শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৬৩২
হজ্বের অধ্যায়
৮. ইহরাম বাঁধার সময় পরনে জামা থাকলে তা কিভাবে খুলবে
৩৬৩২। রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ......... জাবির ইব্ন আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট মসজিদে বসা ছিলাম। তিনি তাঁর জামার বুকের দিকের উন্মুক্ত অংশ কেটে ফেললেন তার পর তা পায়ের দিক দিয়ে খুললেন। লোকেরা নবী করীম (ﷺ) এর দিকে তাকিয়ে দেখল। তিনি বললেন, আমি আজ কুরবানীর যে জন্তু পাঠিয়েছি তার গলায় মালা পড়ানো এবং তাকে ইশআর (নিদর্শনযুক্ত) করার নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছি। আমি জামা পরিহিত ছিলাম এবং তা খুলতে ভুলে গিয়েছিলাম সুতরাং আমি তা মাথার দিক দিয়ে খুলব না। আর তিনি কুরবানীর জন্তু পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এবং নিজে মদীনায় অবস্থান করছিলেন।
ইমাম আবু জা’ফর (তাহাবী র) বলেন ঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, ইহরাম পালনকারী ব্যক্তি জামাকে এভাবে খুলবে না যেভাবে ইহরামমুক্ত (হালাল) ব্যক্তি খুলে থাকে। কেননা যদি সে এরূপ করে তাহলে সে নিজের মাথা ঢেকে নিবে, আর এটা তার জন্য হারাম। তাই তাকে তা কেটে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়।
পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বরং তা (স্বাভাবিকভাবে) খুলবে। তাঁরা এ বিষয়ে ইয়া’লা ইব্ন উমাইয়া (রাযিঃ) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন যে, তিনি ইহরাম বেঁধে ছিলেন এবং তিনি জুব্বা পরিহিত ছিলেন। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে এলেন। এতে তিনি তাঁকে তা খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন। আমরা এ বিষয়টি ‘ইহরামের সময় সুগন্ধি ব্যবহার’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। কিন্তু জাবির (রাযিঃ) এর হাদীস এর পরিপন্থী , যা আমরা উল্লেখ করেছি। ওটার ইসনাদ এর ইসনাদ অপেক্ষা উত্তম। আর যদি এ বিষয়টি সনদের বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে সাব্যস্ত হয়, তাহলে সনদের বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে ইয়া’লা (রাযিঃ) এর হাদীসের সেই অবস্থান প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, যা জাবির (রাযিঃ) এর হাদীসের নেই।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের যুক্তিভিত্তিক পর্র্যলোচনা ঃ আমরা লক্ষ্য করছি যে, যারা জামা খুলে ফেলাকে অপছন্দ করেন তাঁদের মতে এর কারণ হল, সে যখন জামা খুলবে তখন নিজের মাথাকে ঢেকে ফেলবে। তাই আমরা দেখতে প্রয়াস পাব যে, ইহরাম পালন অবস্থায় সার্বিকভাবে মাথা ঢাকা নিষিদ্ধ কি না ? আমরা লক্ষ্য করছি যে, ইহরাম পালনকারীকে টুপি, পাগড়ি ও কোট ইত্যাদি পরিধান করতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং মাথায়ও কোন জিনিস পরিধান করতে নিষেধ করা হয়েছে, যেমনিভাবে শরীরে জামা পরিধান করতে নিষেধ করা হয়েছে। আরো আমরা লক্ষ্য করছি যে, যদি ইহরাম পালনকারী নিজের মাথায় কাপড় ইত্যাদি রাখে তাহলে এতে কোন দোষ নেই এবং এটা মাথাকে টুপি ইত্যাদির সাথে ঢেকে নেয়ার বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয় । কেননা সে তা পরিধানকারী নয়। তাই নিষেধাজ্ঞা শুধু সেই অবস্থায় প্রযোজ্য হবে যখন কোন জিনিস পরিধান করে মাথাকে ঢেকে নেয়া হয়, শুধু ঢেকে নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। অনুরূপভাবে শরীরে জামা পরিধান করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু চাদর ইত্যাদির দ্বারা ঢাকতে নিষেধ করা হয়নি।
বস্তু মাথায় পরিধান করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তেমন ঢাকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই যা পরিধান করা সাস্যস্ত হয় না। আর যখন জামা খুলতে গিয়ে মাথার সঙ্গে লাগবে তখন এটা মাথায় কোন কিছু পরিধান করা বুঝায় না বরং এটা মাথাকে ঢেকে নেয়া বুঝায়। (অতএব এটা নিষিদ্ধ হবে না)।
আমরা যা কিছু উল্লেখ করেছি তাতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, টুপি পরার নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ শুধু মাথাকে ঢেকে নেয়ার উপর প্রযোজ্য হয় না বরং তা দ্বারা ইহরাম অবস্থায় মাথায় সেই জিনিস পরিধান করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যা হালাল অবস্থায় পরিধান করা হয়।
অতএব যখন জামা খুলার সময় তা মাথার সঙ্গে লাগান অবস্থায় সেই ঢেকে নেয়া পাওয়া যায় না যা নিষিদ্ধ। আমাদের উল্লিখিত বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হল যে, এতে কিয়াস ও যৌক্তিকভাবেও কোনরূপ দোষ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর এটাই অভিমত।
এ বিষয়ে পূর্ববর্তী মনীষীগণ মতবিরোধ করেছেন ঃ
كتاب مناسك الحج
بَابٌ الرَّجُلُ يُحْرِمُ وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ كَيْفَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَخْلَعَهُ؟
3632 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَطَاءِ بْنِ لَبِيبَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ جَابِرٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ فَقَدَّ قَمِيصَهُ مِنْ جَيْبِهِ حَتَّى أَخْرَجَهُ مِنْ رِجْلَيْهِ فَنَظَرَ الْقَوْمُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنِّي أُمِرْتُ بِبُدْنِي الَّتِي بَعَثْتُ بِهَا أَنْ يُقَلَّدَ الْيَوْمَ وَيُشْعَرَ عَلَى كَذَا وَكَذَا فَلَبِسْتُ قَمِيصِي وَنَسِيتُ فَلَمْ أَكُنْ لِأُخْرِجَ قَمِيصِي مِنْ رَأْسِي» وَكَانَ بَعَثَ بِبُدُنِهِ وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَقَالُوا: لَا يَنْبَغِي لِلْمُحْرِمِ أَنْ يَخْلَعَهُ كَمَا يَخْلَعُ الْحَلَالُ قَمِيصَهُ لِأَنَّهُ إِذَا فَعَلَ ذَلِكَ غَطَّى رَأْسَهُ وَذَلِكَ عَلَيْهِ حَرَامٌ فَأَمَرَ بِشَقِّهِ لِذَلِكَ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ يَنْزِعُهُ نَزْعًا وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثِ «يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ الَّذِي أَحْرَمَ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ فَأَتَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَنْزِعَهَا نَزْعًا» وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي بَابِ التَّطْيِيبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ. فَقَدْ خَالَفَ ذَلِكَ حَدِيثُ جَابِرٍ الَّذِي ذَكَرْنَا وَإِسْنَادُهُ أَحْسَنُ مِنْ إِسْنَادِهِ. فَإِنْ كَانَتْ هَذِهِ الْأَشْيَاءُ تَثْبُتُ بِصِحَّةِ الْإِسْنَادِ، فَإِنَّ حَدِيثَ يَعْلَى مَعَهُ مِنْ صِحَّةِ الْإِسْنَادِ مَا لَيْسَ مَعَ حَدِيثِ جَابِرٍ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ فَإِنَّا رَأَيْنَا الَّذِينَ كَرِهُوا نَزْعَ الْقَمِيصِ إِنَّمَا كَرِهُوا ذَلِكَ لِأَنَّهُ يُغَطِّي رَأْسَهُ إِذَا نَزَعَ قَمِيصَهُ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ هَلْ يَكُونُ تَغْطِيَةُ الرَّأْسِ فِي الْإِحْرَامِ عَلَى كُلِّ الْجِهَاتِ مَنْهِيًّا عَنْهَا أَمْ لَا؟ فَرَأَيْنَا الْمُحْرِمَ نُهِيَ عَنْ لُبْسِ الْقَلَانِسِ وَالْعَمَائِمِ وَالْبَرَانِسِ فَنُهِيَ أَنْ يُلْبِسَ رَأْسَهُ شَيْئًا كَمَا نُهِيَ أَنْ يُلْبِسَ بَدَنَهُ الْقَمِيصَ. وَرَأَيْنَا الْمُحْرِمَ لَوْ حَمَلَ عَلَى رَأْسِهِ شَيْئًا ثِيَابًا أَوْ غَيْرَهَا لَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ بَأْسًا وَلَمْ يَدْخُلْ ذَلِكَ فِيمَا قَدْ نُهِيَ عَنْ تَغْطِيَةِ الرَّأْسِ بِالْقَلَانِسِ وَمَا أَشْبَهَهَا لِأَنَّهُ غَيْرُ لَابِسٍ. فَكَانَ النَّهْيُ إِنَّمَا وَقَعَ مِنْ ذَلِكَ عَلَى تَغْطِيَةِ مَا يُلْبِسُهُ الرَّأْسَ لَا عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا يُغَطَّى بِهِ. وَكَذَلِكَ الْأَبْدَانُ نُهِيَ عَنْ إِلْبَاسِهَا الْقَمِيصَ وَلَمْ يُنْهَ عَنْ تَحَلِّيهَا بِالْأُزُرِ. فَلَمَّا كَانَ مَا وَقَعَ عَلَيْهِ النَّهْيُ مِنْ هَذَا فِي الرَّأْسِ إِنَّمَا هُوَ الْإِلْبَاسُ لَا التَّغْطِيَةِ الَّتِي لَيْسَتْ بِإِلْبَاسٍ وَكَانَ إِذَا نَزَعَ قَمِيصَهُ فَلَاقَى ذَلِكَ رَأْسَهُ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِإِلْبَاسٍ مِنْهُ لِرَأْسِهِ شَيْئًا إِنَّمَا ذَلِكَ تَغْطِيَةٌ مِنْهُ لِرَأْسِهِ. وَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ النَّهْيَ عَنْ لُبْسِ الْقَلَانِسِ لَمْ يَقَعْ عَلَى تَغْطِيَةِ الرَّأْسِ وَإِنَّمَا وَقَعَ عَلَى إِلْبَاسِ الرَّأْسِ فِي حَالِ الْإِحْرَامِ مَا يَلْبَسُ فِي حَالِ الْإِحْلَالِ. فَلَمَّا خَرَجَ بِذَلِكَ مَا أَصَابَ الرَّأْسَ مِنَ الْقَمِيصِ الْمَنْزُوعِ مِنْ حَالِ تَغْطِيَةِ الرَّأْسِ الْمُنْهَى عَنْهَا ثَبَتَ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُتَقَدِّمُونَ فِي ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৫
হজ্বের অধ্যায়
ইহরাম বাঁধার সময় পরনে জামা থাকলে তা কিভাবে খুলবে
৩৬৩৩-৩৫। সালিহ্ ইব্ন আব্দির রহমান (রাহঃ) ......... ইবরাহীম (রাহঃ) ও শা’বী থেকে বর্ণনা করেন যে, তাঁরা বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি জামা পরা অবস্থায় ইহরাম বাঁধে তখন সে তার থেকে তা ছিঁড়ে বের করবে।

রাওহ ইব্ন ফারাজ (রাহঃ) ......... সাঈদ ইব্ন জুবাইর (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
كتاب مناسك الحج
3633 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أنا يُونُسُ , عَنِ الْحَسَنِ*.

3634 - وَأَخْبَرنَا مُغِيرَةُ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , وَالشَّعْبِيِّ , أَنَّهُمْ قَالُوا: إِذَا أَحْرَمَ الرَّجُلُ وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ فَلْيَخْرِقْهُ عَلَيْهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ "

3635 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرْجِ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا شَرِيكٌ , عَنْ سَالِمٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِثْلَهُ

*وهو الحسن البصري كما في نخب الافكار...والعجب كل العجب من نسخة الشاملة.. يتحول "الحسن" هناك من الحسن البصري الى الحسن بن محمد بن على بن أبى طالب (و هو الحسن بن محمد ابن الحنفية) اذ المكتوب في النسخة اللتي ينسخون منها هو "الحسن" فقط. كيف التحريف هذا ولم ؟؟ اهـ المحشي.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৪
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬৩৪।
كتاب مناسك الحج
- 3634
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৫
হজ্বের অধ্যায়
empty
৩৬৩৫।
كتاب مناسك الحج
- 3635
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৬
হজ্বের অধ্যায়
ইহরাম বাঁধার সময় পরনে জামা থাকলে তা কিভাবে খুলবে
৩৬৩৬। সুলাইমান ইব্ন শু’আইব (রাহঃ) ......... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি জামা পরিহিত অবস্থায় ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে তাদের একজন বলেন সে তা ছিঁড়ে ফেলবে এবং অপরজন বলেন, তা পায়ের দিক দিয়ে খুলে ফেলবে।
كتاب مناسك الحج
3636 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ الْمُغِيرَةِ , وَحَمَّادٌ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , قَالَ: " إِذَا أَحْرَمَ الرَّجُلُ وَعَلَيْهِ قَمِيصٌ قَالَ أَحَدُهُمَا: يَشُقُّهُ وَقَالَ الْآخَرُ: يَخْلَعُهُ مِنْ قِبَلِ رِجْلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৭
হজ্বের অধ্যায়
ইহরাম বাঁধার সময় পরনে জামা থাকলে তা কিভাবে খুলবে
৩৬৩৭। সুলায়মান (রাহঃ) ......... আতা ইব্ন আবী রিবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি যাঁকে ইয়া’লা ইব্ন উমাইয়া (রাযিঃ) বলা হত, ইহরাম বেঁধেছেন এবং তাঁর পরনে একটি জুব্বা ছিল । নবী করীম (ﷺ) তাঁকে তা খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। কাতাদা (রাযিঃ) বলেন, আমি আতা (রাহঃ) কে বললাম যে, আমাদের ধারনা মতে তা ছিড়ে ফেলা বাঞ্ছনীয়। এতে আতা (রাহঃ) বললেন, আল্লাহ তাআলা ‘ফাসাদ’ কে পছন্দ করেন না।
كتاب مناسك الحج
3637 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ قَتَادَةَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ , «أَنَّ رَجُلًا , يُقَالُ لَهُ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ أَحْرَمَ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْزِعَهَا» قَالَ قَتَادَةُ: قُلْتُ لِعَطَاءٍ: إِنَّمَا كُنَّا نَرَى أَنْ يَشُقَّهَا فَقَالَ عَطَاءٌ: إِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْفَسَادَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৮
হজ্বের অধ্যায়
ইহরাম বাঁধার সময় পরনে জামা থাকলে তা কিভাবে খুলবে
৩৬৩৮। সুলায়মান (রাহঃ)..... আবু সালমা আযদী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ইকরামা (রাহঃ) থেকে শুনেছি, তাঁকে এরূপ এক ব্যক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, যে কাবা (আচকান) পরিহিত অবস্থায় ইহরাম বেঁধেছে। তিনি বললেন, ‘সে তা খুলে ফেলবে’।
বস্তুত এরা হলেন আতা (রাহঃ) ও ইকরামা (রাহঃ) । তাঁরা ইবরাহীম (রাহঃ), শা’বী (রাহঃ) ও সাঈদ ইব্ন জুবাইর (রাহঃ) এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। আর তাঁরা উভয়ে আমাদের ন্যায় ইয়া’লা (রাযিঃ) এর হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন।
كتاب مناسك الحج
3638 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ الْأَزْدِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ وَسُئِلَ عَنْ " رَجُلٍ أَحْرَمَ وَعَلَيْهِ قَبَاءٌ قَالَ: «يَخْلَعُهُ» فَهَذَا عَطَاءٌ وَعِكْرِمَةُ قَدْ خَالَفَ إِبْرَاهِيمَ وَالشَّعْبِيَّ وَسَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ وَذَهَبَا إِلَى مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ مِنْ حَدِيثِ يَعْلَى
tahqiq

তাহকীক: