শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮৫৭
১৬. ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৫৭। ইউনুস ইব্ন আব্দুল আ'লা (রাহঃ) ..... জুবাইর ইবন মুতঈম (রাযিঃ) থেকে মারফূরূপে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ হে বানূ আব্দুল মুত্তালিব! তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে কাউকে তোমরা বাধা দিওনা।
بَابُ الصَّلَاةِ لِلطَّوَافِ بَعْدَ الصُّبْحِ , وَبَعْدَ الْعَصْرِ
3857 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى , قَالَ: أنا سُفْيَانُ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنِ ابْنِ بَابَاهُ , عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعَمٍ رَفَعَهُ أَنَّهُ قَالَ: «يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ , لَا تَمْنَعُوا أَحَدًا يَطُوفُ بِهَذَا الْبَيْتِ وَيُصَلِّي أَيَّ سَاعَةٍ شَاءَ , مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৫৮
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৫৮। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ হে বানূ আব্দ মানাফ! যদি একাজ (বায়তুল্লাহ্ শরীফের তত্ত্বাবধান) তোমাদের উপরে অর্পিত হয় তাহলে রাত ও দিনের যে সময় ইচ্ছা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে কাউকে তোমরা বাধা দিওনা।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল 'আলিম এ মত পোষণ করেছেন যে, রাত ও দিনে তাওয়াফের জন্য সালাত আদায় করা ('সালাতুত তাওয়াফ') জায়েয। তাঁদের মতে এ সালাত থেকে সেই সমস্ত সময়ে ও নিষেধ করা যাবে না যাতে সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর 'আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, এই সমস্ত রিওয়ায়াতে আপনাদের এই স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। কেননা রসূলুল্লাহ্ ﷺ তাতে যা কিছু জায়েয সাব্যস্ত করেছেন এবং বানূ আব্দুল মুত্তালিব ও বানূ আব্দ মানাফকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা যেন কাউকে তাওয়াফ এবং সালাত থেকে বাঁধা না দেয়। এতে তাওয়াফ দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো এমন তাওয়াফ যা করা সমীচীন। এমনিভাবে 'সালাত' দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো এমন সালাত আদায় করা সমীচীন এগুলো ব্যতীত অন্য কিছু জায়েয নয়।
আপনারা কি লক্ষ্য করছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি উলঙ্গ হয়ে বা অযূ ব্যতীত অথবা জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় তাওয়াফ করে তাহলে তাদের জন্য আবশ্যক হলো এ থেকে তাদেরকে বাঁধা প্রদান করা। কেননা তারা নিয়ম বহির্ভূত তাওয়াফ করছে এবং এটা রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সেই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত নয় যে, “তারা যেন তাদেরকে তাওয়াফ থেকে বাঁধা না দেয়"। অনুরূপভাবে, তাঁর ﷺ বাণী : “তারা যেন কাউকে সালাত থেকে বাধা না দেয়” এর দ্বারাও উল্লিখিত অবস্থা উদ্দেশ্যে যে, অযূ অবস্থায় হওয়া, সতর ঢাকা, কিবলামুখী হওয়া এবং সেই সমস্ত সময়গুলোতে আদায় করবে, যাতে সালাত আদায় করা জায়েয। এর ব্যতিক্রম বুঝানো উদ্দেশ্য নয়।
রসূলুল্লাহ্ ﷺ সূর্য উদিত হওয়ার সময়, অস্ত যাওয়ার সময় দুপুর বেলা, ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় থেকে সাধারণভাবে নিষেধ করেছেন। এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে 'তাওয়াতুরের সন্দেহাতীত পরম্পরায় রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে, যা আমি সনদসহ এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি।
প্রথমোক্ত মত পোষণ কারীগণ তাঁদের মতের স্বপক্ষে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল দিয়েছেন :
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল 'আলিম এ মত পোষণ করেছেন যে, রাত ও দিনে তাওয়াফের জন্য সালাত আদায় করা ('সালাতুত তাওয়াফ') জায়েয। তাঁদের মতে এ সালাত থেকে সেই সমস্ত সময়ে ও নিষেধ করা যাবে না যাতে সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই সমস্ত রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর 'আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, এই সমস্ত রিওয়ায়াতে আপনাদের এই স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই। কেননা রসূলুল্লাহ্ ﷺ তাতে যা কিছু জায়েয সাব্যস্ত করেছেন এবং বানূ আব্দুল মুত্তালিব ও বানূ আব্দ মানাফকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তারা যেন কাউকে তাওয়াফ এবং সালাত থেকে বাঁধা না দেয়। এতে তাওয়াফ দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো এমন তাওয়াফ যা করা সমীচীন। এমনিভাবে 'সালাত' দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হলো এমন সালাত আদায় করা সমীচীন এগুলো ব্যতীত অন্য কিছু জায়েয নয়।
আপনারা কি লক্ষ্য করছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি উলঙ্গ হয়ে বা অযূ ব্যতীত অথবা জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় তাওয়াফ করে তাহলে তাদের জন্য আবশ্যক হলো এ থেকে তাদেরকে বাঁধা প্রদান করা। কেননা তারা নিয়ম বহির্ভূত তাওয়াফ করছে এবং এটা রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সেই নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত নয় যে, “তারা যেন তাদেরকে তাওয়াফ থেকে বাঁধা না দেয়"। অনুরূপভাবে, তাঁর ﷺ বাণী : “তারা যেন কাউকে সালাত থেকে বাধা না দেয়” এর দ্বারাও উল্লিখিত অবস্থা উদ্দেশ্যে যে, অযূ অবস্থায় হওয়া, সতর ঢাকা, কিবলামুখী হওয়া এবং সেই সমস্ত সময়গুলোতে আদায় করবে, যাতে সালাত আদায় করা জায়েয। এর ব্যতিক্রম বুঝানো উদ্দেশ্য নয়।
রসূলুল্লাহ্ ﷺ সূর্য উদিত হওয়ার সময়, অস্ত যাওয়ার সময় দুপুর বেলা, ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্যাস্ত যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় থেকে সাধারণভাবে নিষেধ করেছেন। এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে 'তাওয়াতুরের সন্দেহাতীত পরম্পরায় রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণিত আছে, যা আমি সনদসহ এই গ্রন্থের অন্যস্থানে উল্লেখ করেছি।
প্রথমোক্ত মত পোষণ কারীগণ তাঁদের মতের স্বপক্ষে নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল দিয়েছেন :
3858 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ , قَالَ: ثنا حَسَّانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مَرْدَانُبَةَ , عَنْ عَطَاءٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا بَنِي عَبْدَ مَنَافٍ إِنْ وَلِيتُمْ هَذَا الْأَمْرَ , فَلَا تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ وَصَلَّى أَيَّ سَاعَةٍ شَاءَ , مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى إِبَاحَةِ الصَّلَاةِ لِلطَّوَافِ فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ , فَلَا يَمْنَعُ مِنْ ذَلِكَ , عِنْدَهُمْ , وَقْتٌ مِنَ الْأَوْقَاتِ الْمَنْهِيِّ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهَا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لِأَنَّ مَا أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا , وَأَمَرَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ , أَوْ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ أَنْ لَا يَمْنَعُوا أَحَدًا مِنْهُ مِنَ الطَّوَافِ وَالصَّلَاةِ , هُوَ الطَّوَافُ عَلَى سَبِيلِ مَا يَنْبَغِي أَنْ يُطَافَ , وَالصَّلَاةُ عَلَى سَبِيلِ مَا يَنْبَغِي أَنْ تُصَلَّى , فَأَمَّا عَلَى مَا سِوَى ذَلِكَ فَلَا. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ طَافَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانًا , أَوْ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ , أَوْ جُنُبًا , أَنَّ عَلَيْهِمْ أَنْ يَمْنَعُوهُ مِنْ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ طَافَ عَلَى غَيْرِ مَا يَنْبَغِي الطَّوَافُ عَلَيْهِ. وَلَيْسَ ذَلِكَ بِدَاخِلٍ فِيمَا أَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يَمْنَعُوا مِنْهُ مِنَ الطَّوَافِ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ «لَا تَمْنَعُوا أَحَدًا يُصَلِّي» هُوَ عَلَى مَا قَدْ أُمِرَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهِ مِنَ الطَّهَارَةِ , وَسَتْرِ الْعَوْرَةِ , وَاسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ فِي الْأَوْقَاتِ الَّتِي قَدْ أُبِيحَتِ الصَّلَاةُ فِيهَا , فَأَمَّا مَا سِوَى ذَلِكَ , فَلَا. وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهْيًا عَامًّا , عَنِ الصَّلَاةِ عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , وَعِنْدَ غُرُوبِهَا , وَنِصْفَ النَّهَارِ , وَبَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ , وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ الشَّمْسُ , وَتَوَاتَرَتْ بِذَلِكَ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ ذُكِرَتْ بِأَسَانِيدِهَا فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. فَكَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِقَوْلِهِمْ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৫৯
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৫৯। আহমদ ইবন দাউদ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইব্ন বাবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আবুদ দারদা (রাযিঃ) আসরের পরে তাওয়াফ করেন এবং সূর্যাস্তের পূর্বে সালাত আদায় করেন। আমি বললাম, আপনারা মুহাম্মাদ ﷺ-এর সাহাবা, আপনারা বলছেন যে, আসরের পরে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সালাত আদায় করা জায়েয নয়। তিনি বললেন, এই শহর অন্য শহরগুলোর অনুরূপ নয়।
বস্তুত তাঁরা বলেন, আবুদ দারদা (রাযিঃ)-এর এই বক্তব্য দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তাওয়াফের জন্য সালাত ওই সমস্ত সময়ে নবী ﷺ-এর উক্ত নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়, যা আপনারা উল্লেখ করেছেন। তাঁদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, আপনারাও তো এই হাদীসের বিষয় বস্তুকে মেনে নিচ্ছেন না। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যে, আপনারাও সালাতুত তাওয়াফ ব্যতীত ওই সমস্ত নিষিদ্ধ সময়ে মক্কাতে সালাত আদায় করাকে মাকরূহ মনে করেন; যেহেতু নবী ﷺ ওই সমস্ত সময়ে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করেছেন। আর এ বিষয়ে আপনারাও মক্কা শরীফের বিধান অপরাপর শহর থেকে পৃথক করেন না। যে হাদীস দ্বারা আপনারা প্রমান পেশ করেছেন, তাতে আবুদ দারদা (রাযিঃ) সালাত থেকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মক্কা শরীফের বিধান অপরাপর শহর থেকে আলাদা বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলছেন, নিষেধাজ্ঞা এ শহরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় অধিকন্তু এ বিষয়ে উমর ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ) ও আবুদ দারদা (রাযিঃ)-এর বিরোধিতা করেছেনঃ
বস্তুত তাঁরা বলেন, আবুদ দারদা (রাযিঃ)-এর এই বক্তব্য দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তাওয়াফের জন্য সালাত ওই সমস্ত সময়ে নবী ﷺ-এর উক্ত নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়, যা আপনারা উল্লেখ করেছেন। তাঁদেরকে উত্তরে বলা হবে যে, আপনারাও তো এই হাদীসের বিষয় বস্তুকে মেনে নিচ্ছেন না। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যে, আপনারাও সালাতুত তাওয়াফ ব্যতীত ওই সমস্ত নিষিদ্ধ সময়ে মক্কাতে সালাত আদায় করাকে মাকরূহ মনে করেন; যেহেতু নবী ﷺ ওই সমস্ত সময়ে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করেছেন। আর এ বিষয়ে আপনারাও মক্কা শরীফের বিধান অপরাপর শহর থেকে পৃথক করেন না। যে হাদীস দ্বারা আপনারা প্রমান পেশ করেছেন, তাতে আবুদ দারদা (রাযিঃ) সালাত থেকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মক্কা শরীফের বিধান অপরাপর শহর থেকে আলাদা বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলছেন, নিষেধাজ্ঞা এ শহরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় অধিকন্তু এ বিষয়ে উমর ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ) ও আবুদ দারদা (রাযিঃ)-এর বিরোধিতা করেছেনঃ
3859 - مَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ , عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بَابَاهُ , قَالَ: " طَافَ أَبُو الدَّرْدَاءِ بَعْدَ الْعَصْرِ , وَصَلَّى قَبْلَ مَغَارِبِ الشَّمْسِ. فَقُلْتُ: أَنْتُمْ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقُولُونَ لَا صَلَاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ. فَقَالَ: إِنَّ هَذَا الْبَلَدَ , لَيْسَ كَسَائِرِ الْبُلْدَانِ فَقَالُوا: فَقَدْ دَلَّ قَوْلُ أَبِي الدَّرْدَاءِ عَلَى أَنَّ الصَّلَاةَ لِلطَّوَافِ لَمْ يَدْخُلْ فِيهَا نَهْيٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ فِي الْأَوْقَاتِ الَّتِي ذَكَرْتُمْ. قِيلَ لَهُمْ: فَأَنْتُمْ لَا تَقُولُونَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَاكُمْ تَكْرَهُونَ الصَّلَاةَ بِمَكَّةَ فِي الْأَوْقَاتِ الْمَنْهِيِّ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهَا لِغَيْرِ الطَّوَافِ , لِنَهْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ فِي تِلْكَ الْأَوْقَاتِ , وَلَا تُخْرِجُونَ حُكْمَ مَكَّةَ فِي ذَلِكَ مِنْ حُكْمِ سَائِرِ الْبُلْدَانِ وَأَبَا الدَّرْدَاءِ فَقَدْ أَخْرَجَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي احْتَجَجْتُمْ بِهِ حُكْمَ مَكَّةَ مِنْ حُكْمِ سَائِرِ الْبُلْدَانِ سِوَاهَا فِي الْمَنْعِ مِنَ الصَّلَوَاتِ فِي ذَلِكَ , وَأَخْبَرَ أَنَّ النَّهْيَ لَمْ يَدْخُلْ حُكْمُهَا فِيهِ , وَأَنَّهُ إِنَّمَا أُرِيدَ بِهِ مَا سِوَاهَا مَعَ أَنَّهُ قَدْ خَالَفَ أَبَا الدَّرْدَاءِ فِي ذَلِكَ , عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৬১
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৬০-৬১। ইউনুস (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইব্ন আব্দুল কারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, উমর (রাযিঃ) ফজরের পরে বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করেছেন। কিন্তু (তাওয়াফের) সালাত আদায় করেননি৷ যখন ‘যী তুওয়া' নামক স্থানে পৌঁছলেন এবং সূর্যোদয় হলো তখন দু'রাক'আত সালাত আদায় করলেন।
ইউনুস (রাহঃ) ..... হুমাইদ ইব্ন আব্দুর রহমান ইবন আব্দুল কারী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
বস্তুত ইনি হলেন উমর (রাযিঃ), যিনি সে সময় সালাত আদায় করেননি। কেননা তাঁর মতে তখন সালাতের সময় ছিলো না। তিনি তা সেই সময় পর্যন্ত বিলম্ব করেছিলেন যখন সালাতের সময় হয়ে গিয়েছে এবং তখন সালাত আদায় করেছেন। আর এই আমল রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সমস্ত সাহাবীগণের উপস্থিতিতে হয়েছে। কেউ এ বিষয়ে তাঁর প্রতিবাদ করেননি। যদি তাঁর মতে সে সময় তাওয়াফের সালাত আদায় করা জায়েয হতো তাহলে তিনি অবশ্যই তা আদায় করতেন এবং তাতে বিলম্ব করতেন না। কেননা বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফকারীর জন্য সেই সময় ওজর ব্যতীত সালাত পরিত্যাগ করা সমীচীন নয়। মু'আয ইবন আফরা' (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে এবং তা আমি এই অধ্যায়ের পূর্বে উল্লেখ করেছি। ইবন উমর (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে :
ইউনুস (রাহঃ) ..... হুমাইদ ইব্ন আব্দুর রহমান ইবন আব্দুল কারী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
বস্তুত ইনি হলেন উমর (রাযিঃ), যিনি সে সময় সালাত আদায় করেননি। কেননা তাঁর মতে তখন সালাতের সময় ছিলো না। তিনি তা সেই সময় পর্যন্ত বিলম্ব করেছিলেন যখন সালাতের সময় হয়ে গিয়েছে এবং তখন সালাত আদায় করেছেন। আর এই আমল রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সমস্ত সাহাবীগণের উপস্থিতিতে হয়েছে। কেউ এ বিষয়ে তাঁর প্রতিবাদ করেননি। যদি তাঁর মতে সে সময় তাওয়াফের সালাত আদায় করা জায়েয হতো তাহলে তিনি অবশ্যই তা আদায় করতেন এবং তাতে বিলম্ব করতেন না। কেননা বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফকারীর জন্য সেই সময় ওজর ব্যতীত সালাত পরিত্যাগ করা সমীচীন নয়। মু'আয ইবন আফরা' (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে এবং তা আমি এই অধ্যায়ের পূর্বে উল্লেখ করেছি। ইবন উমর (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে :
3860 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ عُرْوَةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ , قَالَ: " طَافَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِالْبَيْتِ بَعْدَ الصُّبْحِ فَلَمْ يَرْكَعْ , فَلَمَّا صَارَ بِذِي طُوًى وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ , صَلَّى رَكْعَتَيْنِ
3861 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ الْقَارِي , مِثْلَهُ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَرْكَعْ حِينَئِذٍ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ وَقْتَ صَلَاةٍ , وَأَخَّرَ ذَلِكَ إِلَى أَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ وَقْتُ الصَّلَاةِ فَصَلَّى , وَهَذَا بِحَضْرَةِ سَائِرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ , وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ الْوَقْتُ عِنْدَهُ , وَقْتَ صَلَاةٍ لِلطَّوَافِ , لَصَلَّى , وَلَمَا أَخَّرَ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ طَافَ بِالْبَيْتِ أَنْ لَا يُصَلِّيَ حِينَئِذٍ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاذِ ابْنِ عَفْرَاءَ مِثْلُ ذَلِكَ , وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا
3861 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ الْقَارِي , مِثْلَهُ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَرْكَعْ حِينَئِذٍ , لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ وَقْتَ صَلَاةٍ , وَأَخَّرَ ذَلِكَ إِلَى أَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ وَقْتُ الصَّلَاةِ فَصَلَّى , وَهَذَا بِحَضْرَةِ سَائِرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ , وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ الْوَقْتُ عِنْدَهُ , وَقْتَ صَلَاةٍ لِلطَّوَافِ , لَصَلَّى , وَلَمَا أَخَّرَ ذَلِكَ , لِأَنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ طَافَ بِالْبَيْتِ أَنْ لَا يُصَلِّيَ حِينَئِذٍ إِلَّا مِنْ عُذْرٍ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاذِ ابْنِ عَفْرَاءَ مِثْلُ ذَلِكَ , وَقَدْ ذَكَرْتُ ذَلِكَ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬১
empty
৩৮৬১।
- 3861

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬২
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৬২। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইবন উমর (রাযিঃ) ফজরের সালাতের সময় মক্কায় এলেন। তারপর তিনি তাওয়াফ করলেন কিন্তু সালাতুত তাওয়াফ সূর্যোদয়ের পরে আদায় করলেন।
বস্তুত যুক্তির ভিত্তিতেও এটা প্রমাণিত। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ ঈদুল ফিতর এবং ঈতুল আযহার দিনে সিয়াম পালন নিষেধ করেছেন। আর এ ব্যাপারে সকল (ফকীহ্) দের ঐকমত্য রয়েছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা সমস্ত শহরের সাথে সংশ্লিষ্ট ও অভিন্ন। তাই কিয়াস ও যুক্তির দাবি হলো নিষিদ্ধ সময়গুলোর মধ্যে সালাতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সমস্ত শহরের বিধান এক ও অভিন্ন হবে। সুতরাং এতে সেই সমস্ত লোকদের বক্তব্য বাতিল হয়ে গেল যারা সালাত থেকে নিষিদ্ধ সময়গুলোতেও তাওয়াফের সালাত আদায়কে জায়েয মনে করেন। তারপর প্রথমোক্ত মতালম্বীদের বিরোধীগণ এ বিষয়ে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন তাঁদের একদল বলেন যে, এই পাঁচ ওয়াক্তে (সময়ে) তাওয়াফের সালাত আদায় করা যাবে না। যেমনি ভাবে তাতে নফল সালাত পড়া যায় না। এই দলের অন্যতম হলেন ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)। আমরা যা কিছু উমর (রাযিঃ), মু'আয় ইন আফরা' (রাযিঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি তা তাঁদের অনুকূলে।
অপর দল বলেন যে, আসরের পর সূর্য হলদে হওয়ার পূর্বে পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত তাওয়াফের সালাত আদায় করতে পারবে। কিন্তু অবশিষ্ট তিনটি নিষিদ্ধ ওয়াক্তে এই সালাত পড়া যাবে না। বস্তুত এই অভিমত পোষণ করেছেন মুজাহিদ (রাহঃ), ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) ও আতা (রাহঃ)।
বস্তুত যুক্তির ভিত্তিতেও এটা প্রমাণিত। কেননা আমরা লক্ষ্য করছি যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ ঈদুল ফিতর এবং ঈতুল আযহার দিনে সিয়াম পালন নিষেধ করেছেন। আর এ ব্যাপারে সকল (ফকীহ্) দের ঐকমত্য রয়েছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা সমস্ত শহরের সাথে সংশ্লিষ্ট ও অভিন্ন। তাই কিয়াস ও যুক্তির দাবি হলো নিষিদ্ধ সময়গুলোর মধ্যে সালাতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সমস্ত শহরের বিধান এক ও অভিন্ন হবে। সুতরাং এতে সেই সমস্ত লোকদের বক্তব্য বাতিল হয়ে গেল যারা সালাত থেকে নিষিদ্ধ সময়গুলোতেও তাওয়াফের সালাত আদায়কে জায়েয মনে করেন। তারপর প্রথমোক্ত মতালম্বীদের বিরোধীগণ এ বিষয়ে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন তাঁদের একদল বলেন যে, এই পাঁচ ওয়াক্তে (সময়ে) তাওয়াফের সালাত আদায় করা যাবে না। যেমনি ভাবে তাতে নফল সালাত পড়া যায় না। এই দলের অন্যতম হলেন ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)। আমরা যা কিছু উমর (রাযিঃ), মু'আয় ইন আফরা' (রাযিঃ) ও ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছি তা তাঁদের অনুকূলে।
অপর দল বলেন যে, আসরের পর সূর্য হলদে হওয়ার পূর্বে পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত তাওয়াফের সালাত আদায় করতে পারবে। কিন্তু অবশিষ্ট তিনটি নিষিদ্ধ ওয়াক্তে এই সালাত পড়া যাবে না। বস্তুত এই অভিমত পোষণ করেছেন মুজাহিদ (রাহঃ), ইবরাহীম নাখঈ (রাহঃ) ও আতা (রাহঃ)।
3862 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ , قَالَ: أنا نَافِعٌ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَدِمَ مَكَّةَ عِنْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ , فَطَافَ وَلَمْ يُصَلِّ إِلَّا بَعْدَمَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ وَالنَّظَرُ يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا , لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ صِيَامِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ النَّحْرِ» , فَكُلٌّ قَدْ أَجْمَعَ أَنَّ ذَلِكَ فِي سَائِرِ الْبُلْدَانِ سَوَاءٌ. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ مَا نَهَى عَنْهُ مِنَ الصَّلَوَاتِ , فِي الْأَوْقَاتِ الَّتِي نَهَى عَنِ الصَّلَوَاتِ فِيهَا , فِي سَائِرِ الْبُلْدَانِ كُلِّهَا عَلَى السَّوَاءِ. فَبَطَلَ بِذَلِكَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى إِبَاحَةِ الصَّلَاةِ لِلطَّوَافِ فِي الْأَوْقَاتِ الْمَنْهِيِّ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهَا. ثُمَّ افْتَرَقَ الَّذِينَ خَالَفُوا أَهْلَ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي ذَلِكَ عَلَى فِرْقَتَيْنِ. فَقَالَتْ فِرْقَةٌ مِنْهُمْ: لَا يُصَلَّى فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْخَمْسَةِ الْأَوْقَاتِ لِلطَّوَافِ , كَمَا لَا يُصَلَّى فِيهَا لِلتَّطَوُّعِ , وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ , وَأَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ وَافَقَهُمْ فِي ذَلِكَ , مَا رَوَيْنَا عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَمُعَاذِ ابْنِ عَفْرَاءَ , وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: يُصَلَّى لِلطَّوَافِ بَعْدَ الْعَصْرِ , قَبْلَ اصْفِرَارِ الشَّمْسِ , وَبَعْدَ الصُّبْحِ , قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , وَلَا يُصَلَّى لِذَلِكَ فِي الْأَوْقَاتِ الثَّلَاثَةِ الْبَوَاقِي الْمَنْهِيِّ عَنِ الصَّلَاةِ فِيهَا , وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ , مُجَاهِدٌ , وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ , وَعَطَاءٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৬৪
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৬৩-৬৪। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ..... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাওয়াফ কর এবং ওয়াক্ত হলে সালাত আদায় করে নাও। যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন (সালাত থেকে) বিরত থাক।
আহমদ (রাহঃ) ..... আতা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
আহমদ (রাহঃ) ..... আতা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
3863 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , عَنْ مُغِيرَةَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: " طُفْ وَصَلِّ مَا كُنْتُ فِي وَقْتٍ , فَإِذَا ذَهَبَ الْوَقْتُ فَأَمْسِكْ
3864 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي غُنَيَّةَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ , عَنْ عَطَاءٍ مِثْلَهُ
3864 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي غُنَيَّةَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ , عَنْ عَطَاءٍ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬৪
empty
৩৮৬৪।
- 3864

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬৫
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৬৫। আহমদ (রাহঃ) ..... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাওয়াফ কর। রাবী উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, অর্থাৎ ফজর এবং আসরের পর। তিনি বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াক্ত বিদ্যমান থাকবে সালাত আদায় কর। ইবন রাজা (রাহঃ) বলেন, অর্থাৎ সালাতের ওয়াক্তে (সালাত আদায় কর)। ইবন উমর (রাযিঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে :
3865 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ , وَعُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى , عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ مُجَاهِدٍ , قَالَ: " طُفْ. قَالَ عُبَيْدُ اللهِ بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ , وَصَلِّ مَا كُنْتَ فِي وَقْتٍ وَقَالَ ابْنُ رَجَاءٍ: «فِي وَقْتِ صَلَاةِ» وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬৬
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৬৬। আহমদ (রাহঃ) ..... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইবন উমর (রাযিঃ) আসরের পরে তাওয়াফ করতেন এবং সূর্য যতক্ষণ পর্যন্ত আলোকিত উজ্জ্বল থাকত, সালাত আদায় করতেন। আর যখন তা হলদে রং ধারণ করত এবং এর রং পরিবর্তিত হয়ে যেত তখন একটি তাওয়াফ করতেন। তারপর মাগরিবের সালাত আদায় করে তাওয়াফ করতেন এবং যতক্ষণ পর্যন্ত অন্ধকার বিরাজ করত তাওয়াফের সালাত আদায় করতেন। যখন ফর্সা হয়ে যেত তখন একটি তাওয়াফ করতেন। এরপর বসে যেতেন যতক্ষণ না সূর্য উপরে উঠে যেত এবং সালাত আদায় জায়েয হয়ে যেত।
3866 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ , قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ , قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي غُنَيَّةَ , عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ , عَنْ مُجَاهِدٍ , قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: يَطُوفُ بَعْدَ الْعَصْرِ , وَيُصَلِّي مَا كَانَتِ الشَّمْسُ بَيْضَاءَ حَيَّةً , فَإِذَا اصْفَرَّتْ وَتَغَيَّرَتْ , طَافَ طَوَافًا وَاحِدًا , حَتَّى يُصَلِّيَ الْمَغْرِبَ , ثُمَّ يُصَلِّي وَيَطُوفُ بَعْدَ الصُّبْحِ , وَيُصَلِّي مَا كَانَ فِي غَلَسٍ , فَإِذَا أَسْفَرَ , طَافَ طَوَافًا وَاحِدًا , ثُمَّ يَجْلِسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ الشَّمْسُ , وَيُمْكِنَ الرُّكُوعُ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৬৭
ফজর ও আসরের পরে সালাতুত তাওয়াফ প্রসঙ্গ
৩৮৬৭। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... সালিম ও আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইব্ন উমর (রাযিঃ) ফজর ও আসরের পরে সাপ্তাহিক তাওয়াফ করতেন। আর যদি সালাতের ওয়াক্ত হত, দুই রাক'আত সালাত আদায় করতেন। ইনি হলেন আতা (রাহঃ) তিনি বলেছেন যা আমরা উল্লেখ করেছি।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) নবী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ রাত ও দিনের যে সময় ইচ্ছা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে কাউকে তোমরা বাধা দিওনা। সুতরাং এই হাদীস প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হবে।
বস্তুত তাঁরা যেহেতু এই মত বিরোধ করেছেন তাই এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হলো : আমরা লক্ষ্য করছি যে, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও দুপুরের সময় কাযা সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ। রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর তরীকা এমনটিই ছিলো যে, যখন ঘুমন্ত থাকার কারণে ফজরের সালাত কাযা হয়ে গিয়েছিলো, তখন তিনি সূর্য উপরে না উঠা ও পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তা পড়েন নি। তাই যখন এই ওয়াক্তগুলোতে ফরয সালাতের কাযা আদায় নিষিদ্ধ তাহলে তাওয়াফের সালাত অধিকতর সংগতভাবে নিষিদ্ধ হবে।
উকবা ইবন আমের (রাযিঃ) বলেন: “তিনটি ওয়াক্ত এরূপ যাতে রসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে সালাত আদায় এবং মৃতের দাফন থেকে নিষেধ করতেন । সূর্যোদয়ের সময় সূর্য উপরে না উঠা পর্যন্ত, দুপুরের সময় সূর্য হেলে না যাওয়া পর্যন্ত এবং সূর্য যখন অস্ত যেতে শুরু করে, অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত। আমরা এই বিষয়টি ইতিপূর্বে আমাদের এই গ্রন্থে সনদসহ বর্ণনা করেছি। যেহেতু এই ওয়াক্ত গুলোতে সালাতে জানাযা আদায় করা নিষিদ্ধ তাই তাওয়াফের সালাতেরও অনুরূপ হুকুম হবে। অনুরূপভাবে, আসরের পরে সূর্যের রং পরিবর্তিত হওয়ার পূর্বে এবং ফজরের পরে সূর্যোদয়ের পূর্বে জানাযার সালাত আদায় করা এবং কাযা সালাত আদায় করা জায়িয, কিন্তু নফল সালাত আদায় করা মাকরূহ। আর তাওয়াফের কারণে এর সালাত ওয়াজিব হয়ে যায় যেমনটি জানাযার সালাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
বস্তুত আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এর উপর যুক্তির দাবি হলোঃ এই (তাওয়াফের সালাত) -এর ওয়াজিব হওয়ার পর এর হুকুম সেটাই হবে যা ফরয সালাত সমূহ ও জানাযার সালাতের হুকুম হবে, যা কি-না ফরয। সুতরাং তাওয়াফের সালাত সেই সমস্ত ওয়াক্তে পড়া যাবে যে সমস্ত ওয়াক্তে জানাযার সালাত এবং কাযা সালাত আদায় করা জায়েয। পক্ষান্তরে, যে সমস্ত ওয়াক্তে জানাযার সালাত এবং কাযা সালাত জায়েয নয় তাতে এই (তাওয়াফের) সালাতও পড়া যাবে না। আমাদের মতে এই অনুচ্ছেদের এটাই যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ, যা আতা (রাহঃ), ইবরাহীম (রাহঃ) ও মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেন এবং যেভাবে ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকেও এটাই রিওয়ায়াত করা হয়েছে। আর আমরা এ মতই পোষণ করি এবং এটা সুফইয়ান (রাহঃ) -এরও অভিমত। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতের পরিপন্থী।
ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) নবী থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ রাত ও দিনের যে সময় ইচ্ছা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে এবং সালাত আদায় করতে কাউকে তোমরা বাধা দিওনা। সুতরাং এই হাদীস প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হবে।
বস্তুত তাঁরা যেহেতু এই মত বিরোধ করেছেন তাই এর যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ হলো : আমরা লক্ষ্য করছি যে, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও দুপুরের সময় কাযা সালাত আদায় করা নিষিদ্ধ। রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর তরীকা এমনটিই ছিলো যে, যখন ঘুমন্ত থাকার কারণে ফজরের সালাত কাযা হয়ে গিয়েছিলো, তখন তিনি সূর্য উপরে না উঠা ও পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তা পড়েন নি। তাই যখন এই ওয়াক্তগুলোতে ফরয সালাতের কাযা আদায় নিষিদ্ধ তাহলে তাওয়াফের সালাত অধিকতর সংগতভাবে নিষিদ্ধ হবে।
উকবা ইবন আমের (রাযিঃ) বলেন: “তিনটি ওয়াক্ত এরূপ যাতে রসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে সালাত আদায় এবং মৃতের দাফন থেকে নিষেধ করতেন । সূর্যোদয়ের সময় সূর্য উপরে না উঠা পর্যন্ত, দুপুরের সময় সূর্য হেলে না যাওয়া পর্যন্ত এবং সূর্য যখন অস্ত যেতে শুরু করে, অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত। আমরা এই বিষয়টি ইতিপূর্বে আমাদের এই গ্রন্থে সনদসহ বর্ণনা করেছি। যেহেতু এই ওয়াক্ত গুলোতে সালাতে জানাযা আদায় করা নিষিদ্ধ তাই তাওয়াফের সালাতেরও অনুরূপ হুকুম হবে। অনুরূপভাবে, আসরের পরে সূর্যের রং পরিবর্তিত হওয়ার পূর্বে এবং ফজরের পরে সূর্যোদয়ের পূর্বে জানাযার সালাত আদায় করা এবং কাযা সালাত আদায় করা জায়িয, কিন্তু নফল সালাত আদায় করা মাকরূহ। আর তাওয়াফের কারণে এর সালাত ওয়াজিব হয়ে যায় যেমনটি জানাযার সালাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
বস্তুত আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি এর উপর যুক্তির দাবি হলোঃ এই (তাওয়াফের সালাত) -এর ওয়াজিব হওয়ার পর এর হুকুম সেটাই হবে যা ফরয সালাত সমূহ ও জানাযার সালাতের হুকুম হবে, যা কি-না ফরয। সুতরাং তাওয়াফের সালাত সেই সমস্ত ওয়াক্তে পড়া যাবে যে সমস্ত ওয়াক্তে জানাযার সালাত এবং কাযা সালাত আদায় করা জায়েয। পক্ষান্তরে, যে সমস্ত ওয়াক্তে জানাযার সালাত এবং কাযা সালাত জায়েয নয় তাতে এই (তাওয়াফের) সালাতও পড়া যাবে না। আমাদের মতে এই অনুচ্ছেদের এটাই যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ, যা আতা (রাহঃ), ইবরাহীম (রাহঃ) ও মুজাহিদ (রাহঃ) বলেছেন এবং যেভাবে ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকেও এটাই রিওয়ায়াত করা হয়েছে। আর আমরা এ মতই পোষণ করি এবং এটা সুফইয়ান (রাহঃ) -এরও অভিমত। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমতের পরিপন্থী।
3867 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , قَالَ: أنا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ , عَنْ سَالِمٍ , وَعَطَاءٍ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ يَطُوفُ بَعْدَ الصُّبْحِ وَبَعْدَ الْعَصْرِ أُسْبُوعًا , وَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ , مَا كَانَ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ «فَهَذَا عَطَاءٌ , قَدْ قَالَ بِرَأْيِهِ مَا قَدْ ذَكَرْنَا. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ» لَا تَمْنَعُوا أَحَدًا يَطُوفُ بِهَذَا الْبَيْتِ وَيُصَلِّي أَيَّ سَاعَةٍ شَاءَ , مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ «فَقَدْ حُمِلَ ذَلِكَ , عَلَى خِلَافِ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. وَكَانَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ، لَمَّا اخْتَلَفُوا هَذَا الِاخْتِلَافَ، أَنَّا رَأَيْنَا طُلُوعَ الشَّمْسِ وَغُرُوبَهَا , وَنِصْفَ النَّهَارِ , يَمْنَعُ مِنْ قَضَاءِ الصَّلَوَاتِ الْفَائِتَاتِ , وَبِذَلِكَ جَاءَتِ السُّنَّةُ» عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَرْكِهِ قَضَاءَ الصُّبْحِ الَّتِي نَامَ عَنْهَا إِلَى ارْتِفَاعِ الشَّمْسِ وَبَيَاضِهَا «. فَإِذَا كَانَ مَا ذَكَرْنَا يَنْهَى عَنْ قَضَاءِ الْفَرَائِضِ الْفَائِتَاتِ , فَهُوَ عَنِ الصَّلَوَاتِ لِلطَّوَافِ أَنْهَى وَقَدْ قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ» ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ , وَأَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا , حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ , وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ , وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ " وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا فَإِذَا كَانَتْ هَذِهِ الْأَوْقَاتُ تَنْهَى عَنِ الصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ , فَالصَّلَاةُ لِلطَّوَافِ أَيْضًا كَذَلِكَ , وَكَذَلِكَ كَانَتِ الصَّلَاةُ بَعْدَ الْعَصْرِ قَبْلَ تَغَيُّرِ الشَّمْسِ , وَبَعْدَ الصُّبْحِ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ , مُبَاحَةً عَلَى الْجَنَائِزِ , وَمُبَاحَةً فِي قَضَاءِ الصَّلَاةِ الْفَائِتَةِ , وَمَكْرُوهَةً فِي التَّطَوُّعِ , وَكَانَ الطَّوَافُ يُوجِبُ الصَّلَاةَ حَتَّى يَكُونَ وُجُوبُهَا كَوُجُوبِ الصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ. فَالنَّظَرُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا أَنْ يَكُونَ حُكْمُهَا بَعْدَ وُجُوبِهَا , كَحُكْمِ الْفَرَائِضِ الَّتِي قَدْ وَجَبَتْ , وَحُكْمِ الصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ الَّتِي قَدْ وَجَبَتْ. فَتَكُونُ الصَّلَاةُ لِلطَّوَافِ , تُصَلَّى فِي كُلِّ وَقْتٍ يُصَلَّى فِيهِ عَلَى الْجَنَائِزِ , وَتُقْضَى فِيهِ الصَّلَاةُ الْفَائِتَةُ , وَلَا تُصَلَّى فِي كُلِّ وَقْتٍ لَا يُصَلَّى فِيهِ عَلَى الْجِنَازَةِ , وَلَا تُقْضَى فِيهِ صَلَاةٌ فَائِتَةٌ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ عِنْدَنَا , فِي هَذَا الْبَابِ , عَلَى مَا قَالَ عَطَاءٌ , وَإِبْرَاهِيمُ , وَمُجَاهِدٌ , وَعَلَى مَا قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَإِلَيْهِ نَذْهَبُ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ. وَهُوَ خِلَافُ قَوْلِ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান