শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
৫. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩১৫৮
১. সিয়াম পালনকারীর জন্য যে সময়ে আহার করা হারাম
৩১৫৮। আলী ইবন শায়বা (রাহঃ) ..... যির ইবন হুবায়শ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি সাহরী খেলাম। তারপর মসজিদের দিকে চললাম, পথে হুযায়ফা (রাযিঃ) এর গৃহের কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম। আমি তার গৃহে প্রবেশ করলাম। হুযায়ফা (রাযিঃ) উটনীর দুধ দোহনের জন্য নির্দেশ দিলেন এবং তা দোহন করা হলাে। খাদ্যের হাড়ি গরম করার নির্দেশ দিলেন এবং তা গরম করা হলাে। তারপর তিনি বললেন, খাও, আমি বললাম, আমি তো সিয়ামের নিয়াত করেছি। তিনি বললেন, আমিও সিয়ামের নিয়াত করেছি। রাবী বলেন, তারপর আমরা খাবার খেয়ে নিলাম এবং (দুধ) পান করলাম। এরপর মসজিদে আসলাম এবং সালাতের ইকামত হলাে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ আমার সাথে অনুরূপ করছেন অথবা বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ -এর সাথে (অনুরূপ) করেছি। আমি (প্রশ্নকরে) বললাম! সুবহি সাদিকের পরে এরূপ করেছেন? তিনি বললেন, (হ্যাঁ) সুবহী সাদিকের পরে, তবে সূর্য উদিত হয় নি (সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে)।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেনঃ হুযায়ফা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এই হাদীসে, ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি সুবহি সাদিকের পরে আহার করেছেন; অথচ তিনি সিয়ামের নিয়ত করেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ আর অনুরূপ। করেছেন বলে উদ্ধৃত করেছেন। পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহর থেকে পূর্বোক্ত বিষয়বস্তুর পরিপন্থী বর্ণিত আছে; আর তা হচ্ছে, সেই হাদীস যা আমরা তার সূত্রে পূর্বে রিওয়ায়াত করেছি। আমরা আমাদের এই গ্রন্থে উল্লেখ করে এসেছি যে, তিনি বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাত্রে আযান দিয়ে থাকেন, যতক্ষণ না ইবন উম্মু মাকতুম (রাযিঃ) আযান দেন, তােমরা পানাহার কর। তিনি বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ)-এর আযান তােমাদের কাউকে যেন সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। যেহেতু তিনি তােমাদের ঘুমন্তদেরকে জাগরিত এবং দাঁড়িয়ে থাকা (জাগরিত) দেরকে প্রত্যাবর্তনের জন্য আযান দেন। তারপর তিনি ফজরের সঠিক বর্ণনা প্রদান করেন। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, উক্ত ফজরই সিয়াম পালনকারীর জন্য পানাহার ও অন্যান্য নিষিদ্ধ বস্তু থেকে প্রতিবন্ধক সৃষ্টিকারী। বস্তুত এই সমস্ত হাদীস যা আমরা উল্লেখ করেছি, এগুলাে হুযায়ফা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী । আমাদের মতে হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর হাদীসে সম্ভাবনা রয়েছে (আল্লাহ অধিক জ্ঞাত) যে, তা নিম্মােক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনাঃوَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
আর তােমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কৃষ্ণরেখা হতে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তােমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। তারপর নিশাগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। (২ঃ ১৮৭)
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেনঃ হুযায়ফা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এই হাদীসে, ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি সুবহি সাদিকের পরে আহার করেছেন; অথচ তিনি সিয়ামের নিয়ত করেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ আর অনুরূপ। করেছেন বলে উদ্ধৃত করেছেন। পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহর থেকে পূর্বোক্ত বিষয়বস্তুর পরিপন্থী বর্ণিত আছে; আর তা হচ্ছে, সেই হাদীস যা আমরা তার সূত্রে পূর্বে রিওয়ায়াত করেছি। আমরা আমাদের এই গ্রন্থে উল্লেখ করে এসেছি যে, তিনি বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ) রাত্রে আযান দিয়ে থাকেন, যতক্ষণ না ইবন উম্মু মাকতুম (রাযিঃ) আযান দেন, তােমরা পানাহার কর। তিনি বলেছেনঃ বিলাল (রাযিঃ)-এর আযান তােমাদের কাউকে যেন সাহরী খাওয়া থেকে বিরত না রাখে। যেহেতু তিনি তােমাদের ঘুমন্তদেরকে জাগরিত এবং দাঁড়িয়ে থাকা (জাগরিত) দেরকে প্রত্যাবর্তনের জন্য আযান দেন। তারপর তিনি ফজরের সঠিক বর্ণনা প্রদান করেন। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, উক্ত ফজরই সিয়াম পালনকারীর জন্য পানাহার ও অন্যান্য নিষিদ্ধ বস্তু থেকে প্রতিবন্ধক সৃষ্টিকারী। বস্তুত এই সমস্ত হাদীস যা আমরা উল্লেখ করেছি, এগুলাে হুযায়ফা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী । আমাদের মতে হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর হাদীসে সম্ভাবনা রয়েছে (আল্লাহ অধিক জ্ঞাত) যে, তা নিম্মােক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনাঃوَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
আর তােমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কৃষ্ণরেখা হতে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তােমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। তারপর নিশাগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। (২ঃ ১৮৭)
كِتَابُ الصِّيَامِ بَابُ الْوَقْتِ الَّذِي يَحْرُمُ فِيهِ الطَّعَامُ عَلَى الصِّيَامِ
3158 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ , قَالَ: ثنا حَمَّادٌ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ , عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ , قَالَ: " تَسَحَّرْتُ ثُمَّ انْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ , فَمَرَرْتُ بِمَنْزِلِ حُذَيْفَةَ , فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ , فَأَمَرَ بِلِقْحَةٍ فَحُلِبَتْ , وَبِقِدْرٍ فَسُخِّنَتْ , ثُمَّ قَالَ: كُلْ، فَقُلْتُ: إِنِّي أُرِيدُ الصَّوْمَ، قَالَ: وَأَنَا أُرِيدُ الصَّوْمَ. قَالَ: فَأَكَلْنَا , ثُمَّ شَرِبْنَا , ثُمَّ أَتَيْنَا الْمَسْجِدَ , فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ , قَالَ: هَكَذَا فَعَلَ بِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , أَوْ صَنَعْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: بَعْدَ الصُّبْحِ؟ قَالَ: بَعْدَ الصُّبْحِ , غَيْرَ أَنَّ الشَّمْسَ لَمْ تَطْلُعْ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ أَكَلَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ , وَهُوَ يُرِيدُ الصَّوْمَ وَيَحْكِي مِثْلَ ذَلِكَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِلَافُ ذَلِكَ , فَهُوَ مَا قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ مِمَّا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ فِي كِتَابِنَا هَذَا أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ , فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ» وَأَنَّهُ قَالَ: «لَا يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ مِنْ سُحُورِهِ , فَإِنَّهُ إِنَّمَا يُؤَذِّنُ لِيَنْتَبِهَ نَائِمُكُمْ , وَلِيَرْجِعَ قَائِمُكُمْ» ثُمَّ وَصَفَ الْفَجْرَ بِمَا قَدْ وَصَفَهُ بِهِ. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ هُوَ الْمَانِعُ لِلطَّعَامِ وَالشَّرَابِ وَمَا سِوَى ذَلِكَ , مِمَّا يُمْنَعُ مِنْهُ الصَّائِمُ. فَهَذِهِ الْآثَارُ الَّتِي ذَكَرْنَا مُخَالِفَةٌ لِحَدِيثِ حُذَيْفَةَ. وَقَدْ يَحْتَمِلُ حَدِيثُ حُذَيْفَةَ عِنْدَنَا، وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنْ يَكُونَ كَانَ قَبْلَ نُزُولِ قَوْلَهُ تَعَالَى: { «وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ» } [البقرة: 187]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬১
সিয়াম পালনকারীর জন্য যে সময়ে আহার করা হারাম
৩১৫৯-৬১। আহমদ ইবন দাউদ ইবন মুসা (রাহঃ) ......... আদী ইব্ন হাতিম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন (নিম্মােক্ত) আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
তখন আমি (বালিশের নীচে) দু'টি রশি নিলাম, একটি কালাে অপরটি সাদা এবং উভয়টির দিকে দৃষ্টি দিতে লাগলাম; কিন্তু সাদা কালাে থেকে আমার জন্য স্পষ্ট হলাে না (পার্থক্য হলাে না)। সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে আমার কৃতকাজ সম্পর্কে তাঁকে বললাম। তিনি (কৌতুক করে) বললেন, তােমার বালিশ তাে অত্যন্ত প্রশস্ত (যে, প্রভাত তার নীচে চলে আসে) উক্ত আয়াতে তাে দিনের শুভ্রতা এবং রাতের কৃষ্ণতা বুঝানাে হয়েছে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আদী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... হুসায়ন (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
তখন আমি (বালিশের নীচে) দু'টি রশি নিলাম, একটি কালাে অপরটি সাদা এবং উভয়টির দিকে দৃষ্টি দিতে লাগলাম; কিন্তু সাদা কালাে থেকে আমার জন্য স্পষ্ট হলাে না (পার্থক্য হলাে না)। সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট গিয়ে আমার কৃতকাজ সম্পর্কে তাঁকে বললাম। তিনি (কৌতুক করে) বললেন, তােমার বালিশ তাে অত্যন্ত প্রশস্ত (যে, প্রভাত তার নীচে চলে আসে) উক্ত আয়াতে তাে দিনের শুভ্রতা এবং রাতের কৃষ্ণতা বুঝানাে হয়েছে।
মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ..... আদী (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ (রাহঃ) ..... হুসায়ন (রাহঃ) থেকে অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
3159 - فَإِنَّهُ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ مُوسَى , قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: أنا حُصَيْنٌ وَمُجَالِدٌ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , قَالَ: أخبرنا عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ , قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ "} [البقرة: 187] عَمَدْتُ إِلَى عِقَالَيْنِ , أَحَدُهُمَا أَسْوَدُ , وَالْآخَرُ أَبْيَضُ , فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِمَا , فَلَا يَتَبَيَّنُ لِي الْأَبْيَضُ مِنَ الْأَسْوَدِ. فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي صَنَعْتُ , فَقَالَ: «إِنَّ وِسَادَكَ لَعَرِيضٌ إِنَّمَا ذَلِكَ بَيَاضُ النَّهَارِ وَسَوَادُ اللَّيْلِ»
3160 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: ثنا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ عَدِيِّ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
3161 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَوْدِيُّ , عَنْ حُصَيْنٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
3160 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا حَجَّاجُ بْنُ الْمِنْهَالِ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ , قَالَ: ثنا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ عَدِيِّ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
3161 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ , قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَوْدِيُّ , عَنْ حُصَيْنٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৬০
empty
৩১৬০।
- 3160

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৬১
empty
৩১৬১।
- 3161

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৬২
সিয়াম পালনকারীর জন্য যে সময়ে আহার করা হারাম
৩১৬২। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) ..... সাহল ইন সা’দ আস্ সায়েদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, যখন নিম্মােক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলাে:
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
তখন লােকেরা একটি সাদা রশি, একটি কালাে রশি নিয়ে বালিশের নীচে রেখে দিত এবং দেখত কখন এই দু’টি স্পষ্ট হবে এরপর খাদ্য গ্রহণ পরিহার করবে। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা তা বর্ণনা করে দিলেন এবং অবতীর্ণ হলােঃ مِنَ الْفَجْرِ উষার (শুভ্রতা)। যখন এই আয়াতের হুকুম (অনুধাবন) সাহাবা (রাযিঃ) দের উপর মুশকিল হয়ে পড়ল তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এ ব্যাপারে যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার বর্ণনা করে দিলেন এবং حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ অবতীর্ণ করার পরে مِنَ الْفَجْرِ অবতীর্ণ করলেন।
সুতরাং আয়াতের হুকুম হলো: তারা পানাহার করবে যতক্ষণ না তাঁদের জন্য উষার শুভ্রতা উদ্ভাসিত হয়। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বাণীর مِنَ الْفَجْرِ যা আমরা উল্লেখ করেছি, এর দ্বারা সাহল (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে যে বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন তাকে রহিত করে দিয়েছেন। আর সম্ভবত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহর থেকে হুযায়ফা (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ করে উক্ত বিষয়কে সুদৃঢ় করেন এবং আয়াতে বর্ণিত বিষয়ের দিকে হুকুমকে ফিরিয়ে দেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ থেকেও নিন্মােক্ত হাদীস বর্ণিত আছে :
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
তখন লােকেরা একটি সাদা রশি, একটি কালাে রশি নিয়ে বালিশের নীচে রেখে দিত এবং দেখত কখন এই দু’টি স্পষ্ট হবে এরপর খাদ্য গ্রহণ পরিহার করবে। তিনি বলেন, তারপর আল্লাহ তা'আলা তা বর্ণনা করে দিলেন এবং অবতীর্ণ হলােঃ مِنَ الْفَجْرِ উষার (শুভ্রতা)। যখন এই আয়াতের হুকুম (অনুধাবন) সাহাবা (রাযিঃ) দের উপর মুশকিল হয়ে পড়ল তখন আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এ ব্যাপারে যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করার বর্ণনা করে দিলেন এবং حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ অবতীর্ণ করার পরে مِنَ الْفَجْرِ অবতীর্ণ করলেন।
সুতরাং আয়াতের হুকুম হলো: তারা পানাহার করবে যতক্ষণ না তাঁদের জন্য উষার শুভ্রতা উদ্ভাসিত হয়। আর আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বাণীর مِنَ الْفَجْرِ যা আমরা উল্লেখ করেছি, এর দ্বারা সাহল (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসে যে বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছেন তাকে রহিত করে দিয়েছেন। আর সম্ভবত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহর থেকে হুযায়ফা (রাযিঃ) যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। যখন আল্লাহ তা'আলা উক্ত আয়াত অবতীর্ণ করে উক্ত বিষয়কে সুদৃঢ় করেন এবং আয়াতে বর্ণিত বিষয়ের দিকে হুকুমকে ফিরিয়ে দেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ থেকেও নিন্মােক্ত হাদীস বর্ণিত আছে :
3162 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا الْمُقَدَّمِيُّ , قَالَ: ثنا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنْ أَبِي حَازِمٍ , عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ , قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ {وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ} [البقرة: 187] " جَعَلَ الرَّجُلُ يَأْخُذُ خَيْطًا أَبْيَضَ وَخَيْطًا أَسْوَدَ , فَيَضَعُهُمَا تَحْتَ وِسَادَةٍ , فَيَنْظُرُ مَتَى يَسْتَبِينُهُمَا فَيَتْرُكُ الطَّعَامَ. قَالَ: فَبَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَلِكَ , وَنَزَلَتْ " {مِنَ الْفَجْرِ} [البقرة: 187] فَلَمَّا كَانَ حُكْمُ هَذِهِ الْآيَةِ قَدْ كَانَ أَشْكَلَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَيَّنَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُمْ مِنْ ذَلِكَ مَا بَيَّنَ , وَحَتَّى أَنْزَلَ " {مِنَ الْفَجْرِ} [البقرة: 187] بَعْدَمَا قَدْ كَانَ أَنْزَلَ {حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ "} [البقرة: 187] فَكَانَ الْحُكْمُ أَنْ يَأْكُلُوا وَيَشْرَبُوا , حَتَّى يَتَبَيَّنَ ذَلِكَ لَهُمْ , حَتَّى نَسَخَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِقَوْلِهِ {مِنَ الْفَجْرِ} [البقرة: 187] عَلَى مَا ذَكَرْنَا , مَا قَدْ بَيَّنَهُ سَهْلٌ فِي حَدِيثِهِ. وَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ مَا رَوَى حُذَيْفَةُ مِنْ ذَلِكَ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَبْلَ نُزُولِ تِلْكَ الْآيَةِ , فَلَمَّا أَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ تِلْكَ الْآيَةَ , أَحْكَمَ ذَلِكَ , وَرَدَّ الْحُكْمَ إِلَى مَا بَيَّنَ فِيهَا
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي ذَلِكَ
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩১৬৩
সিয়াম পালনকারীর জন্য যে সময়ে আহার করা হারাম
৩১৬৩। আবু উমাইয়া (রাহঃ) ..... তালুক ইব্ন আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তােমরা (সাহরীর সময়) পানাহার করতে থাকবে। ভােরের লম্বালম্বি আলাে যেন তােমাদের ঘাবড়িয়ে না দেয়। প্রস্থে বিস্তৃত লালচে আভা ছড়িয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত তােমরা পানাহার করতে থাকি। আর তিনি নিজ হাতে প্রস্থে বিস্তৃত হওয়ার দিকে ইশারা করলেন। সুতরাং আল্লাহ তা'আলার কিতাবের সুস্পষ্ট আয়াতকে পরিত্যাগ করা জরুরী হয় না এবং রাসূলুল্লাহর থেকে বর্ণিত মুতাওয়াতির হাদীস সমূহকে, যা উম্মত কবুল করেছে এবং রাসূলুল্লাহ থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত উম্মত যেমন আমল করে আসছে। ফলে এরূপ হাদীসের দিকে ফিরে যাওয়ার প্রয়ােজন হয় না যা রহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেমনটি আমরা এই অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি। এটি হচ্ছে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
3163 - مَا حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ , وَالْخَضِرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شُجَاعٍ , قَالَا: ثنا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرٍ السُّحَيْمِيُّ , قَالَ: حَدَّثَنِي جَدِّي قَيْسُ بْنُ طَلْقٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُوا وَاشْرَبُوا وَلَا يَهِيدَنَّكُمُ السَّاطِعُ الْمُصْعِدُ , كُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَعْتَرِضَ لَكُمُ الْأَحْمَرُ وَأَشَارَ بِيَدِهِ وَأَعْرَضَهَا» فَلَا يَجِبُ تَرْكُ آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالَى نَصًّا , وَأَحَادِيثَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَاتِرَةً قَدْ قَبِلَتْهَا الْأُمَّةُ , وَعَمِلَتْ بِهَا مِنْ لَدُنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَوْمِ، إِلَى حَدِيثٍ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَنْسُوخًا بِمَا ذَكَرْنَاهُ فِي هَذَا الْبَابِ وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান