয়ে লােকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। আল্লাহ্ তা'আলার প্রশংসার পরে সাহাবীগণের সেই কথার উল্লেখ করলেন যা তার নিকট পৌছে ছিলাে। তিনি বললেন, তােমরা অবহিত আছ যে, আমি তােমাদের মাঝে সর্বক্ষো সত্যনিষ্ঠ, মুত্তাকী ও পুণ্যবান। আমি যদি হাদী নিয়ে না আসতাম তাহলে ইহুরাম খুলে ফেলতাম। আমি যদি পূর্বে সেই বিষয়ে অবহিত থাকতাম যা এখন জ্ঞাত আছি, তাহলে আমি হাদী নিয়ে আসতাম না। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমরা শুনলাম এবং আনুগত্য করে ইহরাম খুলে ফেললাম।
3879 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: " أَهَلَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْلَلْنَا مَعَهُ بِالْحَجِّ خَالِصًا , حَتَّى إِذَا قَدِمْنَا مَكَّةَ رَابِعَةَ ذِي الْحِجَّةِ , فَطُفْنَا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ هَدْيًا أَنْ يَحِلَّ , قَالَ: وَلَمْ يَعْزِمْ فِي أَمْرِ النِّسَاءِ. قَالَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَقُلْنَا تَرَكَنَا , حَتَّى إِذَا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا خَمْسُ لَيَالٍ , أَمَرَنَا نَحِلُّ , فَنَأْتِيَ عَرَفَاتٍ وَالْمَذْيُ يَقْطُرُ مِنْ مَذَاكِيرِنَا , وَلَمْ يَحْلِلْ هُوَ , فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ سَاقَ الْهَدْيَ فَبَلَغَ قَوْلُنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ , فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ , ثُمَّ ذَكَرَ الَّذِي بَلَغَهُ مِنْ قَوْلِهِمْ فَقَالَ لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَصْدَقُكُمْ وَأَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَبَرُّكُمْ , وَلَوْلَا أَنِّي سُقْتُ الْهَدْيَ لَحَلَلْتُ , وَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ , مَا أَهْدَيْتُ ". قَالَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا فَحَلَلْنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮০
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮০। ইব্ন মারমূক (রাহঃ) ..... আবুয যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জাবির (রাযিঃ) থেকে শুনেছেন, যখন তিনি নবী (ﷺ) -এর হজ্জ সম্পর্কে বলছিলেন। যখন আমরা তাওয়াফ করে ফেলেছি তখন আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ বলেছেন : যখন তােমরা মিনা যেতে ইচ্ছা করবে তখন ইহরাম বেঁধে নিবে। তারপর আমরা বাতহা’ নামক স্থান থেকে ইহরাম বেঁধেছি ।
3880 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا مَكِّيٌّ , قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ , أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا , وَهُوَ يُخْبِرُ عَنْ حَجَّةِ النَّبِيِّ , صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " أَمَرَنَا بَعْدَمَا طُفْنَا أَنْ نَحِلَّ , وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَرَدْتُمْ أَنْ تَنْطَلِقُوا إِلَى مِنًى , فَأَهِّلُوا» فَأَهْلَلْنَا مِنَ الْبَطْحَاءِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮১
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮১। মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল্লাহ ইবন মায়মুনা (রাহঃ) ..... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ -এর সঙ্গে যুলহুলায়ফা থেকে শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছি। এর সঙ্গে উমরাকে মিলিত করে নি। ৪ঠা যিলহজ্জ আমরা মক্কা পৌছলাম যখন আমরা বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার সাঈ করে ফেললাম, তখন রাসূলুল্লাহ আমাদেরকে ওই ইহরামকে উমরাতে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিলেন এবং আমাদের জন্য স্ত্রীদের নিকট যাওয়া জায়েয সাব্যস্ত করলেন। আমরা ভাবলাম যে, নয়-ই যিলহজ্জ তথা আরাফার দিন পর্যন্ত মাত্র পাঁচ রাত অবশিষ্ট আছে। আমরা কি আরাফাতের দিকে স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করে এমন অবস্থায় বের হব যে, আমাদের কারাে কারাে পুরুষাঙ্গ থেকে বীর্য ঝরছে ? রাসূলুল্লাহ্ (এই আলােচনা শুনে) বললেন, অবশ্যই আমি তােমাদের মাঝে সর্বাপ্রেক্ষা নেককার ও সত্যনিষ্ঠ। যদি আমার সঙ্গে হাদী না থাকত তাহলে আমিও ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুরাকা ইন মালিক ইবন জু’শুম (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের এই তামাত্তু এই বছরের জন্যই নির্দিষ্ট না সর্বদার জন্য এই বিধান। রাসূলুল্লাহ্ -বললেন এই বিধান সর্বকালের জন্য। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে সুরাকা (রাযিঃ)-এর প্রশ্ন যা এই হাদীসে উল্লেখ হয়েছে, বস্তুত তা ছিলাে তামাত্তু হজ্জ আদায়কারীর ব্যাপারে। অর্থাৎ আমরা যে হজ্জ আরম্ভ করেছিলাম তা উমরায় পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। এর পর আমরা ইহরাম খুলে ফেলার পরে পুন বার হজ্জের জন্য ইহরাম বেঁধেছি। সুতরাং আমরা তামাত্তু হজ্জ আদায়কারী হয়ে গিয়েছি। এখন আমাদের এই তামাত্তু কি এই বছরের জন্য নির্দিষ্ট যে, আগামীতে আমরা এরূপ করব না ? না আমরা সর্বদা হজ্জের সঙ্গে উমরার লাভালাভ হাসিল করতে পারব, যেভাবে আমরা এই বছর সুবিধা উঠিয়েছি। রাসূলুল্লাহ বললেন, বরং এই হুকুম সর্বদার জন্য।
কিন্তু বিষয় এরূপ নয় যে, আগামীতেও বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করে আরাফা দিবসের পূর্বে হজ্জের ইহরাম তারা খুলে ফেলবে। অতিসত্বর আমরা এই অনুচ্ছেদের পরে এই গ্রন্থেই রাসূলুল্লাহ্ থেকে রিওয়ায়াত করব, যাতে প্রতীয়মান হয় যে, তাদের আরাফাতে যাওয়ার পূর্বে ইহরাম খুলে ফেলা তাদের জন্য বিশেষ বিধান হিসেবে ছিলাে তাদের পরবর্তীদের জন্য এর অনুমতি নেই। আমরা ইনশাআল্লাহ্! এই বিষয়টি যথাস্থানে উল্লেখ করব।
কিন্তু বিষয় এরূপ নয় যে, আগামীতেও বায়তুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ এবং সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করে আরাফা দিবসের পূর্বে হজ্জের ইহরাম তারা খুলে ফেলবে। অতিসত্বর আমরা এই অনুচ্ছেদের পরে এই গ্রন্থেই রাসূলুল্লাহ্ থেকে রিওয়ায়াত করব, যাতে প্রতীয়মান হয় যে, তাদের আরাফাতে যাওয়ার পূর্বে ইহরাম খুলে ফেলা তাদের জন্য বিশেষ বিধান হিসেবে ছিলাে তাদের পরবর্তীদের জন্য এর অনুমতি নেই। আমরা ইনশাআল্লাহ্! এই বিষয়টি যথাস্থানে উল্লেখ করব।
3881 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ , قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ , عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ عَطَاءٍ , أَنَّهُ سَمِعَهُ يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , قَالَ: " أَهْلَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ بِالْحَجِّ خَالِصًا , لَا نَخْلِطُهُ بِعُمْرَةٍ. فَقَدِمْنَا مَكَّةَ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ , فَلَمَّا طُفْنَا بِالْبَيْتِ , وَسَعَيْنَا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَجْعَلَهَا عُمْرَةً , وَأَنْ نَخْلُوَ إِلَى النِّسَاءِ. فَقُلْنَا: لَيْسَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا خَمْسُ لَيَالٍ , فَنَخْرُجُ إِلَيْهَا وَذَكَرُ أَحَدِنَا يَقْطُرُ مَنِيًّا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَأَبَرُّكُمْ وَأَصْدَقُكُمْ , فَلَوْلَا الْهَدْيُ , لَحَلَلْتُ فَقَامَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ مُتْعَتُنَا هَذِهِ , لِعَامِنَا هَذَا أَمْ لِلْأَبَدِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَلْ لِأَبَدِ الْأَبَدِ " فَكَانَ سُؤَالُ سُرَاقَةَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَذْكُورُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى الْمُتْعَةِ , أَيْ: أَنَّا قَدْ صَارَتْ حَجَّتُنَا الَّتِي كُنَّا دَخَلْنَا أَوَّلًا , عُمْرَةً , ثُمَّ قَدْ أَحْرَمْنَا بَعْدَ حِلِّنَا مِنْهَا بِحَجَّةٍ فَصِرْنَا مُتَمَتِّعِينَ , فَمُتْعَتُنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا خَاصَّةً , فَلَا نَفْعَلُ ذَلِكَ فِيمَا بَعْدُ أَمْ لِلْأَبَدِ؟ فَنَتَمَتَّعُ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ , كَمَا تَمَتَّعْنَا فِي عَامِنَا هَذَا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَلْ لِلْأَبَدِ "وَلَيْسَ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ لَهُمْ فِيمَا بَعْدُ أَنْ يَحِلُّوا مِنْ حَجَّةٍ قَبْلِ عَرَفَةَ , لِطَوَافِهِمْ بِالْبَيْتِ , وَلِسَعْيِهِمْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. وَسَنَذْكُرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا بَعْدَ هَذَا مِنْ هَذَا الْكِتَابِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ الْإِحْلَالَ الَّذِي كَانَ مِنْهُمْ قَبْلَ عَرَفَةَ , خَاصًّا لَهُمْ , لَيْسَ لِمَنْ بَعْدَهُمْ , وَنَضَعُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮২
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮২। মুহাম্মাদ ইব্ন খুয়ায়মা (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের তালবিয়া পাঠ করতে করতে মক্কায় আগমন করেন। রাসূলুল্লাহ বললেন, যে ব্যক্তি চায় এটাকে যেন সে উমরায় পরিবর্তিত করে দেয়। হ্যাঁ সে সমস্ত লােক ছাড়া যাদের সঙ্গে হাদী রয়েছে।
3882 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: ثنا حُمَيْدٌ , عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ قَدِمُوا مَكَّةَ مُلَبِّينَ بِالْحَجِّ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ شَاءَ أَنْ يَجْعَلَهَا عُمْرَةً , إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৩
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮৩। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা শুধু মাত্র হজ্জের জন্য বের হয়েছিলাম যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কায় আগমন করলেন তিনি তাওয়াফ করলেন এবং ইহরাম খুললেন না, কেননা তার সঙ্গে হাদী বিদ্যমান ছিলাে। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীগণ ও সাহাবীগণও তাওয়াফ করেন। আর যাদের সঙ্গে হাদী ছিলাে না তারা ইহরাম খুলেন।
3883 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , " عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا وَلَا نَرَى إِلَّا أَنَّهُ الْحَجُّ , فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ , طَافَ وَلَمْ يَحِلَّ , وَكَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ , فَطَافَ مَنْ مَعَهُ مِنْ نِسَائِهِ وَأَصْحَابِهِ , فَحَلَّ مِنْهُمْ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الْهَدْيُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৪
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮৪। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা মদীনা থেকে হজ্জ পালনের জন্য উঁচু আওয়াজে (তালবিয়া পাঠ করতে করতে) বের হই। যখন আমরা (মক্কা) পৌছলাম তখন (বায়তুল্লাহর) তাওয়াফ করি রাসূলুল্লাহ বললেন, এটা (হজ্জ) কে উমরা দ্বারা পরিবর্তিত করে নাও, সেই সমস্ত লােক ব্যতীত যাদের সঙ্গে হাদী রয়েছে। তারপর আরাফার বিকালে (আটই যিলকুজ্জ) আমরা হজ্জের ইহরাম বাঁধি।
3884 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ , قَالَ: ثنا دَاوُدُ , عَنْ أَبِي نَضْرَةَ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , قَالَ: خَرَجْنَا مِنَ الْمَدِينَةِ نَصْرُخُ بِالْحَجِّ صُرَاخًا , فَلَمَّا قَدِمْنَا طُفْنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْعَلُوهَا عُمْرَةً , إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الْهَدْيُ» فَلَمَّا كَانَ عَشِيَّةُ عَرَفَةَ , أَهْلَلْنَا بِالْحَجِّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৫
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮৫। নসর ইন মারযূক (রাহঃ) ..... আসমা বিন্ত আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের ইহরাম বেঁধে আগমন করেন। যুবাইর (রাযিঃ)-এর সঙ্গে হাদী ছিলাে। রাসূলুল্লাহ্ সাহাবীগণকে বললেন, যার সঙ্গে হাদী নেই। সে যেন ইহরাম খুলে ফেলে। আসমা (রাযিঃ) বলেন সেই বছর আমার সঙ্গে হাদী ছিলাে না। সুতরাং আমি ইহরাম খুলে ফেলি।
3885 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , عَنْ مَنْصُورٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ أُمِّهِ , عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ , وَكَانَ مَعَ الزُّبَيْرِ الْهَدْيُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: «مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الْهَدْيُ فَلْيَحْلِلْ» قَالَتْ: فَلَمْ يَكُنْ مَعِي عَامَئِذٍ , هَدْيٌ , فَأَحْلَلْتُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৬
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮৬। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) মদীনাতে যুহরের চার রাকআত সালাত আদায় করেন। যুলহুলায়ফাতে আসরের দু'রাক'আত আদায় করেন এবং ভাের পর্যন্ত সেখানে রাত কাটান। ফজরের সালাত আদায় করার পর তিনি সাওয়ারীর উপর আরােহণ করেন, যখন সেটি দাঁড়াল তখন তিনি তাসবীহ্ ও তাকবীর পাঠ করলেন। তারপর যখন তাঁর সাওয়ারী ‘বায়দা নামক স্থানে পৌছল, তখন তিনি (হজ্জ ও উমরা) উভয়ের তালবিয়া পাঠ করলেন। যখন আমরা মক্কা পৌছলাম তখন রাসূলুল্লাহ সাহাবীগণকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপর আটই যিলহজ্জ তাঁরা হজ্জের ইহরাম বাঁধেন।
3886 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ , قَالَ: ثنا وُهَيْبٌ , قَالَ: ثنا أَيُّوبُ , عَنْ أَبِي قِلَابَةَ , عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا , وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ , وَبَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ , فَلَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ , رَكِبَ رَاحِلَتَهُ , فَلَمَّا انْبَعَثَتْ بِهِ , سَبَّحَ وَكَبَّرَ , حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ جَمَعَ بَيْنَهُمَا فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَحِلُّوا «, فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৮৭
হজ্জের ইহরাম পালনকারী উকুফে আরাফা (আরাফাতে অবস্থান)-এর পূর্বে তাওয়াফ করা প্রসঙ্গে
৩৮৮৭। ইবন মারযূক (রাহঃ) ..... মাকিল ইবন ইয়াসার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা নবী (ﷺ) -এর সঙ্গে হজ্জ পালন করেছি। আমরা আয়েশা (রাযিঃ)-কে এমন অবস্থায় পাই যে, তিনি তাঁর (ইহরামের কাপড় খুলে রাখছেন। তিনি তাকে বললেন, তােমার কি হলাে? তিনি বললেন, আমি সংবাদ প্রাপ্ত হয়েছি যে, আপনি ইহরাম খুলে ফেলেছেন এবং আপনার পরিজনও ইহরাম খুলে ফেলেছেন। তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি ইহরাম খুলবে যার সঙ্গে হাদী নেই। কিন্তু আমরা আরাফাতে যাওয়ার পূর্বে ইহরাম খুলব না। কেননা আমাদের সঙ্গে হাদী রয়েছে।
আবু জাফর তাহাৰী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং এগুলাের অনুসরণ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি আরাফাতে উকুফ তথা অবস্থান করার পূর্বে বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করবে এমন অবস্থায় সে হাদী সঙ্গে নিয়ে আসেনি তাহলে সে ইহরাম খুলতে পারবে। পক্ষান্তরে অপরাপর । আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ শুরু করে দেয়া সে তা পূন না করা পর্যন্ত পরিত্যাগ করতে পারবে না ।
ইয়াওমুন নাহার তথা ১০ তারিখের পূর্বে তাওয়াফ ইত্যাদি কোন আমলের ভিত্তিতেও সে ইহরাম খুলতে পারবে না। তারা বলেন, তােমরা আল্লাহ্ তা'আলার যে বাণী ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ “অতঃপর তাদের কুরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকট” (হাজ্জ- ২২ ঃ ৩৩)
এটা কুরবানীর পশুদের ব্যাপারে হাজীদের ব্যাপারে নয়। আর এখানে প্রাচীন গৃহ’ দ্বারা সমস্ত হারাম শরীফকে বুঝানাে হয়েছে। যেমনিভাবে অন্য আয়াতে বলেছেনঃ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ “যে পর্যন্ত হাদী তার কুরবানীর স্থান পর্যন্ত না পৌঁছে”। (বাকারা- ২ঃ ১৯৬)
সুতরাং হারাম শরীফ হাদীর গন্তব্য স্থল। কেননা এটাকে সেখানে জবাই করা হয়। কিন্তু হজ্জে মানুষের গন্তব্যগুলাে কুরবানী দিন।
প্রথমােক্ত মত পােষণকারীগণ উল্লিখিত যে সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাহাবীগণকে আরাফাতে অবস্থানের পূর্বে তাওয়াফের কারণে হজ্জের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাদের মতে এটা সেই সমস্ত সাহাবীগণের হজ্জের সঙ্গে নির্দিষ্ট, তাঁদের পরবর্তী অপরাপর লােকদের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। এর প্রমাণ হলো নিম্মোক্ত হাদীস।
আবু জাফর তাহাৰী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং এগুলাের অনুসরণ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি আরাফাতে উকুফ তথা অবস্থান করার পূর্বে বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করবে এমন অবস্থায় সে হাদী সঙ্গে নিয়ে আসেনি তাহলে সে ইহরাম খুলতে পারবে। পক্ষান্তরে অপরাপর । আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরােধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ শুরু করে দেয়া সে তা পূন না করা পর্যন্ত পরিত্যাগ করতে পারবে না ।
ইয়াওমুন নাহার তথা ১০ তারিখের পূর্বে তাওয়াফ ইত্যাদি কোন আমলের ভিত্তিতেও সে ইহরাম খুলতে পারবে না। তারা বলেন, তােমরা আল্লাহ্ তা'আলার যে বাণী ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ “অতঃপর তাদের কুরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকট” (হাজ্জ- ২২ ঃ ৩৩)
এটা কুরবানীর পশুদের ব্যাপারে হাজীদের ব্যাপারে নয়। আর এখানে প্রাচীন গৃহ’ দ্বারা সমস্ত হারাম শরীফকে বুঝানাে হয়েছে। যেমনিভাবে অন্য আয়াতে বলেছেনঃ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ “যে পর্যন্ত হাদী তার কুরবানীর স্থান পর্যন্ত না পৌঁছে”। (বাকারা- ২ঃ ১৯৬)
সুতরাং হারাম শরীফ হাদীর গন্তব্য স্থল। কেননা এটাকে সেখানে জবাই করা হয়। কিন্তু হজ্জে মানুষের গন্তব্যগুলাে কুরবানী দিন।
প্রথমােক্ত মত পােষণকারীগণ উল্লিখিত যে সমস্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাহাবীগণকে আরাফাতে অবস্থানের পূর্বে তাওয়াফের কারণে হজ্জের ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাদের মতে এটা সেই সমস্ত সাহাবীগণের হজ্জের সঙ্গে নির্দিষ্ট, তাঁদের পরবর্তী অপরাপর লােকদের জন্য এই বিধান প্রযোজ্য হবে না। এর প্রমাণ হলো নিম্মোক্ত হাদীস।
3887 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ , عَنْ أَبِي مَلِيحٍ , عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ , قَالَ: " حَجَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدْنَا عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تَنْزِعُ ثِيَابَهَا. فَقَالَ لَهَا مَا لَكَ قَالَتْ: أُنْبِئْتُ أَنَّكَ قَدْ أَحْلَلْتَ وَأَحْلَلْتَ أَهْلَكَ. فَقَالَ: «أَحَلَّ مَنْ لَيْسَ مَعَهُ هَدْيٌ , فَأَمَّا نَحْنُ فَلَمْ نَحْلِلْ لِأَنَّ مَعَنَا هَدْيًا حَتَّى نَبْلُغَ عَرَفَاتٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَقَلَّدُوهَا , وَقَالُوا: مَنْ طَافَ بِالْبَيْتِ قَبْلَ وُقُوفِهِ بِعَرَفَةَ , وَلَمْ يَكُنْ سَاقَ هَدْيًا , فَقَدْ حَلَّ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: لَيْسَ لِأَحَدٍ دَخَلَ فِي حَجَّةٍ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهَا إِلَّا بِتَمَامِهَا , وَلَا يُحِلُّهُ مِنْهَا شَيْءٌ قَبْلَ يَوْمِ النَّحْرِ , مِنْ طَوَافٍ وَلَا غَيْرِهِ. وَقَالُوا: أَمَّا مَا ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ "} [الحج: 33] فَهَذَا فِي الْبُدْنِ لَيْسَ فِي الْحَاجِّ , وَمَعْنَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ هَاهُنَا , هُوَ الْحَرَمُ كُلُّهُ , كَمَا قَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ "} [البقرة: 196] فَالْحَرَمُ هُوَ مَحِلُّ الْهَدْيِ , لِأَنَّهُ يُنْحَرُ فِيهِ , فَأَمَّا بَنُو آدَمَ , فَإِنَّمَا مَحِلُّهُمْ فِي حَجِّهِمْ يَوْمُ النَّحْرِ. وَأَمَّا مَا احْتَجُّوا بِهِ مِنَ الْآثَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَمْرِهِ أَصْحَابَهُ بِالْحِلِّ مِنْ حَجِّهِمْ , بِطَوَافِهِمُ الَّذِي طَافُوهُ قَبْلَ عَرَفَةَ , فَإِنَّ ذَلِكَ، عِنْدَنَا، كَانَ خَاصًّا لَهُمْ فِي حَجَّتِهِمْ تِلْكَ , دُونَ سَائِرِ النَّاسِ بَعْدَهُمْ. وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান