শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৮১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮১৭
১৩. বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন কালে হাত উত্তোলন করা
৩৮১৫-১৭। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... ইব্‌ন আব্বাস (রাযিঃ) এর বরাতে নবী ﷺ থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেন: সাতটি স্থানে হাত উত্তোলন করা হবে: সালাতের সূচনাতে, বায়তুল্লাহ্ শরীফের কাছে, সাফা ও মারওয়াতে, আরাফাতে, মুযদালিফাতে এবং দুই জামরার নিকটে।


ফাহাদ (রাহঃ) ..... ইব্‌ন উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী ﷺ থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত। আমরা কাউকেও জানি না, যে কিনা বায়তুল্লাহ্ শরীফের নিকটে হাত উত্তোলন করা ব্যতীত এর অন্য কোন বিষয়ের বিরোধিতা করেছে। একদল আলিম এই মত পোষণ করেছেন এবং তাঁরা এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শনকালে হাত উত্তোলন করাকে মাকরূহ বলেছেন। তাঁরা এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন :
بَابُ رَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْبَيْتِ
3815 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: ثنا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي لَيْلَى , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنِ الْحَكَمِ , عَنْ مِقْسَمٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تُرْفَعُ الْأَيْدِي فِي سَبْعِ مَوَاطِنَ , فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , وَعِنْدَ الْبَيْتِ , وَعَلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَبِعَرَفَاتٍ وَبِالْمُزْدَلِفَةِ , وَعِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ»

3817 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ , قَالَ: ثنا الْمُحَارِبِيُّ , عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ هَذَا الْحَدِيثُ مَأْخُوذًا بِهِ , لَا نَعْلَمُ أَحَدًا خَالَفَ شَيْئًا مِنْهُ , غَيْرَ رَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الْبَيْتِ , فَإِنَّ قَوْمًا ذَهَبُوا إِلَى ذَلِكَ , وَاحْتَجُّوا بِهَذَا الْحَدِيثِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوا رَفْعَ الْيَدَيْنِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْبَيْتِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮১৮
বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন কালে হাত উত্তোলন করা
৩৮১৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক (রাহঃ)...... জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁকে বায়তুল্লাহ্ শরীফের নিকটে হাত উত্তোলন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ওটা এরূপ কাজ, যা ইয়াহুদীরা করে থাকে। বস্তুত আমরা রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সঙ্গে হজ্জ পালন করেছি, তিনি এমনটি করেন নি।
এখানে জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেন যে, এটা ইয়াহূদীদের কাজ, ইসলামের অনুসারীদের কাজ নয়। তাঁরা রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর সঙ্গে হজ্জ পালন করেছেন কিন্তু তিনি এই আমল করেন নি। যদি এই বিষয়টি সনদ হিসাবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে এই হাদীসের সনদ প্রথম হাদীসের সনদ অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর। আর যদি বিষয়টি হাদীস সমূহের সঠিক মর্মের নীতিতে গ্রহণ করা হয়, তাহলে জাবির (রাযিঃ) বলেছেন যে, এটা ইয়াহূদীদের আমল। সম্ভবত, রসূলুল্লাহ্ ﷺ তাদের আমল গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কেননা তিনি তাদের তরীকা গ্রহণ করতেন (নিজস্ব শরীয়াত আসার পূর্বে) যেহেতু তারা আহলে কিতাব ছিলেন। অবশেষে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁকে শরী'আত দান করলেন, যা তাদের শরীআতকে রহিত করে দিয়েছে। তারপর রসূলুল্লাহ্ ﷺ হজ্জ পালন করেছেন এবং তাদের বিরোধিতা করে হাত উত্তোলন করেন নি। সুতরাং জাবির (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত অধিকতর উত্তম বলে বিবেচিত। কেননা এতে এই দু'টি হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপণের সঙ্গে সঙ্গে ইবন আব্বাস (রাযিঃ) ও ইব্‌ন উমর (রাযিঃ)-এর হাদীস রহিত হওয়ার বিষয় বিদ্যমান রয়েছে। আর যদি বিষয়টি যুক্তির ভিত্তিতে বিবেচনা করা হয়, তাহলে আমরা লক্ষ্য করছি যে, হাদীসে হাত উত্তোলন করার যে উল্লেখ রয়েছে, এটি দু'প্রকার। তা থেকে একটি সালাতের তাকবীরের জন্য হাত উত্তোলন করা। আর অপরটি হলো দুআর জন্য (হাত) উত্তোলন করা। সালাতের সাথে যেটি সম্পর্কিত সেটি তো হলো সালাতের সূচনায় হাত উত্তোলন করা। আর যেটি দু'আ সাথে সম্পৃক্ত, সেটি হলো সাফা মারওয়া, মুযদালিফা, আরাফাত এবং দুই জামরার নিকটে হাত উত্তোলন করা। আর এটা ঐকমত্যের বিষয়। রসূলুল্লহ্ ﷺ থেকে আরাফাতে হাত উত্তোলন সম্পর্কেও হাদীসে বর্ণিত আছে :
3818 - بِمَا حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي قَزَعَةَ الْبَاهِلِيِّ , عَنِ الْمُهَاجِرِ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سُئِلَ , عَنْ رَفْعِ الْأَيْدِي عِنْدَ الْبَيْتِ فَقَالَ: ذَاكَ شَيْءٌ يَفْعَلُهُ الْيَهُودُ , قَدْ حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَلَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ " فَهَذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُخْبِرُ أَنَّ ذَلِكَ مِنْ فِعْلِ الْيَهُودِ , وَلَيْسَ مِنْ فِعْلِ أَهْلِ الْإِسْلَامِ , وَأَنَّهُمْ قَدْ حَجُّوا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ هَذَا الْبَابُ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ الْإِسْنَادِ , فَإِنَّ هَذَا الْإِسْنَادَ أَحْسَنُ مِنْ إِسْنَادِ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ , فَإِنَّ جَابِرًا قَدْ أَخْبَرَ أَنَّ ذَلِكَ مِنْ فِعْلِ الْيَهُودِ فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِهِ عَلَى الِاقْتِدَاءِ مِنْهُ بِهِمْ , إِذْ كَانَ حُكْمُهُ أَنْ يَكُونَ عَلَى شَرِيعَتِهِمْ لِأَنَّهُمْ أَهْلُ كِتَابٍ , حَتَّى يُحْدِثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ شَرِيعَةً تَنْسَخُ شَرِيعَتَهُمْ , ثُمَّ حَجَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَالَفَهُمْ , فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِذًا مِنْ مُخَالَفَتِهِمْ فَحَدِيثُ جَابِرٍ أَوْلَى , لِأَنَّ فِيهِ مَعَ تَصْحِيحِ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ النَّسْخَ لِحَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَإِنْ كَانَ يُؤْخَذُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الرَّفْعَ الْمَذْكُورَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَلَى ضَرْبَيْنِ , فَمِنْهُ رَفْعٌ لِتَكْبِيرِ الصَّلَاةِ , وَمِنْهُ رَفْعٌ لِلدُّعَاءِ فَأَمَّا مَا لِلصَّلَاةِ , فَرَفْعُ الْيَدَيْنِ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ وَأَمَّا مَا لِلدُّعَاءِ , فَرَفْعُ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَبِجُمْعٍ وَعَرَفَةُ وَعِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ فَهَذَا مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي رَفْعِ الْيَدَيْنِ بِعَرَفَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮১৯
বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন কালে হাত উত্তোলন করা
৩৮১৯। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্ ﷺ আরাফাতে দু'আ করতেন এবং হাতকে বুক পর্যন্ত উঠাতেন।

আমরা চাচ্ছি যে, বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শনকালে হাত উত্তোলন সম্পর্কে অবহিত হব যে, সেটিও অনুরূপ কি-না? আমরা লক্ষ্য করছি যে, যারা এ মত পোষণ করেন তারা ইহরামের কারণে নয় বরং বায়তুল্লাহ্ শরীফের সম্মানে উক্ত মত পোষণ করেন। এবং আমরা লক্ষ্য করেছি আরাফাতে, মুদালিফায়, দুই জামরার নিকটে এবং সাফা মারওয়ায় যেখানে অবস্থান করা হয়, দু'আর আঙ্গিকে হাত উত্তোলনের বিধান ইহরামের কারণে দেয়া হয় (সম্মানের কারণে নয়)। এই কারণেই আমরা লক্ষ্য করছি, যে ব্যক্তি ইহরাম মুক্ত অবস্থায় আরাফাত কিংবা মুযদালিফার দিকে অথবা কংকর নিক্ষেপের স্থানের দিকে কিংবা সাফা মারওয়ার দিকে যায় তাহলে সে এগুলোর কোনটির সম্মানের জন্য হাত উত্তোলন করে না। যখন সাব্যস্ত হলো যে, এই সমস্ত স্থানে ইহরামের কারণে হাত উত্তোলনের হুকুম রয়েছে এবং ইহরাম ব্যতীত এর হুকুম দেয়া হয় না, তাই ইহরাম ব্যতীত বায়তুল্লাহ্ শরীফকে দর্শন করার অবস্থায় হাত উত্তোলনের হুকুম দেয়া হবে না। অতএব যখন সাব্যস্ত হলো যে, ইহরাম ব্যতীত এর হুকুম দেয়া হয় না, তাহলে এটাও সাব্যস্ত হলো যে, ইহরাম অবস্থায়ও এর দ্বিতীয় প্রমাণ হুকুম দেয়া হবে না।

আমরা লক্ষ্য করছি যে, যে সমস্ত স্থানে ইহরাম অবস্থায় হাত উত্তোলন করার হুকুম দেয়া হয়েছে, সেই সমস্ত স্থানে অবস্থান (উকুফ) করারও হুকুম রয়েছে। আর আমরা সেই সমস্ত স্থানের আলোচনা করে এসেছি। আমরা আরো লক্ষ্য করছি যে, 'জামরায়ে আকাবা, অন্য জামরা সমূহের ন্যায় একটি জামরা। কিন্তু এর নিকটে উকুফ তথা অবস্থান করা হয় না। সুতরাং সেখানে হাতও তোলা হয় না।

অতএব যুক্তির দাবি হলো : যখন বায়তুল্লাহ্ শরীফের নিকট অবস্থান করা হয় না, তাহলে এর নিকটে হাতও তোলা হবে না। এটাই হলো কিয়াস এবং যুক্তি, যা আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ করেছি। আর এটা আমরা যা কিছু যুক্তির ভিত্তিতে সাব্যস্ত করেছি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।

এ বিষয়ে ইবরাহীম নখঈ (রাহঃ) থেকেও বর্ণিত আছে :
3819 - مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: أنا حَمَّادٌ , عَنْ بِشْرِ بْنِ حَرْبٍ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْعُو بِعَرَفَةَ وَكَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ نَحْوَ ثُنْدُوَتِهِ» فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي رَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الْبَيْتِ هَلْ هُوَ كَذَلِكَ أَمْ لَا , فَرَأَيْنَا الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى ذَلِكَ , ذَهَبُوا أَنَّهُ لَا لِعِلَّةِ الْإِحْرَامِ، وَلَكِنْ لِتَعْظِيمِ الْبَيْتِ وَقَدْ رَأَيْنَا الرَّفْعَ بِعَرَفَةَ وَالْمُزْدَلِفَةِ , وَعِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ , وَعَلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , إِنَّمَا أَمَرَ بِذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ الدُّعَاءِ فِي الْمَوْطِنِ الَّذِي جَعَلَ ذَلِكَ الْوُقُوفَ فِيهِ لِعِلَّةِ الْإِحْرَامِ وَقَدْ رَأَيْنَا مَنْ صَارَ إِلَى عَرَفَةَ , أَوْ مُزْدَلِفَةَ , مَوْضِعِ رَمْيِ الْجِمَارِ , أَوِ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ , أَنَّهُ لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ لِتَعْظِيمِ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ رَفْعَ الْيَدَيْنِ لَا يُؤْمَرُ بِهِ فِي هَذِهِ الْمَوَاطِنِ إِلَّا لِعِلَّةِ الْإِحْرَامِ , وَلَا يُؤْمَرُ بِهِ فِي غَيْرِ الْإِحْرَامِ , كَانَ كَذَلِكَ , لَا يُؤْمَرُ بِرَفْعِ الْيَدَيْنِ لِرُؤْيَةِ الْبَيْتِ فِي غَيْرِ الْإِحْرَامِ فَإِذَا ثَبَتَ أَنْ لَا يُؤْمَرَ بِذَلِكَ فِي غَيْرِ الْإِحْرَامِ , ثَبَتَ أَنْ لَا يُؤْمَرَ بِهِ أَيْضًا فِي الْإِحْرَامِ وَحُجَّةٌ أُخْرَى: أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا مَا يُؤْمَرُ بِرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَهُ فِي الْإِحْرَامِ , مَا كَانَ مَأْمُورًا بِالْوُقُوفِ عِنْدَهُ , مِنَ الْمَوَاطِنِ الَّتِي ذَكَرْنَا وَقَدْ رَأَيْنَا جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ جَمْرَةً كَغَيْرِهَا مِنَ الْجِمَارِ. غَيْرَ أَنَّهُ لَا يُوقَفُ عِنْدَهَا , فَلَمْ يَكُنْ هُنَاكَ رَفْعٌ فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْبَيْتُ , لَمَّا لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ وُقُوفٌ , أَنْ لَا يَكُونَ عِنْدَهُ رَفْعٌ , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ وَهَذَا الَّذِي أَثْبَتْنَاهُ بِالنَّظَرِ,هُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ ,
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮২০
বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন কালে হাত উত্তোলন করা
৩৮২০। সুলায়মান ইব্‌ন শু'আইব (রাহঃ) ..... ইবরাহীম নখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, সাত স্থানে হাত তোলা হয়। সালাতের সূচনায়, বিতরের মধ্যে কুনুতের তাকবীর বলার সময়, দুই ঈদে, হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেয়ার সময়, সাফা মারওয়ায়, মুযদালিফায়, আরাফাতে এবং দুই জামরার নিকটে অবস্থান কালে।

ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেনঃ সালাতের সূচনায়, দুই ঈদে, বিতরের মধ্যে এবং হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেয়ার সময় নিজ হাতের তালুর পিঠকে মুখমণ্ডলের দিকে করবে। পক্ষান্তরে অবশিষ্ট তিনটিতে হাতের তালুর অভ্যন্তর অংশ মুখমণ্ডলের দিকে করবে।

সালাতের সূচনা সম্পর্কে আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি, এর উপর সমস্ত মুসলমানদের ঐকমত্য রয়েছে। বিতরের মাঝে কুনুতের তাকবীর, এটা ওই সালাতের একটি অতিরিক্ত তাকবীর। এবং যারা রুকূর পূর্বে কুনুত পড়েন তারা এর সঙ্গে হাত তোলার উপর ঐকমত্য পোষণ করেন। এর উপর যুক্তির দাবি হলো যে, প্রত্যেক সালাতের প্রত্যেক অতিরিক্ত তাকবীর অনুরূপ হবে। আর দুই ঈদের তাকবীরসমূহও অপরাপর সালাতের হিসাবে এতে অতিরিক্ত।

হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেয়ার বিষয়টিকে তাওয়াফ শুরু করার তাকবীর সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমনিভাবে সালাতের সূচনার জন্য তাকবীর বলা হয়। রসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর নির্দেশ দিয়েছেন।
3820 - مَا حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ سُلَيْمَانَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ أَبِي يُوسُفَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ قَالَ: " تُرْفَعُ الْأَيْدِي فِي سَبْعِ مَوَاطِنَ: فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , وَفِي التَّكْبِيرِ لِلْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ , وَفِي الْعِيدَيْنِ , وَعِنْدَ اسْتِلَامِ الْحَجَرِ , وَعَلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَبِجُمْعٍ وَعَرَفَاتٍ , وَعِنْدَ الْمَقَامَيْنِ عِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ " قَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ: فَأَمَّا فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ فِي الْعِيدَيْنِ , وَفِي الْوِتْرِ , وَعِنْدَ اسْتِلَامِ الْحَجَرِ , فَيَجْعَلُ ظَهْرَ كَفَّيْهِ إِلَى وَجْهِهِ , وَأَمَّا فِي الثَّلَاثِ الْأُخَرِ , فَيَسْتَقْبِلُ بِبَاطِنِ كَفَّيْهِ وَجْهَهُ فَأَمَّا مَا ذَكَرْنَا فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , فَقَدِ اتَّفَقَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى ذَلِكَ جَمِيعًا وَأَمَّا التَّكْبِيرَةُ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ , فَإِنَّهَا تَكْبِيرَةٌ زَائِدَةٌ فِي تِلْكَ الصَّلَاةِ , وَقَدْ أَجْمَعَ الَّذِينَ يَقْنُتُونَ قَبْلَ الرُّكُوعِ عَلَى الرَّفْعِ مَعَهَا فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ , أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ كُلُّ تَكْبِيرَةٍ زَائِدَةٍ فِي كُلِّ صَلَاةٍ , فَتَكْبِيرُ الْعِيدَيْنِ الزَّائِدُ فِيهَا عَلَى سَائِرِ الصَّلَاةِ , كَذَلِكَ أَيْضًا وَأَمَّا عِنْدَ اسْتِلَامِ الْحَجَرِ , فَإِنَّ ذَلِكَ جُعِلَ تَكْبِيرًا يُفْتَتَحُ بِهِ الطَّوَافُ , كَمَا يُفْتَتَحُ بِالتَّكْبِيرِ الصَّلَاةُ وَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮২১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮২২
বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন কালে হাত উত্তোলন করা
৩৮২১-২২। ইউনুস (রাহঃ) ..... আবু ইয়া’ফুর আব্দী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মক্কার শাসনকর্তা থেকে শুনেছি। যিনি তিয়াত্তর হিজরীতে হাজ্জাজ ইব্‌ন ইউসুফ এর পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ছিলেন। তিনি বলতেন যে, উমর (রাযিঃ) একজন শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন। তিনি হাজরে আসওয়াদের নিকট লোকদের সঙ্গে ভীড় করে সম্মুখে এগিয়ে যেতেন। নবী ﷺ তাঁকে বললেন, হে আবু হাস! তুমি একজন শক্তিশালী পুরুষ! হাজরে আসওয়াদ-এর নিকট ভীড় করে দুর্বল লোকদেরকে কষ্ট দিচ্ছ। যখন হাজরে আসওয়াদকে খালী (অবস্থায়) দেখবে তখন এটাকে চুম্বন করবে অন্যথায় তাকবীর বলে সম্মুখে এগিয়ে যাবে।


মুহাম্মাদ ইব্‌ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... খোযাআ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হাজ্জাজ তাঁকে মক্কার শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। তারপর তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বস্তুত যেহেতু সেই তাকবীরকে তাওয়াফ শুরু করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমনিভাবে সালাত শুরু করার জন্য তাকবীর বলা হয়, তাই সালাতের সূচনা তাকবীরের ন্যায় এতেও হাত তোলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশেষত যখন নবী ﷺ বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফকে সালাত সাব্যস্ত করেছেন :
3821 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ الْعَبْدِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ أَمِيرًا كَانَ عَلَى مَكَّةَ , مِنْ طَرَفِ الْحَجَّاجِ عَنْهَا سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ يَقُولُ كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ رَجُلًا قَوِيًّا , وَكَانَ يُزَاحِمُ عَلَى الرُّكْنِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا حَفْصٍ أَنْتَ رَجُلٌ قَوِيٌّ وَإِنَّكَ تُزَاحِمُ عَلَى الرُّكْنِ , فَتُؤْذِي الضَّعِيفَ , فَإِذَا رَأَيْتَ خَلْوَةً فَاسْتَلِمْهُ , وَإِلَّا فَكَبِّرْ وَامْضِ»

3822 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , عَنْ أَبِي يَعْفُورٍ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ خُزَاعَةَ قَالَ: وَكَانَ الْحَجَّاجُ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى مَكَّةَ , ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ فَلَمَّا جَعَلَ ذَلِكَ التَّكْبِيرَ يَفْتَتِحُ بِهِ الطَّوَافَ , كَالتَّكْبِيرِ الَّذِي جُعِلَ يُفْتَتَحُ بِهِ الصَّلَاةُ أُمِرَ بِالرَّفْعِ فِيهِ , كَمَا يُؤْمَرُ بِالرَّفْعِ فِي التَّكْبِيرِ لِافْتِتَاحِ الصَّلَاةِ , وَلَا سِيَّمَا إِذْ قَدْ جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ صَلَاةً
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮২২
empty
৩৮২২।
- 3822
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮২৪
বায়তুল্লাহ্ শরীফ দর্শন কালে হাত উত্তোলন করা
৩৮২৩-২৪। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ও সালিহ্ ইবন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... ইবন আব্বাস (রাযিঃ) এর বরাতে নবী ﷺ থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেন: বায়তুল্লাহ্ শরীফের তাওয়াফ হলো সালাত তবে আল্লাহ্ তা'আলা এতে তোমাদের জন্য কথা বলা বৈধ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি কথা বলবে, সে যেন কল্যাণ মূলক কথা বলে।

সুতরাং এই কারণের ভিত্তিতে সেই সমস্ত স্থানেও হাত তোলা ওয়াজিব যা প্রথমোক্ত হাদীসে উল্লিখিত স্থান সমূহের অতিরিক্ত (দুই ঈদ ও কুনুতের তাকবীর)। পক্ষান্তরে, সাফা মারওয়া, মুযদালিফা, আরাফাত এবং জামরার নিকট অবস্থান করার প্রাক্কালে হাত তোলার বিষয়টি তো প্রথমোক্ত হাদীসে সুস্পষ্টরূপে এসেছে। বস্তুত এই সমস্ত বিষয় বস্তু যা আমরা বর্ণনা এবং সাব্যস্ত করেছি ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
3823 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ ح

3824 - وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَا: ثنا الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ ,عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ , عَنْ طَاوُسٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ صَلَاةٌ , إِلَّا أَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ أَحَلَّ لَكُمُ النُّطْقَ , فَمَنْ نَطَقْ فَلَا يَنْطِقْ إِلَّا بِخَيْرٍ» فَهَذِهِ الْعِلَّةُ الَّتِي لَهَا وَجَبَ الرَّفْعُ فِيمَا زَادَ عَلَى مَا فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ وَأَمَّا الرَّفْعُ عَلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ , وَبِجَمْعٍ , وَعَرَفَاتٍ وَعِنْدَ الْمَقَامَيْنِ عِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ , فَإِنَّ ذَلِكَ قَدْ جَاءَ مَنْصُوصًا فِي الْخَبَرِ الْأَوَّلِ وَهَذَا الَّذِي وَصَفْنَا مِنْ هَذِهِ الْمَعَانِي الَّتِي ثَبَّتْنَاهَا , قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৮২৪
empty
৩৮২৪।
- 3824
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান