শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৮২৫
১৪. তাওয়াফে রমল করা
৩৮২৫। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... আবুত্ তোফাইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনার সম্প্রদায় ধারণা করছে যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ বায়তুল্লাহ্ শরীফ (এর তাওয়াফে) রমল করেছেন এবং ওটা সুন্নত। তিনি বললেন, তারা সত্য বলেছে, আবার মিথ্যাও বলেছে। আমি বললাম! তারা কী সত্য বলেছে এবং কী মিথ্যা বলেছে ? ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, তারা সত্য বলেছে রসূলুল্লাহ্ ﷺ বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফে রমল করেছেন। কিন্তু তারা এই বক্তব্যে মিথ্যা বলেছে যে, এটা সুন্নত (তাদের এই উক্তি সঠিক নয়)। হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রাক্কালে কুরাইশগণ বলেছিল যে, মুহাম্মাদ ﷺ এবং তাঁর সাথীদেরকে ছেড়ে দাও। তারা রোগক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হবে। সুতরাং যখন তারা আগমী বছর আসা এবং মক্কায় তিন দিন অবস্থান করার শর্তে তাঁর সঙ্গে সন্ধি করল, তারপর রসূলুল্লাহ্ ﷺ এবং তার সাহাবীগণ এলেন, তখন মুরিকগণ ‘কুআইকিআন' পাহাড়ে অবস্থান করছিলো। এক পর্যায়ে রসূলুল্লাহ্ ﷺ সাহবীগণকে বললেন : বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করতে গিয়ে তিনবার রমল কর এবং এটা সুন্নত নয়।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত পোষণ করেছেন যে, তাওয়াফে রমল সুন্নত নয়। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। তাঁরা বলেন, এই রমল মুরিকদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য ছিলো যে, মুসলমানগণ শক্তিশালী, দুর্বল নন। এই জন্য নয় যে, এটা সুন্নাহ্ (রূপে বিবেচিত)। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন :
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এই মত পোষণ করেছেন যে, তাওয়াফে রমল সুন্নত নয়। তাঁরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। তাঁরা বলেন, এই রমল মুরিকদেরকে একথা জানিয়ে দেয়ার জন্য ছিলো যে, মুসলমানগণ শক্তিশালী, দুর্বল নন। এই জন্য নয় যে, এটা সুন্নাহ্ (রূপে বিবেচিত)। তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারাও প্রমাণ পেশ করেছেন :
بَابُ الرَّمَلِ فِي الطَّوَافِ
3825 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ , عَنْ أَبِي عَاصِمٍ الْغَنَوِيِّ " عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ , قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: زَعَمَ قَوْمُكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَمَلَ بِالْبَيْتِ , وَأَنَّ ذَلِكَ سُنَّةٌ قَالَ: صَدَقُوا وَكَذَبُوا قُلْتُ: مَا صَدَقُوا وَمَا كَذَبُوا؟ قَالَ صَدَقُوا , رَمَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَيْتِ , وَكَذَبُوا , لَيْسَتْ بِسُنَّةٍ , إِنَّ قُرَيْشًا قَالَتْ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ: دَعُوا مُحَمَّدًا وَأَصْحَابَهُ حَتَّى يَمُوتُوا مَوْتَ النَّغَفِ , فَلَمَّا صَالَحُوهُ عَلَى أَنْ يَجِيءَ فِي الْعَامِ الْمُقْبِلِ , فَيُقِيمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ بِمَكَّةَ , فَقَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ , وَالْمُشْرِكُونَ عَلَى جَبَلِ قُعَيْقِعَانَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ ارْمُلُوا بِالْبَيْتِ ثَلَاثًا وَلَيْسَتْ بِسُنَّةٍ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّمَلَ فِي الطَّوَافِ لَيْسَ بِسُنَّةٍ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ , وَقَالُوا إِنَّمَا كَانَ الرَّمَلُ لِيَرَى الْمُشْرِكُونَ أَنَّ بِهِمْ قُوَّةً , وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا بِضُعَفَاءَ , لَا لِأَنَّ ذَلِكَ سُنَّةٌ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮২৬
তাওয়াফে রমল করা
৩৮২৬। ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ ও তাঁর সাহাবীগণ মক্কায় এলেন। তখন মুশরিকরা বলল, তোমাদের নিকট এরূপ এক সম্প্রদায় এসেছে যাদেরকে ইয়াসরিব (মদীনা)-এর জ্বর দুর্বল করে ফেলেছে। তাঁরা যখন এসে পড়েছেন, তখন মুশরিকরা হাজরে আসওয়াদের নিকটবর্তী (স্থানে) বসে পড়ল। তখন নবী ﷺ সাহাবীগণকে এই মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, তিন চক্করে 'রমল' (হাত দুলিয়ে জোরে চলা) কর। আর দুই রুকনের মাঝে স্বাভাবিক ভাবে চল। ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তিনি তাদেরকে অবশিষ্ট চার চক্করে রমল করা থেকে অনুগ্রহ হিসাবে নিষেধ।
3826 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: " قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَأَصْحَابُهُ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ قَوْمٌ قَدْ وَهَنَتْهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ , فَلَمَّا قَدِمُوا قَعَدَ الْمُشْرِكُونَ مِمَّا يَلِي الْحَجَرَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ الثَّلَاثَةَ , وَأَنْ يَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِأَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ الْأَرْبَعَةَ إِلَّا إِبْقَاءً عَلَيْهِمْ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮২৭
তাওয়াফে রমল করা
৩৮২৭। ইব্ন মারযুক (রাহঃ) ..... আবুত্ তুফাইল (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আপনার কাওম! ধারণা করছে যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ করতে গিয়ে রমল করেছেন এবং এটা সুন্নত। তিনি বললেন, তারা সত্যও বলেছে আবার
মিথ্যাও বলেছে। রসূলুল্লাহ্ ﷺ বায়তুল্লাহ শরীফে রমল করেছেন, কিন্তু এটা সুন্নত নয়। বরং রসূলুল্লাহ্ ﷺ মক্কায় এলেন এবং মুশরিকরা 'কু'আইকি'আন' পাহাড়ে অবস্থান করছিলো। তিনি সংবাদ পেয়েছিলেন যে, তারা বলছিলো তাঁর (রসূলুল্লাহ্ ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীগণ (রোগের কারণে) দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তিনি সাহাবীগণকে বললেন, রমল কর এবং তাদেরকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন কর। তাই রসূলুল্লাহ্ ﷺ হাজরে আসওয়াদ থেকে রুকনে ইয়ামানী পর্যন্ত রমল করতেন। যখন তাদের থেকে আড়াল হতেন তখন স্বাভাবিক ভাবে চলতেন।
প্রথমোক্ত মত পোষণকারীগণ বলেন : তোমরা লক্ষ্য করছ না যে, তিনি তাদেরকে প্রথম তিন চক্করে দুই রুকনের মাঝে স্বভাবিক ভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখান থেকে মুশরিকরা তাঁদেরকে দেখতে পাচ্ছিলো না। আর ওই চক্করগুলোর অবশিষ্ট অংশে রমল করে তাদের দেখাবার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। বস্তুত যখন তাদেরকে মুশরিকরা দেখার অবস্থায় রমল করার এবং না দেখার অবস্থায় তা পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তখন এ থেকে প্রমাণিত হলো যে, সেই সমস্ত মুশরিকদের কারণে; সুন্নত হওয়ার কারণে নয়।
তাঁরা বলেন, এর স্বপক্ষে যা প্রতীয়মান হয় তাহলো, তিনি যখন হজ্জ পালন করেন তখন এমনটি করেন নি।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস পেশ করেছেনঃ
মিথ্যাও বলেছে। রসূলুল্লাহ্ ﷺ বায়তুল্লাহ শরীফে রমল করেছেন, কিন্তু এটা সুন্নত নয়। বরং রসূলুল্লাহ্ ﷺ মক্কায় এলেন এবং মুশরিকরা 'কু'আইকি'আন' পাহাড়ে অবস্থান করছিলো। তিনি সংবাদ পেয়েছিলেন যে, তারা বলছিলো তাঁর (রসূলুল্লাহ্ ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীগণ (রোগের কারণে) দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তিনি সাহাবীগণকে বললেন, রমল কর এবং তাদেরকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন কর। তাই রসূলুল্লাহ্ ﷺ হাজরে আসওয়াদ থেকে রুকনে ইয়ামানী পর্যন্ত রমল করতেন। যখন তাদের থেকে আড়াল হতেন তখন স্বাভাবিক ভাবে চলতেন।
প্রথমোক্ত মত পোষণকারীগণ বলেন : তোমরা লক্ষ্য করছ না যে, তিনি তাদেরকে প্রথম তিন চক্করে দুই রুকনের মাঝে স্বভাবিক ভাবে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন যেখান থেকে মুশরিকরা তাঁদেরকে দেখতে পাচ্ছিলো না। আর ওই চক্করগুলোর অবশিষ্ট অংশে রমল করে তাদের দেখাবার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। বস্তুত যখন তাদেরকে মুশরিকরা দেখার অবস্থায় রমল করার এবং না দেখার অবস্থায় তা পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তখন এ থেকে প্রমাণিত হলো যে, সেই সমস্ত মুশরিকদের কারণে; সুন্নত হওয়ার কারণে নয়।
তাঁরা বলেন, এর স্বপক্ষে যা প্রতীয়মান হয় তাহলো, তিনি যখন হজ্জ পালন করেন তখন এমনটি করেন নি।
এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত হাদীস পেশ করেছেনঃ
3827 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ نُضَيْرٍ قَالَ: ثنا فِطْرُ بْنُ خَلِيفَةَ , عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا زَعَمَ قَوْمُكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَلَ بِالْبَيْتِ وَأَنَّهَا سُنَّةٌ قَالَ: صَدَقُوا وَكَذَبُوا , قَدْ رَمَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَيْتِ , وَلَيْسَتْ بِسُنَّةٍ , وَلَكِنْ قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَالْمُشْرِكُونَ عَلَى قُعَيْقِعَانَ , وَبَلَغَهُ أَنَّهُمْ يَقُولُونَ: إِنَّ بِهِ وَبِأَصْحَابِهِ هُزَالًا فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ ارْمُلُوا , أَرُوهُمْ أَنَّ بِكُمْ قُوَّةً فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمُلُ مِنَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ إِلَى الرُّكْنِ الْيَمَانِيِّ , فَإِذَا تَوَارَى عَنْهُمْ , مَشَى " قَالُوا: فَلَا تَرَى أَنَّهُ أَمَرَهُمْ أَنْ يَمْشُوا فِي الْأَشْوَاطِ الثَّلَاثَةِ , فِيمَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ حَيْثُ لَا يَرَاهُمُ الْمُشْرِكُونَ , وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرْمُلُوا فِيمَا بَقِيَ مِنْ هَذِهِ الْأَشْوَاطِ لِيُرُوهُمْ فَلَمَّا كَانَ قَدْ أَمَرَهُمْ بِالرَّمَلِ حَيْثُ يَرَوْنَهُمْ , وَبِتَرْكِهِ حَيْثُ لَا يَرَوْنَهُمْ , ثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الرَّمَلَ كَانَ مِنْ أَجْلِهِمْ , لَا مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ سُنَّةٌ قَالُوا: وَمِمَّا دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَنَّهُ لَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ لَمَّا حَجَّ , وَذَكَرُوا فِي ذَلِكَ مَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮২৮
তাওয়াফে রমল করা
৩৮২৮। ফাহাদ (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী ﷺ উমরাতে রমল করেছেন এবং হজ্জ পালনে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটেছেন। আপনারা কি লক্ষ্য করছেন না যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ তাঁর হজ্জ পালন কালে এই জন্য রমল করেন নি যে, তারা (মুশরিকরা) উপস্থিত ছিলো না। যাদের কারণে উমরাতে রমল করেছিলেন।
পক্ষান্তরে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, প্রথমোক্ত
তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। হজ্জ এবং উমরায় তা পরিত্যাগ করা জায়েয নয়। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন :
পক্ষান্তরে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, প্রথমোক্ত
তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। হজ্জ এবং উমরায় তা পরিত্যাগ করা জায়েয নয়। এ বিষয়ে তাঁরা নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন :
3828 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى الْحِمَّانِيِّ قَالَ: ثنا قَيْسٌ , عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَلَ فِي الْعُمْرَةِ , وَمَشَى فِي الْحَجِّ» أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَرْمُلْ فِي حَجِّهِ حَيْثُ عُدِمَ الَّذِينَ مِنْ أَجْلِهِمْ رَمَلَ فِي عُمْرَتِهِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: الرَّمَلُ فِي الْأَشْوَاطِ الثَّلَاثَةِ الْأُوَلِ سُنَّةٌ , لَا يَنْبَغِي تَرْكُهَا فِي الْحَجِّ , وَلَا فِي الْعُمْرَةِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮২৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৩০
তাওয়াফে রমল করা
৩৮২৯-৩০। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ জি‘ইররানা নামক স্থান থেকে উমরা পালন করেছেন। তিনি বায়তুল্লাহ্ শরীফের (তাওয়াফে) তিন চক্করের মধ্যে রমল করেছেন এবং চার চক্করে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটেছেন।
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ পুরো চক্করে রমল করেছেন। কিছু অংশে তো মুশরিকরা তাঁদের দেখছিলো, আর কিছু অংশে তারা তাঁকে দেখছিলো না। যে অংশ তারা দেখছিলো না, সে অংশেও তাঁর রমল করা এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, 'রমল' তাদের কারণে ছিলো না বরং এর অন্য কোন কারণ ছিল।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আবুত তুফাইল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ হাজরে আসওয়াদ থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করেছেন। এই হাদীস পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ পুরো চক্করে রমল করেছেন। কিছু অংশে তো মুশরিকরা তাঁদের দেখছিলো, আর কিছু অংশে তারা তাঁকে দেখছিলো না। যে অংশ তারা দেখছিলো না, সে অংশেও তাঁর রমল করা এ কথার প্রমাণ বহন করে যে, 'রমল' তাদের কারণে ছিলো না বরং এর অন্য কোন কারণ ছিল।
ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... আবুত তুফাইল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ হাজরে আসওয়াদ থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করেছেন। এই হাদীস পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
3829 - بِمَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا الْحَجَّاجُ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ , عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ , فَرَمَلَ بِالْبَيْتِ ثَلَاثًا , وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَشْوَاطٍ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَلَ الْأَشْوَاطَ كُلَّهَا , وَقَدْ كَانَ فِي بَعْضِهَا حَيْثُ يَرَاهُ الْمُشْرِكُونَ , وَفِي بَعْضِهَا حَيْثُ لَا يَرَوْنَهُ فَفِي رَمْلِهِ حَيْثُ لَا يَرَوْنَهُ , دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَجْلِهِمْ رَمَلَ , وَلَكِنْ لِمَعْنًى آخَرَ
3830 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ , عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ «رَمَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ» , فَهَذَا الْحَدِيثُ مِثْلُ الَّذِي قَبْلَهُ
3830 - وَقَدْ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ قَالَ: ثنا ابْنُ الْمُبَارَكِ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ , عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ «رَمَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ» , فَهَذَا الْحَدِيثُ مِثْلُ الَّذِي قَبْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩০
empty
৩৮৩০।
- 3830

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩১
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩১। মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস (রাহঃ) ..... নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ইবন উমর (রাযিঃ) তিন চক্করে হাজরে আসওয়াদ থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করতেন। এবং চার চক্করে নিজের স্বাভাবিক অবস্থায় চলতেন। ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ অনুরূপ করতেন।
3831 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , عَنْ نَافِعٍ قَالَ «كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يَرْمُلُ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ ثَلَاثًا , وَيَمْشِي أَرْبَعًا عَلَى هِينَتِهِ قَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩২
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩২। আলী ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী ﷺ হাজরে আসওয়াদ থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করতেন।
এটাও প্রথমোক্ত হাদীসের অনুরূপ। আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি। তিনি রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর পরে তাঁরই অনুরূপ আমল করেছেন। তবে তাতে এ কথাটি উল্লেখ নেই যে, তিনি এই আমলটি হজ্জের মধ্যে করেছেন না উমরার মধ্যে; সম্ভবত তিনি হজ্জ পালন করতে গিয়ে এরূপ করেছেন। এটা ওই রিওয়ায়াতের পরিপন্থী, যা মুজাহিদ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। সম্ভবত তিনি উমরা আদায় করা কালে এমনটি করেছেন। সুতরাং তাঁর মাযহাব (মতাদর্শ) হবে যে, তিনি উমরাতে রমল করতেন এবং হজ্জের সময় তা করতেন না।
রমলের প্রমাণ এবং হজ্জ ও উমরাতে এটা অব্যাহত সুন্নত হওয়ার দলীল হলো : রসূলুল্লাহ্ ﷺ বিদায় হজ্জের কালে এমনটি করেছেন। অথচ তখন (তাঁর) কোন শত্রু তাঁর শক্তি দেখছিল না। এ বিষয়ে তাঁর (ইবন উমর রা) থেকে কিছু রিওয়ায়াত নিম্নরূপ :
এটাও প্রথমোক্ত হাদীসের অনুরূপ। আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি। তিনি রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর পরে তাঁরই অনুরূপ আমল করেছেন। তবে তাতে এ কথাটি উল্লেখ নেই যে, তিনি এই আমলটি হজ্জের মধ্যে করেছেন না উমরার মধ্যে; সম্ভবত তিনি হজ্জ পালন করতে গিয়ে এরূপ করেছেন। এটা ওই রিওয়ায়াতের পরিপন্থী, যা মুজাহিদ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। সম্ভবত তিনি উমরা আদায় করা কালে এমনটি করেছেন। সুতরাং তাঁর মাযহাব (মতাদর্শ) হবে যে, তিনি উমরাতে রমল করতেন এবং হজ্জের সময় তা করতেন না।
রমলের প্রমাণ এবং হজ্জ ও উমরাতে এটা অব্যাহত সুন্নত হওয়ার দলীল হলো : রসূলুল্লাহ্ ﷺ বিদায় হজ্জের কালে এমনটি করেছেন। অথচ তখন (তাঁর) কোন শত্রু তাঁর শক্তি দেখছিল না। এ বিষয়ে তাঁর (ইবন উমর রা) থেকে কিছু রিওয়ায়াত নিম্নরূপ :
3832 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا عَفَّانَ قَالَ: ثنا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْمُلُ مِنَ الْحَجَرِ إِلَى الْحَجَرِ» فَهَذَا مِثْلُ الَّذِي قَبْلَهُ أَيْضًا وَقَدِ اسْتَدَلَّ بِذَلِكَ , عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَلَى مَا ذَكَرْنَا , فَفَعَلَهُ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَهُ , إِلَّا أَنَّهُ لَيْسَ فِي ذَلِكَ , أَنَّهُ فَعَلَهُ فِي حَجٍّ وَلَا فِي عُمْرَةٍ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْهُ وَهُوَ حَاجٌّ , فَخَالَفَ ذَلِكَ مَا رَوَى عَنْهُ مُجَاهِدٌ وَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْهُ فِي عُمْرَةٍ , فَيَكُونُ مَذْهَبُهُ كَانَ أَنْ يَرْمُلَ فِي الْعُمْرَةِ , وَلَا يَرْمُلَ فِي الْحَجَّةِ وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى ثُبُوتِ الرَّمَلِ , وَأَنَّهُ سُنَّةٌ مَاضِيَةٌ فِي الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ فَعَلَهُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , حَيْثُ لَا عَدُوَّ يُرِيهِ قُوَّتَهُ، فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৩৪
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩৩। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ..... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ যখন হজ্জ ও উমরা আদায়ের জন্য (মক্কা) এলেন, তখন উমরা আদায় করতে গিয়ে তিনি তিন চক্করে দ্রুত সাঈ করেছেন এবং অবশিষ্ট চার চক্করে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটেছেন।
ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহ্ইয়া মুযানী (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলূল্লাহ্ ﷺ থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এটা ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে মুজাহিদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের পরিপন্থী জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রেও রসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বিদায় হজ্জ কালে রমল করেছেন :
ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহ্ইয়া মুযানী (রাহঃ) ..... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রসূলূল্লাহ্ ﷺ থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
এটা ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে মুজাহিদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের পরিপন্থী জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রেও রসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বিদায় হজ্জ কালে রমল করেছেন :
3833- مَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعَى ثَلَاثَةً وَمَشَى أَرْبَعَةً , حِينَ قَدِمَ فِي الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ , حِينَ كَانَ اعْتَمَرَ»
3834- حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بِمِثْلِ مَعْنَاهُ فَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَى مُجَاهِدٌ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ «عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنَّهُ رَمَلَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ»
3834- حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , عَنْ أَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بِمِثْلِ مَعْنَاهُ فَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَى مُجَاهِدٌ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ «عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنَّهُ رَمَلَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৩৬
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩৫-৩৬। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ও ফাহাদ (রাহঃ) ..... জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ ﷺ বিদায় হজ্জ কালে সাত চক্করে তাওয়াফ করেছেন, এর তিনটিতে রমল করেছেন এবং চারটিতে স্বাভাবিকভাবে হেঁটেছেন।
রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... জা'ফর ইন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ..... জা'ফর ইন মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
3835 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ وَفَهْدٌ قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي الْهَادِ , عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: «طَافَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ سَبْعًا , رَمَلَ مِنْهَا ثَلَاثًا , وَمَشَى أَرْبَعًا»
3836 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
3836 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: ثنا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩৭
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩৭। ইউনুস (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ তাওয়াফ করতে গিয়ে সাতটি চক্কর দিয়েছেন। তার তিনটিতে হাজরে আসওয়াদ থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রমল করেছেন।
বস্তুত যখন সাব্যস্ত হলো যে, তিনি (রসূলুল্লাহ্ ﷺ) বিদায় হজ্জ কালে রমল করেছেন, অথচ সেখানে কোন শত্রু ছিলো না। এতে প্রমাণিত হলো যে, শত্রুদের উপস্থিতিতে তিনি শত্রুদের কারণে রমল করেননি। যদি তাদের উপস্থিতিতে তাদের কারণে তিনি রমল করতেন, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতে তা করতেন না। এতে প্রমাণিত হলো যে, তাওয়াফের মাঝে রমল করা হজ্জের সেই সমস্ত সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত; যেগুলোর উপর আমল করা উচিত, তা পরিত্যাগ করা অনুচিত। রসূলুল্লাহ্ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীগণও অনুরূপ আমল করেছেন।
বস্তুত যখন সাব্যস্ত হলো যে, তিনি (রসূলুল্লাহ্ ﷺ) বিদায় হজ্জ কালে রমল করেছেন, অথচ সেখানে কোন শত্রু ছিলো না। এতে প্রমাণিত হলো যে, শত্রুদের উপস্থিতিতে তিনি শত্রুদের কারণে রমল করেননি। যদি তাদের উপস্থিতিতে তাদের কারণে তিনি রমল করতেন, তাহলে তাদের অনুপস্থিতিতে তা করতেন না। এতে প্রমাণিত হলো যে, তাওয়াফের মাঝে রমল করা হজ্জের সেই সমস্ত সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত; যেগুলোর উপর আমল করা উচিত, তা পরিত্যাগ করা অনুচিত। রসূলুল্লাহ্ ﷺ এবং তাঁর সাহাবীগণও অনুরূপ আমল করেছেন।
3837 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ , عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ سَبْعًا رَمَلَ فِي ثَلَاثَةٍ مِنْهُنَّ , مِنَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ إِلَى الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ» فَلَمَّا ثَبَتَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَنَّهُ رَمَلَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ , وَلَا عَدُوَّ , ثَبَتَ أَنَّهُ لَمْ يَفْعَلْهُ , إِذَا كَانَ الْعَدُوُّ مِنْ أَجْلِ الْعَدُوِّ وَلَوْ كَانَ فَعَلَهُ إِذْ كَانُوا مِنْ أَجْلِهِمْ , لَمَا فَعَلَهُ فِي وَقْتِ عَدَمِهِمْ , فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الرَّمَلَ فِي الطَّوَافِ , مِنْ سُنَنِ الْحَجِّ الْمَفْعُولَةِ فِيهِ , الَّتِي لَا يَنْبَغِي تَرْكُهَا وَقَدْ فَعَلَ ذَلِكَ أَيْضًا أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَعْدِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩৮
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩৮। ফাহাদ (রাহঃ) ..... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রমল এবং কাঁধ খুলে রাখার ব্যাপারে বলেছেন : যদিও আল্লাহ্ তা'আলা শিরক এবং মুশরিকদেরকে দূরীভূত করে দিয়েছেন, তবুও আমরা একা আমল পরিত্যাগ করব না, যা আমরা রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সঙ্গে (থেকে) শিক্ষা করেছি।
3838 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحُنَيْنِيُّ , عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ , عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عُمَرَ قَالَ: " فِيمَا الرَّمَلُ الْآنَ , وَالْكَشْفُ عَنِ الْمَنَاقِبِ وَقَدْ نَفَى الله عَزَّ وَجَلَّ الشِّرْكَ وَأَهْلَهُ عَلَى ذَلِكَ لَا نَدَعُ شَيْئًا عَمِلْنَاهُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৩৯
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৩৯। মুহাম্মাদ ইব্ন আমর ইব্ন ইউসুফ (রাহঃ) ..... ইয়া'লা ইব্ন উমাইয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যখন উমর (রাযিঃ) হজ্জ পালন করেন তখন তিনি তিন চক্করে রমল করেছেন এবং এটা সাহাবীগণে উপস্থিতিতে হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কেউ এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিবাদ করে নি।
3839 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عِيسَى , عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , عَنْ عَطَاءٍ , عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ قَالَ: " لَمَّا حَجَّ عُمَرُ , رَمَلَ ثَلَاثًا وَهَذَا بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَا يُنْكِرُهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ أَحَدٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৪০
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৪০। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, আমি মক্কায় উমরা পালন করার জন্য এলাম। আমি আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) এর পিছনে চললাম। তিনি মসজিদের হারমে প্রবেশ করলেন এবং তিন চক্করে রমল করলেন। পক্ষান্তরে অবশিষ্ট চার চক্করে স্বাভাবিক ভাবে হ্যাঁটলেন।
3840 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ , عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ , عَنْ شَقِيقٍ , عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ: " قَدِمْتُ مَكَّةَ مُعْتَمِرًا , فَتَبِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ , فَرَمَلَ ثَلَاثًا , وَمَشَى أَرْبَعًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৮৪১
তাওয়াফে রমল করা
৩৮৪১। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... নাফি' (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবন উমর (রাযিঃ) যখন মক্কা শরীফ আসতেন তখন বায়তুল্লাহ্ শরীফ তাওয়াফ করতেন এবং তাতে রমল করতেন। তারপর সাফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করতেন। যখন তিনি মক্কা থেকেই তালবিয়া পাঠ করতেন (ইহরাম বাঁধতেন) বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফে রমল করতেন না। আর সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈকে কুরবানীর দিন পর্যন্ত বিলম্বিত করতেন এবং কুরবানীর দিন রমল করতেন না।
ইব্ন উমর (রাযিঃ) যখন মক্কা ব্যতীত অন্য স্থান থেকে ইহরাম বাঁধতেন তখন হজ্জে রমল করতেন। সুতরাং এটা সে রিওয়ায়াতের পরিপন্থী যা মুজাহিদ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অতএব তার সূত্রে বর্ণিত মুজাহিদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত দু’অবস্থার কোন একটি থেকে মুক্ত নয়। হয় তো সেটা মানসূখ (রহিত) এবং এর নাসিখ (রহিতকারী) রিওয়ায়াত তা থেকে উত্তম হবে। অথবা এই রিওয়ায়াত তাঁর সূত্রে বিশুদ্ধ নয়। তাই এর উপর আমল না করা এবং এর পরিপন্থী রিওয়ায়াতের উপর আমল করা আবশ্যক হওয়া অধিকতর সংগত। সুতরাং যখন আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা রসূলুল্লাহ্ ﷺ এবং তাঁর পরবর্তীতে তাঁর সাহাবীগণ থেকে মুশরিকদের অনুপস্থিতিতে প্রথমোক্ত তিন চক্করে রমল করা সাব্যস্ত হলো তখন এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাওয়াফে কদুম তথা আগমন কালীন তাওয়াফ সুন্নত। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোন পুরুষের জন্য এটা পরিত্যাগ করা সমীচীন নয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
ইব্ন উমর (রাযিঃ) যখন মক্কা ব্যতীত অন্য স্থান থেকে ইহরাম বাঁধতেন তখন হজ্জে রমল করতেন। সুতরাং এটা সে রিওয়ায়াতের পরিপন্থী যা মুজাহিদ (রাহঃ) তাঁর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অতএব তার সূত্রে বর্ণিত মুজাহিদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত দু’অবস্থার কোন একটি থেকে মুক্ত নয়। হয় তো সেটা মানসূখ (রহিত) এবং এর নাসিখ (রহিতকারী) রিওয়ায়াত তা থেকে উত্তম হবে। অথবা এই রিওয়ায়াত তাঁর সূত্রে বিশুদ্ধ নয়। তাই এর উপর আমল না করা এবং এর পরিপন্থী রিওয়ায়াতের উপর আমল করা আবশ্যক হওয়া অধিকতর সংগত। সুতরাং যখন আমাদের উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা রসূলুল্লাহ্ ﷺ এবং তাঁর পরবর্তীতে তাঁর সাহাবীগণ থেকে মুশরিকদের অনুপস্থিতিতে প্রথমোক্ত তিন চক্করে রমল করা সাব্যস্ত হলো তখন এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাওয়াফে কদুম তথা আগমন কালীন তাওয়াফ সুন্নত। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোন পুরুষের জন্য এটা পরিত্যাগ করা সমীচীন নয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
3841 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ إِذَا قَدِمَ مَكَّةَ , طَافَ بِالْبَيْتِ , وَرَمَلَ , ثُمَّ طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَإِذَا لَبَّى بِهَا مِنْ مَكَّةَ , لَمْ يَرْمُلْ بِالْبَيْتِ , وَأَخَّرَ الطَّوَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ , وَكَانَ لَا يَرْمُلُ يَوْمَ النَّحْرِ " فَفِي هَذَا عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يَرْمُلُ فِي الْحَجَّةِ إِذَا كَانَ إِحْرَامُهُ بِهَا مِنْ غَيْرِ مَكَّةَ فَهَذَا خِلَافُ مَا رَوَاهُ عَنْهُ مُجَاهِدٌ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَا يَخْلُو مَا رَوَاهُ عَنْهُ مُجَاهِدٌ مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ , إِمَّا أَنْ يَكُونَ مَنْسُوخًا فَمَا نَسَخَهُ فَهُوَ أَوْلَى مِنْهُ أَوْ يَكُونُ غَيْرَ صَحِيحٍ عَنْهُ , فَهُوَ أَحْرَى أَنْ لَا يَعْمَلَ بِهِ , وَأَنْ يَجِبَ الْعَمَلُ بِخِلَافِهِ وَلَمَّا ثَبَتَ مَا ذَكَرْنَا مِنَ الرَّمَلِ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ عَدَمِ الْمُشْرِكِينَ , وَعَنْ أَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ فِي الْأَشْوَاطِ الْأُوَلِ الثَّلَاثَةِ , ثَبَتَ أَنَّ ذَلِكَ مِنْ سُنَّةِ الطَّوَافِ عِنْدَ الْقُدُومِ , وَأَنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنَ الرِّجَالِ تَرْكُهُ إِذَا كَانَ قَادِرًا عَلَيْهِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান