শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৫. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং : ৩৩০৮
৮. শনিবারের সিয়াম পালন
৩৩০৮। ইবন মারযুক (র ) …… আব্দুল্লাহ ইবন বুসরের বোন (আস্-সামমা রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ ( সাঃ ) আমাকে বলেছেন ও ফরয সিয়াম ব্যতীত শনিবারে তোমরা কোন সিয়াম পালন করবে না। যদি তোমাদের কেউ গাছের ছাল বা আঙ্গুরের কাঠি ছাড়া আর কিছু (সে দিন আহারের জন্য) না পায় তবে তাই যেন সে চিবিয়ে নেয়।
আবু জাফর, (তাহাবী র) বলেন ঃ একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা নফল হিসাবে শনিবারের সিয়াম পালনকে মাকরূহ বলেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এই বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা এর সিয়াম পালনে কোন অসুবিধা মনে করেন নি। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হলো নিম্নরূপ ও রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ ) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি আগের দিন বা পরের দিনের সিয়াম পালন ব্যতীত জুমুআবারের সিয়াম পালন থেকে নিষেধ করেছেন। আর আমরা তা সনদ সহকারে এই গ্রন্থের পূর্বভাগে উল্লেখ করেছি। সুতরাং জুমু'আ'বারের পরে যে দিন সেটি হচ্ছে শনিবার। অতএব এই সমস্ত বর্ণিত হাদীসসমূহের নফল হিসাবে শনিবারের সিয়াম পালনের বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। যা কিনা মুহাদ্দিস আলিমগণের নিকট এই বিচ্ছিন্ন হাদীস অপেক্ষা যা সেগুলোর বিরোধী অধিক প্রসিদ্ধ ও অধিক সুস্পষ্ট। রাসূলুল্লাহ ( সাঃ) আশূরা দিবসের সিয়াম পালনের অনুমতি দিয়েছেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি এমনটি বলেননি যে, যদি শনিবার হয়, তাহলে তোমরা এর সিয়াম পালন করবে না। এতে প্রমাণিত হয় যে, সমস্ত দিন এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নিকট সর্বোত্তম সিয়াম হচ্ছে দাউদ (আ)-এর সিয়াম। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন তা ছাড়তেন। শিগগিরই আমরা তা সনদ সহকারে আমাদের এই গ্রন্থের যথাস্থানে ইনশাআল্লাহ্ উল্লেখ করব। এতেও শনিবারের মাঝে ও অপরাপর দিনগুলোর মাঝে সমতার কথা বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আইয়ামে বিয' তথা মাসের তের,চৌদ্দ ও পনের তারিখের সিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁর থেকে নিম্মক্ত হাদীস বর্ণিত আছে ঃ
আবু জাফর, (তাহাবী র) বলেন ঃ একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা নফল হিসাবে শনিবারের সিয়াম পালনকে মাকরূহ বলেছেন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এই বিষয়ে তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা এর সিয়াম পালনে কোন অসুবিধা মনে করেন নি। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হলো নিম্নরূপ ও রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ ) থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি আগের দিন বা পরের দিনের সিয়াম পালন ব্যতীত জুমুআবারের সিয়াম পালন থেকে নিষেধ করেছেন। আর আমরা তা সনদ সহকারে এই গ্রন্থের পূর্বভাগে উল্লেখ করেছি। সুতরাং জুমু'আ'বারের পরে যে দিন সেটি হচ্ছে শনিবার। অতএব এই সমস্ত বর্ণিত হাদীসসমূহের নফল হিসাবে শনিবারের সিয়াম পালনের বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। যা কিনা মুহাদ্দিস আলিমগণের নিকট এই বিচ্ছিন্ন হাদীস অপেক্ষা যা সেগুলোর বিরোধী অধিক প্রসিদ্ধ ও অধিক সুস্পষ্ট। রাসূলুল্লাহ ( সাঃ) আশূরা দিবসের সিয়াম পালনের অনুমতি দিয়েছেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তিনি এমনটি বলেননি যে, যদি শনিবার হয়, তাহলে তোমরা এর সিয়াম পালন করবে না। এতে প্রমাণিত হয় যে, সমস্ত দিন এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নিকট সর্বোত্তম সিয়াম হচ্ছে দাউদ (আ)-এর সিয়াম। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন এবং একদিন তা ছাড়তেন। শিগগিরই আমরা তা সনদ সহকারে আমাদের এই গ্রন্থের যথাস্থানে ইনশাআল্লাহ্ উল্লেখ করব। এতেও শনিবারের মাঝে ও অপরাপর দিনগুলোর মাঝে সমতার কথা বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আইয়ামে বিয' তথা মাসের তের,চৌদ্দ ও পনের তারিখের সিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁর থেকে নিম্মক্ত হাদীস বর্ণিত আছে ঃ
بَابُ صَوْمِ يَوْمِ السَّبْتِ
3308 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ هُوَ إِبْرَاهِيمُ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُسْرٍ , عَنْ أُخْتِهِ الصَّمَّاءِ قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَصُومُنَّ يَوْمَ السَّبْتِ فِي غَيْرِ مَا افْتُرِضَ عَلَيْكُنَّ , وَلَوْ لَمْ تَجِدْ إِحْدَاكُنَّ إِلَّا لِحَاءَ شَجَرَةٍ , أَوْ عُودَ عِنَبٍ , فَلْتَمْضُغْهُ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ , فَكَرِهُوا صَوْمَ يَوْمِ السَّبْتِ تَطَوُّعًا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَلَمْ يَرَوْا بِصَوْمِهِ بَأْسًا. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ فِي ذَلِكَ أَنَّهُ قَدْ جَاءَ الْحَدِيثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ «نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ إِلَّا أَنْ يُصَامَ قَبْلَهُ يَوْمٌ , أَوْ بَعْدَهُ يَوْمٌ.» وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ بِأَسَانِيدِهِ , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا , فَالْيَوْمُ الَّذِي بَعْدَهُ هُوَ يَوْمُ السَّبْتِ. فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ الْمَرْوِيَّةِ فِي هَذَا إِبَاحَةُ صَوْمِ يَوْمِ السَّبْتِ تَطَوُّعًا , وَهِيَ أَشْهَرُ وَأَظْهَرُ فِي أَيْدِي الْعُلَمَاءِ , مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ الشَّاذِّ الَّذِي قَدْ خَالَفَهَا. وَقَدْ «أَذِنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَوْمِ عَاشُورَاءَ وَحَضَّ عَلَيْهِ» , وَلَمْ يَقُلْ إِنْ كَانَ يَوْمَ السَّبْتِ فَلَا تَصُومُوهُ. فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى دُخُولِ كُلِّ الْأَيَّامِ فِيهِ. وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ صِيَامُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ , كَانَ يَصُومُ يَوْمًا , وَيُفْطِرُ يَوْمًا» وَسَنَذْكُرُ ذَلِكَ بِإِسْنَادِهِ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَفِي ذَلِكَ أَيْضًا , التَّسْوِيَةُ بَيْنَ يَوْمِ السَّبْتِ , وَبَيْنَ سَائِرِ الْأَيَّامِ. وَقَدْ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا بِصِيَامِ أَيَّامِ الْبِيضِ وَرُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৩৩০৯
শনিবারের সিয়াম পালন
৩৩০৯। ইউনুস (রাহঃ) আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) জনৈক ব্যক্তিকে (মাসের) তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখের সিয়াম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
3309 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , وَحَكِيمٍ , عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ , عَنِ ابْنِ الْحَوْتَكِيَّةِ , عَنْ أَبِي ذَرٍّ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: أَمَرَهُ بِصِيَامِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ , وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ , وَخَمْسَ عَشْرَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৩৩১০
শনিবারের সিয়াম পালন
৩৩১০। ইবন মারযুক (রাহঃ) ..... আব্দুল মালিক ইবন কাতাদা ইবন মিলহান আল-কায়সী (রাহঃ)-এর পিতা
(কাতাদা রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে 'বিযের রাত” তথা তের,
চৌদ্দ ও পনের তারিখের সিয়াম পালনের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি বলেছেনঃ এ (সিয়াম) সারা বছর সিয়াম পালনের তুল্য।
আর এগুলোর মাঝে শনিবার অন্তর্ভুক্ত, যেমনিভাবে তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অপরাপর দিনগুলো । আর এতেও নফল হিসাবে শনিবারের সিয়াম পালনের বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। ইমাম যুহরী (রাহঃ) শনিবারের সিয়াম পালন মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে সামমা বিনতে বুসর (রাহঃ)-এর হাদীসকে অস্বীকার করেছেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট হাদীসের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর এটিকে মুহাদ্দিস আলিমদের হাদীস বলে গণ্য করেননি।
(কাতাদা রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে 'বিযের রাত” তথা তের,
চৌদ্দ ও পনের তারিখের সিয়াম পালনের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি বলেছেনঃ এ (সিয়াম) সারা বছর সিয়াম পালনের তুল্য।
আর এগুলোর মাঝে শনিবার অন্তর্ভুক্ত, যেমনিভাবে তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অপরাপর দিনগুলো । আর এতেও নফল হিসাবে শনিবারের সিয়াম পালনের বৈধতা ব্যক্ত হয়েছে। ইমাম যুহরী (রাহঃ) শনিবারের সিয়াম পালন মাকরূহ হওয়ার ব্যাপারে সামমা বিনতে বুসর (রাহঃ)-এর হাদীসকে অস্বীকার করেছেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট হাদীসের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর এটিকে মুহাদ্দিস আলিমদের হাদীস বলে গণ্য করেননি।
3310 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا حِبَّانُ , قَالَ: ثنا هَمَّامٌ قَالَ: ثنا أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ , عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ قَتَادَةَ بْنِ مِلْحَانَ الْقَيْسِيِّ , عَنْ أَبِيهِ , قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُنَا أَنْ نَصُومَ لَيَالِيَ الْبِيضِ , ثَلَاثَ عَشْرَةَ , وَأَرْبَعَ عَشْرَةَ , وَخَمْسَ عَشْرَةَ , وَقَالَ: هِيَ كَهَيْئَةِ الدَّهْرِ ". وَقَدْ يَدْخُلُ السَّبْتُ فِي هَذِهِ , كَمَا يَدْخُلُ فِيهَا غَيْرُهُ مِنْ سَائِرِ الْأَيَّامِ. فَفِيهَا أَيْضًا إِبَاحَةُ صَوْمِ يَوْمِ السَّبْتِ تَطَوُّعًا. وَلَقَدْ أَنْكَرَ الزُّهْرِيُّ حَدِيثَ الصَّمَّاءِ فِي كَرَاهَةِ صَوْمِ يَوْمِ السَّبْتِ , وَلَمْ يَعُدَّهُ مِنْ حَدِيثِ أَهْلِ الْعِلْمِ , بَعْدَ مَعْرِفَتِهِ بِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং : ৩৩১১
শনিবারের সিয়াম পালন
৩৩১১। মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ (রাহঃ) ..... লায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার ইমাম
যুহরী (রাহঃ)-কে শনিবারের সিয়াম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন, এতে কোন অসুবিধা নেই। তাঁকে বলা হলো নবী করীম (ﷺ) থেকে তো এর মাকরূহ হওয়ার বিষয়ে বর্ণিত আছে ? তিনি বললেন, এটি হিমসী বর্ণিত হাদীস। এটিকে ইমাম যুহরী (রাহঃ) গ্রহণযোগ্য হাদীস হিসাবে গণ্য করেননি এবং তিনি এটিকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন।
যদি তা প্রমাণিতও হয় তাহলে আমাদের মতে তার মর্ম এরূপ হতে পারে ও আল্লাহই সম্যক অবগত, সেই
ব্যক্তির জন্য এই দিনের সিয়াম পালন নিষেধ করা হয়েছে যে কিনা এর সম্মানার্থে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস
থেকে বিরত থাকে যেমনিভাবে ইয়াহুদীরা করে থাকে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এই দিনের সম্মানের ইচ্ছাপোষণ ব্যতীত এবং ইয়াহুদীদের সাদৃশ্য অবলম্বন ব্যতীত সিয়াম পালন করবে তাহলে তা মাকরূহ বিবেচিত হবে না।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, 'আইয়ামুল বিয' তো এমন যে এতে নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম
পালনের অনুমতি দেয়া হয়েছে যা নির্দিষ্ট সিয়ামের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। সুতরাং এতে প্রমাণিত হয় যে, নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালনে কোন অসুবিধা নেই।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, বলা হয়ে থাকে 'আইয়ামুল বিয' এ সিয়াম পালনের নির্দেশ এই জন্য দেয়া
হয়েছে, যেহেতু এতে চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে, অন্য সময়ে হয় না। আর এ সময়ে সালাত, গোলাম আযাদ
ইত্যাদি নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুতরাং এই সমস্ত দিনে সিয়াম পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তা চন্দ্র গ্রহণের পরে নেক আমল হিসাবে বিবেচিত হয়। অতএব তা এরুপ সিয়াম যা প্রকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট দিনে পালন হয় না। বরং তা এরূপ সিয়াম যা আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপনের নিমিত্ত এমন সময় পালন করা হয় যাতে কোন (গ্রহণের মত) কারণ প্রকাশিত হয়। সুতরাং এতে কোন অসুবিধা নেই। অনুরূপভাবে জুমু'আ'বারের সিয়াম পালন। কোন ব্যক্তি যদি সূর্য গ্রহণ বা চন্দ্র গ্রহণ বা অন্য কোন কারণ দৃশ্যমান হওয়ার কারণে আল্লাহ্ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপনের নিমিত্ত তাতে সিয়াম পালন করে তাহলে এতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। যদিও এর আগের দিন বা পরের দিন সিয়াম পালন করা না হয়।
যুহরী (রাহঃ)-কে শনিবারের সিয়াম পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন, এতে কোন অসুবিধা নেই। তাঁকে বলা হলো নবী করীম (ﷺ) থেকে তো এর মাকরূহ হওয়ার বিষয়ে বর্ণিত আছে ? তিনি বললেন, এটি হিমসী বর্ণিত হাদীস। এটিকে ইমাম যুহরী (রাহঃ) গ্রহণযোগ্য হাদীস হিসাবে গণ্য করেননি এবং তিনি এটিকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন।
যদি তা প্রমাণিতও হয় তাহলে আমাদের মতে তার মর্ম এরূপ হতে পারে ও আল্লাহই সম্যক অবগত, সেই
ব্যক্তির জন্য এই দিনের সিয়াম পালন নিষেধ করা হয়েছে যে কিনা এর সম্মানার্থে পানাহার ও স্ত্রী সহবাস
থেকে বিরত থাকে যেমনিভাবে ইয়াহুদীরা করে থাকে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এই দিনের সম্মানের ইচ্ছাপোষণ ব্যতীত এবং ইয়াহুদীদের সাদৃশ্য অবলম্বন ব্যতীত সিয়াম পালন করবে তাহলে তা মাকরূহ বিবেচিত হবে না।
কোন প্রশ্নকারী যদি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন যে, 'আইয়ামুল বিয' তো এমন যে এতে নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম
পালনের অনুমতি দেয়া হয়েছে যা নির্দিষ্ট সিয়ামের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। সুতরাং এতে প্রমাণিত হয় যে, নির্দিষ্ট দিনে সিয়াম পালনে কোন অসুবিধা নেই।
উত্তরে তাঁকে বলা হবে যে, বলা হয়ে থাকে 'আইয়ামুল বিয' এ সিয়াম পালনের নির্দেশ এই জন্য দেয়া
হয়েছে, যেহেতু এতে চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে, অন্য সময়ে হয় না। আর এ সময়ে সালাত, গোলাম আযাদ
ইত্যাদি নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সুতরাং এই সমস্ত দিনে সিয়াম পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন তা চন্দ্র গ্রহণের পরে নেক আমল হিসাবে বিবেচিত হয়। অতএব তা এরুপ সিয়াম যা প্রকৃতপক্ষে নির্দিষ্ট দিনে পালন হয় না। বরং তা এরূপ সিয়াম যা আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপনের নিমিত্ত এমন সময় পালন করা হয় যাতে কোন (গ্রহণের মত) কারণ প্রকাশিত হয়। সুতরাং এতে কোন অসুবিধা নেই। অনুরূপভাবে জুমু'আ'বারের সিয়াম পালন। কোন ব্যক্তি যদি সূর্য গ্রহণ বা চন্দ্র গ্রহণ বা অন্য কোন কারণ দৃশ্যমান হওয়ার কারণে আল্লাহ্ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপনের নিমিত্ত তাতে সিয়াম পালন করে তাহলে এতে কোনরূপ অসুবিধা নেই। যদিও এর আগের দিন বা পরের দিন সিয়াম পালন করা না হয়।
3311 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ هِشَامٍ الرُّعَيْنِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: سُئِلَ الزُّهْرِيُّ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ السَّبْتِ , فَقَالَ: «لَا بَأْسَ بِهِ» , فَقِيلَ لَهُ: فَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَرَاهَتِهِ , فَقَالَ: «ذَاكَ حَدِيثٌ حِمْصِيٌّ» فَلَمْ يَعُدَّهُ الزُّهْرِيُّ حَدِيثًا يُقَالُ بِهِ , وَضَعَّفَهُ. وَقَدْ يَجُوزُ عِنْدَنَا , وَاللهُ أَعْلَمُ , إِنْ كَانَ ثَابِتًا , أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا نُهِيَ عَنْ صَوْمِهِ , لِئَلَّا يَعْظُمَ بِذَلِكَ , فَيُمْسَكَ عَنِ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ وَالْجِمَاعِ فِيهِ , كَمَا يَفْعَلُ الْيَهُودُ. فَأَمَّا مَنْ صَامَهُ لَا لِإِرَادَةِ تَعْظِيمِهِ , وَلَا لِمَا تُرِيدُ الْيَهُودُ بِتَرْكِهَا السَّعْيَ فِيهِ , فَإِنَّ ذَلِكَ غَيْرُ مَكْرُوهٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَقَدْ رَخَّصَ فِي صِيَامِ أَيَّامٍ بِعَيْنِهَا مَقْصُودَةٍ بِالصَّوْمِ , وَهِيَ أَيَّامُ الْبِيضِ , فَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى أَنْ لَا بَأْسَ بِالْقَصْدِ بِالصَّوْمِ إِلَى يَوْمٍ بِعَيْنِهِ قِيلَ لَهُ: إِنَّهُ قَدْ قِيلَ إِنَّ أَيَّامَ الْبِيضِ إِنَّمَا أُمِرَ بِصَوْمِهَا , لِأَنَّ الْكُسُوفَ يَكُونُ فِيهَا , وَلَا يَكُونُ فِي غَيْرِهَا , وَقَدْ أُمِرْنَا بِالتَّقَرُّبِ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ بِالصَّلَاةِ وَالْعَتَاقِ لَيْلَتَهُ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ أَعْمَالِ الْبِرِّ عِنْدَ الْكُسُوفِ فَأَمَرَ بِصِيَامِ هَذِهِ الْأَيَّامِ , لِيَكُونَ ذَلِكَ بِرًّا مَفْعُولًا بِعَقِبِ الْكُسُوفِ , فَذَلِكَ صِيَامٌ غَيْرُ مَقْصُودٍ بِهِ إِلَى يَوْمٍ بِعَيْنِهِ فِي نَفْسِهِ. وَلَكِنَّهُ صِيَامٌ مَقْصُودٌ بِهِ فِي وَقْتٍ شُكْرًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لِعَارِضٍ كَانَ فِيهِ , فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ. وَكَذَلِكَ أَيْضًا يَوْمُ الْجُمُعَةِ إِذَا صَامَهُ رَجُلٌ شُكْرًا لِعَارِضٍ , مِنْ كُسُوفِ شَمْسٍ أَوْ قَمَرٍ , أَوْ شُكْرًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ , فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ , وَإِنْ لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ يَوْمًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান