শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৬. হজ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৬২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬২৮
৭. ইহরাম অবস্থায় ওয়ারাস এবং যাফরান (সুগন্ধি) বিশিষ্ট পোশাক পরিধান করা
৩৬২৩-২৮। ইয়াযীদ ইব্ন সিনান (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এরূপ পোশাক পরিধান করবে না যা ‘ওয়ারাস’ (হলুদ রংের গুল্ম) এবং যাফরান রং এর রঞ্জিত। অর্থাৎ ইহরাম অবস্থায় পরিধান করবে না।
আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ......... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).....ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহন করে বলেছেন, যেই কাপড় ওয়ারাস ও যাফরান রং-এ রঞ্জিত ইহরাম অবস্থায় তা পরিধান করা জায়েয নয়, যদিও তা ধুয়ে নেয়া হোক না কেন। কেননা নবী করীম (ﷺ) এই সমস্ত হাদীসে ধৌত করা (কাপড়) ও অধৌত করা কাপড়ের মধ্যে পার্থক্য করেন নি। সুতরাং তাঁর নিষেধাজ্ঞা সবগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হবে। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, যে কাপড় এমনভাবে ধৌত করা হয় যে, তা থেকে সুঘ্রাণ বের হয় না, তা ইহরাম অবস্থায় পরিধান করাতে কোন দোষ নেই। কেননা রং এ রঞ্জিত কাপড়ের নিষিদ্ধতার কারণ হল যে, এরূপ কাপড়ের দ্বারা ইহরামের মধ্যে প্রবেশ করছে যা ইহরামরত ব্যক্তির জন্য হারাম। যখন ধৌত করা হবে, তখন তা এই বিধান থেকে বের হয়ে যাবে, নিষিদ্ধতার কারণ বিদূরিত হয়ে যাবে এবং কাপড় তার পূর্বে ও আসল অবস্থার দিকে ফিরে আসবে যা ছিল রং লাগার পূর্বের অবস্থা। তাঁরা বলেন, এটা সেই পাক কাপড়ের ন্যায়, যাতে নাপাকী লেগেছে। এখন এর সাথে সালাত জায়েয হবে না। যখন তা ধৌত করা হবে এবং নাপাকী দূর হয়ে যাবে তখন তা পাক হয়ে যাবে এবং তা পরিধান করে সালাত আদায় জায়েয হবে।
এ বিষয়ে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি মুহরিম (ইহরাম রত ) ব্যক্তির উপর হারাম বস্তুসমূহ থেকে ব্যতিক্রমকে এই বলে বর্ণনা করেছেন ঃ “তবে তা যেন ধৌত করা হয়”। বিষয়টি নিম্মোক্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে ঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে ঐ হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি। কিন্তু তাতে ‘তবে তা ধৌতকৃত’ বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
ইব্ন আবী ইমরান (রাহঃ) বলেন, আমি ইয়াহয়া ইব্ন মাঈন (রাহঃ) কে দেখেছি তিনি হাম্মানী (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করায় আশ্চর্যবোধ করতেন। আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁকে বললেন, এটা আমার নিকট বিদ্যমান আছে। তিনি তৎক্ষণাৎ লাফিয়ে উঠলেন এবং আসল (খাতা) নিয়ে এলেন, তা থেকে এই হাদীস আবু মুআবিয়া (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত থেকে এভাবে বের করলেন যেভাবে ইয়াহয়া হাম্মানী (রাহঃ) উল্লেখ করেছিলেন। তারপর ইয়াহয়া ইব্ন মাঈন (রাহঃ) তাঁর থেকে সেটি লিখে নিলেন।
সুতরাং আমরা যা কিছু করেছি তা থেকে সাব্যস্ত হল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওয়ারাস এবং যাফরান রং এ রঞ্জিত কাপড়ের মধ্য থেকে ধৌত করা কাপড়কে ব্যতিক্রম করেছেন। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
বিষয়টি কিছু পূর্ববর্তী মনীষীদের থেকেও বর্ণিত আছে ঃ
আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ......... ইবন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইউনুস (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ).....ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহন করে বলেছেন, যেই কাপড় ওয়ারাস ও যাফরান রং-এ রঞ্জিত ইহরাম অবস্থায় তা পরিধান করা জায়েয নয়, যদিও তা ধুয়ে নেয়া হোক না কেন। কেননা নবী করীম (ﷺ) এই সমস্ত হাদীসে ধৌত করা (কাপড়) ও অধৌত করা কাপড়ের মধ্যে পার্থক্য করেন নি। সুতরাং তাঁর নিষেধাজ্ঞা সবগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হবে। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাঁদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, যে কাপড় এমনভাবে ধৌত করা হয় যে, তা থেকে সুঘ্রাণ বের হয় না, তা ইহরাম অবস্থায় পরিধান করাতে কোন দোষ নেই। কেননা রং এ রঞ্জিত কাপড়ের নিষিদ্ধতার কারণ হল যে, এরূপ কাপড়ের দ্বারা ইহরামের মধ্যে প্রবেশ করছে যা ইহরামরত ব্যক্তির জন্য হারাম। যখন ধৌত করা হবে, তখন তা এই বিধান থেকে বের হয়ে যাবে, নিষিদ্ধতার কারণ বিদূরিত হয়ে যাবে এবং কাপড় তার পূর্বে ও আসল অবস্থার দিকে ফিরে আসবে যা ছিল রং লাগার পূর্বের অবস্থা। তাঁরা বলেন, এটা সেই পাক কাপড়ের ন্যায়, যাতে নাপাকী লেগেছে। এখন এর সাথে সালাত জায়েয হবে না। যখন তা ধৌত করা হবে এবং নাপাকী দূর হয়ে যাবে তখন তা পাক হয়ে যাবে এবং তা পরিধান করে সালাত আদায় জায়েয হবে।
এ বিষয়ে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি মুহরিম (ইহরাম রত ) ব্যক্তির উপর হারাম বস্তুসমূহ থেকে ব্যতিক্রমকে এই বলে বর্ণনা করেছেন ঃ “তবে তা যেন ধৌত করা হয়”। বিষয়টি নিম্মোক্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে ঃ
ফাহাদ (রাহঃ) ......... ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে ঐ হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন যা আমরা এই অনুচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেছি। কিন্তু তাতে ‘তবে তা ধৌতকৃত’ বাক্যটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
ইব্ন আবী ইমরান (রাহঃ) বলেন, আমি ইয়াহয়া ইব্ন মাঈন (রাহঃ) কে দেখেছি তিনি হাম্মানী (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করায় আশ্চর্যবোধ করতেন। আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাঁকে বললেন, এটা আমার নিকট বিদ্যমান আছে। তিনি তৎক্ষণাৎ লাফিয়ে উঠলেন এবং আসল (খাতা) নিয়ে এলেন, তা থেকে এই হাদীস আবু মুআবিয়া (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত থেকে এভাবে বের করলেন যেভাবে ইয়াহয়া হাম্মানী (রাহঃ) উল্লেখ করেছিলেন। তারপর ইয়াহয়া ইব্ন মাঈন (রাহঃ) তাঁর থেকে সেটি লিখে নিলেন।
সুতরাং আমরা যা কিছু করেছি তা থেকে সাব্যস্ত হল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওয়ারাস এবং যাফরান রং এ রঞ্জিত কাপড়ের মধ্য থেকে ধৌত করা কাপড়কে ব্যতিক্রম করেছেন। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
বিষয়টি কিছু পূর্ববর্তী মনীষীদের থেকেও বর্ণিত আছে ঃ
بَابُ لُبْسِ الثَّوْبِ الَّذِي قَدْ مَسَّهُ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ فِي الْإِحْرَامِ
28 - 3623 - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ وَأَبُو صَالِحٍ كَاتِبُ اللَّيْثِ قَالَا: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَلْبَسُوا ثَوْبًا مَسَّهُ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ» يَعْنِي فِي الْإِحْرَامِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَقَالُوا: كُلُّ ثَوْبٍ مَسَّهُ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ فَلَا يَحِلُّ لُبْسُهُ فِي الْإِحْرَامِ وَإِنْ غُسِلَ لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا غُسِلَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُغْسَلْ فَنَهْيُهُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا غُسِلَ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى صَارَ لَا يَنْفَضُّ فَلَا بَأْسَ بِلُبْسِهِ فِي الْإِحْرَامِ لِأَنَّ الثَّوْبَ الَّذِي صُبِغَ إِنَّمَا نُهِيَ عَنْ لُبْسِهِ فِي الْإِحْرَامِ لَمَّا كَانَ قَدْ دَخَلَهُ مِمَّا هُوَ حَرَامٌ عَلَى الْمُحْرِمِ فَإِذَا غُسِلَ فَخَرَجَ ذَلِكَ مِنْهُ ذَهَبَ الْمَعْنَى الَّذِي كَانَ لَهُ النَّهْيُ وَعَادَ الثَّوْبُ إِلَى أَصْلِهِ الْأَوَّلِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهُ ذَلِكَ الَّذِي غُسِلَ مِنْهُ. وَقَالُوا: هَذَا كَالثَّوْبِ الطَّاهِرِ يُصِيبُهُ النَّجَاسَةُ فَيَنْجُسُ بِذَلِكَ فَلَا تَجُوزُ الصَّلَاةُ فِيهِ فَإِذَا غُسِلَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ النَّجَاسَةُ طَهُرَ وَحَلَّتِ الصَّلَاةُ فِيهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ اسْتَثْنَى مِمَّا حَرَّمَهُ عَلَى الْمُحْرِمِ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ «إِلَّا أَنْ يَكُونَ غَسِيلًا»
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ , فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْأَزْدِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ ح
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ الْأَزْدِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ الْحَدِيثِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ وَزَادَ «إِلَّا أَنْ يَكُونَ غَسِيلًا» قَالَ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ: وَرَأَيْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ وَهُوَ يَتَعَجَّبُ مِنَ الْحِمَّانِيِّ أَنْ يُحَدِّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ هَذَا عِنْدِي. ثُمَّ وَثَبَ مِنْ فَوْرِهِ فَجَاءَ بِأَصْلِهِ فَأَخْرَجَ مِنْهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ كَمَا ذَكَرَهُ يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ فَكَتَبَهُ عَنْهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا اسْتِثْنَاءَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغُسْلَ مِمَّا قَدْ مَسَّهُ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ، رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى، وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ نَفَرٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجٌ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ أَيُّوبَ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَقَالُوا: كُلُّ ثَوْبٍ مَسَّهُ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ فَلَا يَحِلُّ لُبْسُهُ فِي الْإِحْرَامِ وَإِنْ غُسِلَ لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبَيِّنْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا غُسِلَ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُغْسَلْ فَنَهْيُهُ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: مَا غُسِلَ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى صَارَ لَا يَنْفَضُّ فَلَا بَأْسَ بِلُبْسِهِ فِي الْإِحْرَامِ لِأَنَّ الثَّوْبَ الَّذِي صُبِغَ إِنَّمَا نُهِيَ عَنْ لُبْسِهِ فِي الْإِحْرَامِ لَمَّا كَانَ قَدْ دَخَلَهُ مِمَّا هُوَ حَرَامٌ عَلَى الْمُحْرِمِ فَإِذَا غُسِلَ فَخَرَجَ ذَلِكَ مِنْهُ ذَهَبَ الْمَعْنَى الَّذِي كَانَ لَهُ النَّهْيُ وَعَادَ الثَّوْبُ إِلَى أَصْلِهِ الْأَوَّلِ قَبْلَ أَنْ يُصِيبَهُ ذَلِكَ الَّذِي غُسِلَ مِنْهُ. وَقَالُوا: هَذَا كَالثَّوْبِ الطَّاهِرِ يُصِيبُهُ النَّجَاسَةُ فَيَنْجُسُ بِذَلِكَ فَلَا تَجُوزُ الصَّلَاةُ فِيهِ فَإِذَا غُسِلَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْهُ النَّجَاسَةُ طَهُرَ وَحَلَّتِ الصَّلَاةُ فِيهِ. وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ اسْتَثْنَى مِمَّا حَرَّمَهُ عَلَى الْمُحْرِمِ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ «إِلَّا أَنْ يَكُونَ غَسِيلًا»
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ , فَهْدٌ قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْأَزْدِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ ح
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ الْأَزْدِيُّ , قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنْ عُبَيْدِ اللهِ , عَنْ نَافِعٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ الْحَدِيثِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ وَزَادَ «إِلَّا أَنْ يَكُونَ غَسِيلًا» قَالَ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ: وَرَأَيْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ وَهُوَ يَتَعَجَّبُ مِنَ الْحِمَّانِيِّ أَنْ يُحَدِّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ هَذَا عِنْدِي. ثُمَّ وَثَبَ مِنْ فَوْرِهِ فَجَاءَ بِأَصْلِهِ فَأَخْرَجَ مِنْهُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ كَمَا ذَكَرَهُ يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ فَكَتَبَهُ عَنْهُ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا اسْتِثْنَاءَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْغُسْلَ مِمَّا قَدْ مَسَّهُ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ، رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى، وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ نَفَرٍ مِنَ الْمُتَقَدِّمِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৪
empty
৩৬২৪।
- 3624

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৫
empty
৩৬২৫।
- 3625

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৬
empty
৩৬২৬।
- 3626

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৭
empty
৩৬২৭।
- 3627

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৮
empty
৩৬২৮।
- 3628

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬২৯
ইহরাম অবস্থায় ওয়ারাস এবং যাফরান (সুগন্ধি) বিশিষ্ট পোশাক পরিধান করা
৩৬২৯। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... সাঈদ ইব্ন মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, আমি ইহরাম বাঁধার ইচ্ছা করেছি, কিন্তু আমার নিকট শুধু এই কাপড়-ই আছে, যা যাফরানের রং এ রঞ্জিত। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম করে বলছ যে, তোমার নিকট তা ছাড়া (অন্য কাপড়) নেই ? সে কসম করল। এরপর তিনি বললেন, এটা ধুয়ে তাতে ইহরাম বাঁধ।
3629 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ أَبِي بِشْرٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ , أَنَّهُ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُحْرِمَ وَلَيْسَ لِي إِلَّا هَذَا الثَّوْبُ، ثَوْبٌ مَصْبُوغٌ بِزَعْفَرَانٍ. قَالَ: آللَّهِ مَا تَجِدُ غَيْرَهُ؟ فَحَلَفَ فَقَالَ: اغْسِلْهُ وَأَحْرِمْ فِيهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৩০
ইহরাম অবস্থায় ওয়ারাস এবং যাফরান (সুগন্ধি) বিশিষ্ট পোশাক পরিধান করা
৩৬৩০। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... তাউস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, যখন যাফরান অথবা ওয়ারাস রং এ রঞ্জিত কাপড় ধুয়ে নেয়া হয় তখন ইহরাম বাঁধতে কোন দোষ নেই।
3630 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنْ لَيْثٍ , عَنْ طَاوُسٍ , قَالَ: «إِذَا كَانَ فِي الثَّوْبِ زَعْفَرَانٌ أَوْ وَرْسٌ فَغُسِلَ فَلَا بَأْسَ أَنْ يُحْرِمَ فِيهِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৩১
ইহরাম অবস্থায় ওয়ারাস এবং যাফরান (সুগন্ধি) বিশিষ্ট পোশাক পরিধান করা
৩৬৩১। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ......... ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে এরূপ কাপড়ের বিষয়ে রিওয়ায়াত করছেন যা ওয়ারাস বা যাফরান রং-এ রঞ্জিত তারপর তা ধৌত করা হয়েছে। তিনি তাতে ইহরাম বাঁধতে কোন দোষ মনে করেন না।
3631 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عُمَرَ , عَنْ سُفْيَانَ , عَنِ الْمُغِيرَةِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , فِي الثَّوْبِ يَكُونُ فِيهِ وَرْسٌ أَوْ زَعْفَرَانٌ فَغُسِلَ إِنَّهُ لَمْ يَرَ بَأْسًا أَنْ يُحْرِمَ فِيهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান