শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

৫. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৪৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬৮
১৪. নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৬৬-৬৮। ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ও আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ).... উম্মুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ,একবার আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দরবারে গেলাম। এবং আমি সিয়াম পালনকারী ছিলাম। তিনি আমাকে তাঁর অবশিষ্ট শরবত প্রদান করেন, আমি তা পান করলাম, তারপর বললাম ! হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি তো সিয়াম পালনকারী ছিলাম,কিন্তু আমি আপনার উচ্ছিষ্টকে ফিরিয়ে দেওয়া পছন্দ করিনি। তিনি বললেন, তা যদি রামাযানের কোন দিনের কাযা সিয়াম হয়ে থাকে তাহলে এর স্থলে অন্য একদিনের সিয়াম পালন করবে । আর যদি নফল সিয়াম হয়ে থাকে তাহলে যদি ইচ্ছা কর ,তা কাযা করবে আর ইচ্ছা করলে কাযা করবে না।
ইমাম আবু জা’ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ একদল আলিম এ মত গ্রহণ করেছেন। তাঁদের ধারণা কোন ব্যক্তি যদি নফল সিয়াম পালনের পরে তা ওজরের কারণে কিংবা ওজর ব্যতিত ভঙ্গ করে ফেলে, তাহলে তার উপর এর কাযা নেই। তাঁরা এ বিষয়ে উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করে বলেছেন যে, তাঁর উপর এর স্থলে অন্য এক দিনের কাযা আবশ্যক।
প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরূদ্ধে তাঁদের দলীল হলো যে, উম্মুহানী (রাযিঃ)-এর হাদীস যা হাম্মাদ ইব্ন সালমা বর্ণনা করেছেন, যেমনটি তাঁরা উল্লেখ করেছেন। পক্ষান্তরে অন্যরা যাঁরা তাঁর অপেক্ষা স্বরণশক্তির দিক দিয়ে কম নন তাঁরা এ পরিপন্থী রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ الرَّجُلِ يَدْخُلُ فِي الصِّيَامِ تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ
68- 3466 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ ح

وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ ح

وَحَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالُوا: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ هَارُونَ بْنِ أُمِّ هَانِئٍ أَوِ ابْنِ بِنْتِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَتْ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا صَائِمَةٌ فَنَاوَلَنِي فَضْلَ شَرَابِهِ فَشَرِبْتُ ثُمَّ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي كُنْتُ صَائِمَةً وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَرُدَّ سُؤْرَكَ , فَقَالَ: «إِنْ كَانَ مِنْ قَضَاءِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ فَصُومِي يَوْمًا مَكَانَهُ، وَإِنْ كَانَ تَطَوُّعًا فَإِنْ شِئْتِ فَاقْضِيهِ، وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَقْضِيهِ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا فَزَعَمُوا أَنَّ مَنْ دَخَلَ فِي صَوْمٍ تَطَوُّعًا ثُمَّ أَفْطَرَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ عُذْرٍ أَوْ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ أَنَّهُ لَا قَضَاءَ عَلَيْهِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: عَلَيْهِ قَضَاءُ يَوْمٍ مَكَانَهُ وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى أَنَّ حَدِيثَ أُمِّ هَانِئٍ إِنَّمَا رَوَاهُ كَمَا ذَكَرُوا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُهُ مِمَّنْ لَيْسَ فِي الضَّبْطِ بِدُونِهِ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৬৭
empty
৩৪৬৭।
- 3467
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৬৮
empty
৩৪৬৮।
- 3468
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৭১
নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৬৯-৭১। আহমদ ইব্ন দাউদ (রাহঃ) ও ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ......... উম্মুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে শরবত পেশ করা হয়। তিনি আমাকে দিলেন, আমি তা পান করলাম। অথচ আমি সিয়াম পালনকারী ছিলাম। আমি তাঁর উচ্ছিষ্ট ফিরিয়ে দেওয়াটা পছন্দ করলাম না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল ! আমি তো সিয়াম পালনকারী ছিলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার কোন্ সিয়ামের কাযা করছিলে ? আমি বললাম, জী না। তিনি বললেন,তাহলে তোমার কোন অসুবিধা নেই।

সুলায়মান ইবন শু’আয়ব (রাহঃ) আবু আওয়ানা থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
71 - 3469 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ ح

وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ قَالَا: ثنا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنِ ابْنِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ هَانِئٍ سَمِعَهُ مِنْهَا قَالَتْ " إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِشَرَابٍ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَنَاوَلَنِي فَشَرِبْتُهُ وَكُنْتُ صَائِمَةً فَكَرِهْتُ أَنْ أَرُدَّ فَضْلَ سُؤْرِهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي كُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ لَهَا: «تَقْضِينَ عَنْكِ شَيْئًا؟» قَالَتْ: لَا , قَالَ: «فَلَا يَضُرُّكِ» .

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا أَسَدُ بْنُ مُوسَى , قَالَ: ثنا أَبُو عَوَانَةَ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭০
empty
৩৪৭০।
- 3470
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭১
empty
৩৪৭১।
- 3471
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৭৪
নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৭২-৭৪। সুলায়মান ইব্ন শু’আয়ব (রাহঃ) ......... উম্মু হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এবং ফাতিমা (রাযিঃ) মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হলাম। আমি তাঁর ডান দিকে বসে পড়লাম। তিনি শরবত আনতে বললেন এবং তা পান করলেন। এরপর আমাকে দিলেন, আমি তা পান করলাম, অথচ আমি সিয়াম পালন করছিলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল ! আমার ধারণা, আমি অপরাধ করে ফেলেছি। আপনি আমাকে শরবত দিয়েছেন এবং আমি সিয়ামরত অবস্থায় ছিলাম। আমি তা ফিরিয়ে দিতে পছন্দ করিনি। তিনি বললেন, তুমি কি রামাদানের কোন্ দিনের সিয়াম কাযা করছিলে ? আমি বললাম, জী না। তিনি বললেন, তাহলে কোন অসুবিধা নেই।

ফাহাদ (রাহঃ) ......... উম্মুহানী (রাহঃ) এর বরাতে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেনঃ তাহলে তোমার অসুবিধা হবে না।
সুতরাং যা কিছু আবু কায়স (রাহঃ), আবু আওয়ানা (রাহঃ) ও আবুল আহওয়াস (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন তা হাম্মাদ ইব্ন সালমা (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতের পরিপন্থী কেননা হাম্মাদ (রাহঃ) তার রিওয়ায়াতে বলেছেন যে, যদি তা রামাদান মাসের কাযা সিয়াম হয়, তাহলে এর স্থলে অন্য একদিনের সিয়াম পালন করবে। আর যদি নফল সিয়াম হয়, তাহলে ইচ্ছা হয় ,তা কাযা কর, ইচ্ছা হয় কাযা না কর। বস্তুত এর মর্ম হলো এই যে, নফল সিয়ামের কাযা নেই।
অপরাপর আলিমগণ তাদের হাদীসে বলেছেনঃ(তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন) তুমি কি রামাদানের সিয়াম কাযা করছ ? তিনি বললেন, না। তিনি বললেন,তাহলে তোমার কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ এ নফল সিয়াম ভঙ্গ করার ব্যাপারে তুমি অপরাধী হবে না। এই হাদীসে তার দায়িত্বে এর স্থলে অন্যদিনের কাযা সিয়াম হওয়ার অস্বীকৃতি নেই। সুতরাং সিমাক (রাহঃ) এর এই হাদীসে “ইয্তিরাব’ (তথ্য বিভ্রাট) রয়েছে।
তারপর আমরা লক্ষ্য করেছি যে, অন্য কারো থেকেও কি এরূপ কোন হাদীস বর্ণিত আছে কিনা, যা এ বিষয়ের অনুকূলে প্রমাণ বহন করে ? আমরা নিম্মোক্ত সনদে বর্ণিত হাদীস দেখতে পাচ্ছিঃ
74- 3472 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا أَسَدٌ , قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ , عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ , عَنِ الرَّجُلِ , مِنْ آلِ جَعْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ هَانِئٍ قَالَتْ: دَخَلْتُ أَنَا وَفَاطِمَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَجَلَسْتُ عَنْ يَمِينِهِ فَدَعَا بِشَرَابٍ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَنِي فَشَرِبْتُ وَأَنَا صَائِمَةٌ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أُرَانِي إِلَّا قَدْ أَثِمْتُ أَوْ أَتَيْتُ حِنْثًا عَرَضْتَ عَلَيَّ وَأَنَا صَائِمَةٌ فَكَرِهْتُ أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ. فَقَالَ: «هَلْ كُنْتِ تَقْضِينَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ» . فَقَالَتْ: لَا , قَالَ: «فَلَا بَأْسَ» .

حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ ح

وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَا: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ سِمَاكٍ عَنِ ابْنِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَلَا يَضُرُّكَ فَقَدْ خَالَفَ مَا رَوَى قَيْسٌ وَأَبُو عَوَانَةَ وَأَبُو الْأَحْوَصِ مَا رَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ لِأَنَّ حَمَّادًا قَالَ فِي حَدِيثِهِ: «إِنْ كَانَ قَضَاءً مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَصُومِي يَوْمًا مَكَانَهُ وَإِنْ كَانَ تَطَوُّعًا فَإِنْ شِئْتِ فَاقْضِيهِ وَإِنْ شِئْتِ لَا تَقْضِيهِ» فَكَانَ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَا يَجِبُ الْقَضَاءُ عَلَيْهَا إِذَا كَانَ تَطَوُّعًا وَقَالَ الْآخَرُونَ فِي حَدِيثِهِمْ «أَتَقْضِينَ شَيْئًا مِنْ رَمَضَانَ؟» , قَالَتْ: لَا. قَالَ: «فَلَا يَضُرُّكَ» . أَيْ أَنَّكَ لَسْتِ بِآثِمَةٍ فِي إِفْطَارِكَ مِنْ هَذَا التَّطَوُّعِ وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ مَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ عَلَيْهَا قَضَاءُ يَوْمٍ مَكَانَهُ فَقَدِ اضْطَرَبَ حَدِيثُ سِمَاكٍ هَذَا ثُمَّ نَظَرْنَا هَلْ رَوَى عَنْ غَيْرِهِ مِمَّا فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৩
empty
৩৪৭৩।
- 3473
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৪
empty
৩৪৭৪।
- 3474
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৮২
নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৭৫-৮২। রবীউল জীযী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি ও হাফসা (রাযিঃ) ভোরে নফল সিয়াম অবস্থায় ছিলাম। তারপর আমাদের জন্য কিছু খাদ্যদ্রব্য হাদীয়া এলো। আমরা এতে সিয়াম ভঙ্গ করে ফেললাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট এলে আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন ঃ এর স্থলে অন্য কোন দিন সিয়াম কাযা পালন করে নিবে।
এতে প্রমাণ বহন করে যে নফল সিয়াম ভঙ্গ করলে কাযা ওয়াজিব হয়। বস্তুত এই হাদীসের অগ্রহণযোগ্যতার উপর প্রথমোক্ত মত পোষণকারীগণ যে প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন তা হলো এই যে, মূলত এই হাদীস উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নয়। আসলে হাদীসটি উরওয়া (রাহঃ) এর পূর্বের বর্ণনা কারীর উপর “মউকুফ’। আর তা হলো নিম্মোরূপঃ

ইউনুস (রাহঃ) ......... ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) ও হাফসা (রাযিঃ) উভয়ে ভোরে সিয়াম অবস্থায় ছিলেন। তারপর তিনি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন । তাঁরা বলেছেনঃ এটাই হলো মূল হাদীস।
তাঁরা বলেন, এ সম্পর্কে ইমাম যুহরী (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে,তিনি উরওয়া (রাহঃ) থেকে কিছু শুনেছেন ? তিনি বললেন ,না। তাঁরা নিম্মোক্ত সনদগুলো উল্লেখ করেছেন ঃ

ইব্ন আবী দাউদ (রাহঃ) ......... ইব্ন উয়ায়না (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, ইমাম যুহরী (রাহঃ) কে আয়িশা (রাযিঃ) এর হাদীস “আমি এবং হাফসা (রাযিঃ) ভোরে সিয়াম অবস্থায় ছিলাম” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, উরওয়া (রাহঃ) কি আপনাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন ? তিনি বললেন ,না।

আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) ইব্ন জুরায়জ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি ইব্ন শিহাব (ইমাম যুহরী) কে জিজ্ঞাসা করলাম “উরওয়া ইব্ন যুবাইর (রাহঃ) কি আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে আপনাকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি নফল সিয়াম রেখে ভঙ্গ করে ফেলে সে যেন তা কাযা করে নেয়”। তিনি বললেন, আমি এ বিষয়ে উরওয়া (রাহঃ) থেকে কিছু শুনিনি। কিন্তু সুলায়মান ইব্ন আব্দুল মালিক এর খিলাফতকালে আমাকে এ বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে।

আবু বাকরা (রাহঃ) রাওহ (রাহঃ) এর বরাতে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং এটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন ঃ “কিন্তু সুলায়মান ইব্ন আব্দুল মালিক এর খিলাফতের যুগে আমাকে সেই সমস্ত লোকদের কতকে বর্ণনা করেছে, যারা আশেয়া (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করেছিল। তিনি বলেছেনঃ আমি এবং হাফসা (রাযিঃ) ভোরে সিয়াম অবস্থায় ছিলাম। এর তিনি রবীউল জীযী (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
সুতরাং হাদীসটি সনদ গতভাবে সঠিক নয়। কারণ এর সনদে সেই বস্তুর (দুর্বলতার) অনুপ্রবেশ ঘটেছে যা আমরা (ইতিপূর্বে) উল্লেখ করেছি।
এ বিষয়ে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে উক্ত সনদ ব্যতীত অন্যভাবেও (নিম্মোক্তরূপ) বর্ণিত আছে ঃ

আহমদ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি রবীউল জীযী (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন যে, হাফসা (রাযিঃ) বক্তব্যের ব্যাপারে আমার থেকে অগ্রণী ছিলেন (আর এরূপ কেনই বা হবে না) । তিনি ছিলেন বাপের বেটি (পিতা উমর ইবন খাত্তাব রা এর মত সাহসী )।

ইব্ন আবী ইমরান (রাহঃ) ......... ইব্ন ওয়াহব (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বস্তুত প্রথমোক্ত মত পোষণকারী আলিমগণ এই হাদীসের অগ্রহণযোগ্যতার উপর প্রমাণ ও পেশ করেছেন যে, হাম্মাদ ইব্ন যায়দ (রাহঃ) এটিকে ইয়াহয়া ইব্ন সাঈদ থেকে “মউকুফ” হিসাবে রিওয়ায়াত করেছেন এবং এতে রাবী আমরার উল্লেখ নেই।

ইব্ন আবী ইমরান (রাহঃ) ......... আলী ইব্ন মাদিনী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমাকে হাম্মাদ ইব্ন যায়দ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি এটাকে ইয়াহয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। অর্থাৎ রাবী আমরার উল্লেখ করেননি।
অতএব এটাই হলো মূল হাদীস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে অন্য সনদেও বর্ণিত আছে, যা নিম্মরূপ ঃ
82- 3475 - فَإِذَا رَبِيعٌ الْجِيزِيُّ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: أَصْبَحْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا صَائِمَتَيْنِ مُتَطَوِّعَتَيْنِ فَأُهْدِيَ لَنَا طَعَامٌ فَأَفْطَرْنَا عَلَيْهِ فَدَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْنَاهُ فَقَالَ: «اقْضِيَا يَوْمًا مَكَانَهُ» فَفِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ حُكْمَ الْإِفْطَارِ فِي الصَّوْمِ التَّطَوُّعِ أَنَّهُ مُوجِبٌ لِلْقَضَاءِ فَكَانَ مِمَّا يَحْتَجُّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي فَسَادِ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ أَصْلَهُ لَيْسَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَإِنَّمَا أَصْلُهُ مَوْقُوفٌ عَلَى مَنْ دُونَ عُرْوَةَ وَذَلِكَ

أَنَّ يُونُسَ حَدَّثَنَا قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَصْبَحَتَا صَائِمَتَيْنِ ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ قَالُوا: فَهَذَا هُوَ أَصْلُ الْحَدِيثِ قَالُوا: وَقَدْ سُئِلَ الزُّهْرِيُّ عَنْ ذَلِكَ: هَلْ سَمِعَهُ مِنْ عُرْوَةَ؟ فَقَالَ: لَا وَذَكَرُوا

مَا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: ثنا نُعَيْمٌ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُيَيْنَةَ يَقُولُ سُئِلَ الزُّهْرِيُّ عَنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَصْبَحْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا صَائِمَتَيْنِ فَقِيلَ لَهُ: أَحَدَّثَكَ عُرْوَةُ؟ فَقَالَ: لَا

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ قَالَ: ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ شِهَابٍ: أَحَدَّثَكَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: «مَنْ أَفْطَرَ مِنْ تَطَوُّعِهِ فَلْيَقْضِهِ» فَقَالَ: لَمْ أَسْمَعْ مِنْ عُرْوَةَ فِي ذَلِكَ شَيْئًا وَلَكِنْ حُدِّثْتُ فِي خِلَافَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ.

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ قَالَ: ثنا رَوْحٌ فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. وَزَادَ وَلَكِنْ حَدَّثَنِي فِي خِلَافَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أُنَاسٌ عَنْ بَعْضِ مَنْ كَانَ يَسْأَلُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ أَصْبَحْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا صَائِمَتَيْنِ ثُمَّ ذَكَرَ الْحَدِيثَ يَعْنِي نَحْوَ حَدِيثِ رَبِيعٍ الْجِيزِيِّ فَقَدْ فَسَدَ هَذَا الْحَدِيثَ بِمَا قَدْ دَخَلَ فِي إِسْنَادِهِ مِمَّا ذَكَرْنَا وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ

مَا: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ثنا عَمِّي عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ رَبِيعٍ الْجِيزِيِّ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَبَدَرْتنِي حَفْصَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بِالْكَلَامِ وَكَانَتِ ابْنَةَ أَبِيهَا

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى الْمِصْرِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَكَانَ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى فِي إِفْسَادِ هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا أَنَّ حَمَّادَ بْنَ زَيْدٍ قَدْ رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ مَوْقُوفًا لَيْسَ فِيهِ عَمْرَةُ

حَدَّثَنَا بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرَةَ الرَّمَادِيُّ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , بِذَلِكَ يَعْنِي: وَلَمْ يَذْكُرْ عَمْرَةَ فَهَذَا هُوَ أَصْلُ الْحَدِيثِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَيْضًا فِي هَذَا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৬
empty
৩৪৭৬।
- 3476
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৭
empty
৩৪৭৭।
- 3477
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৮
empty
৩৪৭৮।
- 3478
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৭৯
empty
৩৪৭৯।
- 3479
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৮০
empty
৩৪৮০।
- 3480
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৮১
empty
৩৪৮১।
- 3481
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৮২
empty
৩৪৮২।
- 3482
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৮৩
নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৮৩। ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহয়া মুযানী (রাহঃ) ......... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট এলেন। আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার জন্য “হায়স”( ঘি,পনির ও খেজুর অথবা আটা মিশ্রিত এক প্রকার খাদ্য) প্রস্তুত করে রেখেছি। তিনি বললেন, আমি সিয়াম পালনের ইচ্ছা করেছি। তবে তা আন, এস্থলে অন্য একদিন সিয়াম পালন করব।
মুহাম্মাদ (ইবন ইদ্রিস র) বলেন, আমি সুফইয়ান (রাহঃ) এর সাথে তাঁর মজলিসে শুনেছি, তিনি একথা উল্লেখ করতেন না যে, (তিনি বলেছেন) আমি এস্থলে অন্য একদিন সিয়াম পালন করে নিব। তারপর আমি এ হাদীসটি তাঁর মৃত্যুর এক বছর পূর্বে তাঁর সম্মুখে পেশ করলে তিনি এতে আমাকে উক্ত বাক্য সংযোজনেরও অনুমতি প্রদান করেন যে, “আমি এস্থলে অন্য একদিন সিয়াম পালন করে নিব।”
বস্তুত এই হাদীসে কাযা ওয়াজিব হওয়ার উল্লেখ রয়েছে এবং আয়িশা (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াতও এর অনুকূলে রয়েছে,পক্ষান্তরে উম্মুহানী (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াতে আমরা যা উল্লেখ করেছি এর পরিপন্থী কিছু নেই।
সুতরাং আয়িশা (রাযিঃ) থেকে উরওয়া (রাহঃ) ও “আমরা” (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত বেশীর চাইতে বেশী তাঁর পূর্বের রাবীর উপর মউকুফ-ই হবে, যখন কিনা মুত্তাসিল হাদীস -এর অনুকূলে রয়েছে। আর তাহলো আয়িশা বিন্ত তালহা (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত। অতএব হাদীসের দৃষ্টিভঙ্গীতে এটা এর পরিপন্থী উক্তি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর হবে।
এ বিষয়ে যুক্তিভিত্তিক পর্যালোচনা হলো এই যে, আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু বিষয় এরূপ যা বান্দা নিজের উপর ওয়াজিব করার দ্বারা ওয়াজিব হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সালাত, সাদাকা,সিয়াম, হজ্জ ও উমরা।তাই যে ব্যক্তি এগুলো থেকে কোন বিষয়কে নিজের উপর অপরিহার্য করে বলে যে, আমার উপর আল্লাহর জন্য অমুক অমুক ওয়াজিব ,তাহলে তার উপর সেটি পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে। আর কিছু বিষয় এরূপ লক্ষ্য করছি যে, যা বান্দা আরম্ভ করার দ্বারা নিজের উপর ওয়াজিব করে নেয় যেমন সালাত, সিয়াম ও হজ্জ ইত্যাদি। সুতরাং যে ব্যক্তি হজ্জ কিংবা উমরা আরম্ভ করার পর তা বাতিল করার এবং এর থেকে বের হয়ে আসার ইচ্ছা পোষণ করে, তাহলে এরূপ করা তার জন্য বৈধ নয় এবং একাজ আরম্ভ করার দ্বারা সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হয়ে যায়, যে কিনা বলে আল্লাহর জন্য আমার উপর হজ্জব্রত পালন ওয়াজিব এবং পূর্ণ করা তার উপর অপরিহার্য হয়ে যায়।
যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, আমাদেরকে এই দুই কাজ (হজ্জ ও উমরা) থেকে বের হতে এজন্য নিষেধ করা হয়েছে যে, এগুলো পূর্ণ করা ব্যতীত এগুলো থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়, পক্ষান্তরে সালাত ও সিয়াম অনুরূপ নয়। যেহেতু এগুলো কোন কোন সময় বাতিল হয়ে যায় এবং কথাবার্তা ,পানাহার ও স্ত্রী সহবাসের করণে তা থেকে বের হওয়া যায়।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে,যদিও নাকি হজ্জ ও উমরা সেইরূপ যা আপনি উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, আপনার ধারণা হলো , যে ব্যক্তি তাতে স্ত্রী সহবাস করবে, তার উপর এর কাযা অপরিহার্য হবে। এবং কাযাকে সে তখনই আরম্ভ করবে যখন সে তা ( ভেঙ্গে তা) থেকে বের হয়ে যায়। তাহলে আপনি এই দু’টাকে ভেঙ্গে দেয়ার কারণে ঐ ব্যক্তির উপর কাযা করাকে অপরিহার্য সাব্যস্ত করেছেন, সে চাক বা না চাক। সুতরাং এখন যেটা কাযা করা হচ্ছে এটা সেই আমলের বদল বা পরিবর্তে যা আরম্ভ করার দ্বারা তার উপর ওয়াজিব হয়েছিল। এরূপ নয় যে, ওটা পূর্ব থেকে তার উপর ওয়াজিব ছিল। (শুধু মৌখিকভাবে বলার দ্বারা ) যদি ইহরাম বাঁধার পর তার উপর হজ্জ এবং উমরা ওয়াজিব হওয়া এবং তা থেকে পৃথক না হওয়ার কারণ সেটাই হয় যা আপনি উল্লেখ করেছেন যে, সে তা পরিত্যাগ করতে পারে না। যদি তা না হত তাহলে তার জন্য এর থেকে অবসর হওয়া বৈধ ছিলো। যেমনিভাবে সে সালাত,সিয়াম এবং অপরাপর আমলসমূহ পরিত্যগ করতে পারে। তাই এ অবস্থায় তার উপর এগুলোর কাযা ওয়াজিব হবে না। যেহেতু সে ওটা (কাযা) কে আরম্ভ করার শক্তি রাখে না। যখন এটা (শক্তি না রাখা) কাযা ওয়াজিব হওয়াকে বাতিল করে না এবং সে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেই ব্যক্তির ন্যায় যার দ্বায়িত্বে এরূপ হজ্জের কাযা জরুরী হয় যা সে নিজে মৌখিকভাবে নিজের উপর জরুরী করে নিয়েছে। অতএব যুক্তির দাবি হলো এটাই যে, যে ব্যক্তি সালাত ও সিয়ামকে আরম্ভ করবে এবং সে তা আরম্ভ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের উপর জরুরী করে নিবে, এর পর তা পরিত্যাগ করবে তাহলে তার উপর এর কাযা অপরিহার্য হবে।
উক্ত প্রশ্নকারীকে আরও বলা হবে যে,আমরা লক্ষ্য করছি যে, উমরা এরূপ বিধানাবলীর অন্তর্ভুক্ত যা আমাদের ও আপনাদের (সকলের) নিকট আরম্ভ করার পর পরিত্যাগ করা জায়েয আছে। নবী করীম (ﷺ) আয়িশা (রাযিঃ) কে বলেছেনঃ তোমার উমরা পরিত্যাগ করে হজ্জের ইহরাম বাঁধ। তাই তাঁর বক্তব্য মুতাবিক এই আমল সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। আমরা এই রিওয়ায়াতকে সনদসহ এই গ্রন্থের যথাস্থানে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ। সুতরাং বিষয়টি এরূপ নয় যে, যে ব্যক্তি উমরা পালন করে,এরপর তা পরিত্যাগ করার শক্তি রাখে এবং পরিত্যাগও করে দেয় তাহলে তার উপর কাযা ওয়াজিব হবে না। আর যে ব্যক্তি ওয়াজিব হওয়া ব্যতীত তা আরম্ভ করবে তাহলে সে তা পূর্ণ করা ব্যতীত ওজর বিহীন পরিত্যাগ করতে পরবে না, যদি কোন ওজর কিংবা ওজরবিহীন ভাবে তা পরিত্যাগ করে, তাহলে তার উপর কাযা অপরিহার্য। অতএব যুক্তির দাবি মুতাবিক সালাত ও সিয়ামের বিধানও অনুরূপ। যে ব্যক্তি তা আরম্ভ করবে তার জন্য তা ওজরবিহীন ভাবে পরিত্যাগ করা জায়েয নেই। আর যদি কোন ওজর কিংবা ওজর বিহীনভাবে পরিত্যাগ করে তাহলে তার উপর এর কাযা আদায় করা অপরিহার্য হবে। এ অনুচ্ছেদে এটাই হচ্ছে যুক্তিভিত্তিক পর্যালোচনা। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ,ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ,ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) এর অভিমত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনেক সাহাবী থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে ঃ
3483 - مَا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَمَّتِهِ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا قَدْ خَبَّأْنَا لَكَ حَيْسًا فَقَالَ: «أَمَا إِنِّي كُنْتُ أُرِيدُ الصَّوْمَ وَلَكِنْ قَرِّبِيهِ سَأَصُومُ يَوْمًا مَكَانَ ذَلِكَ» . قَالَ مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِدْرِيسَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ عَامَّةَ مُجَالَسَتِي إِيَّاهُ لَا يَذْكُرُ فِيهِ «سَأَصُومُ يَوْمًا مَكَانَ ذَلِكَ» ثُمَّ إِنِّي عَرَضْتُ عَلَيْهِ الْحَدِيثَ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِسَنَةٍ فَأَجَازَ فِيهِ «سَأَصُومُ يَوْمًا مَكَانَ ذَلِكَ» فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ ذَكَرَ وُجُوبَ الْقَضَاءِ وَفِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا مَا قَدْ وَافَقَ ذَلِكَ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ أُمِّ هَانِئٍ مَا يُخَالِفُ مَا قَدْ ذَكَرْنَا فَأَقَلُّ أَحْوَالِ حَدِيثِ عُرْوَةَ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا عَلَى مَنْ هُوَ دُونَهُمَا وَقَدْ وَافَقَهُ حَدِيثٌ مُتَّصِلٌ وَهُوَ حَدِيثُ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ فَالْقَوْلُ بِذَلِكَ مِنْ جِهَةِ الْحَدِيثِ أَوْلَى مِنَ الْقَوْلِ بِخِلَافِهِ وَأَمَّا النَّظَرُ فِي ذَلِكَ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا أَشْيَاءَ تَجِبُ عَلَى الْعِبَادِ بِإِيجَابِهِمْ إِيَّاهَا عَلَى أَنْفُسِهِمْ مِنْهَا الصَّلَاةُ وَالصَّدَقَةُ وَالصِّيَامُ وَالْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ فَكَانَ مَنْ أَوْجَبَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ عَلَى نَفْسِهِ فَقَالَ لِلَّهِ عَلَيَّ كَذَا وَكَذَا وَجَبَ عَلَيْهِ الْوَفَاءُ بِذَلِكَ. وَرَأَيْنَا أَشْيَاءَ يَدْخُلُ فِيهَا الْعِبَادُ فَيُوجِبُونَهَا عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِدُخُولِهِمْ فِيهَا مِنْهَا الصَّلَاةُ وَالصِّيَامُ وَالْحَجُّ وَمَا ذَكَرْنَا فَكَانَ مَنْ دَخَلَ فِي حَجَّةٍ أَوْ عُمْرَةٍ ثُمَّ أَرَادَ إِبْطَالَهَا وَالْخُرُوجَ مِنْهَا لَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ وَكَانَ بِدُخُولِهِ فِيهَا فِي حُكْمِ مَنْ قَالَ لِلَّهِ عَلَيَّ حَجَّةٌ فَعَلَيْهِ الْوَفَاءُ بِهَا فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّمَا مَنَعْنَاهُ مِنَ الْخُرُوجِ مِنْهُمَا لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ الْخُرُوجُ مِنْهَا إِلَّا بِتَمَامِهَا وَلَيْسَتِ الصَّلَاةُ وَالصِّيَامُ كَذَلِكَ لِأَنَّهُمَا قَدْ يَبْطُلَانِ وَيَخْرُجُ مِنْهُمَا بِالْكَلَامِ وَالطَّعَامِ وَالشَّرَابِ وَالْجِمَاعِ قِيلَ لَهُ: إِنَّ الْحَجَّةَ وَالْعُمْرَةَ وَإِنْ كَانَا كَمَا ذَكَرْتَ فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَاكَ تَزْعُمُ أَنَّ مَنْ جَامَعَ فِيهِمَا فَعَلَيْهِ قَضَاؤُهُمَا وَالْقَضَاءُ يَدْخُلُ فِيهِ بَعْدَ خُرُوجِهِ مِنْهُمَا فَقَدْ جَعَلْتَ عَلَيْهِ الدُّخُولَ فِي قَضَائِهِمَا إِنْ شَاءَ أَوْ أَبَى مِنْ أَجْلِ إِفْسَادِهِ لَهُمَا فَهَذَا الَّذِي يَقْضِيهِ بَدَلٌ مِنْهُ مِمَّا كَانَ وَجَبَ عَلَيْهِ بِدُخُولِهِ فِيهِ لَا بِإِيجَابٍ كَانَ مِنْهُ قَبْلَ ذَلِكَ فَلَوْ كَانَتِ الْعِلَّةُ فِي لُزُومِ الْحَجَّةِ وَالْعُمْرَةِ إِيَّاهُ حِينَ أَحْرَمَ بِهِمَا وَبُطْلَانِ الْخُرُوجِ مِنْهُمَا هِيَ مَا ذَكَرْتَ مِنْ عَدَمِ رَفْضِهِمَا وَلَوْلَا ذَلِكَ كَانَ لَهُ الْخُرُوجُ مِنْهُمَا كَمَا كَانَ لَهُ الْخُرُوجُ مِنَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ بِمَا ذَكَرْنَا مِنَ الْأَشْيَاءِ الَّتِي تَخْرُجُ مِنْهُمَا إِذًا لَمَا وَجَبَ عَلَيْهِ قَضَاؤُهُمَا لِأَنَّهُ غَيْرُ قَادِرٍ عَلَى أَنْ لَا يَدْخُلَ فِيهِ فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ غَيْرَ مُبْطِلٍ عَنْهُ وُجُوبَ الْقَضَاءِ وَكَانَ فِي ذَلِكَ كَمَنْ عَلَيْهِ قَضَاءُ حَجَّةٍ قَدْ أَوْجَبَهَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَفْسِهِ بِلِسَانِهِ كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا فِي النَّظَرِ مَنْ دَخَلَ فِي صَلَاةٍ أَوْ صِيَامٍ فَأَوْجَبَ ذَلِكَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَفْسِهِ بِدُخُولِهِ فِيهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْهُ فَعَلَيْهِ قَضَاؤُهُ وَيُقَالُ لَهُ أَيْضًا: وَقَدْ رَأَيْنَا الْعُمْرَةَ مِمَّا قَدْ يَجُوزُ رَفْضُهَا بَعْدَ الدُّخُولِ فِيهَا فِي قَوْلِنَا وَقَوْلِكَ وَبِذَلِكَ جَاءَتِ السُّنَّةُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي «قَوْلِهِ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا دَعِي عَنْكِ الْعُمْرَةَ وَأَهِلِّي بِالْحَجِّ» وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى فَلَمْ يَكُنْ لِلدَّاخِلِ فِي الْعُمْرَةِ إِذَا كَانَ قَادِرًا عَلَى رَفْضِهَا وَالْخُرُوجِ مِنْهَا أَنْ يَخْرُجَ مِنْهَا فَيُبْطِلَهَا ثُمَّ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ قَضَاؤُهَا.وَكَانَ مَنْ دَخَلَ فِيهَا بِغَيْرِ إِيجَابٍ مِنْهُ لَهَا قَبْلَ ذَلِكَ لَيْسَ لَهُ الْخُرُوجُ مِنْهَا قَبْلَ تَمَامِهَا إِلَّا مِنْ عُذْرٍ فَإِنْ خَرَجَ مِنْهَا فَأَبْطَلَهَا بِعُذْرٍ أَوْ بِغَيْرِ عُذْرٍ فَعَلَيْهِ قَضَاؤُهَا فَالصَّلَاةُ وَالصَّوْمُ أَيْضًا فِي النَّظَرِ كَذَلِكَ لَيْسَ لِمَنْ دَخَلَ فِيهِمَا الْخُرُوجُ مِنْهُمَا وَإِبْطَالُهُمَا إِلَّا مِنْ عُذْرٍ وَإِنْ خَرَجَ مِنْهُمَا قَبْلَ إِتْمَامِهِ إِيَّاهُمَا بِعُذْرٍ أَوْ بِغَيْرِ عُذْرٍ فَعَلَيْهِ قَضَاؤُهُمَا فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ فِي هَذَا الْبَابِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ وَقَدْ رُوِيَ مِثْلُ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৮৪
নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৮৪। আলী ইব্ন শায়বা (রাহঃ) আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাঁর শিষ্যকে বলেছেন যে,তিনি একবার সিয়ামরত পালন করছিলেন। তারপর তিনি তাদের কাছে বের হযে এলেন অথচ তার মাথা থেকে পানির ফোঁটা টপ টপ করে পড়ছিল। তাঁরা বললেন, আপনি কি সিয়ামরত নন ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমার নিকট দিয়ে আমার দাসী অতিক্রম করছিল ,তাকে আমার কছে ভাল লেগেছে, সে ছিল সুন্দরী, আমী তার সঙ্গে সহবাস করেছি। সুতরাং আমি অন্য কোন দিন এর কাযা আদায় করব।
3484 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ أَخْبَرَ أَصْحَابَهُ أَنَّهُ صَائِمٌ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْهِمْ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ فَقَالُوا: أَوَلَمْ تَكُ صَائِمًا؟ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي مَرَّتْ جَارِيَةٌ لِي فَأَعْجَبَتْنِي فَأَصَبْتُهَا وَكَانَتْ حَسَنَةً هَمَمْتُ بِهَا وَأَنَا قَاضِيهَا يَوْمًا آخَرَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৪৮৫
নফল সিয়াম আরম্ভ করে ভেঙ্গে ফেলা
৩৪৮৫। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) ......... আনাস ইব্ন সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার আরাফার দিন সিয়াম পালন করছি। কিন্তু তা আমার উপর কষ্টকর হলে আমি তা ভঙ্গ করে ফেলি। তারপর আমি বিষয়টি আব্দুল্লাহ ইব্ন উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বললেন, এর স্থলে অন্য কোনদিন কাযা করে নিবে।
3485 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرْجِ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ , قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ الْجَصَّاصِ , عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ , قَالَ: " صُمْتُ يَوْمَ عَرَفَةَ فَجَهَدَنِي الصَّوْمُ فَأَفْطَرْتُ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ: «يَوْمًا آخَرَ مَكَانَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান